You are on page 1of 14

১।বৃ ক্ষ অনু বাদক-শ্রীজাত (আনন্দ) (মূ দ্রিত মূ ল্য-২৫০ রূপী)

২।আমার দাদা উত্তম কুমার -তরণকুমার (সাহিত্যম) (মূ দ্রিত মূ ল্য-২০০ রূপী)
৩। হিকি সাহেবের গেজেট-ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় (দে’জ) (মূ দ্রিত মূ ল্য-৪০০ রূপী)
৪।আমার চ্যাপলিন-মৃ ণাল সেন (আনন্দ) (মূ দ্রিত মূ ল্য-১৫০ রূপী)
৫।মনে পড়ে-তপন সিংহ (আনন্দ) (মূ দ্রিত মূ ল্য-১৫০ রূপী)
৬।রাতের ট্রেনের সংগী-অভিজ্ঞান রায় চৌধু রী (শিশু সাহিত্য সংসদ) (মূ দ্রিত মূ ল্য-১২৫ রূপী)
৭। হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর -উত্তমকুমার(সপ্তর্ষি) (মূ দ্রিত মূ ল্য-৩০০ রূপী)
৮। আনন্দধারা-হেমন্ত মু খোপাধ্যায় (সপ্তর্ষি) (মূ দ্রিত মূ ল্য-৫০০ রূপী)

বেচু বাবু-রাম কৃ ষ্ণ ভট্টাচার্জ (সৃষ্টিসুখ)

ফ্র্যান্সে রোম্যান্সে-ফায়েজ আহমেদ ফয়েজ (আদ্যক্ষর)


পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইঃমেটামরফিক নিশীথে (থ্রিলার)
লেখকঃ আলী ওয়াহাব সৌহার্দ ্য
প্রকাশনীঃবাতিঘর
মূ দ্রিত মূ ল্যঃ ২২০ টাকা
প্রচ্ছদঃ ডিলান
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
পৃ ষ্ঠাঃ ১৯১
“ পিচাশ পিচাশ পিচাশ
ঠিক করে বল কি চাস?
রক্ত খেতে ইচ্ছে হলে
পিপাসা কি করে মিটাস?”
বইয়ের শুরু ক্লাস থ্রিতে পড়া এক ছেলের তার মাকে উদ্দেশ্য করে উপরের চার লাইলের ছড়া রচনার মাধ্যমে। ছেলেটা
মাকে পিচাশ বলে অভিহিত করে এবং মা কতৃক প্রহৃত হয়। তারপর আমরা দেখতে পাই পু লিশ একটা নির্জ ন বনের মাঝে
একটা বিশাল দোতালা বাড়ি খুঁ জে পায় যা আগুন পু ড়ে গেছে ।সেই বাড়ি থেকে ৯টা ছেলের লাশ পাওয়া যায় যা সবাই
মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলো।কাহিনি আরো আকর্ষণীয় উঠে যখন ডিটেক্টিভ রুদ্রনীলের টিম অর্ধনগ্ন এক নারীকে ঐ
বাড়ির কাছেই অচেতন ভাবে পড়ে থাকতে দেখে।তারপর থেকে কাহিনি বর্ত মান এবং ফ্ল্যাশব্যাক এ ঘোরা ফেরা করে।
কে ঐ ৯ জন ছেলের খু নী এবং ঐ মেয়ে কিভাবে গেলো ঐ বনে তা খুঁ জে বের করার চেষ্টাই করে ডিটেক্টিভ রুদ্রনীল।
কাহিনির খু বই গতিশীল ছিলো।কিছু টা হরর ফিল ছিলো শুরুতে,কিন্তু কাহিনি যতই এগিয়েছে হরর ভাবটা চলে গেছে।
আমার কাছে এই ব্যাপারটা এই বইয়ের মাইসান পয়েন্ট লেগেছে।গল্পে হরর এড করলে আরো জমতো। সবচেয়ে দুর্বল দিক
হলো ডিটেক্টিভ রুদ্রনীলের ক্যারেক্টার ডেভেলাপ করা হয়নি একবারেই।না তার সম্পর্কে বা তার কাজের সম্পর্কে ডিটেইল
কিছু আছে,তেমনি গল্পের রহস্য সমাধান করার ব্যাপারে তার তেমন ভূমিকা আছে। অনেকটা কষ্টহীনভাবেই সমস্যা সে
সমাধান করে ফেলে।এই প্লট নিয়ে দারুন কিছু করার সু যোগ ছিলো লেখকের।
আমার রেটিংঃ ২/৫
বেশি বেশি বই পড়ুন।

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইঃ অমানব (থ্রিলার)
লেখকঃ তানজিরুল ইসলাম
প্রকাশনীঃ বাতিঘর
মূ দ্রিত মূ ল্যঃ ১২০ টাকা
প্রচ্ছদঃ ডিলান
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
পৃ ষ্ঠাঃ ৭৯
যদি আপনার সামনে হঠাৎ করে একটা অবয়ব হাজির হয় যেটা চার পায়ে হাঁটছে। পু রো দেহ কালো কালো
লোমে ঢাকা। কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত একটা কুকুরের মতো। আর ওপরটা...এমন কিছু জীবনেও চোখে পড়েনি
কারো! ওপরটায় দুটো মানু ষের দেহ!
তাহলে কেমন লাগতো আপনার???
এইখানেই শেষ না! এটা মাত্র শুরু এই কাহিনির। চমক এখনো বাকি!
কবরস্থানের কাছ থেকে অপহৃ হলো তেরো বছর বয়সের এক পথ শিশু। আবার কবরস্থান হতে এক কুমারী মেয়ের লাশ
চুরির সময় পু লিশের হাতে ধরা পড়লো এক চোর।
বিশ্বনন্দিত বিজ্ঞানী ড. নাওয়াজ রহমানের ল্যাব সহকারী হিসেবে চাকরী নেয় তারই ছাত্র শাফায়েত। তারপরে ঘটতে থাকে
অদ্ভুত সব ঘটনা যা কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি শাফায়েত কোন দিন।
দুর্দ ান্ত গতিতে এগিয়ে চলে কাহিনি। সাধারনত কোনো বইয়ের পৃ ষ্ঠা বেশি হলে মনে হয় শেষ হয় না কেনো!!! এই বই
শেষ হওয়ার পরে মনে হলো “আহা! শেষ হয়ে গেলো এত দ্রুত”
থ্রিলার এবং কল্পবিজ্ঞানের আলোকে লেখা দারুন একটা বই।
আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আমার রেটিংঃ ৩.৫/৫
বেশি বেশি বই পড়ুন।

