You are on page 1of 21

একিট ভুল মাসআলা: িশ র জ তার বােনর ধ পান করা িক

িনেষধ?
এই পাতার লখা িল যখন তির করিছ তখন এক ভাইেয়র ফান এল য,
একিট িশ র জে র সময় তার মা ইে কাল কেরন। (আ াহ তাআলা তাঁর
মাগিফরাত ক ন এবং তাঁেক জা াত নসীব ক ন এবং তাঁর স ােনর উ ম
িতপালেনর ব ব া কের িদন। আমীন।) এখন তােক ধ পান করােনার মেতা
কউ নই। ধু বড় বান তােক ধ পান করােত পাের িক এটা তা স বত
জােয়য না? এখন তার জ কী করা যায়? আিম আরজ করলাম, িশ তার
বােনর ধ পান করেত পাের না, তা আপনােক ক বেলেছ? িতিন বলেলন,
সবাই তা এমনই মেন কের। আিম আরজ করলাম, সবাই যিদ এমন মেন কের
থােক তেব তা চিলত ভুেলর অ ভু । সিঠক িবষয় এই য, ধ পােনর
ময়ােদর িভতের িশ েক য কােনা মিহলার ধ পান করােনা যায়, িতিন িশ র
মাহরাম হান অথবা গায়র মাহরাম। তেব এটা িভ স য, িশ র ধ- মা
িহেসেব ীনদার মিহলা িনবাচন করা আব ক, ফািসক- ফািজর নারীর ধ পান
না করােনা উিচত। কননা, িশ র ভাব- চির তিরর িপছেন েধরও ভূিমকা
থােক

মােক স কর, িনয়া- আেখরােতর কাথাও তুিম আটকােব না’


