Professional Documents
Culture Documents
Economics - of - BD. - Omit
Economics - of - BD. - Omit
সমস্যাসমূহঃ
ফু ল রপ্তানিতে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় কাঁচা ফু লের নাম উঠে
এসেছে। বাংলাদেশে উত্পাদিত কাঁচা ফু ল পৃথিবীর বিভিন্ন
দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ফু ল রপ্তানি করে প্রতিবছর বৈদেশিক
মুদ্রা আয় হচ্ছে। কৃ ষিপ্রধান বাংলাদেশে বিভিন্ন কৃ ষিজাত
পণ্যের মধ্যে কাঁচা ফু ল ইতিমধ্যে বিশেষ স্থান দখল
করেছে। ফু ল চাষে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক।
বাংলাদেশের জমি এবং জলবায়ু ফু ল চাষের জন্য খুবই
উপযোগী। বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের ফু ল উত্পন্ন হয়।
এসব ফু লের মধ্যে গ্লাডিউলাস, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা,
লিলিয়াম, থাইঅর্কি ড, কার্নেশন, শর্বারা, গ্লোবাল প্রভৃ তি ফু ল
রপ্তানি হচ্ছে।
গার্মেন্টস শিল্প
বর্ত মান চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশকে এখন অনেক শক্তিশালী দেশের সাথে
প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তন্মধ্যে
পণ্য এবং বাজার বহুমুখীকরণ, অবকাঠামোগত অসুবিধা
দূরীকরণ, পণ্য সরবরাহে ক্ষমতা বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ
হ্রাসে কৌশল গ্রহণ এবং পশ্চাৎ সংযোগ সম্প্রসারণের
মাধ্যমে মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি
পাট শিল্পঃ
পাট বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। ২০১৭-১৮
অর্থবছরে বাংলাদেশে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ২০০ হেক্টর
জমি থেকে প্রায় ৮৯ লাখ বেল পাট উৎপাদিত হয়।
দেশের ৫০ লাখ কৃ ষক সরাসরি পাট চাষের সঙ্গে জড়িত।
দেশে মোট রপ্তানি আয়ের শতকরা ৩ থেকে ৪ ভাগ
আসে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে। পাট উৎপাদনে বিশ্বে
ভারতের অবস্থান শীর্ষে এবং বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়
হলেও রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। বাংলাদেশ বিশ্বের
মোট পাটের ৩৩ শতাংশ উৎপাদন করে এবং কাঁচা
পাটের ৯০ শতাংশ রপ্তানি করে। পাটকে কেন্দ্র করে দেশে
গড়ে উঠেছে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। বর্ত মানে সরকারি ও
বেসরকারি মিলে মোট ৩০৭টি পাট কল রয়েছে। এর
মধ্যে সরকারি পাট কলের সংখ্যা ২৫টি এবং বেসরকারি
পাট কলের সংখ্যা ২৮২টি।
জাহাজ শিল্পঃ
সম্ভবনাঃ
নানা কারণেই জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য বাংলাদেশ
অন্যতম স্থান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম
হচ্ছে
ঔষধ শিল্প
সম্ভাবনা:
ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের প্রচু র সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হল - বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ ন ও ব্যাপক
কর্মসংস্থান।
বৈদেশিক মুদ্রা
মেধাস্বত্ব ছাড়
যোগাযোগ
গবেষণা
যেকোন শিল্প প্রসারের ক্ষেত্রে গবেষণা বিশেষভাবে
গুরুত্বপূর্ণ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের
উন্নত দেশগুলো প্রতিবছর গড়ে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার
গবেষণা খাতে খরচ করে থাকে। যেসব দেশের গবেষণা
যত উন্নত, সেসব দেশে শিল্পের প্রসার তত বেশি।
দক্ষ মানবসম্পদ
মান নিয়ন্ত্রণ
কোন ওষুধ রপ্তানি ও আন্তর্জ াতিক স্বীকৃ তির অর্জ নের জন্য
মান নিয়ন্ত্রণ একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময়
বাংলাদেশের ওষুধের মান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন রয়েছে, এবং
এখনও মাঝে মাঝে নিম্নমানের ওষুধ খেয়ে সাধারণের
মৃত্যুর খবর শোনা যায়।
রপ্তানি প্রক্রিয়া
চোরাচালান
আইসিটি
বাজেটঃ
আইসিটি খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে
১৩ হাজার ৭৪ কোটি ২৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
আগের বছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ৮৯৭
কোটি ৭১ লাখ ১১ হাজার টাকা।
ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা ব্লকচেইন প্রযুক্তি চালু করার ঘোষণা
এসেছে নতু ন বাজেটে।
সম্ভবনাঃ
তথ্যপ্রযুক্তির আউটসোর্সিং, বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে
আউটসোর্সিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
পর্যটন শিল্প
পর্যটন এক ধরনের বিনোদন, অবসর অথবা ব্যবসায়ের
উদ্দেশ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থান কিংবা এক দেশ থেকে
অন্য দেশে ভ্রমণ করাকে বুঝায়। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশে পর্যটন শিল্প হিসেবে স্বীকৃ তি পেয়েছে। এছাড়াও,
বিশ্বব্যাপী অবসরকালীন কর্মকাণ্ডের অন্যতম মাধ্যম
হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জ ন করেছে। যিনি আমোদ-প্রমোদ বা
বিনোদনের উদ্দেশ্যে অন্যত্র ভ্রমণ করেন তিনি পর্যটক
নামে পরিচিত। ট্যুরিস্ট গাইড, পর্যটন সংস্থা প্রমূখ সেবা
