Professional Documents
Culture Documents
Image To Text
Image To Text
১৮৬৯ সালে সুইস চিকিৎসক ও রসায়নবিদ Friedrich Miescher (মিশার) ক্ষতস্থানের পূঁজের শ্বেতরক্ত কণিকার
নিউক্লিয়াস থেকে একটি নতু ন রাসায়নিক পদার্থ পৃথক করেন এবং নামকরণ করেন নিউক্লিন (Nuclein)। নিউক্লিন
শর্ক রা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় পদার্থ থেকে ভিন্নধর্মী । ১৮৮৯ সালে অল্টম্যান (Altman) নিউক্লিনে আ্যাসিডের ধর্ম
দেখতে পান এবং তিনি এর নামকরণ করেন নিউক্লিক আ্যাসিড। ১৮৯৪ সালে বিজ্ঞানী Albrecht Kossel
নিউক্লিক অ্যাসিডের দু'ধরনের নাইট্রোজেন বেস-পিউরিন ও পাইরিমিডিন এবং শ্যুগার ও ফসফোরিক অ্যাসিড
শনাক্ত করেন। এজন্য তাকে ১৯১০ সালে রসায়নে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়। বিজ্ঞানী Lavine ১৯২১ সালে
DNA ও RNA নামে দু'ধরনের নিউক্লিক আ্যাসিড আবিষ্কার করেন। নিউক্লিক অ্যাসিড কার্বন হাইড্রোজেন,
অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও ফসফরাস মৌল নিয়ে গঠিত। নিউক্লিক অ্যাসিডে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ১৫% এবং
ফসফরাসের পরিমাণ ১০%।
DNA
DNA হলো ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক আ্যাসিড এর অ্যাক্রোনিম বা সংক্ষিপ্ত রূপ। DNA হলো জীবের বংশগত
বৈশিষ্টের ধারক ও বাহক। DNA এর গঠন একক হলো নিউক্লিয়োটাইড এবং লক্ষ লক্ষ নিউক্লিয়োটাইড এর দীর্ঘ
পলিমার হলো একটি DNA অণু। DNA হলো একটি বৃহদাণুর জৈব অ্যাসিড যা জীবনের আনবিক ভিত্তি
(Molecular Core of Life) হিসাবে পরিচিত। DNA এর গঠন উপাদান হলো ৫ কার্বন বিশিষ্ট ডিঅক্সিরাইবোজ
শ্যুগার (S), অ্যাডিনিন (A), গুয়ানিন(G), সাইটোসিন (C) ও থাইমিন (T) নামক চার ধরনের নাইট্রোজেনাস
ক্ষারক এবং ফসফোরিক অ্যাসিড। কোনো নির্দি ষ্ট জীবের প্রতিটি কোষেই সমপরিমাণ DNA থাকে। প্রকৃ ত কোষের
ক্রোমোসোম এর মূল উপাদান হলো DNA। অনেক ভাইরাসে DNA থাকে। DNA সূত্রাকার কিন্তু আদিকোষ
মাইট্রোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টে বৃত্তাকার DNA থাকে। কোষে DNA এর পরিমাণ পিকোগ্রাম (১ পিকোগ্রাম = ১০^-
12 গ্রাম) এককে প্রকাশ করা হয়।
Figure: DNA
Watson ও Crick প্রদত্ত ডাবল হেলিক্স মডেল অনুযায়ী DNA অণুর ভৌত গঠন নিম্নরূপঃ
১. DNA অণু দ্বিসূচক, বিন্যাস ডান থেকে বাম দিকে ঘুরানো (প্যাঁচানো) সিঁড়ির মতো, যাকে বলা হয় ডাবল
হেলিক্স।
২. সুত্র দুটি সমদূরতে পরস্পর বিপরীত মুখী (১ টি ৫’-৩’ কার্বনমুখী এবং অপরটি ৩’-৫’ কার্বন মুখী) হয়ে অবস্থান
