Desire Under the Elms by Eugene O'Neill - Bangla Summary and Characters
ডেইজার আন্ডার দ্যা এমস - বাংলা সারমর্ম ও চরিত্রসমূহ - ২পর্বের ১ম পর্ব
Desire Under the Elm s by Eugene O'Neill - Bangla Summary and Characters - ডেইজার আন্ডার দ্যা এমস - বাংলা সারমর্ম ও চরিত্রসমূহ - ২পর্বের ১ম পর্ব এক নজরে চরিত্র সমূহঃ ১। এফরাইম ক্যাবটঃ বয়স ৭৫, পিটার ও সিমনের বাবা এবং ইবেনের সৎ বাবা। ২। অ্যাবি পুটনামঃ বয়স ৩৫ ও ক্যাবটের ৩য় স্ত্রী। ৩। ইবেনঃ এফরাইম ক্যাবটের ২য় স্ত্রীর সন্তান। ৪। সিমন ও পিটার ক্যাবটঃ এফরাইম ক্যাবটের ১ম স্ত্রীর সন্তান ৫। মিনিঃ একজন পতিতা। ৬। শেরিফ ৭। নাচের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাদক, নাচিয়ে ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ।আলোচনাঃ নাটকটির ঘটনা প্রবাহ শুরু হয়েছিল নিউ ইংল্যান্ড এর একটি পারিবারিক খামারবাড়িতে। বাড়িটির দুই পাশেই বিশাল দুটো এলমস গাছ দাঁড়িয়ে আছে যেন তারা বাড়িটিকে পাহাড়া দিচ্ছে। গাছ দুটোর ডালপালা ও পাতা গুলো চারিদিকে এমনভাবে ছড়িয়ে আছে, এগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে যেন কোন রমনী হয়তো চুল এলিয়ে দুপুরে বিশ্রাম করছেন। প্রথম অঙ্কঃ সিমন আর পিটার এফরাইম ক্যাবট এর দুই সন্তান। সিমনের বয়স উনচল্লিশ আর পিটার এর বয়স সাইত্রিশ। তারা দুই ভাই ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে স্বর্ন উদ্ধারের দিবা স্বপ্নে বিভোর। তাদের সারাদিনের কথা, কাজ ও চিন্তায় এই বিষয়টি বারবার প্রকাশ পাচ্ছিল। এ সময় একদিন তাদের বাবা এফরাইম ক্যাবট ঘোড়ার গাড়ি হাকিয়ে বাড়ি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বারিয়ে গেলেন আর বলে গেলেন সে ফিরে আসা না পর্যন্ত যেনো তারা তাদের খামারে নিয়মিত যাতে কাজ করে যায়। তার বেরিয়ে পরার হেতু জিজ্ঞাসা করা হলে সে রহস্য করে উত্তর দেয় এখন বসন্তকাল তাই সে এই ঋতুতে তার প্রতি ইশ্বরের কি বানী তা উদ্ধার করার জন্যে বেরিয়েছে। এই দুই ভাই মনে মনে তাদের বাবার মৃত্যু কামনা করত যাতে করে তাদের প্রাপ্য অংশ তারা খুব তারাতারি পেয়ে যায়। এই খামারে তাদের এতো বেশী পরিশ্রম করতে হচ্ছে বলে তারা তাদের বাবাকে ঘৃণা করত। তাদের সাথে থাকত তাদের আর একজন সৎ ভাই ইবেন। সে ও তাদের বাবাকে ঘৃণা করত। কারন সে মনে করত তার এই সৎ বাবাই তার মাকে অত্যধিক খাটিয়ে হত্যা করেছে। ইবেন আরো ভাবত যে তার মা এখন কবরে শান্তি পাচ্ছে না এবং সে তার বাবাকে শাস্তি দিতে চায়। তাই তার আত্মা এই বাড়িতেই ঘুরে বেড়ায় এবং মাঝে মাঝেই ইবেনকে তার কাজে সাহায্য করে। ইবেন সব সময়ই এটা দাবী করে যে সেই এই বাড়ির একমাত্র উত্তরাধিকারী কারন তার মৃত মাই ছিল এই বাড়ির মালিক। বিকেলের দিকে ইবেন মিনির কাছে যায়। মিনির বয়স ছিল প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি। বৃদ্ধ ক্যাবট ও তার দুই ছেলে সিমন ও পিটার এক সময় তার কাছে তাদের যৌন লালসা চরিতার্থ করতে যাতায়াত করত। সেও একই কাজে তার কাছে যায়। তবে সে ফিরে আসল বৃদ্ধ ক্যাবটের ৩য় বিবাহের খবর নিয়ে। ইবেন ক্যাবটের ৬০০ ডলার চুরি করেছিল যেটা সে গোপন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল। এই বিবাহের খবর শুনেই সিমন আর পিটার দুই ভাই বুঝতে পেরেছিল তাদের আশায় গুড়েবালি। তারা হয়তো আর তাদের পিতার সম্পত্তি পাচ্ছে না। পিতার সম্পত্তি পাবার আশা বাদ দিয়ে এ সময় তারা ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে রওয়ানা হতে চাইলো। কিন্তু তাদের কাছে সেখানে যাওয়ার মত কোন অর্থ ছিল না। ইবেন তাদেরকে তখন প্রস্তাব দেয় সে তারা যদি জাহাজে করে সেখানে যেতে চায়, তাহলে তারা যেন পিতার সম্পত্তিতে তাদের সকল ধরনের দাবি ত্যাগ করে। সে তাদের কে জাহাজে যাওয়ার ভাড়া বাবদ ৬০০ ডলার দিবে। যখন তারা দেখল বৃদ্ধ ক্যাবট তার নতুন বউ এবি কে নিয়ে আসছে তারা তরি ঘরি করে ইবেন এর চক্তিপত্রে সই করে ৬০০ ডলার ও তাদের প্রয়োজনিয় জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে গান গাইতে গাইতে বেড়িয়ে যায়। যাওয়ার সময় ক্যাবটের সাথে তাদের দেখা হয়। উভয় পক্ষই বিপক্ষকে অভিশাপ দেয়। প্রথম দেখায়ই এই খামারবাড়িটি এবির ভালো লেগে যায় এবং তার সৎ ছেলে ইবেনেরও প্রেমে পরে যায়। সে বলে এই বাড়িটি তাহলে আমার, এ কথাটা ক্যাবটের কিছুটা গায়ে লাগে। সে তাকে বলে যে না এটা আমাদের বাড়ি। ইবেনও প্রথম দেখাতেই এবির প্রতি আকর্ষন অনুভব করে কিন্তু সে এই আকর্ষনকে মনের সমস্ত শক্তি দিয়ে বাধা দেয়ায় রত থাকে। কারন সে মনে করে সে তার মায়ের বাড়ি রক্ষার্থে লড়ে চলেছে আর এক্ষেত্রে এবি হল তার নতুন এক শত্রু। ২য় অঙ্কঃ এবি জানতে পারে ইবেন তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার জন্যে মিনির কাছে যায়। এতে করে সে তার প্রতি খুব হিংশা অনুভব করে। সে তাকে মিনির কাছে যেতে বাধা দিলে ইবেন তাকে বলে মিনি তার থেকে শত সহস্র গুন ভাল। কারন মিনি তার প্রতি খেয়াল রাখে। আর এবি এসেছে কৌশলে তার মায়ের সম্পত্তি কুক্ষিগত করার জন্যে। যখন এবি তাকে কোন ভাবেই আকর্ষিত করতে পারে না, তখন ক্যাবট কে সে বলে ইবেন তার চরিত্র নষ্ট করার জন্যে প্রলুব্ধ করার চেষ্ঠা করেছে। প্রথমে ক্যাবট খুব রেগে গেলেও এবিই আবার তাকে শান্ত করে তোলে। এ সময় ক্যাবট তার নিজের একটি ছেলের আশা ব্যাক্ত করে। তখন এবি তাকে কথা দেয় সে তাকে একটি ছেলে সন্তান উপহার দিবে। এটা শুনে ক্যাবটও তাকে কথা দেয় যে সে তাকে তার বাড়ির উত্তরাধিকারী করে দিয়ে যাবে। ২ মাস পরে, কোন এক রাতে ক্যাবট এবির কাছে বর্ণনা করে সে কিভাবে এই বাড়ি ও খামাড় গড়ে তোলে। এক সময় এটা ছিল একটা আগা গোড়া পাথুরে জমি। তারপর সে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এই