You are on page 1of 8

নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে যেসকল ভ্যাক্সিন দেয়া হয়ে থাকে - যেমন নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন এবং হেমোফিলিয়াস ইনফ্লু য়েঞ্জা

টাইপ ‘বি’ ভ্যাক্সিন - সেগুলো এই করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে অকার্যকর। ভাইরাসটি এতটাই নতু ন এবং ভিন্ন ধরণের যে
এর জন্য নতু ন ভ্যাক্সিন তৈরী করা প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী অসংখ্য গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই করোনা ভাইরাস এর
ভ্যাক্সিন আবিষ্কার এর কাজ চলছে।

সকল বয়সের মানুষই এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হতে পারে। যাদের বয়স কম, তাদের রোগের উপসর্গ দেখা
দেওয়ার সম্ভাবনা কম, কিন্তু তারা ঠিকই অন্যদের মাঝে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার বাহন হিসাবে কাজ করতে পারে।

এ্যান্টিবায়োটিক কোনও ভাইরাস এর উপরই কাজ করে না। এ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে অন্য এক ধরণের জীবাণুর উপর,
যাকে আমরা চিনি ব্যাক্টেরিয়া হিসাবে।

যদি কেউ রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকে কিংবা নিজে অসুস্থ থাকে এবং হাঁচি কাশি দিতে থাকে, তাহলে তার মাস্ক পরে
থাকা অপরিহার্য। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে মাস্ক পরে থাকায় কোনও ক্ষতি নেই। যদি কেউ মাস্ক পরে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়,
তাহলে সেটা সঠিক উপায়ে পরা উচিত।

বর্ত মানে শুধু রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (IEDCR) এর তত্ত্বাবধানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা
করা হয়। অন্য কোনও স্বাস্থ্য সংস্থা, হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে এই পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। IEDCR
এর সাথে যোগাযোগ করতে সূত্রে উল্লিখিত হটলাইনে ফোন করুন।

বিশ্বের কোনো স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এধরণের কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। এটা করোনা ভাইরাস
সংক্রমণ পরীক্ষার কোনো স্বীকৃ ত পদ্ধতি নয়।

গবেষণাগারে চালানো নানা পরীক্ষা থেকে সন্দেহাতীতভাবে জানা গিয়েছে যে ৬০% ইথানল এবং ৭০% আইসোপ্রোপানল
এর মিশ্রণ 2019-nCOV বা নভেল করোনা ভাইরাস এবং সমগোত্রীয় ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। এই মিশ্রণটি CDC
(যুক্তরাষ্ট্রের প্রধাণ রোগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা) কর্তৃ ক সুপারিশ করা। যদি এই ধরণের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার সুযোগ
না থাকে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাধারণ সাবান এই ভাইরাস কে নিষ্ক্রিয় করতে ঠিক একই পরিমাণ কার্যকর।

যদিও করোনা ভাইরাস কোন পৃষ্ঠতলে পড়ার পর কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত সেখানে থাকতে পারে (বিষয়টি
অনেকটা পৃষ্ঠতলের উপর নির্ভ রশীল), এক দেশ থেকে আরেক দেশে নিয়ে আসায় সেই পৃষ্ঠতল যে পরিমাণ নড়াচড়ার
মধ্যে দিয়ে যায়, যে পরিমাণ যাত্রাপথ অতিক্রম করে আর যত ধরণের তাপমাত্রা এবং আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে যায় - তার
পরও করোনা ভাইরাসটি সেই পৃষ্ঠতলে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।

থার্মাল স্ক্যানার শুধু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি, অর্থাৎ যাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী, তাদের শনাক্ত করতে
পারে। জ্বর ছাড়া অন্য কোন উপসর্গ শনাক্তকরণের ক্ষমতা থার্মাল স্ক্যানার এর নেই।

 Day 1: Patients run a fever. They may also experience fatigue, muscle pain, and a dry cough. A
small minority may have had diarrhea or nausea one to two days before.
 Day 5: Patients may have difficulty breathing — especially if they are older or have a preexisting
health condition.
 Day 7: This is how long it takes, on average, before patients are admitted to a hospital,
according to the Wuhan University study.
 Day 8: At this point, patients with severe cases (15%, according to the Chinese CDC) develop
acute respiratory distress syndrome, an illness that occurs when fluid builds up the lungs. ARDS
is often fatal. 
 Day 10: If patients have worsening symptoms, this is the time in the disease's progression when
they're most likely to be admitted to the ICU. These patients probably have more abdominal
pain and appetite loss than patients with milder cases. Only a small fraction die: The current
fatality rate hovers at about 2%. 
 Day 17: On average, people who recover from the virus are discharged from the hospital after
2.5 weeks. 

