এক নজরে

আরও খবর, পৃঃ ২

 }
} পুজ�োর বরাতের অপেক্ষায় ঢাকি।
বর্ধমান কাট�োয়া কালনা n n

a
} একাধিক দাবিদার, দেহ মর্।গে
 }

মাহাতায় ফুটবল
খেলার মাঠে ক৪
n তরুণীকে লক্ষ্মী সাজিয়ে বসান�ো ১৯ ভাদ্র ১৪২৮ রবিবার ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ BKBE

হল ‘দুয়ারে সরকারে’। কালনার

ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ে ‘লক্ষীর

জেলায় দূষণ অর্থাভাবে মেধা নষ্ট নয়,

ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কিছু ফর্ম পূরণ
করে দেন ওই তরুণী। নিজস্ব চিত্র

ধৃত ২ সশস্ত্র
সর্ষের তেলের দামে
মহিলা
}}
বর্ধমান: আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুই মাপতে বসান�ো হাত পুড়ছে গৃহস্থের পাশে ‘স্কলারশিপ স্যর’ স�ৌমেন দত্ত
মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধৃত র�োশনি মালি ও রাধা মালির
বাড়ি হুগলির ব্যান্ডেলের শিবমন্দির
র�োড এলাকায়। বর্ধমান থানা
সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে
বর্ধমানের তেলিপুকুরে সন্দেহজনক
ভাবে ঘুরতে দেখে টহলদার পুলিশ
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দাঁড়াতে
বলে। তাঁরা পুলিশ দেখে পালান�োর
চেষ্টা করলে তাড়া করে ধরা হয়
বলে দাবি পুলিশের। ধৃতদের কাছে
একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড
গুলি মিলেছে বলে জানায় পুলিশ।
শনিবার আদালত ধৃতদের ১৩ দিন
জেল হেফাজতে পাঠায়।
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
}}
বর্ধমান: ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল
দু’জনের। পুলিশ সূত্রে খবর,
শনিবার সকালে বাবাই ঘরামি
(২৪) নামে মেমারির বিজরা
এলাকার এক যুবকের দেহ
উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। অন্য
ঘটনায়, শুক্রবার রাতে দেবব্রত
বারুই (২২) নামে এক যুবকের
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি
থেকে। তিনি মাধবডিহির আখিলা
এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। দেহ দু’টি
জেলায় কর�োনা
ম�োট আক্রান্ত
৩৯,২৩৬
হচ্ছে ‘মনিটর’
নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান
কলকাতা, হাওড়া বা আসানস�োল
শিল্পাঞ্চলের দূষণ নিয়ে ধারণা রয়েছে
পরিবেশ দফতরের কর্তাদের। কিন্তু
রাজ্যের অন্য জেলা শহর বা ছ�োট
শহরগুলি কতটা দূষিত, তা নিয়ে
ধন্দ রয়েছে। কারণ, জেলাগুলিতে সে
ভাবে দূষণ মাপার পরিকাঠাম�ো ছিল
না। এই পরিস্থিতি পাল্টাতে এ বার
দার্জিলিং থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত দেড়শ�ো
জায়গায় বায়ু ও শব্দ দূষণ মাপার
জন্য ‘ডিজিটাল এয়ার ক�োয়ালিটি
মনিটর’ বসান�ো শুরু হয়েছে। এর
বেশিরভাগই বসছে নানা বিশ্ববিদ্যালয়
ও কলেজ চত্বরে।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের
কর্তাদের দাবি, রাজ্যের দূষণ নিয়ে
বারবার প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশকর্মীরা।
আদালতেও সমাল�োচনার মুখে পড়তে
হয়েছে। পর্ষদের কর্তাদের মতে, দূষণ
কমাতে গেলে আমজনতাকে এই
লড়াইয়ে শামিল করতে হবে। তাই
তাঁদের সচেতন করাও প্রয়�োজন। তা
মাথায় রেখেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়
ও কলেজ চত্বরে ‘ডিজিটাল এয়ার
ক�োয়ালিটি মনিটর’ বসান�ো শুরু
হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় এই যন্ত্রের মাধ্যমে
চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানান,
বর্ধমান, মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া
জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘এয়ার
ক�োয়ালিটি মনিটর’ বসান�ো হয়েছে।
তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ
চত্বরে এই যন্ত্র বসান�োর মূল উদ্দেশ্য,
ছাত্রছাত্রীরা দূষণ সম্পর্কে সম্যক
ধারণা পাবেন। ওই মনিটর থেকে
তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণাও করতে
পারবেন।’’ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের
এক কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে
জায়গা চেয়ে কল্যাণবাবু নিজে ফ�োন
করেছিলেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের
‘গ�োল্ডেন জুবিলি’ ভবনের সামনে
জায়গা দিয়েছি। দু’-তিন দিন আগে
ওই মনিটর বসান�ো হয়েছে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রশাসনিক
ভবনের সামনের রাস্তা জনবহুল। ওই
রাস্তাতেই রয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতাল, নার্সিং কলেজ,
স্কুল, পার্ক। প্রতিদিন বহু গাড়ি
যাতায়াত করে। ফলে, দূষণের মাপ
ভাল ব�োঝা যাবে বলে ধারণা পর্ষদের
কর্তাদের।
যদিও পরিবেশকর্মীদের অনেকের
প্রশ্ন, এ ধরনের যন্ত্র বসিয়ে কি
দূষণ ঠেকান�ো সম্ভব? তাঁদের দাবি,
