You are on page 1of 16

দেহরক্ষী

ব্যবহার এর নির্দে শিকা

দেহরক্ষী কি??
দেহরক্ষী হল প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ফাস্ট এইড বক্স এর রুপক নাম। আমরা দৈনন্দিন নানা কাজ
করার সময় এমনি হাটা চলাফেরার সময় নানা রকম ছোট খাট দূর্ঘটনার সম্মূখিন হয়ে থাকি, প্রয়োজনের
সময় হাতের কাছে কিছু না থাকায় আমরা উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে পারি না। এতে করে পরবর্তি তে ভয়ানক
কিছু হবার আশংকা থেকে যায় , তাই আমাদের সকলের ফাস্ট এইড বক্স বা দেহরক্ষী এর ব্যবহার ও এর
প্রয়জনীয়তা সম্পর্কে ধারনা থাকা অত্যান্ত জরুরী। নিচে এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলে;-

দেহরক্ষী বা ফাস্ট এইড বক্স কি??


প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত উপকরণাদি যে নির্দি ষ্ট বাক্সে থাকে, তাকে ফার্স্ট এইড বক্স বা দেহরক্ষী বলে। দেহরক্ষী
একটি অতি দরকারি জিনিস। প্রয়োজনের সময় দৌড়াদৌড়ি না করে হাতের নাগালে দেহরক্ষী বা ফার্স্ট এইড বক্স থাকলে
খুব সহজেই রোগীকে কিছু টা সামলানো যায়। এতে রোগীসহ আশপাশের লোকজনের অস্থিরতাও অনেকটা কমে। তাই
একটা ফার্স্ট এইড বক্স –দেহরক্ষী থাকা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে সবার মোটামুটি জ্ঞান থাকা দরকার।
দেহরক্ষী বা ফার্স্ট এইড বক্স বহনযোগ্য। তাই এইটা আপনি যে কন যায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন।

দেহরক্ষী বা ফাস্ট এইড বক্সে কোন কোন


যায়গায় থাকা অত্যান্ত জরুরীঃ-
ফার্স্ট এইড বক্স - দেহরক্ষী স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কলকারখানা, এমনকি বাসা-বাড়িতে বা গাড়িতেও
রাখা যায়। বাসায় ও গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফার্স্ট এইড বক্স থেকে
প্রয়োজনীয় জিনিসটি তু লে নেওয়া যায়। 
ফাস্ট এইড বক্সে থাকা জরুরী উপকরন সমূহের লিস্টঃ-

ফার্স্ট এইড বক্সে যা থাকবে

*অ্যান্টিসেপটিক দ্রবণ (যেমন স্যাভলন, ডেটল, পোভিডন আয়োডিন দ্রবণ)।

*অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম।

*তু লা, গজ, কাঁচি।

*ব্যান্ডেজ (ছোট ব্যান্ডেজের স্ট্রিপ কিনতে পাওয়া যায়)।

*মাইক্রোপোর (সাদা রঙের পাতলা একটি জিনিস, যা স্কচটেপের মতো আটকানো যায়)।

*দুটি তিন কোণা বড় কাপড়।

*মাঝারি আকারের কাপড়।

*বেশ কয়েক প্যাকেট খাওয়ার স্যালাইন।


*প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ।

*পোড়া জায়গায় ÿলাগানোর মলম (যেমন সিলভার সালফাডায়াজিন ১% ক্রিম, যা শুধু বাহ্যিক ব্যবহার্য)।