সেনাবাহিনীর ২টি কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পের নাম্বারঃ

১। আশকোনা : ০১৭৬৯০১৩৪২০, ০১৭৬৯০১৩৩৫০

২। উত্তরা দিয়াবাড়ি: ০১৭৬৯০১৩০৯০, ০১৭৬৯০১৩০৬২

শেয়ার করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি । মানুষের উপকারে আসবে ।

করোনা ভাইরাস নিয়ে তো সব আপডেট নিচ্ছেন। দেশের কিছু কিছু জায়গা লকড ডাউন ও হয়ে গেছে।
WHO থেকে বলতেছে 'টেস্ট,টেস্ট,টেস্ট'। টেস্ট না করলে তো আক্রান্ত সম্পর্কে ও ধারণা পাওয়া যাবে না৷
এদিকে সবার টেস্ট করাও পসিবল হচ্ছে না।

এই মুহুর্তে ঘরে থাকু ন। ছুটি পেয়ে বাড়ি গিয়ে ঘুরে বেড়াবেন না। বাসায় থাকু ন। খাবার দাবার কিনে বাসায় থাকু ন।
ভীড়, জনসমাগম, সামাজিক যোগাযোগ, ধর্মীয় সমাগম, বিবাহ, জন্মদিনের অনুষ্ঠান ইত্যাদি বন্ধ রাখুন।
আপনাদের জন্য বাংলাদেশের ডাক্তাররা লড়াই করতেছে। তাদের একটু সাহায্য করেন নিজের জায়গা থেকে।

হালকা সর্দি কাশি হলেই হাসপাতাল বা চেম্বারে যাবেন না।

সাধারণ জ্বর,সর্দি ,কাশির চিকিৎসা( সিম্পটোমেটিক) সাধারন জনসাধারণের জন্য দেয়া হলোঃ

#Tab. Napa Rapid (500mg)/similar products of any company

২+২+২-ভরা পেটে যদি জ্বর১০০–১০৩থাকে,ব্যাথা থাকে,প্রয়োজন মতো...যদি ১০৩ এর চেয়ে বেশি হয় তখন
Ace/Napa suppository (500mg)–১টি কাঠি পায়খানার রাস্তায়।

#Tab. Fexo/Fenadin (120mg),

০+০+১=৫–৭ দিন

#Tab. Ceevit/Vasco (250mg)

১+০+১...চু ষে খাবেন .–২ সপ্তাহ

#Antazol /RhinozolNasal drop(0.1℅)

১ ফোটা,২ নাকের ছিদ্রে,দিনে ৩ বার(নাক বন্ধ থাকে যদি /নাকের সমস্যা যাদের বেশি)

#Cap Omepraprazole/Esomeprazole/Rabiprazole(20mg)
১+০+১–খাওয়ার ২০ মিনিট আগে।

৫-৬ দিনের মধ্যে না কমে গেলে বা শ্বাসকষ্ট এর সমস্যা বেশি হলে হটলাইনে (333/16263) যোগাযোগ করেন
অথবা সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। (সব হাসপাতালে আপনাকে দেখবেও না।)

উপদেশ:

★ ঘরে অবস্থান করুন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না।

★ প্রচু র পানি পান করুন।

★ সবুজ ফলমূল খান( বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত)

★ মাস্ক ব্যবহার করুন।

★ হ্যান্ডশেক, কোলাকু লি থেকে বিরত থাকু ন।

★কাশি দিবেন ভাঁজ করা কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে। হাত দিয়ে না।

★এক ঘন্টা পর পর হাত পরিস্কার করুন। বাইরে থেকে এসে হাত সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড করে ধুবেন।

★বাইরে থেকে ফিরে বাইরের জামাকাপড় ধুগে ফেলিবেন। কাউকে স্পর্শ করবার আগেই নিজে ভাল করে হাত
ধুয়ে ফেলুন।