করে।
৩. সুত্র দুটি তৈরি হয় ডিঅক্সিরাইবোজ শ্যুগার ও ফসফেটর পর্যায়ক্রমিক সংযুক্তির মাধ্যমে।
৪. সুত্র দুটির মাঝখানের প্রতিটি ধাপে তৈরি হয় একজোড়া নাইট্রোজেন বেস।
৫. ফসফেট যুক্ত থাকে ডিঅক্সিরাইবোজ শ্যুগারের ৩’-৫’ কার্বনের সাথে এবং ক্ষারকগুলো যুক্ত থাকে
ডিঅক্সিরাইবোজ শ্যুগারের ১’ কার্বনের সাথে।কাজই সুত্রকের বাইরের দিকে ফসফেট ও ভিতরের দিকে নাইট্রোজেন
ক্ষারক থাকে।
৬. DNA অণুতে চার ধরনের নাইট্রোজেন ক্ষারক (অ্যাডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন, থাইমিন) থাকে। অ্যাডিনিন
এর সম্পূরক ক্ষারক থাইমিন ও গুয়ানিন এর সম্পূরক ক্ষারক সাইটোসিন।
৭. একটি সুত্রের অ্যাডিনিন অপর সুত্রের থাইমিনের সাথে দুইটি Hydrogen বন্ধনী দিয়ে (A=T/T=A) এবং একটি
সুত্রের গুয়ানিন অপর সুত্রের সাইটোসিনের সাথে তিনটি Hydrogen বন্ধনী (G=C/C=G) দিয়ে যুক্ত হয়। কাজেই
সিঁড়ির ধাপ হবে (A=T অথবা G=C। বন্ড তৈরি হয় পাশাপাশি অবস্থিত দুইটি ক্ষারের O-HN, NH-N, NH-O এর
মধ্যে। C ও G এর মধ্যে এই তিনটি অপশন ই বিদ্যমান। A ও T এর মধ্যে দুইটি অপশন বিদ্যমান। T তে O
থাকলে ও পাশে A তে HN নেই।
৮. DNa অনুর সূত্র দুটির প্যাঁচের দূরত্ব ৩.৪ nm. প্রতিটি প্যাঁচে নাইট্রোজিনাস বেস জোড়ের ১০ টি ধাপ সমদূরত্বে
অবস্থান করে। ফলে সিঁড়ির এক ধাপ থেকে অপর ধাপের দূরত্ব হয় ০.৩৪ nm।
৯.প্রতিটি প্যাঁচে হেলিক্স দুটির ব্যাস ২ nm. তবে অণুর দৈর্ঘ্য প্রজাতি হিসেবে ভিন্ন।
১০. হেলিক্সের প্রতিটি সম্পূর্ণ প্যাঁচ শৃঙ্খলের বাইরের দিকে একটি গভীর খাঁজ ও একটি অগভীর খাঁজের সৃষ্টি হয়।
১১. Dna এর আনবিক ওজন ১০'৬- ১০'৯. এর মধ্যে। মোট কথা দুটি ডিঅক্সিরাইবো পলিনিউক্লিয়োটাইডের সূএ
বিপরীতমুখীভাবে পরস্পর সংযুক্ত হয়ে একটি দ্বিসূচক DNA অণু গঠন করে।অণুটি প্যাঁচানো সিঁড়ির মতো বিন্যস্ত
থাকে।
DNA বংশগতি বিষয়ক বৈশিষ্ট্যাবলির ধারক ও বাহক।অধিকাংশ জীবের বংশগতির একক অর্থাৎ জিন DNA
ছাড়া অন্য কিছুই৷ নয়।নিচে কারণ বর্ণনা করা হলোঃ
৪. DNA এর গঠন অত্যন্ত স্থায়ী এবং মিউটেশন ছাড়া কোনো পরিবর্ত ন হয় না।
৬. কোন কারনে DNA অণুর গঠনে কোনো পরিবর্ত ন হলে পরিবৃত্তির উদ্ভব হয়। আর পরিবৃত্ত হলো বিবর্ত নের মূল
উপাদান।
RNA
Figure: RNA
রাসায়নিক গঠনঃ
RNA এর শ্রেণিবিভাগঃ
১. ট্রান্সফার RNA. বা tRNA: যে সব RNA জেনেটিক কোড অনুযায়ী একেকটি অ্যামিনো অ্যাসিডকে
mRNA অণুতে স্থানান্তর করে প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে সেগুলোকে ট্রান্সফার rna বলে। প্রতিটি কোষে প্রায় ৩১-