*থার্মোমিটার।

আরও যা কাজে লাগেঃ-


*পানি *বরফ *মাঝারি আকারের শক্ত কাঠ *চিনি বা গ্লুকোজ।

উপকরন সমূহের প্রয়োগ বা ব্যবহারঃ-


১. জীবাণুমক্ত
ু গজ পিস : ক্ষত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে ও জীবাণু সংক্রমণ কমায়। ক্ষতস্থানকে নিরাপদ রাখে, তা ময়লা
হতে দেয় না এবং ক্ষত থেকে নিঃসৃত তরল পদার্থ শুষে নেয়।
২. রোলার ব্যান্ডেজ : ড্রেসিংকে তার জায়গায় ভালোভাবে আটকে রাখার জন্য বা অতিরিক্ত রক্তপাত হলে।
৩. লিউকোপ্লাস্ট : ব্যান্ডেজ ক্ষতের ওপর আটকানোর জন্য দরকার।
৪. অ্যান্টিসেপটিক লোশন বা ক্রিম : ক্ষত পরিষ্কার ও জীবাণুমক্তু করতে দরকার হয়। যেমন_ স্যাভলন, হাইড্রোজেন
পারঅক্সাইড, পভিসেভ ইত্যাদি।
৫. ট্যুইজারস : শরীর থেকে কাঁটা, কোনো ক্ষু দ্র বস্তু, পোকামাকড়ের শূল ইত্যাদি সরাতে বেশ ফলদায়ক। ধাতু বা
প্লাস্টিকের তৈরি ও বিভিন্ন রকমের হতে পারে।
৬. ক্রেপ ব্যান্ডেজ : হাড় ফেটে গেলে বা কোথাও মচকে গেলে ক্রেপ ব্যান্ডেজ ব্যবহারে ব্যথা কমে, ফোলাও ক্রমে হ্রাস পায়।
৭. সেফটি পিন : কাটা বা ক্ষত থেকে কোনো স্পিলিন্টার সরাতে, ব্যান্ডেজ আটকাতে জায়গামতো ধরে রাখার জন্য সেফটি
পিন একটি কাজের জিনিস। এটা হালকা, শক্ত ও নিরাপদ।
৮. অ্যান্টিহিস্টামিন : যেমন হিস্টাসিন, ফেক্সোফেনাডিন ইত্যাদি। এগুলো সর্দি , কাশি, চু লকানি ও পোকার কামড়ের
চিকিৎসায় সহায়ক।
৯. ব্যথার ওষুধ : যেমন প্যারাসিটামল, আইবপ্রুফেন ইত্যাদি।
১০. বার্ন ক্রিম : পোড়া জায়গায় ব্যথা কমাতে ও ঘা শুকাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন_ বার্নল বা সিলভারজিন ক্রিম।
অ্যালোভেরা জেল পোড়া, চু লকানি ও চামড়ায় যাশ হলে বেশ কার্যকর। ক্যালেন্ডুলা ও আরটিকা ইউরেন্স বার্ন ক্রিম দ্রুত
ব্যথা কমায়।
১১. থার্মোমিটার।
ওপরের আইটেমগুলো যদি ফার্স্ট এইড বক্সে হাতের কাছে থাকে, তবে প্রাথমিক চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়। সঙ্গে কিছু টাকা
ও জরুরি কন্টাক্ট নাম্বার থাকলে তো কোনো কথাই নেই। সঙ্গে অভিজ্ঞ কেউ থাকলে 'ফার্স্ট এইড বক্স' প্রয়োজনে বটবৃক্ষের
মতো ছায়া দিতে পারে।

এ ছাড়া স্টেথোস্কোপ ও রক্তচাপ মাপার যন্ত্র রাখা যেতে পারে।

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ-
দূর্ঘটনা এর মধ্যে ছোটখাটো কেটে বা ছিলে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, পোকামাকড়ের কামড়, স্ট্রেইন বা মচকে যাওয়া
ইত্যাদি অন্যতম। এ ছাড়া সাধারণ রোগের মধ্যে জ্বর, সর্দি -কাশি, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি ইত্যাদির প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু
করা যায় বাড়িতেই। এমন সব বিপদের সময় কিংকর্ত ব্যবিমূঢ় না হয়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সামলানো যায় ছোটখাটো
মেডিক্যাল ইমার্জে ন্সি। বিজ্ঞানসম্মতভাবে ফার্স্ট এইড বা প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারলে বহুক্ষেত্রে জীবন বাঁচানো সম্ভব
হয়। এ জন্য আমাদের জানতে হবে কোন দুর্ঘটনার চিকিৎসা কি এবং কিভাবে দিতে হবে। আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক
চিকিৎসা দেওয়ার সময় তিনটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন- ব্যাক্তি কি কারণে আহত হয়েছে, কতটু কু প্রাথমিক চিকিৎসা
তার প্রয়োজন এবং দ্রুত নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া।

প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু পদ্ধতি


(ক) ক্ষিপ্র গতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে আগের কাজ আগে এবং পরের কাজ পরে এ নীতিতে কাজ করতে হবে।
(খ) শ্বাস-প্রশাসের বিঘ্ন দেখা দিলে কৃ ত্রিম উপায়ে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
(গ) রক্তক্ষরণ হলে দ্রুত রক্ত ক্ষরণ বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।
(ঘ) স্নায়ুবিক আঘাতের চিকিৎসা সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে।
(ঙ) রােগী বা আহত ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের নিকট নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
(চ) নিয়মিত পড়াশুনা ও মহড়া দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য
১। আহতদের জীবন রক্ষার চেষ্ঠা করা।
২। রোগীর বা আহত ব্যক্তির অবস্থার অবনতি রোধ করা।
৩। আহতদের চিকিৎসায় সহযোগীতা করা।
প্রাথমিক চিকিৎসার গুরুত্ব
প্রাথমিক চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন সময়ের এক ফোড়, অসময়ের দশ ফোঁড়”। প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে কিছু জ্ঞান
থাকা প্রয়োজন। প্রাকৃ তিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, অগ্নি, ভূ মিকম্প প্রভৃ তি দুর্ঘটনায় লোকে বিভিন্নভাবে আহত হয়। ইহাছাড়া আধুনিক
জগতে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির বহুল ব্যবহারের দরুন মানুষ বিভিন্নভাবে আহত হয়। তাই এই সমস্ত আহতদের
চিকিৎসার জন্য প্রতিটি নাগরিকের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ গ্রহন অপরিহায্য হয়ে পড়েছে।

