You are on page 1of 4

যারা SOP লেখা নিয়ে বিশাল প্যারার মধ্যে আছেন তাদের জন্যই লেখাঃ 

"আসুন নিজের ঢোল নিজে বাজাইঃ কিভাবে লিখবেন স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (SOP)" 
যদি তোর ঢোল কেউ না বাজায়রে, তবে একলা বাজাওরে। স্টেটমেন্ট অফ পারপাস লেখার মূলমন্ত্র একটাই যত পার নিজের ঢোল
নিজে বাজাও, তবে একটাই জিনিস খেয়াল রাখবা যাতে ঢোল বেশি বাজাতে গিয়ে ঢোল এর পর্দা ফেটে না যায়। তখন আবার বলতে
হবে, এই ঢোল বাজিয়ে কী লাভ, যদি ফেটেই যায়। তাহলে চলুন দেখে নিই নিজের ঢোল নিজে বাজানোর রেসিপিঃ

ধাপ ১ঃ বি মুক্ত বি স্বাধীন (প্যারা ওরফে যন্ত্রণা থেকে) 


সর্বপ্রথম সকল প্রকার মানসিক চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। বাপ-মা এর প্যারা, ভাই-বোনের প্যারা, অফিসের বসের প্যারা এবং
নিজের গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড এর প্যারা থেকে নিজেকে কয়েকদিনের জন্য মুক্ত রাখুন। কেননা সবার শুরুতেই যে জিনিসটি
দরকার সেটি হল মানসিক প্রশান্তি, আর এই রকম পাঁচমিশালী প্যারার উপর থাকলে মানসিক প্রশান্তি কস্মিনকালেও হাসিল হবে না।

ধাপ ২ঃ বি ভাবিস্ট 
ভাবুন আর শুধু ভাবুন। কিশোরকালে প্রেমে পড়া পাশের বাড়ির টু নি কিংবা মোখলেস কিংবা বলিউডের "শীলা কি জাওয়ানি" টাইপ
গানের কোন আইটেম গার্লের কথা যত না ভেবেছেন তার চেয়ে বেশি বেশি ভাবুন কিভাবে শুরু করবেন স্টেটমেন্ট অফ পারপাস
লিখা। ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেকের SOP পড়ে আমার মনে হয়েছে লেখক নিজের সম্পর্কে সঠিক তথ্য তু লে ধরতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। যে
কোন sop এর শুরুতেই থাকা উচিত নিজের পারসোনাল ব্যাকগ্রাউন্ড। আপনার প্রাইমারী স্কুল এর লেভেল থেকে কিভাবে
ইঞ্জিনিয়ারিং/সায়েন্স/কমার্স এ আপনি পড়তে আসলেন এটা নিয়ে আপনাকে অবশ্যই এক প্যারার মধ্যে লেখা উচিত। হতে পারে
আপনি ম্যাকগাইভারের সিরিয়াল দেখে তার মত হতে চেয়েছিলেন, কিংবা জাফর ইকবাল স্যারের কোন সায়েন্স ফিকশন পড়ে
বিজ্ঞানী সফদর আলীর মতই কিছু করতে চেয়েছিলেন। সাধারণত খুবই ছোটখাট কোন ঘটনা থেকে আপনি ইন্সপায়ারড হোন,
সেইটি খুজে বের করুন এবং তা নিয়ে ভাবুন যে আপনি কিভাবে নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করবেন। 

