You are on page 1of 1

লক্ষীপুর ও চাঁদপুরের উপকূ লীয় গ্রামে পানিবন্দি পঞ্চাশ হাজার মানুষ

ডেস্ক নিউজ ( চ্যানেল টিটি ) : বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষীপুর ও চাদঁপুরে বন্যায়
প্লাবিত হয়েছে প্রায় ১২ টি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন পঞ্চাশ হাজার মানুষ। ঘর ছেড়েছেন
অনেকে। মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে এসব এলাকা বন্যা কবলিত বলে জানান
স্থানীয়রা। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বয়োবৃদ্ধ, শিশু,
গবাদি পশুপাখি এবং মৎস ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে সাপ জোকের ভয়তো রয়েছেই।
সিংক/ভক্সপপ:

চর আবাবিল, চর ভৈরবী, হাজিমারা, চর কাচিয়া, কু চিয়া মোড়া, চর লক্ষী, চর বংশী, চর গাশিয়া ও


টু নুরচরসহ ১২টি গ্রামের খাল, বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট কোথাও হাটু
পরিমান, আবার কোথাও কোমর পরিমান পানিতে ডু বে আছে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩ থেকে ৫
ফু ট পানিতে বন্দি থাকতে হচ্ছে তাদের। খাবার সংকটে ভু গছেন বন্যা কবলিত এসব মানুষ।
সিংক/ভক্সপপ:

এদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, মৎস ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার
মাছ নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ডু বে গেছে প্রায় ৩ হাজার পানের বরজ। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে
ফসলি জমি ও গবাদি পশু পাখি। তবে এ বিষয় কোনো তথ্য জানাতে পারেনি উপজেলা কৃ ষি
অধিদফতর।
সিংক:

এছাড়া লক্ষীপুরের কমলনগরে এক খামারির প্রায় ৬ হাজার মুরগি বন্যার পানিতে ডু বে মারা
গেছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার লোকসান টানতে হবে ওই খামারির। খামার মালিক ওসমান
গনি জানান, ঋণ নিয়ে শুরু করেছিলেন খামার। এখনো পরিশোধ হয়নি সেই ঋণের টাকা।
সিংখ:

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, পানিবন্ধি ও ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়
কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে এবং তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । অপরদিকে
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা চৌধুরী জানান, তিনি বন্যা কবলিত এলাকাগুলো
পর্যবেক্ষন করছেন এবং ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নির্ধারণের কাজ চলছে।

You might also like