কেটে বা ছিলে গেলে- 

ঘরের কাজ করার সময় সবচেয়ে বেশি ঘটে এ বিপদটি। এ ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা বা রক্তপাত কমানোই প্রধান উদ্দেশ্য
হওয়া দরকার। - ক্ষতস্থান ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে সাবান পানি দিয়ে যত্নের সঙ্গে ক্ষতস্থানে ময়লা পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার
সুতি কাপড় দিয়ে সাবধানে ক্ষতস্থানে পানি মুছে ফেলুন। - পরিষ্কার গজ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষতস্থান চেপে ধরুন। - হাতে
কেটে গেলে হাত কিছু ক্ষণ উঁচু করে ধরুন। এতে রক্তক্ষরণ কিছু ক্ষণের মধ্যেই বন্ধ হয়ে আসবে। - তারপর বিটাডিন বা
এন্টিসেপটিক দিয়ে ওই স্থান পরিষ্কার করে এন্টিবায়োটিক ক্রিম লাগিয়ে ড্রেসিং করুন। - রক্ত বন্ধ না হলে বা সেলাই
প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ড্রেসিং এ কাজ হলে একদিন পরপর ওষুধ নতু ন করে লাগান।
স্নায়ুবিক আঘাত (Shock)/ফিট

আঘাত, তীব্র ব্যথা, দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকলে পায়ে রক্ত জমে রক্ত সঞ্চালনের যে অসুবিধার সৃষ্টি হয় তাকেই স্নায়ুবিক আঘাত বা
ফিট বলে।
করনীয়
(ক) প্রথমেই রোগীকে সমান জায়াগায় (মেঝেতে) পা উচু করে শােয়াতে হবে। এভাবে কিছু ক্ষণ শুয়ে থাকলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে
রােগীর জ্ঞান ফিরে আসে। তবে রোগীর যদি খিচু নি হয় তাহলে কাপড়ের টু করা/রুমাল মুখের মধ্যে দিতে হবে যেন জিহ্বায়
কামড় না লাগে। এর পর ডাক্তারের নিকট নিয়ে আসতে হবে।
(খ) ঘাড়, বুক ও কোমরের কাপড় ঢিলা করে দিন।
(গ) উৎসাহ জনক কথা বলে আহতের মনে সাহসের সঞ্চার করুন।

বিষাক্ত পোকা কামড়ালে যা করবেন- মৌমাছি বা বোলতায়


কামরে করনী…
বাড়ির আশপাশ কিংবা রাস্তা ঘাট যে কোন জায়গায় যে কেউ মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত হতে
পারে। তাই তৎক্ষণাৎ কিছু ঘরোয়া নিরাময় পদ্ধতিসহ কিছু জরুরী বিষয় জানা থাকলে নিজে এবং
প্রিয় জন বা প্রতিবেশী ব্যথা, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারে। বড় রকমের ক্ষতির হাত থেকে
বাঁচতে বা বাঁচাতে পারে।

মৌমাছির কামড়ে ঘরোয়া চিকিৎসায় করণীয়:

১। প্রথমতো মৌমাছি কামড় দিয়ে থাকে যেন ভাল করে তার হুলটা ফু টাতে পারে। মৌমাছি
কামড়ের পর পরই হুল ছেড়ে যায়। এটি যতক্ষণ সময় ভেতরে থাকবে বিষের যন্ত্রণা তত তীব্র
হবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হুল বের করে নিয়ে আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

২। তারপর সেই স্থানে ২০ মিনিট পর্যন্ত কাপড়ে পেঁচিয়ে বরফ লাগিয়ে রাখতে হবে। বরফ ব্যাথাকে
শীতল করে এবং ফোলা ভাব কমাতে বেশ উপকারী।

৩। বাসায় যদি লেভান্ডার অয়েল থাকে, তবে কয়েক ফোঁটা ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে মালিশ করে দিতে হবে।
এটি হুলের বিষ ধ্বংস করবে দ্রুত।

৪। এক/দুটি রসুনের খন্ড থেঁতলে চেপে চেপে আহত স্থানে রস দিতে হবে। এরপর ভেজা তোয়ালে
দিয়ে ২০-৩০ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। গ্রামাঞ্চালে পিয়াজ ও রসুনের ব্যবহার বেশী দেখা যায়
এবং কাজও হয় দ্রুত।