ধাপ ৩ঃ বিসমিল্লাহ করুন


ভাবাভাবি শেষ। এইবার কাগজ কলম নিয়ে বসে যান। কম্পিউটারে লিখলে গুগুল ডকস কিংবা এম এস ওয়ার্ডে লিখে ড্রপবক্সে এ
রেখে দিতে পারেন। যাতে যখনই ভাল কিছু মনে আসে তা সাথে সাথে লিখে রাখতে পারেন। SOP এর শুরুতেই খুব ভাবগম্ভীর
টাইপের কথা থাকতে হবে এমন না। নিজের ব্যাকগ্রাউন্ড খুব সুন্দর ভাষায় সাবলীল ভাবে বলা যায়। চলুন একটা উদাহরণ দেয়া
যাকঃ
My fascination for being a scientist started to grow higher from school, when I was working with my
classmates to submit a science project in the National Science fair for the first time in my life. We
submitted a project entitled “Living on the Mars,” in which we showed a model of a city with all the
necessary equipment for the survival of human beings. The fair was held for three days, and there was
something during that period that brought about a significant change in my thinking. I can recollect that
the chief guest Dr. Md. Zafar Iqbal hailed us as the future scientists of our country. I was then sitting in
the middle of the contestants in the auditorium and dreaming of becoming a scientist like him.
এই লেখায় নিজের ঢোল নিজে পেটানোর নমুনা দেখুন। প্রথমে বলা হয়েছে লেখকের স্বপ্ন ছিল স্কুল থেকেই তিনি বড় বিজ্ঞানী হওয়ার
স্বপ্ন দেখতেন। টু কটাক সায়েন্স ফিকশন পড়ে কিংবা টিভিতে কোন সাই-ফাই সিরিয়াল দেখে ছোটবেলায় কমবেশি সবারই ওইরকম
কিছু করার স্বপ্ন থাকে। এইখানে এই টাইপ স্বপ্নই ফোকাস করা হয়েছে। লেখন সায়েন্স প্রজেক্টে কাজ করেছিলেন ঠিকই কিন্তু এত
আগের ঘটনায় কি হয়েছিল, কে কি বলেছিলেন কিংবা বাস্তবিকভাবে তিনি অডিটোরিয়ামে বসে কিইবা করছিলেন তা তার মনে না
থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্ত দেখুন এইখানে কি সুন্দরভাবে চাপাবাজি করা হয়েছে। 

ধাপ ৪ঃ যখন আপনি ঝু লন্ত বাবু


SOP এর এই ধাপটি নিয়ে লেখা আমার কাছে একটু ট্রিকি মনে হয়েছে। কেননা আমাদের দেশে সুযোগ-সুবিধা অত্যন্ত নগণ্য থাকায়
ব্যাচেলর এর জন্য আমাদের ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়। সারাজীবন আমতলাতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, আপনার অনিচ্ছা সত্ত্বেও
আপনাকে বেলতলাতে পাঠানো হবে আপনার ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে। যেইখানে সারাজীবন আপনার মাথার
উপর বেলই ঠাস ঠাস করে পড়তে থাকবে। যদি দুই হাত দিয়ে ক্যাচ ধরতে পারেন তাহলে চার বছরের লাইফ নিশ্চিত নচেৎ একটা
হেলমেট পড়েই বাকীটা জীবন কাটিয়ে দিতে হয়। একটা নমুনা দেয়া যাকঃ
During my twelve years of school, I was always among the top of my school, especially in physics and
mathematics. But I wanted to study in such a diverse field in which I can apply all the theoretical
knowledge of science, so I choose Mechanical Engineering for the undergraduate study. I sat for the
admission test and secured my position in the “Department of Mechanical Engineering” of “Khulna
University of Engineering & Technology (KUET)”, 
one of the most prominent public universities in Bangladesh. 
উদাহরণের SOP টি আমারই লেখা। ছোটবেলায় চারুকলায় পড়ার স্বপ্ন দেখতাম, কলেজে বায়োটেকনোলজী আর কম্পিউটার
বিজ্ঞান নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ জন্মায়। আর আকাআকির হাত ভাল থাকায় একটা স্বপ্ন ছিল আর্কি টেকচারে পড়ার। কিন্ত ভাগ্যক্রমে আমি
এখন মেকানিকাল এর ছাত্র। সুতরাং আপনিই আসলে কিভাবে আপনার বর্ত মান অধ্যয়নরত বিষয়ে পড়তে এলেন, এইটার সত্য
ব্যাকগ্রাউন্ড না বলাই ভাল। খুব সাধারণ কিছু কথা দিয়ে সেটা বলতে পারেন। অনেকেকেই দেখি এস এস সি, এইচ এস সি তে জিপিএ
কিংবা ভর্তি পরীক্ষায় হাজারে পাঁচশত ছয়তম হয়ে নিজের স্থান দখল করেছেন এই জায়গায় কার কি মতামত জানিনা তবে আমি
বলব না লেখাই ভাল যাতে জায়গা বাচে। কেননা হয়ত পরে দেখা যাবে স্থান সংকুলান না হওয়ার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা
আপনি বাদ দিয়ে যাচ্ছেন। 

