You are on page 1of 2

Karoly Takacs

১৯৩৮ সাল। Karoly ছিলেন হাঙ্গেরির সর্বশ্রেষ্ঠ পিস্তল শ্যুটার। তিনি


সমস্ত জাতীয় পদকের বিজেতা ছিলেন। ১৯৪০ সালের অলিমপিক্সে সবাই
নিশ্চিত ছিলেন যে ২৫-মিটার র‍্যাপিড পিস্তল ইভেন্টে তিনিই স্বর্ণপদক
লাভ করেন। বহুবছর ধরে তিনি শিক্ষালাভ করেছিলেন। তাঁর একমাত্র
স্বপ্ন ছিল তাঁর হাতকে দেশের নয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শ্যুটিং হ্যান্ড
বানানোর এবং তিনি সফল হয়েছিলেন। কিন্তু সেই বছরই আর্মি ট্রেনিং
ক্যাম্পে এক প্র্যাক্টিস সেসান চলাকালীন হ্যান্ড গ্রেনেডে তাঁর ডান হাত
গুরুতর আহত হয় এবং সেটিকে তার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া
হয়। তাঁর কাছে এরপর মাত্র দুটি বিকল্প ছিল- নিজেকে বাকি জীবন
ক্রন্দনরত অবস্থায় কাটিয়ে দেওয়া, অথবা নিজের লক্ষের দিকে এগিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটির উপর গুরুত্ব দিলেন না যেটি তাঁর হারিয়ে গেছে,
সেটির উপর গুরুত্ব দিলেন যেটি তাঁর কাছে ছিল। কী ছিল তার কাছে?
-তাঁর বাঁ হাত। এমন একটি হাত যেটি দিয়ে তিনি লিখতে পর্যন্ত পারতেন
না। একমাস হাসপাতালে থেকে সুস্থ হওয়ার পর তিনি তাঁর বাঁ হাতের
চর্চ া শুরু করে দিলেন।

ট্রেনিংয়ের প্রায় একবছর পর ১৯৩৯ সালে তিনি ফিরে এলেন জাতীয়


প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবার জন্য। তাঁর বিরুদ্ধে অংশগ্রহণকারী
প্রতিযোগীগণ তাকে বাহবা দিয়ে বললেন, “এই হচ্ছে খেলোয়াড়
মানসিকতা। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও তু মি এসেছ, আমাদের খেলা
দেখার জন্য?” কেউ জানতেন যে তিনি গোপনে একবছর ধরে বাঁ হাতের
চর্চ া করছেন। তিনি উত্তর দিলেন,“আমি এখানে তোমার খেলা দেখতে
আসিনি। তোমার সাথে লড়তে এসেছি। তৈরি হয়ে যাও।” প্রতিযোগিতা
হল। কে জিতলেন? Karoly- ‘দি ম্যান উইথ দি ওনলি হ্যান্ড’।

১৯৫২ সালে তিনি অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে স্বর্ণপদক লাভ


করেছিলেন। বদলে দিলেন অলিমপিক্সের ইতিহাসকে। এর আগে এই
প্রতিযোগিতায় কোনো প্রতিযোগী পর পর দুবার স্বর্ণপদক লাভ করেননি।
তাঁর মানসিকতা অনুপ্রেরণা দেয়- “কোনো সমস্যাই সাফল্যের পথে বাধা
হয়ে দাঁড়াতে পারে না, যদি না আমরা তাকে সমস্যা বলে ভাবি।”

-শৌভিক পাড়ুই

দশম শ্রেণী

You might also like