You are on page 1of 1

২১/০৬/২০১৯ বরাবর,

অফিসার ইনচার্জ , শ্রীমঙ্গল মডেল থানা,


শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।

বিষয়ঃ সাধারণ ডায়েরি করার জন্য আবেদন।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী তানভীর আহমেদ গত ২২/০৬/২০১৮ইং তারিখযুক্ত নিবন্ধিত নিকাহ মূলে মোছাঃ তানিয়া
আক্তার, পিতাঃ হেলাল উদ্দিন ভূঁ ইয়া, মাতাঃ আনোয়ারা বেগম, গ্রামঃ চাপুইর, পোঃ ভাতশালা, উপজেলা ও জেলাঃ ব্রাহ্মনবাড়িয়া এর সাথে
উভয় পক্ষের অভিভাবকের সম্মিতিতে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। এখানে উল্লেখ্য যে বিগত ০১/০৫/২০১৮ ইং তারিখ আল-
মানার হাসপাতাল, মোহাম্মদপুর, ঢাকায় আমার মায়ের মেরুদন্ড(স্পাইনাল কড) অপারেশন হয়। সফলভাবে অস্ত্রোপাচারের পর ০৫/০৫/২০১৮
ইং তারিখে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এবং চলাফেরার উপর ৩ মাস কঠোর নিয়ম কানুনের মধ্যে থাকার পরামর্শ প্রদান করেন হাসপাতালের ডাক্তার।
এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমাদের পারিবারিক জীবন অচলবস্থার সৃষ্টি হয়, ফলশ্রুতিতে আমি জরুরি ভিত্তিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিবাহের
পূর্বে কনে পক্ষকে মায়ের অসুস্থতা ও আমাদের পারিবারিক অচল অবস্থার কথা বিস্তারির জানানো হয়। সকল বিষয়াদি জেনে পরিবার পরিচালনা
ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কনে নিজে নিতে পারবে বলে সম্মত হয়। বিবাহের পর হইতেই আমার স্ত্রী মোছাঃ তানিয়া আক্তার আমার মায়ের সেবা
করতে অনিহা প্রকাশ করে। অধিকন্তু মায়ের সহিত চরম দূর্ব্যাবহার এবং পারিবারিক দায়িত্ব নিতে টালবাহানা শুরু করে। এবং বেশির ভাগ সময়ই
সে তার বাবার বাড়িতে আমার অনিচ্ছায় অবস্থান করে। যাহার ফলে আমার পরিবারে অচলবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রায় সময়ই আমাকে আলাদা বাসা
নিয়ে থাকার জন্য ও আমার বেতনের সম্পূর্ণ টাকা তার হাতে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং দূর্ব্যাবহার শুরু করে। এ বিষয়ে তাকে অনেক
বোঝানো ও অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনরকম আশানুরূপ ফল হয় নি বরং সে দিন দিন বেপোরোয়া হয়ে ওঠে। বিগত ১৭/১২/২০১৮ ইং তারিখে
আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বড়ভাই মোঃ শাহ আলম ও ফু ফাতভাই মোবারক মিয়া ২২/১২/২০১৮ ইং তারিখে রেলযোগে (কালনী ট্রেনে) তাকে
নিয়ে যায়। যাওয়ার পর থেকে আমার স্ত্রী মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে। এরপর ১৯/১২/২০১৮ তারিখে আমার শাশুরী আনোয়ারা বেগম আমার
সাথে ফোনে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে, যার ফলে আমি অসুস্থ বোধ করি এবং পরবর্তী দিন ২০/১২/২০১৮ ইং তারিখে আমি প্রচন্ড বুকে ব্যাথা
নিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমপ্লেক্স যাওয়ার পর তাৎক্ষনিক ভাবে হাসপাতালের এম্বুলেন্সের মাধ্যমে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
জেলা সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে রেফার করেন। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর
বাসায় আসি। আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে আমার স্ত্রী আজ পর্যন্ত আমাকে দেখতে আসেনি এবং অনেক চেষ্টা করেও তাকে আমার বাসায়
আনতে পারিনি। সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। আলাদা বাসা না নিলে সে আমাদের বাসায় আসবেনা বলে জানায়। একপর্যায়ে সে
তার পরিবারকে জানায় স্বামীর গৃহে যেতে বাধ্য করলে সে আত্নহত্যা করবে। অবগত হইতে পারি যে বিগত ২৯/০৪/২০১৯ ইং তারিখে পেশেন্ট
কেয়ার শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল, বি বাড়িয়াতে আমাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। অতি দুঃখের সহিত জানাইতেছি যে, তাহার বিভিন্ন
ধনের হুমকির ফলে আমাদের পরিবারের সবাই ভয়ে আতংকগ্রস্থ হয়ে আছি। আমি বা আমার পরিবারের কেউই আমার শিশু সন্তানকে তাহার
বিভিন্ন হুমকির ভয়ে দেখতে যেতে সাহস হয়নি । গত ১৫/০৬/২০১৯ ইং তারিখে তাদের বয়জ্যাষ্ঠ আত্নীয় জনাব খায়ের সাহেবের সাথে বি
বাড়ীয়ার শহরে পুনিয়াউট নামক স্থানে, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল সাহেবের বাসায় এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে উভয়পক্ষের
অভিভাবকবৃন্দ আলোচনায় বসেন যা ছিল উভয় পক্ষের মধ্যে হওয়া ৪র্থ বৈঠক। সমাধান না হওয়ায় আলোচনা শেষে আমরা চলে আসার পথে
তার ভাই শেরে আলম শামীম, তার বড় দুলাভাই ফারুক উদ্দিন ভূঁ ইয়া ও ফু ফাত ভাই মোমাবরক মিয়া আমাদেরকে নারী নির্যাতন, যৌতু ক
চাওয়া ইত্যাদিসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসায়া দেয়ার হুমকি প্রাদান করে। বর্ত মানে আমরা আতঙ্কগ্রস্থ অবস্থায় দিনাতিপাত করছি।

অতএব, বিষয়টি আপানার থানায় সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথীভু ক্ত করার জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ জ্ঞাপন করা হলো।

নিবেদক,

______________

(তানভীর আহমেদ)

পিতাঃ তাজুল ইসলাম

মাতাঃ মোছাঃ হেলেনা পারভীন

মুসলিমবাগ আ/এ, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।

মোবাঃ ০১৮৩৩-৯৯২১২২

You might also like