You are on page 1of 4

সেরা হওয়ার জন্য তোমাকে আইনস্টাইন হওয়ার প্রয়োজন নাই; প্রয়োজন নাই তোমাকে রবিন্দ্রনাথের মত লেখক হওয়ার

অথবা গামা পালোয়ানের মত শক্তিশালী হওয়ার। জীবনের চলার পথে তোমার ইচ্ছাধীন কিছু করতে চাওয়ার
compounded effect হচ্ছে তোমার জীবনের চু ড়ান্ত ফলাফল। তোমার হাতেই তোমার জীবনের Success ।

তু মি জানো, “Slow and steady wins the race”। খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পটাও হয়ত তোমার জানা আছে। আমি সেই
“কচ্ছপের” কথা বলতেই আজ লিখছি। Please তোমার মূল্যবান সময়ের কিছুটা খরচ করে এই লেখাটা পড়।

তু মি জিতে চলেছ, তু মি best হচ্ছো, হচ্ছো সেরাদের সেরা, আচ্ছা বলত, কোনও মানুষ sucessful বা failure হওয়ার
পিছনে মূল কারনটা কি?এটা কি তার শৈশব, তার বেড়ে ওঠার ধরন, তার পরিবেশ, নাকি অন্য কিছু?

আসলে, sucess এর মূল কারন হল তার নিজের নেওয়া কিছু ছোট ছোট চয়েজ (small choices)।

এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটাই জিনিস আছে যা তু মি চাইলে পুরোপুরি কন্ট্রোল করতে পারবে আর সেটা হল তোমার চয়েজ
(your choice)। এই চয়েজগুলোই তোমার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রের ফলাফলের জন্য দায়ী।

তু মি ইচ্ছা করলেই আফিস থেকে জিমে যেতে পারো আবার সোফায় শুয়ে টিভিও দেখতে পারো। তু মি ইচ্ছা করলেই তোমার
বন্ধু র সাথে মনোমালিন্যের পরে সবকিছু ভু লে তাকে জড়িয়ে ধরতে পারো অথবা তোমার ইগোকে প্রশয় দিয়ে সেখান থেকে
চলে আসতে পারো। চয়েজটা তোমার।

এই রকম ছোট-ছোট চয়েজগুলিই তোমার জীবনের achievement নির্ধারন করে দেয়। তু মি সারাজীবন সুস্থ্য থাকবে নাকি
রোগ বয়ে বেড়াবে, তু মি একটা দীর্ঘ ও মধুর সম্পর্ক পাবে নাকি তোমার সন্তানদের কাছে জবাবদিহি করবে যে তারা কেন মা-
বাবাকে একসাথে পায়নি – এই চয়েজটাও তোমার। আমরা এই রকম ছোট ছোট চয়েজগুলোতে খুব বেশী মনযোগ দেই না
এবং realize করি না এই ছোট ছোট চয়েজের compounded effect.

একটা উদহারন দিচ্ছি –

অপু, তপু আর দীপু তিন বন্ধু । তারা তিনজনই একই রকম পরিবেশে বড় হয়েছে, একই এলাকায় থাকে আর তাদের
তিনজনের উপার্জ নও মোটামুটি একই রকম। তারা তিনজনই বিবাহিত এবং ব্যক্তিগত জীবনে কিছুটা disatisfied ।

প্রথম বন্ধু অপু একই কাজ করতে থাকল, যা সে প্রতিদিন করে। সে তার বর্ত মান কাজ নিয়ে সন্তোষ্ট কিন্তু মাঝে মাঝে অন্যের
বিষয়ে complain করে।

দ্বিতীয় বন্ধু তপু তার নিজের মধ্যে কিছু ছোট ছোট (small positive) পরিবর্ত ন আনার জন্য একটা চেকলিস্ট (check list)
তৈরী করে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করল। যেমন,

- প্রতিদিন একটা ভাল বইয়ের কমপক্ষে ১০ পাতা পড়া।


- প্রতিদিন অফিসে যাওয়া-আসার পথে ৩০ মিনিট প্ররণাদায়ক ভিডিও দেখা বা শোনা।
- খাওয়ার সময় সচেতন থাকা (জাঙ্ক ফু ড এড়িয়ে যাওয়া)
- সপ্তাহে ৫ দিন ৪০ মিনিট করে হাঁটা।
- প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার করে পানি পান করা।
- ব্যাবসায়ীক স্বার্থ জড়িত প্রতিদিন এ রকম ২/৩ জনকে ফোন করে খোঁজ খবর নেয়া।
- পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সপ্তাহে একদিন বাহিরে ঘুরতে যাওয়া এবং খাওয়া।
- প্রতিদিন সৃষ্টিকর্তার জন্য কিছুটা সময় ব্যায় করা।