প্রশাসনের তরফে কড়া ব্যবস্থাও
নিতে হবে। স্থানীয় পরিবেশকর্মী সন্তু
দাসের মতে, ‘‘সচেতনতার সঙ্গে
এক বছর আগে পাইকারি দর ছিল ১২০-১২৫
টাকা প্রতি লিটার। এখন তা ১৮০ টাকা। প্রায় ২৫
শতাংশ বিক্রি কমেছে।
কামদেব সাউ (পাইকারি ব্যবসায়ী)
সর্ষের তেলের দাম প্রতি মাসেই বাড়ছে। কম তেল
কিনে সংসার খরচ সাশ্রয় করার চেষ্টা করছি।
মানস মাইতি (শিক্ষক)
দেড় বছরে লিটারে ৭০ টাকা দাম বেড়েছে। সর্ষের
তেলের বদলে অনেকে অন্য তেল কিনছেন।
চিত্তরঞ্জন মল্লিক (খুচর�ো ব্যবসায়ী)
বাড়িতে ভাজাভুজি, মুখর�োচক খাবার তৈরি
কমিয়েছি। তরকারিতেও তেল কম দিচ্ছি। সর্ষের
তেলের স্বাদ কি আর অন্য তেলে পাওয়া যায়!
মঞ্জুশ্রী দে (বধূ)
সর্ষের তেল আর আমাদের মত�ো মানুষদের জন্য
নয়। পেট্রলের মত�ো মহার্ঘ্য জিনিস হয়ে গিয়েছে।
প্রহ্লাদ সাহা (চায়ের দ�োকানদার)
সর্ষের তেলের বদলে অন্য তেলে রান্না করছি। স্বাদে
ফারাক হলেও আর ক�োনও উপায় নেই। রান্নার
বৈচিত্র্যও কম হচ্ছে।
রুমা চ�ৌধুরী (বধূ)
মেমারি
অনেকের কাছেই তিনি ‘স্কলারশিপ
স্যর’। কারণ, প্রায় দু’দশক ধরে
এলাকার বহু দুঃস্থ-মেধাবী পড়ুয়াকে
উচ্চশিক্ষার জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা
করে দিয়েছেন তিনি, যা তাঁদের
কাছে ‘স্কলারশিপ’ বা বৃত্তি পাওয়ার
সমান। অর্থের অভাবে যাতে কারও
পড়াশ�োনা বন্ধ না হয়ে যায়, সে
লক্ষ্যেই পরিচিতদের সাহায্য নিয়ে
এই কাজ করে চলেছেন, জানান পূর্ব
বর্ধমানের মেমারির শিক্ষক চিন্ময়
দাস।
ইংরেজির শিক্ষক, বছর বাহান্নর
চিন্ময়বাবু ২০০১ সালে মেমারির
পাহাড়হাটি গ�োলাপমণি হাইস্কুলে
য�োগ দেন। পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন,
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশ�োনা
তাঁর। তিনি জানান, শিক্ষকতা শুরু
করার পরে বুঝতে পারেন, গরিব
পরিবারের বহু ছাত্রছাত্রী মেধাবী। কিন্তু
সুয�োগের অভাবে ভ�োগে অনেকেই।
এর পরেই পরিচিত অনেককে ক�োনও
না ক�োনও দুঃস্থ-মেধাবী পড়ুয়ার
উচ্চশিক্ষার ব্যয়ভার নেওয়ার জন্য
আবেদন জানাতে থাকেন। তাতে
অনেকে এগিয়ে আসেন। তাঁদের
সূত্রে বেড়েছে পরিচিতির গণ্ডিও।
গত কয়েকবছরে এ ভাবে ৭৮টি
ছেলেমেয়ের পড়শ�োনা চালান�োর
বন্দোবস্ত করেছেন, দাবি চিন্ময়বাবুর।
শুধু পরিচিতদের দায়িত্ব দেওয়া নয়,
প্রতি বছর দু’তিন জন এমন পড়ুয়ার
ভার নেন তিনি নিজেও। তাঁর ডাকে
n পড়ুয়াদের সঙ্গে চিন্ময় দাস (হলুদ টি-শার্ট)। ছবি: উদিত সিংহ
পড়াশ�োনা করছেন। তাঁদের অনেকের
থাকার ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। এ
ছাড়া, ভিন্‌-রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়,
আইআইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,
এমনকি, বিদেশেও অনেক ছাত্রছাত্রী
রয়েছেন। অনেকে নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ
নিচ্ছেন। জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং
কলেজের ছাত্র সুদীপ্ত দাসের কথায়,
‘‘পারিবারিক অবস্থা ভাল নয়। তাই
স্যরের কাছে গিয়েছিলাম। উনিই
ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন। আমাদের
কাছে উনি ভগবানতুল্য।’’ মেমারির
শশীনাড়া গ্রামের স�োমেশ্বর দাসের
কথায়, ‘‘ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্যর
আমাকে সাহায্য করছেন। শুধু আর্থিক
ভাবে নয়, মানসিক ভাবেও দৃঢ় করে
তুলেছেন।’’ এ বছর মাধ্যমিক উত্তীর্ণ
মেমারির খাঁড়�ো গ্রামের সাবিয়া
সরকার বলে, ‘‘আমার পড়া যাতে
বন্ধ না হয়, সে আবেদন নিয়ে ওঁর
কাছে গিয়েছিলাম। স্যর পাশে
থাকবেন বলেছেন। আমাদের মত�ো
মুখ�োপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বর্ধমানের
এক ছাত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
কমার্সে ভাল ফল করেছিলেন।
তার পরে কী হবে, সে ভাবনা নিয়ে
চিন্ময় আমার কাছে আসেন। আমি
দায়িত্ব নিয়েছি। ছাত্রটি এখন চাটার্ড
অ্যাকাউন্ট্যান্সি পড়ছেন।’’ উত্তর
২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের শিক্ষিকা
দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এক
পরিচিতের মারফত চিন্ময়বাবুর কথা
জেনে তিনি নিজেই দেখা করেন। তাঁর
সঙ্গে কথা বলে দু’-তিন জন পড়ুয়ার
দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। মেমারির
একটি স্কুলের শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল
বলেন, ‘‘চিন্ময় আমাদের গর্ব।’’
পাহাড়হাটির ওই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান
শিক্ষক জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন,
‘‘উনি পড়ুয়াদের ভরসার জায়গা।’’
চিন্ময়বাবুর বাড়িতে রয়েছেন মা,
স্ত্রী ও ছেলে। মা চিত্রাদেবী বলেন,
‘‘প্রকৃত শিক্ষকের কাজ করছে
ছেলে।’’ চিন্ময়বাবু অবশ্য বলছেন,

