Professional Documents
Culture Documents
Jagaddharthi
Jagaddharthi
দুর্গা নবরাত্রির শুভক্ষণে সমস্ত পশ্চিমবঙ্গবাসী কে আমার এবং আমার বিজেপি পরিবারের তরফে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও
অভিনন্দন। মা দুর্গা, মা কালী, মা জগদ্ধার্থীর আরাধনায় যেন আপনাদের আগামী সময় সুখে শান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে
সমগ্র পশ্চিমবঙ্গবাসী কে শারদীয় দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সবাই সুস্থ থাকু ন। ভালো ভাবে পুজো কাটান।
মায়ের কাছে প্রার্থনা করুন, বাঙ্গলা বিজেপি যেন আগামী নির্বাচনে তৃ ণমূলের আসুরী শক্তিকে বিনাশ করে পশ্চিমবঙ্গে
কমলদল বিহারিণীর স্থায়ী অধিষ্ঠানের জন্য আসন প্রস্তুত করার সুযোগ পায়।
দিলীপ ঘোষ
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%97%E0%A6%A6%E0%A7%8D
%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D
%E0%A6%A3%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0_
%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC
নদিয়ার আঠারো শতকের ইতিহাসে কৃ ষ্ণচন্দ্র এমনই এক সর্বগ্রাসী চরিত্র যে, সেই সময় উল্লেখযোগ্য যা-ই ঘটেছে সবের সঙ্গে নাম জড়িয়ে
আমাদের দেশের ইতিহাস চর্চার একটা মূল সমস্যা হচ্ছে এখানে ইতিহাস আর মিথ বা কিংবদন্তি এমন ভাবে জড়াপুটলি বেঁধে আছে যে,
কোনও ঘটনাগুলো আদপে ঘটেছিল আর কোনটা লোককল্পনা— বোঝা ভার। এই সম্পর্কে ‘নদিয়া কাহিনি’র লেখক কু মুদনাথ মল্লিক
বড় মোক্ষম বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশে অন্যান্য বিষয়ে যতই উন্নতি হউক না কেন ইতিহাসের চর্চা যে কখনও বহুল পরিমাণে হইয়াছে,
বলিয়া অনুমিত হয় না। যাহা কিছু ইতিহাস বলিয়া সাধারণত প্রচলিত আছে, তাহা এতই অদ্ভু ত ও অলৌকিক কাহিনিতে সমাচ্ছন্ন যে,
তাহার মধ্য হইতে খাঁটি সত্যটু কু বাছিয়া লওয়া সুকঠিন; আর তাহা বাছিয়া লইতে গেলেও ইথিহাসের সঙ্গে অনেক ক্ষত হইয়া পড়ে”।
তাই জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্ভব ও তার ইতিহাস নিয়ে কিছু বলতে গেলে কু মুদনাথের মতো একই সমস্যায় পড়তে হয়।
প্রচলিত আছে বঙ্গদেশে অন্নপূর্ণা আর জগদ্ধাত্রী পূজা নাকি নদিয়াধিপতি অগ্নিহোত্রী বাজপেয়ী মহারাজা কৃ ষ্ণচন্দ্র রায়ের আমলে শুরু হয়
বা তাঁর রাজত্বকালেই এর ব্যাপক প্রচলন হয়। অন্নদাপুজোর ব্যাপারটা নয় ভারতচন্দ্রের মঙ্গলকাব্য থেকে অনুমান করা গেল, কিন্তু
জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়টা কখন? অনেকে বলেন, সেটা নবাব আলিবর্দি র আমল কিন্তু সেটা কিছুতেই সম্ভব না। বরং কিছুটা সারবত্তা
আছে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বাবা স্বনামধন্য দেওয়ান কার্তি কেয়চন্দ্র রায়ের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ক্ষিতীশবংশাবলীচরিত’এর অনুমানে , মিরকাশিমের
মুঙ্গের কারাগারে বন্দি অবস্থায় মুক্তিলাভের জন্য ভান করে রাজা নাকি এই দেবীর পূজা করতে বসেছিলেন। আরও এক মতানুসারে,
রাজা নাকি দেবীর স্বপ্নাদেশপ্রাপ্ত হন মিরকাশিমের হাজত থেকে মুক্ত হয়ে নৌকাযোগে ফেরার পথে।
এই মুক্তি পাওয়ার গল্পে দেবীমহিমার কতটা হাত আছে, তা ভগবান জানেন। কিন্তু কৃ ষ্ণচন্দ্রের জীবনাশ্রিত উপন্যাস লেখার জন্য ওই
সময়ের ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে ইঙ্গিত পেয়েছি, সময়কালটা ১৭৬৩ সাল। সেই সময়ের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর হেনরি ভ্যান্সিটার্ট ,
যিনি প্রায় নিজ দায়িত্বে মিরজাফরকে সরিয়ে তখ্তে বসিয়েছিলেন মিরকাশিমকে। কিন্তু নবাব হওয়ার পর নানা কারণে মিরকাশিম বেঁকে
বসলেন আর পলাশির চক্রান্তের শাস্তি দেওয়ার জন্য একের পর বন্দি ও খুন করতে লাগলেন ইংরেজ ঘনিষ্ঠ ষড়যন্ত্রী রাজন্যদের। নবাবের
প্রতিশোধ প্রবণতায় ছাড় পেলেন না তৎকালীন জগৎ শেঠ মহাতাব রায় ও মহারাজা স্বরূপচন্দ, ঢাকার নায়েব রাজবল্লভ সেন প্রমুখ।
যুবরাজ শিবচন্দ্র সহ রাজা কৃ ষ্ণচন্দ্রকে তু লে নিয়ে গিয়ে আটক করা হল বিহারের মুঙ্গেরের কয়েদখানায়। এ দিকে ২ অগস্ট গিরিয়ার দ্বিতীয়
যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে হেরে মিরকাশিমের সব রাগ গিয়ে পড়ল তাঁর আর্মেনিয়ান সেনাপতি গর্গিনখাঁয়ের ( বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস
