Professional Documents
Culture Documents
) January 1, 1970
) January 1, 1970
স াদকীয়
] January 1, 1970 |
এিশয়ার সবেচেয় বড় ব- ীপ
অ ল এবং পৃিথবীর
সবেচেয় ঘন জনব ল দশ
িহেসেব বাংলােদশ
কৗশলগতভােব কৃিষর জন
খুবই উপেযাগী। কৃিষিভি ক
সমাজ ও অথনীিতর ওপর
িনভর কের একসময় এেদশ
িছল স দ ও াচুেয
ভরপুর। যুেগর পর যুগ
কৃিষই আমােদর অথনীিতর
মূল উপজীব । নানা সমেয়
কৃষেকরা িনযাতন ও ব নার িশকার হেলও, বাংলার কৃষক তার পশার সফলতা অজেন খুব কমই
পরা হেয়েছন। াকৃিতক েযাগ, যু িব হ, লু ন, পাকামাকেড়র আ মণ ইত ািদ নানা
িতকূলতার মেধ ও কৃষক তার শস -আবাদ ও তার ফলন িনি ত কেরেছন।
একথা যখন বলিছ, তখন পৃিথবীজুেড় কেরানা মহামারীর িব ে সকল জািত- গাি যু করেছ। এ
এক নতুন ধরেনর যু । আমরা এ যুে র িভ একিট চহারা আপনােদর সামেন তুেল ধরিছ, আর
সটা হেলা: পৃিথবীজুেড় মানুেষর খাবােরর সং ােনর যু । ধনী হাক আর গরীব দশ হাক
দীঘেময়ােদ খাবােরর চািহদা পূরণ কীভােব হেব তা অিনি ত। দীঘ অব জীবনযাপন এবং
ম-অবনিতশীল া পিরি িত পৃিথবীজুেড় নতুন এক সংকেটর সূচনা করেব। আর সিট হে
িতিদেনর খাবার েট মৗিলক খাদ তািলকার খাবােরর অভাব। এমন হেত পাের, অথ আেছ,
স দ আেছ িক খাবার নই।
এেদেশর মানুেষর ধান খাদ ‘ভাত’, আর যুগ যুগ ধের বাঙািলর ধান উৎপািদত শস ‘ধান’।
এখেনা ধান চােষ াম বাংলার ৪৮ ভাগ মানুেষর কমসং ান হয়। বাংলােদেশর িজিডিপেত
কৃিষখােতর য অংশ হণ তার অেধক এবং জাতীয় আেয়র ছয়-ভােগর এক-ভাগ আেস ধান থেক।
দেশর ১ কািট ৩০ লাখ পিরবার িতবছর ১ কািট ৫ লাখ হ র একর জিমেত ধান চাষ করেছ।
ধান উৎপািদত জিমর এ পিরমাণ গত ৫০ বছের সামান একটু কমেলও, সুখবর হে দেশ
সামি কভােব ধান উৎপাদেনর পিরমাণ বেড়েছ। ১৯৭১-৭২ সােল ধান উৎপাদেনর পিরমাণ িছল
ায় ১ কািট ০৯ লাখ টন, যা ২০০৯-১০ সােল ৩ কািট ৩৮ লাখ টন, ২০১৪-১৫ সােল ৩
কািট ৪৭ লাখ টন এবং ২০১৮-১৯ সােল এেস হেয়েছ ৩ কািট ৮৬ লাখ টন।
বাংলােদেশ আউশ, আমন ও বােরা, িতনিট সময়চে এ িতন ধরেনর ধােনর চাষাবাদ হয়। কৃিষ
স সারণ অিধদ েরর তথ অনুযায়ী, বাংলােদেশ ২০১৮-১৯ সােল ২ দশিমক ৪ কািট টন
বােরা ধান, ১ দশিমক ৫৩ কািট টন আমন ধান এবং ২৯ দশিমক ২ লাখ টন আউশ ধান
উৎপািদত হেয়েছ।
ধান ছাড়াও জিমেত উৎপািদত কৃিষ পেণ র মেধ সবিজ উৎপাদেনও কৃষেকর সফলতা
শংসােযাগ । ২০০৯-১০ সােল ১ কািট ২৫ লাখ টন সবিজ উৎপািদত হেয়িছল, যা ২০১৮-১৯
সােল হেয়েছ ১ কািট ৭২ লাখ টন। ধান এবং সবিজ েটাই দেশর অভ রীণ চািহদার চেয়