মাওলানা আবু তােহর মসবাহ
আজ তামােদরেক ধু একিট কথা বলার জ এক কেরিছ। এই সফের হারােম
নববীেত বেস আমার ব ু মাওলানা ইয়াহইয়ােক বললাম, ‘এখন আিম কী
ভাবিছ জােনা? আিম ভাবিছ, কীভােব আমার ছেলেদরেক বাঝােত পাির য,
মােয়র দায়ার ফযীলত কী; মােয়র দায়া থাকেল কী হয় আর দায়া না থাকেল
কী হয়। আিম জািন না, কীভােব বলেল, কান ভাষায় বলেল আমার ছেলরা
বুঝেত পারেব এবং মােয়র জ জান কারবান করেব। ওরা যিদ বেল য,
আপনার কিলজাটা বর কের দন, আমরা ওটা িচিবেয় খাব, তারপর বুঝব,
তাহেল আিম আনে র সােথ আমার কিলজাটা বর কের টুকেরা টুকেরা কের
সবাইেক খাইেয় িদব।’ এর অথ এই নয় য, আিম খুব বুেঝ িগেয়িছ। তেব
এতটু বুেঝিছ য, মা ছাড়া স ােনর কােনা গিত নই। মা যমনই হাক
মােয়র দায়া যারা পােব জীবেন তােদর কােনা ভয় নই। মা ষ তা মূল বান
স দ অেনক পয়সা খরচ কের অজন কের। আমরা সবাই যন মােয়র স ি েক
মূল বান স দ মেন কির এবং যেকােনা মূেল তা অজন করার চ া কির। এই
হে র সফের আ াহর কাছ থেক যা িকছু পেয়িছ, তা সবই আমার মােয়র
দায়ার বরকত। এটা আমােক আ াহ তাআলা হােত ধের ধের বুিঝেয় িদেয়েছন।
সফের একজন আমােক বলল, ‘আপিন ধু মােয়র কথা বলেছন, বাবার কথা
কন বলেছন না?’ বললাম, ‘ভাই! আিম কী করব? আমার আ াহই ধু
মােয়র কথা বেলেছন’- ‫ووﺻﯿﻨﺎ اﻻﻧﺴﺎن ﺑﻮاﻟﺪﯾﮫ اﺣﺴﺎﻧﺎ ﺣﻤﻠﺘﮫ اﻣﮫ ﻛﺮھﺎ ووﺿﻌﮫ ﻛﺮھﺎ‬
‘মা- বাবার িত সদাচরণ কর কারণ মা ক কের তামােক গেভ ধারণ কেরেছন
...।’ দখুন, মা- বাবা ’জেনর সােথই সদাচরেণর আেদশ কেরেছন এরপর
আর বাবার কথা নই, আেছ ধু মােয়র কথা। এর ারা বাঝা যায়, বাবা যা
িকছু পাে ন মােয়র সে থাকার কারেণ পাে ন। যেহতু িতিন মােক অথ িদেয়,
শি িদেয় সাহায কেরেছন তাই িতিন িকছু পাে ন। তরাং আমার বাবা যিদ
আমার মােয়র সােথ ভােলা আচরণ না কেরন তাহেল িতিন আমার মুহা ত পােবন
না। তেব রে র হক আেছ তাই বআদবী করব না, আদব র া করব এবং
কারআন য আ গেত র কথা বেলেছ স আ গত করব। িক মুহা ত আর
করব না। আমার মুহা ত পেত হেল আমার বাবােক আমার মােয়র মাধ েম
আসেত হেব। এই কথাটা আিম িনেজেকও বলিছ। আিম যিদ আমার স ােনর
মুহা ত পেত চাই তাহেল তার মােয়র সােথ আমােক ভােলা ব বহার করেত
হেব। তামরা যিদ মােয়র মযাদা বুঝেত পার তাহেল আিম আ াহর রহমেতর
উপর ভরসা কের িন য়তার সােথ বলেত পাির য, িনয়ােত এবং আেখরােত
কােনাখােন ইনশাআ াহ তামরা আটকােব না। মাদরাসাতুল মদীনার সােথ যিদ
তামােদর স ক থােক তাহেল শান! তামরা মাদরাসাতুল মদীনার তািলবুল
ইলম তখনই হেত পারেব যখন তামরা মােয়র অ গত হেব এবং তামার মা
তামার িত স থাকেবন। এবার সফেরর কােনা িত িছল না। আ ােক
বললাম, আ া! আিম কী িনেয় আ াহর ঘের যাব? আমার িভতর তা
এেকবাের খািল। আ া বলেলন, ‘আ ায় িদব।’ মােয়র এই দায়াটা িনেয়
আিম আ াহর ঘের িগেয়িছ। আ াহ এত িদেয়েছন য, আিম আ াহর িত খুিশ
হেয় িগেয়িছ। আ াহ পেদ পেদ এত দয়া, এত মায়া, এত মুহা েতর আচরণ
কেরেছন য, ঐ হাদীসিট বার বার মেন পেড়েছ- ‘মােয়র চেয়ও আ াহর
মুহা ত বিশ।’ ওখান থেকই আমার িনয়েত এেসেছ, আিম িগেয়ই আমার
ছেলেদরেক জমা করব এবং মােয়র দায়া িদেয় কী পাওয়া যায় তা বলব। এটা
যিদ আমার ছেলেদরেক না বিল তাহেল আর কােদরেক বলব? আমার
ছেলেদর চেয় ি য় আমার আর ক আেছ? এবােরর এ আেয়াজনটাও (সবাইেক
খজুর ও যমযম পান করােনা) মােয়র দায়ার বরকত। মাদরাসাতুল মদীনায়
তামােদর িকছু পাওয়ার দরকার নই। সবাই মােক খুিশ রাখ। মা যিদ না পড়েল
খুিশ হন পেড়া না, আর পড়েল খুিশ হেল পড়। মূল উে হল, মােক খুিশ
করা। আর মােক কন খুিশ করেব? আ াহ বেলেছন তাই। মােয়র খদমত
করা, মােক খুিশ রাখা অথাৎ িখদমাতুল ওয়ািলদাইন ও ইহসান ইলাল
ওয়ািলদাইন হল মাদরাসাতুল মদীনার নসাব। এটায় য পাশ করল স
মাদরাসাতুল মদীনা থেক পাশ কের গল। আর এই নসােব য পাশ করল না
স মাদরাসাতুল মদীনার ছা পিরচয় দওয়ার- আিম মেন কির- অিধকার রােখ
না। আ াহ যন আমার সকল ছেলেক, এখন যারা আেছ তােদরেক, িপছেন
যারা িছল তােদরেক, এবং সামেন যারা আসেব তােদরেক মােয়র খদমত করার
এবং মােক খুিশ করার তাওফীক দান কেরন। নবী সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম
ছেলেক বাঁচােনার জ মােয়র মমতােক জািগেয় িদেয়িছেলন। মৃতু র সময় মুেখ
কািলমা জাির হি ল না। তখন িতিন বলেলন, এ ব ি হয়েতা মােয়র সােথ
ব বহার কেরেছ তাই কািলমা জাির হে না। ওর মােক িনেয় আস। মােক
বলেলন, তুিম তামার ছেলেক মাফ কের দাও। মা বলেলন, না আমােক ও
অেনক ক িদেয়েছ, আিম ওেক মাফ করব না। মাফ করেব না? আ া এক
কাজ কর, লাকিড় জাগাড় কের আ ন াল। এরপর ছেলটােক আ েন ফেল
দাও। তখন মা বেল িক, আ াহ! আ াহ! এটা করেবন না! এটা করেবন না!
আিম মাফ কের িদলাম। তখন নবী সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম বলেলন,
তামার স ান িনয়ার আ েন লুক- এটা সইেত পারছ না, িক তামার বদ
দায়ার কারেণ স যখন জাহা ােমর আ েন লেব তখন স করেব কীভােব?
তা িতিন মােয়র মমতােক জা ত কের স ানেক র া কেরেছন। েত ক হে র
সফের আিম স ীেদরেক বলার চ া কির য, ‘হ করেত এেসেছন তা হ
থেক ফায়দা হািসল করারও চ া ক ন। হ থেক ফায়দা হািসল করেত হেল
আপনার সােথ য কয়জন নারীর স ক আেছ তােদর সােথ স বহার করেত
হেব। আপনার সােথ মােয়র স ক আেছ, বােনর স ক আেছ, মেয়র
স ক আেছ, ীর স ক আেছ। তােদর সে স বহার করেল আপিন হে র
ফায়দা পােবন, হে র বরকত পােবন।’ দখ, আ াহ তাআলাও আমােদরেক
যমযম দান করার জ হােজরা আ.- এর মাতৃ েক অসীলা বািনেয়েছন। তাঁর
তড়প ও ব চায়নী না হেল যমযম আসত না। অেনক বছর আেগ একটা গজল
েনিছলাম- ‘যমযম ক ায় া ায়, এক মা িক তড়প।’ ‘যমযেমর হাকীকত কী?
ধু একজন মােয়র ব া লতা।’ যখনই যমযেমর একটা ঢাক পান কির তখনই
আমার মেন হয় আিম যন মাতৃে র দান হণ করিছ। সাফা ও মারওয়ার য সাঈ
এটা তা আসেল মােয়র তড়প। বলেত গেল পুেরা হ টাই নারী সমােজর একটা
অবদান পু ষ সমােজর উপর। মাটকথা, মােয়র িত, বােনর িত, ীর
িত, ক ার িত এবং নারী সমােজর িত সদয় হওয়া হে র িশ া। মদীনায়
পৗঁেছ িভতরটা খুব অ কার মেন হল। িযয়ারেত যাওয়ার সাহস হি ল না। সবাই
গেলন, িক আিম যেত পারলাম না। হারােম নববীেত েয় আিছ, হঠাৎ শষ
রাে মেন হল, আ াহ আমােক ডাক িদেয়েছন, িময়া! তামার না মা আেছ।
তুিম এত িচ া করছ কন? তামার মােয়র থেক দায়া নাও। মােয়র থেক
দায়া িনেলই আিম তামার রা া খুেল িদব। মেন হল, আিম এই সে াধনটা
আমার আ াহর কাছ থেক নেত পলাম। আসমােনর িদেক তািকেয় বললাম,
আ াহ! তামার শাকর, তুিম িদেলর মেধ ঢেল িদেয়ছ। তামার সে াধন
আিম বুঝেত পেরিছ। তামার শাকর। আিম তা কােনা সফেরর মেধ মােয়র
সােথ ফােন কথা বিলিন, িক তুিম িদেল ঢেল িদেয়ছ তাই আিম মােয়র সে
ফােন কথা বলব। মােয়র কাছ থেক দায়া িনব। এরপর িক তুিম আর আমােক
না িদেয় পারেব না। এরপর ফান কের মােয়র সােথ কথা বললাম, আ া!
আমার অব া খুব খারাপ। আিম সাহস পাি না আ াহর নবীর সামেন যেত।
আপিনও তা সালাম পশ করার দািয় িদেয়েছন িক আিম তা যেত সাহস
পাি না। আপিন আমার জ দায়া কেরন। আিম এখন রওনা দব। মা
বলেলন, ‘আ া।’ একিটমা শ । আমার মেন হল, ঠা া পািন পান করেল
যমন গলা- বুক শীতল কের পািনটা নেম যায়, তমিন আ া শে র
শীতলতাও আমার িতিট িশরায় উপিশরায় বািহত হে । সম স ােক শীতল
ও ি কের িদল একিট শ । আিম অ ভব করলাম, আ া শে র আেলাটা
আমার ভতর েবশ করেছ আর আমার অ কার িল ধীের ধীের সের যাে ।
আমার সবস া পূণ আেলািকত হেয় গল মােয়র একিট ‘আ া’ শ ারা।
একজন িশি ত সিনক যমন অ হােত পেল িনভীক হেয় যায় আিম তমিন
‘আ া’ শে র অ টা পেয় িনভীক হেয় গলাম। আিম রওয়ানা িদলাম। এত
তৃি ! এত শা্ি ! িগেয় যখন দাঁড়ালাম মেন হল, আিম যন িনয়ার সবেচেয়
আপন জায়গায় এবং সবেচ ি য় জায়গায় এেস পেড়িছ। জীবেন এমন র
সালাম মেন হয় আর কখেনা পশ করার তাওফীক হয়িন। আিম আ াহেক
বললাম, আ াহ! আিম মােয়র দায়া িনেয় এেসিছ। এখন তুিম আমােক খািল
হােত কীভােব িফিরেয় িদেব! খািল হােত িফিরেয় িদেত চাইেল তা তুিম মােয়র
কথাটা মেন কিরেয় িদেত না। তা আলহাম িল াহ, ঐ দ ও সালােমর
বরকত খুব অ ভব কেরিছ। তখনই মেন হেয়েছ য, আমার স ানেদরেক এটা
বাঝােত হেব। দখ, আ াহ কমন ব ব া কের িদেয়েছন। মােয়র িদেক
মুহা েতর নযের তাকােল তুিম মাকবুল হে র সওয়াব পােব। িক মা েষর তা
ঐ হে র দরকার নই, তােদর ধু দরকার ই লাখ িতন লাখ টাকা খরচ কের
এই হ করা! তামরা মােয়র হেয় যাও। মােয়র হেয় গেল আ াহর হেয় যােব।
আর আ াহর হেয় গেল আ াহও তামােদর হেয় যােবন। মােক কখেনা ক
িদেয়া না। য মােয়র অব া এমন য, স ান অ হেল তাঁর আর কােনা
অ তা থােক না, িনেজর সকল অ তার কথা ভুেল যান স ােনর িচ ায়- সই
মােক মা ষ কীভােব ক দয়! আিম অেনক সময় অেনেকর জ দায়া কির য,
আ াহ তাআলা যন তামার িত তামার মােয়র মুহা ত কিমেয় দন। কারণ
মােয়র অ ের যিদ তামার িত বিশ মুহা ত থােক তাহেল লনও বিশ হেব।
আর তুিম যেহতু তার মুহা েতর মযাদা র া করছ না তরাং লনটা যত বিশ
হেব তামার প থেক অমযাদাও তত বিশ হেব। ফেল তুিম িত হেত
থাকেব। তারেচ তামার িত যিদ তামার মােয়র মুহা তটা কেম যায় তাহেল
লনটাও কেম যােব। ফেল তুিম একটু র া পােব। িকংবা আ াহ যন তামােক
মুহা েতর মযাদা র া করার তাওফীক দান কেরন। যাই হাক, তামরা যিদ
বাঁচেত চাও তাহেল মােয়র িবষয়টা খয়াল রাখার চ া কর। এটা আমােদর জ
একটা িবরাট রা া। এই রা ায় আমােদর বড় বড় সৗভাগ আসেত পাের। আবার
এটা আমােদর বরবািদরও কারণ হেত পাের। নবী সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম
বেলেছন- ‫ ھﻤﺎ ﺟﻨﺘﻚ أو ﻧﺎرك‬মা- বাবা হল তামার জা াত িকংবা জাহা াম। অথাৎ
মা- বাবার মযাদা র া কের কউ জা ােত যােব আবার মা- বাবার অমযাদা কের
কউ জাহা ােম যােব। আর আ াহ তাআলা তা মুশিরক মা- বাবার সে ও
সদাচরণ করার আেদশ িদেয়েছন। এই পৃিথবীেত তামােক িনেয় ভাববার কউ
নই। এমনিক বাবাও তামােক িনেয় তমন ভােবন না যমন ভােবন তামার মা।
ঘের ভােলা িকছু রা া হেল তুিম নই তাই িনেজও খেত পােরন না। এমন মােক
ভালবাসেব না, স ান করেব না তা কােক করেব! মােক ভালবাসেল, মােক
স ান করেল িনেজই লাভবান হেব। লখাপড়া িশখেত মধা লােগ, ম লােগ,
অেনক িকছু লােগ, িক মােক ভালবাসেত, মােক স ান করেত, মােক খুিশ
করেত িকছুই লােগ না। তা বাবারা! মােক ভালবাস, মােক স ান কর, মােক
স কর এবং মােয়র দায়া হািসল কর। তাহেল দখেব িনয়া ও আেখরােতর
কাথাও তুিম আটকােব না। তামার স ান হেব মযাদার শীেষ। আ াহ সকলেক
তাওফীক দান ক ন। আমীন। [অ িলখন : মুহা াদ যািহ ল ইসলাম
একিট ভুল মাসআলা: বছেরর - শেষর মেধ স েদর সবিন
পিরমােণর যাকাত দওয়া
কানাডা- বাসী এক ভাই জানােলন, স দেশর িকছু ইসলামী সংগঠেনর প হেত
সরবরাহকৃত যাকােতর িহসাব সহেজ বর করার নকশাস িলত কাগেজ লখা আেছ
য, যাকাত দওয়ার ে বছেরর ও শষ উভয় সমেয়র মেধ স েদর য পিরমাণ
সবিন স িহসােব যাকাত ওয়ািজব হয়। অতএব যাকাতদাতােক এই সবিন পিরমাণ
স েদর যাকাত িদেত হেব। বছেরর শেষ এই পিরমােণর চেয় স দ বিশ থাকেলও।
এিট সিঠক মাসআলা নয়; সিঠক মাসআলা হল, যাকাত- বষ পূণ হওয়ার সময় য পিরমাণ
স দ থাকেব তার যাকাত আদায় করেত হেব। বছেরর েত ও মােঝ স দ কম থা ক বা
বিশ। যমন বছেরর েত মুহা াদ আলী সােহেবর কােছ প াশ হাজার টাকার স দ
িছল। বছরেশেষ দখা গল, তার স েদর পিরমাণ প া হাজার টাকা। তাহেল এখন
তােক প া হাজার টাকার যাকাত আদায় করেত হেব। বছেরর িকংবা - শেষর
মােঝ সবিন পিরমােণর িহসােব নয়।
এই মাসআলা হাদীস, আছার ও িফকেহ ইসলামীেত ভােব বলা আেছ। অতএব
মাসআলা দওয়া ও চার করাসহ ীনী যেকােনা কােজ সকেলর সতকতা অবল ন করা
জ ির।

ক া- স ােনর মা হওয়া িক অপরাধ?