★সচেতন হোন, আতঙ্কিত হয়ে হলেও ঘরে থাকু ন।

ডাঃ মানসী সাহা

সহকারী সার্জ ন

ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

শরীয়তপুর

আশরাফ জুয়েল

6 hrs
১ম দিন- ক্লান্তিভাব আসতে পারে। সাথে জ্বর।

২য় দিন- ক্লান্তিভাব একটু বাড়তে পারে। বাড়তে পারে জ্বর।

৩য় দিন- জ্বর বাড়তে পারে। সঙ্গে শুকনো কাশি ও গলা ব্যথা হতে পারে।

৪র্থ দিন- জ্বর, কাশি, গলা, হালকা গায়ে ব্যথা।

৫ম দিন - জ্বর কাশি গলাব্যথা সাথে মাথা ও পেট ব্যথা হতে পারে।

৬ষ্ঠ দিন - শরীর ব্যথা বাড়বে। অন্য উপসর্গ কমতে আরম্ভ করবে।

৭ম দিন - শরীর ব্যথা বাড়বে। অন্য উপসর্গ কমতে আরম্ভ করবে।

৮ম ও ৯ম দিন- সাধারণত লক্ষণ কমতে থাকবে। অর্থাৎ আপনার শরীরের নিজস্ব ক্ষমতা দিয়ে আপনি সুস্থ হয়ে
উঠছেন। জ্বর গায়ে ব্যথার জন্য সাধারণত প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষুধ খেতে পারেন। সেটাও চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে খাওয়া ভালো। অবশ্য এ পরামর্শের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাবার প্রয়োজন নেই।

কিন্তু যদি জ্বর বাড়ে, শরীর আরও খারাপ হয় বা ৪র্থ, পঞ্চম দিনে বা তার আগে পরে শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে সাথে
সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আতংকিত হবেন না। আতংক ছড়াবেন না।

"বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, চীন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইট ঘেঁটে এটি তৈরী করা হয়েছে।"

Ovinu Kibria Islam

14 hrs

করোনা নিয়ে এত এত কথা মিডিয়াতে আর সোশ্যাল মিডিয়াতে যে কয়েকবার কিছু বলতে গিয়েও বলতে ইচ্ছে
হয় না৷ কয়েকটা পয়েন্ট মনে আসল, বলি।

১. এইটা ঠিক নভেল করোনা ভাইরাস (nCoV or SARS-CoV-2) সংক্রমণে মৃত্যুহার অন্য অনেক
ভাইরাসের তু লনায় কম। এমনকি অন্যান্য করোনা ভাইরাস এপিডেমিক যেমন MERS- এ মৃত্যুহার যেখানে
ছিল শতকরা ৩৪ ভাগ, SARS এ ১১ ভাগ, বর্ত মান প্যানডেমিক-এ তা এর চাইতে অনেক কম। কেবলমাত্র
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা যারা অন্যান্য রোগে ভু গছে তাদেরই মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছে। ইতালিতে
মৃত্যুহার (৫%) গোটা দুনিয়ার (৩.৪%) চেয়ে বেশি কেননা সেখানে বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা বেশি (৬৫-উর্দ্ধ
মানুষের সংখ্যা সেখানে মোট জনসংখ্যার ২৩%)। মৃত্যুহার অপেক্ষাকৃ ত কম হলেও এই ভাইরাসের ছড়িয়ে
পড়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। সারা বিশ্বে যেভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন
প্যানডেমিক বা বৈশ্বিক মহামারী দেখা যায়নি। এ কারণে ঝুঁকির মাত্রা, আক্রান্ত দেশ ও রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর
সংখ্যা সামগ্রিকভাবে সাম্প্রতিক অন্যান্য এপিডেমিকের তু লনায় অনেক বেশি। সেকারণেই আক্রান্ত সংখ্যা ও
মৃত্যুহার কমানোর উপায় হলো ননথেরাপিউটিক প্রতিরোধ অর্থাৎ মহামারী ব্যবস্থাপনা ( আইসোলেশন,
কোয়ারেন্টাইন, সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিং, কন্টাক্ট ট্রেসিং)। এর জন্য বিজ্ঞানীরা একা কিছু করতে পারবেন না, দরকার
সমন্বিত উদ্যোগ।
২. বাংলাদেশে এখনো করোনা ভাইরাস সীমিত পর্যায়ে আছে, যদিও ইতিমধ্যে ১জন মারা গেছে। এখনো জানা
যায় নি এই ভাইরাস বিদেশ ফেরত ব্যক্তি বা তার সংস্পর্শে আসা নিকটজন ছাড়া আর কারো মধ্যে ছড়িয়েছে কি
না। বাংলাদেশে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কতটু কু এটা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা কঠিন। উচ্চ
তাপমাত্রা ও উচ্চ আর্দ্রতার দেশগুলোতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম বলে অনেকে বলছেন।
সাধারণত ফ্লু ধরনের ভাইরাল রোগগুলো কম তাপমাত্রায় বেশি ছড়ায়। করোনাসৃষ্ট সার্সও তাই ট্রপিক্যাল
দেশগুলোতে বেশি ছড়ায় নাই (The effects of temperature and relative humidity on the
viability of the SARS coronavirus,