অেনক বিশ উৎপািদত হেয়েছ। সামি কভােব খাদ শস উৎপাদেনর িহসাব করেল দখা যায়,
২০০৬ সােল ২ কািট ৬১ লাখ টন খাদ শস উৎপািদত হেয়িছল, যা ২০১৮-১৯ সােল বেড়
হেয়েছ ৪ কািট ৩২ লাখ টন। ১২ বছের ায় ি ণ। এ অজন কৃষেকর, এ সফলতা কৃিষর, এ
িবজয় িচরায়ত কৃিষ িনভর বাঙািল সমােজর।
ডভেরেসান া িল- একিট জাতীয় উ য়ন গেবষণা সং া, গত এি ল ২০২০ এ দেশর ৮িট
িবভােগর ২৫িট জলা থেক একশ-একজন ধান চােষর সে সরাসির যু া বয় কৃষকেদর
সে িবশদ সা াৎকার হেণর মাধ েম একিট গেবষণা কায ম পিরচালনা কেরেছ। উে শ িছল,
কৃিষ উৎপাদন ও বাজারজাতকরেণ এবং ধানচাষীেদর পািরবািরক অথনীিতেত কিভড-১৯
মহামারীর ভাব িচি ত করা। এছাড়া, কৃষকেদর সমস ার সমূহ এবং কৃিষর স াবনােক
িবে ষণ করাও গেবষণার আওতাভু িছল।
গেবষণািট মূলত ণগত এবং পিরমাণগত উভয় প িত ব বহার কের পিরচািলত হেয়েছ।
পিরমাণগত প িতর খানা জিরপ করার ে দেশর সকল িবভাগ ছাড়াও, সকল কৃিষ-
পিরেবশগত অ ল- যমন, উপকূল, হাওড়, চর, পাবত অ ল ইত ািদেক িবেবচনায় িনেয় করা
হেয়েছ। নারী, পাহাড় ও সমতেলর আিদবাসী, দিলতসহ িপিছেয় পড়া জনেগাি র অংশ হণও
িনি ত করা হেয়েছ। ানীয় পযােয় স দ-ব ি , কাথাওবা ানীয় িত ােনর সহায়তায়
উ রদাতা কৃষকেক িচি ত করা হেয়েছ। এরপর িচি ত কৃষেকর সে মাবাইল ফানাালােপর
মাধ েম তথ সং হ করা হেয়েছ।
https://bonikbarta.net/home/news_description/230531/কেরানাকােল-বাংলার-কৃষক-এবং-কৃিষর-স াবনা- 2/9
5/24/2020 কেরানাকােল বাংলার কৃষক এবং কৃিষর স াবনা
এ গেবষণায় দখা গেছ য, মাট কৃিষ জিমর ই-তৃতীয়াংশ (৬৬ শতাংশ ) িনজ জিম, আর
বািক এক অংশ (৩৪ শতাংশ ) জিম তারা বগা, িলজ বা হাির িহেসেব অন কােরা কাছ থেক
ফসল ভাগাভািগ বা টাকার িবিনমেয় িনেয় থােকন। মাট কৃষেকর অেধেকর বিশ (৫১ শতাংশ )
কৃিষ উৎপাদেনর জন অেন র কাছ থেক এ বগা/িলজ নন। ৭ শতাংশ পিরবােরর িনজ কােনা
কৃিষ জিম নই, তারা পুেরাটাই বগার ওপর িনভরশীল।
মাট কৃিষ জিমর ায় ই-তৃতীয়াংশ (৬৫ শতাংশ ) জিমেত কৃষকরা ধান চাষ কেরন। মাট
কৃষেকর এক-তৃতীয়াংেশর বিশ (৩৮ শতাংশ ) কৃষক ৫১ শতক থেক ১ একর জিমেত ধান চাষ
কের থােকন। ১০ থেক ৫০ শতক জিমেত ১১ শতাংশ, এক থেক দড় একর পয জিমেত ১৮
শতাংশ, দড় থেক ২ একর পয জিমেত ১৬ শতাংশ, ২ থেক ৩ একর পয জিমেত ৭
শতাংশ, ৩ থেক ৫ একর পয ১০ শতাংশ এবং বািক ৩ শতাংশ কৃষক ৫ একেরর বিশ
জিমেত ধান চাষ কের থােকন।
https://bonikbarta.net/home/news_description/230531/কেরানাকােল-বাংলার-কৃষক-এবং-কৃিষর-স াবনা- 3/9
5/24/2020 কেরানাকােল বাংলার কৃষক এবং কৃিষর স াবনা
