You are on page 1of 6

শ্রমিকশক্তি 1

শ্রমিকশ্রেণীর মুখপত্র

শ্রমিকশক্তি
মজদুর ক্রান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত ১৪তম বর্ষ ২য় সংখ্যা ডিসেম্বর ২০২০ বিনিময় - ৩ টাকা

এমকেপি-র ফ্যাসিবাদ বির�োধী


সর্বনাশা নয়া কৃষি আইন বাতিলের
অবস্থান কর্মসূচী
দাবিতে কৃষকদের জ�োরদার লড়াই
দেশের রাজধানীর সীমান্তগুল�ো এই মুহুর্তে কৃষকদের পৌঁছেছেন দিল্লি সীমান্তে। আর�ো হাজারে হাজারে য�োগ
দখলে। সিনঘু বর্ডার থেকে টিকরি বর্ডারে প্রবল ঠান্ডা দিচ্ছেন প্রতিদিনই। দেশের বিভিন্ন স্তরের মানু ষ এই
আর কর�োনার ভয় উপেক্ষা করে দাবি আদায়ে দৃ ঢ়প্রতিজ্ঞ লড়াইয়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। খেল�োয়াড়-বিজ্ঞানী-
লক্ষ কৃষকের জমায়েত। ৮ ডিসেম্বর ঘটে গেছে শিল্পী-সাহিত্যিকরা সরকারী পুরস্কার ফেরত দেওয়ার
দেশজ�োড়া হরতাল! কর�োনা কালে পাশ করান�ো নতুন কথা ঘ�োষণা করেছেন।ধর্ম-বর্ণের বিভাজনের রাজনীতিকে
তিনটে কৃষি অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় হারিয়ে দিয়ে কৃষক ঐক্যের রাজনীতির জন্ম হচ্ছে।
আন্দোলনরত কৃষকরা। ম�োদী মন্ত্রিসভার মাতব্বররা আন্দোলনকে ‘পঞ্জাবি’ তকমা সেটে দিয়ে বিচ্ছিন্ন
নানাভাবে আন্দোলনকারীদের পিছু হঠান�োর চেষ্টা করার ম�োদী-শাহদের সমস্ত অপচেষ্টা আর তাদের
করছিল। নানারকম প্রতিশ্রুতিপূ র্ণ কথাবার্তাও তারা পেট�োয়া মিডিয়ার কারিকুরি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই
গত ১ ডিসেম্বর, ২০২০-তে কলকাতায় চড়িয়ে দিচ্ছিল আন্দোলনকারীদের মধ্যে। কিন্তু এই লেখা যখন প্রেসে যাচ্ছে তখন অমিত শাহকে না বলে
বউবাজার ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ম�োড়ে অনু ষ্ঠিত হল বিশ্বের সবথেকে বেশি আল�োচিত এই কৃষক আন্দোলন দিয়ে এসে আন্দোলনকারীরা দেশ জুড়ে লড়াই ছড়িয়ে
এমকেপি-র প্রতিবাদী অবস্থান। বিজেপি সরকারের ফুত্কারে উড়িয়ে দিয়েছে ত�োমর-গয়াল-শাহদের দেওয়ার আহ্বান রেখেছেন। ১৪ ডিসেম্বর দেশ সমস্ত
নয়া কৃষিআইন বাতিলের দাবিতে এবং দিল্লীতে সমঝ�োতার প্রস্তাব। আজও তাদের দাবি একটাই- প্রান্তে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সেদিন ক�োটি
চলমান কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থবাহী নয়া কৃষি অর্ডিন্যান্স বাতিল মানু ষ পথে নামবে। লড়াইয়ের সমর্থনে দেশের প্রতিটা
মজদু র ক্রান্তি পরিষদের (এমকেপি) প্রতিবাদী কর! ক�োণ হয়ে উঠবে সংগ্রামমুখর। কর্পোরেট আম্বানি-
অবস্থান চলে দু পুর ১টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না এই আন্দোলনের আদানিদের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন
সভার সভাপতিত্ব করেন এমকেপি সভাপতি কমঃ পূ র্বসু রীদের কথা। গতবছর এনআরসি-সিএএ বির�োধী আন্দোলনকারীরা। তারপরেও ম�োদী কথা না শুনলে দেশ
বিনানন্দ ঝা, কার্যকরী সভাপতি কমঃ উপেন্দর আন্দোলনে দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। লক্ষ লক্ষ সাধারণ জুড়ে রেল র�োক�ো করা হবে।
রাওয়াত এবং ক�োষাধ্যক্ষ কমঃ সু কান্ত ঘ�োষ। সমগ্র মানু ষ এন আর সি-সি এ এ প্রত্যাহারের দাবিতে এমন সর্বাত্মক লড়াই দেশের মানু ষ বহুদিন
কর্মসূ চিটি সঞ্চালনা করেন এমকেপি সাধারণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। সংঘ পরিবারের পরিকল্পনায় দেখেনি। মারুতি সু জুকি, হন্ডা, হিন্দুস্তান লিভার-দের
সম্পাদক কমঃ আভাষ মুন্সী। বিজেপি দেশে যে বিদ্বেষ আর বিভাজনের রাজনীতি মত�ো কর্পোরেট পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে বড় বড় শ্রমিক
এমকেপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে বক্তব্য ছড়িয়েদিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের লড়াই আন্দোলন আমরা গত ২০ বছরে বেশ কয়েকবার
রাখেন কমঃ শুভেন্দু বিশ্বাস, কমঃ শুক্লা কুন্ডু, কমঃ গ�োটাদেশের নজর কেড়েছিল। সংঘ পরিবার সেই দেখেছি। কিন্তু এবারে কৃষকরা যেভাবে মরণ কামড়
কার্তিক চ্যাটার্জী এবং কমঃ সু কান্ত ঘ�োষ। এই লড়াইকে দেশদ্রোহীর তকমা দিয়ে বিচ্ছিন্ন করতে বসিয়েছে আম্বানি-আদানিদের ঘাড়ে, তাতে ম�োদী-
কর্মসূ চিতে এরাজ্যের বিভিন্ন সংগ্রামী সংগঠনগুলিকে চেয়েছিল। এনআরসি-র বিরুদ্ধে লড়াইকে মুসলমানদের শাহদের মত�ো চেলাদের ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। কৃষি
আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে লড়াই বলে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক আইন প্রত্যাহার হলেই যে দেশের সব সমস্যা মিটে যাবে
সিপিআই(এম-এল)-রেড স্টারের পক্ষে কম: সু নীল কালে দেশের বুকে একের পর এক জানকুরবানি লড়াই তাও নয়।কিন্তু এই মুহুর্তে দেশের অন্য সমস্ত শ�োষিত-
পাল, সিপিআই(এম-এল)-নিউ ডেম�োক্রাসির পক্ষে ম�োদী-শাহদের হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। নিপীড়িত-বঞ্চিত মানু ষকে নিজেদের বাঁচাবার তাগিদেই
কম: আশিষ দাসগুপ্ত, পিডিএসএফ-এর পক্ষে কম: হাজার হাজার ট্রাক্টরে চেপে লক্ষ লক্ষ কৃষক এই লড়াইয়ের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। n
মৃ ন্ময় সরকার, অনীক পত্রিকার পক্ষে কম: প্রণব দে,
সিপিআই(এম-এল)-লিবারেশন-এর পক্ষে কম:
বাসু দেব বসু , 'ন�ো এনআরসি মুভমেন্ট'-এর কম:
শুখেন্দু সরকার, নারী অধিকার আন্দোলনের সংগঠক
কম: নিশা বিশ্বাস ও কম: তপতি চ্যাটার্জী,
বিএসএনএল ঠিকা শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের
এমকেপি কেন্দ্রীয় কমিটির বিবৃতি
পক্ষে সাথী শিবনাথ নস্কর, বন্দী মুক্তি কমিটির পক্ষে
কম: ছ�োটন দাসসহ অন্যান্য পার্টি ও গণসংগঠনের
কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন লড়াকু নেতৃত্বদের দেশে চলমান কৃষক আন্দোলনের সংহতিতে সামিল হ�োন !
বক্তৃতার পাশাপাশি এদিনের কম: শেখর, কম:
মতিলাল এবং কম: স�োমনাথ গণসঙ্গীত পরিবেশন এই মুহূর্তে দেশের কৃষকরা ম�োদী সরকারের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এক চূ ড়ান্ত লড়াইয়ে রয়েছেন।
করেন। কর�োনা ও তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে তারা জমায়েত হচ্ছেন রাজধানী দিল্লীতে।
পথচলতি অনেক মানু ষকে এদিন অবস্থান তাদের দাবি একটাই- এদেশের কৃষিকে বড় বড় পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। তাই পুঁজিপতিদের
মঞ্চের কাছে, দূ রে দাঁড়িয়ে থেকে বক্তাদের বক্তব্য মুনাফার স্বার্থে বানান�ো নয়া কৃষি আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ইতিমধ্যেই আন্দোলনের ব্যাপকতার
শুনতে দেখা গেছে। অনেককেই ক�ৌতূ হলী হয়ে সামনে কেন্দ্রীয় সরকার মাথা ন�োয়াতে বাধ্য হয়েছে। এই আন্দোলন তাদের মুখ�োশ খুলে দিয়েছে। কর্পোরেট
MKP-র কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক মুদ্রিত পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষা ছাড়া যে এদের অন্য ক�োন�ো ভাবনা নেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত

লিফলেট,বকলেট নিয়ে পড়তে দেখা গেছে। নানাভাবে এই লড়াইকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত আল�োচনার নামে লড়াকু কৃষকদের
সবমিলিয়ে এই প্রতিবাদী অবস্থানের সামনে এবং ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। কিন্তু এই আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বারবার সরকারের সাথে আল�োচনায় বসলেও তাদের
আশেপাশে দর্শক-শ্রোতা হিসেবে ল�োকজন ছিল বেশ দাবিতে অনড় থাকার মর্ম স্পষ্ট করে ম�োদী-শাহকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। চলমান আন্দোলনকে আর�ো ব্যাপক রূপ
চ�োখে পড়ার মত�ো। দিতে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে কৃষকরা পথে নেমেছেন এর সমর্থনে। হাজার হাজার কৃষক বিভিন্ন জায়গা থেকে
একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থরক্ষাকারী নয়া কৃষি রওনা দিয়েছেন আন্দোলনে য�োগ দিতে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের জনগণ সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন
আইন বাতিল, শ্রমিক বির�োধী শ্রম ক�োড বিল এই ব্যাপক কৃষক সংগ্রামের প্রতি। ছাত্রছাত্রী, শ্রমিক-কর্মচারী সহ অসংখ্য সাধারণ মানু ষ এই লড়াইয়ের
বাতিল, বিলগ্নিকরণের নামে দেশের সম্পদ লু ঠ বন্ধ সংহতিতে দেশ জুড়ে পথে নেমেছেন। এই আন্দোলন বাধ্য করেছে সকলকে অবস্থান নিতে-পক্ষে বা বিপক্ষে।
করা, ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, শ্রমজীবীদের মজদু র ক্রান্তি পরিষদ ভারতের কৃষক সমাজের এই নতুন লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে। এই লড়াইয়ের পাশে
স্বার্থে প্রকৃত উন্নয়নের দাবিতে, রাজ্য সরকারের থাকার অঙ্গীকার করছে।
দু র্নীতি, স্বজনপ�োষণ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ও বিপ্লবী অভিনন্দন সহ
এনআরসি-সিএএ-এনপিআর বাতিলের দাবিতে এই কেন্দ্রীয় কমিটি
অবস্থান স�োচ্চার হয়ে ওঠে। শেষাংশ ৫-এর পাতায় মজদু র ক্রান্তি পরিষদ(MKP)
2 শ্রমিকশক্তি
সম্পাদকীয় মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের হার ঃ কীসের ইঙ্গিত?
বিহার নির্বাচনের শিক্ষা ও
বিভাস চন্দ
ট্রাম্প খুলে ফেলেন। নয়া উদারবাদ তথা মার্কিন

এরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন সাম্রাজ্যবাদের একেবারে নগ্ন দিকটিকে সর্বসমক্ষে