Chan KPeiris JLam S et al., Advances in Virology, 2011) । কিন্তু এই নোভেল


করোনাভাইরাস ( nCoV) এর সংক্রমণ-এর উপর তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার প্রভাব নিয়ে আরো গবেষণা
প্রয়োজন। এখনো WHO বলছে, নোভেল করোনা ভাইরাস-এর উপর তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার প্রভাব আছে কি
না তা নিশ্চিত নয়।

তবে, সম্প্রতি ssrn এ আপলোড করা (৯ মার্চ লিখিত, সর্বশেষ রিভিশন ১৭ মার্চ ) গবেষণা প্রবন্ধে (প্রিপ্রিন্ট
ভার্সন) চীনের বেইজিং-এর বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায়
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কম হয়। তারা বলছেন, উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্ম বা বর্ষা মৌসুমে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে
পড়ার হার কমে যেতে পারে। (https://papers.ssrn.com/sol3/papers.cfm?
abstract_id=3551767)।

এক্ষেত্রে ভু ল বোঝার সুযোগ নাই। ভাইরাসকে সম্পূর্ণ নিস্ক্রিয় করতে বা মেরে ফেলতে অনেক বেশি তাপমাত্রার
(৭০ ডিগ্রি) প্রয়োজন হয়। এখানে বলা হয়েছে আবহাওয়া উষ্ণতর হলে কিংবা আর্দ্রতা বেশি হলে ভাইরাস কম
ছড়িয়ে পড়তে পারে এমনটাই বলা হয়েছে।

৩. তাই বলে গ্রীষ্মকাল আসছে বলে আমরা পুরো নিরাপদ এমন ভাবার কোন সুযোগ নেই । বিভিন্ন
এপিডেমিওলজিকাল স্টাডি বলছে, ভাইরাস সংক্রমণ কেবল আবহাওয়ার উপর নির্ভ র করে না, এটা
জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং মেডিকেল কেয়ারের গুণগত মানসহ আরো অনেক ফ্যাক্টরের উপরও নির্ভ র করে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব, প্রস্তুতির অভাব, স্বাস্থ্যসেবার দুর্বলতা, দুর্বল হাইজিন প্র‍্যাকটিস ইত্যাদি এই
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণকে ভয়ংকর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।

৪. নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের অভিজ্ঞতা অন্যান্য দেশের কাজে লাগতে পারে। WHO-
এর প্রতিনিধিদল গতমাসে চীনে গিয়ে এই মহামারী ঠেকাতে চীনের ব্যাপক উদ্যোগ পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং
করোনা ঠেকাতে অন্য দেশের করণীয় সম্পর্কে ৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট লিখেছেন। আগ্রহীরা দেখতে পারেন-
(https://www.who.int/…/report-of-the-who-china-joint-mission…).

রিপোর্ট টিতে মহামারী ঠেকাতে চীনের ব্যাপক কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দশ দিনে হাসপাতাল নির্মাণ,
ব্যাপক করোনাভাইরাস পরীক্ষা, নজিরবিহীন আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতি প্রয়োগ, হাজার হাজার
প্রশিক্ষত কর্মী আক্রান্ত এলাকায় প্রেরণ, মানুষকে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে চীন যেভাবে পদক্ষেপ
নিতে পেরেছে, অন্যান্য দেশ সেভাবে নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তো আরো
নাজুক অবস্থানে।

