You are on page 1of 10

‘পদ্মাবত’ সিনেমায় ইতিহাস কেন আসামি?

ফারুক ওয়াসিফ
০৩ মার্চ ২০১৮, ১২:১৫
আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৮, ১৪:৫৪
প্রিন্ট সংস্করণ
http://www.prothomalo.com/opinion/article/1442501

বলিউডি সিনেমা পদ্মাবত নিয়ে বিতর্কের রণাঙ্গন এখন শান্ত। রাজপুতরা শান্ত, বিজেপিমনারাও শান্ত। রাজপুত ও
হিন্দুসম্প্রদায়ের রাজা-রানিদের বীরত্ব ও মর্যাদা খাটো করার আলামত না পেয়ে তারা খুশি। আপত্তিটা যেদিক
থেকে ওঠার কথা, সেই ভারতীয় মুসলমানরাও নীরব। কিন্তু নীরব নন মোগল ভারত বিষয়ের নামকরা
ইতিহাসবিদেরা। সিনেমাটিতে দিল্লির সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজির চরিত্র, ইতিহাস ও অবদান বিকৃত করা হয়েছে
বলে অভিযোগ তুলেছেন ভারতের অগ্রণী ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার, ইরফান হাবিব, রুচিরা শর্মা প্রমুখ। 

আলাউদ্দিন খিলজির জীবৎকালের আড়াই শ বছর পর মালিক মুহাম্মদ জয়সী রচনা করেন পদ্মাবত কাব্য। এই
কাল্পনিক কাহিনি ধরে পরে আরাকান রাজসভার বাঙালি কবি আলাওল লেখেন পদ্মাবতী। কিন্তু তাঁরা কেউই দাবি
করেননি যে ইতিহাস লিখছেন। বিজেপি সমর্থকদের দাবি, পদ্মাবত-এ যে আলাউদ্দিন খিলজিকে দেখানো হয়েছে,
তা সত্য ইতিহাস। ইতিহাসবিদ রুচিরা শর্মার দাবি, আলাউদ্দিন খিলজি ভিলেন তো ননই, বরং তাঁর কাছে ভারত
ঋণী। তিনি ভারতের ঐক্য আনেন, পাঁচবার মোঙ্গল আক্রমণ ঠেকিয়ে ভারতকে ধ্বংস থেকে বাঁচান। মোঙ্গলদের
দখলে গেলে ভারতের পরিণতি হতো পারস্যের মতো: গণহত্যা ও নগর ধ্বংস।

আলাউদ্দিন দিল্লিকেন্দ্রিক ছোট একটি রাজ্য থেকে বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ঐক্যবদ্ধ ভারতই
মোগলদের হাত হয়ে ব্রিটিশ ও তারপর স্বাধীন ভারত হিসেবে টিকে আছে। সম্রাট হিসেবে আলাউদ্দিন খিলজি
নিষ্ঠুর হতে পারেন, কিন্তু রাজ্যস্পৃহা থাকলেও তাঁর নারীস্পৃহার কথা শোনা যায় না। খিলজির বাহিনীতে বেশ
কজন দাস-জেনারেল ছিলেন। তাঁর প্রশাসনে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিম্নশ্রেণির মানুষদের উঠিয়ে আনা হতো। এতে
হিন্দু-মুসলিম অভিজাতেরা নাখোশ হয়। তাঁর চালু করা করব্যবস্থা বিশ শতক পর্যন্ত চালু ছিল। এই সংস্কারে
মধ্যস্বত্বভোগীদের উচ্ছেদের ঘটনাটা রাজপুতদের খেপিয়ে তোলে। গঙ্গা-যমুনা মধ্যবর্তী দোয়াব অঞ্চলের অনেক
সুফির করমুক্ত জমির অধিকারও তিনি বাতিল করেন।
সেই সুফিদেরই অনুসারী হিসেবে খিলজির ওপর চটা ছিলেন পদ্মাবত-এর কবি জয়সী। আড়াই শ বছর পর
পদ্মাবতী কাব্যে তিনি খিলজিকে পদ্মাবতীর প্রতি লোলুপ হিসেবে দেখান। জয়সীর পৃষ্ঠপোষকেরা রাজপুত
অভিজাত হওয়ায় তাঁদের খুশি করার দায় এই কবির ছিল। তা না হয় হলো, কিন্তু খিলজির চিতোর অভিযানের
সময় পদ্মাবতী বলে তো কোনো রাজপুত রানি ছিলেন না। মেবার রাজ্যের দরবারি ইতিহাসবিদ শ্যামল দাস
একবার পদ্মাবতীর কথা এনেছিলেন, তবে সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গে। আলাউদ্দিন খিলজির সঙ্গে পদ্মাবতীর
কোনো দিন দেখাই হয়নি। এমনকি কবির লেখা কাহিনির বাইরে গিয়ে খিলজির হাত থেকে বাঁচতে পদ্মাবতীকে
স্বামীর চিতায়ও তুলেছেন বলিউডি পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালী। মূল কাহিনিতে পদ্মাবতী খিলজির ভয়ে নয়,
প্রথা অনুযায়ী স্বামীর চিতায় সতীদাহ হন।

