You are on page 1of 4

মহান গুনে গুণান্বিত “সূর্য”

অভিজিৎ চক্রবর্তী প্রীতম

প্রখর তেজোদীপ্ত সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র “সূর্য”;


ত্যাগের আলোকোজ্জ্বল প্রতিমূর্তি হল “সূর্য” ।
কারণ অগ্নিপিণ্ড বক্ষে ধারনকৃ ত সেই সূর্য তেজ- ই ধরিত্রীর প্রতিটি প্রাণের উৎস ।
স্তব্ধময় রাত্রির আধার নিমজ্জিতকারী পূর্বাকাশে প্রভাতের সর্বপ্রথম আলোকরশ্মি বিচ্ছুরণকারী
সূর্য,
প্রতিটি জীবের প্রাণস্পন্দন, তেজের উৎস স্বরূপ “সূর্য” ।
পশ্চিমাকাশে অস্তগামী সেই “সূর্য”,
সেই সাথে সাথে আধারস্বরূপ স্তব্ধময় জড়তার আগমনের কারণ “সূর্য” ।
অন্ধকার স্বরূপ রাত্রির নিস্তব্ধতা রোধকারী আবার সেই সূর্য ; কারণ “মাহাতাব্” চন্দ্রকে
আলোকরশ্মি প্রদানকারী সেই সূর্য ।
সৌরজগতের কবচকু ণ্ডল হল “সূর্য”,
সৌরমণ্ডলের সমস্ত গ্রহাণুপুঞ্জের কর্তৃ ক প্রদক্ষিণ প্রাপ্ত সেই “সূর্য”;
সৌরমণ্ডলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী সেই “সূর্য” ।
পৃথিবী সমেত সমস্ত গ্রহাণুপুঞ্জের আশীর্বাদস্বরূপ “সূর্য”,
সৌরমণ্ডলের অধিপতি হল “সূর্য”,
মহান তেজোদীপ্ত ও আশীর্বাদস্বরূপ “সূর্য” ।
কারণ উদ্ভিদ জগতের প্রাণ সঞ্চালণ ও নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র স্বরূপ হলো সেই “সূর্য”;
তথাপি উদ্ভিদ সমূহের সালোকসংশ্লেষণের ভিত্তিস্বরূপ নির্ভ রশীলতার নাম “সূর্য” ।
জীবের প্রাণস্পন্দন প্রাপ্ত কেবলমাত্র গ্রহ “সূর্য”,
পৃথিবী কর্তৃ ক আহ্নিক ও বার্ষিক গতি ধারা প্রদক্ষিণ প্রাপ্ত “সূর্য” ।
পৌরাণিক চরিত্র "অশ্বিনীকু মারদ্বয়" সমেত কবচকু ণ্ডল ধারী দানবীর কর্নের জন্মদাতা "সূর্য",
পৌরাণিক চরিত্র ভয়ঙ্কর বজ্রের অধিকারী ইন্দ্রের সমকক্ষ সরূপ "সূর্য" ।
কালরুপী ভারী বর্ষণ, রুদ্ররূপী "মেঘনাদ্" গর্জ ন এবং ভয়ঙ্কর বজ্রপাত নিমজ্জিতকারী সেই
উত্তপ্ত রৌদ্রপ্রখর কিরণ বিচ্ছুরণকারী "সূর্য",
নবগ্রহ-শ্রেষ্ঠ এবং নক্ষত্রাধিপতি সেই "সূর্য"।
জীব জগতের সমস্ত গ্লানি, জড়া নিমোজ্জিতকারী তেজময় আলোক রশ্মির উৎস "সূর্য" ।
আবারো বলতে চাই, পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণস্পন্দনের মিত্র স্বরূপ "সূর্য",
কারণ জীবজগৎ রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ “সূর্য” |
হঠাৎ যেন মনে হল এ - দানবীর “সূর্য”,
প্রতিটি জীবের নিকট দাতা সরূপ "সূর্য" |
মহত্বপূর্ণ ত্যাগের উৎকৃ ষ্ট প্রমাণ “সূর্য”,
কারণ অগ্নিপিণ্ড বক্ষে ধারণকৃ ত ত্যাগী "সূর্য"এবং প্রতিটি ক্ষণে জগতের ভারসাম্য
রক্ষাকারী এবং প্রাণসঞ্চারকারী "সূর্য" ।
সেই সাথে প্রতিটি জীবের তেজ সঞ্চালনকারী সেই “সূর্য”;
তেজের উৎস, প্রাণের উৎস এবং জগতের আলোর উৎস "সূর্য" ।
সমস্ত জীব-জগতের আশীর্বাদ হলো "সূর্য" ।
জীবজগতের নিকট বিধ্বস্তরুপী মহামারী স্বরূপ জীবাণু ধ্বংসকারী "সূর্য",
সেইসাথে পুরাণ মতে, পৃথিবীতে অপশক্তি স্বরূপ অশরীরি শক্তি নিমজ্জিতকারী আলোক
রশ্মির উৎস "সূর্য" ।
সেইসাথে ভয়ঙ্কর অতিবেগুনি রশ্মি বিচ্ছুরণকারী "সূর্য",