জমিকে চাষের উপযোগী করেছেন। গড়ে তুলেছেন এই বিশাল খামারবাড়ি। ক্যাবট এক সময় এবিকে বলে কেউই তার আবেগ অনুভূতি ও শ্রমের কোন মূল্য দেয় নি। এর মাঝে এবিও আছে। সে তখন মানসিক শান্তির আশায় গোয়ালের গরু গুলোকে দেখতে যায়। প্রথম পর্বের পর থেকেঃ এই সুযোগে পাশের ঘরে শুয়ে থাকা ইবেনের উপর কামনার আগুনে জ্বলতে থাকা এবি ঝাপিয়ে পড়ে ও চুমু খায়। প্রথমে ইবেন চুমু খেলেও তারপর সে তার মুখ সরিয়ে ফেলে। নিচের যে ঘরে ইবেনের মা মারা যাওয়ার পরে তার লাশ রাখা হয়েছিল সে ঘরে এবি ইবেনকে আসতে বলে। ইবেন তাকে সেখানে যেতে মানা করে কারন সে মনে করে তার মায়ের আত্মা সেখানে আছে। অ্যাবি অনেকটা জোর করেই সেখানে যায়। ইবেনও সেখানে যায়। এবি তাকে আবার জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্ঠা করে। ইবেন তাকে বাধা দেয়। এবি তাকে বলে কেন সে তার মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এবি ভালই বুঝতে পেরেছে তার প্রতি ইবেনের মনে প্রবল আকর্ষন রয়েছে। এ সময় এবি আবার তাকে বলল ঘরে যেন কিছু একটার উপস্থিতি টের পাচ্ছে। সে তাকে বলল তার মা এখানে আছেন। তখন এবি তাকে বলল আমি এখন থেকে তোমার মায়ের অভাব পূরন করব। আবার তোমার প্রেমিকাও থাকব। তখন ইবেন ভাবল সে যদি তার সাথে এই সম্পর্ক চালিয়ে যায় তবে এটা ক্যাবটের প্রতি এক বড় প্রতিশোধ হবে আর তার মা কবরে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। সে তাই তার সাথে মিলিত হয়। ৩য় অঙ্কঃ এক বছর পরে এবি একটি পূত্র সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তান জন্মের দুই সপ্তাহের মাঝেই ক্যাবট তার বাড়িতে একটি নাচের পার্টির আয়োজন করে। সে সবাইকে সেখানে আনন্দ ফুর্তি করতে বলে। এক সময় আনন্দে সে নিযেও অনেক ক্ষন নেচে বেড়ায়। বৃদ্ধ ক্যাবট চোখে কম দেখত। সন্তানের চেহারা দেখে এলাকার মানুষেরা বুঝতে পারে এর বাবা ক্যাবট নন বরং ইবেন। তারা তাকে আকার ইঙ্গিতে এ ব্যাপারে অনেক কিছুই বলে। অনেকে টিটিকারীও করে। কিন্তু এই বুড়ো বয়সে সন্তানের পিতা হওয়ার আনন্দে সে কিছুই খেয়াল করে না। প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ তাকে বলে যে আমি এই ৬৮ বছর বয়সে যেটা পারিনি সেটা তুমি ৭৬ বছর বয়সে করে দেখিয়েছো। ইবেনের ব্যাপারে কথা উঠলে ক্যাবট বলে সে দিন রাত খাটতে পারে। তখন এক প্রতিবেশী বলে হ্যা ঠিকই বলেছো সে রাতেও ভালোই কাজ করতে পারে। তখন ক্যাবট খোলা বাতাস খেতে বাহিরে আসে। এসেই দেখা হয় ইবেনের সাথে। ক্যাবট এর সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হলে সে তাকে বলে সে একশত বছর বয়স পর্যন্ত বাচবে। সে দেখে ছাড়বে কিভাবে তার সন্তানের কাছ থেকে ইবেন সম্পত্তি ছিনিয়ে নেয়। ইবেন তাকে বলে এই সম্পত্তি তার মায়ের। তখন ক্যাবট বলে সে তার স্ত্রী এবি ও তার সন্তানকে এই সম্পত্তির উত্তরাধীকার