রাজপুত রাজারাও বীর কিছু ছিলেন না। আফিমাসক্তি


আর সাবেকি রণকৌশলের কারণে তাঁরা মাহমুদ গজনি, ঘুরি, খিলজি, মারাঠা, আকবর সবার কাছেই যুদ্ধে
হেরেছেন। রানা প্রতাপ কিংবা শিবাজির বীরত্বেরও তেমন উদাহরণ নেই। সে সময়ের যুদ্ধ ও শাসনকেও
সাম্প্রদায়িকভাবে দেখার সুযোগ কম। রাজপুতপক্ষে মুসলিম সেনাপতি এবং খিলজির পক্ষে রাজপুত
সেনাপতিরাও লড়েছেন। আকবরের সেনাপতি মানসিংহ রাজপুত ছিলেন। আবার মুসলিম শাসকেরা নিজেদের
মধ্যেও যুদ্ধ কম করেননি। সম্রাট আকবর রাজপুত নেতা ও অভিজাতদের বিভিন্ন অঞ্চলের মনসবদার ও
জায়গিরদার বানান। সুতরাং খিলজি বা মোগল বংশের শাসন রাজপুত তথা দেশীয় হিন্দু রাজরাজড়াদেরও
শাসন। তাই সেকালের সাম্রাজ্যের যুদ্ধকে ধর্মীয় বা দেশপ্রেমিক দাবি করা কাল্পনিক গরুড় পাখিকে প্রাচীনকালের
বিমান বলে দাবি করার মতোই হাস্যকর। মোগলেরা সাম্প্রদায়িক হলে রাজপুতরা মোগল শাসনের প্রধান
সহযোগী হলেন কীভাবে?
বিজেপি-শাসিত ভারতে ইতিহাসের সত্যের চেয়ে বড় করা হচ্ছে কল্পনার সত্যকে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে
লাগবে জনগণকে সাম্প্রদায়িকতায় মাতানোর মসলা। বাহুবলীর পর পদ্মাবত তারই এক চমৎকার জোগান। তার
জন্য দক্ষ শাসক ও সেনানায়ক আলাউদ্দিন খিলজিকে পাশবিক ও নারীলোলুপ করে দেখাতে হয়েছে। এমনকি
আজকের পাকিস্তানের পতাকার সঙ্গে মিলিয়ে তাঁর পতাকাকে চাঁদ আঁকা সবুজ করা হয়েছে। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ
ইরফান হাবিব আমাদের জানাচ্ছেন, খিলজির বাহিনী এ ধরনের পতাকা ব্যবহার করত না। বিজেপির
জাতীয়তাবাদ একটা মানসিক বিকার বা ট্রমায় ভুগছে যে কী করে ভারতবর্ষ ‘বিদেশি’ মুসলমানদের দ্বারা
অধিকৃত হলো? এই ইতিহাস যেহেতু মোছা যাবে না, সেহেতু তাদের প্রচারকেরা মুসলিম শাসকদের ভাবমূর্তি
নষ্টের কৌশল নিয়েছেন।