মাওলানা আবুল কােসম আযহারী
গত ১৭ জা য়াির দিনক ইে ফাক পি কায় একিট ছা লখার উপর দৃি
পড়ল। লখািটর িশেরানাম িছল ‘ক াস ােনর মা হওয়াটাই যন অপরাধ।’ বশ
কৗতুহল িনেয় পুেরা লখািট পড়লাম এবং খুব মমাহত ও িবি ত হলাম।
লখািটর িকছু অংশ িছল এ রকম- ‘ কান মা যিদ পু স ােনর জ িদেত ব থ
হয় তেব সব দায় তার ঘােড়ই চােপ। তােক উঠেত বসেত গ না নেত হয়।
লা নার িশকার হেত হয়।’ এরপর দেশর িবিভ জায়গায় ক া স ান
সবকািরনী কেয়কজন মােয়র ক ণ কািহনী তুেল ধরা হয় িরেপাটিটেত, যা
পেড় িনেজর অজাে ই চােখর কােণ পািন এেস পেড় আর দয়- পেট ভেস
ওেঠ জােহলী যুেগর স ববরতার িচ । য যুেগ ক া- স ােনর িপতা হওয়া িছল
ভীষণ ল ার িবষয়। সমােজ তার মুখ দখােনা দায়। এমনিক আপন ক া-
স ানেক জীবন- পুঁেত রাখেতও িব মা ি ধা হত না। তােদর এই অব া তুেল
ধের রআন মজীেদ আ াহ তাআলা ইরশাদ কেরন, ( তরজমা) আর যখন
তােদর কাউেক ক া- স ােনর সংবাদ দওয়া হয় তখন তার চহারা কােলা
হেয় যায় এবং অস মন ােপ ি হেত থােক। তােক নােনা সংবােদর ঃেখ
স লাকেদর কাছ থেক চহারা লুিকেয় রােখ। স ভােব, অপমান স কের
তােক রাখেব, না মািটর িনেচ পুঁেত ফলেব। েন রাখ, তােদর ফয়সালা খুবই
িনকৃ । (সূরা নাহল : ৫৮- ৫৯) অপর আয়ােত ইরশাদ কেরন, ( তরজমা)
িন য়ই তারা িত হেয়েছ, যারা িনজ স ানেদরেক িনবুি তাবশতঃ কােনা
মাণ ছাড়াই হত া কেরেছ এবং আ াহ তােদরেক যসব িরিযক িদেয়িছেলন তা
আ াহর িত িমথ ােরাপ কের হারাম কেরেছ। িন য়ই তারা পথ হেয়েছ এবং
পথগামী হয়িন। (সূরা আনআম : ১৪০) আেরা ইরশাদ কেরন, ( তরজমা) আর
যখন জীব ািথত ক া- স ানেক িজ াসা করা হেব, কী অপরােধ তােক
হত া করা হল। (সূর ইনিফতার : ৮- ৯) এটা িছল ইসলাম- পূব জােহিল যুেগর
িচ , যখােন িছল না িশ া- দী া এবং তাহিযব ও তামা ুন তথা কৃত ভােলা
মা ষ হওয়ার িবষয়ািদ, যা তােদরেক সভ , ভ ও র মা ষ িহসােব গেড়
তালেব। িক বতমান সময়! বতমান যুগ! এ তা িশ া- দী ার যুগ! তাহিযব-
তামা ুেনর যুগ। সভ তার যুগ! িব ান- যুি র চরম উৎকষতার যুগ! এরপরও
এরা কন িহং প র মেতা আচরণ? তেব িক সভ সমােজ বসবাসকারী
মা ষ পী স প র দল, যােদর বণনা রআন মজীেদ আ াহ তাআলা
িদেয়েছন এভােব- (তরজমা) ওরা তা প র ায়; বরং তার চেয়ও িনকৃ ।
এসব ে র জবাব যিদ হয় ‘না’ তাহেল এেদর বলব, আপনারা িক কখেনা
আ াহ দ িবেবক- বুি িদেয় িচ া কেরেছন য, ক া স ান সেবর কারেণ
য নারীর উপর আিম অমানিবক িনযাতন করিছ, তার ােন যিদ আিম অথবা
আমার কােনা বান বা মেয় হত এবং স আমার বা আমােদর উপর অ প
িনযাতন চালাত তেব িক আিম বা আমরা তা মেন িনতাম? অথবা তা সিঠক বেল
িবেবচনা করতাম? িকংবা তােক সভ মা ষ বেল মেন করতাম? আপনারা িক
কখেনা িচ া কেরেছন য, স ান দওয়া, না দওয়া, িকংবা মেয়র পিরবেত
ছেল বা ছেলর পিরবেত মেয় স ান সব করায় মােয়র কােনা এখিতয়ার ও
মতা নই। এ িবষেয় পূণ এখিতয়ার ও মতা একমা আ াহ তাআলারই।
কােনা মা ষ তথা মাখলুেকর নয়। দখুন, রআন মজীেদ আ াহ তাআলা
ইরশাদ কেরেছন- (তরজমা) নেভাম ল ও ভূম েলর রাজ আ াহ তাআলারই।
িতিন যা ই া সৃি কেরন। যােক ই া ক া- স ান এবং যােক ই া পু - স ান
দান কেরন। অথবা তােদরেক দান কেরন পু ও ক া উভয়ই এবং যােক ই া
ব া কের রােখন। িন য়ই িতিন সব , মতাবান। (সূরা রা : ৪৯- ৫০)
আ াহ তাআলার উপেরা ঘাষণার পরও যিদ কােনা রাচার,
হতভাগা ামী িকংবা িনযাতেন অংশ হণকারী ব ি র বুেঝ না আেস এবং এই
ববর আচরণ থেক িবরত না থােক তাহেল তােদর বলব, িনরপরাধ মােয়র উপর
ক া- স ান সব হতু আপনার এই জুলুম ও িনযাতেনর উপযু শাি পেত
সই িদেনর অেপ ায় থা ন, যিদন আপনার সকল মতা ও অহংকার চূণ-
িবচূণ হেয় যােব তখন িতিট জািলম িচৎকার কের বলেত থাকেব (তরজমা) হ
আমােদর পালনকতা, আমােদরেক (এই য ণাদায়ক শাি থেক) বর ক ন,
আমরা সৎ কাজ করব, পূেব যা করতাম তা আর করব না। (আ াহ তাআলা
বলেবন) আিম িক তামােদরেক এতটু বয়স দইিন, যােত যা িচ া করার
িবষয় (তা িনেয়) িচ া করেত পারেত? উপর তামােদর কােছ সতককারী
এেসিছল। অতএব (শাি ) আ াদন কর। (আজ) জািলমেদর জ কােনা
সাহায কারী নই। (সূরা ফািতর : ৩৭)