গত আউশ, আমন ও বােরা এ িতন মৗসুেম ধােনর উৎপাদন িবে ষণ কের দখা গেছ য, গত
বছর (২০১৯-২০২০) কৃষকরা গেড় িত শতেক ১৭ কিজ ধান উৎপাদন কেরেছন। যা হ র িত
িহসাব করেল দাঁড়ায় ৪ দশিমক ১২ টন।
এসব কৃষেকর মাথািপছু গড় ধান উৎপাদেনর পিরমাণ িছল ২ দশিমক ৭৯ টন। বাংলােদেশ িতন
ধরেনর ধােনর মেধ বােরা ধােনর উৎপাদন সবেচেয় বিশ। গেবষণাভু কৃষকেদর মাট
উৎপািদত ধােনর ায় ই-তৃতীয়াংশ (৬১ শতাংশ ) বােরা, এক তৃতীয়াংেশর বিশ (৩৬ শতাংশ )
আমন এবং মা ৩ শতাংশ আউশ ধান উৎপাদন কেরেছন।
ধান ছাড়া এ কৃষকরা তােদর কৃিষ-জিমেত অন ান ফসলও ফিলেয় থােকন। জিমেত কােনা না
কােনা সবিজর চাষ কেরন ৭৮ শতাংশ কৃষক। ২৬ শতাংশ কৃষক জিমেত পাট চাষ কেরন। ১২
শতাংশ কৃষক জিমেত মােছর চাষ কেরন, ায় সম-পিরমাণ কৃষক সিরষা, ডাল এবং রসুন
উৎপাদন কেরন। বাদাম এবং সয়ািবন উৎপাদন কেরন ১০ শতাংশ ; ভু া ৫ শতাংশ ; আম ৪
শতাংশ , িপয়াজ ৪ শতাংশ , িতল ৩ শতাংশ , পান উৎপাদন কেরন ৩ শতাংশ কৃষক এবং
এছাড়াও িকছু কৃষক তােদর জিমেত অন ান ফল ও ফুেলরও চাষ কের থােকন। তেব ১২ শতাংশ
কৃষক ধান ছাড়া অন কােনা কৃিষজ কােজ তােদর জিম ব বহার কেরন না।
কেরানাপূবকােল কৃষেকর সমস া:
যুগ যুগ ধের কৃষেকর সমস া কী িছল: উৎপাদন উপকরেণ মািলকানার অভাব। ভাল বীেজর
িন য়তা নই, ফসেলর ন ায মূল না পাওয়া আর সার, কীটনাশক, বীেজর দাম বিশ। তার সে
িছল মৗসুেম সেচর পািনর অভাব আর াকৃিতক েযাগ। আজও স সমস ার কতটুকু
সমাধান হেয়েছ? এ গেবষণায় দখা গেছ, কৃষেকর এ দনি ন সমস ার কােনা সমাধান হয়িন।
উপর , কােনা কােনা অ েল মৗসুেম কৃিষ িমেকর অভাব দখা িদে । বেড়েছ ধােনর িবিভ
রাগ। হাইি ড জােতর আিবভােব কৃষক হািরেয়েছ দিশ-জােতর বীজ। জিমদার বা গািতদারেদর
েল িমল-মািলক বা বাজােরর বড় ব বসািয়রা িত ািপত হেয়েছ। মধ েভাগীরা কৃষক ও
তার মাঝখােন য দয়াল তুেল রেখিছল তা অদ াবিধ অিবচল।
এ গেবষণায় দখা গেছ য, সচরাচর কৃষকরা তােদর কৃিষপণ উৎপাদন, সংর ণ ও
বাজারজাতকরেণর ে য সম সমস ার মাকািবলা কের থােকন স েলার মেধ উে খেযাগ
হে - াকৃিতক বিরতা। যিদও গতবছর দেশর বিশরভাগ অ েল ভােলা আবহাওয়ার কারেণ
কৃষকরা অন ান বছেরর তুলনায় ভােলা ফলন পেয়েছন। তথািপ কােনা কােনা অ েল ধান
কাটার সমেয় হঠাৎ বৃি বা বন া হেয়েছ, আর ২২ শতাংশ কৃষক এটােক তােদর সমস া িহেসেব
িচি ত কেরেছন। গেবষণায় দখা গেছ য, এেদর মেধ ঢাকা ও রাজশাহী িবভােগর কৃষকেদর
কােছ এ সমস াটা সবেচেয় বিশ, যথা েম ৮০ শতাংশ ও ৫৪ শতাংশ । এছাড়া বন া, িশলাবৃি ,