অথচ ভারতবর্ষে দেশপ্রেমের ধারণা আনেন মুসলমান কবি ও শাসকেরা। গৌতম বুদ্ধের সময় ভারত বলে
রাজনৈতিকভাবে অখণ্ড কোনো সাম্রাজ্য ছিল না। সম্রাট অশোকের শিলালিপিতে বর্ণিত জম্বুদ্বীপ ছিল অনেক ছোট
এলাকা নিয়ে গঠিত। খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে কলিঙ্গ রাজা ‘ভারত’ নামের আওয়াজ দেন, সেটাও ছিল সীমিত
এলাকা নিয়ে। ‘হিন্দুস্তান’-বন্দনা প্রথম করেন ফারসি কবি আমির খসরু তাঁর নুহ সিফির কাব্যে (১৩১৮ সালে
প্রকাশিত)। সেখানে তিনি বলেন, হিন্দ তাঁর ‘জন্মভূমি, বাসভূমি ও দেশ’। তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ’।
ভারতবর্ষের ‘হিন্দ’ ও ‘হিন্দুস্তান’ নামকরণও আরব-পারস্যেরই দেওয়া। ১৩৫০ সালে কবি ইসামি ভারতবন্দনা
কাব্যে ভারতবর্ষকে স্বর্গের বাগানের চেয়েও সুন্দর বলেন। সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) মন্ত্রী আবুল ফজলও
হিন্দুস্তানের প্রতি ভালোবাসা জানান তাঁর আইন-ই-আকবরিতে। আকবরের সময়ই রাজবংশের ইতিহাসের বাইরে
গিয়ে ছয়টি রাজ্যের ভূমি ও মানুষনির্ভর ইতিহাস রচিত হয়। আবুল ফজল বৃহৎ ভারতের ধারণা আনেন। ১০৩৫
সালে লেখা বিজ্ঞানী ও দার্শনিক আলবেরুনির কিতাব আল হিন্দ ভারতপ্রেমে ভরপুর। সম্রাট আকবর কৃষির
বিকাশ ঘটান, সতীদাহ ও বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ করেন এবং মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে কন্যাসন্তানের বঞ্চনার
বিপক্ষে দাঁড়ান। আকবরনামা সাক্ষ্য দেয়, আকবর ভারত ও এর মানুষকে কতটা ভালোবাসতেন।

আকবরের সময়ের ভারতের তুলনা হতে পারে ইউরোপীয় রেনেসাঁর সঙ্গে। তাঁর সময় প্রাচীন ভারতের শিল্প-
সংগীত-দর্শনের হারিয়ে যাওয়া ঠেকানো হয়। পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সংস্কৃত ভাষাকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো
হয়, অনুবাদ করা হয় শাস্ত্রীয় গ্রন্থগুলো। মানবতাবাদ, শিল্প ও আইনের বিকাশ ঘটে। আকবর বিশ্বাসের জায়গায়
যুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করেন। ‘সুলহ-ই-কুল’ বা পরম শান্তি নামে সহনশীলতার রাষ্ট্রীয় নীতি গ্রহণ করা হয়। একজন
ডাকহরকরার বদলির সিদ্ধান্ত ওই সামান্য কর্মচারীর স্ত্রীর আপত্তিতে স্থগিত করার ঘটনা নারীদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার
প্রমাণ। তাঁর সময়ে এসব গুণ বিশ্বেই ছিল বিরল। দেশপ্রেম ছিল তাঁর দরবারের ঘোষিত নির্দেশনা।
আকবরের দেশের ধারণা ছিল মানুষ ও ভূমিকেন্দ্রিক। কিন্তু ইংরেজ আমলে ব্রিটিশমাতা ব্রিটানিয়ার আদলে গড়ে
ওঠে ভারতমাতার ধারণা। যা হোক, বহিরাগত আগ্রাসী আলেক্সান্ডার হন ‘দ্য গ্রেট’ আর ভারতে বসতি করে
ভারতবর্ষের উন্নতিতে অবদান রাখা সুলতান ও সম্রাটেরা হলেন ভিলেন। মোগল ভারত পৃথিবীর অন্যতম সেরা
ধনী দেশ ছিল। এ ইতিহাস অস্বীকার করে রূপকথা লেখার ফল ভারতের জন্যই আত্মঘাতী হতে পারে। খিলজি
থেকে আকবর যা করেছেন, তা ‘আনডু’ করার অর্থ হলো প্রগতিকে অস্বীকার করা। ইতিহাসকে আসামি বানালে
বর্তমানই মিথ্যা ও হিংসায় বন্দী হয়ে পড়বে।
ফারুক ওয়াসিফ : প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক
faruk.wasif@prothom-alo.info

মন্তব্য ( ৩০ )

মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন

 ROBIN HOOD

Sir wonderful writing.Beautiful explanation with sufficient information.