বানিয়ে যাবে। সে এবিকে কথা দিয়েছে যদি এবি তাকে পুত্র সন্তান উপহার দিতে পারে তবেই সে তাকে উত্তরাধিকারী বানাবে। এবি এসে তাদের দু জনের ঝগড়া থামায়। একথা শুনে ইবেন এর মাথায় নতুন চিন্তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। সে ভাবে যেহেতু বুড়োর সন্তান জন্ম দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই তাই এবি এই সম্পত্তির লোভে সন্তান জন্মদানের জন্যে তাকে ব্যবহার করেছে। ইবেন তখন এবিকে দোষারোপ করে। সে আসলে এই সম্পত্তির লোভেই তার সাথে প্রেমের অভিনয় করে এসেছে। সে এবিকে বলে যে আমি এখন থেকে আর তোমাকে ভালোবাসি না। এবি তাকে বোঝানোর অনেক চেষ্ঠা করে। সে তাকে বলে যে তার ভালোবাসা ফিরে পাবার জন্যে সে সবই করতে পারবে। ইবেন তাকে এই সন্তান জন্মদানের জন্যে দোষারোপ করে। এবি ভাবে যে তার আর ইবেনের ভালোবাসার মাঝে তাহলে বাধা হল এই সন্তান। সে তখন তাকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। ইবেন কে বলে যে সে হত্যা করেছে তাকে। এখন ইবেন তাকে ভালো বাসবে কিনা জানতে চায়। ইবেন ভাবে সে ক্যাবট কে হত্যা করেছে। তাই সে যখন বলে যে তাদের সন্তানকে সে হত্যা করেছে, ইবেন তাকে বলে সে তার শেষ সম্বলটিকেও কেরে নিয়েছে। ইবেনকে এবি বোঝানোর চেষ্ঠা করে শুধুমাত্র তার ভালবাসা পাবার আশাই সে হত্যা করেছে। ইবেন তখন শেরিফকে ডাকতে যায়। এ সময় ক্যাবটের ঘুম ভাংলে এবি তাকে সব বলে দেয়, শুনে মর্মাহত ক্যাবট বলে সে তাহলে আর এই এলাকায় থাকবে না, বরং সে তার লুকানো টাকা নিয়ে তার আপন সন্তানদের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবে। সে এই সময় পুলিশ ডাকার কথা বললে এবি তাকে বলে ইবেন শেরিফ কে ডাকতে গিয়েছে, সে তার জন্যেই অপেক্ষা করছে। ক্যাবট বেরিয়ে যায় ঘর থেকে এবং খামারের সকল হাঁস, মুরগি, গরু, ইত্যাদি যা আছে সবাইকে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। এ সময় ইবেন ঘরে ফিরে আসে আর এবিকে বলে, চল আমরা দুজনে একসাথে পালাই। এবি তাকে বলে, সে পাপ করেছে তাই সে তার শাস্তি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত। সে কোথাও যাবে না। তখন ইবেন তাকে বলে ঠিক আছে যেহেতু আমি তোমাকে খুন করতে বলেছি, সেহেতু আমিও তোমার সাথে সমান দোষী। তোমার যে শাস্তি হবে আমারও তার সমান শাস্তি হওয়াই উচিত। এসময় ক্যাবট ঘরে ঢোকে আর তার ইচ্ছের কথা ইবেনকে জানায়। তারপর যেখান থেকে ইবেন ডলার বের করে পিটার আর সিমনকে দিয়েছিল সেটা খুলে দেখে সেখানে কোন ডলার নাই। ইবেন তাকে বলে কি ঘটেছিল। তখনই শেরিফ আসে এবিকে গ্রেফতারের জন্যে। ইবেন তাকে বলে এই খুন আমি নিজে তাকে দিয়ে করিয়েছি। সুতরাং আমিও সমান দোষী আমাকেও তার সাথে নিয়ে চলুন। ক্যাবটের তখন মাথায় হাত। সে তখন বলে যাই তাহলে গরু ছাগল গুলোকে বন থেকে খুজে নিয়ে আসি। বের হবার সময় শেরিফের চোখ চকচক করে ওঠে।