তুলে ধরে ট্রাম্প একভাবে নয়াউদারবাদের
মধ্যপন্থী নীতি নির্ধারকদেরও গলার কাটা হয়ে
বিহার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এরাজ্যের রাজনৈতিক মহলের উঠেছিলেন।
আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। শুধু প্রতিবেশী রাজ্য বলে নয়, কিছু দিন পরেই সব মিলিয়ে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিহারের পদে ড�োনাল্ড ট্রাম্প বসবেন কিনা তার উপর
ফলাফল কিছু টা হলেও এরাজ্যে প্রভাব ফেলবে। এমনিতে এরাজ্যে বিশ্ব রাজনীতির গতিপথ ক�োনখাতে বইবে তা
যেভাবে তৃণমূ ল নেতাদের তৃণমূ ল ছেড়ে বিজেপিতে য�োগদানের বহুলাংশে নির্ভরশীল হয়ে ছিল। আমেরিকার
হিড়িক পড়েছে তাতে বিজেপির পালে ভালই হাওয়া লেগেছে। তাছাড়া কায়েমি শক্তির একাংশও ড�োনাল্ড ট্রাম্পের এই
শাসকদল ও সরকারের ব্যাপক দূ র্নীতি সন্ত্রাসের কারণে সরকার অতি উগ্র চরমপন্থী রাজনীতির বির�োধী হয়ে
বির�োধী জনমতও ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। অবশেষে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট উঠেছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিগত পর্যায়ে
বিহারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জ�োটের বিপুল জয় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পেল। নির্বাচনের আমেরিকায় কয়েকটি গুরুত্বপূ র্ণ রাজনৈতিক এবং
এরাজ্যে বিজেপিকে সু বিধে করে দেবে এবং ওদের পরাজয় এবং ফলাফলে ড�োনাল্ড ট্রাম্পকে পরাস্ত করে জয়ী হলেন সামাজিক আন্দোলনও গড়ে উঠেছিল। এদের মধ্যে
মহাজ�োটের জয় কিছু টা হলেও রাজ্যের শাসকদলকে স্বস্তি দেবে ডেম�োক্রাট প্রার্থী জ�ো বিডেন। নানাবিধ কারণেই ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস’ আন্দোলনটি অত্যন্ত্য
এটাই ছিল সাধারণ পর্যবেক্ষণ। কিন্তু বিহারের ফলাফল আরও বহু এবারের মার্কিন নির্বাচন রাজনৈতিক ভাবে অতীব জ�োরাল�ো ভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের ভিতকে নড়িয়ে
গুরুত্বপূ র্ণ বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে। ২৪৩ আসনের বিহার গুরুত্বপূ র্ণ ছিল। বিগ মিডিয়া থেকে তাবড় তাবড় দেয়। ২০২০ সালের জুন মাসে জর্জ ফ্লয়েড নামক
বিধানসভায় এনডিএ জ�োট মাত্র ১২৫ টি আসন পেয়ে সরকার গঠন রাজনৈতিক অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারক প্রতিষ্ঠান এক কৃষ্ণাঙ্গকে নারকীয়ভাবে হত্যা করে মার্কিন
করেছে। উল্টোদিকে মহাজ�োট পেয়েছে ১১০টি আসন, মিম পেয়েছে - সারা বিশ্বের সমস্ত ধরণের আর্থ সামাজিক পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে সেই ঘটনার প্রতিবাদে
৫টি আসন। বেশ কয়েকটি আসনে ভ�োটের ফলাফল নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিবর্গের নজর ছিল এবারের কৃষ্ণাঙ্গ তথা প্রগতিশীল জনগণের অংশগ্রহণে
হয়েছে নামমাত্র ভ�োটের ব্যবধানে। উল্লেখয�োগ্য মহাজ�োটের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উপর। ড�োনাল্ড এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল। কিন্তু খুব দ্রুতই
বামদলগুলির ভাল ফলাফল। সিপি আই (এম এল) লিবারেশন ট্রাম্প এর রাষ্ট্রপতিত্বে আমেরিকার আভ্যন্তরীণ বেকারিত্ব, নাগরিক জীবনে পুলিশি হস্তক্ষেপ সহ
পেয়েছে ১২টি আসন, সিপি আই এবং সিপিএম ২টি করে আসন ও বৈদেশিক নীতির গতিপথ বেশ আশংকাজনক বিবিধ বিষয়কে কেন্দ্র করে সমাজের বিবিধ অংশ
পেয়েছে। সব মিলিয়ে এনডিএ জ�োট সরকার গঠন করলেও ভ�োটের বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। এই আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করে।
ফলাফল বিজেপি নেতৃত্বকে খুব স্বস্তি দেয় নি। এনডিএ জ�োট অনেক সাধারণভাবে সাম্রাজ্যবাদের শির�োমনি ট্রাম্প বির�োধী জঙ্গি গণ আন্দোলন হয়ে উঠে ব্ল্যাক
বেশী ব্যবধানে জিতলে যে প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়তে পারত�ো ততটা আমেরিকার আভ্যন্তরীন রাজনীতি একচেটিয়া লাইভস ম্যাটারস আমেরিকার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে
পড়বে না বলেই মনে হয়। পুঁজির স্বার্থরক্ষায় চালিত হয় এবং দক্ষিণপন্থার পড়ে। এর জেরে প্রায় ৩৪ টী রাজ্যে কার্ফু ঘ�োষণা
কিন্তু এবারের বিহার নির্বাচন ও তার ফলাফল অন্য একটি বিভিন্ন রকমভেদের আশেপাশেই ঘ�োরাফেরা করতে হয়। দেশজুড়ে ট্রাম্প বির�োধী জনমত
কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূ র্ণ তা হল�ো বিজেপি তার সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে করে। ডেম�োক্রাট বা রিপাব্লিক এই দু ই দলই ছড়ি গড়ে ত�োলার ক্ষেত্রে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস
নির্বাচন করতে পারে নি। নির্বাচনে প্রধান ইস্যু ছিল বেকারিত্ব ও ঘ�োরায় আমেরিকার রাজনীতিতে। কিন্তু এই দু ই আন্দোলন গুরুত্বপূ র্ণ ভূ মিকা নিয়েছিল। শুধু এই
কর্মসংস্থান , পরিযায়ী শ্রমিকদের লাঞ্ছনা, মূ ল্যবৃ দ্ধি ইত্যাদি সাধরণ এর মধ্যে যে দলই ক্ষমতায় আসু ক না কেন সমস্ত আন্দোলনই নয়, গত কয়েক বছরে ট্রাম্পের
মানু ষের, বিশেষত শ্রমজীবী মানু ষের ম�ৌলিক দাবি দাওয়াগুলি। এটা প্রশ্নেই সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে, একচেটিয়া পুঁজির বিরুদ্ধে আমেরিকার বুকে বামপন্থী আন্দোলন তথা
হওয়ার পেছনে বাম দলগুলি বিশেষত লিবারেশন -এর অবদান স্বার্থে আর নয়া উদারবাদের ঘ�োষিত পথেই এগিয়ে সংগঠনও নতুন ভাবে গতি পেয়েছে। আমেরিকার
অনস্বীকার্য। প্রধান বির�োধী দল আরজেডিও বিচক্ষণতার সংগে এই চলে মার্কিন যু ক্তরাষ্টের আভ্যন্তরীন এবং বৈদেশিক নতুন প্রজন্মের মধ্যে ডেম�োক্রেটিক স�োসালিষ্ট
প্রচার কার্যক্রমকে গ্রহন করেছে। ভ�োটের ফল যাই হ�োক না কেন নীতিসমূ হ। স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ দেশের আভ্যন্তরীণ অফ আমেরিকা নামে নতুন তৈরি হওয়া একটি
এই প্রচার সঙ্ঘ পরিবারের ফ্যাসীবাদী স্বরূপ উন্মোচনে কিছু টা হলেও সমস্ত বিষয়ে লাগামহীণ বেসরকারিকরণ তিন বিপ্লবী বামপন্থী সংগঠনের জনপ্রিয়তা বেশ বৃ দ্ধি
সফলতা অর্জন করেছে। দশকে আমেরিকার জনগণের জীবনকে দু র্বিষহ পেয়েছে। প্রায় ৭০০০০ সদস্য হয়েছে নতুন এই
সঙ্ঘ পরিবারের পাখির চ�োখ এখন পশ্চিমবঙ্গ। সেই স্বাধীনতা করে তুলেছে। গত তিন দশক জুড়ে শ্রমিক দলের। আমেরিকার মূ লধারার রাজনীতির মধ্যে
আন্দোলনের সময় থেকে এবং পরবর্তীকালে বাম আন্দোলন ও শ্রেনীর ট্রেড ইউনিয়ান অধিকারহীনতার ফলে এই ধরণের একটি দলের জন্ম বিগত ৫ দশকের
নকশাল আন্দোলনের পথ ধরে চিন্তা চেতনার দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ সাম্প্রতিক কালে আমেরিকার সাধারণ মানু ষদের মার্কিন ইতিহাসে বেশ বিরল নিদর্শন। ঠিক একই
একটা অগ্রণী রাজ্য, সারা দেশে তার একটা মান্যতা আছে। দীর্ঘ প্রকৃত মজুরি কমতে কমতে ১৯৭০ সালের ভাবে বিরল ছিল ডেম�োক্রাট প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী
বাম আন্দোলনের কারণে এরাজ্যের মানু ষ উগ্র জাতিয়তাবাদী বা উগ্র মাত্রায় নেমে গিয়েছে। দেশজ�োড়া আর্থিক হিসেবে বার্নি স্যান্ডার্সের উঠে আসার ঘটনা। বিদেশ
সাম্প্রদায়িক ভাবনাচিন্তাকে প্রশ্রয় দেন নি। তাই পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা মন্দা ও বৈষম্যের এহেন পরিস্থিতিতে ড�োনাল্ড নীতি থেকে আভ্যন্তরীণ নীতি বিভিন্ন বিষয়েই
দখল করতে না পারলে সঙ্ঘ পরিবারের হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের দূ রভিষন্ধি ট্রাম্পের উগ্র দক্ষিণপন্থার রাজনীতি আমেরিকার একধরণের জ�োরাল�ো প্রগতিশীল রাজনীতির
তাতে একটা বড়সড় বাধা থেকে যায়। সামাজিক তথা আর্থিক বৈষম্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে প্রচার করার মধ্যে দিয়েই বার্ণি রাজনীতির
তৃণমূ ল হল ক্ষমতাকেন্দ্রীক দল, ক�োন আদর্শগত ভিত্তি এদের তুলেছিল। বিগত ৪ বছর রাষ্ট্রপতি থাকার সময় ময়দানে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সকলের জন্য
নেই। তৃণমূ ল নেতাদের তাই বিজেপিতে য�োগদানের ক্ষেত্রে ক�োন বর্ণ বিদ্বেষের চূ ড়ায় উঠে ড�োনাল্ড ট্রাম্প দেশের সরকারী উদ্যোগে স্বাস্থ্য-শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন করা,
সমস্যা নেই। এখানে বিজেপি-র প্রধান প্রতিপক্ষ হতে পারত�ো বাম ও আর্থিক মন্দার জন্য বারংবার সরাসরি অভিবাসী ও মধ্য প্রাচ্য লাতিন আমেরিকা সহ বিবিধ অঞ্চলে
গণতান্ত্রিক শক্তিগুলি। কিন্তু সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বিজেপি কাল�ো মানু ষদের দায়ী করেন। দেশের অভিবাসন আগ্রাসী মার্কিন নীতির অবসান – এই সমস্ত
-সঙ্ঘ পরিবার-ফ্যাসীবাদ এসব ক�োন এজেণ্ডাই নয়। এমনকি তাদের আইন, ভিসা পাওয়ার নিয়মনীতিতে আমূ ল বদল কিছু ই বার্নি সন্ডার্সের রাজনৈতিক প্রচারের মধ্যে
কেউ কেউ তলে তলে আওয়াজ তুলেছেন '২১শে রাম, ২৬ শে বাম।' নিয়ে আসে ট্রাম্প প্রশাসন। মধ্য প্রাচ্য সহ বিভিন্ন ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত্য আমেরিকার কায়েমি
এরকম ধ্বংসাত্মক শ্লোগান এদের ইতিহাসের ক�োন আস্তাকুড়ে ঁ ছু ড়ে
্ঁ জায়গায় সরাসরি মার্কিন হস্তক্ষেপ ঘটে। এর রাজনৈতিক শক্তির বদান্যতায় বার্নি নিজের
ফেলে দেয় সেটা বসে বসে দেখা ছাড়া গতি নেই। ফলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কদর্য ও নগ্ন রূপটা মন�োনয়ন বাতিল করে ট্রাম্পের বিপক্ষে জ�ো
কিন্তু পশ্চিমবাংলায় দূ র্বল হলেও রয়েছে বেশ কিছু সংগ্রামী একেবারে প্রকাশ্যে নিয়ে চলে এসেছে। স্বাস্থ্য ও বিডেনকে সমর্থন করেন।
বামপন্থী সংগঠন। রয়েছে অজস্র বাম মন�োভাবাপন্ন সামাজিক ও শিক্ষাসহ বিভিন সামাজিক সু রক্ষার ক্ষেত্রে ওবামা ট্রাম্পের পরাজয় আপাত ভাবে স্বস্তি
সাংস্কৃতিক সংগঠন, পত্র পত্রিকা ও বহু প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ প্রশাসনের আমলে সামান্য হলেও কিছু জনদরদী দায়ক হলেও নিয়ম নীতির দিক থেকে জ�ো
মানু ষ, বাম চেতনা সম্পন্ন বুদ্ধিজীবী ও ছাত্র যু ব, যারা মানসিকভাবে প্রগতিশীল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। বাড়তি বিডেন নিজেও চরম দক্ষিণ পন্থার সমর্থক।
প্রবল ফ্যাসীবাদ বির�োধী। ফ্যাসীবাদ বির�োধী আন্দোলনের চালিকাশক্তি সরকারি আয়ের অজুহাত দেখিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন জ�ো বিডেন ও তার উপ রাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস
এরাই হতে পারেন। বিহারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এখানেও সেগুল�োও প্রত্যাহার করে নেয়। চীনা পন্যের হলেন ডেম�োক্রাট দলের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি
আওয়াজ উঠু ক 'একটি ভ�োটও বিজেপিকে নয়'। পশ্চিমবঙ্গকে আমরা উপর বাড়তি কর বসিয়ে, চীনের সাথে বানিজ্য দক্ষিণপন্থী। ফলত ট্রাম্প যে পথে হাটা শুরু
ফ্যাসীস্টদের হাতে তুলে দেব না। একই সঙ্গে শ্রমিক কৃষকবির�োধী চুক্তির বদল ঘটিয়ে ট্রাম্প অ্যাপেল, গুগুল প্রভৃতি করেছিল বিডেন প্রশাসন এসে তাকে আমূ ল বদলে
শ্রমক�োড, কৃষি আইন, ব্যাপক মূ ল্যবৃ দ্ধি, বেকারিত্ব ইত্যাদির বিরুদ্ধে আমেরিকান বড় কর্পোরেটদের বাড়া ভাতেও ছাই দেবে , এরকম কিছু আশা করাটা বাতুলতা। কিন্তু
গড়ে তুলতে হবে ধারাবাহিক সংগ্রাম। ফেলতে শুরু করেন। বিশ্ব উষ্ণায়নকে গুজব বলে বিগত এক দশকে আমেরিকার বুকে নতুন করে
একদিকে ম�োদি সরকারের প্রতিটি জনবির�োধী কাজের উড়িয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তি প্রগতিশীল গণ আন্দোলন দানা বাধছে। অক্যুপাই
স্বরূপ উন্মোচন করা ও সাধরণ মানু ষের বেঁচে থাকার দাবিগুলি নিয়ে থেকে আমেরিকাকে বের করে আনেন। এই সমস্ত থেকে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার – তরুণ প্রজন্মের
আন্দোলন গড়ে ত�োলা আর অন্যদিকে নির্বাচনে বিজেপিকে ভ�োট অর্থনৈতিক পদক্ষেপের সাথে সাথে নিয়মিত ভাবে মধ্যে তথা সমাজে প্রগতিশীল রাজনৈতিক বিকাশ
দেওয়া মানে মানু ষের রুজি রুটির ওপর কর্পোরেটদের হামলাকে নারী বিদ্বেষী, বর্ণ বৈষম্যমূ লক, উগ্র জাত্যাভিমানী পাচ্ছে। নতুন করে উঠে আসছে বামপন্থী দল ও
মদত দেওয়া সে বিষয়ে সাধারণ মানু ষকে সচেতন করা এটাই হবে বিতর্কিত মন্তব্য করে আমেরিকান উদারবাদের ভাষ্য। এই সমস্ত কিছু নতুন করে আমেরিকার
বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের সবচেয়ে জরুরী কাজ। n তথাকতিত গণতান্ত্রিক মুখ�োশের প্রলেপটুকুও রাজনৈতিক পট পরিবর্তন করতে পারে কিনা তা
আগামী সময়ই বলতে পারবে। n
শ্রমিকশক্তি 3

নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে চলমান কৃষক আন্দোলনের ক�োলাজ


4 শ্রমিকশক্তি

বাংলার বিড়িশ্রমিকদের র�োজনামচা


প শ্চিমবঙ্গে বিড়ির প্রচলন সর্বাধিক। বিড়ির চাহিদা
বাড়তে থাকলেও প্রয়�োজনের তুলনায় বিড়ি বাঁধার
সাথে যু ক্ত শ্রমিকদের মজুরি, সামাজিক সু রক্ষা ক্রমশ
কমতে থাকছে। আর লকডাউনের জেরে ত�ো নারী পুরুষ
উভয় বিড়ি শ্রমিকদের অবস্থা শ�োচনীয়। সারাদিন কাজ
করে সংসারের খাওয়া খরচা টুকুও ত�োলা যাচ্ছে না।
সরকার এদের জন্য কিছু প্রকল্পের কথা বললেও বেশির
ভাগই এর ক�োন সু বিধা পায় না। এক চরম সঙ্কট নেমে
এসেছে আজ বিড়ি শ্রমিকদের ওপর। আমরা পত্রিকার
পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার স�োনার পুর
অঞ্চলে কিছু শ্রকিকের সাথে কথা বলেছিলাম। তাদের
নিজের মুখে শুনলাম তাদের বর্তমান হাল-হকিকত......