চন্দ্রশেখরের চরিত্র গুরগনখাঁ, আর্মেনিয়ান নথি ঘাঁটতে গিয়ে পেয়েছি আসল নাম খোয়াজা পেট্রাস গ্রেগরি) উপর। গর্গিনখাঁকে হত্যা
করানোর পর হননের নেশায় পেয়ে বসল নবাবকে, আরও কয়েকজনকে প্রাণদণ্ড দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হল নদিয়ারাজেরও।
কিন্তু সেই ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও রাজা কী করে প্রাণে বেঁচে ফিরলেন, সেটা রীতিমত রহস্যময় ব্যাপার।
অনুমান সেই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের পাঁচ কি ছয় তারিখ, উদয়নালার যুদ্ধে ইংরেজবাহিনীর কাছে আবার হেরে মিরকাশিম রোহতাসগড়
দুর্গের দিকে পালালে কিছু সপ্তাহের ভিতর ইংরেজবাহিনী মুঙ্গের দুর্গের দখল নেয় এবং কৃ ষ্ণচন্দ্র ও শিবচন্দ্রকে উদ্ধার করে। পালানোর
আগে অবশ্য মিরকাশিমের আদেশানুসারে জগঠ শেঠ মহাতব রায়, স্বরূপচাঁদ, রাজবল্লভ সেন প্রভৃ তি সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের গঙ্গার জলে ডু বিয়ে
হত্যা করা হয় (নিখিলনাথ রায়, মুর্শিদাবাদ কাহিনি)। কিন্তু ভাগ্য অত্যাধিক সুপ্রসন্ন থাকায় সে যাত্রায় কৃ ষ্ণচন্দ্রের প্রাণরক্ষা হয়। ধার্মিক রাজা
নিশ্চয়ই এ সবের পিছনে দেবীর অলক্ষ্য হাত দেখতে পান আর সেই কৃ তজ্ঞতার বশেই তিনি আয়োজন করে বসেন দেবী জগদ্ধাত্রী
আরাধনার।
তবে লোকশ্রুতিতে গল্পটি আর রাজার মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরার সময়কাল কিঞ্চিত আলাদা। সুধীর চক্রবর্তী তাঁর ‘উৎসবে মেলায়
ইতিহাসে’ নদিয়ার হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো সেই বিশ্বাসকে ভাষা দিয়েছেন এই ভাবে যে, “যখন কারাগার থেকে মুক্ত হলেন রাজা তখন
আশ্বিন মাস। এখানে দুর্গাপূজা। বিজয়াদশমীর বিকালে পৌঁছলেন নদিয়ার রুকু নপুর ঘাটে। শ্রান্ত আশাহত রাজা কৃ ষ্ণচন্দ্র ঢলে পড়লেন
ঘুমে। তারপরেই সেই স্বপ্ন। তবে স্বপ্নের সেই দেবীমূর্তি দুর্গা নন, অথচ ত্রিনয়নী চারহাত রক্তাম্বরধারিণী। সাদা নরসিংহে যোদ্ধার মতো বসে
আছেন। দুই হাতে শঙ্খচক্র আর দুই হাতে ধনুর্বাণ। স্বপ্নে দেবীর প্রত্যাদেশ হল: সামনের শুল্কা নবমীতে একইদিনে সপ্তমী-অষ্টমী-নবমীপূজা
করলেই দুর্গাপূজার অনুকল্প হবে। রাজা তাই করলেন। সেই থেকে কৃ ষ্ণনগরে চালু হল জগদ্ধাত্রীর পূজা।”
কিন্তু কান্তিচন্দ্র রাঢ়ী তাঁর ‘নবদ্বীপ মহিমা’য় স্পষ্টই বলেছেন, কৃ ষ্ণচন্দ্রের পপৌত্র মহারাজা গিরিশচন্দ্রের (রাজত্বকাল ১৮০২-১৮৪১) পূর্বে
আমাদের বঙ্গদেশে জগদ্ধাত্রীপুজার প্রচলন ছিল না। “উক্ত মহারাজের যত্নে তন্ত্র হইতে ওই মূর্তি প্রকাশিত হয়। শান্তিপুরের নিকটবর্তী
ব্রহ্মশাসন গ্রামনিবাসী চন্দ্রচূ ড় ন্যায়পঞ্চানন নামক জনৈক তন্ত্রশাস্ত্র বিশারদ পণ্ডিতকর্তৃ ক এই মূর্তি আবিষ্কৃ ত হয়। পরে নবদ্বীপের
পণ্ডিতগণের অনুমোদিত হইলে ওই মূর্তি র পূজা আরম্ভ হয় ।” গিরীশচন্দ্র নিজে যেহেতু ছিলেন তন্ত্রচর্চাকারী রাজা আর দেবী জগদ্ধাত্রীর
রূপ বিবর্ত নে যেহেতু তন্ত্রের প্রভাব স্পষ্ট (জগদ্ধাত্রীর উল্লেখ পাওয়া যায় “মায়াতন্ত্র” ও কৃ ষ্ণানন্দ আগমবাগীশের ‘তন্ত্রসার’, এমনকি বেশ
কিছু বৌদ্ধতন্ত্রেও) তাই কান্তিচন্দ্র রাঢ়ীর দাবিকে কিছুতেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমনও হতে পারে, জগদ্ধাত্রী পুজো সর্বজনীন অর্থে
পূর্বপুরুষ কৃ ষ্ণচন্দ্রের হাতে শুরু হলেও তার জাঁকজমক ও শ্রীবৃদ্ধি হয় রাজা গিরীশের আমলে।
আসলে নদিয়ার আঠারো শতকের ইতিহাসে কৃ ষ্ণচন্দ্র এমনই এক সর্বগ্রাসী চরিত্র যে, সেই সময় উল্লেখযোগ্য যাই ঘটেছে প্রায় সব কিছুর
সঙ্গে নাম জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর নাম। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা ভু লে গিয়েছি হিন্দু ব্রাহ্মণ্য সাকার আরাধনার আরও বড় পৃষ্ঠপোষক মহারাজা
গিরীশকে। গিরীশচন্দ্রও কিন্তু শিল্পসংস্কৃ তির কম বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন না। তাঁর আমলেই দিল্লির বিখ্যাত কালোয়াত কায়েম খাঁ আর তাঁর
তিনপুত্র মিয়া খাঁ, হম্মু খাঁ ও দেলাওর খাঁ কৃ ষ্ণনগর রাজদরবারে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। এবং তাঁর সভাতেই রাজপরিকর হিসাবে প্রসিদ্ধি