বিভিন্ন জনরার বই পড়ার মজাই অন্য রকম।কিন্তু অনেক দিন ধরেই একটা লু পে পড়ে গেছিলাম, থ্রিলার/এ্যাডভেঞ্চার/হরর
ছাড়া অন্য জনরার বই তেমন পড়া হতো না। আসলে ব্যস্ত জীবনে খবর নেওয়ার সময়ই পেতাম না। ভাষাচিত্র বু ক ক্লাবে
যোগ দেয়ার পরে নতুন কিছু বইয়ের ব্যাপারে জানলাম। সেই সাথে ভাষাচিত্রের বই মেলা চলায় কিছু বই নিয়ে নিলাম।
গতকাল বৃ ষ্টিমু খর দিনে অফিস থেকে বাসায় ফিরে বইয়ের প্যাকেট দেখে মনটা খু শিতে ভরে গেলো। এখন ঝটপট বলে
ফেলি কি কি বই কিনলাম।ইনশাল্লাহ পড়া হলে পাঠ প্রতিক্রিয়াও জানাবো।
১।আইনস্টাইনের সহজ পাঠ (বিজ্ঞান)
লেখকঃ এডউইন ই. স্লসন
অনু বাদঃ সৌমেন হজরা
২।সময় | বিজ্ঞান ও অনু ভবে (বিজ্ঞান)
লেখকঃ হাসান তারেক চৌধু রী
৩।যু গল মানব (প্যারাসাইকোলজি)
লেখকঃ হাসান তারেক চৌধু রী
৪। দ্বিখণ্ডিত (প্যারাসাইকোলজি)
লেখকঃ হাসান তারেক চৌধু রী
৫। চন্দ্রযান -দ্য লু নাটিক এক্সপ্রেস (Docu Travelogue)
লেখকঃ গিয়াস আহমেদ
*****শিকারের গল্প আউট অফ প্রিন্ট, তাই পাই নাই। অনু রোধ রইলো রিপ্রিন্ট করার।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইঃ ব্লাড ওয়ার্ক (অনু বাদ-থ্রিলার)
মূ ল লেখকঃ মাইকেল কনেলি
অনু বাদকঃ ইশরাক অর্ণব
প্রকাশনীঃ বাতিঘর
মূ দ্রিত মূ ল্যঃ 450 টাকা
প্রচ্ছদঃ ডিলান
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
পৃ ষ্ঠাঃ ৪১৫
“দেখতেই পাচ্ছেন, আমার চাওয়া প্রতিশোধ কিংবা শত্রুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার চেয়েও বেশি কিছু ।
প্রতিশোধ বা শত্রুকে দুনিয়া থেকে হটিয়ে দিতে চায় বোকারা। আমি চাই…”
কে! কারে বললো! কেনো বললো!
নায়ক নাকি ভিলেন! নাকি নায়িকা! যানতে হলে পড়তে হবে।
হার্ট প্রতিস্থাপনের পর নিজ বোটে অবসর সময় কাটাচ্ছিলের সাবেক এফবিআই এজেন্ট টেরি ম্যাকবেল। আকস্মিক
একদিন এক মহিলা এসে হাজির হলো তার বোনের হত্যা রহস্য নিয়ে। মহিলার দাবী টেরি ম্যাকবেলের দেহে প্রতিস্থাপিত
হার্ট তার মৃ ত বোনের। টেরি সেই কেস না নিয়ে আর পারলো না। তারপর ঘটতে থাকলো বিভিন্ন ঘটনা।
মাইকেল কনোলির “দ্যা পোয়েট’ এর অনু বাদ পড়েই তার ফ্যান হয়ে যাই।এখানে মূ ল ক্রেডিট অবশ্যই অনু বাদকের।
তারপর একদিন “ব্লাড ওয়ার্ক ” বইটার অনবাদের খবর পাই। হাতে আসা মাত্রই পড়া শুরু করলাম। বইয়ের শুরু থেকেই
কাহিনির ডালপালা গোজানো শুরু করে । যতই কাহিনি প্রিডিক্ট করি না কেন কাহিনি যত সামনে যায় আমি ভুল প্রমাণিত
হই। দারুন ঊপভোগ্য থ্রিলার বই। গল্পের চরিত্র অনেক কম, কিন্তু সবগুলো চরিত্রেরই ভূমিকা রয়েছে কাহিনিতে।
অনু বাদের কথা যদি বলি তাহলে বলবো দারুন লেগছে পড়তে। খু বই আরাম পাইছি অনু বাদ পড়ে। অনু বাদককে ধন্যবাদ।
আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আমার রেটিংঃ ৪/৫
বেশি বেশি বই পড়ুন।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইঃ লোশক (ফ্যান্টসি)
লেখকঃ সালেহ আহমেদ মু বিন
প্রকাশনীঃ বাতিঘর
মূ দ্রিত মূ ল্যঃ ১৫০ টাকা
প্রচ্ছদঃ বাপ্পী খান
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
পৃ ষ্ঠাঃ ১২৭
“এই তো চাবির বাকি অংশ এসে গেছে…”
চাবির রহস্য বোঝার জন্য যেমন লোশক পড়তে হবে, তেমনি লোশক শব্দের মানে বোঝার জন্যেও লোশক
পড়তে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তাহমিদ এসে উঠলো পু রাতন একটি দুইতালা বাড়িতে। রাতের বেলা ঐ বাড়িতে শোনা যায় রিনিঝিনি
সু রেলা হাসির শব্দ। রহস্যময় বাড়ির সাথে সাথে রয়েছে জলিল মিয়া, আফতাব হোসেনের মত রহস্যময় চরিত্রগুলো।
আলতাফ হোসেনের পরিবারের মধ্যেও তাহমিদ খোঁজ পেয়েছে রহস্যের। এই সব রহস্যের সমাধান করার পূ র্বেই
তাহমিদের সামনে হাজির শত বছর আগের এক ঘটনা, যা তাকে করে হতবাক। এও কি সম্ভব এই যু গে? শত বছর আগের
চরিত্রগুলোর কি করে বর্ত মান সময়ে আবির্ভ াব!!!!! এখানেই লোশকের সার্থকতা। বর্ত মান সময়ের সাথে গৌতববু দ্ধ এবং
সম্রাট অশোকের সময়কালের কিছু ঘটনার দারুন সেতু বন্ধন ঘটেছে কাহিনিতে। লোশক কি তা বইয়ের নাম দেখেই
জানতে ইচ্ছা হইছিলো, অনেক বার ভাবছিলাম যারা বইটা পড়ে ফেলছে তাদের জিজ্ঞাসা করবো। ভাগ্য ভালো জিজ্ঞাসা
করিনি , আসল মজাই তাইলে নষ্ট হয়ে যেতো। এই বইয়ের কাহিনি যতই এগিয়ে গেছে ততই কাহিনির মাঝে ডু বে যেতে
বাধ্য হয়েছি। সম্ভালা ছাড়া বাংলায় মৌলিক ফ্যান্টসি ঘোরানার আর কোনো বই পড়া হয়নি আমার। এক কথায় দারুন
লাগছে এই বই। অনেক আগে কিনছিলাম বইটি, কিন্তু পরে পড়বো বলে রেখে দিছিলাম। অবশেষ পড়লাম এবং ভালো
লাগলো। আমার মত ফ্যান্টসি পড়তে যারা অভ্যস্ত না তারা একবার পড়ে দেখেন, আশা করি ভালো লাগবে।
প্রচ্ছদের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। বাপ্পী খান যেমন সু লেখক তেমনি এই বইয়ে তার প্রচ্ছদের কাজও দারুন হয়েছে।
প্রচ্ছদ দেখে বইটা কেনার ইচ্ছাও অনেক বেড়ে গিয়েছিলো। বই পড়ার সময় প্রচ্ছদের সাথে কাহিনিরও মিল বু ঝতে
পারলাম। ধন্যবাদ বাপ্পী খানকে এমন প্রচ্ছদ উপহার দেওয়ার জন্য।
আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আমার রেটিংঃ ৪/৫
বেশি বেশি বই পড়ুন।
1. দ্য কলম্বাস অ্যাফেয়ার-রোদেলা প্রকাশনী