৫. বাংলাদেশের আরেক বিপদ হলো করোনা টেস্ট করার সরঞ্জামাদি ও এক্সপার্ট জনবলের অপ্রতু লতা। বিশ্বব্যাপী
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আরটি পিসিআর-এর মাধ্যমে ভাইরাল আরএনএ এম্পলিফিকেশন করে এই ভাইরাস সনাক্ত
করা হচ্ছে। এর সমস্যা হলো এই প্রক্রিয়ায় সময় ও অর্থ বেশি লাগে। এছাড়া কেবলমাত্র ভাইরাসের উপস্থিতি
থাকা অবস্থাতেই এই পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীকে চিহ্নিত করা সম্ভব। অন্যদিকে সেরোলজিকাল টেস্টের মাধ্যমে
কম খরচে কম সময়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্তকে চিহ্নিত করা যায়, এমনকি যারা সুস্থ হয়ে গেছেন, তারাও
কখনো আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা (অর্থাৎ তার শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধী এন্টিবডি আছে কিনা) তাও জানা
সম্ভব। এতে কেউ সুস্থ হলেও তার কন্টাক্ট ট্রেসিং এর মাধ্যমেও তার আশেপাশের মানুষের সংক্রমণ কমানোর
সম্ভাবনা কমানো সম্ভব। গত ফেব্রুয়ারির শেষে সিঙ্গাপুর এই সেরোলজিকাল কিট আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়।
(https://www.sciencemag.org/…/singapore-claims-first-use-ant…)

একটু আগেই নিউজে দেখলাম, যুক্তরাষ্ট্রের Biomerica কোম্পানী করোনার এই ধরনের র‍্যাপিড টেস্টিং কিট
শিপিং করা শুরু করেছে। (https://apnews.com/Globe
%2…/d3558e1662e9a1451d6d0b49cba70dd9)

৫. গত ১৭ মার্চ প্রথম আলো পত্রিকায় জানা গেল, বাংলাদেশে আরটি পিসিআর-এর মাধ্যমে করোনা
ডিটেকশনের মাত্র ১৭৩২টি কিট আছে। আজ চীন আরো ৫০০ কিট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নিঃসন্দেহে এই
সংখ্যা খুবই অপ্রতু ল।

এর মধ্যে খবর পাওয়া গেল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ড. বিজন কু মার শীলের (যিনি এর আগে সার্স ডিটেকশন কিট
তৈরি করেছিলেন) নেতৃ ত্বে বাংলাদেশে সেরোলজিকাল কিট তৈরি করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই কিট তৈরির
গবেষণাদলের অন্যতম একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.নিহাদ আদনান(Nihad Adnan),
যিনি ঢাবিতে একাডেমিকালি আমার এক বছরের সিনিয়র ছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে উনার সাথে আমি আমার
মাস্টার্সের থিসিসে কাজ করতে পেরেছি, এবং আমার আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত প্রথম প্রবন্ধের
গবেষণাকাজটি উনার ডিজাইনেই করা।প্রচন্ড ইনোভেটিভ এবং সরল মনের নিবেদিতপ্রাণ এই গবেষকের কাছে
জানলাম, সরকারের অনুমতি ও সহযোগিতা পেলে মাসখানেকের মধ্যেই তারা এই কিট তৈরি করতে পারবেন
এবং খুব কম খরচে এই টেস্ট করা সম্ভব। এটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ভালো একটি খবর। সরকারের প্রতি আহ্বান,
এই কিটটি তৈরিতে তারা যেন দ্রুত এই গবেষণাদলটিকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেন৷ (একটু আগে জানলাম
সরকার গণস্বাস্থ্যকে কিট উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে)

৬. বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে কি কি ত্রুটি ছিল বা আছে তা নিয়ে
আলোচনা-সমালোচনা পরেও করা যাবে, আপাতত দরকার এই নভেল করোনাভাইরাস ঠেকাতে সকলের
সম্মিলিত প্রচেষ্টা। করোনা কাউকে ছাড়বে না, সুতরাং সকলকেই যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে,
সচেতন হতে হবে। সরকার ও সংশ্লিষ্টদেরও বুঝতে হবে তাদের উদ্যোগের গাফিলতি বা ত্রুটি তাদের বা তাদের
নিকটজনের জীবনকেও হুমকিতে ফেলে দেবে।

এ সময়ে অনেক গুজব ছড়াবে। আমাদের আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের সাধারণ করণীয়
সম্পর্কি ত তথ্যের জন্য খুব বেশি গুগল করার দরকার আছে বলে মনে হয় না, নতু ন চালু হওয়া একটি সরকারি
ওয়েব (http://corona.gov.bd/), আইইডিসিআর (https://www.iedcr.gov.bd/) বা
ডব্লিউএইচও-(https://www.who.int/) এর ওয়েবসাইটেই দরকারি তথ্য পাওয়া যায়।