বাংলায় জগদ্ধাত্রী পূজা ও নবদ্বীপে শাক্তরাস প্রচলন তারই কৃ তিত্ব। জনশ্রুতি অনুসারে বাংলার নবাব আলীবর্দী খানকে রাজকর দিতে না
পারায় কারাগারে বন্দি হয়েছিলেন কৃ ষ্ণচন্দ্র ১৭৫৪ সালে। সময়টা ছিল দুর্গোৎসবের কাছাকাছি। নবাবের কারাগার থেকে অবশেষে তিনি
যখন মুক্ত হলেন তখন দুর্গোৎসব প্রায় সমাপ্ত, কৃ ষ্ণনগর ফেরার পথে রাজা বুঝলেন, সে দিন বিজয়া দশমী। রাজা নৌকার মধ্যে ঘুমিয়ে
পড়েছিলেন এবং সেখানেই স্বপ্নে দেখেছিলেন যে এক রক্তবর্ণা চতু র্ভু জা কু মারী দেবী তাকে বলছেন আগামী কার্তি ক মাসের শুক্লানবমী
তিথিতে তার পুজো করতে। ফলে প্রচলন হয় জগদ্ধাত্রী পূজার। এর পরের বছর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজার প্রচলন হয় তার সুহৃদ
ইন্দ্রনারায়ন চৌধুরীর হাত দিয়ে[ ]। এছাড়াও, মালোপাড়া বারোয়ারি জগদ্ধাত্রীর (মা জলেশ্বরী) প্রতিমার পূজার সূচনা করেন মহারাজ
৩
কৃ ষ্ণচন্দ্র।
বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ গ্রন্থেও তার উল্লেখ পাওয়া যায়। যদিও জগদ্ধাত্রী আরাধনা বিশেষত বঙ্গদেশেই প্রচলিত।[ ] আবার পশ্চিমবঙ্গের হুগলি
১
জেলার চন্দননগর, গুপ্তিপাড়া ও নদিয়া জেলার কৃ ষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী উৎসব জগদ্বিখ্যাত। কার্তি ক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী
জগদ্ধাত্রীর বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু বাঙালির ধর্মীয় মানসে রাজসিক দেবী দুর্গা (পার্বতী) ও তামসিক কালীর পরেই স্থান
জগদ্ধাত্রী দেবী ত্রিনয়না, চতু র্ভূ জা ও সিংহবাহিনী। তার হাতে শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বাণ; গলায় নাগযজ্ঞোপবীত। বাহন সিংহ করীন্দ্রাসুর
অর্থাৎ হস্তীরূপী অসুরের পৃষ্ঠে দণ্ডায়মান। দেবীর গাত্রবর্ণ উদিয়মান সূর্যের ন্যায়।
নদিয়ারাজ কৃ ষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজত্বকাল থেকেই বঙ্গদেশে জগদ্ধাত্রী পূজার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। বরিশালে প্রাপ্ত খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের
জগদ্ধাত্রী মূর্তি , খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতকে শূলপাণি রচিত গ্রন্থে জগদ্ধাত্রী পূজার উল্লেখ ও কৃ ষ্ণচন্দ্রের রাজত্বকালের পূর্বে নদিয়ার বিভিন্ন
মন্দির-ভাস্কর্যে দেবী জগদ্ধাত্রীর উপস্থিতি থেকে প্রমাণিত হয়, বঙ্গদেশে জগদ্ধাত্রী আরাধনা কোনও অর্বাচীন প্রথা নয়।
জগদ্ধাত্রী পূজার নিয়মটি একটু স্বতন্ত্র। দুটি প্রথায় এই পূজা হয়ে থাকে। কেউ কেউ সপ্তমী থেকে নবমী অবধি দুর্গাপূজার ধাঁচে জগদ্ধাত্রী
পূজা করে থাকেন। আবার কেউ কেউ নবমীর দিনই তিন বার পূজার আয়োজন করে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজা সম্পন্ন করেন। এই
জগদ্ধাত্রী শব্দের আভিধানিক অর্থ “জগৎ+ধাত্রী। জগতের (ত্রিভু বনের) ধাত্রী (ধারণকর্ত্রী, পালিকা)।”[ ] ব্যাপ্ত অর্থে দুর্গা, কালী সহ
২
অন্যান্য শক্তিদেবীগণও জগদ্ধাত্রী। তবে শাস্ত্রনির্দি ষ্ট জগদ্ধাত্রী রূপের নামকরণের পশ্চাতে রয়েছে সূক্ষ্মতর ধর্মীয় দর্শন। স্বামী প্রমেয়ানন্দের
মতে,
“ ধৃতিরূপিণী মহাশক্তি জগদ্ধাত্রী। সগুণ ব্রহ্মের সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশরূপ তিনগুণের যুগপৎ প্রকাশ যেমন কালীরূপের বৈশিষ্ট্য,
তাঁর ধারণী ও পোষণী গুণের যুগপৎ প্রকাশও জগদ্ধাত্রীরূপের বৈশিষ্ট্য।... ধা ধাতু র অর্থ ধারণ বা পোষণ। ভগবতী নিখিল
বিশ্বকে বক্ষে ধারণ করে পরিপালন করেন বলে মুনিগণ কর্তৃ ক তিনি ত্রৈলোক্যজননী নামে অভিহিত।... নিয়ত-পরিবর্ত নশীল এই
জগতের পেছনে রয়েছে তার রক্ষণ ও পোষণের জন্য অচিন্তনীয়া মহাশক্তির এক অদ্ভু ত খেলা। সতত পরিবর্ত নশীল জগৎ
সেই মহাশক্তির দ্বারা বিধৃত – যিনি নিত্যা, শাশ্বতী ও অপরিবর্ত নীয়া। দেবী জগদ্ধাত্রীই সেই ধৃতিরূপিণী মহাশক্তি।[
৩]
কেন উপনিষদ[সম্পাদনা]
কেন উপনিষদে, দেবী ভাগবত পুরাণ ও অন্যান্য পুরান মতে উল্লিখিত একটি উপাখ্যান অনুসারে : একবার দেবাসুর সংগ্রামে দেবগণ
অসুরদের পরাস্ত করলেন। কিন্তু তারা বিস্মৃত হলেন যে নিজ শক্তিতে নয়, বরং ব্রহ্মের বলে বলীয়ান হয়েই তাদের এই বিজয়। ফলত তারা
