Professional Documents
Culture Documents
প্রতিদিন পড়ার জন্য
প্রতিদিন পড়ার জন্য
1, আয়াতুল কুরসি
২, সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত
৩, সূরা ইয়াসিন
৪, সূরা মুলক
৫, সূরা ইখলাস
৬, সূরা ফালাক
৭, সূরা নাস
Surah Fatha
Sura Mariyam
মুমিনের প্রতিটি কাজই ইবাদত। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে
ঘুমায়, তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়। রাতে ঘুমানোর আগে কিছু করণীয়-বর্জনীয় কাজ রয়েছে। নিচে
সেগুলো তুলে ধরা হলো—
তাই রাতের বেলা কোনো অহেতুক কাজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, কোনো বিনোদন উপভোগে
সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া উচিত।
রাতে নিরাপদে ঘুমানোর জন্য রাসুল (সা.) কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, যেগুলোর ওপর আমল
করলে একদিকে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, অন্যদিকে প্রিয় নবীর সুন্নত
আদায়ের সওয়াব পাওয়া যাবে। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন,
‘তোমরা রাতে পানাহারের পাত্রগুলো ঢেকে রেখো। ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রেখো। আর
সাঁঝের বেলা তোমাদের বাচ্চাদের ঘরে আটকে রেখো, কারণ এ সময় জিনেরা ছড়িয়ে পড়ে
এবং কোনো কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা
অনেক সময় ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্বালিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং
গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩১৬)
ইতিহাসে ব্ল্যাক ডেথ বলে একটি অধ্যায় আছে, যাতে খাবারের মধ্যে ইঁদুরের ছড়ানো
ভাইরাসে প্রায় ১০ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল। রাতের বেলা আমরা ঘুমিয়ে পড়লে ইঁদুরের
বিচরণ বেড়ে যায়। খাবারদাবার ভালোভাবে না ঢাকলে তারা আমাদের খাবারে এসে ভাইরাস
ছড়াতে পারে।
পবিত্রতা অর্জন
রাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হয়ে শোয়া সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি কোনো
মুসলমান রাতে আল্লাহকে স্মরণ করে অজু শেষে শয়ন করে এবং রাতে জাগ্রত হয়ে দুনিয়া ও
আখিরাতের কোনো কল্যাণ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা তা দান করেন।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৪২)
দোয়া পড়া
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার পর আল্লাহর নাম নেয় না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ
থেকে লাঞ্ছনা নেমে আসবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৫৬)
হাদিস শরিফে ঘুমানোর আগে কয়েকটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে। সব দোয়া পড়তে না পারলেও
ছোট এই দোয়াটি পড়া যায় : ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া’, অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ!
তোমার নামে আমি শয়ন করছি এবং তোমারই দয়ায় আমি পুনর্জাগ্রত হব।’