You are on page 1of 2

এই শ্লোক, শব্দ আত্মা মানে "সবকিছু র মূল অধিষ্ঠাতা ।" পরম চেতনা, "চৈতন্যম", "সবকিছু র মূল অধিষ্ঠাতা। কিন্তু

তা"কেন? যেহেতু এমন এক যে চেতনা যা আমাদের অভিজ্ঞতার মধ্যে নেই। এই চেতনার কার্য সচেতন এবং অজ্ঞান মধ্যে
একই। সচেতন একজনের জন্য, চেতনার উপস্থিতি আছে বর্ত মানে এই মূহুর্তে । অসচেতন একজন ব্যেক্তি যিনি সচেতন নয়
তার জন্য এই চৈতন্য তার চেতনার পটভূ মি রূপে কাজ করে। সুতরাং, এই চেতনা হচ্ছে এমন এক চৈতন্যময় উপস্থিতি যা
অন্যকে সচেতন করে তোলে। এই চৈতন্যময় অবস্থা সমস্ত জ্ঞান এবং প্রতিটি কর্মে স্বাধীন। এই বাস্তবিক চৈতন্যকে বলা
যায়, যার অর্থ "সম্পূর্ণ স্বাধীনতা।" সমস্ত জ্ঞান এবং সমস্ত ক্রিয়া এই পরম চৈতন্য ও সম্পূর্ণ স্বাধীন ঈশ্বর চেতনার মধ্যে
একতাবদ্ধ ও স্মপূর্ন হয়। শুধু পরমশিবই অধিকারী এই সম্পূর্ণ স্বাধীন ঈশ্বরী চেতনার।

পৃথিবী থেকে অনাশ্রিতশিব প্রযত্ন সমস্ত মানুষ নির্ভ রশীল পরম চৈতন্যময়, শিবের উপর । যদিও শিবের সম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র
অবস্তার অনেক ঐশ্বরিক দিক রয়েছে- যেমন অনন্ত,যেমন শাশ্বত, সর্বাপেক্ষা বিস্তৃ ত, সম্পূর্ণ পূর্ণ এবং সমস্ত জ্ঞান - এই
ঐশ্বরিক দিকগুলি শিবের জন্য অনন্য নয়। তা অন্যান্য মানুষের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। ভগবান শিবের স্বতন্ত্রতা হল
সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বতন্ত্র্য। এই সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভগবান শিবের অবস্থা ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।

এই সূত্রের মধ্যে, চৈতন্য শব্দ ব্যবহারের দ্বারা সম্পূর্ণ স্বাধীন অবস্থা নির্দে শিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, লেখক যদি চেতনা
শব্দটি ব্যবহার করতেন তবে তিনি অন্যান্য দিকের কথা ঘোষণা করতেন, সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রতা ছাড়াও ভগবান শিবের আরও
অবস্থা বিদ্যমান আছে। কিন্তু এখানে একমাত্র একটি দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান এবং তা হল স্বতন্ত্র্যতা। অন্যান্য দিক, যেমন
সবকয়টি বিস্তৃ ত, সম্পূর্ণ পূর্ণ, আনন্দের সাথে পরিপূর্ণ, ইত্যাদি,বিদ্যমান নেই। এটি শুধুমাত্র একটি দৃষ্টিভঙ্গি, স্বত্ন্ ত্রতা, যে শব্দ
চৈতন্য দ্বারা প্রকাশিত হয়। চৈতন্য শব্দের অর্থ হল"চেতনার স্বাধীন অবস্থা "।

চৈতন্যের এই স্বতন্র অবস্থাই হল আত্মা।ইহা জগতের সবকিছু র আত্মস্বরূপ,কারন শিব অবস্থার মধ্যে পৃথিবীর সবকিছু
অবস্থান করছে।

আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি যে ভগবান শিব সব কিছু থেকে অভিন্ন। এখন আমি আপনাকে দেখাবো কেন এই "বিভিন্ন
অবস্থা" ভগবান শিবের বর্হি ভূত। যদি মুহূর্তে র জন্য, আমরা স্বীকার করি যে ভগবান শিবের বিভিন্ন দিক বিদ্যমান
আছে, তাহলে আমাদের এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে হবে: এই দিকগুলি কি স্বতন্ত্রের সাথে ভরা? যদি তারা স্বতন্ত্রের সাথে পরিপূর্ণ
হয় না, তবে তারা জড় এবং অনাত্মা।যাই হোক সব অবস্থাই ভগবান শিবের চৈতন্য দ্বারা পূর্ন, তাই আমরা একে সম্পূর্ন
স্বাধীন চৈতন্য হিসাবে স্বীকার করি।

এবং একই সময়ে, যদি ঈশ্বর চেতনা সম্পূর্ন পূর্ণতার মধ্যে বিদ্যমান এবং স্বাধীন , এবং যদি সময়, স্থান, এবং আকৃ তি থেকে
এই চেতনা পৃথক,বা এইগুলি দ্বারা বদ্ধ নয়। তাহলে তারা সব সময়ে বিদ্যমান থাকবে না। সময় অস্তিত্ব থাকবে না, স্থান
বিদ্যমান হবে না, এবং আকৃ তির অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা যদি ধরে নেই তিনি অসীম,শ্বাশ্বত এবং বিশ্ব সৃষ্টির কারন স্বরূপ,
তখনই তিনি পূর্ন চৈতন্য ও স্বতন্ত্র। যদি এমন কিছু যা স্বতন্ত্র নয় তাহলে তা ঈশ্বরীয় চেতনা থেকে দূরে নিয়ে যায় এবং তা
কখনই শিব চৈতন্যে অবস্থান করতে পারেনা।

এখন প্রশ্ন ওঠে যে,যদি প্রত্যেক সত্তাই একই চৈতন্য দ্বারা পূর্ন হয়, তাহলে এক সত্তার সাথে অন্য সত্তার পার্থক্য কোথায়? সত্যি
বলতে কী,এক সত্তার সাথে অন্য সত্তার কোন পার্থক্য নেই,প্রত্যেক ব্যেক্তি চৈতন্য বিশ্ব চৈতন্যর সাথে একিভূ ত।
এখন আমাদের মল স্বমন্ধে জানতে হবে,জানতে হবে অজ্ঞানের আবরণ সম্বন্ধে। জানতে হবে কোথায় এই অজ্ঞানতার
অবস্থান? কিন্তু আমরা কী ভাবে বলতে আজ্ঞানতার অস্তিত্ব আছে?যদি অজ্ঞানতা কে পরম চৈতন্য থেকে সরিয়ে নেওয়া
হয়,তাহলে অজ্ঞানতার কোন অস্তিত্বই থাকে না। তাহলে অজ্ঞানতার অস্তিত্ব কোথায়? যদি অজ্ঞানতা কে ঈশ্বরীয় স্বতন্ত্র শক্তি
জ্ঞান দ্বারা আবিষ্ট করা যায়,তা হলে তা আর কখনই আজ্ঞান অবস্থায় থাকেনা বরং তা ঈশ্বরীয় চৈতন্য দ্বারা পূরিত হয়। এই
খানে অজ্ঞানতার কোন অস্তিত্বই থাকেনা। তা হলে তার অস্তিত্বর কী বা বাকি থাকে? সেখানে পরম স্বতন্ত্র চৈতন্যই যা পরম
অস্তিত্বরূপে বিরাজমান থাকে।

যদি আমরা কিছু সময় জন্য ধরে নিই যে,অজ্ঞানের আবরন আমাদের আত্মদর্শনের আগে ছিল এবং আমাদের আত্মদর্শনের
পরে এর কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। যদি আত্মদর্শনের পরে এর কোন অস্তিত্ব না থাকে, তা হলে মানতে হবে সত্যি এর কোন
সময়ই অস্তিত্বই ছিলনা। কিন্তু কেন? অত্মদর্শনের সময় যোগী তার জ্ঞানের আলোকে অনুভব করেন যে অজ্ঞানতা কখন
অস্তিত্ব ছিলোই না । যাকে সে অজ্ঞানতা বলে মনে করতো,তা প্রকৃ তপক্ষে অজ্ঞানতা নয়, তা অসলে প্রকৃ ত জ্ঞানের অভাব।

You might also like