খাত পর্যটনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ - উভয়ভাবেই
জড়িত রয়েছে।
বাংলাদেশের পর্যটন
বাংলাদেশে পরিচিত অপরিচিত অনেক পর্যটক-আকর্ষক
স্থান আছে। বাংলাদেশের প্রাকৃ তিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে
ভ্রমণকারীরা মুগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে প্রত্মতাত্বিক নিদর্শন,
ঐতিহাসিক মসজিদ এবং মিনার, পৃথিবীর দীর্ঘতম
প্রাকৃ তিক সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, অরণ্য ইত্যাদি অন্যতম।
এদেশের প্রাকৃ তিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকা বিভিন্ন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে
বিশেষায়িত । বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হচ্ছে
বাংলাদেশের কক্সবাজার।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা
বাংলাদেশের প্রাকৃ তিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে ভ্রমণকারীরা মুগ্ধ
হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এ সৌন্দর্যের লীলাভূ মি বাংলাদেশে
পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা অপরিসীম। নতু ন করে
কৌশল ঠিক করে সম্ভাবনার সবটু কুকে কাজে লাগিয়ে
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পর্যটনে মডেল হতে পারে।
তু লনামূলকভাবে বাংলাদেশ স্বল্প আয়তনের দেশ হলেও
বিদ্যমান পর্যটক আকর্ষণে যে বৈচিত্র্য তা সহজেই
পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারে। পৃথিবীতে পর্যটন শিল্প
আজ বৃহত্তম শিল্প হিসেবে স্বীকৃ ত। পর্যটন শিল্পের বিকাশের
ওপর বাংলাদেশের অনেকখানি সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভ র
করছে। দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলে কর্মসংস্থান
ঘটবে ও বেকারত্ব দূরীকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন
সফল হবে। ভিন্ন ভিন্ন দেশের প্রাচীন যুগের ইতিহাস ও
শিল্প, সাহিত্য, কালচার ও প্রথার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত
ঐতিহাসিক স্থান দেখার জন্যও পর্যটকরা নিজ দেশের
সীমানা পেরিয়ে দূর-দূরান্তে ছু টে চলে প্রতিনিয়ত। পর্যটন
হলো একটি বহুমাত্রিক শ্রমঘন শিল্প। এ শিল্পের
বহুমাত্রিকতার কারণে বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থনৈতিক
কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের
সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি অনুদান ও
সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় সাধন করার
পাশাপাশি উন্নত অবকাঠামো, সঠিক পরিকল্পনা ও
রাজনৈতিক স্থিতিশীল অবস্থা দরকার পর্যটনের জন্য।
পর্যটন শিল্পের উপাদান ও ক্ষেত্রগুলো দেশে ও বিদেশে
আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের
অধিকতর বিকাশ ঘটানো সম্ভব।
পরিবহণ খাত
যোগাযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে
বাংলাদেশ যথেষ্ট অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জ ন করতে পারে।
এতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তাদের অবস্থান আরও
জোরদার হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেবলমাত্র
বিনিয়োগ বৃদ্ধি নয়, সেবা ব্যবস্থার ওপরও জোর দিতে
হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে
গত কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী
পরিবহন। এতে রেলের আয়ও প্রতি বছর বাড়ছে। এর
মধ্যে গত অর্থবছরই রেলের যাত্রী পরিবহন বেড়েছে প্রায়
১৬ শতাংশ। এছাড়া পণ্য পরিবহন বেড়েছে ১৪ শতাংশ।
এতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির আয়
বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। আর পাঁচ বছরে রেলের আয়
বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান
১৯৯১-৯২ থেকে ২০০৩-০৪ অর্থবছর পর্যন্ত লাভজনক
প্রতিষ্ঠান ছিল বিমান। এরপর থেকে টানা লোকসানে পড়ে
প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিমানকে
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
দুই বছরই লাভ করে বিমান। এরপর ২০০৯-১০ থেকে
২০১৩-১৪ পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর লোকসান দেয় বিমান।
তারপর তিন অর্থবছর লাভ করে। এরপর ২০১৭-১৮
অর্থবছরে এসে আবারও লোকসান দেয় বিমান। গত ১০
বছরের মধ্যে ৬ বছরে বিমানের মোট লোকসান ১
হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। বাকি চার অর্থবছর মোট
লাভ হয় ৭৭৭ কোটি টাকা।
রেমিটেন্স
২০১৮ সালে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় অর্জ নকারী
১০টি দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। ওই
বছরে বিশ্বব্যাপী ৫২ হাজার ৯০০ কোটি মার্কি ন ডলারের
প্রবাসী আয় পেয়েছে বিভিন্ন দেশ, যা আগের বছরের
চেয়ে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক
ফোরাম (ডবিø উইএফ) সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ
করেছে।