You are on page 1of 7

COX’S BAZAR INTERNATIONAL UNIVERSITY

১.বাংলা নববর্ষ, ২.অল্পপ্রাণ, মহাপ্রাণ,ঘোষ, অঘোষ ধবনির পরিচয়,


৩.বাংলায় যতি চিহ্নের পরিচয়
COURSE NAME: BENGALI LANGUAGE &
LITERATURE. COURSE CODE: LAW 1104

Submitted to - Ms. Pareal Sarika madam

Submitted By: Sayeed Hossain Chowdhury


Id: 200130200566, Batch: 13th, Department of Law
1|Page

০১। বাংলা নববর্ষঃ

নববর্ষ পৃথিবীর প্রায় সকল জাতিসত্ত্বার ঐতিহ্যের একটি অনিবার্য অংশ। বাঙালির ঐতিহ্যকে যে সকল উৎসব-
অনুষ্ঠান ধারণ করে আছে সেগুলির মধ্যে অন্যতম বাংলা নববর্ষ অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ।সপ্
ু রাচীনকাল থেকে
বাঙালিরা বৈশাখ মাসের প্রথম দিনটিকে নববর্ষ হিসেবে পালন করে আসছে। নববর্ষ বাঙালির সহস্র বছরের ইতিহাস,
ঐতিহ্য, রীতি-নীতি, প্রথা, আচার অনুষ্ঠান ও সংস্কৃ তির ধারক ও বাহক। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্ববৃহৎ
সার্বজনীন উৎসব।বাঙালিরা এদিনেপুরনো বছরের ব্যর্থতা, নৈরাশ্য, ক্লেদ-গ্লানি ভু লে গিয়ে নতু ন বছরকে মহানন্দে
বরণ করে নেয়, সমৃদ্ধি ও সুখময় জীবন প্রাপ্তির

বেশিরভাগ ইতিহাসবিদের মতে, মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন বা বঙ্গাব্দের প্রবর্ত ক। সিংহাসনে
আরোহনের উনিশ বছরে পদার্পণ করে তিনি মূলত খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে বাংলা সন প্রবর্ত নের তাগিদ অনুভব
করেন। সম্রাটের আদেশ অনুযায়ী তাঁর আমির ফতেউল্লাহ সিরাজী সৌরসন এবং হিজরী সনের সাথে মিল রেখে
বাংলা সনের প্রচলন করেন। সেই সাথে তিনি নক্ষত্রের নামের সাথে মিলিয়ে বাংলা বারো মাসের নামকরণও করেন।
সেক্ষেত্রে বৈশাখ নামটি এসেছে ‘বিশাখা’ নামক নক্ষত্রের সাথে সাদৃশ্য রেখে। ইংরেজি ১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দ এবং হিজরী
৯৬৩ থেকে বাংলা সন চালু হয়।আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তবে সেসময়ে
এটি ছিল প্রধানত খাজনা আদায়ের উৎসব।তাই বাংলা নববর্ষের ধারণা বহু প্রাচীনহলেও ১৯৬৭ সালের আগে
নববর্ষ উদযাপনের রীতি তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শাসনামলে সর্বপ্রথম
পহেলা বৈশাখে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে আইয়ুবের শাসনকালে নববর্ষ পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা
জারি করলে ১৯৬৪ সালে বাঙালির তীব্র আন্দোলনের মুখে নববর্ষের এ দিনে পুনরায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
সর্বোপরি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাংস্কৃ তিক নিপীড়ন ও শোষণের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সাল থেকে রমনার বটমূলে
ছায়ানট আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসবের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ জাতীয় উৎসবের দিনে রূপ নেয়।

রাজধানীতে নববর্ষ উদযাপনঃ নববর্ষের উৎসবের সাথে যদিও আবহমান গ্রাম-বাংলার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, তবে
বর্ত মানে গ্রামের গন্ডি পেরিয়ে বর্ষবরণ উৎসবের আবেদন শহরগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে।প্রতিবছর“এসো হে
বৈশাখ, এসো, এসো”গানের মাধ্যমে রাজধানীর বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়। উৎসবের মূল আয়োজক ছায়ানট
পহেলা বৈশাখ ভোরে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।রাজধানীর বর্ষবরণ উৎসবের অন্যতম অনিবার্য অংশ
‘মঙ্গলশোভাযাত্রা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ সকালে এ
শোভাযাত্রাটি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা
2|Page

ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এ শোভাযাত্রায় চারুকলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন
শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম চারুকলা ইনস্টিটিউট আয়োজিত আনন্দ শোভযাত্রাই
পরবর্তীতে ১৯৯৫ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে। মঙ্গল শোভাযাত্রায়
আবহমান বাংলার ঐতিহ্যগুলোকে ফু টিয়ে তোলা হয় বাঙালি সংস্কৃ তির পরিচয়বাহী নানা প্রতীকী শিল্পকর্ম, রঙ-
বেরঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি বহনের মধ্য দিয়ে।

রাজধানীর বাইরে নববর্ষ উদযাপনঃ গ্রামীণজীবন ও নববর্ষ পরস্পর সম্পর্কি ত। নববর্ষে গ্রামীণ জনপদ ও গ্রামের
লোকজনের মধ্যে নতু ন খাবার ও পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। সাধ্যমতো নতু ন জামা-কাপড় পরে বন্ধু -বান্ধব,
আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই একে অপরের সাথে মিলিত হয় অনাবিল আনন্দে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও
নতু ন গতি যুক্ত হয়। ঢাকার বাইরের অন্যান্য শহরগুলোতে মহাধুমধামে স্থানীয় লোকজন নববর্ষ পালন করে থাকে। এতে
বিভিন্ন ধরণের মেলা ও সাংস্কৃ তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বাঙালিদের পাশাপাশি ক্ষু দ্র নৃ-গোষ্ঠীরাও বিপুল
উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে বাংলা নববর্ষ পালন করে থাকে।তিন পার্বত্যজেলায় (বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি) অঞ্চলের
নববর্ষ উদযাপন অনেকটা বৈসাবী কেন্দ্রিক। চাকমারা নববর্ষ উৎসবকে‘বিজু’, মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং ত্রিপুরারা বৈসুক বলে
থাকে। এই তিনটি উৎসবের সম্মিলিত নামই বৈসাবী।ক্ষু দ্র-নৃগোষ্ঠীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী এইধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব
সকলে মিলে আনন্দঘন পরিবেশে পালন করে থাকে। নববর্ষ উদযাপনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে
অংশগ্রহণ করে। এদিন বাঙালি মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়ী এবং পুরুষেরা পাজামা-পাঞ্জাবি পরিধান করে। প্রত্যেক
ঘরে ঘরে থাকে বিশেষ খাবার বিশেষত পান্তা-ইলিশ, নানা রকম পিঠাপুলির ব্যবস্থা। সর্বোপরি সকল স্তরের বাঙালি নিজ নিজ
সামর্থ্য অনুযায়ী নতু ন বছরের প্রথম দিনটিকে উদযাপন করে। ‘’ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে বাধাবন্ধহারা
গ্রামান্তরে বেণুকু ঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া হানি দীর্ঘধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান… গাহিতে
চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।‘’-রবীন্দ্রনাথ ঠাকু র।

