You are on page 1of 2

দাওয়াত পত্র

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

আস সালামু আলাইকু ম।

সকলে রমজানের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা, মায়ার ভাষা। নবীগণকে(আ) তাঁদের স্ব স্ব মাতৃ ভাষায়
দাওয়াত দিতে বলা হয়েছিল। কারণ সত্যের পূর্ণতা ও মিষ্টতা আস্বাদন নিজ ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষায় সম্ভব নয়।


"সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।" আমরা কি সত্যকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত
নই? সত্যের সাথে যাদের পরিচয় ঘটেছে তাদের একে আঁকড়ে ধরতে দেরি কেন ভাই? আমাদের রব স্বস্নেহে আলোড়িত করে
বলেন, "বস্তুত আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে।
কাজেই আমার হুকু ম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্ত ব্য। যাতে তারা সৎপথে

আসতে পারে।

নাফরমানির সাগরে ডু বে থাকার পরও পরম প্রিয় রব আমাদের সোহাগ দিয়ে চলেছেন অবিরত এবং অনন্তকাল তিনি তাঁর
আদরের আঁচলে আমাদের জড়িয়ে রাখতে অতি উৎসুক । অথচ আমারা অকৃ তজ্ঞ, আমাদের ধন-প্রাণ, মন-জ্ঞান, উপায়-
উপকরণ সবই ধোঁকাবাজি ও অসারতার আবর্তে বৃথাই ক্ষয় করছি। দয়াময় প্রভু ডেকে বলেন, "তাদের জন্য কি আল্লাহর

স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তার কারণে হৃদয় বিগলিত হওয়ার সময় আসেনি?" এক অন্তঃকরণে এক পবিত্র নূরের
জায়গা না হওয়ায় হাজার কূ ট ও কষ্ট বাসা বেঁধেছে। ভেবে দেখেছি কি দুনিয়ার সাজঘরে পরম প্রিয়ের জন্যে নিজেকে
সাজানো বৈ কোন কাজ থাকতে পারে না? আমাদের অপেক্ষা তো এটারই যে প্রভু র পক্ষ থেকে বলা হবে, "হে প্রশান্ত মন,

তু মি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।"

ভালবাসার কাঙ্গাল পথহারা বান্দাদের আল্লাহ পাক ডেকে বলেন, "(হে নবী আপনি) বলুন, তোমরা যদি আল্লাহর প্রতি
ভালবাসা পোষণ কর, তবে আমার (রসূল) অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা

করে দিবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।" অনুসরণ ও আনুগত্য এটাই তো মহব্বতের দাবী। "যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং

সৎকর্ম সম্পাদন করে তাদেরকে দয়াময় আল্লাহ ভালবাসা দিবেন।" সুতরাং স্রস্টার ভালবাসা বিশ্বাসী ও সৎকর্মীদের জন্য।
আর "সৎকর্ম হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহ্‌র উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-
রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্মীয়-স্বজন, এতিম-মিসকিন, মুসাফির, ভিক্ষু ক ও মুক্তিকামী
ক্রীতদাসদের জন্য। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃ ত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে,

রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণকারী, তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেজগার।"

এবার বিশেষভাবে লক্ষ্য করুন আল্লাহর পথভোলা বান্দারা। সৃষ্টির মধ্যেই স্রষ্টার পরিচয়। চিন্তাশীলদের জন্যই তো সৃষ্টির মধ্যে
এত কারুকার্য, এত কলাকৌশল। যারা রয়েছেন এখনও সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের দলে, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রভু বলেন,
"অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং
প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? আমি পৃথিবীতে ভারী বোঝা
(পর্বতমালা) রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে এবং তাতে প্রশস্ত পথ রেখেছি, যাতে তারা পথ প্রাপ্ত
হয়। আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে। তিনিই সৃষ্টি

করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।"

আল্লাহু রহমান, আমাদেরকে তাঁর আনুগত্য করার ও ভালবাসা লাভের তাওফিক দান করুন (আমীন)।

আল্লাহর নগণ্য এক মুসলমান বান্দা,


আহমাদ

-----------


বানী ইসরায়েল: ৮১

বাকারাহ: ১৮৬

হাদীদ: ১৬

ফাজর: ২৭, ২৮

আল ইমরান: ৩১

মারইয়াম: ৯৬

বাকারাহ: ১৭৭

আম্বিয়া: ৩০-৩৩

You might also like