ধাপ ৫ঃ যখন আপনি বন্দী কারাগারে


কারাগার কথাটি এই জন্যই বললাম, বাংলাদেশের অনেক স্কুল-কলেজ আছে যেইখানে অনেক শিক্ষক চেষ্টা করতেন পড়ালেখা যাতে
আনন্দদায়ক হয়, যার দশভাগের এক ভাগও আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাইনি। তাই আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কারাগারতু ল্যই ছিল। যাই
হোক। যারা অত্যন্ত স্বার্থকতার সাথে আতেল নামক উপাধি টা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ধরে রেখেছিলেন, তাহাদের জন্য এই
ধাপে লেখালেখি করা কোন ব্যাপার ই না। কেননা উনারা প্রথম বর্ষ হইতেই ফাটাইয়া গবেষনার কাজ অনুসন্ধান করতেন,
ডিপার্ট মেন্টের ল্যাব এ বসে যেখানে পোলাপাইন ফেইসবুকিং করে সেখানে তারা ধুমাইয়া জার্নাল নামাতেন, আর শয়নে স্বপনে অমুক
ডিপার্ট মেন্টের মিস জরিনা সুন্দরীর সাথে ডেটিং মারার স্বপ্নে দেখার বদলে ইউ এস এর টপ রেঙ্কড ইউনিভার্সিটির কোন ল্যাব এ
কাজ করতেছেন এই স্বপ্ন তারা দেখতেন। সুতরাং তারা এই ধাপ না পড়লেও পারেন। কারণ, আপনারা চাইলেই বিশাল মহাকাব্য লিখে
ফেলতে পারেন। সমস্যা হল আমাদের মত ফাকিবাজ ছেলে-মেয়েদের জন্য যারা সারাজীবন পিছনের দরজা দিয়া ক্লাশ পালাতো, ক্লাশ
টেস্ট পাশের ছেলের থেকে দেখে দেখে দিত, কিংবা পি এল এ কোনমতে কুপিয়ে একপ্রকার সম্মানজনক রেজাল্ট অর্জ ন করত।
আমাদের একরকম প্রথাগত ভাবেই চাপাবাজি করতে হবে যার নমুনা নিম্নরূপঃ
At KUET, I was introduced to the great sphere of mechanical engineering. I was taught several
fundamental courses that gave me comprehensive knowledge in each of the fields. During my sophomore
and junior years, I found myself becoming more and more interested in mechanical designing, production
technology, material science and automobile engineering. Besides, the things that interested me most
were the projects conducted by the seniors of our department. I saw them working for hours in the labs;
they always tried to come up with a solution and implemented their ideas into practice. I volunteered
them every 
now and then, and hoped to develop myself to be a keen researcher like them. During my undergraduate
project, I had to encounter a challenging project on the “Design and Construction of a Briefcase Body by
Die Casting” under the supervision of Dr. Md. Syed Ali Molla. I had to design the die, design the plastic
melting chamber, set up the process to make the desired products. As it was beyond any conventional
process, it was hard for me to find such relevant references. I had to fix all the design parameters on my
own. However, the most challenging task was to design and construct the melting chamber. My
teammates and I 
re-designed the melting chamber for plastics and implemented some innovative techniques to prevent
casting defects. We were able to make the desired product but there were some defects in it. So our job
was to study about those defects and suggest the proper techniques to prevent them. My project work
was highly admired by my supervisor, and he encouraged me a lot to be engaged in research activities in
the future.Highly inspired by my professors and friends, I started to visualize myself as a research
professional. I evaluated myself in a different way and tried to figure out the specific fields in which I
could do excellent research activities in the future.
চাপাবাজির নমুনা ত দেখলেই। আতেল লোকজন বাদে আমাদের মত ম্যাঙ্গো জনতা ওই পি এল কুপিয়ে পাশ করার মতই থিসিস এর
কাজ করে। তাই থিসিস এর সামান্য কাজরেও ইলাস্টিক এর মত টেনে লম্বা করতে হবে। তবে বেশি লম্বা আবার করতে যেও না,
পরে দেখা যাবে তা ছিড়ে গেছে। 