৫। মৌমাছির কামড়ের বিষাক্ততা রোধে মধু খুব গুরত্বপূর্ণ উপাদান। আক্রান্ত স্থানে অল্প পরিমাণ
মধু লেপে দিয়ে তু লা,ন্যাকড়া,পাতলা কাপড় পেঁচিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ৩০মি-১ঘন্টা। তবে যাদের
মধুর এলার্জি আছে তারা এটি করতে পারবে না। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

যে গুরত্বপূর্ণ বিষয়টি অবশ্যই মনে রাখতে হবে তা হলো -যদি এলার্জি ক কাউকে কামড় দিয়ে থাকে
তবে কিছু লক্ষণ যেমনঃশ্বাস কষ্ট,জ্ঞান হারানো ইত্যাদি দেখার সাথে সাথে ঘরোয়া চিকিৎসার উপর
নির্ভ র না করে,ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। নতু বা পরিণতি খারাপের দিকে যেতে পারে।
তাছাড়া চু লকানি,ব্যথা, ফু লে যাওয়া এসব স্বাভাবিক লক্ষণ।

মৌমাছি বা বোলতায় কামড়ালে যা করবেন-

যদি মৌমাছি বা বোলতা শরীরে কামড়ে বসে থাকে তাহলে তাকে তু লে ফেলুন। এগুলো সাধারণত
ত্বকের সঙ্গে একই সমতলে আঁকড়ে বসে থাকে। এগুলোকে সরানোর জন্য প্রথমে আঙু লের মাথা দিয়ে
আস্তে আস্তে এর ওপরে এবং পাশে আঙু ল বুলিয়ে যান, পরে হঠাৎ করে ঠেলে ফেলুন।
মৌমাছি বা বোলতাকে কখনো খামচে বা চিমটি দিয়ে তু লবার চেষ্টা করবেন না। কারণ, খামচানো
বা চিমটি দেওয়ার কারণে বিষের থলি থেকে সব বিষ বেরিয়ে পড়ে এবং তা হুল দিয়ে আপনার
শরীরে ঢু কে যেতে পারে। কিন্তু মৌমাছি বা বোলতাকে ঠেলে সরিয়ে দিলে এ ধরনের আশঙ্কা থাকে
না।
হুল ফোটানো জায়গাটা বেশ লাল গরম হয়ে ফু লে যায় এবং সেখানে যন্ত্রণা হয়। তাই প্রথমেই
জায়গাটিতে বরফের টু করো চেপে ধরুন। বেশ কিছু ক্ষণ এভাবে ঠান্ডা স্যাঁক দিন।
এবার স্থানটিতে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান।
ক্রিম লাগানোর পাশাপাশি অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধও খেতে হবে।
ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ওষুধ খেলেই চলবে।
হুল ফোটানোর কারণে অনেকের মাথাব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট, হুল ফোটার জায়ড়া ছাড়াও সমস্ত শরীরে
চু লকানো, চাকা ওঠা, শরীর ফু লে যাওয়া, পেটে তীব্র ব্যথা প্রভৃ তি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ
সব ক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ

পোকামাকড় আমাদের পরিবেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এর মধ্যে কিছু উপকারী আবার কিছু
ক্ষতিকরও বটে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এইসব পোকামাকড়ের সংস্পর্শে এলে হুল ফু টানো
কিংবা কামড় দেয়ার মত ঘটনা ঘটে থাকে।

কামড় অনুভব করার সাথে সাথে আপনি যা করতে পারেন –

১. কামড় অনুভব করার সাথেই সাথেই উক্ত পোকা/মৌমাছি/মাকড়সাটিকে সরিয়ে দিন। কারণ
যতক্ষণ পর্যন্ত এটি আপনাকে কামড়াবে ততক্ষণই বিষ শরীরে প্রবেশ করতে থাকবে।

২. নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। খুব বেশি নড়াচড়া করবেন না। কারণ নড়াচড়া বেশি করলে
বিষ রক্তের মধ্য দিয়ে দ্রুত ছড়িয়ে যাবে।

৩. যদি মৌমাছি আপনাকে হুল ফোটায়, তাহলে মৌমাছি সরিয়ে দেয়ার পরও হুল ভেঙ্গে চামড়ায়
রয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ভাঙ্গা হুলটি চামড়া থেকে সরিয়ে ফেলুন।

৪. যদি আপনি পায়ে অথবা হাতে কামড় খেয়ে থাকেন তাহলে বাহু যত সম্ভব নিচু করে রাখুন।
এতে বিষ সহজে ছড়াবে না। কয়েক ঘণ্টা পর যদি হাত ফু লতে শুরু করে, তাহলে হাত উচু করে
ফোলা কমাতে পারেন।