৪২ ধরনের tRNA থাকে। নিউক্লিয়াসের ভেতরে tRNA সৃষ্টি হয়। প্রতিটি tRNA তে মোটামুটি ৯০ টি
নিউক্লিয়োটাইড থাকে। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি tRNA তে মোটামুটি ৯০ টি নিউক্লিওটাইড থাকে। প্রাথমিকভাবে
প্রতিটি tRNA এক সূএক এবং লম্বা চেইনের মতো থাকে কিন্তু পরবর্তীতে এটি ভাঁজ হয়ে যায় এবং বিভিন্ন বেস এর
মধ্যে জোড়ার সৃষ্টি হয়ে প্রতিটি tRNA. তে একাধিক loop সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ loop হলো অ্যান্টিকোডন
loop যা mRNA এর কোডন এর সাথে মুখেমুখে বসে যেতে পারে। tRNA ৩' প্রান্ত এক সূএক এবং সব সময়ই
CCA ধারায় বেস সজ্জিত থাকে। এখানে অ্যামিনো অ্যাসিড সংযুক্ত হয়। একে বলা হয় অ্যামিনো অ্যাসিড সাইট।
লুপ অবস্থায় সব সময়ই অ্যান্টিকোডন লুপ ও অ্যামিনো অ্যাসিড সাইট বিপরীত অবস্থানে থাকে।তিনটি বেস নিয়ে
অ্যান্টিকোডন সৃষ্টি হয়।
কাজঃ প্রোটিন সংশ্লেষণের সময় জেনেটিক কোড অনুযায়ী অ্যামিনো অ্যাসিডকে mRNA অণুতে স্থানান্তর করা।
কাজঃ রাইবোসোম নামক কোষ অঙ্গাণু সৃষ্টিতে অবদান রাখে যার মাধ্যমে কোষে প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়।
3. বার্তাবহ RNA (Messenger RNA): যে সব rna জিনের সংকেত অনুযায়ী প্রোটিন সংশ্লেষণের ছাঁচ
হিসেবে কার্যকর হয়ে নির্দি ষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড অনুক্রম বাছাই করে, সেগুলোকে মেসেঞ্জার RNA বলে। DNA
থেকে Transcription এর মাধ্যমে mRNA সৃষ্টি হয়। mRna লম্বা চেইনের মতো। mRNA এর ৫' প্রান্তের কয়েকটি
বেস কোডনবিহীন এ প্রান্তকে ৫' লিডার বলে। আবার ৩' প্রান্তের কয়েকটি বেস কোডনবিহীন, এ প্রান্তকে ৩' ট্রেইলার
বলে। মাঝখানের অংশকে কোডিং অংশ বলে। পরপর তিনটি বেস মিলে একটি কোডন হয়। mRNA নির্দি ষ্ট
প্রোটিন সংশ্লেষণের বার্তা বহন করে।
কাজঃ নির্দি ষ্ট প্রোটিন সংশ্লষনের বার্তা নিউক্লিয়াস থেকে সাইটোপ্লাজমে বহন করে এবং রাইবোজোম ও tRNA র
সাহায্যে নির্দি ষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড অনুক্রমের শৃঙ্খল তৈরি করে।
৪. বংশগতীয় RNA: যে সব RNA কিছু Virus দেহে বংশগতির বস্তু হিসেবে কাজ করে তাকে বংশগতীয়
RNA বলে।এসব ক্ষেত্রে জীবদেহে DNA অনুপস্থিত থাকে।
কাজঃ প্রধান কাজ প্রোটিন তৈরি করা। কোন কোন ক্ষেত্রে বংশগতির বস্তু হিসেবে ও কাজ করে।
৫. মাইনর RNA: সাইট্রোপ্লাজমীয় RNA ও নিউক্লিয় RNA নামে কিছু ক্ষু দ্র RNA রয়েছে যারা কোষে