তৃ তীয় বন্ধু দীপু নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে কিছু (small negative) পরিবর্ত ন আনতে শুরু করল। যেমন,

- সে বড় পর্দার একটা টিভি কনল এবং রাত জেগে টিভি দেখা শুরু করল।
- প্রায়ই সে লাঞ্চের সময় জাঙ্ক ফু ড খায়।
- কাজের চাপের অজুহাতে সপ্তাহে ৩/৪ দিন হাঁটা মিস করে।
- সময়ের অভাবে ব্যবসায়ীক বন্ধু দের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিল।
- ব্যস্ততার অজুহাতে পরিবারের সাথে বাহিরে যাওয়ার অবকাশ সে পায়না।

পরবর্তী ৫ মাস পর্যন্ত তিন বন্ধু রা আগেই মতই থাকল। এমন কি দশ মাস পরেও তেমন কোনও পরিবর্ত ন পরিলক্ষিত হল
না। কিন্তু ২৫ মাস পরে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্ত ন এসেছে আর ৩১ মাস পরে সেই আগের মানুষগুলোকে খুঁজে
পাওয়া মুস্কিল হয়ে গেল।

অপু এখন আরও বেশী complain করে। জীবনটা তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। ব্যক্তিগত জীবনে সে এখন আগের চেয়েও
বেশী অসুখী (unhappy)।

দীপু জাঙ্ক ফু ড খেয়ে আর হাঁটাহাঁটি কমিয়ে দিয়ে শরীরের ওজন অনেক বাড়িয়ে ফেলেছে। বয়স বাড়ার সাথেসাথে বিভিন্ন
রোগব্যাধী তার নিত্যসঙ্গী। ব্যবসায়ীক যোগাযোগ কম রাখায় তার ব্যাবসার পরিধি অনেক ছোট হয়ে গেছে। ফলস্বরূপ,
অর্থনৈতিক দৈন্যতা এবং পরিবারের সাথে সম্পর্ক খারাপ হতে হতে চরম (Extreme) পর্যায়ে চলে গেল।

আর তপু এই ৩১ মাসে ৩০টা ভাল বই পড়ে শেষ করেছে। ৪৩০ ঘন্টা প্রেরণাদায়ক অডিও-ভিডিও দেখে এখন আরও
বেশী উদ্দীপ্ত। পাশাপাশি তার জ্ঞান এবং বিশ্লেষনী ক্ষমতাও আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

সপ্তাহে ৫ দিন ৪০ মিনিট করে হাঁটার কারনে তার ওজন নিয়ন্ত্রনের মধ্যে আছে। সে এখনও আগের মতই স্লিম আর
হ্যান্ডসাম। প্রতিদিন অতিরিক্ত কিছু পানি খেয়ে তার শরীর অনেক সাধারন রোগের আক্রমন হতে মুক্ত।

প্রতিদিনের ২/১টা ফোনকলের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ব্যবসায়ীক বন্ধু র সাথে সে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে।

সপ্তাহের একটি বেলা সে তার পরিবারকে দিয়ে এই ৩১ মাসে ১৩৪টা পারিবারিক অনুষ্ঠান উৎযাপন করে ফেলল যাতে তার
পারিবারিক বন্ধন আরও মজবুত হল।
আশা করি তু মি এখন বুঝতে পারছ যে তোমার choice গুলো কত important, even those that seem insignificant.
when compounded এটিই তোমার জীবনের extream impact আনে. তু মি তোমার জীবনের জন্য শতভাগ দায়ী তবে
তোমার চয়েজগুলো কিছু Extarnal factor দ্বারা influenced হয়।