এই কাজ করছি অথচ আমাদের ক�োন উন্নতি নেই। কালে কাজের যা পরিস্থিতি সেই দিক দিয়ে ভাবলে,
চাকরী জীবিরা যেমন সু বিধা পায়, আমাদের সে সব এই কাজ তুলনামূ লক ভাবে হালকা আর রেগুলার
কিছু ই নেই। কাজ করলে অল্প হলেও পয়সা নিয়মিত আয় হয়।
সরকারি অফিস থেকে আমাদের কার্ড করা যায়, যার জন্য
কিছু সু বিধা আমরা পেতে পারি। কিন্তু আমরা তা পাই
না। আমাদের এখানে এত শ্রমিক থাকা সত্ত্বেও ক�োন
ইউনিয়ন নেই। কলকাতায় শিয়ালদহ বা রাজাবাজার
অঞ্চলে কয়েকটি বিড়ি শ্রমিকদের ইউনিয়ন আছে।
সেখানে শ্রমিকরা নিজেদের র�োজ বাড়ান�ো ইত্যাদি
দাবী আদায় করতে পারে। আমি নিজেও বিজয়গড়ে
একবার ইউনিয়ন করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্তু
কিছু দাঁড়ায়নি। যাই হ�োক সব মিলিয়ে আমাদের বিড়ি
শ্রমিকদের অবস্থা বেশ সংকটজনক আর এর থেকে
অমর চন্দ্র মন্ডল বের হতে গেলে আমাদের সংঘবদ্ধ ভাবেই ভাবতে হবে।
স্কুল জীবনের পর থেকেই গত ৩০ বছর
ধরে বিড়ি বাধিঁ। আগে কলকাতায় গিয়ে বিড়ি বেধে
আসতাম। এখন বয়স হয়েছে তাই বাড়িতেই বাধি।
আমাদের এখানে অনেক কারবারিরা আছে তাদের
থেকে ল�োকেরা মাল নিয়ে আসে। মজুরি বিনিময়ে পূর্ণিমা, শ্রাবন্তী, শিখা, সুষমা, গ�ৌরী
বেধে আবার দিয়ে আসা হয়। এখানে মজুরি পাই আমরা মেয়েরা অনেক ছ�োট থেকেই এই অঞ্চলে
এক হাজার বিড়ি পিছু ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা। বিড়ি বাধাঁর কাজ করছি। আমাদের ছেলে মেয়েদের
১০০০ বিড়ি বাধতে ৭-৮ ঘন্টা সময় লাগে। যেখানে পড়াশুনার জন্য আমরা সরকারি অফিসে গিয়ে কার্ড
কলকাতায় এই রেট ২০০ টাকা। বানিয়েছিলাম, কয়েকবার কিছু টাকা কয়েকজন পেয়েছিল।
সরকার থেকে শুনেছিলাম আমাদের জন্য কিছু সূ য�োগ তবে এখন সব বন্ধ। আমাদের মহিলা বিড়ি শ্রমিকদের
সু বিধা আছে। মগরা হাটে সরকারি অফিসে গিয়ে দু র্দশা প্রচুর। সারাদিন খেটে ১০০০ বিড়িতে পাই মাত্র
আই কার্ড বানাই। কিন্তু ক�োন ধরণের সু বিধা হল না। ১২০-১৩০ টাকা। বিড়ির দাম বাড়লেও আমাদের মজুরি
আমরা কিছু ই পাই না। সারাজীবন বিড়ি বেধে ক�োমড় কিন্তু বাড়েনি। যাদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে আসি, তারা
ভেঙে গেছে। এখন এই বয়সে আর অন্য কিছু করার বলেন আমাদেরই বাড়েনি, ত�ো ত�োমাদের দেব বারাব�ো
নেই। কার কাছে দাবী করব�ো বুঝতে পারি না। তাই কি করে! এখন গ্রামে অন্য কাজ না থাকায় মেয়েরা বিড়ি জামিরুন বিবি
কম হ�োক আর বেশি হ�োক এই র�োজেই যতদিন বেধেঁ সংসারে এটা ওটা গ�োঁজা দেওয়ার কাজ করে। মহাজন নয়, ক�োন�ো একজন মানু ষ নিজেই
পারব�ো কাজ করে যেতে হবে। এত খারাপ অবস্থা সত্তেও আমরা ভাবতেও পারিনা হয়ত আগে বিড়ি বাঁধত ,বাধতে বাধতে ক�োন�ো ক্রমে
প্রহ্লাদ মন্ডল যে সরকারি ভাবে আমাদের কিছু সাহায্য হতে পারে। কিছু পয়সা জ�োগাড় করে বিড়ি তৈরির সরন্জাম কিনে
আমার বয়স এখন ৭৪ বছর। ১৬ বছর বয়স আমাদের জন্য ক�োন নেতা মন্ত্রী নেই। এভাবেই এই যে বাড়ির মহিলাদের কাছে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে
থেকে বিড়ি বাধি। একটা সময় ছিল যখন আমাদের আমাদের জীবন চালাতে হবে। দেয়,এবং বিড়ি বাঁধা হয়ে গেলে আবার বাড়ি বাড়ি
গ্রামে রিতিমত�ো ক্যাম্প চলত�ো। এলাকা জলা ছিল। শম্ভু মন্ডল এসে নিয়ে যায়।কিন্তু এরা ছ�োট মালিক হলেও,শ�োষনের
তাই মাছ আর বিড়ি এই ছিল মানু ষের জীবিকা। গ্রামের তালপাতায় লিখে চতুর্থ ক্লাস শেষ করেই বিড়ি কায়দাটা ওই বড় মালিকের মত ই।ক�োন�ো সবেতন
বাধা বিড়ি কলকাতায় চালান দেওয়া হ�োত। এখন পাড়ায় বাঁধা শুরু করেছিলাম ৬ আনা হাজার প্রতি। আমার ছু টি শ্রমিকদের দেয় না।নেই ক�োন�ো অন‍্যান্ন সু য�োগ
পাড়ায় বিড়ির দ�োকান হয়েছে। অনেক কম মজুরিতে আগে আমার বাবাও এই কাজ করতেন। এই গ্রামে সু বিধা।এমনকি এই শ্রমিকরা যারা তার কাছে কাজ
কাজ করেছি একটা সময়। কিন্তু তখন ছেলেপুলে হয় বৃ টিশ আমল থেকেই বিড়ি বাঁধার কাজ চলছে। একটু করে তাদের নেই ক�োন�ো প্রমাণ পত্র!আর মজুরী
নি। এখন ছেলেরা না কাজ করলে আমার এই কম বেশি রেট পাবার জন্য কলকাতা থেকে বিড়ি বাঁধার বিষয়টা আরও হাস‍্যকর! একহাজার পিস বিড়ি বাঁধার
র�োজগারে (১২০-১৩০ টাকা) চালান�ো একেবারেই অর্ডার নিয়ে আসি। গ্রামে যেখানে রেট হাজার পিছু মজুরী ১০০-১২০টাকা।এখানে একটা জিনিস বলে রাখি
অসম্ভব। শুনেছি সরকারি অনেক সূ য�োগ সু বিধা আছে, ১৩০ টাকা সেখানে কলকাতায় ২২০ টাকা। কর�োনা একজন শ্রমিক দৈনিক ৪০০-৫০০ পিস বিড়ি অতি
কিন্তু আমরা সে সব পাই না। বংশপরম্পরায় আমরা কস্টে বানাতে পারে। n
সম্পাদক মহাশয়
শ্রমিকশক্তি পাঠকের চিঠি
মজদু র ক্রান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত, শ্রমিক শ্রেণীর মুখপত্র শ্রমিকশক্তি ১৪তম বর্ষ, ১ম সংখ্যা, অক্টোবর ২০২০ আমার হাতে এসেছে।
আঁধার মুক্ত চেতনার পক্ষ ম�োট ৮পাতার এই মুখপত্র পড়ে একথা বলা যায়। সত্যের দর্পণ শ্রমিক শক্তি কাগজ। উদার উদ্যোগ য�োগে পথ চলা, কথা বলা নজির রেখে
যাচ্ছে শ্রমিকশক্তি তার চলার পথে।
বর্তমান সময়কালে, সিংহভাগ মানু ষ নিজের পকেট ম�োটা স্বার্থে মাতাল। এমন দু র্দিনে, পক্ষ পাতী দূ ষণের মধ্যে, ব্যতিক্রমী চেতনার লক্ষ, ক্ষমতায় থাকা রাজশক্তির
লাল চ�োখকে ভয় না করে, জাগরণের জ�োয়ার আনা মানে, মৃ ত্যুর মিছিলে য�োগ দেওয়া। তবু মৃ ত্যু ভয় ভুলে ন্যায্য কথা বলা চেতনায় আগ্রহী আপনারা। তাই আপনাদের
সৎ সাহসের প্রতি কুর্নিশ, লাল সেলাম।
সালাম অন্তে-
এম মনিরুল হক
কান্দুরী, খড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ
শ্রমিকশক্তি 5