বিভিন্ন প্রোটিনের সাথে মিশে এনজাইমের কাঠামো দান করে।এরা মাইনর RNA নামে পরিচিত।
কাজঃ বিভিন্ন ধরনের এনজাইমের কাঠামো দান করা এবং এনজাইম হিসেবে কাজ করে।
Central Dogma
রেপ্লিকেশন,ট্রান্সক্রিপশন ও ট্রান্সলেশন এর মাধ্যমে DNA ও RNA এবং প্রোটিনের মধ্যে একটি সম্পর্ক বিদ্যমান।
এ সম্পর্ক হচ্ছে এদের একটির থেকে অন্যটির উৎপাদন। DNA থেকে তৈরি হয় RNA, RNA থেকে তৈরি হয়
protein এবং Protein ( এনজাইম) দ্বারা DNA ও RNA উভয়ের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ এই হচ্ছে এ সম্পর্কে র মূল
কথা।এ ধারণা বা প্রত্যয়টি জীববিজ্ঞানের একটি মৌল প্রত্যয়। এ কারণে এ প্রত্যয়কে বলে জীববিজ্ঞানের কেন্দ্রীয়
প্রত্যয়। ওয়াটসন কর্তৃ ক ১৯৫৮ সালে প্রস্তাবিত এ কেন্দ্রীয় প্রত্যয়টিকে ১৯৬৮ সালে Barry Commoner চাক্রিক
Cyclic রূপ প্রদান করেন। ১৯৭০ এর দশকে জানা যায় যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে RNA থেকে DNA তৈরি হতে
পারে। এর নাম Reverse Transcription।
Definition of Gene:
* জিন হল জেনেটিক তথ্যের একক যা একটি পলিপেপটাইডের সংশ্লেষণকে নির্দি ষ্ট করে।
* জিন হল জেনেটিক তথ্যের একক যা ফেনোটাইপের একটি নির্দি ষ্ট দিক নিয়ন্ত্রণ করে।
* জিন হল DNA অণুর ভগ্নাংশ বা অংশ যা জেনেটিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।
i) জিনগুলি ক্রোমোজোমের উপর রৈখিক ক্রমে এবং বিশেষ অঞ্চল বা অবস্থানে সাজানো থাকে।
ii) ক্রোমোজোম বংশগত এককের বাহক এবং প্রতিটি ক্রোমোজোম শত শত বা হাজার হাজার জিন বহন করে।
Terms related to Gene:
* COMPLON - এটি পরিপূরকের একক।
* CISTRON - এটি ফাংশনের একক। এটি প্রকৃ ত অর্থে একটি এনজাইমের একটি পলিপেপটাইড চেইন সংশ্লেষণ করতে
সক্ষম জিন।
* MUTON - এটি DNA এর ক্ষু দ্রতম একক যা মিউটেশনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে।
* RECON - এটি ডিএনএর ক্ষু দ্রতম একক যা ক্রসিং ওভার এবং রিকম্বিনেশনের মধ্য দিয়ে যেতে সক্ষম।
Sutton (1902) দ্বারা প্রবর্তি ত এবং Morgan (1913) দ্বারা বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছিল। বিজ (1923),
জিন হল মেন্ডেলিয়ান ফ্যাশনে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বিচ্ছিন্ন কণা যা ক্রোমোজোমে একটি নির্দি ষ্ট অবস্থান দখল
জিনগুলো একক রৈখিক ক্রমে সাজানো থাকে যেমন একটি স্ট্রিংয়ের উপর পুঁতি।
প্রতিটি জীবের জিনের সংখ্যা ক্রোমোজোমের সংখ্যার চেয়ে বেশি; তাই প্রতিটি ক্রোমোজোমে বেশ কয়েকটি
জিন অবস্থিত।