৭. বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় তথাকথিত পরাশক্তিদের করুণ অবস্থা আমরা দেখছি । সম্ভাব্য যুদ্ধের
জুজু দেখিয়ে জনগণের পয়সায় 'প্রতিরক্ষা'র নামে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করলেও, মহামারি
মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অণুজীববিজ্ঞান ও জৈবপ্রযুক্তির অগ্রগতির এই যুগেও
ভাইরাসসৃষ্ট মহামারিতে এত এত মানুষের মৃত্যু, জনদুর্ভোগ, অর্থনীতিতে এত বিশাল প্রভাব প্রমাণ করে
মহামারীসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় এই দুনিয়া এখনো প্রস্তুত নয়, বাংলাদেশের মত দেশগুলোতো আরো পেছনে
পড়ে আছে। এই প্যানডেমিক গোটা দুনিয়ার মানুষের জন্য, আমাদের অনাগত ভবিষ্যতের জন্য এক বিরাট
শিক্ষা হয়ে থাকবে।

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে ভারতের বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. দেবী শেঠি এক অডিও বার্তায়
দিয়েছেন কয়েকটি পরামর্শ। ঘরে বসেই করোনা পরিস্থিতি পরীক্ষা নিয়ে তার অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।
এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘যদি কারো ফ্লু বা সর্দি থাকে, প্রথমে নিজেকে আইসোলেট করে লক্ষণ ভালো করে
পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রথম দিন শুধু ক্লান্তি আসবে। তৃ তীয় দিন হালকা জ্বর অনুভব হবে। সঙ্গে কাশি ও গলায়
সমস্যা হবে। পঞ্চম দিন পর্যন্ত মাথা যন্ত্রণা। পেটের সমস্যাও হতে পারে। ষষ্ঠ বা সপ্তম দিনে শরীরে ব্যথা বাড়বে
এবং মাথা যন্ত্রণা কমতে থাকবে। তবে ডায়েরিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে যাবে। এবার
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অষ্টম ও নবম দিনে সব লক্ষণই চলে যাবে। তবে সর্দির প্রভাব বাড়তে থাকে। এর অর্থ
আপনার প্রতিরোধক্ষমতা বেড়েছে এবং আপনার করোনা-আশঙ্কার প্রয়োজন নেই’।

তিনি বলেন, ‘এমন সময়ে আপনার করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি
হয়ে গেছে। যদি অষ্টম বা নবম দিনে আপনার শরীর আরো খারাপ হয়, করোনা হেল্পলাইনে ফোন করে অবশ্যই
পরীক্ষা করে নিন’।

1. Getting sick from coronavirus likely depends on the relative weights of two factors:
vulnerability to lung infection, and how many coronaviruses get into the lung. A vulnerable
person, with lungs or airway function impaired by years of smoking, or persistent asthma, or
immune compromise from drugs or disease, is more at risk from even a small number of viruses.

2. Healthy, non-vulnerable people are more likely to resist and "clear" a small number of viruses,
or maybe just get a little sick, after chance contact from an infected person -- but they would still
be susceptible if they are exposed to a higher amount.

3. And since you may well have been exposed anyhow, remove any coronavirus already around
your nose and throat: Wash your hands and face well with soap and warm water, including -- on
a finger -- a quarter-inch into each nostril. Then gently blow your nose. DON'T use those
irrigating devices, like neti pots, that might force virus further inside! Brush your teeth and
tongue, swish and spit, and gargle once or twice with an antiseptic mouthwash.

Boil water with a few pieces of black pepper, cloves, cardamom, and 1 bay leaf like you're
going to make chai. Keep the concentrated water in a mug nearby. Drink it with your tea
or just warm up and sip throughout the day.

 Day 1: Patients run a fever. They may also experience fatigue, muscle pain, and a dry
cough. A small minority may have had diarrhea or nausea one to two days before.
 Day 5: Patients may have difficulty breathing — especially if they are older or have a
preexisting health condition.
 Day 7: This is how long it takes, on average, before patients are admitted to a hospital,
according to the Wuhan University study.
 Day 8: At this point, patients with severe cases (15%, according to the Chinese CDC)
develop acute respiratory distress syndrome, an illness that occurs when fluid builds up
the lungs. ARDS is often fatal. 
 Day 10: If patients have worsening symptoms, this is the time in the disease's progression
when they're most likely to be admitted to the ICU. These patients probably have more
abdominal pain and appetite loss than patients with milder cases. Only a small fraction
die: The current fatality rate hovers at about 2%. 
 Day 17: On average, people who recover from the virus are discharged from the hospital
after 2.5 weeks. 

You might also like