বিএসএনএল-এর ঠিকা কর্মচারীদের বকেয়া বন্ধ হিন্দম�োটর কারখানায় লাগাতার চুরির


বেতন ও কাজের দাবিতে লড়াই চলছে প্রতিবাদে পাঁচ ইউনিয়নের য�ৌথ কর্মসূচী
বিএসএনএল কলকাতা টেলিফ�োনস-এর ঠিকা শ্রমিক-কর্মচারীদের লড়াই
লাগাতারভাবে চলছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে ও ৪৮০০ ঠিকা শ্রমিক-কর্মচারীর
ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে এই লড়াই ক্রমশ বৃ হত্তর চেহারা পাচ্ছে। গত বছর নভেম্বর
মাসে এখানে ৪৮০০ ঠিকা কর্মচারীকে ছাঁটাই করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে
বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই শুরু করে কন্ট্রাক্টরস ওয়ার্কার্স
ইউনিয়ন অফ বিএসএনএল নামে সদ্যগঠিত সংগ্রামী ইউনিয়নটি।
এসএলএ (SLA) নামে একটি কুখ্যাত ঠিকাপ্রথা জারি করে শ্রমিক-
কর্মচারীদের ওপর যে আক্রমণ শুরু করে কর্তৃপক্ষ, তা বাতিল করার দাবিতে ও
বকেয়া বেতনে মেটান�োর ব্যাপারে হাইক�োর্টের নির্দেশ মান্য করার দাবি জানিয়ে
গত অক্টোবর মাসে ৪৮ ঘন্টা গণ-অনশন কর্মসূ চি পালিত হয়। এই আন্দোলনের
পাশে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন,
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাদের সংহতি জানান। লড়াকু ইউনিয়নটি গত একমাসে একের
পর এক প্রতিবাদ কর্মসূ চি নিয়ে চলেছে। বিগত ২৪শে মে, ২০১৪ থেকে সাসপেনসন অফ ওয়ার্কের অছিলায় বন্ধ হিন্দুস্তান
গত ৩০ নভেম্বর ও ৭ ডিসেম্বর বালিগঞ্জ অফিস ও হাওড়ার সত্যবালা অফিসে ম�োটরস কারখানা। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইক�োর্টে মামলা চলছে। ক�োর্ট
দু টি জিএম স্তরের ডেপুটেশনে শ্রমিকদের লড়াকু মেজাজ দেখাতে পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, 'যে অবস্থায় রয়েছে তা বজায় রাখতে'। তা সত্ত্বেও
বেতন সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে এই মুহুর্তে একমাত্র সিডব্লুইউ-এর সাথেই কর্তৃপক্ষের য�োগসাজশে চলছে ভেতর থেকে যন্ত্রপাতি পাচার। তার বিরুদ্ধে সংগ্রামী
কর্তৃপক্ষ আল�োচনা চালাতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যান্য তথাকথিত ইউনিয়নগুলি প্রায় শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (এসএসকেইউ), এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন,
নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ কর্তৃপক্ষের হয়ে এসএলএ প্রথা চাপিয়ে মজদু র ইউনিয়ন ও এসএসইউ য�ৌথভাবে প্রতির�োধ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এলাকার
দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আজ সর্বাত্মক লড়াইয়ে নেমেছে সিডব্লিউইউ। থানায় ডেপুটেশন সহ চলছে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এর দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূ চি।
এই পরিস্থিতিতে বহু হতাশ হয়ে পড়া শ্রমিক-কর্মচারীরা আবার লড়াইয়ের পথে তার ই অন্যতম রূপ হিসেবে আজ ৭ই ডিসেম্বর, ২০২০ চন্দননগর কমিশনারেটে,
ঘুরে দাঁড়াতে চেয়ে CWU ইউনিয়নে যু ক্ত হচ্ছে আর প্রতিদিন ইউনিয়ন একটু একটু কমিশনার অব পুলিশের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দাবী করা হয় অবিলম্বে
করে শক্তিশালী হচ্ছে। তখন ইউনিয়নকে দু র্বল করার জন্য ম্যানেজমেন্ট সহ দালাল বেআইনি পাচার বন্ধ ও হাইক�োর্টের বক্তব্যের পক্ষে যথাযথ ব‍্যবস্থা গ্রহণ করার।
নেতারা চক্রান্ত করছে। ইউনিয়নের অন্যতম নেতা দেবাশিষ মন্ডলকে মিথ্যা মামলা নচেৎ উপরিউক্ত শ্রমিক সংগঠন বাধ্য হবে কারখানা চত্বরে ধারাবাহিক পিকেটিং
দিয়ে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। দ্রুত খবর পৌঁছে যায় বিভিন্ন জায়গায়। শ্রমিকরা কর্মসূ চি গ্রহণ করতে। আজকের কর্মসূ চিতে ইউনিয়নগুলির পক্ষে কমঃ আভাষ মুন্সী,
খবর পেয়ে সকাল থেকে থানা ও ক�োর্ট চত্বরে জমায়েত হয়। শ্রমিকরা তাদের প্রিয় কামাক্ষা নারায়ণ সিং, অরুণ মুখার্জি সহ অন্যান্য নেতৃবৃ ন্দ উপস্থিত ছিলেন। n
নেতা দেবাশিষ মন্ডলকে মুক্ত বাড়ি নিয়ে যায়। দপ্তরের শ্রমিক বির�োধী নীতি, দালাল
নেতাদের নানান ষড়যন্ত্র এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
আগামী দিনে লড়াই জারি থাকবে। n কৃষক আন্দোলনের সংহতিতে
হাওড়া জেলা সংগ্রামী জরি শ্রমিক আউশগ্রামে এমকেপি-র প্রচার
ইউনিয়নের প্রথম সম্মেলন
ন�োটবন্দি, জিএসটি ও কর�োনার দাপটে বিপর্যস্ত হাওড়া জেলার জরিশিল্প।
লকডাউনের পর থেকে অবস্থা ভয়ংকর হয়েছে। শ্রমিকদের কাজ নেই, স্থানীয়
ক�োন বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। ঘরে ঘরে অনাহার, চরম দারিদ্র্য।
এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া, সরকারি সু য�োগ সু বিধে,  অভাব অভিয�োগ
নিয়ে কাজ করে চলা 'হাওড়া জেলা সংগ্রামী জরি শ্রমিক ইউনিয়ন' তার প্রথম
সম্মেলনের আয়�োজন করে গত ৮ই নভেম্বর, উলু বেড়িয়া মহকুমার বাউড়িয়ায়।
মেজুটি, ধামসিয়া, পাঁচলা, রঘুদেবপুর, সন্তোষপুর, সাহাপুর, পূ র্ব বুড়িখালী, বাউড়িয়া,
চেঙ্গাইল, সিজবেড়িয়া, উলু বেড়িয়া প্রভৃতি বিভিন্ন গ্রামের জরি শ্রমিকরা জড়�ো হন
সম্মেলন স্থল, সরস্বতী ভবনে। শ্রমিকরা সভায় সরকারি উদাসীনতা, অবহেলা ও
বঞ্চনার বিরুদ্ধে নানাভাবে বক্তব্য রাখেন। আন্দোলন করে দাবি আদায় করার জন্য
একটা শক্তিশালী ইউনিয়ন গড়ে ত�োলার কথা সম্মেলনে উঠে আসে। রাজ্য সরকারের দেশে চলমান কৃষক আন্দোলনের সংহতিতে ও ৮ই ডিসেম্বর ভারত বন্ধের
অসংগঠিত শিল্পের জন্য চালু হওয়া সামাজিক সু রক্ষা য�োজনা (SSY)র আওতায় সমর্থনে সারা রাজ‍্যের সাথে পূ র্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ব্লকের কেঁওতলা
অবসরকালীন পেনশন, বিনামূ ল্যে অনলাইন পরিষেবা, বর্ধিত পরিমাণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ও আনন্দবাজারে পথসভা হয়।সভায় ম�োদী সরকারের মানু ষ মারা নয়া কৃষি
পরিষেবা প্রভৃতি দাবি আদায়ের পরিকল্পনা সম্মেলন গ্রহণ করে। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ আইন বাতিলের দাবিতে ও দেশজুড়ে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানু ষ-ছাত্র-যু ব-
ছড়িয়ে শ্রমজীবী মানু ষের মধ্যে বিভেদ সৃ ষ্টির যে কাজ আজ সমাজ জুড়ে সংগঠিত নারী বির�োধী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথা জেলা
করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান�োর কথা বক্তারা বলেন। আর শ্রমিক স্বার্থ কমিটির যু গ্ম সম্পাদক কমঃ স�ৌরেন চ্যাটার্জী। জেলা কমিটির সদস্য কমঃ
বির�োধী 'শ্রম ক�োড' লাগু করার কেন্দ্রীয় সরকারের কালা শ্রম আইন এর বিরুদ্ধে মফিজুর রহমান ও কেন্দ্রীয় তথা জেলা কমিটির সদস্য কমঃ মানিক সমাদ্দার।
আগামী ২৬শে নভেম্বর সর্বভারতীয় ধর্মঘট সফল করার আহ্বান সম্মেলনে রাখা বক্তারা সকলেই কৃষক-শ্রমিকের দেশজ�োড়া ঐক্যের মধ্য দিয়েই এই ফ্যাসিবাদের
হয়। গণসঙ্গীত, আবৃ ত্তি, স্লোগানে সম্মেলনের সভাগৃ হ মুখরিত হয়ে ওঠে। কর�োনার ম�োকাবিলা করা সম্ভব বলে জ�োরাল�ো সওয়াল করেন। তারা বলেন বিগত ছয় বছরে
চ�োখরাঙ্গানিকে অগ্রাহ্য করে, মাস্ক পরে জরিশিল্পে কর্মরত নারী পুরুষ শ্রমিকরা দূ র এই প্রথমবার ম�োদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার জ�োরাল�ো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।
দূ র গ্রাম থেকে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সভায় জেলার সংসদীয় পথে নয়, মেহনতী জনগনের ঐক্যবদ্ধ লড়াই একমাত্র এই অত্যাচারীদের
অন্যান্য সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়ন ও SWCC র প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। n থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে পারে। n