৫. তবে কামড় যদি কাঁকড়া বিছের হয়ে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হসপিটালে যান।
এখন মোটামুটি সব হাসপাতালেই কাঁকড়া বিছের বিষের এন্টি ডোট পাওয়া যায়। তাই যত দ্রুত
যাবেন ক্ষতি ততই কম হবে।
ব্যথা নিরসনের জন্য করণীয় –

১. যাই কামড়াক, সাধারণত সেগুলো যদি বিষাক্ত হয় তাহলে কামড়ের স্থানে প্রচন্ড ব্যথা হতে
পারে। এই ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে বরফ ব্যবহার করুন। প্রথম ৬ ঘণ্টার প্রতি ঘণ্টায় ১৫/২০ মিনিট করে
বরফ ব্যবহার করুন। যেসময় বরফ লাগাচ্ছেন না, সেইসময় একটি পরিষ্কার ভেজা কাপড় দিয়ে
ক্ষতস্থান চেপে ধরে রাখুন এবং বরফ ব্যবহারের সময় বরফ এবং ক্ষতস্থানের মাঝে একটি পাতলা
কাপড় ব্যবহার করা ভালো।

২. ক্ষতস্থানের ফোলা কমানোর জন্য যতটু কু সম্ভব ক্ষতস্থান সমতল থেকে উচু তে রাখার চেষ্টা
করুন, এতে বিষ ছড়া্বে না, ফোলাও কম হবে।

৩. প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ক্ষতস্থানের চু লকানি, ফু লে যাওয়া, ব্যথা কমানোর জন্য Benadryl
কিংবা ChlorTrimeton ধরনের এন্টিহিস্টামিন ওষুধ খেতে পারেন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের
পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ ব্যবহার না করাই শ্রেয়।

8. ব্যথা কমানোর জন্য ফার্মেসি থেকে Benzocaine জাতীয় স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে
এলার্জি ক রিএকশন এর ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন।

৫. Hydrocortisone 1% cream অথবা ক্যালামাইন লোশন ক্ষতস্থানে লাগালে লালচে ভাব এবং
ফোলা দূর হবে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এধরনের কিছু ব্যবহার করবেন না।

৬. ৬ ঘণ্টা বরফ ব্যবহারে যদি ফোলা কমে যায়, তাহলে আস্তে আস্তে ক্ষতস্থানে গরম কাপড়ের
সেঁক দিতে পারেন। এতে ক্ষতস্থানের জীবাণু সংক্রমণ বন্ধ হবে।
দাহ ও ঝলসানো ক্ষত (Burns and Scalds)
কোথাও পুরে গেলেঃ---

শুস্ক তাপে, বিদ্যুৎ প্রবাহ, ঘর্ষনে রাসায়নিক পদার্থে বা বিকিরণে পুড়ে যাওয়াকে দাহ বলে। আদ্র তাপে যেমন-ফু টন্ত পানি। বা
অন্য কোন গরম পদার্থের সংস্পর্শে এসে পুড়ে যাওয়াকে ঝলসানো বলে।
পুড়ে গেলে-
 বাসা বাড়িতে বিভিন্ন কারনে আগুন দিয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। সাধারনত গরম পানি, গরম জিনিস-পত্র (পাতিল, খুন্তি,
কড়াই ইত্যাদি), রাসায়নিক পদার্থ (এসিড) বা কারেন্টের তার জ্বলে যাওয়া জায়গায় হাত লেগে ইত্যাদি কারনেই সাধারণত
হাত-পা পুড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে যা করতে হবে- - আগুনে বা গরম পানিতে পুড়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত স্থানটি পরিষ্কার
ঠাণ্ডা পানির নিচে ধরুন। - আক্রান্ত স্থানে সিল্কক্রিম লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ক্রিম লাগানো
যেতে পারে। - পোড়ার পরিমাণ বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 
করনীয়ঃ
(ক) দাহ বা ঝলসানো রোগীর ক্ষত অংশে এমনভাবে ধুয়ে ফেলুন যাতে পতিত ঠান্ডা পানি ধীরে ধীরে ক্ষতের উপর দিয়ে
গড়িয়ে যায়, এভাবে যতক্ষণ ক্ষস্থানের জ্বালা-যন্ত্রণা না কমে এবং ক্ষতস্থানে গরমভাব না কমে ততক্ষণ ঠান্ডা পানি দিতে হবে
অথবা ক্ষত অংশকে পানিতে ডু বিয়ে রাখুন।
(খ) পরিস্কার জীবানুমক্ত ু ব্যান্ডেজ বা কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান হালকা করে বেঁধে দিতে হবে।
(গ) আহত ব্যক্তির যদি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তবে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে প্রেরনের ব্যবস্থা সহ শ্বাস-প্রস্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্জ নীয়ঃ
(ক) যে কোন লোশন, মালিশ বা তৈল ড্রেসিং ব্যবহার এ বিরত থাকুন।
(খ) পোড়া অংশে হাত লাগানো যাবে না।
ভাঙলে বা মচকালে-
রিকশা থেকে বেকায়দা অবস্থায় পরে গিয়ে বা কোন উঁচু স্থান থেকে পরে গিয়ে বা খেলাধুলা করার সময় আমাদের হাত-পা
মচকে যেতে পারে এমনকি ভেঙেও যেতে পারে।
করনীয়ঃ
এই অবস্থায় যা করবেন- - আঘাতের স্থান ও পরিমাণ নিরূপণ করুন। - হাতে বা পায়ে ফু লে গেলে সেখানে বরফ সেঁক
দিন। - ডাইক্লোফেনাক জেল হালকা করে লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে। আক্রান্ত স্থান বিশ্রামে রাখুন। - ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে
মুড়িয়ে রাখুন। - তবে অতিরিক্ত ফু লে গেলে বা চামড়ার নিচে কালো হয়ে গেলে হাড়টি ভেঙেছে ধরে নেয়া যায়। সে ক্ষেত্রে
চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এক্স-রে করে নিশ্চিত হোন ও যথাযথ চিকিৎসা নিন।
বর্জ নীয়ঃ
কোথাও কেটে গেলে ওই ক্ষতের ওপর সরাসরি এ রকম ক্রিম লাগাবেন না। - আক্রান্ত স্থান ম্যাসাজ করবেন না।
রক্তক্ষরণ (Hemorrhage) করনীয়
 