2.

1. শোণিত উপাখ্যান বর্ত মান- সৈয়দ অনিবার্ণ মূল্য- ২৫০


2. শোণিত উপাখ্যান অতীত- সৈয়দ অনিবার্ণ মূল্য- ৩০০
3. শোণিত উপাখ্যান অতঃপর- সৈয়দ অনিবার্ণ মূল্য- ৩৭০
4. আলাদিন – আহনাফ তাহমিদ মূল্য- ২৭৫
5. পাতাং- ভাস্কর চট্টোপাধ্যায়- শাহরিয়ার সৈকত মূল্য-৩০০
6. আ ফ্যালকন ফ্লাইজ ২য় খণ্ড – উইলবার স্মিথ- ইমতিয়াজ আজাদ-৩৫০
7. ১০ মিনিটস ৩৮ সেকেন্ডস ইন দিস স্ট্রেঞ্জ ওয়ার্ল্ড - এলিফ শাফাক- আহনাফ
তাহমিদ-মূল্য ৩৩০
8. এ নিউ আর্থ - এখার্ট টোলে- আদনান আহমেদ রিজন মুল্য- ৩০০
9. দ্য প্যালেস অফ ইল্যুশন- চিত্রা দিবাকরণী- আবদুল্লাহ ইবনে মাহমুদ মূল্য- ৩৯৫
10. দ্য গার্ল ইন দি আইস- রবার্ট ব্রাইনযা- ফু য়াদ আনাস আহমেদ- মূল্য – ৩৭৫

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইঃ শেষ অধ্যায় নেই (থ্রিলার)
লেখকঃ সাদাত হোসাইন
প্রকাশনীঃ অন্যধারা
মূ দ্রিত মূ ল্যঃ ৪০০ টাকা
প্রচ্ছদঃ সাদাত হোসাইন
প্রথম প্রকাশঃ অক্টোবর, ২০২০
পৃ ষ্ঠাঃ ২১৬
উপন্যাসের শুরুটা যথেষ্ঠ আকর্ষণীয়। সিলেটের চা বাগানের ভিতর টিলার উপরে বাংলো। ঘু টঘূ টে অন্ধকারে চা বাগানে
হেঁটে বেড়াচ্ছে ছায়া মূ র্তি । দূরে পাহাড়ে গির্জ া হতে রাত বারটায় ঢং ঢং বেজে যাচ্ছে ঘন্টা। দেশের
জনপ্রিয় এক লেখক প্রথমবারের মত থ্রিলার উপন্যাস লিখতেছে, তা প্রকাশ করার জন্য দেশের সব
প্রকাশকরা অসু স্থ প্রতিযোগিয়া শুরু করছে। প্রকাশিতব্য এই থ্রিলার উপন্যাস নিয়ে এক পরিচালাক
সিনেমাও বানাতে চায়,কিন্তু বই প্রকাশিত হবে সিনেমা রিলিজের পরে। লেখকের ব্যক্তিগত জীবনে নাই
কোন শান্তি-বউ এবং গার্ল্ড ফ্যান্ড নিয়ে ঝামেলায় আছেন তিনি। থ্রিলার উপন্যাসটা নিড়িবিলিতে লেখে
শেষ করার জন্য বিদেশ প্রবাসী বন্ধুর মালিকানাধীন সিলেটের চা বাগানে যান। ঐ চাবাগানে এক দিন তার
সব শুভাকাংখীদের দাওয়াত দেন। লেখকের হঠৎ মৃ ত্যু ঘটে চা বাগানের টিলার উপর থেকে খানে পড়ে
ঐ দাওয়াতের শেষ রাতে। খু নের রহস্য বের করতে কাজে নেমে পড়েন বাংলাদেশ পু লিশের এসআই
রেজা।
কিন্তু মূ ল কাহিনি খু বই সাদামাটা। খু বই স্লো কাহিনি।থ্রিলার পড়ার সময় যে উত্তেজনা এবং আকর্ষন থাকে তার কিছু ই পাই
নাই। এই প্লট নিয়ে আসলে ছোট গল্প হলে ভালো হইতো। বইয়ের বেস্ট পার্ট “শেষ অধ্যায়”।
আমার রেটিংঃ ২/৫