এমকেপি-র ফ্যাসিবাদ বির�োধী অবস্থান কর্মসূচী


১-এর পাতার শেষাংশ
বাড়বাড়ন্ত এবং লকডাউনের সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-বির�োধী ভূ মিকার
এমকেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড শুভেন্দু বিশ্বাস তার বক্তব্যে কথা উল্লেখ করেন। রেড স্টারের পক্ষে কমরেড সু নীল পাল দিল্লীর দিকে এগ�োতে
ভারতে ফ্যাসিবাদী আরএসএস-এর ঘৃ ণ্য রাজনীতির স্বরূপ তুলে ধরেন। থাকা কৃষকদের মিছিলকে হরিয়ানার সরকার কিভাবে রাস্তায় ব্যারিকেড করে ও
বিএসএনএল-এর ঠিকা কর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়া ও তাদের স্থায়ী পুলিশ দিয়ে আটকান�োর চেষ্টা করছে তা তুলে ধরেন। নিউ ডেম�োক্রাসির পক্ষে কম:
কাজে অস্থায়ী অবস্থাকে জিইয়ে রাখার কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-শ�োষণ নীতিকে আশিষ দাসগুপ্ত বক্তব্য রাখেন। সিপিআইএমএল(লিবারেশন)-এর রাজ্য কমিটির
তুলে ধরেন। শ্রমিক-বির�োধী নয়া শ্রমক�োড নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড বাসু দেব বসু পাঞ্জাবের কৃষকদের সংগঠনগুলি কিভাবে দলিতদের
কমিটির সদস্য ও হাওড়া জেলা সম্পাদিকা কমরেড শুক্লা কুন্ডু বিজেপির মালিক- জমি কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে তা আল�োচনা করেন এবং বামপন্থী দলগুলির
ত�োষণ নীতিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। বিজেপি শাসনে নারী-নির্যাতনের বর্তমান পরিস্থিতিতে 'ঐক্য ও সংগ্রাম'-এর প্রয়�োজনীয়তার কথা বলেন। n
6 শ্রমিকশক্তি

দুনিয়াজুড়ে অ্যামাজ়ন শ্রমিকদের জঙ্গি লড়াই


সুমন্ত
মা র্চ মাস থেকে কর�োনাভাইরাসের জন্য সারা
পৃ থিবীজুড়েই শুরু হয়েছিল লকডাউন। এই
পর্যায়ে সারা পৃ থিবী জুড়েই ওলটপালট হয়ে যায় চাকরি
পরিচিত একটা পন্থা।
় নের কর্মীরা এমন একটা
এই প্রথম অ্যামাজ
প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আঁটঘাঁট বেঁধে লড়াইয়ে নামা
যায়, ও দাবিগুল�ো বাস্তবের জমি স্পর্শ করে থাকে। এর
মধ্যে প্রাথমিক গুরুত্বের জায়গায় আছে অ্যামাজ ় নের
ও কাজের দু নিয়া; প্রচুর মানু ষ কাজ হারান, অনেকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলেন, যার মূ ল লক্ষ্য ও দাবি বিশাল বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের সঠিক সীমানা নির্ধারণ।
আবার চাকরি না হারালেও মাসের শেষে তাঁদের মাইনে তাঁদের ন্যায্য অধিকার আদায়, তাঁদের কাজের সু রক্ষা এই ক�োম্পানির বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য কিন্তু আদ�ৌ এর
কমে যায় বা নিয়মিত মাইনে পাওয়ার ধারণাটাই উবে ও সর্বোপরি সঠিক বেতন, এবং যার ব্যাপ্তি বিশ্বজ�োড়া। উপভ�োক্তাদের কাছে স্পষ্ট নয় - এটাই ক�োম্পানির
যায়। কিন্তু মজার কথা হল, এই সময়ের মধ্যেই আবার এইভাবেই বিখ্যাত "ব্ল্যাক ফ্রাইডে"র দিন দেখা যায় নীতি। ফলে অনেকেই অ্যামাজ ় নকে নিছক খুচর�ো
বড় বড় পুঁজিপতি ও কর্পোরেট সংস্থা বিরাট মুনাফার "মেক অ্যামাজ ় ন পে" ব্যানারে সমবেত হয়েছেন বিপণির ব্যবসাদার ক�োম্পানি ভাবেন। আদ�ৌ কিন্তু সে
মুখ দেখেছে। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হল অ্যামাজ ় ন ় নের গুদামের কর্মচারীরা, নানা ট্রেড ইউনিয়ন
অ্যামাজ তা নয়। অ্যামাজ ় ন আসলে একুশ শতকের সবচেয়ে
সংস্থা। এই সময়ের মধ্যে অ্যামাজ ় ন রেকর্ড মুনাফার এবং শ্রমিক আন্দোলনের আরও নানা সক্রিয় কর্মীরা। বড় একচেটিয়া সাম্রাজ্যের অধিকারী, এবং শ�োষণ
মুখ দেখলেও যাঁরা নিরন্তর সেই মুনাফার পাহাড় এই আন্দোলন সঠিক অর্থেই একটা নতুন ধরনের আর সম্পদ হরণ ও দখলের ক্ষেত্রে সে ঔপনিবেশিক
বানিয়ে চলেন, সেই "নিচুতলার” কর্মীদের অবস্থা আন্দোলন, যার অভিঘাত বিশ্বজ�োড়া। বিভিন্ন মাত্রায় জমানার প্রভুদের থেকে ক�োন�ো অংশে কম নয়। আর
কিন্তু একটুও পাল্টায়নি। সেই মুনাফার সামান্যতম একইসাথে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ, বর্তমান সময়ে, কাজের হাহাকারের বাজারে যেখানে
অংশও ওই কর্মীদের দিকে চুঁইয়ে নামেনি। সেই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, প�োল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স কাজ নেই প্রায়, সেখানে এই শ�োষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে।
নিয়েই অ্যামাজ ় নের কর্মীরা পৃ থিবীজ�োড়া এক সংঘবদ্ধ ও ইয়�োর�োপের নানা জায়গায়। একইদিনে একসাথে "মেক অ্যামাজ ় ন পে" আসলে দিশা দেখাচ্ছে।
আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দিশা দেখাচ্ছে অ্যামাজ ় নের মত�ো দৈত্যাকার কর্পোরেটের
সম্প্রতি নানা সামাজিক মাধ্যমে অতিমারী বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার। কিছু সাফল্যও পেয়েছে।
পর্বে পৃ থিবীর সবচেয়ে ধনী মানু ষ অ্যামাজ ় নের যেমন, অ্যামাজ ় ন তার কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি ১৫
সিইও জেফ বেজ�োস এর চ�োখধাঁধাঁন�ো আর অশ্লীল ডলার করতে বাধ্য হয়েছে, এবং গত বছর আমেরিকার
সম্পদবৃ দ্ধির কিছু খবর ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু মাত্র গত কুইন্স প্রদেশে অ্যামাজ ় নের দ্বিতীয় হেডকয়ার্টার
তিনমাসেই এই ক�োম্পানি ৯৬.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তৈরিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই মার্কিন কংগ্রেসে
(ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাত লক্ষ আট হাজার ক�োটি অ্যামাজ় নের ভয়ানক সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিল আনা
টাকা) আয় করেছে। ইন্সটিটিউট অফ পলিসি স্টাডিজ হয়েছে। আন্দোলনকারীদের মতে এমন আইন পাশ
নামক একটি সংস্থার হিসাব অনু যায়ী, এই পরিমাণ হয়েছে, যা কিনা শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠিত হতে
টাকা দিয়ে বেজ�োস ব্যক্তিগতভাবে অ্যামাজ ় নের আট ও ইউনিয়নে সংঘবদ্ধ হতে সাহায্য করবে ও সব
লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার কর্মীদের প্রত্যেককে প্রায় সাতাত্তর মিলিয়ে শ্রমিকস্বার্থবির�োধী ও ট্রেড-ইউনিয়নবির�োধী
লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার টাকা ব�োনাস দিতে পারতেন, আইনগুল�োকে দু র্বল করবে। একইভাবে ফ্রান্সেও
এবং তা দিয়ে দেওয়ার পরেও তিনি কর�োনা অতিমারীর অ্যামাজ ় ন কর্মচারীরা ধর্মঘট, গণ-প্রতিবাদ করে
আগে যেমন ভয়ানক ধনী ছিলেন, সেরকমই থেকে আন্দোলনে সাফল্য পেয়েছেন, যেখানে ফরাসী একটি
যেতেন। লকডাউনের ফলে অনলাইন কেনাকাটা ভীষণ কর্মবিরতি, ধর্মঘট, ও নানাভাবে প্রতিবাদ সংঘটিত ক�োর্ট কর�োনা অতিমারীর সময়ে অ্যামাজ ় নের শ্রমিক-
বেড়ে যাওয়ায় আমেরিকা ও ইয়�োর�োপে অ্যামাজ ় নের করা হয়। এই "মেক অ্যামাজ ় ন পে" আন্দোলন আসলে কর্মচারীদের স্বাস্থ্য ও সু রক্ষা নিয়ে একটি রায়দান
গুদামে কর্মরতদের মারাত্মকভাবে ভাইরাস সংক্রমণের ু
পৃ থিবীজড়ে নানাধরনের শ্রমিক-কর্মচারীকে এক ছাতার করেছেন যেখানে বলা আছে, ক�োম্পানি সু রক্ষার দিকে
ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, এবং তাঁদের তলায় নিয়ে এসেছে। সে ভারতের হকাররাই হন, বা নজর না দিলে প্রতিদিন ১০ লক্ষ টাকা করে জরিমানা
ছু টির ব�োনাস হিসাবে মাত্র ৩০০ মার্কিন ডলার প�োল্যান্ডের গুদামশ্রমিক। গ�োটাটাই একটা আন্তর্জাতিক দিতে হবে। এই রায়ে অ্যামাজ ় ন প্রথমে ফ্রান্সে তাদের
(ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় বাইশ হাজার টাকা) দেওয়া হয়। শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন এর রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসা বন্ধ করে দেবার হুমকি দিলেও পরে মেনে নিতে
এর বাইরেও যাঁরা অ্যামাজ ় নের কর্মী আছেন, তাঁদের গ্রীণপিসের মত�ো নানা অলাভজনক সংস্থাও আছে, যারা বাধ্য হয়েছে। একইভাবে আন্দোলনের আঁচ ছড়ীয়ে
আরও অনেক কম টাকা দেওয়া হয়, এবং অনেক অ্যামাজ ় নের কার্বন ফুটপ্রিন্ট নিয়েও কথা বলছে। প্রসঙ্গত পড়েছে প�োল্যান্ড ও জার্মানিতেও, যেখানে শ্রমিক-
জায়গাতেই কিছু ই দেওয়া হয় না। এতেই কর্পোরেট অ্যামাজ় নের কার্বন ফুটপ্রিন্ট গ�োটা পৃ থিবীর সবকটা কর্মচারীরা ঘ�োষণা করেছেন যে, তাঁরাও সম্মিলিতিভাবে
ও পুঁজিবাদী মিডিয়াগুল�ো গদগদ স্বরে বলতে শুরু দেশের সম্মিলিত কার্বন ফুটপ্রিন্টের দু ই তৃতীয়াংশ। বিশ্বজ�োড়া এই লড়াইয়ে অংশ নেবেন। শুধু কিন্তু এটুকুই
করে যে, অ্যামাজ ় ন কতখানি মুক্তহস্ত যে এইভাবে তার এই কার্বন ফুটপ্রিন্ট দিয়ে পরিবেশ দূ ষণের মাত্রা ব�োঝা নয়। "মেক অ্যামাজ ় ন পে" আন্দোলন অন্যদিকেও দিশা
কর্মীদের পেছনে খরচ করছে, অথচ সেই কর্মীদের যায়। যে সংস্থার কার্যকলাপের কার্বন ফুটপ্রিন্ট যত দেখাচ্ছে। তাদের দাবিগুল�োর মধ্যে অন্যতম একটা
একটা অংশ এখনও ধর্মঘট করে যাচ্ছে! এইভাবে তারা বেশি, তার পরিবেশ নষ্ট করার মাত্রাও তত বেশি। হল ক�োম্পানির ব�োর্ডে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ করতে
আসলে অ্যামাজ ় নের "নিচুতলা"র কর্মীদের আন্দোলন এই আন্তর্জাতিক ফেডারেশন বা ক�োয়ালিশন বর্তমান দেওয়ার দাবি, এবং ক�োম্পানি ম্যানেজমেন্টে তাদের
করার বাস্তব ভিত্তিটাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে নানা আইন ও ইতিহাসের নানা উদাহরণকে সম্বল করে ভ�োটাধিকারের দাবি।
দেয়। বলাই বাহুল্য, তাদের এই দৃ ষ্টিভঙ্গি পুর�োটাই একটি অত্যন্ত যু ক্তিপূর্ণ ও শক্তপ�োক্ত প্রস্তাবনা তৈরি নতুন ধরণের এই লড়াইয়ের ভবিষ্যতের দিকেই
ভুল ও কর্মীদের আন্দোলনকে হেয় প্রতিপন্ন করার খুব করেছেন, যাতে করে অ্যামাজ ় নের মত�ো শক্তিশালী ও তাকিয়ে এখন সবাই। n