পড়ুয়ারা দূষণের মাত্রা সম্পর্কে সচেতন
অ্যাক্টিভ র�োগী ১৯০ হতে পারবেন। পর্ষদ-কর্তাদের দাবি,
বেশিরভাগ জেলা শহরেই জনসংখ্যা
ইতিমধ্যে সুস্থ ৩৮,৫৮০ পাঁচ লক্ষের কম। কিন্তু জনঘনত্ব
মৃত ৪৬৬
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ০৭
রয়েছে। সে সব জায়গায় যানবাহনের
চাপও রয়েছে। তাতে দূষণের মাত্রা
বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তা মাথায়
দূষণ নিয়ন্ত্রণও প্রয়�োজন। সেটাই
আসল পরীক্ষা।’’ পরিবেশকর্মী সুভাষ
দত্তের মতে, ‘‘ল�োকে দেখতে পায়,
এমন জায়গাতেই ওই মনিটর বসান�ো
উচিত। সচল যাতে থাকে, সেটাও
দেখতে হবে। দূষণের উৎস নির্মূল
করা প্রয়�োজন। কিন্তু সেটা হয় না।’’
সেচখালে তরুণের
এগিয়ে এসেছে দেশ-বিদেশের নানা
সংস্থাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
চিন্ময়বাবুর সাহায্যে অনেক পড়ুয়া
দেহ, ধৃত দুই ‘সঙ্গী’ কলকাতায় নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ছেলেমেয়েদের কাছে স্যরই ভরসা।’’
চিন্ময়বাবুর আবেদনে সাড়া
দিয়ে দুঃস্থ পড়ুয়ার সাহায্যে এগিয়ে
এসেছেন কলকাতার বালিগঞ্জের
বাসিন্দা, আয়কর আধিকারিক সঞ্জয়
‘‘আর্থিক অবস্থার কারণে ক�োনও
মেধা যাতে নষ্ট না হয়, সেটাও এক
জন শিক্ষকের দেখা প্রয়�োজন। যাঁরা
আমার আবেদনে সাড়া দেন, তাঁদের
প্রতি কৃতজ্ঞ।’’