 ৬

 Md Reza

তাদের সব সিনেমাতেই এভাবে মুসলিমদের বাজে ভাবে দেখানো হচ্ছে। অথচ মুখ খোলার মতো কেউ নেই।

 মোঃ রুহুল আমিন

সমালোচনাও এক প্রকার আলোচনা। সত্য তাদের জন্যই যারা সত্য অন্বেষণ করেন। মুসলিম শাসকদের সম্পর্কে
যতই কুৎসা রটানো হবে মানুষ তাদের সম্পর্কে ততই জানতে আগ্রহী হবে এবং আসল সত্যটা তারা জনতে
পারবে।


 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

So as per your statement , 1. both Mayura and Gupta dynasty did not rule most of
India /subcontinent.. A Persian cruel ruler khilji wa more patriotic than the Indian"s
themself. 3. Romila Thapar doesn't narrate history from a neutral stand. She carries a
left bagage. The most wise and neutral thing would be to support ancient indegenous
kindoms and people who did their best to save their kindom. We should not support
invaders just because they are affiliated with certain religion. Brits , after conquering
India did a lot of things( i.e., establising rail roads, bringing modern ideas etc). Do we
wholeheartedly support the Brits .Why it should be different for other colonial
expeditions. Hope, Prothom -alo would publish this. Thanks.


 Faruk Wasif

আপনি যেহেতু বাংলা লেখাটা পড়েছেন, আমি বাংলাতেই জবাব দিচ্ছি। আমি একমত, আমাদের
অবশ্যই আমাদের শাসকদের সমালোচনা করতে পারা উচিত। আলাউদ্দীন খিলজি অন্য সব শাসকের
মতোই ভাল–মন্দ মেশানো। অবশ্যই তাঁর বংশ বহিরাগত ছিলেন। যেমন বহিরাগত ছিলেন আর্যরা,
গ্রিকরা (প্রাচীন ভারতে গ্রিক নগররাষ্ট্র ছিল, দর্শনে তাঁদের অবদানও ছিল)। কিন্তু একটা পার্থক্য মনে
রাখা দরকার, যে বহিরাগতরা সম্পদ পাচার করে, মন ও মজ্জায় পরবাসী থাকে, স্থানীয়দের অশ্রদ্ধা করে,
নিম্ন স্তরের ভাবে তাদের আমরা উপনিবেশবাদী বলি। যেমন করেছিল ব্রিটিশরা। কিন্তু মুসলিম শাসকেরা
কি সম্পদ পাচার করেছিলেন? মাহমুদ গজনী লুন্ঠন করে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাই তিনি আগ্রাসী। কিন্তু
খিলজি বংশ বা মুঘলরা কি ভারতের সম্পদ পাাচার করেছিলেন? নাকি ভারতের সমৃদ্ধিতে অবদান
রেখেছিলেন? আজকের ভারতে যেমন অশোকও সত্য, (যদিও তিনি অনেক নিষ্ঠুরতা করেছিলেন) তেমনি
খিলজিও সত্য। অতীত বদলানো যায় না। সব ধর্মের মানুষ, জাতির মানুষ, ভাষার মানুষের মিলিত ভূমিই
দেশ। কোনো দেশই কোনো কালে একধর্মীই ছিল না। দ্বিতীয়ত, সে আমলে বংশগৌরব দেখাতেন
রাজারা, কেউ কেউ ভূখণ্ডর প্রতি প্রেম দেখিয়েছেন, মহাভারতে শাসকের ন্যায়নিষ্ঠার সদুপদেশ আছে,
কিন্তু দেশপ্রেম (ভূমি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, মানুষ মেলানো ভালবাসা) আধুনিক ব্যাপার। সে আমলে
দেশপ্রেমের কিছু যদি নজির দেখাতেন তো আমি আমার বক্তব্য ফিরিয়ে নিতাম। তৃতীয়ত, পদ্মাবতে
ইতিহাস বিকৃত ঘটানো হয়েছে কিনা? আজকে বসে সতীদাহ প্রথাকে মহিমান্বিত করা ঠিক কিনা?
কোনো ছবিতে নারীকে মাটিতে পুঁতে পাথর মারাকে ভাল বললে সেটারও এমন নিন্দা করতাম।
চতুর্থত,মধ্যযুগের কোনো শাসনকেই কি অবিমিশ্র মুসলিম বলা যায়? হিন্দু রাজা, জমিদার, সেনাপতি,
বণিকেরাও কি লাভবান হননি? সহযোগিতা করেননি? আজকের হিন্দি ভাষা, ভারতীয় সংস্কৃতি, পোশাক,
শিল্প–সাহিত্য থেকে মুঘল–পাঠানদের অবদান মুছে ফেললে তো শুরু করতে হবে এক হাজার বছর
পেছন থেকে। সেটা কি কারো জন্য ভাল হবে? দয়া করেে আমার বক্তব্য খণ্ডন করবেন।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