হয়ে উঠলেন অহংকার-প্রমত্ত। তখন দেবী পার্বতী এক কু মারী বালিকার বেশ ধারণ করে তাদের সম্মুখে উপস্থিত হলেন। তিনি একটি
তৃ ণখণ্ড দেবতাদের সম্মুখে পরীক্ষার নিমিত্ত রাখলেন। অগ্নি ও বায়ু তাদের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও সেই তৃ ণখণ্ডটিকে দগ্ধ বা বিধৌত
করতে পারলেন না। তখন দেবগণ ইন্দ্রকে বালিকার পরিচয় জানবার নিমিত্ত প্রেরণ করলেন। ইন্দ্র অহংকার-প্রমত্ত হয়ে বালিকার কাছে
আসেননি, এসেছিলেন জিজ্ঞাসু হয়ে। তাই ব্রহ্মরূপী দেবী পার্বতী তার সম্মুখ হতে তিরোহিত হলেন। বরং তার সম্মুখের আকাশে দিব্য
স্ত্রীমূর্তি তে আবির্ভূ ত হলেন হৈমবতী উমা পার্বতী। উমা ব্রহ্মের স্বরূপ ব্যাখ্যা করে ইন্দ্রের জ্ঞানপিপাসা নিবৃত্ত করলেন।[ ]
৪
কাত্যায়নী তন্ত্র[সম্পাদনা]
উপনিষদে উমার রূপবর্ণনা নেই। কেবলমাত্র তাকে হৈমবতী পার্বতী অর্থাৎ স্বর্ণালঙ্কারভূ ষিতা বলা হয়েছে। তবে এই হৈমবতী উমাই যে
দেবী জগদ্ধাত্রী সে প্রত্যয় জন্মে কাত্যায়ণী তন্ত্রের ৭৬ পটলে (অধ্যায়) উল্লিখিত একটি কাহিনি থেকে। এই কাহিনি অনুসারে : একদা ইন্দ্র,
অগ্নি, বায়ু ও চন্দ্র – এই চার দেবতা অহংকার-প্রমত্ত হয়ে নিজেদের ঈশ্বর মনে করতে শুরু করলেন। তারা বিস্মৃত হলেন যে দেবতা হলেও
তাদের স্বতন্ত্র কোনও শক্তি নেই – মহাশক্তি পার্বতীর শক্তিতেই তারা বলীয়ান। দেবগণের এই ভ্রান্তি অপনয়নের জন্য দেবী জগদ্ধাত্রী (
পার্বতী) কোটি সূর্যের তেজ ও কোটি চন্দ্রের প্রভাযুক্ত এক দিব্য মূর্তি তে তাদের সম্মুখে উপস্থিত হলেন। এর পরের কাহিনি কেন উপনিষদে
বর্ণিত তৃ ণখণ্ডের কাহিনির অনুরূপ। দেবী প্রত্যেকের সম্মুখে একটি করে তৃ ণখণ্ড রাখলেন; কিন্তু চার দেবতার কেউই তাকে স্থানচ্যুত বা
ভষ্মীভূ ত করতে অসমর্থ হলেন। দেবগণ নিজেদের ভু ল উপলব্ধি করলেন। তখন দেবী তার তেজোরাশি স্তিমিত করে এই অনিন্দ্য মূর্তি
ধারণ করলেন। এই মূর্তি ত্রিনয়না, চতু র্ভূ জা, রক্তাম্বরা, সালংকারা, নাগযজ্ঞোপবীতধারিনী ও দেব-ঋষিগণ কর্তৃ ক অভিবন্দিতা এক
মঙ্গলময়ী মহাদেবীর মূর্তি । সমগ্র জগৎকে পরিব্যাপ্ত করে দেবী দেবগণকে এই মূর্তি দেখালেন; দেবগণও তার স্তবে প্রবুদ্ধ হলেন। [
৫]
মূর্তি তত্ত্ব
শঙ্খশার্ঙ্গ সমাযুক্তবামপাণিদ্বয়ান্বিতাম্।
ত্রিবলীবলয়োপেতনাভিনালমৃণালিনীম্।
- মহাদেবী জগদ্ধাত্রী সিংহের স্কন্ধে আরূঢ়া, নানা অলংকারে ভূ ষিতা ও নাগরূপ যজ্ঞোপবীতধারিণী। দেবীর বাম হস্তদ্বয়ে শঙ্খ ও শার্ঙ্গ ধনু;
দক্ষিণ হস্তদ্বয়ে চক্র ও পঞ্চবাণ। রক্তবস্ত্রপরিহিতা সেই ভবসুন্দরী প্রভাতসূর্যের ন্যায় রক্তবর্ণা। নারদাদি মুনিগণ তার নিত্যসেবা করে
থাকেন। তার ত্রিবলিবলয়সমন্বিত নাভিমণ্ডল মৃণালবিশিষ্ট পদ্মের ন্যায়। সেই শিবপত্নী রত্নদ্বীপরূপ উচ্চ বেদিকায় স্থিত সিংহাসনে প্রস্ফু টিত
জগদ্ধাত্রী দেবীর মূর্তি তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্বামী নির্মলানন্দ বলেছেন, “অর্ক বা সূর্যই বিশ্বের পোষণকর্তা। পৃথিব্যাদি আবর্ত নশীল গ্রহ-
উপগ্রহদিগকে সূর্যই নিজের দিকে আকর্ষণ করে রেখেছেন। দেবী জগদ্ধাত্রীর মধ্যেও ধারণী ও পোষণী শক্তির পরিচয় বিদ্যমান। তাই
তাঁকে বলা হয়েছে বালার্ক সদৃশীতনু। একই কারণে জগৎপালক বিষ্ণু র শঙ্খ-চক্র-শার্ঙ্গ ধনু-আদি আয়ুধ দেবীর শ্রীকরে।... দেবীর রক্তবস্ত্র ও
রক্তবর্ণের মধ্যে, দেবীর সিংহাসনস্থ রক্তকমলে সেই রজোগুণেরই ছড়াছড়ি। রজোদীপ্ত বলেই জগদ্ধাত্রী মহাশক্তিময়ী। তাঁর অস্ত্রশস্ত্র, তাঁর
বাহন – সকলই তাঁর শক্তিমত্তার ভাবটি আমাদের অন্তরে উদ্দীপ্ত করে দেয়। তবে দেবীর এই বীর্য সংহারের নয়। পরন্তু সমগ্র বিশ্বকে
মহাসর্বনাশ থেকে রক্ষাপূর্বক তাকে আত্মসত্তায় – ঋতে ও সত্যে সুস্থির করে রাখবার জন্য। ... নাগ বা সর্প যোগের পরিচায়ক। উপবীত
ব্রাহ্মণ্যশক্তির প্রতীক। দেবী জগদ্ধাত্রী ব্রহ্মময়ী; তিনি পরমা যোগিনী। মহাযোগবলেই ব্রহ্মময়ী ধরে আছেন এই নিখিল বিশ্বসংসারকে। এই
জগদ্ধারণই জগদ্ধাত্রীর পরম তপস্যা – তাঁর নিত্য লীলা , তাঁর নিত্য খেলা। জননীরূপে তিনিই বিশ্বপ্রসূতি, আবার ধাত্রীরূপে তিনিই
বিশ্বধাত্রী।”[ ]
৭
আমাদের খুব প্রিয় মহিষাসুর মর্দি নী আকাশবাণীতে প্রচারিত হওয়ার সুরুতে ......" সিনহস্থা শশিশেখরা......... চতু র ভু জাই............" এই
স্তব মন্ত্র শুনলে দেখা যাবে যে এটিও দুর্গার জগদ্ধাত্রী রুপেরি বর্ণনা ...
