You are on page 1of 2

http://www.banglaanubad.blogspot.

com

বাংলা অনুবাদের উপরের সাইটাতে এধরনের আরও গল্প রয়েছে।

Joseph Jacob এর English Fairy Tales থেকে এটা অনুবাদ করা।

জোসেফ জেকব্

অলস জ্যাক

একদা জ্যাক নামক এক বালক ছিল।অন্য বালকদের মত সে তার মায়ের সাথে বাস করত। তারা ছিল
খুবই দরিদ্র। বৃদ্ধ মহিলা সুতা বুনে জীবিকা অর্জ ন করত। কিন্তু জ্যাক ছিল এত অলস সে কিছু ই করত না।
শুধু রোদে দৌড়াদৌড়ি করত। আর শীতকালে আগুনের পাশে বসে কাটাত।তাই তাকে সবাই অলস জ্যাক
বলেই ডাকত।

তার মায়ের কোন কাজেই সে সাহায্য করত না। তাই এক সোমবার তার মা তাকে বলল: তু মি যদি কোন
আয় না কর তাহলে তোমাকে আমি ঘর থেকে বের করে দেব।

এতে জ্যাকের চেতনা হল। সে পাশের ফার্মে কাজ খুজতে গেল। সারাদিন কাজের পর তাকে একটা পেনি
দেয়া হল। সে পেনিটা নিয়ে নদীর ধারে খেলতে খেলতে এটা কোথায় হারিয়ে গেল।

‘বোকা ছেলে।‘ তার মা বলল। এটা তোমার পকেটে রাখা উচিত ছিল।

এরপর থেকে আমি তাই করব। বলল জ্যাক।

মঙ্গলবারে জ্যাক আবার কাজ খুজতে গেল। এবার রাখালের কাজ। সারাদিন কাজের পর তার মালিক তাকে
এক কলস দুধ দিল। জ্যাক এবার কলসের দুধ তার পকেটে ঢেলে দিল। বাড়ী আসতে আসতে তার সব দুধ
পড়ে গেল।

‘বোকা ছেলে, তু মি এটা তোমার মাথায় করে নিয়ে আসা উচিত ছিল।‘ তার মা বলল।

এরপর থেকে আমি তাই করব। বলল জ্যাক।

পরদিন বুধবার জ্যাক আবার কাজ খুজতে গেল। এবার সে পেল এক ফার্মের কাজ। সারাদিন কাজের পর
তার কাজের বিনিময়ে সে এবার পেল ক্রিম দধি। জ্যাক ক্রিম দধি মাথায় নিয়ে ঘরের দিকে যাত্রা শুরু
করল। বাড়িতে পৌছার আগের কিছু ক্রিম দধি গড়িয়ে পড়ল আর কিছু মাথায় মিশে গেল।

‘বোকারাম ছেলে, তু মি সতর্ক তার সাথে এগুলো হাতে করে আনলে না কেন?’ মা রেগে বলল।

আচ্ছা মা আমি এরপর তাই করব। জ্যাক উত্তর দিল।


শুক্রবার অলস জ্যাক আবার কাজের সন্ধানে বের হল। এবার তাকে কাজে নিল এক বেকার।বেকার তাকে
তার সারাদিনের কাজের বিনিময়ে একটা বিড়াল দিল। জ্যাক এবার খুব সাবধানতার সাথে বিড়ালটাকে হাতে
করে নিয়ে আসছিল। কিন্তু বিড়ালটা তাকে আচড়াতে শুরু করল। ফলে সে এটাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল।

‘বোকা ছেলে, তোমার উচিত ছিল এটাকে একটা রশি দিয়ে শক্তকরে বেধে টেনে টেনে নিয়ে আসা।‘ মা
রেগে বলল।

ঠিক আছে মা। এরপর আমি তাই করব। জ্যাক উত্তর দিল।

পরদিন শনিবার। জ্যাক এবার কাজ পেল এক কশাইয়ের দোকানে। যে তাকে সারাদিনের কাজের বিনিময়ে
ভাল একটা উপহার দিল। এটা ছিল একটা খাশির মাংশের টু করা।জ্যাক এটাকে শক্ত করে বেধে টেনে হিচড়ে
নিয়ে আসল। পথে এত নোংড়া ময়লা ছিল যে বাড়িতে আনতে আনতে এটা একেবারে নষ্ট হয়ে গেল।

এবার তার মা আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারল না। কারণ পরদিনই হচ্ছে রবিবার। ডিনারের জন্য তার
মায়ের কিছু বাধাকপি রেডি করার কথা।

‘আরে বোকার হদ্দ, তোমার উচিত ছিল এটা কাধে করে নিয়ে আসা।‘ বিরক্ত হয়ে মা বলল।

এরপর আমি তাই করব। জ্যাক উত্তর দিল।

পরবর্তি সোমবার , অলস জ্যাক আবার বের হল। এবার সে কাজ পেল গরু চড়ানোর। তাকে কাজের
বিনিময়ে একটা গাধা দেয়া হল।

জ্যাক দেখল, এই গাধাটাকে কাধে নেয়া খুবই কষ্টকর।অনেক কষ্টের পর সে এটাকে কাধে নিতে সক্ষম হল।
এবং ধীরে ধীরে তার বাড়ীর দিকে হাটা শুরু করল। গাধাটাকে কাধে নিয়ে জ্যাক হাটছে তো হাটছেই।

তার পথে ছিল এক ধনী ব্যক্তি যার একটি সুন্দর মেয়ে ছিল। মেয়েটা ছিল বোবা আর বধির। সে তার
জীবনে কোনদিনই হাসেনি। ডাক্তার বলল সে কখনও কথা বলতে পারবে না যদি না কেউ তাকে হাসায়।
এই মেয়েটা জানালা দিকে জ্যাকের গাধা কাধে নিয়ে হাটাছে। গাধার পাগুলো উপরের দিকে। এটা দেখে সে
হাসতে হাসতে তার শুনা এবং কথা বলার শক্তি ফিরে পেল। তার পিতা খুশিতে আটকানা হয়ে গেল।তাদের
পরিবারের সবাই আনন্দে আত্মহারা। তারা খুশি হয়ে অলস জ্যাকের সাথে তাদের মেযের বিযে দিতে প্রতিজ্ঞা
করল।

এরপর থেকে অলস জ্যাক খুব ধনী হয়ে গেল। তারা একটি বড় ঘরে বসবাস শুরু করল। জ্যাকের মায়ের
আর আনন্দের সীমা রইল না। বাকী জীবনটা তাদের সুখেই কাটল।

You might also like