(ক) পরিস্কার কাপড় অথবা ব্যান্ডেজ দিয়ে চাপ দিয়ে ক্ষতস্থান চেপে ধরুন।
(খ) যে অঙ্গ হতে রক্ত নির্গত হচ্ছে তা উচু করে রাখুন।
(গ) আঠালো ব্যান্ডেজের সাহায্যে রক্তপাত বন্ধ করুন।
(ঘ) প্রয়োজন বোধে টু নিকেট ব্যবহার করে রক্তপাত বন্ধ করুন।
(ঙ) কখনও ক্ষতস্থান খোলা রাখা যাবে না।
মাথায় আঘাত পেলে- 
আঘাত যদি মাথায় হয় তাহলে সতর্ক থাকা উচিত। মাথার আঘাত পাওয়া বলতে গেলে আমরা সাধারণত মাথার ভেতরে
মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়াকে বুঝে থাকি।মাথায় আঘাত কতটা গুরুতর সেটা বুঝতে হলে রোগীকে ভালোভাবে নিরীক্ষণ
করতে হবে। - মুখে কিছু খেতে দেয়া যাবে না। - আঘাতের পর বমি, অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব, প্রচণ্ড মাথাব্যথা ইত্যাদি
উপসর্গ থাকলে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে। - রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব উন্নত এমন কোনো হাসপাতালে
নিয়ে যেতে হবে যেখানে ব্রেইনের সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করার সুযোগ আছে। 
ধোঁয়ায় শ্বাস রোধের চিকিৎসা
ধোয়ায় আটকে গেলে প্রথমে আত্মরক্ষার প্রয়োজন, তারপর দুর্ঘটনাস্থল থেকে রোগীকে স্থানান্তর করতে হবে। ভেজা তোয়ালে,
রুমাল বা কাপড়ের টু করা দিয়ে নিজের মুখ ও নাক বেঁধে অথবা ফেসমাস্ক লাগিয়ে উদ্ধারের জন্য অগ্রসর হবে তারপর আহত
রোগীকে আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
চোখের মধ্যে কোন কিছু ঢু কলে প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
(ক) যদি পানির ঝাপটা (কয়েক বার) দিয়ে বাইরের বস্তুটি না সরে যায় তাহলে ডাক্তারের নিকট নিয়ে আসবেন।
(খ) কোনক্রমে রোগেীকে চোখ ডলতে দেওয়া যাবে না।
(গ) যদি বাহিরের কোন কিছু প্রবেশ করে চোখের গােলকে একধারে আটকে থাকে তবে তা পাতলা ভেজা কাপড় বা রুমাল দিয়ে
বের করতে হবে।
কানে কিছু প্রবেশ করলে
অনেক সময় কানের ছিদ্র পথে ছোট কীট পতঙ্গ অথবা ময়লা প্রবেশ করে তবে কানের ছিদ্র পথে । অলিভয়েল বা নারিকেল তেল
দিতে হবে। তবে তেল দেয়ার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হবে রোগীর কানের পর্দ ায় কোন ছিদ্র আছে কিনা।
পরিবারের সচেতনতা- 
পরিবারের সব সদস্যের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য পরিকল্পনা করা উচিত। ছোটখাটো দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্ক তার
পাশাপাশি ফার্স্ট এইড কিট বা প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নম্বর, জরুরি অ্যাম্বুলেন্স
নম্বর, পারিবারিক চিকিৎসকের ফোন ও সেলফোন নম্বর রাখা দরকার। এছাড়াও পরিবারের মাসিক বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে
কিছু টাকা বরাদ্দ থাকা উচিত। এগুলি বিপদকালে অনেক কাজে লাগে।