**শুধু গত ২৪ ঘণ্টার হিসেব

(সূত্র: জেলা তথ্য সংস্কৃতি
রেখেই দূষণের মাপ জানার জন্য ওই
যন্ত্র বসান�োর কথা ভাবা হয়েছে।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের
কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘মনিটরের সঙ্গে
আমাদের মূল সার্ভারের য�োগ থাকছে।
তথ্য দেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা
নিজস্ব সংবাদদাতা নিয়ে যায় ওই যুবকেরা।
মেমারি থানা সূত্রে জানা যায়,
অপহরণে ‘সাহায্য’, ধৃত দুই ‘হামলা’র প্রতিবাদ
বর্ধমান: মুর্শিদাবাদের রানিনগরে
দফতর) মেমারি বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত স�ৌরভ
বাড়ি ফিরছেন না দেখে ওই চার
ভাতার: নাবালিকাকে অপহরণে
সহয�োগিতা করার অভিয�োগে
গ্রামের এক যুবক এই কাজ করেছে
বলে দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে,
শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি
অধীররঞ্জন চ�ৌধুরীর উপরে ‘হামলা’র
কল সেন্টার: সেচখালে স্নান করতে গিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে খ�োঁজ নেন পরিজনেরা। দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ভাতার অপহরণের সহয�োগী হিসেবে ওই প্রতিবাদে বর্ধমানে সভা করল
৯৮৮৩৬৬১১৯৯ তরুণের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁরা জানান, স�ৌরভকে খুঁজে থানার পুলিশ। ধৃত শিবু দ�োলুই দুই ব্যক্তি-সহ চার জনের নাম কংগ্রেস। দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা
ইন্টিগ্রেটেড ক�োভিড তার দুই ‘সঙ্গী’কে গ্রেফতার করল পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশে কেন ও গ�োবিন্দ দ�োলুই মঙ্গলক�োটের অভিয�োগে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ কমিটির উদ্যোগে শনিবার কার্জন
ম্যানেজমেন্ট সেল পুলিশ। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার জানান�ো হল না, এ প্রশ্নের সদুত্তর ক্ষীরগ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, শুক্রবার ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। গেটে আয়�োজিত ওই সভায় হাজির
দুপুরে চার জনের সঙ্গে মেমারির না পেয়ে পরিজনেরা মেমারি থানায় মাসখানেক আগে ভাতারের সুন্দর ধৃতদের শনিবার বর্ধমান আদালতে ছিলেন কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায়,
৮৬৯৫০০৭৬১০ নুদিপুরে সেচখালে স্নান করতে যান য�োগায�োগ করেন। পুলিশ জানায়, গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে ত�োলা হলে পাঁচ দিন পুলিশ অভিজিৎ ভট্টাচার্য, গ�ৌরব
মেমারির রাধাকান্তপুরের মল্লিকপুরের ওই বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিয�োগ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সমাদ্দার-সহ দলের নেতা-কর্মীরা।
৮০০১১৯৬১৩৭ স�ৌরভ অধিকারী (১৯)। ওই জানতে পারে, সেচখালের জলে করেন। মঙ্গলক�োটের কানাইডাঙা নিজস্ব সংবাদদাতা নিজস্ব সংবাদদাতা
এ বার আনন্দবাজার পত্রিকার চার জনের মধ্যে পুলিশ দু’জনকে স�ৌরভ তলিয়ে গিয়েছেন। শুক্রবার
সঙ্গে য�োগায�োগ আপনার শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে। ধৃত সকালে বিপর্যয় ম�োকাবিলা দলের
হাতের মুঠ�োয়। হ�োয়াটসঅ্যাপেই মেমারির চাপপুকুরের অর্ক ম�োহন্ত ডুবুরি আনার ব্যবস্থা করে এবং
সরাসরি জানাতে পারবেন ক�োনও n বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বসেছে মনিটর। নিজস্ব চিত্র ও গাঙ্গুরের রঞ্জিত হাতিকে শনিবার পাণ্ডুয়া থানায় খবর দেয় মেমারি
খবর, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা বা বর্ধমান আদালতে ত�োলা হলে থানার পুলিশ। সে দিন দুপুরে ডুবুরি
এলাকার সমস্যা। পাঠাতে পারবেন চার দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠান�ো নামিয়ে তল্লাশির সময়েই জানা
ছবিও। 8017731234 এই নম্বরে
ক�োনও ফ�োন করা যাবে না। গাড়িতে গাঁজা, গ্রেফতার হয়। ধৃতেরা অবশ্য অভিয�োগ
অস্বীকার করেছে।
পুলিশ জানায়, স�ৌরভ নুদিপুরের
যায়, বৈঁচির লকগেটে স�ৌরভের
দেহ মিলেছে। পরিজনেরা গিয়ে দেহ
শনাক্ত করেন। সে দিনই চুঁ চুড়ায় দেহ

