Discover millions of ebooks, audiobooks, and so much more with a free trial

Only $11.99/month after trial. Cancel anytime.

স্পাইসিদিলীপের ছোটগল্প
স্পাইসিদিলীপের ছোটগল্প
স্পাইসিদিলীপের ছোটগল্প
Ebook54 pages22 minutes

স্পাইসিদিলীপের ছোটগল্প

Rating: 0 out of 5 stars

()

Read preview

About this ebook

কতকগুলি ছোট গল্পের সংকলন যাতে ভালবাসা, ভুতের গল্পএর সাথে রয়েছে পুরনো দিনের কলকাতা আর কলকাতার রেলপথের ইতিহাসের বিবরণ। কন্রকন ছবি এতে দেওয়া নেই। বাংলা হরফে লেখা ই-বুক।
A collection of some ten short stories written over last half year in leisure time. Book is written in bengali script, and in Bengali language,

LanguageBengali
Release dateJan 11, 2014
ISBN9781310135989
স্পাইসিদিলীপের ছোটগল্প
Author

স্পাইসিদিলীপ

হীরক জয়ন্তী পার করেছি। শতাব্দী ছোয়া চেষ্টায় আছি। বাংলা হরফে ই-বুক বার করা এখনও ঠিক মতন যাচ্ছে না কিন্তু লিখে যেতে মানাত নেই।

Read more from স্পাইসিদিলীপ

Related to স্পাইসিদিলীপের ছোটগল্প

Reviews for স্পাইসিদিলীপের ছোটগল্প

Rating: 0 out of 5 stars
0 ratings

0 ratings0 reviews

What did you think?

Tap to rate

Review must be at least 10 words

    Book preview

    স্পাইসিদিলীপের ছোটগল্প - স্পাইসিদিলীপ

    আজ থেকে প্রায় বছর চল্লিশ আগের কথা। রেলের চাকরী ছেড়ে আমি তখন মধ্যপ্রদেশে এক বেসরকারী সংস্থাতে কাজ করছিলাম। কলকাতায় ছুটিতে ফেরার সময়কার ঘটনা। একটা ছোট্ট ব্যপার কিন্তু আজও আমার ঘটনাটা পরিস্কার মনে আছে।

    ঘটনার নায়ক শ্রীপতি। শ্রীপতি ছিল আমার রায়পুরে থাকাকালীন রেলে কাজ করার সময়কার ট্রলীম্যান। রোগা ছিপছিপে চেহারা, ট্রলী ঠেলতে যে গায়ের জোরের দরকার, সেটা আছে বলে কোনদিন মনে হয় নি। কিন্তু সাধারণত রেলের লাইন থেকে ট্রলী সরিয়ে নেবার সময় যে পরিমাণ চটপটে আর শক্তিশালী হতে হয় সেই জিনিষটা তার মধ্যে ছিল।

    আমি তখন এক প্রোজেক্টে কাজ করছি। সকালে বেড়িয়ে যাই আর ফিরতে ফিরতে কোন দিন সন্ধ্যে হয়ে যায়। আবার মাঝে মাঝে বাইরে যাবার কোন দরকার পরেনা। যে দিন বাইরে যাবার দরকার নেই সেদিন ট্রলীম্যানদের আমার কোয়ার্টারে হাজিরা দিতে হয়। পাঁচজন ট্রলীম্যান বাড়িতে বসে যে কি করবে তা ঠিক করে দেওয়া একটা মাথা খারাপ করার মত ব্যপার ছিল। মনে হয় সেই দৈত্যকে কুকুরের লেজকে সোজা করার কাজের উতপত্তি এই রকম কোন সিচুয়েশন থেকেই হয়েছিল।

    বাড়িতে তখন আমার স্ত্রী আর ছোট মেয়ে থাকে। শ্রীপতির সাথে আমার মেয়ের খুব বন্ধুত্ব। শ্রীপতি ওকে ডাকে মুন্নি বলে আর মেয়ে তাকে নাম ধরেই ডাকে। শ্রীপতি উচ্চারণ হয় না বলে ছিপোতি। তার পুতুল গুলোকে গুছিয়ে দেওয়া, আর আমার স্ত্রীর রান্নাঘরের কাজের সময় মেয়ের সাথে খেলা করা তার প্রধান কাজ ছিল। শেষের দিকে এমন হয়ে গেছিল যে ওকে আর লাইনের কাজে যেতে হত না। আমার পার্সনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে থাকতো। স্ত্রী যখন তার বাপের বাড়ীতে যেতেন (আমি ছেড়ে দিয়ে আসতাম আবার পরে গিয়ে নিয়ে আসতাম কেননা ছুটি পাওয়ার আসুবিধা ছিল) তখন শ্রীপতি আমার কুক কাম এভরিথিং। আমার রান্না ঘরে যাবার কোন দরকার পরত না।

    রায়পুর ষ্টেসনে সিগারেট খাবার জন্য প্ল্যাটফর্মে নেমেছি। গাড়ীটা অনেকক্ষন দাঁড়াবে। হঠাত দেখি একটু দূরে এক ভদ্রলোক প্রায় দৌড়ে আমার দিকে আসছে। আমার কাছে এসেই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে জিজ্ঞেস করে স্যার,আপ ইধার। কহিঁ যা রহে কেয়া? মাজী কাঁহামুন্নি? প্রশ্নগুলো ঝড়ের বেগে আসাতে আমি হকচকিয়ে গেছিলাম। একে তো লোকটিকে চিনতে পারছি না অথচ বুঝতে পারছি আমার পুরনো ষ্টাফেদের কেউ

    Enjoying the preview?
    Page 1 of 1