তলাবােয় করােমর উে েশ: তহারাত ও নাযাফাত : উদাসীনতার মূল


কারণ িক ব তা, না অ িকছু
মাওলানা মুহ া াদ আ ুল মােলক

ইসলােম যােহরী- বােতনী তহারাত এবং শরীর, লবাস, িকতাবপ এবং ঘর ও তার
চারপাশেক পির ার- পির রাখা ঈমােনর পর থম েরর পালনীয় কাজ। হাদীস শরীেফ
তহারাতেক ঈমােনর অংশ বলা হেয়েছ। এই ে র কারেণ রআন াহ ও িফকেহ
ইসলামীেত তহারাত ও নাযাফােতর আহকাম িব ািরতভােব বলা হেয়েছ। রআন মজীেদ
আ াহ তাআলা ইরশাদ কেরন, ( তরজমা) ‘িন য় আ াহ তাআলা সই সকল লাকেদর
ভালবােসন যারা তার িদেক বিশ জু কের, এবং ভালবােসন তােদরেক যারা বিশ পাক-
পিব থােক।’ ( সূরা বাকারা : ২২২)
মুসিজেদ বার মুস ীেদর শংসায় আ াহ তাআলা বেলন, ( তরজমা) ‘ সখােন িকছু
লাক আেছ যারা উ ম েপ পিব তা অজন করেত ভালবােস। আর আ াহ তাআলা
উ ম েপ পিব তা অজনকারীেদর ভালবােসন। (সূরা তাওবা : ১০৮)
হাদীেস আেছ, ‘িন য়ই আ াহ তাআলা পিব এবং পিব তােক পছ কেরন, পির
এবং পির তােক পছ কেরন। দয়ালু, দয়া করােক পছ কেরন, দানশীল, দানেক
পছ কেরন। তরাং তামরা তামােদর গৃেহর আি না পির ার কর এবং ই িদেদর সাদৃ
হণ কেরা না।’
হযরত সাহল রা. থেক বিণত, নবী করীম সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম এক সফর থেক
ফরার পেথ সাথীেদরেক বলেলন, তামরা তামােদর ভাইেদর িনকট যা । অতএব উ ম
পাষাক পিরধান কর এবং তামােদর হাওদা (সামানপ ) িছেয় নাও। যন তামােদরেক
মা েষর মােঝ িতলেকর ায় ( র) মেন হয়। আ াহ তাআলা ম ও অ ীলতােক পছ
কেরন না। ( নােন আবু দাউদ, হাদীস : ৪০৮৬; মুসনােদ আহমদ হাদীস :
১৮০৪; মুসতাদররােক হােকম ৪/১৮৩
উে িখত হাদীেস িচ া করার মেতা কেয়কিট িবষয় রেয়েছ। এক. সাধারণত সফর থেক
িফের আসার সময় পির ার- পির তার িদেক দওয়া হয় না; মেন করা হয়
য, ঘের িগেয় গাসল করব এবং কাপড় পা াব। অথচ হাদীেস ঘের ফরার আেগই উ ম
পাষাক পিরধান করেত বলা হেয়েছ। তরাং অ অব ায় তা কমন পূণ হেব তা
সহেজই অ েময়।
ই. মা ষ যখন িনেজেদর মােঝ থােক তখন পির ার- পির তার িদেক তমন দয়
না। মেন কের য, এখােন তা লৗিককতার েয়াজন নই। হাদীেস এই িচ ােকও
সংেশাধন করা হেয়েছ। িনেজেদর মােঝ থাকা অব ায় বা সফর ইত ািদ থেক িনজ পিরবাের
ফরার সময়ও পির ার- পির তার িদেক দওয়া উিচত।
িতন. ‫رﺣﺎﻟﻜﻢ وأﺻﻠﺤﻮا‬
তামরা তামােদর সামানাপ িছেয় নাও- এই কথা ারা ইশারা করা হে য, িনেজর
সামানা এবং চারপােশর পিরেবশেকও পির ার- পির ও পিরপািট কের রাখা উিচত। ধু
শরীর ও কাপড়েচাপড় পির ার রাখাই যেথ নয়। তালাবােয় করাম এখান থেক এই
হদােয়ত িনেত পােরন য, দরসগােহর িকতাবপ ও দা ল ইকামার কাপড়- চাপড় এবং
অ া িজিনস িছেয় রাখা উিচত, মসিজদ বা দরসগােহর দরজায় য জুতা িল থােক তা
রভােব সািজেয় রাখা চাই।
চার. এ আেদেশর একিট হকমত এই য, পির ার- পির ও পিরপািট থাকা যমন
ব ি র ীনদারী ও ীনী ার পিরচায়ক তমিন অ েদর জ ও ি দায়ক।
অপির িজিনসপ এবং অেগাছােলা বস' নজের পড়েল িচশীল লাকেদর ক হয়।
এিটই হাদীস শরীেফর বানী- যােত তামােদরেক মা েষর মােঝ িতলেকর ায় র মেন
হয়- এর পূণ ফােয়দা।
সারকথা এই য, নবী করীম সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম- এর িশ া ও িনেদশনার
কারেণ সাহাবােয় করােমর িনকট পিব তা ও পির তার অসাধারণ িছল। মুস া াফ
ইবেন আবী শায়বায় বিণত আেছ য, আব াহ ইবেন মাসউদ রা. তারা ঘরেদার পির ার
রাখার িবষেয় এত িদেতন য, একিট খড় টাও খুঁেজ পাওয়া যেতা না। িযিন
ঘেরর পির ার- পির তার িবষেয় এত য বান িতিন িনেজর শরীর ও কাপড়েচাপেড়র
িবষেয় কত য বান হেবন তা তা খুব সহেজই বাঝা যায়।
আজকাল ব াপকভােব এই বণতা দখা যাে য, পাষাক মা েষর চােখ বিশ পড়ার
কারেণ তার পির ার- পির তার িদেক িকছু হেলও ল রাখা হয়। িক শরীেরর
পির তার িদেক ল রােখ না। অথচ পির তার মূল হকমত হল তা আ াহ তাআলার
কােছ ি য় এবং ফেরশতােদর কােছও পছ নীয়। আর তা িফতরাত ও ভােবর
চািহদা। এসব হকমেতর দািব হল িনেজেক সব সময় পির ার- পির রাখা।
শারীিরক পির তার সােথ সংি িবষয় িল একিদেক যমন মা েষর ভাবগত চািহদা
অ িদেক তা সকল নবী রাসূেলর েতর অ ভু । এ িবষেয় িট হাদীস তা সকল তােলেব
ইলেমরই জানা রেয়েছ।
১. হযরত আবু রায়রা রা, থেক বিণত, রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম
বেলেছন, পাঁচিট িবষয় িফতরােতর ( ভােবর) অ ভু : ৗরকায স াদন
করা, খতনা করা, মাচ খােটা করা, বগেলর চুল উপেড় ফলা ও নখ কাটা। (সহীহ
বুখারী হাদীস : ৫৮৯১; সহীহ মুসিলম হাদীস : ২৫৭; জােম িতরিমযী হাদীস : ২৭৫৬
২. হযরত আব াহ ইবেন যুবায়র রা. থেক বিণত, নবীকরীম সা া া আলাইিহ
ওয়াসা াম বেলেছন, ‘দশিট িবষয় িফতরেতর অ ভু : মাচ খােটা করা, দাঁিড় ল া
করা, মসওয়াক করা, নােক পািন দওয়া, নখ কাটা, আঙুেলর ভাঁজসমূহ ধৗত
করা, বগেলর পশম উপড়ােনা, নািভর নীেচর ান চেছ পির ার করা, ইি ায় পািন
ব বহার করা।
এই হাদীেসর একজন রাবী মুসয়াব রাহ. বেলন, দশম িবষয়িট আিম ভুেল গিছ। তেব
তা ‘ িল করা’ হেত পাের। (সহীহ মুসিলম, হাদীস : ২৬১; জােম িতরিমযী, হাদীস :
২৭৫৭; নােন আবু দাউদ, হাদীস : ৫৩; নােন ইবেন মাজাহ, হাদীস : ২৯৩
িফতরাত সং া ত ও আহকাম আেরা অেনক বিশ। কােনা হাদীেসই উে িখত
িবষয় েলার মােঝ সীমাব করা উে নয়।
এটাই ‘িমেন তাবয়ীিযয় াহ’র অথ। ই হাদীেস মাট এগােরািট িবষয় উে খ করা
হেয়েছ, যার সব েলাই তাহারাত ও নাযাফাত সং া ।
এখােন আিম ধু িতনিট িবষয় িনেয় িকছু কথা আরজ করেত চাই। তা হে মসওয়াক
করা, নখ কাটা ও মাচ খােটা করা।
মসওয়াক করা
ইসলােম মসওয়ােকর আহাি য়াত, ফিযলত ও যােহরী- বােতনী ফােয়দা স েক তািলেব
ইলম ভাইরা িনঃসে েহ অবগত। িক এখন সবদা অযুর হালেত থাকা ও নতুন অযুর
েতর উপর আমল কেম যাওয়ায় এবং ােশর ব াপক ব বহােরর কারেণ মসওয়ােকর
আমল কেম গেছ, উপর ােশর ব বহারও দিনক ধু ’ এক সময় করা হয়। যমন
রােত বা িদেন ঘুম থেক উঠার পর। অথচ েত ক অযুর সময় মসওয়াক করা েত
মুয়া াদা। অযু ছাড়াও অ অেনক সময় মসওয়াক করা মু াহাব। যমন নামােযর
আেগ, ঘের িগেয়, ঘর থেক বর হওয়ার আেগ, ঘুমােনার আেগ, ঘুম থেক
উেঠ। আ াহর সন' ি অজেনর জ বারবার মসওয়াক করা উিচত। কােনা অযু
মসওয়াক থেক খািল না থাকা চাই। এরপরও স' তা ও পির তার জ দিনক
কমপে পাঁচ বার িনয়িমত মসওয়াক করা চাই। কউ যিদ াশ করেত চায় তাহেল ঘুমােনার
আেগ, ঘুম থেক উেঠ বা ভাির খাবােরর পর করেত পাের। অ সময় মসওয়াক করেব।
াশ িদেয় মসওয়ােকর মূল ত হয়েতাবা আদায় হেব িক মসওয়ােকর ফােয়দা ও
নূরািনয়াত ারা কীভােব পাওয়া যােব? আর অিধকাংশ াশ ও প িবধমীেদর তির।
িবেশষ কের ই িদেদর। অথচ তােদর উৎপািদত পণ বজন করাই ঈমানী ও আখলািক
গায়রেতর তাকাযা।
জেন রাখা উিচত য, দাঁত আ াহ তাআলার নয়ামত, স' তা আেরা বড়
নয়ামত, মুেখর সৗ যও আ াহর একিট নয়ামত। তাই মসওয়াক না করা ও মুখ
পির ার না রাখার অথ হেব এই িতন নয়ামেতর ব- কদরী করা। সফর- হযর সবহালেত
জুর সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম য িজিনিস েলা সােথ রাখেতন তার মেধ তপূণ হল
মসওয়াক। এই কারেণ েত ক তািলেব ইলেমর সােথ মসওয়াক থাকা চাই। যােত এই
ত কখেনা না ছােট। াশ ও টুথেপ িক সবদা সােথ রাখা যায়? যায় না। অতএব ােশ
অভ ব ি র এই ত অব ই ফওৎ হেব। আ াহ মাফ ক ন।
কােনা কােনা তােলেব ইলম তা পােনও অভ । িশ ক হওয়ার পর এই অভ াস আেরা
মজবুত হেয় যায়। অেনেক নতুন কের অভ াস কের। তােদর অেনেকর ধারণা হল, পান
খেত হেল ঠাঁট, দাঁত ও িজ ার প িবকৃত কেরই খেত হেব। তাই তারা আ াহর এই িতন
নয়ামেতর উপর এত বিশ জুলুম কের য, অব া দেখ ‘তাগয়ীের খালিক া ’র কথা
মেন পেড় যায়। পানই িক একমা িজিনস, যারা ারা আমরা আকািবেরর তেক
িয া করেত চাই। এটা িঠক য, িকছু আকািবর পােন অভ িছেলন, িক তারা দাঁত ও
মুখ কীভােব পির ার রাখেতন তাও তা মেন রাখা উিচত।
এ িবষেয় য ব ুরা আকািবেরর হাওলা িদেয় থােকন তােদরেক হযরত মাওলানা তাকী
উসমানী দামাত বারাকাতু ম- এর ‘ েশ রাফেতগাঁ’ থেক হযরত মাওলানা মুফতী
মাহমুদ রাহ.- এর স েক িলিখত িনব িট পড়ার অ েরাধ করব। তাহেল জানেত পারেবন
য, পােন অভ আকািবর পান খাওয়ােক কান দৃি েত দখেতন। যাই হাক, এটা তা
একটা াসি ক কথা। মুল আেলাচনা িছল মসওয়াক স েক। যারা পােন অভ তারা যন
বিশ বিশ ও ভােলাভােব মসওয়াক বা াশ কের মুখ ও িজ া পির ার রােখন।
আমােদর জানা আেছ য, মৃতু শয ায়ও নবী করীম সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম
মসওয়াক ছােড়নিন। তরাং তাঁর আেখির আমল মসওয়াকই িছল। (মুসনােদ আহমদ
৬/৪৮, হাদীস : ২৪২১৬; সহীহ বুখারী, হাদীস : ৪৪৪৯ ইত ািদ ে আেয়শা রা.
থেক বিণত আেছ, রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম আমার গৃেহ অব ােনর িদন
আমার কােছ আমার বুেক (মাথা রেখ) ইি কাল কেরন। ঐ সমেয়র ঘটনা, আব র
রহমান ইবেন আবু বকর সখােন এল। তার কােছ িছল একিট তাজা মসওয়াক। জুর
সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম মসওয়াকিটর িদেক তাকােলন। আমার মেন হল, এটা তাঁর
েয়াজন, তখন আিম তা িনলাম এবং িচিবেয় নরম কের তােক িদলাম। িতিন এত র
কের মসওয়াক করেলন য, এর চেয় র মসওয়াক করেত কখেনা তাঁেক দিখিন।
এরপর িতিন তা আমােক িদেত চাইেলন। িক িদেত পারেলন না। তাঁর হাত থেক পেড়
গল ... এবং িতিন আসমােনর িদেক তািকেয় বলেলন ‘আররাফীকাল
আ’লা’।‘আররাফীকাল আ’লা।’ অথাৎ িতিন রাফীকাল আ’লার ডােক সাড়া িদেলন।
সম শংসা ঐ আ াহর িযিন আমার ও তার লালা মাবারকেক পৃিথবীর শষ িদেন ও
আেখরােতর থম িদেন এক কেরেছন। আহা! আমরা যিদ এই আমলিটর কদর
করতাম, যা রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম রফীেক আ’লার সােথ িমিলত হওয়ার
সময় িনেজর জ পছ কেরেছন এবং ছাকারাতুল মাওেতর সময়ও তার িদেয়েছন।
( আগামী সংখ ায় সমাপ )
অনুবাদ : মুহা াদ হাবীবুর রহমান
( পূব কািশেতর পর)
নখ কাটা
হাত পােয়র নখ কাটাও না ল িফতরােতর অ ভু । তািলেব ইলমেদর মেধ এই েতর
িবষেয়ও অবেহলা দখা যায়। অথচ তা েত মুয়া াদাহ এবং কােনা কােনা সময় েত
ওয়ািজবার পযােয় চেল যায়। বড় নখ দখেত িব ী। যারা দেখন তােদর ক হয়। আর তার
মােঝ এত বিশ ময়লা জেম থােক য, পির ার করার পরও পুেরাপুির দূর হয় না এবং
খাওয়া- দাওয়ার সময় অপিরহাযভােব পাক িলেত তা চেল যায়। তাছাড়া বড় নখ তা িহং
াণীর বিশ । মা েষর নখ কন বড় থাকেব? যিদ মা ষ এটু িচ াও কের য, আিম
নামােয আ াহর সামেন দাঁড়াি । আ াহর আেদেশ পাশােকর যীনত হণ
কেরিছ, িক হাত পােয়র নখ যিদ বড় থােক তাহেল তা কত িব ী দৃে র অবতারণা
করেব। আিম মুনাজােত আ াহর সামেন হাত ওঠাি , িক নেখর অব া এমন য, তা না
আ াহর পছ , না আ াহর ফেরশতােদর, না রাসূেল কারীম সা া া আলাইিহ
ওয়াসা াম- এর, না কােনা িচশীল মা েষর।
এ সে মুসনােদ আহমােদর একিট রওয়ােয়েত আেছ, আবু ওয়ািসল বেলন, আিম আবু
আইয়ূব রা.- এর সােথ সা াত করেত গলাম। মাসাফাহার সময় িতিন আমার নখ বড় দেখ
বলেলন, নবী সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম ইরশাদ কেরেছন, তামােদর কউ কউ
আসমােনর খবর িজ াসা কর, অথচ তার হােতর নখ েলা পািখর নেখর মেতা, যােত
জেম থােক ময়লা- আবজনা! (মুসনােদ আহমদ; আলমুজামুল কাবীর, তবারানী)
কউ কউ তা মাশাআ াহ েত ক বার িনয়িমত নখ কােট। তেব ধু জুমার িদন নখ
কাটেত হেব শরীয়ত তা িনধারণ কের দয়িন। কােরার নখ তাড়াতািড় বড় হেত পাের এবং
তােক স ােহ ’ বারও কাটেত হেত পাের। মুসা াফ ইবেন আবী শায়বায় একিট ঘটনা
আেছ য, জৈনক বুযুগ বৃহ িতবার নখ কাটিছেলন। কউ তােক বলল, আগামীকাল
জুমার িদন। সিদন কাটেলই পারেতন। িতিন বলেলন, নক কােজ দির করা উিচত নয়।
কােরা মেন হেত পাের য, কােনা কােনা হাদীেস তা চি শ িদেনর কথা বলা আেছ। অথচ
ঐ হাদীেসই বলা হেয়েছ য, চি শ িদন যন অিত ম না কের। উে হল, য
ব ি িফতরােতর চািহদা অ যায়ী আমল কের না এবং নখ ও মাচ এমনভােব বড় করেত
থােক, যন স জংলী হেত চেলেছ সে ে শরীয়েতর আইনী িবধান হল, চি শ িদন
অিত ম করেত পারেব না।

