You are on page 1of 2

লঘুসিদ্ধান্তকৌমুদী

সংজ্ঞা-সন্ধি-প্রকরণম্

পরীক্ষা তাং ৩০.১০.২০২১ সময় ২ ঘন্টা। পূর্ণমাণ ৫০‌

নাম: সৌরভ চট্টোপাধ্যায়


বয়স: ২৩
যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর ইংরেজি সাহিত্য, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

উত্তরপত্র
১)

i ঝশ্ প্রত্যাহারে বর্ণগুলি হল ঝ্, ভ্, ঘ্, ঢ্, ধ্, জ্, ব্, গ্, ড্।

iii আভ্যন্তর প্রযত্ন পাঁচটি। স্পর্শবর্ণগুলির প্রযত্ন স্পৃষ্ট, অন্তঃস্থবর্ণগুলির ইষৎস্পৃষ্ট, উষ্মবর্ণগুলির ইষৎবিবৃত,
স্বরবর্ণগুলির বিবৃত, ভাষায় প্রযুক্ত হ্রস্ব অবর্ণের সম্বন্ধ প্রযত্ন কিন্তু পদসাধন প্রক্রিয়ায় বিবৃত প্রযত্ন।

iv ৯ বর্ণের বারো প্রকার ভেদ।

v প্রত্যাহার বিধায়ক সূত্রটি হল "প্রত্যাহ্রিয়ন্তে সংক্ষিপ্যন্তে বর্ণা যস্মিন্ স প্রত্যাহারঃ"।

vi বৃদ্ধিরেচি সূত্রটি 'আদ্ গুণঃ' সূত্রের অপবাদ। অর্থাৎ অবর্ণের পর এচ্ থাকিলে বৃদ্ধি একাদেশ হইবে৷ এবং এচ্ ভিন্ন
অবশিষ্ট অচ্ থাকিলে গুণ একাদেশ হইবে।

viii "যেনাক্ষরসমান্নায়মধিগম্য মহেশ্বরাত্" ইতি পাণিনীয় প্রমাণে চোদ্দটি মাহেশ্বর সূত্র সমূহ থেকে অণ্ প্রভৃ তি ৪২টি
সংজ্ঞা পাওয়া যায়।

ix উপসর্গ ২০টি। যথা - প্র, পরা, অপ, সম, নি, অব, অনু, নির, দূর, বি, সু, উৎ, পরও, প্রতি, অতি, অভি, অপি,
উপ, আ।

xi “রো রি” (৮/৩/১৪) সূত্রানুযায়ী রেফ পরে থাকিলে রেফের লোপ হয়।

২)
বৃদ্ধিঃ - বৃদ্ধিরাদৈচ্ সূত্রানুযায়ী স্বরের বৃদ্ধির অর্থ হল অ স্থানে আ, ই ঈ স্থানে ঐ, উ ঊ স্থানে ঔ, ঋ ঋৃ স্থানে আর্ হয়।

গুণঃ - অদেঙ গুণঃ সূত্র অনুযায়ী স্বরের গুণ হয় বললে বোঝানো হয় যে ই ঈ স্থানে এ, উ ঊ স্থানে ও, ঋ ঋৃ স্থানল অর্
এবং ৯ স্থানে অল্ হয়।

পদম্ - ধাতু ও প্রাতিপাদিক বিভক্তিযুক্ত হলে তাকে পদ বলে। সূত্র: সুপ্-তিঙন্তং পদম্।

টি - অম্ত স্বর থেকে শুরু করে সমস্ত বর্ণকে টি বলে। যেমন, মহিমন্ শব্দের অন্ত স্বর 'ম' এর অ, অন্ হল টি।

সংহিতা - পরস্পর সন্নিহিত দুটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বা সংহিতা বলে। "পরঃ সন্নিকর্ষ সংহিতা"।

৩)
পাবকঃ = পো + অকঃ
রমেশঃ = রমা + ঈশঃ
ব্রহ্মৈব = ব্রহ্মা + এব
গঙ্গোদকম্ = গঙ্গা + উদকম্
জগদীশঃ = জগৎ + ঈশঃ
বাহূ দরম্ = বাহু + উদরম্

৪)
i আদিরন্ত্যেন সহেতা
এই সূত্রের অর্থ হল অন্তে ইৎ সংজ্ঞক বর্ণের সহিত আদি মধ্যস্থিত বর্ণ সমূহের এবং নিজের (আদির) সংজ্ঞা হয়।
এভাবেই অচ্, হল্, অলৃ ইত্যাদি হয়৷ এই সূত্র দিয়েই মাহেশ্বর সূত্রগুলিট প্রত্যাহার সংজ্ঞা গঠন করা হয়। যেমন অণ্
সংজ্ঞা বললে বুঝতে হবে অ, ই, উ। বা অণ্ বললে বুঝতে হবক অ, ই, উ, ঋ, ৯, এ, ও, ঔ, হ, য, ব, র, ল।

ii অণুদিৎ সবর্ণস্য চাপ্রত্যযঃ


এই সূত্র অনুযায়ী কোনও শব্দের পরে যথানিয়মে বিগিত ক বা একাধিক বর্ণ হল 'প্রত্যয়'। প্রত্যয় নয় এমন অণ্ এবং
উদিৎ সবর্ণসংজ্ঞক হয়৷ এখাবপ অণের ণ্-পরবর্তী ণ্-কার। অতএব অণ্-অরৃথ - স্বরবর্ণ, হ য ব র ল। যার উ ইৎ হয়
তাকে উদিৎ বলে। কু চু টু তু পু - এরা উদিৎ। অর্থাৎ ক, চ, ট, ত, ও প - এই বর্গগুলি। সুতরাং অবর্ণ, আঠারো
রকমের 'সবর্ণ অ'কে বোঝায়। একইভাবে ইকার এবং উকারের ও সবর্ণ যথাক্রমে আঠারো রকমের ই ও উ। ঋ এবং
লৃ পরস্পর সবর্ণ, তাই ঋ বললে ৩০ রকম ঋবর্ণ, লৃ বললে ৩০ রকম লৃ বর্ণ বোঝায়।

You might also like