Reality is indian has no history. first time ever Muslim then indian and british their
history. the reason why indian mythical ramayan is their source of all evidence.
Mayura dynasty was expanded about like Mughal but their administration was too
poor to describe but their cruelty (ashuka) still famous for killing 1/4th of that
indian. Gupta Dynasty even not half of Mughal or Khilzi. What ever it is writer not
blame them for their cruelty as emperor, nor he brought their religion.

 Rajdhani
আজকে প্রতিবেদক যা জানালেন, পদ্মাবতী নিয়ে লেখা প্রত্যেকটি খবরেই আমি এই বিষয়টি তুলে ধরে মন্তব্য
দিয়েছি - কোনটাই আলোর মুখ দেখেনি।


 Rajdhani

মুসলিম জাতি, শাসক এবং ইসলামকে খাটো করতে না পারলে কোনো কোনো হিন্দী সিনেমা যেন উপভোগ্যই
হয় না।


 Mohammad Shakhawat Hossain

এবং আমরা এসব হিন্দি (ভরতীয়) সিনেমা দেখছি, তাদের আইকনদের আমাদের আইকন বানাচ্ছি,
তাদের চর্চিত জীবনকে আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি বলে প্রতিষ্টা করছি। এর চেয়ে নিম্ন রুচির,
নিকৃষ্ট মানসিকতার আত্বপ্রবঞ্চনা আর কি হতে পারে?

 Muzibor Rahman

পরাধীনতার গ্লানি আর সনাতনী সাম্প্রদায়িক ভাবধারার মোড়কে আবৃত করে বর্তমান শাসকদল কার্যত ভারতকে
মধ্যযুগীও অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চাইছে। শিল্প সংস্কৃতি বিকাশের পরিবর্তে চলচিত্রকে ব্যাবহার করা হচ্ছে সেই
সকল অর্জনের জলাঞ্জলি দিতে যা, ইকবাল-গালিব কিংবা রবিন্দ্র-নজরুল কাছ থেকে গোটা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে।
কলামটির জন্যে লেখককে ধন্যবাদ।


 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

পাকিস্থানি সেন্সরবোর্ড পদ্দাবত কোনপ্রকার এডিটিং না করে রিলিজ করেছে। একজন কবির স্রিসটিশিল
কল্পনাকে বইয়ের পাতায় আবদ্ধ্য রাখা বাঞ্চনিয়। এটা নিয়ে সাম্প্রদায়িক ভেদভাব বাড়াবেন না।


 Muzibor Rahman

@নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ছোটবেলায় দেখা সত্যজিতের 'হিরক রাজার দেশে' ছবিটির একটি ডায়লগ
মনে পরে গেল, যার নাম নেই তার কথার কোন দাম নেই। সত্যজিৎ চলচিত্রে অস্কার পেয়েছিলেন।

 Milsha

বর্তমানে সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে যে পপুলিস্ট রাজনীতির ধারা ভারতে মূলশ্রোত হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে তার
মূলকথাই হলো মুসলমান মাত্রই খারাপ আর ভারতে ৮০০ বছর মুসলমানদের শাসন ভারতের কলংক। আমি
ইতিহাসের বই পড়ে যেটুকু বুঝতে পেরেছি - ভারতীয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের এ দৃষ্টিভঙ্গী বুঝতে পেরেই জিন্নাহ
মুসলমানদের ভারতের মধ্যে একটি পৃথক জাতি বলেছিলেন এবং ভিন্ন রাষ্ট্রের দাবী করেছিলেন। আমি ইতিহাসের
বিশ্লেষণে যাচ্ছি না, এটাই ছিল সর্বভারতীয় বাস্তবতা। এমনকি ইন্দিরা গান্ধীর মতো সেক্যুলার রাজনীতিক ১৯৭১
সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারতীয় লোকসভায় বলেছিলেন “হাজার সালকা বদলা নিয়া”। একটি জাতির
স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার গর্বকে তিনি জাতির মাঝে পুষে রাখা মানসিকতার সাথে মিশাতে
কার্পণ্য করেননি।


