ত্যাগের আলোকোজ্জ্বল প্রতিমূর্তি হল “সূর্য” । কারণ অগ্নিপিণ্ড বক্ষে ধারনকৃ ত সেই সূর্য তেজ- ই ধরিত্রীর প্রতিটি প্রাণের উৎস । স্তব্ধময় রাত্রির আধার নিমজ্জিতকারী পূর্বাকাশে প্রভাতের সর্বপ্রথম আলোকরশ্মি বিচ্ছুরণকারী সূর্য, প্রতিটি জীবের প্রাণস্পন্দন, তেজের উৎস স্বরূপ “সূর্য” । পশ্চিমাকাশে অস্তগামী সেই “সূর্য”, সেই সাথে সাথে আধারস্বরূপ স্তব্ধময় জড়তার আগমনের কারণ “সূর্য” । অন্ধকার স্বরূপ রাত্রির নিস্তব্ধতা রোধকারী আবার সেই সূর্য ; কারণ “মাহাতাব্” চন্দ্রকে আলোকরশ্মি প্রদানকারী সেই সূর্য । সৌরজগতের কবচকু ণ্ডল হল “সূর্য”, সৌরমণ্ডলের সমস্ত গ্রহাণুপুঞ্জের কর্তৃ ক প্রদক্ষিণ প্রাপ্ত সেই “সূর্য”; সৌরমণ্ডলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী সেই “সূর্য” । পৃথিবী সমেত সমস্ত গ্রহাণুপুঞ্জের আশীর্বাদস্বরূপ “সূর্য”, সৌরমণ্ডলের অধিপতি হল “সূর্য”, মহান তেজোদীপ্ত ও আশীর্বাদস্বরূপ “সূর্য” । কারণ উদ্ভিদ জগতের প্রাণ সঞ্চালণ ও নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র স্বরূপ হলো সেই “সূর্য”; তথাপি উদ্ভিদ সমূহের সালোকসংশ্লেষণের ভিত্তিস্বরূপ নির্ভ রশীলতার নাম “সূর্য” । জীবের প্রাণস্পন্দন প্রাপ্ত কেবলমাত্র গ্রহ “সূর্য”, পৃথিবী কর্তৃ ক আহ্নিক ও বার্ষিক গতি ধারা প্রদক্ষিণ প্রাপ্ত “সূর্য” । পৌরাণিক চরিত্র "অশ্বিনীকু মারদ্বয়" সমেত কবচকু ণ্ডল ধারী দানবীর কর্নের জন্মদাতা "সূর্য", পৌরাণিক চরিত্র ভয়ঙ্কর বজ্রের অধিকারী ইন্দ্রের সমকক্ষ সরূপ "সূর্য" । কালরুপী ভারী বর্ষণ, রুদ্ররূপী "মেঘনাদ্" গর্জ ন এবং ভয়ঙ্কর বজ্রপাত নিমজ্জিতকারী সেই উত্তপ্ত রৌদ্রপ্রখর কিরণ বিচ্ছুরণকারী "সূর্য", নবগ্রহ-শ্রেষ্ঠ এবং নক্ষত্রাধিপতি সেই "সূর্য"। জীব জগতের সমস্ত গ্লানি, জড়া নিমোজ্জিতকারী তেজময় আলোক রশ্মির উৎস "সূর্য" । আবারো বলতে চাই, পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণস্পন্দনের মিত্র স্বরূপ "সূর্য", কারণ জীবজগৎ রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ “সূর্য” | হঠাৎ যেন মনে হল এ - দানবীর “সূর্য”, প্রতিটি জীবের নিকট দাতা সরূপ "সূর্য" | মহত্বপূর্ণ ত্যাগের উৎকৃ ষ্ট প্রমাণ “সূর্য”, কারণ অগ্নিপিণ্ড বক্ষে ধারণকৃ ত ত্যাগী "সূর্য"এবং প্রতিটি ক্ষণে জগতের ভারসাম্য রক্ষাকারী এবং প্রাণসঞ্চারকারী "সূর্য" । সেই সাথে প্রতিটি জীবের তেজ সঞ্চালনকারী সেই “সূর্য”; তেজের উৎস, প্রাণের উৎস এবং জগতের আলোর উৎস "সূর্য" । সমস্ত জীব-জগতের আশীর্বাদ হলো "সূর্য" । জীবজগতের নিকট বিধ্বস্তরুপী মহামারী স্বরূপ জীবাণু ধ্বংসকারী "সূর্য", সেইসাথে পুরাণ মতে, পৃথিবীতে অপশক্তি স্বরূপ অশরীরি শক্তি নিমজ্জিতকারী আলোক রশ্মির উৎস "সূর্য" । সেইসাথে ভয়ঙ্কর অতিবেগুনি রশ্মি বিচ্ছুরণকারী "সূর্য", আবার ভয়ঙ্কর আগ্নেয় তেজ সরূপ উতপ্ত আলোকরশ্মি