শিল্প কল কারখানার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যাবস্থা-FIRST


AID
অল্প রক্তরণ (ছোট খাটা)
১। ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হউন।
২। রোগীকে শান্ত করুন এবং শুইয়ে অথবা বসিয়ে রাখুন।
৩। রক্তরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত্ৰ ফার্স্ট এইড কিট থেকে পরিস্কার।  কাপড় দিয়ে রক্তরণ স্থান শক্তভাবে বেঁধে রাখুন।
৪। ফার্স্ট এইড কিট এর অয়েন্টমেন্ট বা মলম দ্বারা তস্থান
পরিস্কার করম্নন এবং ভালভাবে ব্যান্ডেজ করুন।
বেশি রক্তক্ষরণঃ
১। ডাক্তার ডাকুন।
২। রোগীকে শান্ত করুন এবং শুইয়ে অথবা বসিয়ে রাখুন।
৩। ফস্ট এইড কিট এর পরিস্কার কাপড় দ্বারা রক্তরণস্থান ভালভাবে বেঁধে রাখুন, যতন রক্তরণ বন্ধ না হয়।
৪। রক্তরণ স্থান উপরের দিকে রাখুন যতন রক্তরণ না কমে।
আগুনে পোড়াঃ
১। ঠান্ডা পানি দিয়ে শীতল করুন।
২। পরিস্কার কাপড় দ্বারা স্থান আবৃত করুন।
৩। রোগীকে শুইয়ে অথবা বসিয়ে রাখুন।
৪। ক্ষতস্থানে লোশন বা অয়েন্টমেন্ট দিবেন না ।
৫। ডাক্তার ডাকুন।
চোখঃ
১। কেমিক্যাল অথবা পদার্থ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত্র চোখে| পানির ঝাপটা দিন।
২। ডাক্তার ডাকুন।
হাড় ভাঙ্গাঃ
১। ততক্ষনাৎ ডাক্তার ডাকুন।
২। রোগীকে শুইয়ে স্থিরভাবে রাখুন।
৩। রোগীকে নড়াচড়া করতে দিবেন না।
৪। ভাঙ্গা হাড়ের স্থান ধরবেন না।
মাথায় আঘাত পাওয়াঃ
১। তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকুন।
২। রগী যদি ঘুম বা অজ্ঞান থাকে এবং বমি করতে শুরু করে তখন তাকে যথাস্থানে রাখুন।
৩ রোগীকে নাড়াচাড়া করবেন না।
৪। যদি রোগী জাগ্রত থাকে তাকে শান্ত করুন। রোগীকে  নড়াচড়া করতে এবং পানি বা কোন খাবার খেতে দিবেন না ।
হার্ট স্ট্রোকঃ
১। রোগীকে ছায়ার নীচে রাখুন।
২। তাকে বাতাস করুন।
৩। তাকে স্যালাইন পানি পান করান।
তড়িতাহতঃ
১। বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করুন (সহযোগীতার জন্য- বিদ্যুত অফিসে ফোন করুন)।
২। শ্বাসপ্রশ্বাস ও স্পন্দন পরীক্ষা করুন।
৩। ডাক্তার ডাকুন। এই তালিকায় যদি অতিরিক্ত সাহয্যের প্রইয়োজন পড়ে তাহলে
ফার্স্ট এইড বক্সের ফার্স্ট এইড গাইড দেখুন।

প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু পদ্ধতি


(ক) ক্ষিপ্র গতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে আগের কাজ আগে এবং পরের কাজ পরে এ নীতিতে কাজ করতে হবে।
(খ) শ্বাস-প্রশাসের বিঘ্ন দেখা দিলে কৃ ত্রিম উপায়ে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
(গ) রক্তক্ষরণ হলে দ্রুত রক্ত ক্ষরণ বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।
(ঘ) স্নায়ুবিক আঘাতের চিকিৎসা সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে।
(ঙ) রোগী বা আহত ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের নিকট নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
(চ) নিয়মিত পড়াশুনা ও মহড়া দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