 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

'এমনকি ইন্দিরা গান্ধীর মতো সেক্যুলার রাজনীতিক ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারতীয়
লোকসভায় বলেছিলেন “হাজার সালকা বদলা নিয়া”।' এ কথাটা ১০০% ভুয়া।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

বরং নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে লোকসভায় বলেছিলেন বারশ বছরের গোলামি থেকে মুক্তির কথা।

 Milsha
আমি বলেছি আমি ইতিহাসের ছাত্র নই। তবে খুজলে ঠিকই রেফারেন্স বের করতে পারবো। আপনি
আপনার নাম জানালে ভবিষ্যতে জানাতে পারবো।

 মহাকাশ

ইতিহাস আর কল্পকাহিনী এক নয়। কল্পকাহিনী থেকে সিনেমায় রুপান্তর নিছক দর্শকদের আনন্দ আর বিনোদন
দেওয়ার জন্যই এবং এর জন্য সিনেমায় রঙ চং মাখলে যে ইতিহাস পরিবর্তন হয়ে যাবে তা নয়। পৃথিবীর তাবৎ
তাবৎ ইতিহাসবিদদের গবেষণায় উঠে এসেছে যে আলাউদ্দিন খিলজি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশে খিলজি
যুগের একজন সফল, দিগবিদিগ জয়ী, গ্রেট দিল্লি সালতেনাত। আলাউদ্দিন খিলজিকে উপাদি দেওয়া হয়েছিল
আমীর-ই-তুজক (master of ceremonies)। সেকেন্ড আলেকজান্ডার হিসাবে তুলনা করা আলাউদ্দিন খিলজি
আর তার বিশ্বস্ত, সাহসী ও দুর্দান্ত সেনাপতি মালিক কাফুর একে একে গুজরাট, রান্থাম্বর, ছিত্তর, মালয়া, জালর
ইত্যাদি যুদ্ধে ইয়াদাবা রাজা রামচন্দ্র, কাকাতিয়া রাজা প্রতাপারুধ্রা, হয়ছালা রাজা বাল্লালা কে পরাজিত করে তার
অধীনে ভারতীয় শাসন নিয়ে আসে। এ ছাড়া মালিক কাফুরের নেতৃত্বে পান্ডায়া রাজ্য জয় করেন। পৃথিবীর বড়
বড় ইতিহাসবিদদের গবেষণা থেকেই উঠে এসেছে যে আলাউদ্দিন খিলজি কখনই পদ্মাবতী ( পদ্মিনি ) নামে
কোন নারীর প্রতি আকর্ষণ ছিলেন না। তার বৃহৎ ও সুরক্ষিত শাসন ব্যবস্থায় ভারত সাম্রাজ্য বাহিরের শক্তির
আক্রমন থেকে সব সময় নিরাপদ থেকেছে বিশেষ করে মঙ্গল দস্যুদের হাত থেকে...


 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

@মহাকাশ ; ইতিহাসে আছে আলাউদ্দিন তার পালক আর আপন চাচা আর শ্বশুর জালালুদ্দিন কে
বিস্বাসঘাতকের মত দেকে এনে খুন করে খমতা দখল করেছিল।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

Column of the year. এই লেখার লেখককে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।


 iddris ali

সহমত


 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

Hats off to you, Faruk Bhai.


 মহাকাশ

ভারতীয়রা সিনেমায় ইতিহাস পাল্টে, মৌলবাদী রাজনিতিতে তাজমহলকে ভাঙ্গার চিন্তা করে নিজেদের সুখ পেতে
পারে কিন্তু এই সুখ সাময়িক কারন তারা তো সত্যি ইতিহাসে যা ঘটে গেছে তা কখনই পাল্টাতে পারবে না। তাই
না?