শ্রমিকশক্তি মুর্শিদাবাদ জেলায় শ্রমিকশক্তি পত্রিকার


য�োগায�োগ ঃ নবদিগন্ত অ্যাপার্টমেন্ট
ফ্ল্যাট নং ২সি উদ্যোগে ফ্যাসিবাদ বির�োধী সেমিনার
১৬, স্নাফমিল স্ট্রীট, কলকাতা ৭০০০৫৬ শ্রমিকশক্তি পত্রিকার মুর্শিদাবাদ জেলা টীমের পক্ষ থেকে কান্দিতে গত ২৮শে
ফ�োন ঃ +৯১-৮৫৮৫৮৫৪১৩৮ নভেম্বর একটি সেমিনারের আয়�োজন করা হয়। সেমিনারের বিষয় ছিল- ‘নভেম্বর
বিপ্লবের আল�োকে ফ্যাসিবাদ বির�োধী সংগ্রাম’। ঘন্টা দু য়েকের সেমিনারে প্রধান বক্তা
ইমেল : shramikshakti@gmail.com ছিলেন সু ভাষ পাণ্ডে ও অমিতাভ ভট্টাচার্য। এই কর�োনা আবহে অনু ষ্ঠিত সেমিনারে
উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৬০জন সংগ্রামী মানু ষ। সেমিনারের প্রারম্ভিক উপস্থাপনা করেন
আরও য�োগায�োগ ঃ কমঃ সু কান্ত ঘ�োষ। সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ক�োরাস
নাট্য গ�োষ্ঠীর সাথীরা। আবৃ ত্তি পরিবেশন করেন নাট্যকর্মী বিশ্বনাথ দে। উভয় বক্তার
৯৮৩০৮৮৩৩৫৬ (কলকাতা) ৭০০৩৬৩৯৫১৪ বক্তব্যে নভেম্বর বিপ্লবের প্রাসঙ্গিকতা এবং শ্রমজীবী জনতার জাগরণের ইতিহাস
(হাওড়া) ৮৩৩৫৯২৫৪৩৬ (হুগলী) ৮৯৬৭৩৩০৬০৬ উঠে আসে। অন্যদিকে বর্তমান ভারতবর্ষের বিজেপি আরএসএস-এর ফ্যাসিবাদী
আক্রমণের দিক উন্মোচিত হয়। সেমিনার থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে পথে নামার
(বর্ধমান) ৯০০২২৫৩৮৭০ (সুন্দরবন) ৭৫৮৫০২৯০৩৭ আহ্বান খুব জ�োরাল�ো ভাবে রাখা হয়। পাশাপাশি বাংলার বুকে ফ্যাসিস্ট শক্তি
(কল্যাণী) ৮৬৯৭৮৭৩৩১১ (বেলঘরিয়া) ৮০০১৪৮১২২২ যে টার্গেট নিয়ে নির্বাচনে নামছে তার স্বরূপ ও আমাদের কর্তব্যের দিকগুলিকে
আল�োকপাত করেন কমঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য। n
(মুর্শিদাবাদ)
মজদুর ক্রান্তি পরিষদ (এমকেপি) কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে কমঃ আভাষ মুন্সী, ২সি, ১৬, স্নাফমিল স্ট্রীট, কলকাতা-৭০০০৫৬ কর্তৃক প্রকাশিত ও নিউ রেনব�ো ল্যামিনেশন কর্তৃক মুদ্রিত। সম্পাদক : অমৃত পৈড়া।

You might also like