জিন তাদের নিজস্ব সঠিক কপি তৈরি করতে স্ব-প্রতিলিপি করতে সক্ষম।
জিনের অবস্থান এবং গঠনের আকস্মিক পরিবর্ত নের জন্য কম হতে পারে যাকে মিউটেশন বলে।
জিন একত্রে মিলিত হতে সক্ষম বা কোষ বিভাজনের সময় প্রতিলিপি করা যায়।
জিন থাকতে পারে বিভিন্ন বিকল্পে গঠিত যাকে বলা হয় অ্যালিল।
জিন হল জেনেটিক তথ্যের একক, অর্থাৎ, ডিএনএর ক্রম যা একটি পলিপেপটাইড নির্দি ষ্ট করে।
Mordern definition of Gene:
S. Benzer (1957) জিন এবং জেনেটিক উপাদানের ভিন্ন প্রকৃ তির জন্য ক্রোমোজোমের সাথে সম্পর্কি ত জিনগত
DNA -এর যে অংশটি একটি একক পলিপেপটাইড চেইন নির্দি ষ্ট করে তাকে সিস্ট্রন বলা হয়।
এটি ট্রান্সমিশনের একক হিসাবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে অক্ষর প্রেরণ করে।
একটি সিস্ট্রনের দৈর্ঘ্যে 100 টি নিউক্লিওটাইড জোড়া থেকে 30,000 নিউক্লিওটাইড জোড়া থাকতে
পারে।
DNA-এর ক্ষু দ্রতম অংশটি আলাদা হতে এবং অন্য ক্রোমোজোমের সাথে বিনিময় করতে সক্ষম তাকে রিকন
বলে।
মিউটন হল জেনেটিক উপাদানের ক্ষু দ্রতম একক যা পরিবর্তি ত বা পরিবর্তি ত হলে একটি ফিনোটাইপিক
Gene Types:
আচরণের ভিত্তিতে জিনগুলিকে নিম্নলিখিত ধরণের মধ্যে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে:
i) Basic Gene (মৌলিক জিন): এগুলি মৌলিক জিন যা নির্দি ষ্ট চরিত্রের প্রকাশ ঘটায়।
ii) Lethal Gene (প্রাণঘাতী জিন): এগুলি তাদের অধিকারীর মৃত্যু ঘটায়।
iii) Multiple Gene (একাধিক জিন): যখন দুই বা ততোধিক জোড়া স্বাধীন জিন একসঙ্গে কাজ করে একটি
iv) Cumulative Gene (ক্রমবর্ধমান জিন): কিছু জিনের অন্যান্য জিনের ক্রিয়াতে সংযোজন প্রভাব রয়েছে।
v) Pleiotropic Gene (প্লিওট্রপিক জিন): যেসব জিন একাধিক চরিত্রে পরিবর্ত ন ঘটায় তাকে প্লিওট্রপিক
জিন বলে।
vi) Modifying Gene (পরিবর্ত নকারী জিন): যে জিনটি নিজে থেকে একটি চরিত্র তৈরি করতে পারে না কিন্তু
একটি পরিবর্তি ত প্রভাব তৈরি করতে অন্যের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে তাকে মডিফায়ার জিন বলে।
vii) Inhabitory Gene (ইনহিবিটরি জিন): যে জিন অন্য জিনের প্রকাশকে দমন করে বা বাধা দেয় তাকে
জিনগুলি সাধারণত এনজাইমগুলির উত্পাদনের সাথে যুক্ত থাকে, যা তারা অটোক্যাটালাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের
কোষে উপলব্ধ রাসায়নিক পদার্থ থেকে সংশ্লেষিত করে। জিনের প্রভাবের ফলে একটি জেনেটিক চরিত্রের প্রকাশ ঘটে, তাকে
Genome (জিনোম)
একটি জিনোম হল একটি জীবের জেনেটিক তথ্যের সম্পূর্ণ সেট। এটি জীবের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য