আমাদের ফাস্ট এইড বক্স এর সম্পর্কে জানুন...।

>>>>মুনাফা নয়, সেবাই আমাদের আদর্শ<<<<

আপনারা যাতে সহজেই এই (প্রাথমিক চিকিস্যা বক্স) এর যাবতীয় জিনিস পান তার জণ্য আমারা দেহরক্ষী বক্সটি তৈরি করেছি...।।
এই বক্সে আছেঃ—
১।সেভলন -১ টি
২।বার্নার ক্রিম( সিল ক্রিম) -১টি
৩।থার্মোমিটার -১টি
৪।মেডিক্যাল টুইজার-১ টি
৫।স্যালাইন -৪ টি
৬।নিক্স - ১টি
৭।ব্যান্ডেজ-২ গজ
৮।তুলা-১প্যাকেট
৯।প্যারাসিটামল ট্যাবলেট-১ পাতা
১০।পেইন কিলার ট্যাবলেট-১ পাতা
১১।এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট-১ পাতা
১২।ওমিপ্রাজল/ নিউট্যাক টেবলেট-১পাতা
১৩।মেট্রোড্রজল ট্যাবলেট-১ পাতা
১৪।সিভিট- ১পাতা
১৫।মেডিক্যাল কাঁচি- ৬" মেইড ইন তাইওয়ান
১৬। ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ ৫-১০ টি
১৭।ব্লেড -১ টি
১৯। ম্যাডিক্যাল হ্যান্ড গ্লাবস-১ জোরা
২০।কটন বার- ১ প্যাকেট
২১।সেফটি পিন- অর্ধ ডজন
২২। ডাক্তারের ব্যবহারিক নির্দেশনা -১টি
২৩।ফুট প্যাচ -৫টি
২৪।ব্যাগ (সাইজ ১২"*৯"*৪")
আমাদের বক্স এর কিছু ছবিঃ-
#মূল্য: ৬৮০ / -
#ডেলিভারি প্রক্রিয়া:

#ঢাকা ও ঢাকার বাইরে - S.A পরিবহন (কুরিয়ার) এর মাধ্যমে ডেলিভারি দেয়া হয়। গ্রাহকদের নিকর্বর্তী S.A পরিবহন(কুরিয়ার) এর অফিস
থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। পণ্য হাতে পেয়ে টাকা পরিশোধ। (ক্যুরিয়ার চার্জ 100 টাকা)
#অর্ডার করার নিয়ম :
#অর্ডার করতে কল করুনঃ +880 1911-106630 ,01711106630
অথবা আপনার নাম, ঠিকানা ও প্রডাক্ট নাম/কোড লিখে এসএমএস করুন এই নাম্বারে
#ফেইসবুকে ম্যাসেজ এর মাধ্যমে অর্ডার করতে চাইলে আপনার নাম, প্রোডাক্ট নাম/কোড, এড্রেস ও ফোন নম্বর লিখে ম্যাসেজ করুন।
আপনাদের সুবিধার্থে #দেহরক্ষী বক্সটি তিনটি প্যাকেজ আকারে সেল করা হচ্ছে…।
প্যাকেজঃ-১
উপরে দেওয়া ২৪টি আইটেম
খুচরা দামঃ৬৮০/- টাকা মাত্র
ডেলিভারি চার্জ প্রজো্য্য
হোলসেল রেটঃ-৬০০ টাকা
মিনিমান অর্ডারঃ-১০ পিস
ডেলিভারি চার্জ ফ্রি
প্যাকেজঃ-২
খালি বক্স+ ডাক্তারি নির্দেশিকা
খুচরা দামঃ৩৮০/- টাকা মাত্র
ডেলিভারি চার্জঃ-৫০ টাকা
হোলসেল রেটঃ-৩০০ টাকা
মিনিমান অর্ডারঃ-১০ পিস
ডেলিভারি চার্জ ফ্রি
প্যাকেজঃ-৩
ডিজিটাল ব্লাট পেসার মিটার+ উপরের ২৪ টি আইটেম+ দেহরক্ষী বক্স
খুচরা দামঃ২৫৮০/- টাকা মাত্র
ডেলিভারি চার্জঃ-১০০ টাকা
হোলসেল রেটঃ-২৩০০ টাকা
মিনিমান অর্ডারঃ-১০ পিস
ডেলিভারি চার্জ ফ্রি
যাদের ফার্মেসি আছে এবং যারা ঔষদ ব্যবসার সাথে রিলেটেড তারাও এই বক্স নিতে পারেন কারন এই বক্সটির ব্যপক চাহিদা রয়েছে বাজারে।
বিঃদ্রঃ- দামাদাওমি করলে মেসেজ দেবার দরকার নাই। পন্যের স্টক থাকা পর্যন্ত দেওয়া যাবে।

You might also like