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইঃ সূর্য আলো দেয় (অটোবায়োগ্রাফি)
মূল লেখকঃ এন্থনি রে হিন্টন
অনুবাদকঃ অপূর্ব জামান
প্রকাশনীঃ পেন্ডুলাম
মূদ্রিত মূল্যঃ ৩৬০ টাকা
প্রচ্ছদঃ নির্ঝ র নৈঃশব্দ
প্রথম প্রকাশঃ ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০
পৃষ্ঠাঃ ২৮৫
" রে,তু মি বাড়ি যাচ্ছ।"
৩০ বছর সময় লাগলো রে হিন্টনের এই বাক্যটা শুনতে। দীর্ঘ ৩০ বছর তাকে থাকতে হয়েছে
আলাবামার কারাগারে "ডেথ রো" ইউনিটে। ৫৭ জন কারাবাদীর মৃত্যু দন্ড কার্যকর হতে দেখেছে রে
এই সময়ে।রে নিজেও অপেক্ষারত ছিলো মৃত্যু দন্ড কার্যকরের।
আমরা সব সময় মনে করি আমরা সব থেকে কষ্টের মধ্যে আছি।হতাশা আমাদের গ্রাস করে।কষ্টের
কি রঙ আছে!!! দুঃখের কি কোন সীমা আছে!
বাজারে কালো হীরার দাম অনেক।কালো গাড়ী সব থেকে আকর্ষনীয়। কালো জামা কিনার জন্য
আমরা ব্যাকুল।কিন্তু কালো মানুষকে দেখলে আমরা তাচ্ছিল্য করি।বলি-এতো কালো কেন ছেলে বা
মেয়েটি"।
শুধু গায়ের রঙ কালো হওয়ার জন্য যদি আপনাকে খুনের দায়ে শাস্তি দেয়া হয় তাইলে কেমন
লাগবে? জুরিরা সাদা,পুলিশ সাদা,এমনকি আপনার উকিল সাদা।আর তারা ভাবে আপনি কালো দেখে
অপরাধীও আপনিই।আপনি যতই প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে আপনি নিরাপরাধ কিন্তু তারা
বলবে-"তু মি না করলেও তোমাদের কেউই করেছে তাই তোমাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।"
১৯৮৫ সালে দুই জন মানুষকে খুনের দায় এবং ডাকাতির মিথ্যা অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিনা
দোষে ৩০ বছর শাস্তি ভোগ করার কষ্ট যে কি তা আসলে বই পড়ে বোঝা কঠিন!
রে হিন্টন কারাগারে থাকা অবস্থায়ই "বই সংঘ" নামের ক্লাব গড়ে তু লে।তারা ৬জন ছিলো সেই
ক্লাবের সদস্য। কালোদের ঘৃণা করে এবং বিনা অপরাধে এক কালো ছেলেকে হত্যা করা মৃত্যু দন্ড
প্রাপ্ত আসামীকেও বোঝাতে সক্ষম হয় "কালো মানুষ মাত্রই খারাপ নয়।"
রে তার জীবনে পেয়েছিলো লেস্টারের মত বন্ধু যে এই ৩০ বছর প্রতি সপ্তাহে কারাগারে দেখতে
আসতো।পেয়েছিলো মমতাময়ী মা যিনি তার মৃত্যুর আগে শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলো যে তার
নির্দ োষ ছেলে ঘরে ফিরে আসবে।পেয়েছিলেন ব্রায়ানের মত দেবদূতরুপী উকিলকে যে তাকে বিশ্বাস
করেছিলেন যে রে নির্দ োষ।
"সূর্য আলো দেয়"। ২০১৫ সালে অবশেষে সূর্যের আলোর দেখা পায় রে হিন্টন।মুক্তির আলো।
সাবলীল অনুবাদ।
আশা করি সবার ভালো লাগবে।