করীন্দ্রাসুর
ধ্যান বা স্তবমন্ত্রে উল্লেখ না থাকলেও জগদ্ধাত্রী প্রতিমায় বাহন সিংহের পদতলে একটি হস্তীমুণ্ড থেকে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, জগদ্ধাত্রী
দেবী করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ মহাহস্তীরূপী অসুরকে বধ করেছিলেন। এই কারণে দেবী জগদ্ধাত্রী করীন্দ্রাসুরনিসূদিনী নামে পরিচিত। রামকৃ ষ্ণ
পরমহংসের ভাষায়, “মন করীকে যে বশ করতে পারে তারই হৃদয়ে জগদ্ধাত্রী উদয় হন।... সিংহবাহিনীর সিংহ তাই হাতীকে জব্দ করে
রেখেছে।” স্বামী নির্মলানন্দের মতে, “যে-কোনো সাধনায় মনকে সংযত করে বশে আনা সাধনার অপরিহার্য অঙ্গ। আমাদের মন মত্ত করী,
মন-করীকে বশ করতে পারলে সাধনায় সিদ্ধিলাভ অবশ্যম্ভাবী।... মত্ত মন-করীকে বশ করে সাধক-হৃদয়ে জগদ্ধাত্রীর প্রতিষ্ঠায়ই জগদ্ধাত্রী-
সাধনার সার্থকতা, পূজার পরিসমাপ্তি।”[ ] করীন্দ্রাসুর এর বর্ণনা ওই নামে না থাকলেও চণ্ডীতে উল্লেখ আছে মহিষাসুর এক মহাহস্তি রুপে
৮
দেবীকে আক্রমণ করে এবং দেবী তার মুণ্ড চ্ছেদ করেন...... তখন সে এক পুরুশ রুপে অবতীর্ণ হয়ে দেবীকে যুদ্ধে আওভান করলে
......... মা তাকে তিরে বিদ্ধ করেন......... এই তির ধনুক দেবির এই মূর্তি তে বর্ত মান।।
দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা অনুষ্ঠিত হয় দুর্গাপূজার ঠিক একমাস পর কার্তি ক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে। কাত্যায়নীতন্ত্র–এ কার্তি কী শুক্লা
-দেবগণের হিত, দুর্বত্তের প্রশমন এবং জগতের শান্তিবিধানের জন্য যুগের প্রারম্ভে কার্তি ক মাসের শুক্লপক্ষের মঙ্গলবারে পরমেশ্বরী
-ত্রেতাযুগের প্রারম্ভে কার্তি ক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে সিংহপৃষ্ঠে সমাসীনা দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা করিবে।
জগদ্ধাত্রী পূজা তান্ত্রিক পূজা। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী – এই তিন দিন জগদ্ধাত্রীর পূজা হয়ে থাকে । তবে অনেকে নবমীর দিন তিন বার
পূজা করে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজা সম্পন্ন করেন। কোথাও কোথাও প্রথম বা দ্বিতীয় পূজার পর কু মারী পূজারও আয়োজন করা
হয়। দুর্গাপূজার ন্যায় জগদ্ধাত্রী পূজাতেও বিসর্জ নকৃ ত্য বিজয়াকৃ ত্য নামে পরিচিত। এমনকি পুষ্পাঞ্জলি ও প্রণাম মন্ত্রসহ পূজার অনেক
জগদ্ধাত্রী পূজা বাঙালি হিন্দু সমাজের একটি বিশিষ্ট উৎসব হলেও, দুর্গা বা কালীপূজার তু লনায় এই পূজার প্রচলন অপেক্ষাকৃ ত
আধুনিক কালে ঘটে। অষ্টাদশ শতকে নদিয়ারাজ কৃ ষ্ণচন্দ্র রায় তার রাজধানী কৃ ষ্ণনগরে এই পূজার প্রচলন করার পর এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
পায়। [ ] যদিও দেবী জগদ্ধাত্রী যে বাঙালি সমাজে একান্ত অপরিচিত ছিলেন না, তার প্রমাণও পাওয়া যায়। শূলপাণি খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ
১১
শতকে কালবিবেক গ্রন্থে কার্তি ক মাসে জগদ্ধাত্রী পূজার উল্লেখ করেন। পূর্ববঙ্গের বরিশালে খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে নির্মিত জগদ্ধাত্রীর একটি
প্রস্তরমূর্তি পাওয়া যায়। বর্ত মানে এই মূর্তি টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ সংগ্রহশালার প্রত্নবিভাগে রক্ষিত। [ ] কৃ ষ্ণচন্দ্রের
১২
রাজত্বকালের আগে নির্মিত নদিয়ার শান্তিপুরের জলেশ্বর শিবমন্দির ও কোতোয়ালি থানার রাঘবেশ্বর শিবমন্দিরের ভাস্কর্যে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি
লক্ষিত হয়। তবে বাংলার জনসমাজে কৃ ষ্ণচন্দ্রে পূর্বে জগদ্ধাত্রী পূজা বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জ ন করেনি। কেবল কিছু ব্রাহ্মণগৃহে দুর্গাপূজার
নদিয়া জেলার সদর কৃ ষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা করেন রাজা কৃ ষ্ণচন্দ্র রায়। কিংবদন্তী অনুসারে নবাব আলিবর্দি র রাজত্বকালে
মহাবদজঙ্গ রাজার নিকট থেকে বারো লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করেন। নজরানা দিতে অপারগ হলে তিনি রাজাকে বন্দী
করে মুর্শিদাবাদে (মতান্তরে মুঙ্গেরে) নিয়ে যান। মুক্তির পর নদীপথে কৃ ষ্ণনগরে প্রত্যাবর্ত নের সময় ঘাটে বিজয়াদশমীর বিসর্জ নের বাজনা
শুনে তিনি বুঝতে পারেন সেই বছর দুর্গাপূজার কাল উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপূজার আয়োজন করতে না পেরে রাজা অত্যন্ত দুঃখিত হন।
সেই রাতে দুর্গা জগদ্ধাত্রীর রূপে রাজাকে পরবর্তী শুক্লানবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী দুর্গার পূজা করার আদেশ দেন।অন্য এক মতে কৃ ষ্ণনগর
রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা ১৭৬৬ সালে।[ ] কেউ কেউ আবার কৃ ষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্রকে কৃ ষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী
১৩
পূজার প্রবর্ত ক মনে করেন।[ ] কৃ ষ্ণনগর রাজবাড়ির দরজা জগদ্ধাত্রী পূজার সময় আজও খোলা থাকে। পূজা পুরনো প্রথা মেনে হয়
১২
১৭৭২ সালে রাজবাড়ির দেখাদেখি কৃ ষ্ণনগরের চাষাপাড়ায় রাজা কৃ ষ্ণচন্দ্রের প্রজারা জগদ্ধাত্রী পূজা শুরু করেন। বুড়িমার পূজা নামে
পরিচিত এই পূজা শুরু হয়েছিল ঘটে ও পটে। প্রথম দিকে স্থানীয় গোয়ালারা দুধ বিক্রি করে এই পূজার আয়োজন করতেন। ১৭৯০ সাল
নাগাদ গোবিন্দ ঘোষ ঘটপটের পরিবর্তে প্রতিমায় জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা করেন। এখানকার প্রতিমার বৈশিষ্ট্য হল প্রায় সাড়ে সাতশো ভরি
সোনায় গয়নায় দেবীপ্রতিমার অলংকারসজ্জা। কৃ ষ্ণনগরের বাসিন্দাদের মতে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা; তার নিকট সকল মনোষ্কামনাই পূর্ণ
হয়।[
১৩]
এছাড়া কৃ ষ্ণনগরের উল্লেখযোগ্য বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পূজাগুলি হল প্রীতিসম্মেলনী, বালকেশ্বরী, মালোপাড়া, হাতারপাড়া, উকিলপাড়া,
ষষ্ঠীতলা, বউবাজার, নেদেরপাড়া, বাঘাডাঙা, পাত্রমার্কে ট, কৃ ষ্ণনগর স্টেশন চত্বর, বেজিখালি, চকেরপাড়া, বাগদিপাড়া, মাঝেরপাড়া, ঘূর্ণি,
হরিজনপল্লি, তাঁতিপাড়া, কালীনগর ইত্যাদি।[ ] বর্ত মানে কৃ ষ্ণনগরে বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পূজা হয় দুই শতেরও বেশি। [
১৩ ১২]
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার প্রবর্ত ক ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। জানা যায়, রাজা কৃ ষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন
চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। প্রায় আড়াইশো বছর আগে, কৃ ষ্ণনগর রাজবাড়ির পূজা দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরের
লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টির নিচু পাটিতে জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন করেন। লক্ষ্মীগঞ্জ প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পরেই এই পূজার সূচনা। এই পূজা
চন্দননগরে আদি পূজা নামে পরিচিত। এখনও পর্যন্ত পুরুষানুক্রমে দেওয়ান চৌধুরীদের উত্তরপুরুষের নামে পূজার সংকল্প হয়। এখানকার
প্রতিমার বৈশিষ্ট্য হল সনাতনরীতির প্রতিমায় সাদা সিংহ এবং বিপরীতমুখী অবস্থানে হাতি। শোনা যায়, বিসর্জ নের সময় আদি প্রতিমা
জলে পড়লেই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। লক্ষ্মীগঞ্জ কাপড়েপট্টির জগদ্ধাত্রী পূজা
চন্দননগরে দ্বিতীয় প্রাচীনতম পূজা। ১৭৬৮ সালে চাউলপট্টির চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতান্তর হওয়ায় কাপড় ব্যবসায়ী শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায়
(মতান্তরে শশধর) রীতিমতো চাঁদা তু লে এই পূজা প্রবর্ত ন করেন। এই অঞ্চলের অপর দুটি পূজা হল লক্ষ্মীগঞ্জ চৌমাথা (স্থাপিত ১৯০৩
খ্রিষ্টাব্দ) ও লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের (স্থাপিত ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ) পূজা। উত্তর চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টি, কাপড়েপট্টি, চৌমাথা ও বাজার –
এই চার পূজাতেই সিংহের রং সাদা। উত্তর চন্দননগরের অন্যান্য বড়ো জগদ্ধাত্রী পূজাগুলি হল চন্দননগর বাগবাজার (স্থাপিত ১৮৩৫
খ্রিষ্টাব্দ), খলিসানী কলপুকু রধার, বউবাজার শীতলাতলা, খলিসানী বউবাজার, বাগবাজার চৌমাথা, বিদ্যালঙ্কার, পালপাড়া, বিবিরহাট
উত্তরাঞ্চল, বিবিরহাট চড়কতলা তেমাথা, হরিদ্রাডাঙা, হেলাপুকু রধার, নাড়ু য়া, কাঁটাপুকু র, কাঁটাপুকু র চৌমাথা, বোড়ো কালীতলা, বোড়ো
দক্ষিণ চন্দননগরের বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পূজাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানকু ণ্ডু সার্বজনীন, মানকু ণ্ডু নতু নপাড়া, নিয়োগী বাগান, সার্কাস
মাঠ, তেমাথা, অম্বিকা অ্যাথলেটিক ক্লাব, মরান রোড, গোন্দলপাড়া মনসাতলা, সাতঘাটা, গোন্দলপাড়া চারমন্দিরতলা, বেশোহাটা,
লিচু তলা হাজিনগর, হাটখোলা দৈবকপাড়া, মনসাতলা, ভু বনেশ্বরীতলা, নোনাটোলা, বড়বাজার, পাদ্রিপাড়া, লালবাগান, ড্যুপ্লেক্সপট্টি,
শ্রমিকপল্লি, সুভাষ জাগরণ সংঘ তেমাথা, অরবিন্দ সংঘ, বারাসত দক্ষিণ, বারাসত গেট। দক্ষিণ চন্দননগরের হালদারপাড়ার আদিপুজো
অশ্বত্থতলার বুড়িমার পূজা নামে পরিচিত। এই পূজা লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টি ও কাপড়েপট্টির পূজার সমসাময়িক বলে মনে করা হয়।[
১৩]
চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির অনুমোদিত তিনশের অধিক পূজা হয় ।
প্রতি বছর লটারির মাধ্যমে শোভাযাত্রার জন্য 75-80 টি পূজা কমিটিকে বেছে নেওয়া হয়।