আবার ভয়ঙ্কর আগ্নেয় তেজ সরূপ উতপ্ত আলোকরশ্মি বিচ্ছুরণকারী সেই "সূর্য" ।
প্রখর সেই রৌদ্রতপ্তময় রুপ কর্তৃ ক জীবজগতের প্রাণশক্তি ও কর্মশক্তি শোষণকারী সেই
"সূর্য",
জীবজগতের হাহাকার স্বরূপ মাত্রাতিরিক্ত প্রখর রৌদ্রতপ্ত রশ্মি বিচ্ছুরণকারী সেই "সূর্য" ।
এ যেন হঠাৎ মনে হল পৌরাণিক ভয়ঙ্কর "সূর্যাস্ত্র" ।
তবু বলতে চাই, প্রতিটি জীবের আশীর্বাদস্বরূপ "সূর্য",
জীবের প্রাণউৎস ও সঞ্চালক "সূর্য";
জগৎ- এর সমস্ত তেজের উৎসস্বরূপ ও তেজ প্রদানকারী-ই "সূর্য" ।
জীবজগতের নির্ভ রশীলতার কেন্দ্রবিন্দু "সূর্য" ।
জীবজগৎ- এ দানবীর স্বরূপ অনবদ্য দাতা "সূর্য",
ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত "সূর্য" ।
জীবজগতে অন্ধকার নিমজ্জিতকারী আলো ও প্রাণস্পন্দনের কেবলমাত্র উৎস "সূর্য",
সেইসাথে জীবজগতের মিত্ররুপে খ্যাতিমান সরূপ "সূর্য";
রাত্রির অন্ধকারাচ্ছন্ন দিবসে জীবজগতের অতি প্রত্যাশিত সূর্যালোকের প্রথম কিরণ
বিচ্ছুরণকারী অপেক্ষমান এক একটি প্রতীক্ষার হেতু "সূর্য" ।
সেইসাথে রাত্রিময় আধার বিধ্বস্তকারী আলোর উৎস, প্রাণশক্তি এবং নতু ন উদ্যম সরূপ "সূর্য",
এই জগতে আলো-আঁধার পার্থক্য প্রদানকারী ও আঁধাররুপী গ্রাস হতে কেবলমাত্র ত্রাতা স্বরূপ
"সূর্য" ।
সৃষ্টিকর্তার অতিপ্রাকৃ ত শক্তি ও মহান সৃষ্টি স্বরূপ মহান তেজময় দীপ্তি ও শক্তির উৎস "সূর্য",
সেই সাথে সুর্যের প্রতিটি কিরণ শক্তি যেমন আশীর্বাদস্বরূপ;
সেইসাথে জীবকূ লে ভয়ঙ্কর ত্রাসের ও কারণস্বরূপ।
প্রতিটি মহান গুণে গুণান্বিত সেই "সূর্য" ।
এ যেন এক মহান ত্যাগী দাতা –
জীবজগৎ রক্ষায় মহান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ।
আরো একবার মনে হলো, পৌরাণিক চরিত্র "ভীষ্মের" নেয় ভীষণ প্রতিজ্ঞায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
"সূর্য",
স্বয়ং সূর্যপুত্র কর্ণের ন্যায় দানবীর দাতা।
আরো একবার মনে হল, ভীষ্ম ও কর্ণের অমর ত্যাগের ইতিহাসের ন্যায় সেই মহান ত্যাগী
"সূর্য",
সূর্যের আদর্শ; হোক যেন সে মানব জীবনের নীতি ও আদর্শ।
অন্ধকার রুপী জড়া ও গ্লানির নিকট ত্রাস রুপী আলোর উৎস "সূর্য",
পূর্বাকাশে ভোরের আলো বিচ্ছুরণকারী দিন-এর আগমনরুপী প্রাণ সঞ্চালন রূপ “সূর্য”;
পশ্চিমাকাশে রক্তবর্ণ ধারণকৃ ত অস্তগামী সূর্য;সেই সাথে সাথে দিবসের সমাপ্তি সরূপ "সূর্য" ।
আরো একবার বলতে চাই, পৃথিবীর প্রাণকেন্দ্র “সূর্য”,
সূর্যের প্রতিটি মহিমা, ত্যাগ ও আদর্শ সত্য;
জীবজগতের প্রাপ্তিস্বরূপ আশীর্বাদ "সূর্য" ।
মঙ্গলময় আলোকদীপ্তির উৎস "সূর্য",
মহান গুণে গুণান্বিত সত্য, সুন্দর ও পবিত্র "সূর্য";
জীবের প্রাণস্পন্দনের উৎস এবং সৌরমণ্ডলের কেন্দ্রবিন্দু কেবলমাত্র "সূর্য" ।

Author: Avijit Chakrabarty Pritam.


Profession: Student.
Department: English Literature.
Institution: Notre Dame University Bangladesh.
Member of “ARE Writers Community”.

You might also like