আমার রেটিংঃ ৩.৫/৫

1. জয়দুর্গা টকিজ-সুব্রত মজুমদার (অানন্দ পাবলিশার্স)


2. কালাপাহাড়-সুজন ভট্টাচার্য(প্রকাশক পালক পাবলিশার্স)
3. খু দকুড়ো-শীর্ষেন্দু মু খোপাধ্যায় (আত্মজা)
4. অপরাধ বিজ্ঞান-প্রবীর ঘোষ (দে’জ পাবলিশিং)
5. হ্যারিসন রোড-একরাম আলি (দে'জ পাবলিশিং)
6. যা কিছু আজ ব্যক্তিগত-শ্রী জাত (পত্র ভারতী)
7. সমগ্র কিশোর সাহিত্য- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়(আনন্দ পাবলিশার্স)
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইঃ ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি
লেখকঃ জু বায়ের আলম
প্রকাশনীঃ বু ক স্ট্রিট
মূ দ্রিত মূ ল্যঃ৩৬০ টাকা
প্রচ্ছদঃ সজল চৌধু রী
প্রথম প্রকাশঃ অক্টোবর, ২০২০
পৃ ষ্ঠাঃ ২০৬
মানু ষ সামনে এগিয়ে যেতে চায়,সে চায় বক্র পথে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে। কষ্ট না করে লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য বক্র
পথ বেছে নেয় তিন ড্রাইভার আশকার, জিনারুল আর মজিদ। একত্রে মেসে থাকে তারা।
আশকার মহাসড়কের অঘোষিত রাজা,মানে হলো আশকার ট্রাক চালক।জিনারুল একজন ব্যাংকারের গাড়ি
চালায়। মজিদ এখনো ডাইভার হয়নি,হবু ডাইভার তবে বর্ত মানে হেল্পার। আশকারের স্বপ্ন তার টাকা হলে
মিডিলিস্ট গিয়ে গাড়ি চালাবে। মজিদের টাকা হলে সে গ্রামে ফিরে যাবে। তার অসু স্থ বাবার চিকিৎসা করাবে।
তারপর দুইটা গাড়ি কিনে ভাড়ায় খাটাবে। আর জিনারুলের স্বপ্ন টাকা জমায় গ্রামে গিয়ে সালেহাকে বিয়ে
করবে।
কিন্তু এই সরল স্বপ্নগুলো পূ রণ করার জন্য তারা সিঁড়ি বেছে না নিয়ে লিফট বেছে নিলো। তারা খুঁ জে নিলো
অন্যায় ও অবৈধ কাজের বিভিন্ন রাস্তা । ড্রাগ ডেলেভারি, খু ন, ডাকাতি,বিশ্বাসঘাতকতা, বন্ধুত্ব, ভয়,ভালোবাসা-
ঠিক যেন রোলার কস্টার রাইড। দারুন গতিশীল কাহিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। যদি এই
কাহিনি নিয়ে ওয়েব সিরিজ বানানো যার তাহলে দারুন হবে।
জু বায়ের আলমের লেখার হাত দারুন। দারুন মজা পাইছি পড়ে।

আশা করি সবার ভালো লাগবে।


আমার রেটিংঃ ৪/৫
বেশি বেশি বই পড়ুন।
[ ছবি বু ক স্ট্রিটের পেইজ থেকে নেয়া]