বাঁকু ড়া জেলার জয়রামবাটী গ্রামে রামকৃ ষ্ণ পরমহংসের সহধর্মিণী সারদা দেবীর জন্মভিটা র জগদ্ধাত্রী পূজা বিশেষ প্রসিদ্ধ। পূজা
উপলক্ষে জয়রামবাটীতে প্রচু র ভক্তসমাগম হয়। সারদা দেবীর পৈতৃ ক বাড়িতে এই পূজার আয়োজন করে রামকৃ ষ্ণ মিশন। ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে
(১২৮৪ বঙ্গাব্দ)[ ] সারদা দেবীর পিতৃ গৃহে প্রথম জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজন করেছিলেন তার জননী শ্যামাসুন্দরী দেবী। কিংবদন্তি
১৪
অনুসারে, প্রতি বছর শ্যামাসুন্দরী দেবী প্রতিবেশী নব মুখুয্যের বাড়ির কালীপূজা উপলক্ষে নৈবেদ্যের চাল পাঠাতেন। ওইবছর কোনো
বিবাদের কারণে নব মুখুজ্যে চাল নিতে অস্বীকার করেন। নৈবেদ্যদানে অসমর্থ হয়ে শ্যামাসুন্দরী দেবী অত্যন্ত মর্মাহত হন। সেই রাতেই তিনি
দেবী জগদ্ধাত্রীকে স্বপ্নে দেখেন এবং তার স্বপ্নাদেশে ওই চালে জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজন করেন। প্রথম বছর বিসর্জ নের দিন বৃহস্পতিবার
ছিল। তাই সারদা দেবী লক্ষ্মীবারে বিসর্জ নে আপত্তি করেছিলেন। পরদিন সংক্রান্তি ও তার পরদিন মাস পয়লা থাকায় ওই দুই দিনও
বিসর্জ ন দেওয়া যায়নি। বিসর্জ ন হয় চতু র্থ দিনে। আরও কথিত আছে যে, পরের বছর সারদা দেবী জগদ্ধাত্রী পূজা বন্ধ করে দিতে চাইলে
দেবী জগদ্ধাত্রী তাকে স্বপ্নাদেশে পূজা বন্ধ করা থেকে নিরস্ত করেন। এরপর প্রথম চার বছর পূজা হয়েছিল শ্যামাসুন্দরী দেবীর নামে; দ্বিতীয়
চার বছর সারদা দেবীর নামে এবং তৃ তীয় চার বছর তার কাকা নীলমাধব মুখোপাধ্যায়ের নামে। বারো বছর পর সারদা দেবী পুনরায় পূজা
বন্ধ করবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। শোনা যায়, এই বারও জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি নিরস্ত হন।[
১৫]
জীবদ্দশায় প্রতি বছরই জগদ্ধাত্রী পূজায় উপস্থিত থাকতেন সারদা দেবী। পূজা পরিচালনার জন্য তিনি সাড়ে দশ বিঘার কিছু বেশি জমি
দেবোত্তর সম্পত্তিরূপে দিয়ে যান। ১৯১৯ সালে সারদা দেবী এই পূজায় শেষবার উপস্থিত ছিলেন। পরের বছর তিনি প্রয়াত হন।[
১৬]
প্রথম পূজার ঐতিহ্য অনুযায়ী আজও শুক্লা নবমীতে মূল পূজার পরও দুই দিন প্রতিমা রেখে দিয়ে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়।
দুর্গাপূজার মতোই পূজার সঙ্কল্প হয় সারদা দেবীর নামে। জগদ্ধাত্রীর প্রতিমার পাশে জয়া-বিজয়া ও নারদ মুনির প্রতিমা থাকে। নবমীতে
ষোড়শোপচারে পূজা, তিন বার চণ্ডীপাঠ ও মাতৃ মন্দিরে দরিদ্রনারায়ণ সেবা হয়। দশমীর দিন দশোপচারে পূজা হয়। এই দিন সন্ধ্যারতির
পর যাত্রাগানের আসর বসে। একাদশীর দিনও দশোপচারে পূজা ও বিসর্জ নকৃ ত্য সম্পন্ন হয়। এই দিন ধুনুচি নৃত্য, কর্পূরারতি, কনকাঞ্জলি
প্রদান প্রভৃ তিও অনুষ্ঠিত হয়। ধুনুচি নাচের পর বাদ্যঘণ্টা ও শোভাযাত্রা সহকারে মায়ের দিঘিতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। প্রতিমা নিরঞ্জনে
আশ্রমবাসী, অতিথি এবং গ্রামবাসী সকলে অংশ নেন। পূজা উপলক্ষে আশ্রমপ্রাঙ্গনে মেলাও বসে।[
১৬
--------------------------------------------------------------------------------------------------
Modi does not like Mangoes; Banana; etc. He only eats Papaya.
মোদী আম, কলা প্রভৃ তি ফল পছ্ন্দ করেন না। উনি শুধু পেঁপে খান।
Surjewala :- Modi like Papaya means Saffron in color. This means Saffronisation of food choice
খুরজেবালা- মোদী শুধু পেঁপে খান। আর পেঁপে গেরুয়া রঙের। তারমানে উনি খাবারেরও গৈরিকীকরণ করতে চাইছেন।
খুজলিবাল- আম হল ফলের রাজা। মোদী আম ফছ্ন্দ করেন না, তার মানে উনি আম আদমি কেও পছন্দ করেন না।
Rahul Gandhi:- My favorite Fruit is Banana ....I will never eat Papaya.
আউল- আমি পাপ্পু তাই আমি পেঁপে খাইনা, আমি শুধু কলা খাই আর কলা দেখাই।
Barkha Dutt : The nation wants to know why Modi likes Papaya more than other fruits .
ঝগড়া দত্ত- সারা দেশ আজ জানতে চাইছে মোদী আর সব ছেড়ে কেন পেঁপেই খান।
Mehbooba Mufti :- Modi doesn't like kashmiri Apple.This is Modi’s tactic to usurp Kashmir. We will not allow this
to happen.
মারহাব্বা চু ঘতী- মোদী কাশ্মীরী আপেল খান না। উনি এই ভাবে কাশ্মীরের জনগণকে বঞ্চিত করছেন।
Yechuri:- Selecting an expensive fruit like Papaya shows Modi is pro- capitalist. We would ask for a Judicial
enquiry.
বড়বাম চচ্চড়ি- পেঁপের মত একটা দামী ফল খাচ্ছেন মানে উনি বুর্জোয়া। আমরা এ ব্যাপারে একটা তদন্ত চাই।
Ravish Kumar : Modi has betrayed his ugly, communal façade by declaring that he likes Papaya. By deliberately
avoiding green guavas from the list of fruits he likes, Modi has clearly demonstrated his anti-Muslim, communal
mentality. He is Polarising the nation.