মাচ কাটা
মাচ থােক মা েষর মুখম েল, যা শরীেরর সবেচেয় দৃ মান অংশ এবং যা পির ার-
পির রাখা সবািধক েয়াজনীয়। হাদীেস ‘কাস’ ( ছাট করা) ও ‘ইহফা’ ( গাড়া
থেক ছাঁটা) ’ টার কথাই আেছ। সকল দলীল িবেবচনা করেল তীয়মান হয় য, থমিট
হল েতর সবিন পযায় আর ি তীয়িটর ারা মাকা াল ত আদায় হয়। সাধারণত
তােলেব ইলম ভাইরা থমিটেকই অ ািধকার িদেয় থােকন, িক এত অ ছােটন
য, ধু ঠােটর লাল রখািট বর হয়। আর এটাও হয় দীঘ িবরিতর পর। অথচ ি তীয়
প িত বা ‘ইহফা’ কই অ ািধকার দওয়া উিচত। আর‘কাস’- এর প িত অ সরণ করেল
অ ত ল রাখা উিচত যন সারা মাচ ছাট করা হয়, মােঝর িবরিতও দীঘ না হয়। ত প
কীভােব মাচ ছাট করেল তা অিধক মানানসই হয় এটাও ল রাখা উিচত। এে ে ধু
িনেজর িচমািফক ফয়সালা না কের ীনদার িচশীল মা েষর ম ব শানা
উিচত। িচশীল মা েষর মােঝ চিলত যওক ও িচর বাইের িনেজর জ কােনা একিট
প িনধািরত কের এমন মেন করা য, আমােক খুব র দখাে - এটা িঠক নয়।
সবেশষ িনেবদন এই য, পির ার- পির তার িবষেয় ব তার অজুহাত হণেযাগ নয়।
কারণ পির ার- পির তা ঐসব কােজর অ ভু , য েলার িবষেয় হাজােরা ব তার
মােঝও অবেহলা করা যায় না। সকল িবষেয় ব তার অজুহাত চেল না। আর অিধকাংশ
সময়ই মূল কারণ থােক উদাসীনতা ও ভােবর অপির তা। ব তার কথািট একিট
অজুহাতমা । এরপরও কৃতপে ই যিদ কউ খুব বিশ ব থােকন তাহেল ঘেরর লাকজন
ও আশপােশর সাথীরা তােক রণ কিরেয় িদেত পাের। এটাও তাকওয়া ও নক আমেল
পর র সহেযািগতার রআনী েমর মেধ শািমল।
ছাট বা ােদর িবষেয় অিভভাবকরা দািয় শীল। মােয়েদর দখা যায়, তারা বা ােদর
খাওয়া- দাওয়া ও পাশাক- পির েদর িবষেয় সেচতন থাকেলও তােদর
অযু, গাসল, মসওয়াক ও নাযাফােতর িদেক ল রােখন না। এটা িঠক নয়। পিব তা
ও পির তার িবষয়িট তরিবয়েতর পূণ অংশ। এ িবষেয় অমেনােযািগতা খুবই
িতকর।
আ াহ তাআলা আমােক, আমার ব ুেদরেক ও সকল মুসলমানেক ইসলামী আদব েলা
মেন ােণ হণ করার তাওফীক দান ক ন আমীন। ষ
অ বাদ : মুহা াদ হাবীবুর রহমান

