You are on page 1of 4

Course Title: Sociology of Poverty

Course Code: SOC-1210

Topic: Assignment on “Over population & poverty”

Prepared By:

Prepared For:

Date: July 15, 2021


"দারিদ্র্যতা জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ, না_অধিক জনসংখ্যা দারিদ্র্য বৃদ্ধির কারণ"

দারিদ্র্য (Poverty) হলো একটি বিশেষ আর্থ-সামাজিক অবস্থার নাম। এ অবস্থাটির সৃষ্টি হয় তখন, যখন সমাজে
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে। "Poor are poor because they are poor." Lipton, এর এ
উক্তি দ্বারা সহজেই অনুমান করা যায় যে, দারিদ্র্যের কোনো সুনির্দি ষ্ট সঙ্গা নেই। স্থান-কাল-পাত্রভেদে এর পরিবর্ত ন হয়।
মানুষের অর্থনৈতিক দুর্বলতা, অসচ্ছলতা ও অক্ষমতাই হলো দারিদ্র্য। অর্থাৎ, মানুষ যখন তার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান,
স্বাস্থ্য প্রভৃ তির অভাববোধ করে তখন সে দারিদ্র্যের আওতায় পড়ে।
দারিদ্র্যকে প্রধান তিনটি স্তরে বিভক্ত করা যায়:

(১) সাধারণ অর্থে দারিদ্র্য,


(২) আপেক্ষিক দারিদ্র্য,
(৩) চরম দারিদ্র্য।

বাংলাদেশ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের একটি। এদেশে আপেক্ষিক দরিদ্রের সংখ্যা খুবই কম। বেশিরভাগ লোকই সাধারণ
দারিদ্র্য ও চরম দারিদ্র্যের শিকার। বিশ্বব্যাংকের মতে, এ দেশের ৮০ ভাগ লোকই দারিদ্র্য সীমার নিচে জীবনযাপন করে।
তারা তাদের মৌল মানবিক চাহিদাসমূহও ঠিকভাবে পূরণ করতে পারে না।

অতিরিক্ত জনসংখ্যা
জনসংখ্যা বলতে কোনো নির্দি ষ্ট জাতি বা ভৌগলিক এলাকার মোট লোকসংখ্যাকে বুঝায়। অত্যাধিক জনসংখ্যা
(জনসংখ্যা বৃদ্ধি) হলো যখন অনেক জনসংখ্যার জন্য পরিবেশের ভারসাম্য ব্যহত হয়ে থাকে (খাদ্য, সুপেয় পানি,
বিশুদ্ধ বায়ু ইত্যাদি)। জনসংখ্যা ছাড়া কোনো সমাজ বা রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে না। কিন্তু অতিরিক্ত জনসংখ্যা সেই
সমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। বর্ত মান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি জাতীয় সমস্যায়
পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশই তার উৎকৃ ষ্ট উদাহরন।

অধিক জনসংখ্যা ও দারিদ্র্যতাঃ


দারিদ্র্যের প্রভাবে আমাদের দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। প্রথমত, "যত মানুষ তত রোজগার" এ ধারণার বশবর্তী হয়ে দরিদ্র
জনসাধারণ অধিক সন্তান জন্ম দিয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত, তারা বৃদ্ধ বয়সের অবলম্বন হিসেবে অধিক পুত্র সন্তান কামনা
করে। তৃ তীয়ত, চরম দারিদ্র্য-পীড়িত মানুষের জীবনযাপনের মান বলতে কিছুই নেই, বাড়তি সন্তানের আগমনে তাদের
হারাবারও কিছু থাকে না। তাই তারা জন্মনিয়ন্ত্রণকে গ্রাহ্যই করে না। এজন্যই দরিদ্র পরিবারের সন্তান সংখ্যা অধিক হয়ে
থাকে।

বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৪ লাখ করে লোক বাড়ছে। কিন্তু সে হারে আমাদের জাতীয় আয় এবং উৎপাদন বাড়ছে না। এ
বাড়তি জনসংখ্যার মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে গিয়ে মাথাপিছু আয় কমে যাচ্ছে এবং দারিদ্র্য বাড়ছে। বিপুল
জনসংখ্যা আমাদের সকল উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিস্থিতিঃ


পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান
সপ্তম। বর্ত মানে ১৬ কোটিরও বেশি লোকের বাস রয়েছে এইদেশে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ
সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বর্ত মানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.৪%। এ দেশের প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাস করে
১২৩৭ লোক, যেখানে একদশক আগে ছিল ৮৩২ লোকের বসবাস। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই চিত্র লক্ষ্য করলে
বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যার ভয়াবহ রূপ খুব সহজেই অনুমান করা যায়।

জনসংখ্যা সমস্যার প্রতিকারঃ


জনসংখ্যা একটা দেশের প্রধান সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও অধিক জনসংখ্যা সেই দেশের জন্য অভিশাপস্বরূপ।
বাংলাদেশে যেহেতু জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে সেহেতু এই সমস্যা প্রতিকারে কিছু উপায়
অবলম্বন করা যেতে পারে। সেগুলো হলো:

- জনসংখ্যা নীতির পূর্ণ বাস্তবায়ন।


- পরিবার পরিকল্পনা।
- দেশব্যাপী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার।
- নারী শিক্ষার প্রসার।
- বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ।
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
- সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্ত ন।
- সম্পদ ও সুযোগের সুষম বণ্টন।
- সচেতনতা বৃদ্ধি।
- কু সংস্কার ও অজ্ঞতা দূরীকরণ।

জনসংখ্যা বৃদ্ধিরোধে সরকারি পদক্ষেপঃ


জনসংখ্যা সমস্যার ভয়াবহতা উপলব্ধি করার দরুণ বাংলাদেশ সরকার এই সমস্যা সমাধানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
গ্রহণ করেছে। পদক্ষেপসমূহ হচ্ছে:

- জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ন।


- পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন।
- জনসংখ্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য বিবিধ কর্মসূচী গ্রহণ।
- পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম
- পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।
- শিক্ষা, তথ্য ও গবেষণা কর্মসূচী।
- আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মসূচী পরিচালনা।

উপসংহারঃ
বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি। এরকম একটি রাষ্ট্রকে
আত্মনির্ভ রশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জনসংখ্যা নীতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের জনবিস্ফোরণ
ঠেকাতে পারলে জাতীয় অগ্রগতির ধারা আরো গতিশীল হবে। তাই জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে পারিবরিক,
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি।
রেফারেন্স:

https://bn.m.wikipedia.org/?fbclid=IwAR3goc7Ql33_bdwgAU7-
8zh5WmO4LmHQ3wLp3g1SBuxnqvWp_F5jNFnoNIU
https://www.myacademybd.com/?
fbclid=IwAR0QEikbO6jP_BPFJbKGBUJ0EMKLRmqP4QWJvP4dz3fXqdkYLZ9x2j
B1uhE

You might also like