রাবিশ ঘুমর- মোদীর হিংস্র মুখ প্রকাশ্যে। উনি সবুজ পেয়ারা না খেয়ে পেঁপে খেয়ে এটাই প্রমাণ করলেন উনি কমিউনাল। ওনার উচিত
ছিল পেঁপে আর পেয়ারা সমান সমান খাওয়া। উনি সমাজকে সবুজ-গেরুয়ায় ভাগ করতে চাইছেন।
A Tweet by Rajdeep Sardesai : "Modi likes Papaya an Indian fruit which mean he hates Olives, the Italian fruit. This
shows a narrow nationalism. These RSS people have no international taste & class"
মরদেশাই এর টু ইট- মোদীর পছন্দ ভারতীয় পেঁপে। উনি ইটালির অলিভ পছ্ন্দ করেন না। ওনার ভাবনা চিন্তা সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী।
উনি বিশ্ব ভাবনায় অচল। আসলে আরএসএস-এর লোকেদের ভাবনা চিন্তাই এমন সংকীর্ণ।
Mani Shankar Aiyar : Modi is a rotten Papaya and must therefore be immediately removed from the basket.
Otherwise all Papayas in the basket will rot. A rotten Papaya like modi has no place in the secular, all-inclusive
basket of India.
ফণি টংকার আইয়ার- মোদী নিজেই একটা পচা পেঁপে। পাকিস্তান ও চিনের উচিত মোদীকে হঠিয়ে আউল বাবা কে প্রধানমন্ত্রী করার কাজে
স্বল্পেশ খেঁকু ড়- মোদীজি বিশ্বের সবথেকে দামী পেঁপে খান। এবং সেই পেঁপে দিয়ে ফেসিয়ালও করান। আমার কাছে প্রমাণ আছে কিন্তু
kanhaiya kumar - मोदीजी के वल पपीते का के सरी भाग खाते है और हरे भाग को काट कर फैं क देतें है मोदी ने देश को तोड़ दिया.
খানাইহা ঘুমর- মোদীজি পেঁপের পাকা গোলাপী অংশটাই শুধু খান। কাঁচা সবুজ ভাগ খাননা। এই ভাবে মোদীজি দেশ কে বিভক্ত করতে
চাইছেন।
"As per an eminent economist, eating only Papaya can reduce consumption of other food, thus lowering Indian GDP
growth by 100 basis points."
হার্মাদ সেন- আমার মত বড় বড় অর্থনীতিবিদ রা মনে করে, শুধু পেঁপে খেলে অন্যান্য ফলের বিক্রি কমবে। ফলে ভারতের জিডিপি ১০০
600 Theatre Artists, 100 Filmmakers, 103 Economists, Civil society groups and Award Wapsi brigade has issued a
Combine statement urging Indians to boycott Papaya , as this fruit is damaging the unity & integrity of India.
চিত্র ও শিল্প-কলা জগতের ৬০০ জন, ১০০ জন অর্থনীতিবিদ এবং কয়েকশো অ্যাওয়ার্ড বাপসি গ্যাংয়ের লোকেরা দেশজুড়ে সাক্ষর
অভিযান চালাচ্চে। তারা রাশিয়া, চীন, ইউরোপ এর সরকারকে চিচি লিখেছে যাতে মোদীকে ভারত থেকে উত্খাত করতে প্রয়োজনে তারা
---------------------------------------------------------------------------------
আন্তর্জাল চু টকি-
মোদী আম, কলা প্রভৃ তি ফল পছ্ন্দ করেন না। উনি শুধু পেঁপে খান।
খুরজেবালা- মোদী শুধু পেঁপে খান। আর পেঁপে গেরুয়া রঙের। তারমানে উনি খাবারেরও গৈরিকীকরণ করতে চাইছেন।
খুজলিবাল- আম হল ফলের রাজা। মোদী আম ফছ্ন্দ করেন না, তার মানে উনি আম আদমি কেও পছন্দ করেন না।
কাঁকড় গুপ্তা- এর মানে মোদী গেরুয়া রঙকে অর্থাত্ হিন্দুত্বকে প্রমোট করতে চাইছেন। উনি কোনও সবুজ ফল খাচ্ছেন না। তারমানে
আউল- আমি পাপ্পু তাই আমি পেঁপে খাইনা, আমি শুধু কলা খাই আর কলা দেখাই।
ঝগড়া দত্ত- সারা দেশ আজ জানতে চাইছে মোদী আর সব ছেড়ে কেন পেঁপেই খান।
মারহাব্বা চু ঘতী- মোদী কাশ্মীরী আপেল খান না। উনি এই ভাবে কাশ্মীরের জনগণকে বঞ্চিত করছেন।
বড়বাম চচ্চড়ি- পেঁপের মত একটা দামী ফল খাচ্ছেন মানে উনি বুর্জোয়া। আমরা এ ব্যাপারে একটা তদন্ত চাই।
রাবিশ ঘুমর- মোদীর হিংস্র মুখ প্রকাশ্যে। উনি সবুজ পেয়ারা না খেয়ে পেঁপে খেয়ে এটাই প্রমাণ করলেন উনি কমিউনাল। ওনার উচিত
ছিল পেঁপে আর পেয়ারা সমান সমান খাওয়া। উনি সমাজকে সবুজ-গেরুয়ায় ভাগ করতে চাইছেন।
মরদেশাই এর টু ইট- মোদীর পছন্দ ভারতীয় পেঁপে। উনি ইটালির অলিভ পছ্ন্দ করেন না। ওনার ভাবনা চিন্তা সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী।
উনি বিশ্ব ভাবনায় অচল। আসলে আরএসএস-এর লোকেদের ভাবনা চিন্তাই এমন সংকীর্ণ।
ফণি টংকার আইয়ার- মোদী নিজেই একটা পচা পেঁপে। পাকিস্তান ও চিনের উচিত মোদীকে হঠিয়ে আউল বাবা কে প্রধানমন্ত্রী করার কাজে
স্বল্পেশ খেঁকু ড়- মোদীজি বিশ্বের সবথেকে দামী পেঁপে খান। এবং সেই পেঁপে দিয়ে ফেসিয়ালও করান। আমার কাছে প্রমাণ আছে কিন্তু
খানাইহা ঘুমর- মোদীজি পেঁপের পাকা গোলাপী অংশটাই শুধু খান। কাঁচা সবুজ ভাগ খাননা। এই ভাবে মোদীজি দেশ কে বিভক্ত করতে
চাইছেন।
হার্মাদ সেন- আমার মত বড় বড় অর্থনীতিবিদ রা মনে করে, শুধু পেঁপে খেলে অন্যান্য ফলের বিক্রি কমবে। ফলে ভারতের জিডিপি ১০০
এদিকে, চিত্র ও শিল্প-কলা জগতের ৬০০ জন, ১০০ জন অর্থনীতিবিদ এবং কয়েকশো অ্যাওয়ার্ড বাপসি গ্যাংয়ের লোকেরা দেশজুড়ে
সাক্ষর অভিযান চালাচ্চে। তারা রাশিয়া, চীন, ইউরোপ এর সরকারকে চিচি লিখেছে যাতে মোদীকে ভারত থেকে উত্খাত করতে