িবতর নামায আদােয়র প িতঃ একিট ে র উ র


মাওলানা মুহ া াদ আ ল
ু মােলক
িবসিম ািহর রাহমািনর রাহীম
ইবেন আ ার ধানমি , ঢাকা : আরামবাগ এলাকার এক মসিজেদর
খতীবেক অেনকবার এ কথা বলেত েনিছ য, িবতর নামােযর একািধক প িত
হাদীেসর িকতােব রেয়েছ, তেব হানাফীরা যভােব িবতর পেড়, অথাৎ ই
বঠক ও এক সালােম িতন রাকাত- এই প িত হাদীস শরীেফ নই। তার ব ব
হল, িবতর যিদ িতন রাকাতই পড়েত হয় তাহেল ি তীয় রাকােত বসা যােব না।
অ থায় তা মাগিরেবর নামােযর সাদৃ হেয় যােব। আর হাদীস শরীেফ িবতরেক
মাগিরেবর সাদৃ বানােত িনেষধ করা হেয়েছ। আমার হে , ই বঠক ও
এক সালােম িক িবতর পড়া হাদীস ারা মািণত নয়? যিদ না থােক তাহেল
আমরা কান িভি েত এভােব িবতর নামায আদায় করিছ?
উ র : আলহাম িল াহ, ওয়া সালামুন আলা ইবািদিহ া লািযনাস তাফা,
আ া বাদ! রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম সাধারণত তাহা ুেদর পর
িবতর নামায পড়েতন। এিট িছল নবীজীর সাধারণ অভ াস। বয়স ও পািরপাি ক
িবিভ অব ার কারেণ তাহা ুেদর রাকাতসংখ া কম- বিশ হত। িক িবতর
সবদা িতন রাকাতই পড়েতন। এক রাকাত িবতর পড়া নবীজী থেক মািণত
নয়। য সব রওয়ায়ােত পাঁচ, সাত বা নয় রাকােতর কথা এেসেছ, তােতও
িবতর িতন রাকাতই। বণনাকারী আেগ- পেরর রাকাত িমিলেয় সমি েক ‘িবতর’
শে ব কেরেছন। হাদীেসর রওয়ায়াতসমূেহ ব াপকভােব িবতর ও
তাহা ুেদর সমি েক ‘িবতর’ বলা হেয়েছ। এিট একিট উপ াপনাগত িবষয়।
নবীজী িবতর িতন রাকাত পড়েতন। এিটই তাঁর অ সৃত প া। িনে র হাদীসসমূহ
থেক িবষয়িট মািণত।
আবু সালামা ইবেন আ ুর রহমান থেক বিণত, িতিন হযরত আেয়শা রা. ক
িজ াসা কেরন য, রমযােন নবীজীর নামায কমন হত? িতিন উ ের বেলন,
রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম রমযােন এবং রমযােনর বাইের এগার
রাকােতর বিশ পড়েতন না। থেম চার রাকাত পড়েতন, যার সৗ য ও
দীঘতা স েক িজ াসা কেরা না! এরপর আরও চার রাকাত পড়েতন, যার
সৗ য ও দীঘতা তা বলাই বা ল ! এরপর িতন রাকাত (িবতর) পড়েতন।-
সহীহ বুখারী ১/১৫৪, হাদীস ১১৪৭; সহীহ মুসিলম ১/২৫৪, হাদীস ৭৩৮;
নােন নাসায়ী ১/২৪৮, হাদীস ১৬৯৭; নােন আবু দাউদ ১/১৮৯, হাদীস
১৩৩৫; মুসনােদ আহমদ ৬/৩৬, হাদীস ২৪০৭৩
সা‘দ ইবেন িহশাম রাহ. বেলন, হযরত আেয়শা রা. তােক বেলেছন,
রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম িবতেরর ই রাকােত সালাম ফরােতন
না। - নােন নাসায়ী ১/২৪৮; হাদীস ১৬৯৮; মুয়া া মুহা াদ ১৫১ (বাবুস
সালাম িফল িবতর) মুসা ােফ ইবেন আবী শাইবা ৪/৪৯৪, হাদীস ৬৯১২;
নােন দারা তনী ২/৩২, হাদীস ১৫৬৫; নােন বরা বাইহাকী ৩/৩১
এই হাদীসিট ইমাম হােকম আবু আ ু াহ রাহ.ও ‘মু াদরাক আলাস সহীহাইন’
িকতােব বণনা কেরেছন। তার আরবী পাঠ এই- ‫ﻛﺎن رﺳﻮل اﷲ ﺻﻠﻰ اﷲ ﻋﻠﯿﮫ وﺳﻠﻢ‬
‫ ﻻ ﯾﺴﻠﻢ ﻓﻲ اﻟﺮﻛﻌﺘﯿﻦ اﻷوﻟﯿﯿﻦ ﻣﻦ اﻟﻮﺗﺮ‬অথাৎ রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ
ওয়াসা াম িবতেরর থম ই রাকােত সালাম ফরােতন না। ইমাম হােকম (রহ.)
তা বণনা করার পর বেলন- ‫ ھﺬا ﺣﺪﯾﺚ ﺻﺤﯿﺢ ﻋﻠﻰ ﺷﺮط اﻟﺸﯿﺨﯿﻦ‬অথাৎ হাদীসিট
বুখারী ও মুসিলেমর শত মাতােবক সহীহ। ইমাম শাম ীন যাহাবী রাহ.
‘তালখী ল মু াদরাক’- এ হােকম রাহ.- এর িস া েক সমথন কেরেছন। -
মু াদরাক আলাস সহীহাইন ১/৩০৪, হাদীস ১১৮০
এই হাদীস ারা একিদেক যমন মািণত হয় য, রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ
ওয়াসা াম তাঁর সাধারণ িনয়েম িতন রাকাত িবতর আদায় করেতন তমিন
একথাও মািণত হয় য, িতন রাকােতর ি তীয় রাকােত তাশাহ েদর জ
বসেতন, িক সালাম ফরােতন না। সালাম ফরােতন সবেশেষ তৃতীয়
রাকােত। যিদ ি তীয় রাকােত বঠক করার িনয়ম না থাকত তাহেল সালাম করার
বা না করার স তই আসত না। কননা সালাম তা ফরােনা হেয় থােক।
ইমাম ইবেন হাযম যােহরী রাহ. ‘মুহা া’ িকতােব িবতেরর িবিভ প িতর মােঝ
আেলািচত প িতিটও উে খ কেরেছন। িতিন বেলন, িবতর িতন রাকাত পড়া
হেব। ি তীয় রাকােত বসেব এবং (তাশাহ দ পেড়) সালাম ফরােনা ছাড়াই
দাঁিড়েয় যােব। তৃতীয় রাকাত পেড় বসেব, তাশাহ দ পড়েব এবং সালাম
ফরােব, যভােব মাগিরেবর নামায পড়া হয়। এিটই ইমান আবু হানীফা রাহ.-
এর মত। এর দিলল হে , সাদ ইবেন িহশাম রাহ.- এর সূে বিণত হাদীস,
যােত উ ুল মুিমনীন হযরত আেয়শা রা. বেলেছন য, রাসূলু াহ সা া া
আলাইিহ ওয়াসা াম িবতেরর ই রাকােত সালাম ফরােতন না। - মুহা া ইবেন
হাযম ২/৮৯
সাদ ইবেন িহশাম রাহ.- এর রওয়ায়াতিট আরও একিট সনেদ বিণত হেয়েছ,
যার আরবী পাঠ িন প- ‫ﻛﺎن رﺳﻮل اﷲ ﺻﻠﻰ اﷲ ﻋﻠﯿﮫ وﺳﻠﻢ ﯾﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼث ﻻ ﯾﺴﻠﻢ إﻻ ﻓﻲ‬
‫ آﺧﺮھﻦ‬অথাৎ রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম িতন রাকাত িবতর
পড়েতন এবং ধু সবেশষ রাকােত সালাম ফরােতন। হােকম রাহ. এই
রওয়ায়ােতর পর লেখন, আমী ল মুিমনীন হযরত উমর ইব ল খা াব রা.ও
এভােব িবতর পড়েতন এবং তাঁর সূে মদীনাবাসীগণ তা হণ কেরেছন। -
মু াদরাক আলাস সহীহাইন ১/৩০৪, হাদীস ১১৮১
( ৩) আ ু াহ ইবেন আবী কাইস বেলন- ‫ ﺑﻜﻢ ﻛﺎن رﺳﻮل اﷲ ﺻﻠﻰ اﷲ‬: ‫ﻗﻠﺖ ﻟﻌﺎﺋﺸﺔ‬
‫ وﻋﺸﺮ‬,‫ وﺛﻤﺎن وﺛﻼث‬,‫ وﺳﺖ وﺛﻼث‬,‫ ﻛﺎن ﯾﻮﺗﺮ ﺑﺄرﺑﻊ وﺛﻼث‬:‫ﻋﻠﯿﮫ وﺳﻠﻢ ﯾﻮﺗﺮ؟ ﻗﺎﻟﺖ‬
‫ وﻻ ﺑﺄﻛﺜﺮ ﻣﻦ ﺛﻼث ﻋﺸﺮة‬,‫ وﻟﻢ ﯾﻜﻦ ﯾﻮﺗﺮ ﺑﺄﻧﻘﺺ ﻣﻦ ﺳﺒﻊ‬,‫وﺛﻼث‬. অথাৎ আিম হযরত
আেয়শা রা.- এর কােছ িজ াসা করলাম য, নবীজী িবতের কত রাকাত
পড়েতন? উ ের িতিন বেলন, চার এবং িতন, ছয় এবং িতন, আট এবং
িতন, দশ এবং িতন। িতিন িবতের সাত রাকােতর কম এবং তর রাকােতর
অিধক পড়েতন না। - নােন আবু দাউদ ১/১৯৩, হাদীস ১৩৫৭ (১৩৬২);
তহাবী শরীফ ১/১৩৯; মুসনােদ আহমদ ৬/১৪৯, হাদীস ২৫১৫৯
িচ া কের দখুন, রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম তাহা ুদ নামায
কখেনা চার রাকাত, কখেনা ছয় রাকাত, কখেনা আট রাকাত, কখেনা দশ
রাকাত পড়েতন; িক মূল িবতর সবদা িতন রাকাতই হত।
ইমাম ইবেন হাজার আসকালানী রাহ. ফাত ল বারী ৩/২৬ ,‫ﺑﺎب ﻛﯿﻒ ﺻﻼة اﻟﻠﯿﻞ‬
‫)ﻛﺘﺎب اﻟﺘﮭﺠﺪ‬- এ লেখন- ‫ وﺑﮫ ﯾﺠﻤﻊ ﺑﯿﻦ ﻣﺎ اﺧﺘﻠﻒ ﻋﻦ‬,‫ھﺬا أﺻﺢ ﻣﺎ وﻗﻔﺖ ﻋﻠﯿﮫ ﻣﻦ ذﻟﻚ‬
‫ واﷲ أﻋﻠﻢ‬.‫ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﻓﻲ ذﻟﻚ‬আমার জানামেত এিট সংি িবষেয় সবািধক সহীহ
রওয়ায়াত। এ িবষেয় হযরত আেয়শা রা. বিণত হাদীেসর বণনাকারীেদর মােঝ
য িবিভ তা পিরলি ত হয় এর ারা স সেবর মােঝ সম য় করা স ব।
( ৪) রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা ােমর তাহা ুদ ও িবতর ত
করার জ হযরত আ ু াহ ইবেন আ াস রা. এক রােত তাঁর খালা উ ল ু