বিচ্ছুরণকারী সেই "সূর্য" । প্রখর সেই রৌদ্রতপ্তময় রুপ কর্তৃ ক জীবজগতের প্রাণশক্তি ও কর্মশক্তি শোষণকারী সেই "সূর্য", জীবজগতের হাহাকার স্বরূপ মাত্রাতিরিক্ত প্রখর রৌদ্রতপ্ত রশ্মি বিচ্ছুরণকারী সেই "সূর্য" । এ যেন হঠাৎ মনে হল পৌরাণিক ভয়ঙ্কর "সূর্যাস্ত্র" । তবু বলতে চাই, প্রতিটি জীবের আশীর্বাদস্বরূপ "সূর্য", জীবের প্রাণউৎস ও সঞ্চালক "সূর্য"; জগৎ- এর সমস্ত তেজের উৎসস্বরূপ ও তেজ প্রদানকারী-ই "সূর্য" । জীবজগতের নির্ভ রশীলতার কেন্দ্রবিন্দু "সূর্য" । জীবজগৎ- এ দানবীর স্বরূপ অনবদ্য দাতা "সূর্য", ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত "সূর্য" । জীবজগতে অন্ধকার নিমজ্জিতকারী আলো ও প্রাণস্পন্দনের কেবলমাত্র উৎস "সূর্য", সেইসাথে জীবজগতের মিত্ররুপে খ্যাতিমান সরূপ "সূর্য"; রাত্রির অন্ধকারাচ্ছন্ন দিবসে জীবজগতের অতি প্রত্যাশিত সূর্যালোকের প্রথম কিরণ বিচ্ছুরণকারী অপেক্ষমান এক একটি প্রতীক্ষার হেতু "সূর্য" । সেইসাথে রাত্রিময় আধার বিধ্বস্তকারী আলোর উৎস, প্রাণশক্তি এবং নতু ন উদ্যম সরূপ "সূর্য", এই জগতে আলো-আঁধার পার্থক্য প্রদানকারী ও আঁধাররুপী গ্রাস হতে কেবলমাত্র ত্রাতা স্বরূপ "সূর্য" । সৃষ্টিকর্তার অতিপ্রাকৃ ত শক্তি ও মহান সৃষ্টি স্বরূপ মহান তেজময় দীপ্তি ও শক্তির উৎস "সূর্য", সেই সাথে সুর্যের প্রতিটি কিরণ শক্তি যেমন আশীর্বাদস্বরূপ; সেইসাথে জীবকূ লে ভয়ঙ্কর ত্রাসের ও কারণস্বরূপ। প্রতিটি মহান গুণে গুণান্বিত সেই "সূর্য" । এ যেন এক মহান ত্যাগী দাতা – জীবজগৎ রক্ষায় মহান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । আরো একবার মনে হলো, পৌরাণিক চরিত্র "ভীষ্মের" নেয় ভীষণ প্রতিজ্ঞায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ "সূর্য", স্বয়ং সূর্যপুত্র কর্ণের ন্যায় দানবীর দাতা। আরো একবার মনে হল, ভীষ্ম ও কর্ণের অমর ত্যাগের ইতিহাসের ন্যায় সেই মহান ত্যাগী "সূর্য", সূর্যের আদর্শ; হোক যেন সে মানব জীবনের নীতি ও আদর্শ। অন্ধকার রুপী জড়া ও গ্লানির নিকট ত্রাস রুপী আলোর উৎস "সূর্য", পূর্বাকাশে ভোরের আলো বিচ্ছুরণকারী দিন-এর আগমনরুপী প্রাণ সঞ্চালন রূপ “সূর্য”; পশ্চিমাকাশে রক্তবর্ণ ধারণকৃ ত অস্তগামী সূর্য;সেই সাথে সাথে দিবসের সমাপ্তি সরূপ "সূর্য" । আরো একবার বলতে চাই, পৃথিবীর প্রাণকেন্দ্র “সূর্য”, সূর্যের প্রতিটি মহিমা, ত্যাগ ও আদর্শ সত্য; জীবজগতের প্রাপ্তিস্বরূপ আশীর্বাদ "সূর্য" । মঙ্গলময় আলোকদীপ্তির উৎস "সূর্য", মহান গুণে গুণান্বিত সত্য, সুন্দর ও পবিত্র "সূর্য"; জীবের প্রাণস্পন্দনের উৎস এবং সৌরমণ্ডলের কেন্দ্রবিন্দু কেবলমাত্র "সূর্য" ।
Author: Avijit Chakrabarty Pritam.
Profession: Student. Department: English Literature. Institution: Notre Dame University Bangladesh. Member of “ARE Writers Community”.