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইঃ বিউটি বোর্ডি ংয়ের সেই আড্ডাটা
সংকলন ও সম্পাদনাঃ পিয়াস মজিদ
প্রকাশনীঃ প্রথমা প্রকাশন
মূ দ্রিত মূ ল্যঃ ২০০ টাকা
প্রচ্ছদঃ মাসু ক হেলাল
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
পৃ ষ্ঠাঃ ১০৪
ছু টির দিনে শীতের সকালে স্মৃতিচারণমূ লক বই পড়তে ভালোই লাগে। বিউটি বোর্ডি ং নিয়ে টেলিভিশনে কিছু অনু ষ্ঠান
দেখেছিলাম। এই বইটা মূ লত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনে প্রকাশিত বিউটি বোর্ডি ংকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূ লক কবিতা
এবং লেখার সংকলন।
পু রান ঢাকার ১ শ্রীশ দাস লেনের নলিনী সাহা আর প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিউটি বোর্ডি ং। ১০৭১ সালের মার্চে
বিউটি বোর্ডি ংয়ে হানাদারদের হামলায় প্রহ্লাদ সাহাসহ ১৭জন শহীদ হন।
শহীদ কাদরির হাত ধরে বিউটি বোর্ডি ং এর আড্ডা জমে উঠে। শহীদ কাদরি এই আড্ডার প্রারম্ভ করেন সৈয়দ শামসু ল হক, শামসু র
রাহমান এবং বেলাল চৌধু রীকে নিয়ে।
বিউটি বোর্ডি ং এ আগমন ঘটেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মু জিবু র রহমানের, তাজউদ্দীন আহমেদের,নেতাজী সু ভাষ চন্দ্র বসু র মত বিখ্যাত
রাজনীতিবীদদের। তেমনি অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, ফারুক,সু মিতা দেবী, চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্ব খান আতাউর রহমান, জহির
রায়হান, সহ অনেকের। আসলে নাম লেখে শেষ করা যাবে না।
বইয়ে শামসু র রাহমান, আল মাহমু দ, ইমরুল চৌধু রী,মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণ এবং সানাউল হক খানের কবিতা রয়েছে।
স্মৃতিচারণমূ লক লেখা লিখেছেন শহীদ কাদরি, সৈয়দ শামসু ল হক, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধু রী,কায়সু ল হক, বেলাল চৌধু রী,
রণজিৎ পাল চৌধু রী, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, প্রাণেশ সমাদ্দার, প্রতিভা সাহা এবং তারক সাহা।
লেখাগুলো পড়লে চোখের সামনে বিউটি বোর্ডি ং এর ছবি ভেসে উঠে। আমি কখনো যাইনি বিউটি বোর্ডি ং এ। আশা করি এই গ্রুপ
থেকে আমরা বই প্রমীরা কোনো একদিন শুক্রবার সকালে বই নিয়ে আড্ডা দিতে জমায়েত হবো বিউটি বোর্ডি ং এ।
আশা করি সবার ভালো লাগবে।
বেশি বেশি বই পড়ুন।
[ ছবি বাতিঘরের পেইজ এবং গুগল থেকে নেয়া]