মুিমনীন হযরত মাইমূনা রা.- এর ঘের অব ান কেরন। িতিন যা যা ত
কেরেছন বণনা কেরেছন। তাঁর শাগেরদরা স িববরণ িবিভ শে বণনা
কেরেছন। আিম এখােন নােন নাসায়ী ও অ া হাদীেসর িকতাব থেক একিট
রওয়ায়াত উ ৃত করিছ- ‘মুহা াদ ইবেন আলী তার িপতা থেক, িতিন তার
িপতা আ ু াহ ইবেন আ াস রা. থেক বণনা কেরন য, রাসূলু াহ সা া া
আলাইিহ ওয়াসা াম রােত শযা্য থেক উঠেলন, এরপর মসওয়াক করেলন,
এরপর ই রাকাত পড়েলন, এরপর েয় গেলন। তারপর পুনরায় শয া ত াগ
করেলন, মসওয়াক করেলন, অযু করেলন এবং ই রাকাত পড়েলন;
এভােব ছয় রাকাত পূণ করেলন। এরপর িতন রাকাত িবতর পড়েলন। এরপর ই
রাকাত পেড়ন। ‫ ﺣﺘﻰ ﺻﻠﻰ ﺳﺘﺎ ﺛﻢ أوﺗﺮ ﺑﺜﻼث وﺻﻠﻰ رﻛﻌﺘﯿﻦ‬- নােন নাসায়ী
১/২৪৯, হাদীস ১৭০৪; মুসনােদ আহমাদ ১/৩৫০, হাদীস ৩২৭১; তহাবী
শরীফ ১/২০১- ২০২
( ৫) িস তােবয়ী ইমাম সাঈদ ইবেন জুবাইর, িযিন ইবেন আ াস রা.- এর
িবিশ শাগেরদ, িতিন আ ু াহ ইবেন আ াস রা. থেক বণনা কেরন- ‫ﻛﺎن‬
‫ وﻓﻲ‬,‫رﺳﻮل اﷲ ﺻﻠﻰ اﷲ ﻋﻠﯿﮫ وﺳﻠﻢ ﯾﻮﺗﺮ ﺑﺜﻼث وﯾﻘﺮأ ﻓﻲ اﻷوﻟﻰ ﺳﺒﺢ اﺳﻢ رﺑﻚ اﻷﻋﻠﻰ‬
‫ وﻓﻲ اﻟﺜﺎﻟﺜﺔ ﻗﻞ ھﻮ اﷲ أﺣﺪ‬,‫اﻟﺜﺎﻧﯿﺔ ﻗﻞ ﯾﺎ أﯾﮭﺎ اﻟﻜﻔﺮون‬. রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ
ওয়াসা াম িতন রাকাত িবতর পড়েতন, থম রাকােত ‘সাি িহসমা রাি কাল
আলা’, ি তীয় রাকােত ‘ ল ইয়া আয়ু হাল কািফ ন’ এবং তৃতীয় রাকােত
‘ ল য়া া আহাদ’ পড়েতন। - নােন দােরমী ১/৩১১, হাদীস ১৫৯৭;
জােম িতরিমযী ১/৬১, হাদীস ৪৬২; নােন নাসায়ী ১/২৪৯; হাদীস ১৭০২;
তহাবী শরীফ ১/২০১, মুসা ােফ ইবেন আবী শাইবা ৪/৫১২, হাদীস ৬৯৫১
ইমাম নববী রাহ. ‘আলখুলাসা’ িকতােব উ হাদীেসর সনদেক সহীহ বেলেছন।
- নাসবুর রায়াহ, জামালু ীন যাইলায়ী ২/১১৯ িবতেরর িতন রাকােত উপেরা
িতন সূরা, এক এক রাকােত এক এক সূরা, পড়া স েক একািধক সাহাবী
থেক রওয়ায়াত িবদ মান রেয়েছ। িতিট রওয়ায়াত মাণ কের য, িবতেরর
নামায িতন রাকাত। মাটকথা, িবতেরর নামায িতন রাকাত হওয়ার িবষেয়
হাদীস ও াহর ব মাণা রেয়েছ এবং অিধকাংশ সাহাবী ও তােবয়ীর আমলও
তাই িছল। এখােন আেরকিট হাদীস উে খ করিছ- ‫ ﯾﺎ أﺑﺎ‬:‫ ﻗﺎل أﻧﺲ‬:‫ﻋﻦ ﺛﺎﺑﺖ ﻗﺎل‬
‫ وأﺧﺬ رﺳﻮل اﷲ ﺻﻠﻰ اﷲ‬,‫ﻣﺤﻤﺪ ﺧﺬ ﻋﻨﻲ ﻓﺈﻧﻲ أﺧﺬت ﻋﻦ رﺳﻮل اﷲ ﺻﻠﻰ اﷲ ﻋﻠﯿﮫ وﺳﻠﻢ‬
‫ ﺛﻢ ﺻﻠﻰ ﺳﺐ‬,‫ ﺛﻢ ﺻﻠﻰ ﺑﻲ اﻟﻌﺸﺎء‬:‫ ﻗﺎل‬,‫ وﻟﻦ ﺗﺄﺧﺬ ﻋﻦ أﺣﺪ أوﺛﻖ ﻣﻨﻲ‬,‫ﻋﻠﯿﮫ وﺳﻠﻢ ﻋﻦ اﷲ‬
‫ ورﺟﺎﻟﮫ‬,‫ ﺛﻢ أوﺗﺮ ﺑﺜﻼث ﯾﺴﻠﻢ ﻓﻲ آﺧﺮھﻦ )اﻟﺮوﯾﺎﻧﻲ واﺑﻦ ﻋﺴﺎﻛﺮ‬,‫رﻛﻌﺎت ﯾﺴﻠﻢ ﺑﯿﻦ اﻟﺮﻛﻌﺘﯿﻦ‬
‫ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ ﻛﻨﺰ اﻟﻌﻤﺎل‬,‫ )ﺛﻘﺎت‬িস তােবয়ী সােবত বুনানী রাহ., বেলন, আমােক
হযরত আনাস ইবেন মােলক রাহ. বেলেছন, হ আবু মুহা াদ! (সােবত রা.- এর
িনয়াত- উপনাম) আমার কাছ থেক িশেখ নাও। আিম রাসূলু াহ সা া া
আলাইিহ ওয়াসা াম থেক হণ কেরিছ। আর িতিন আ াহ রা ুল আলামীন
থেক িনেয়েছন। তুিম শখার জ আমার চেয় অিধক িনভরেযাগ কাউেক পােব
না। একথা বেল িতিন আমােক িনেয় ইশার নামায আদায় কেরন। এরপর ছয়
রাকাত পেড়ন, তা এভােব য, িত ই রাকােত সালাম ফরান। এরপর িতন
রাকাত িবতর পেড়ন এবং সবেশেষ সালাম ফরান। - মুসনােদ য়ানী, তারীেখ
ইবেন আসািকর; ইমাম য়ূতী রাহ. বেলন, এই হাদীেসর রাবীগণ িনভরেযাগ
(কানযুল উ াল ৮/৬৬- ৬৭, হাদীস ২১৯০২ ‘আলিবত িমন িকতািবস
সালাত, িকসমুল আফআল)
1 জ ির াতব
িবতর নামােযর ব াপাের আজকাল এক ব াপক অবেহলা এই পিরলি ত হে
য, এেক এমন এক নামায মেন করা হয় যার আেগ কান নফল নামায নই,
যমন মাগিরেবর নামায; এর আেগ নফল নামায মাসনূন নয়; অথচ িবতেরর
ব াপাের শরীয়েতর কাম এই য, তা িকছু নফল নামায পড়ার পর আদায় করা।
সবেচেয় ভাল এই য, যার শষ রােত তাহা ুেদর জ জাগার িন য়তা
রেয়েছ, স তাহা ুেদর পের িবতর পড়েব। যিদ িবতর রােতর ভােগ ইশার
পর পড়া হয় তবুও উ ম এই য, ই- চার রাকাত নফল নামায পড়ার পর
িবতর আদায় করেব। মাগিরেবর মত আেগ কান নফল ছাড়া ধু িতন রাকাত
িবতর পড়া পছ নীয় নয়। হাদীস শরীেফ আেছ- ‫ﻻ ﺗﻮﺗﺮوا ﺑﺜﻼث ﺗﺸﺒﮭﻮا ﺑﺼﻼة‬
‫ أو أﻛﺜﺮ ﻣﻦ ذﻟﻚ‬,‫ أو ﺑﺈﺣﺪى ﻋﺸﺮة رﻛﻌﺔ‬,‫ أو ﺑﺘﺴﻊ‬,‫ أو ﺑﺴﺒﻊ‬,‫ وﻟﻜﻦ أوﺗﺮوا ﺑﺨﻤﺲ‬,‫اﻟﻤﻐﺮب‬.
তামরা ধু িতন রাকাত িবতর পেড়া না, এেত মাগিরেবর সাদৃ পূণ কের
ফলেব; বরং পাঁচ, সাত, নয়, এগার বা এরও অিধক রাকােত িবতর
পেড়া। - মু াদরােক হােকম ১/৩০৪, হাদীস ১১৭৮; নােন বরা বাইহাকী
৩/৩১, ৩২
মাটকথা, িবতেরর আেগ িকছু নফল অব ই পড়- ই, চার, ছয়, আট-
যত রাকাত স ব হয় পেড় নাও। ৩ নং- এর অধীেন উ ুল মুিমনীন হযরত
আেয়শা রা.- এর হাদীস উি িখত হেয়েছ, যােত িতিন বেলেছন, রাসূলু াহ
সা া া আলাইিহ ওয়াসা াম চার এবং িতন, ছয় এবং িতন, আট এবং িতন,
দশ এবং িতন- িবিভ সংখ ায় রােতর নামায আদায় করেতন। উি িখত হাদীেস
ওই িনেদশনাই এেসেছ য, ধু িতন রাকাত িবতর পেড়া না, আেগ িকছু নফল
অব ই পড়। তেব িবতর সবাব ায় িতন রাকাতই।
উ হাদীেসর সােথ একথার কান স ক নই য, িতন রাকাত এক বঠেকই
পড়েত হেব, তাহেলই ধু তা মাগিরেবর সাদৃ থেক বঁেচ যােব। তাই িতন
রাকাত পড়েত হেল তা এক বঠেকই পড়েত হেব। রণ রাখেত হেব,
মাগিরেবর সাদৃ থেক বাঁচার প িত হাদীেস ভােব বেল দওয়া হেয়েছ
য, িতন রাকাত িবতেরর আেগ নফল পেড় নাও। হাদীেসর ব াখ া ছেড় িনেজর
প থেক িবতেরর নতুন প িত আিব ার করা িব ািন- ছাড়া আর িকছুই নয়।
শরীয়েত সকল নামােযর মূলকথা এই য, িত ই রাকােত বঠক হেব এবং
তাশাহ দ পড়া হেব। হযরত আেয়শা (রা.) থেক সহীহ মুসিলম ১/১৯৪, হাদীস
৪৯৮- এ একিট দীঘ হাদীেস রাসূলু াহ সা া া আলাইিহ ওয়াসা ােমর এক
ব াপক বাণী উ ৃত রেয়েছ। তােত িতিন ইরশাদ কেরন- ‫وﻓﻲ ﻛﻞ رﻛﻌﺘﯿﻦ اﻟﺘﺤﯿﺔ‬
‘ িত ই রাকােত তাশাহ দ রেয়েছ।’ একই ম একািধক সাহাবােয় করাম
থেক বিণত রেয়েছ। শরীয়েতর ব াপক িশ া পিরহার কের কান রওয়ায়ােতর
মনগড়া ব াখ া িদেয় একথা বলা য, িতন রাকাত িবতর পড়েল ধু এক
বঠেকই পড়া- এেত কান সে হ নই য, এটা ‫ﻣﻦ أﺣﺪث ﻓﻲ أﻣﺮﻧﺎ ھﺬا ﻣﺎ ﻟﯿﺲ ﻣﻨﮫ‬
‫ ﻓﮭﻮ رد‬- এর অ ভু । আ াহ তাআলা উ তেক উ অিন থেক হফাযত
ক ন। আমীন।
এই সংি আেলাচনার উপরই লখািট সমা করিছ। তেব িবষয়িট যেহতু
পূণ তাই আগামী কােনা সংখ ায় হযরত মাওলানা মুহা াদ ইউ ফ
লুিধয়ানবী (রহ.)এর একিট িব ািরত আেলাচনা কাশ করা হেব, যা তাঁর
‘ইখেতলােফ উ ত আওর িসরােত মু াকীম’ িকতােব কািশত হেয়েছ। ,‫ھﺬا‬
‫ وآﺧﺮ دﻋﻮاﻧﺎ‬,‫وﺻﻠﻰ اﷲ ﺗﻌﺎﻟﻰ وﺳﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺳﯿﺪﻧﺎ وﻣﻮﻻﻧﺎ ﻣﺤﻤﺪ وﻋﻠﻰ آﻟﮫ وﺻﺤﺒﮫ أﺟﻤﻌﯿﻦ‬
‫أن اﻟﺤﻤﺪ ﷲ رب اﻟﻌﺎﻟﻤﯿﻦ‬.