বাংলা নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ বৈশাখী মেলা। শহরের তু লনায় গ্রামে এ মেলা অধিকতর জাকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে। এ
মেলার সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি কোনো ধর্মীয় ঐতিহ্য নির্ভ র নয় বরং এটি বাঙালির সর্ববৃহৎ সার্বজনীনউৎসব।
প্রাচীন বাংলার নানা সংস্কৃ তি যেমন- যাত্রা, পুতু ল নাচ, সার্কাস, বায়োস্কোপ, নাগরদোলা ইত্যাদি মেলার প্রধান আকর্ষণ।
বৈশাখী মেলাতে নানা রকম কু টির শিল্পজাত সামগ্রী, মাটির হাঁড়ি, বাসন-কোসন, পুতু ল, বেত ও বাঁশের তৈরি তৈজসপত্র,
খেলনা, তালপাখা প্রভৃ তি পাওয়া যায়। এটি মূলত গ্রামীণ জীবনের অনন্য প্রতিফলন। হালখাতা মূলত ব্যবসায়ীদের পুরনো
বছরের হিসাব বন্ধ করে নতু ন হিসাব খোলার উৎসব।আকবরের সময় থেকেই এটি প্রচলিত হয়ে আসছে।তৎকালীন সময়ে
চৈত্র মাসের শেষদিনের মধ্যে খাজনা পরিশোধ করতে হত এবং পহেলা বৈশাখে ভূ মি মালিকেরা নিজ নিজ অঞ্চলের প্রজাদের
মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করত। এটিকেই হালখাতা বলা হয়। বর্ত মানে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের দিনে পুরনো হিসাব বই বন্ধ করে নতু ন
হিসাব বই খোলে। পুরান ঢাকায় বেশ জাকজকমপূর্ণভাবে “হালখাতা” উৎসব পালিত হয়। এছাড়াও গ্রামে-গ্রামে বিভিন্ন
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- নৌকাবাইচ, লাঠিখেলা, কু স্তি,গম্ভীরা, লোকগীতি ও
লোকনৃত্যের আঞ্চলিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশে কু স্তি বা বলিখেলার সবচেয়ে বড় আয়োজনটি হয় মূলত চট্টগ্রামে। বাঙালির
চিরায়ত ঐতিহ্যের ভিত মজবুত করতে প্রতিবছরই ফিরে আসে পহেলা বৈশাখ। সারা বছরের ক্লেষ-গ্লানি, হতাশা ভু লে এ দিন
3|Page

মানুষ উৎসবেমেতেওঠে।বিশেষত, নগরজীবনে এর প্রভাব অনেক বেশি । কেননা, নাগরিক জীবনের চাপে নগরবাসী মানুষ
সারাবছর বাঙালি ভাবধারা বলতে গেলে প্রায় ভু লেই থাকে। বাংলা নববর্ষে এসে নগরবাসীর মনে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া দিয়ে
যায়। নববর্ষের প্রেরণায় বাঙালি নতু ন করে উজ্জ্বীবিত হয়ে ওঠে। নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃ তি, প্রথা, আচার-অনুষ্ঠান
সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে।

নববর্ষ আমাদের জাতীয় উৎসব। আমাদের জাতীয় চেতনা তথা একান্ত বাঙালি সত্ত্বার সঙ্গে পহেলা বৈশাখ অসাম্প্রদায়িকতার
শিক্ষা দেয়। এদিন আমরা কোনো বিশেষ ধর্ম-বর্ণ নয় বরং একটিমাত্র অখন্ড বাঙালি সত্তা এই বোধে উত্তীর্ণ হতে পারি। এ
দিনটিকে সামনে রেখে শিশুরা জানতে পারে বাঙালির ইতিহাস। নববর্ষ আমাদের মধ্যে নতু ন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। সর্বোপরি
নববর্ষের প্রেরণায় আমাদের মধ্যকার সুপ্ত মানবিক মূল্যবোধ নতু নভাবে জাগ্রত হয়, মানুষে মানুষে গড়ে ওঠে সম্প্রীতি।

০২। অল্পপ্রাণ, মহাপ্রাণ,ঘোষ, অঘোষ ধবনির পরিচয় :

অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় বা ফু সফু স থেকে বের হওয়া
বাতাসের জোর বেশি থাকে, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। আর যে ধ্বনিগুলোতে বাতাসের জোর কম থাকে, নিঃশ্বাস
জোরে সংযোজিত হয় না, তাদেরকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। ক, গ, চ, জ- এগুলো অল্পপ্রাণ ধ্বনি। আর খ, ঘ, ছ, ঝ-
এগুলো মহাপ্রাণ ধ্বনি।

ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি : যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, অর্থাৎ গলার মাঝখানের উঁচু
অংশে হাত দিলে কম্পন অনুভূ ত হয়, তাদেরকে ঘোষ ধ্বনি বলে। আর যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী
অনুরণিত হয় না, তাদেরকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন, ক, খ, চ, ছ- এগুলো অঘোষ ধ্বনি। আর গ, ঘ, জ, ঝ-
এগুলো ঘোষ ধ্বনি।

০৩। বাংলায় যতি চিহ্নের পরিচয় :

 কমা বা পাদচ্ছেদ (,)

 বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টতা বা অর্থ-বিভাগ দেখানোর জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন, সেখানে কমা
ব্যবহৃত হয়।যেমন— সুখ চাও,সুখ পাবে পরিশ্রমে।
 পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত একাধিক বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ একসঙ্গে বসলে শেষ পদটি ছাড়া সবগুলোর পরই
কমা বসবে।যেমন— সুখ,দুঃখ,আশা,নৈরাশ্য একই মালিকার পুষ্প।
4|Page

 সম্বোধনের পর কমা বসবে।যেমন— রশিদ,এদিকে এসো।


 জটিল বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেক খন্ডবাক্যের পর কমা বসে।যেমন— কাল যে লোকটি এসেছিল,সে
আমার পূর্বপরিচিত।
 উদ্ধরণ চিহ্নের পূর্বে কমা বসবে।যেমন— সাহেব বললেন,"ছুটি পাবেন না।"
 মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর কমা বসবে।যেমন— ১৬ই পৌষ,বুধবার, ১৩৯৯ সন।
 বাড়ি বা রাস্তার নম্বরের পর কমা বসে।যেমন— ৬৮,নবাবপুর রোড,ঢাকা-১০০০।
 নামের পরে ডিগ্রিসূচক পরিচয় সংযোজিত হলে সেগুলোর প্রত্যেকটির পরে কমা বসে।যেমন— ডক্টর
মুহাম্মদ এনামুল হক,এম.এ. পি.-এইচ.ডি।

 সেমিকোলন বা অর্ধচ্ছেদ (;)

কমা অপেক্ষা বেশি বিরতির প্রয়োজন হলে, সেমিকোলন বসে। যেমন-আরাফি এসেছিল;কিন্তু খাবার খাইনি।

 দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ (।)

বাক্যের পরিসমাপ্তি বোঝাতে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহার করতে হয়।

 প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?)

বাক্যে কোনোকিছু জিজ্ঞাসা করা হলে বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে।

 বিস্ময় ও সম্বোধন চিহ্ন (!)

 হৃদয়াবেগ প্রকাশ করতে এ চিহ্নটি বসে।


 সম্বোধন পদের পর বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহৃত হতো; কিন্তু আধুনিক নিয়মে সম্বোধন স্থলে কমা বসে।

 কোলন (:)

একটি অপূর্ণ বাক্যের পর অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে কোলন ব্যবহৃত হয়। বর্ত মানে উদাহারণ
বোঝাতেও কোলন বহুল ব্যবহৃত।
5|Page

 ড্যাস (—)

যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে পৃথক ভাবাপন্ন দুই বা তার বেশি বাক্যের সমন্বয় বা সংযোগ বোঝাতে ড্যাস বসে।

 কোলন ড্যাস (:-)

উদাহারণ বোঝাতে আগে কোলন ড্যাস ব্যবহৃত হত। বর্ত মানে উদাহারণ বোঝাতে শুধু কোলন বহুল ব্যবহৃত।

 হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-)

সমাসবদ্ধ পদগুলোকে আলাদা

কোনো বিলুপ্ত বর্ণের পরিবর্তে লোপ চিহ্ন বসে।

 একক উদ্ধরণ বা উদ্ধৃ তি চিহ্ন (' ')

বক্তার প্রত্যক্ষ উক্তিকে এই চিহ্নের অর্ন্তভু ক্ত করতে হয়।

 যুগল উদ্ধরণ বা উদ্ধৃ তি চিহ্ন (" ")

যদি উদ্ধৃ তির ভেতরে আরেকটি উদ্ধৃ তি থাকে তখন প্রথমটির ক্ষেত্রে দুই উদ্ধৃ তি চিহ্ন এবং ভেতরের উদ্ধৃ তির
জন্য এক উদ্ধৃ তি চিহ্ন হবে।এছাডা় ও প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতার নামের ক্ষেত্রেও যুগল উদ্ধৃ তি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

 বন্ধনী চিহ্ন [ ]

বন্ধনি চিহ্ন তিন প্রকার। যেমন:

 প্রথম বা বক্র বন্ধনী ( )


 দ্বিতীয় বা গুম্ফ বন্ধনী { }
 তৃ তীয় বা সরল বন্ধনী [ ]

মূলত গণিত শাস্ত্রে এগুলো ব্যবহৃত হলেও বিশেষ ব্যাখ্যামূলক অর্থে সাহিত্যে প্রথম বন্ধনী ব্যবহৃত হয়।
6|Page

You might also like