1. হর্ষবর্ধন গোবর্ধন সমগ্র ১ ও ২


2. মায়াবী মারীচ / অ‌
নিরুদ্ধ সাউ / বিভা পাব‌
লি‌
কেশন
3. নির্মুখোশ শারদের বিশেষ উপবিভাগঃ সাহিত্যিকদের মেস (সুপ্রকাশ প্রকাশনী)
4. যখন_রাত_নামে/লেখক - তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়/প্রকাশক- বুক ফার্ম
5. বাংলায় ব্যারন/ অনুবাদক-তমোঘ্ন নস্কর/প্রকাশনী-বেঙ্গল ট্রয়কা পাবলিকেশন
6. কে বাজায় বাঁশি (১ম এবং ২য় পর্ব)/ বিনোদ ঘোষাল/ মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স
7. সমান্তরাল - নন্দিতা ভট্টাচার্য ( The Cafe Table)
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
বইঃ জটায়ুকে যেমন দেখেছি
লেখকঃ অশোক বক্সী
অনু লিখনঃ অভিজিৎ ব্যানার্জী
প্রকাশনীঃ রূপালী (কলকাতা)
মূ দ্রিত মূ ল্যঃ ৮০ রূপী
প্রচ্ছদঃ দেবাশীস সাহা
প্রথম প্রকাশঃ ২০১৮
পৃ ষ্ঠাঃ ৪৯
“হাইলি সাসপিশাস”
জটায়ু কে?
এই প্রশ্নের উত্তর বই প্রেমীদের সবারই জানা। লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ু সত্যজিৎ রায়ের লেখা গোয়েন্দা
সিরিজ ফেলু দা'র অন্যতম কমিক চরিত্র। ফেলু দার মু ভি ‘সোনার কেল্লা” এবং ‘জয় বাবা ফেলু নাথ’ এ জটায়ু
চরিত্রে অভিনয় করেন সন্তোষ দত্ত।
জটায়ুর ব্যাপারে আমার জানার আগ্রহ অনেক দিনের। তাই গুগল এবং মু খবই ঘেটে লিস্ট করে কলকাতা
থেকে কিছু বই আনিয়ে নিলাম জটায়ুর উপর। ‘ জটায়ুকে যেমন দেখেছি ’ বইটি লিখেছেন অশোক বক্সী
যিনি জটায়ু চরিত্রে প্রথম অভিনয় করা সন্তোষ দত্তের প্রথম এবং একমাত্র জু নিয়র। জটায়ু ওরফে সন্তোষ
দত্ত ব্যক্তিগত জীবনে একজন চৌকস আইনজীবি ছিলেন। লেখক এই বইয়ে মূ লত জটায়ু ওরফে সন্তোষ
দত্তের পেশা জীবনের ঘটনাগুলো তুলে ধরেছেন
লেখক ১৯৭১ সাল থেকে জটায়ুর জু নিয়র হিসেবে কাজ করেছেন এবং জটায়ুর মৃ ত্যুর পূ র্ব পর্যন্ত তার
সাথেই ছিলেন পরিবারের একজন সদস্য হয়ে। লেখকের ভাষায় সন্তোষ দত্তের পেশা ছিলো দুটো, কিন্তু
আক্ষরিক অর্থে তিনটে পেশা ছিল-এক মঞ্চ, দুই সিনেমা, তৃতীয় আইন পেশা। ’ অভিনয়ের সাথে সাথে
আইন পেশাতেও জটায়ু সফল ছিলেন। আইন পেশাতে জটায়ু স্বচ্ছতা পছন্দ করতেন। লেখককে উদ্দেশ্য
করে সন্তোষ দত্ত বলেছিলেন ‘দ্যাখো মক্কেলের সাথে কোথাও খেতে বা বেড়াতে যাবে না। তাতে পেশার
মর্যাদা হানি হয়। এবং মামলা সম্পর্কে দৃষ্টিভংগী অস্বচ্ছ হয়ে যায়। আর একটা কথা যেন সব সময় মনে
থাকে যদি কোন মক্কেল বলেন যে এটা করে দিলে আপনাকে খু শি করে দেব, সেরকমও কোন সময়ে
স্বীকার করবে না। কেন? মানু ষ মু টিয়া-মজদুরদের মজু রি বেশি দিয়ে খু শি করে দেয়। আমরা ফি এর বিনিময়ে
কাজ করি।’
সন্তোষ দত্ত সর্বদা তার আপনজনদের ব্যাপারে চিন্তা করতেন তার একটা উদাহরণ হিসেবে লেখক
লিখেছেন-১৯৭২ সালে ৫০০০ টাকার একটা ইন্সু রেন্স করান সন্তোষবাবু জোর করে লেখকে নামে।
ইন্সু রেন্সের প্রিমিয়াম কিভাবে দিবেন তা নিয়ে লেখক চিন্তিত ছিলেন। কারণ ১৯৭২ সালে ৫০০০ টাকা
অনেক টাকা। ইন্সিওরন্সের প্রথম মাসের প্রিমিয়াম সন্তোষবাবু নিজেই দিয়ে দেন এবং লেখককে বোঝান যে
ভবিষ্যতের জন্য এই সঞ্চয় কত দরকারী।
৫ মার্চ ,১৯৮৮ জটায়ু ওরফে সন্তোষ দত্ত এই পৃ থিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান। সত্যজিৎ রায় সন্তোষ
দত্তের মৃ তদেহের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন- আমার জটায়ু চলে গেছে, আমি আর জটায়ু চরিত্র করবো না।
এই বইয়ে জটাইয়ু জটায়ু ওরফে সন্তোষ দত্তের সরলতা, দৃঢ়তা, আইন পেশায় পারদর্শিতাসহ ব্যক্তিগত
জীবনের অনেক কিছু ই আলোকপাত করা হয়েছে। কিছু সাদা কালো ছবিও সংযু ক্ত রয়েছে বইয়ের শেষে।
বইয়ের কলবর খু ব বেশি না,তাই বেশি কিছু লিখলাম না।
যারা জটায়ুর ফ্যান অথবা জটায়ু ওরফে সন্তোষ দত্তর ব্যাক্তিগত জীবনের ব্যাপারে জানতে আগ্রহী তারা
অবশ্যই বইটা পড়ে ফেলবেন।

আশা করি সবার ভালো লাগবে।


বেশি বেশি বই পড়ুন।
[ ছবি গুগল থেকে নেয়া]

You might also like