এিট হাদীস নয়: আঠােরা হাজার মাখলুকাত


উপেরর কথািট লাকমুেখ এতই িস য, অেনেকর কােছ তা রআন-
হাদীেসর বাণীর মেতা তঃিস । িক মাখলুকােতর এই িনিদ সংখ া না
রআেন আেছ, না কােনা সহীহ হাদীেস। বা বতা হল, আ াহ তাআলা
অগিণত মাখলুক পয়দা কেরেছন। জেল ও েল ছিড়েয় থাকা িবিভ জািতর
মাখলুক আ াহর অসীম দরেতর মাণ। মা েষর জানার বাইেরও রেয়েছ
অসংখ মাখলুক। আ াহ তাআলা কত ধরেনর মাখলুক সৃি কেরেছন তার িনিদ
সংখ া সহীহ হাদীেস বলা হয়িন। একিট ‘মুনকার’ বণনায় এর সংখ া ‘এক
হাজার’ বলা হেয়েছ। িক অেনক মুহাি স বণনািটেক মাওযূ বা জাল বেল আখ া
িদেয়েছন। (আলমাওযূআত, ইব ল জাওযী ২/২১৬; আলফাওয়াই ল
মাজমুআ পৃ. ৪৫৮- ৪৫৯) এছাড়া এই সংখ া স েক িকছু মনীষীর উি ও
রেয়েছ। যমন মারওয়ান ইব ল হাকােমর কথামেত সেতর হাজার জগত রেয়েছ।
আর আবুল আিলয়ার অ মান অ যায়ী চৗ হাজার িকংবা আঠােরা হাজার
মাখলুকাত আ াহ সৃি কেরেছন। এই িবিভ সংখ া িকছু মনীষীর উি মা ,
হাদীস নয়। ি তীয়ত তােদর ব ব থেকও অ িমত হয় য, িনিদ কােনা
সংখ া বাঝােত নয়; বরং আিধক বাঝােতই তারা এ সব কথা বেলেছন। তাও
আবার অ মান কের। এই কারেণ এর কােনািটেকই মািণত সত মেন করার
কােনা কারণ নই; বরং এ িবষেয় ইবেন কাসীর রাহ.- এর কথািটই মূল কথা,
যা িতিন আবুল আিলয়ার পূেবা কথািট পূণভােব উ ৃত করার পর বেলেছন।
আর তা হল, ‫ ھﺬا ﻛﻼم ﻏﺮﯾﺐ ﯾﺤﺘﺎج ﻣﺜﻞ ھﺬا إﻟﻰ دﻟﯿﻞ ﺻﺤﯿﺢ‬অথাৎ এিট এমন
একিট আজব কথা, যার জ িব দলীেলর েয়াজন রেয়েছ। (তাফসীের
ইবেন কাসীর ১/২৬) অতএব আঠােরা হাজার নয়; বরং বলা উিচত য, আ াহ
তাআলা অসংখ অগিণত মাখলুক পয়দা কেরেছন, যা আমরা েণ ও িহসাব
কের শষ করেত পারব না।

একিট ভুল ধারণা :ইে খারার জ িক ঘুমােত হয়?


কােনা কাজ করার ইরাদা করেল িকংবা অত াস কােনা িবষেয় আ াহর সাহায
কামনা করেত তাঁরই দরবাের কায়মেনাবােক িবেশষ প িতেত াথনা করার নাম
ইে খারা। অথাৎ ইে খারার মাধ েম বা া আ াহর কােছ এই াথনা কের য,
আিম যা করেত চাই তােত যিদ আমার কল াণ থােক তাহেল তা আমার জ
সহজ কের িদন এবং বরকত দান ক ন। আর যিদ তােত কল াণ না থােক তাহেল
তা থেক আমােক িবরত রাখুন এবং যােত আমার কল াণ তা- ই আমােক দান
ক ন। এিটই হল ইে খারার হাকীকত। ইে খারার জ িট কাজ করণীয় বেল
সহীহ হাদীেস বলা হেয়েছ। ’ রাকাত নামায আদায় করা এবং ইে খারার
িস মাসনূন আিট মেনােযােগর সােথ পড়া। সমেয়র তা বা অ কােনা
কারেণ এই ’িট কাজ স ব না হেল িতনবার বা সাতবার এই আ পেড়ও
ইে খারা করা যায়, ‫ ( اﻟﻠﮭﻢ ﺧﺮ ﻟﻲ واﺧﺘﺮﻟﻲ‬ইব স ী, হাদীস : ৫৯৭,
৫৯৮) অতঃপর য িদেক কলেবর ইতিমনান হেব আ াহর উপর ভরসা কের সই
কাজ আর করেব। এভােব আমল করেল ইে খারা হেয় যােব। উে খ য, এই
আমল করার জ শরীয়েত িনিদ কােনা সময় নই। রাত বা িদেনর যেকােনা
সময় তা করা যায়। িক অেনেক মেন কের, ইে খারার জ ঘুমােত হয় িকংবা
রাি বলায় ঘুমােনার আেগই ধু ইে খারা করা যায়। আবার অেনেক মেন
কের, দখেলই ইে খারা পূণ হেব। আসেল এর কােনািটই ইে খারার
জ ির কােনা িবষয় নয়; বরং রাত- িদেনর য সময় নামায পড়া যায় তখনই
ই রাকাত নামায ও িনিদ আিট পেড় ইে খারা কের নওয়া যায়।

You might also like