অিত-কুয়াশার মেতা াকৃিতক েযাগ েলােক ১৯ শতাংশ কৃষক সমস া িহেসেব িচি ত
কেরেছন।
আবার ১২ শতাংশ কৃষক যারা সবিজ চাষী, তারা বেলেছন অিত-বৃি র ফেল সবিজ েত পািন
জেম যাওয়ায় সবিজ ন হেয়েছ। এছাড়া ২ শতাংশ কৃষক জািনেয়েছন, ধান কােনার সময়
অিধক বৃি পােতর ফেল তােদর ধান ন হেয়েছ।
কৃিষ উপকরেণর একিট পূণ অনুসংগ হেলা বীজ। উ তমােনর বীেজর সংকটেক একিট
পূণ সমস া িহেসেব িচি ত কেরেছন ১৬ শতাংশ কৃষক। এছাড়া, সার ও কীটনাশেকর
উ মূল এবং মানস ত সার ও কীটনাশেকর অভাব বাধ কেরেছন ১২ শতাংশ এবং সময়মেতা
সার ও কীটনাশক কনার সামথ না থাকার সমস ােক িচি ত কেরেছন ৯ শতাংশ কৃষক।
যথাসমেয় িমেকর াপ তা ও সহজলভ তা কৃষেকর আর একিট বড় িচ ার কারণ। িবেশষ কের
ধান কাটার সমেয় িমক সংকেট ভুেগ থােকন; ১৩ শতাংশ কৃষক এিটেক সমস া িহেসেব িচি ত
কেরেছন। ধানকাটার িমেকর মজুির মূল বেড় িগেয়িছল বেলেছন আেরা ১১ শতাংশ ।জিম চাষ
ও ধান রাপেণর সময় িমক সংকেটর মাকােবলা কেরেছন ৭ শতাংশ । এছাড়া কােনা কােনা
এলাকায় সেচর পািনর সংকট, জিম চােষর জন া েরর অ তুলতা ইত ািদ সমস ােকও তারা এ
গেবষণার মাধ েম িচি ত কেরেছন।
ফসল কাটেত পারেলই কৃষেকর কাজ শষ হয় না, এরপর হয় সই ফসল মাড়াই করা, রােদ
কােনা, সংর েণর ব ব া এবং শেষ বাজাের তা িবি করা। ১৫ শতাংশ কৃষক বেলেছন তারা
গতবছর ফসেলর ন ায মূল পানিন, ১০ শতাংশ কৃষক বেলেছন তােদর ফসল সংর েণর
জায়গার অভাব িছল।
উে িখত সমস া েলােক আপাতদৃি েত সরল মেন হেলও এসব সমস ার গভীরতা ও ব াপকতা
অেনক। আমােদর রেয়েছ কাঠােমাগত অেনক সীমাব তা, যমন, বগাচাষী যারা আেছন তােদর
উৎপািদত ফসেলর ব ন ব ব ার িট, বীেজর জন কৃষেকর বাজােরর ওপর িনভরশীলতা, ফসল
সংর েণ যুি র অভাব, পুঁিজর সংকট ইত ািদ। এরকম হাজােরা কারেণ আমােদর কৃষক
িদেশহারা। আর এর সে এখন গােদর ওপর িবষেফাঁড়ার মেতা যু হেয়েছ কেরানাকালীন
অথেনিতক অচলাব া।
কেরানাকােল কৃষেকর কৃিষ- িত:
এ গেবষণার মাধ েম জানার চ া করা হেয়েছ, কেরানার লকডাউেনর ফেল কৃিষপেণ র উৎপাদন,
ফসল সং হ, সংর ণ ও বাজারজাত করেণর ে তােদর কান ধরেণর িত হেয়েছ। এটা
য, ধানচাষী কৃষকেদর একিট বড় অংেশর এখন বােরা ধান কাটার মুহূত এসময় ধানচাষীেদর
https://bonikbarta.net/home/news_description/230531/কেরানাকােল-বাংলার-কৃষক-এবং-কৃিষর-স াবনা- 5/9
5/24/2020 কেরানাকােল বাংলার কৃষক এবং কৃিষর স াবনা
জন েয়াজন কৃিষ িমেকর সরবরাহ। এ মুহূেত কৃষক কােনা াকৃিতক বিরতার মুেখামুিখ নয়।