ধাপ ৬ঃ চাপাবাজী এবং সত্যবাজী


দশটা সত্যের সাথে একটা মিথ্যা মিশিয়ে দাও মিথ্যাকে সত্য বলে মনে হবে। এই ধাপে তোমাকে তাই করতে হবে। তবে এইটু কু খেয়াল
রাখতে হবে যাতে, সত্য-মিথ্যার আনুপাতিক মিশ্রণে সত্যের পরিমাণ একটু বেশিই হয়। অনেকেই হয়ত অতি আতলামীর কারণে
বলবে, ব্যাটা এত চাপাবাজী করিস না। চাপাবাজী করতেই পার, আমার নিজের প্রফেসর এর সাথেও আমি SOP এর ব্যাপারে
একবার কথা বলেছিলাম। ওনারা যখন ছাত্র ছিলেন ওনারাও কিঞ্চিৎ চাপাবাজী করতেন। সুতরাং নো চিন্তা ডু চাপাবাজী। আমার
সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ছিল নিম্নরূপঃ
During my 3rd year, I helped one of my seniors in doing some experiments in metallurgy lab. The
research work was about analyzing the material fatigue and I did hardness testing of the given
specimens. That work helped me to learn about the fatigue failure of metals. I was always looking for an
opportunity to work in similar research project. Finally, I got a chance to work with one of my mentor Mr.
Riaz Uddin Ahmed, assistant professor of Department of Mechanical Engineering, on Crack Propagation
Analysis. Now I am learning to use Cohesive Zone Modeling (CZM) approach in ANSYS. We will use this
technique to investigate crack propagation. I believe with our hard work and devotion, we will make a
good progress towards our goal.

ধাপ ৭ঃ যখন তু মি ডোর টু ডোর স্যালসমেন


তোমার যাবতীয় আয়োজন শেষ। এখন তু মি সবার আগে দরজায় কড়া নাড়ানোর মত বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় টোকা দিবা, কেন
তু মি আসতে চাইছ? দরজা খুললেই যেমন অপিরিচিত কাউকে দেখলে বলি, কি চাই, কাকে চাই, কেন চাই? ঠিক এই ধাপে তোমাকে
একইভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে হবে। প্রথমেই বলতে হবে কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়? তারপর কার সাথে কাজ করতে চাও? কেন
কাজ করতে চাও? এই প্রশ্নের উত্তরগুলো খুব ভালোভাবে দিতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তীরে এসে তরী ডু বানোর মতই সবাই এই
জায়গায় ভূ ল করে থাকে। অনেকেই দেখা যায়, স্পেসিফিক কোন রিসার্চে র বিষয় উল্লেখ না করে খুবে জেনারেলাইজ করে ফেলে।
যেইটা কখনই করা উচিত না। চাইলে নিচের উদাহরণ দেখতে পারঃ
I had a plan to pursue my higher studies in USA as it not only provides the best environment 
for studies, but also has a lot of researchers available to collaborate with in several fields of Mechanical
Engineering. I started looking for scope and found that the “University of North Dakota” is renowned for
its tremendous graduate programs and prominent research facilities. I have made contact with Dr.
Matthew Cavalli, Associate Professor and Chair Department of Mechanical Engineering, to look for any
opportunity to work with him. I have made a detailed investigation about his current work on diffusion
bonding of metals. His current work on diffusion bonding made me interested to work with him.
Moreover, my intention to work with him got higher when I came to know about his past research work
on Cohesive Zone Modeling of Structural Joint Failure. I believe that we will make a best research 
team together and our work will provide remarkable contributions in the field of materials 
science.

ধাপঃ৮ উপসংহার
এই ধাপে তোমার আর বিশেষ কিছু বলার নেই। তু মি মাস্টার্স না পিএইচডি করতে চাও তা জানিয়ে বলে দিবে আমি এইখানে আসতে
পারলে নিজেরে ধন্য মনে করব ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে ফকীরের মত আবার হাত বাড়িয়ে দিও না যে আমার ফান্ড লাগবেই, বিষয়টা
আসলে শোভনীয় দেখায় না। কেননা তোমার যোগ্যতা যদি থাকে আর ভাগ্য যদি সহায় হয় তাহলে তু মি ফান্ড অবশ্যই পাবে। 

মোরাল অফ দা স্টোরীঃ
মাঝে মাঝে নিজের ঢোল নিজেরেই পিটাইতে হয়। কেননা যত ভাল ঢোল বাজাতে পারবা তত ভাল ফান্ড পাবা।

You might also like