সাধারনত, সবার জীবনে তিন ধরনের Influence ক i জ করে -

- তোমার মনঃ (Your mind)- বলা হয়ে থাকে যে গারবেজ ইন – গারবেজ আউট। মানুষের brain তাকে সুখী
বানানোর জন্য ডিজাইন করা হয়নি, এটাকে টিকে (survive) থাকার জন্য বানানো হয়েছে। সুতরাং, তু মি যদি শুধু
টিকে থাকতে চাও, তোমার brain তোমাকে নেগেটিভ দিকে নিয়ে যাবে – অল্প পরিশ্রমে তোমাকে টিকিয়ে রাখবে
কিন্তু তোমাকে এগিয়ে দিবে না। we can’t change our DNA, but can change our behavior. তু মি প্রতিদিন যা
চিন্তা করছো, যা শুনছো, যা দেখছো, তাই তোমার brain এ process হচ্ছে।
- তোমার সঙ্গঃ(association) - সাধারনত, প্রতিদিন যে সব মানুষের সঙ্গে তু মি চলাফেরা কর, তারাই তোমার
‘রেফারেন্স গ্রুপ’। এই রেফারেন্স গ্রুপই তোমার সফলতা বা ব্যররথতার জন্য ৯৫ ভাগ নির্ধারন করে দেয়। আমরা
সে সব মানুষের সাথে সময় কাটাই, আমরা নিজের অজান্তে তাদের মত আচরন করতে থাকি এবং ক্রমশ তাদের
মত হতে থাকি। সর্বপরি, আমরা তাই করি যা তারা করে, তাই খাই যা তারা খায়, সেভাবেই কথা বলি যেভাবে তারা
কথা বলে, সেভাবেই চিন্তা করি যেভাবে তারা চিন্তা করে।
তু মি তোমার রেফারেন্স গ্রুপ সম্পর্কে কতটা সচেতন (aware)? তারা কি positive minded নাকি negative
minded? তারা কি তোমার সব বিষয়ে সায় দেয় না কি ভালমন্দ চিন্তা করে তোমাকে স্বিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে, না
কি তারা তাদের চিন্তাভাবনাকে তোমার উপরে চাপিয়ে দেয়?
- তোমার পরিবেশঃ আমি যখন তোমার পরিবেশের কথা বলছি সেটা শুধু তোমার পারিপার্শিকতা নয় বরং একটা
postive environment যা তোমাকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করে। সেই পরিবেশ কি তোমার আছে?

সুতরাং, choice, জীবনের influencial factor আর তার compounded effect সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে success নিয়ে
আসা কঠিন নয়। তবে সবার জীবনে একটা বিষয় কিন্তু একই রকম। সেটা হল জীবনে যারা সফল অথবা সফলতা যারা
এখনও অর্জ ন করতে পারেনি, তাদের কেউই ভাল চয়েজটা বেছে নিতে ভালবাসে না। হ্যাঁ, এটাই সত্যি। হট চকলেট আর
কেকের পরিবর্তে কেউ শুধু পানি খেতে চায় না। কিন্তু সফল ব্যক্তিরা তাদের ইচ্ছা শক্তি দিয়ে অথবা যৌক্তিক বিশ্লেষণের
মাধ্যমে স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ‘কেন’ (why) তু মি এটা করতে চাও ।

যেমন, বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী বলেছেন, “আমি আমার প্রশিক্ষণের প্রতিটা মুহূর্ত কে ঘৃণা করতাম কিন্তু আমি বিশ্ব
সেরা হওয়াটা উপভোগ করি”।

কাজেই, তু মি তোমার চয়েজের পিছনের ‘why’ টা খুঁজে দেখ। এই ‘কেন’ (কেন আমি এটা করব? এটা করে আমার কি
হবে?) যত শক্তিশালী হবে তু মিও ততটাই শক্তিশালী হবে। মনে রেখো, তোমার বেছে নেয়া পথের compounded effect
থেকে তু মি কখনই মুক্তি পাবে না। তাই বসে না থেকে তু মি তোমার নিজের একটা চেকলিস্ট তৈরী করে নাও যে জীবনে
সফলতার জন্য প্রতিদিন তু মি কি কি করতে চাও।

তোমাকে ধন্যবাদ! আমার লেখাটা পড়ার জন্য, তোমার মূল্যবান সময়ের কিছুটা দেয়ার জন্য। তোমার succcess story
পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

এই লেখা তোমার সফলতার জন্য উৎসর্গকৃ ত।।

* লেখাটি “The Compound Effect” বই অবলম্বনে লেখা হয়েছে।

You might also like