সরবরাহ করে। জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে, জিনোমটি ক্রোমোজোম নামক ডিএনএর দীর্ঘ অণুতে সঞ্চিত থাকে। ডিএনএর ছোট
অংশ, যাকে জিন বলা হয়, আরএনএর জন্য কোড এবং জীবের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন অণু। ইউক্যারিওটে, প্রতিটি
কোষের জিনোম নিউক্লিয়াস নামক একটি ঝিল্লি-আবদ্ধ কাঠামোর মধ্যে থাকে। প্রোক্যারিওটস, যার মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ
ঝিল্লি নেই, তাদের জিনোম সাইটোপ্লাজমের একটি অঞ্চলে সঞ্চয় করে যাকে নিউক্লিয়েড বলা হয়। একটি জিনোম দ্বারা
প্রকাশিত আরএনএ অণুর সম্পূর্ণ পরিসর এর ট্রান্সক্রিপ্টোম নামে পরিচিত, এবং জিনোম দ্বারা উৎপাদিত প্রোটিনের সম্পূর্ণ
মানুষের জিনোমে 23 জোড়া ক্রোমোজোম রয়েছে। 1990 এবং 2003 এর মধ্যে, হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট নামে পরিচিত
একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা উদ্যোগের মাধ্যমে সমস্ত তেইশটি জোড়া সম্পূর্ণরূপে অনুক্রম করা হয়েছিল। জিনোমের অধ্যয়ন
- বাকি 50% এর কাজ কি? 30,000 থেকে 40,000 জিন কোথায় এবং কী কী?
ওপেন রিডিং ফ্রেমের জন্য ডিএনএ অনুসন্ধান করা জিন খুঁজে পাওয়ার সবচেয়ে যৌক্তিক উপায় বলে মনে হয়, কিন্তু একটি
খোলা পড়ার ফ্রেম বিদ্যমান থাকার কারণে এটি প্রতিলিপি করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্টভাবে উত্তর দেয় না।
• একটি জিনোমের সমস্ত জিন এবং তারা যে প্রোটিনগুলি এনকোড করে তার ক্রম জানুন।
• আর শুধু পৃথক জিনের দিকে তাকাবেন না। পুরো জিনোম বা জিনের সিস্টেমগুলি পরীক্ষা করুন।
• জেনেটিক্স: উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফেনোটাইপগুলির অধ্যয়ন! জেনেটিক্সের পুরো বিষয় হল জিনকে ফিনোটাইপের সাথে
সংযুক্ত করা।
• জিনোমিক্স: জিনোম অধ্যয়ন। ফাংশনাল জিনোমিক্স ডিএনএ সিকোয়েন্সের জ্ঞানের সাথে ফাংশন সম্পর্কি ত তথ্যের
সংযুক্তি।
• বায়োকেমিস্ট্রি: জীবন্ত প্রাণী এবং/অথবা কোষের রসায়নের অধ্যয়ন। সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিং দ্বারা পরিবর্ত ন চালু হয়।
অনেক জৈবিক সমস্যার এখন সীমিত (কিন্তু জটিল) সমাধান আছে। নতু ন যুগ এই তিনটি শৃঙ্খলার মধ্যে আরও বেশি
Genome in Prokaryotes:
• বৃত্তাকার ডবল-স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ অণু কিন্তু কিছু প্রধান গ্রুপে একটি রৈখিক অণু হতে পারে প্লাজমিড ক্যাপসিড।