 আন্দালিব

সকল ভারতীয় মিলে তাজমহল ভাঙ্গতে চায়নি, আমাদের দেশে যারা সুপ্রিম কোটর্ের ভাস্কর্য্য ভাঙ্গতে
চেয়েছিল তাদের ভিন ধর্মীয় দোসররা ভারতে তাজমহল ভাঙ্গতে চেয়েছে।

 robin

লেখক ত দেখি নিজেই ইতিহাস বদলে দিলেন সম্রাট অশাকের সাম্রাজ্য শুধু মাত্র ছোট "জম্মুদ্বিপ " বলে। কিন্তু
ইতিহাস আর উইকিপেডিয়া তে অশাকের মৌরয সাম্রাজ্য আর গুপ্ত empire দেখাচ্ছে আফগানিস্থান থেকে বাংলা
পরজন্ত!! লেখক বললেন ভারতবর্ষ এ দেশপ্রেম ধারনা আনে "শুধু" মুসল্মানরা তাহলে জিন্না আর মিরজাফর রা কি
অন্ন ধরমের ছিল? আর তাছারা চিনেমার পরিচালক ছবির টাইটেল এ প্রথমেই লিখেন যে এই সিনেমা মহম্মদ
জায়সি র লেখা কবিতার থেকে হুবহু নেওয়া, কন ইতিহাসের দাবি ত পরিচালক করে নি? ফারক সাহেব দেখি
পরিচালক কে বিজেপির কট্টরপন্থী বানিয়ে দিলেন!! একজন স্রিজনশিল শিল্পির কাজে লেখক হস্তখেপ করেন
কেন! পাকিস্তানি সেন্সর বোর্ড পদ্দাবত কে কন কাটা ছেড়া না করে পাকিস্তানে সেটা মুক্তি দিয়েছে। মানে কবির
কবিতার প্রতি পাকিস্তানি মুসলিম রা উদার আর তাই ভারতিয় মুসলমান দের প্রতিবাদের উপদেশ দিচ্ছেন
লেখক?। আশাকরি, ভিন্নতর মতামত হিসাবে আমার দুই পয়সার কমেন্ট টা প্রথমআলো প্রকাশ করে উদারতার
পরিচয় দেবে।


 আন্দালিব

মালিক মুহাম্মদ জয়সী নামক একজন মুসলিমের রচনা অবলম্বনেই এর কাহিনী নির্মান যা পরবর্তীতে বাঙ্গালি কবি
আলাওলও অনুসরন করেছেন তবুও এই চলচ্চিত্র আলোচনায় 'বিজেপি' 'হিন্দু ধর্ম বিকাশ' 'মুসলিম বিদ্বেষ'
ইত্যাদি বিষয় অবতারনা করে লেখক কাদের খুশি করতে চাইছেন? বাহুবলিও ধর্মের বিস্তৃতির জন্য বানানো
হয়নি, বরং ধর্মের চেয়ে বিনোদনই তাতে মূখ্য ছিল। আলাউদ্দিন খিলজির শাসনামলইতো শুরু হয়েছে পিতৃব্য
জালালউদ্দিন খিলজিকে হত্যা করে, তারপরও আলাউদ্দিনের নিষ্ঠুর চরিত্রায়ন করা যাবেনা? মোঘলরা ভারতে
এসেছে স্থায়িভাবে কারন তারা নিজদেশে ভাল ছিলনা, তাই ব্রিটিশদের মত ভারতের সম্পদ লুট করে স্বদেশে
ফিরে যাওয়ার দরকার তাদের হয়নি। বহু জাতি বর্ন ধর্মের মিশ্রনের ভারতে এসে তারা প্রতিভাবান এমন কিছু
মানুষকে পেয়েছে যার উপর ভিত্তি করেই তাদের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি হয়েছে।


 Muzibor Rahman

ঘুরে ফিরে একই অবস্থানে থেকে ঐতিহাসিক বাস্তবটাকে অস্বীকার করে লাভ নেই। মনগড়া বক্তব্য দিয়ে
অনলাইনের পাঠকদের বিভ্রান্ত করা যাবে না, অবশ্য এর পিছে রোজগারের বিষয় জড়িয়ে থাকলে বলার
কিছু নেই।

 আন্দালিব

Muzibor Rahman, কি বাস্তবতা অস্বীকার করলাম সেটাইতো বুঝলাম না, বিভ্রান্তি যা ছড়ানোর
আপনি ছড়াচ্ছেন।


Real Truth

তাদের সব সিনেমাতেই এভাবে মুসলিমদের বাজে ভাবে দেখানো হচ্ছে। অথচ মুখ খোলার মতো কেউ নেই।

You might also like