চমৎকার আবহাওয়া, এমনিক তুলনামূলকভােব গতবছেরর তুলনায় দেশর কােনা কােনা অ েল
ধােনর ফলন ভােলা হেয়েছ। কেরানার জন জাতীয় ছুিট ঘাষণা করায় শহেরর মজীবী মানুেষর
একিট বড় অংশ ােম অব ান করেছন। কৃষকরা আশা করেছন, এর ফেল ােমর অভ ের কৃিষ
িমক এবার সহজলভ হেব। অবশ কােনা কােনা জলায় মৗসুিম িমেকর সংকট তির হেয়েছ
বেল ধানচাষীরা বেলেছন। ফেল ধােনর েত এ মুহূেত কেরানার ভাব খুব বিশ না থাকেলও
কৃিষর অন যমন, সবিজ, ফল, ফুল, মাছ, গবািদপ -পািখ ইত ািদ চাষাবাদ বা পালেন
কেরনাকােলর ভাব হেয় উেঠেছ। ৯০ শতাংশ কৃষক বেলেছন কেরানার কারেণ তােদর কৃিষ
িতর মুেখ পেড়েছ।
এ গেবষণায় কৃষকরা কেয়কিট তাৎ িণক সমস ােক িচি ত কেরেছন। ৭৮ শতাংশ কৃষক তােদর
উৎপািদত সবিজ, মাছ, ধ, িডম, এমনিক পাি বাজারজাত করেত সমস ায় পেড়েছন। পিরবহন
ও হাট-বাজার সীিমত হওয়ায়, খুব কমই বাজাের িনেত পারেছন। ৩৮ শতাংশ কৃষক বেলেছন
বাজের যতটুকু কৃিষপণ যাে , তার সিঠক দামও পাে ন না এমনিক িবি ও হে না। ব ন,
শসা, িশম ও আলুর মেতা সবিজ িবি েত কৃষকেক সবেচেয় বিশ লাকসান ণেত হেয়েছ। ব ন
ও শসা ৫ টাকা কিজ দের, টেমেটা ৮ টাকা কিজ দের িবি করেত বাধ হেয়েছন অেনক কৃষক।
এমনিক িবি না করেত পের, সজিবেক প র খাদ িহেসেব ব বহার করেছন অেনেক। অেনেক
আবার েতই ফেল এেসেছন।
এ গেবষণায় কেরানার কারেণ সৃ আিথক অচলাব ায় কৃষেকর বতমান আিথক িত িবে ষণ
কের দখা গেছ য, এখন পয পিরবার িত কৃিষেত িতর পিরমাণ ১৯ হাজার ৮ শত ৫৩
টাকা, যা তােদর পিরবােরর বািষক আেয়র ১০ দশিমক ৫ শতাংশ । এছাড়া, স াব িতর
সমূহ িবে ষণ কের দখা গেছ য, বাজার এবং পণ -সরবরাহ বা যাগােযাগ ব ব া পূণ েপ
সচল হেত যিদ আেরা ৩-৪ মাস সময় লােগ, তাহেল ধু কৃিষখােত পিরবার িত স াব িতর
পিরমাণ দাঁড়ােব গেড় ৭৩ হাজার ১০০ টাকা, যা তােদর পিরবােরর বািষক আেয়র ৩৯ শতাংশ ।
হাটবাজার ব থাকায় এ মুহূেত কৃিষ ব ব াপনা চইন পূণ েপ কাজ করেছ না। এ অব ায়
একিদেক যমন উৎপািদত পেণ র বাজরজাতকরেণ সমস ার সৃি হে , অপরিদেক উৎপাদন
উপকরণ যমন-বীজ, গা-খাদ , সার, কীটনাশক ইত ািদর াপ তাও বাধা হে । কৃষকরা
আশংকা করেছন, পণ পিরবহণ ও হাট-বাজার সীিমত হওয়ায়, কৃিষ উপকরণসমূেহর মূল বৃি
পােব এবং তােদর য় সামথ ও সুেযাগও কেম যােব। কেরানাকােলর ভাব কৃষেকর সে সে
অন পশাজীবীেদর জীিবকার েলােত য সংকট তির করেব, তার ফেল ানীয় বাজাের
কৃিষ পেণ র চািহদা কমেব, ফেল দামও কেম যেত পাের। (পরবতী পেব সমাপ )
গেবষণা উপেদ া: আফসান চৗধুরী- গেবষক, লখক ও সাংবািদক
লখক:
আরও পড়ুন