সাত দিনে সাত কাহন

স�োমবার..................স্বাস্থ্য ও পরিবেশ
মঙ্গলবার.................................. কড়চা
বুধবার..............................খেত খামার
বৃহস্পতিবার.........................ক্যাম্পাস
শুক্রবার...................... ছ�োটদের পাতা
শনিবার............. আমার উদ্যোগ / গ্রাম
রবিবার...................... আমার বেড়ান�ো
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাত দিনে
সাতকাহন বিভাগে পরিবর্তন জরুরি
হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন
৩ মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে
মঙ্গলক�োট: গাড়িতে গাঁজা পাচার
করার অভিয�োগে গ্রেফতার করা
হল তিন জনকে। শুক্রবার রাতে
মঙ্গলক�োটের ল�োচনদাস সেতুর কাছে
নাকাবন্দির সময়ে তাদের ধরা হয়
বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত
আলাউদ্দিন শেখ ও র�োহিত গ�োস্বামী
কাট�োয়া ও রাহুল যাদব দুর্গাপুরের
বাসিন্দা। শনিবার ধৃতদের বর্ধমানে
ত�োলা হয়। আলাউদ্দিনকে তিন দিন
পুলিশ হেফাজত ও বাকি দু’জনকে
১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের
দাবি, নাকাবন্দির সময়ে পুলিশ
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে
পারে, তারা বীরভূম থেকে বর্ধমানের
দিকে যাচ্ছে। গাড়িতে থাকা দু’টি বস্তা
দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। ধৃতেরা
তখন পালান�োর চেষ্টা করলে তাদের
আটক করা হয়। বস্তা থেকে প্রায়
কাছে ইলামপুরে এক আত্মীয়ের
বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
শুক্রবার তাঁর দেহ মেলে হুগলির
পাণ্ডুয়ার বৈঁচিগ্রামে সেচখালের
লকগেটে। তাঁর বাবা সুজয়বাবুর
অভিয�োগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের
মামলা দায়ের করেছেন। সুজয়বাবু
পুলিশের কাছে লিখিত অভিয�োগ
করেছেন, চার বন্ধুর সঙ্গে তাঁর ছেলে
নুদিপুরে যান। সেখানে তাঁর ছেলেকে
সেচখালের উপরে লকগেটে নির্জন
জায়গায় পিকনিক করার নাম করে
ময়না-তদন্ত হয়। তার পরে, মেমারি
পৌঁছে স�ৌরভের বাবা অভিয�োগ
দায়ের করেন। তাঁর দাবি, স�ৌরভের
দেহের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন
রয়েছে। তাঁর ধারণা, ছেলেকে ক�োনও
কিছু দিয়ে আঘাত করে খুনের মতলবে
জলে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, বাকি দুই
অভিযুক্তের খ�োঁজ চলছে। ধৃতদের
যদিও দাবি, স্নান করতে গিয়ে স�ৌরভ
তলিয়ে যান। তাঁরা বাঁচান�োর চেষ্টা
করেছিলেন।

প্রয়াত কালনার ‘গরিবের ডাক্তার’

বিন্যাস শুরু হয়েছে। আমাদের
আশা, পুরন�ো বিন্যাসে আবার
আমরা ফিরে আসব। আপনাদের
সহয�োগিতা কাম্য।
l চ�োখ রাখুন চারের পাতায় নিজস্ব সংবাদদাতা দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘এক জন
রাজনৈতিক নেতার থেকে তাঁকে বেশি
পূর্ব বর্ধমানের আবহাওয়া কালনা চিনতাম মানবদরদী এক চিকিৎসক
হিসেবে। এমন এক জন মানুষের
আংশিক মেঘলা আকাশ। ঝড়, বৃষ্টির
সম্ভাবনা রয়েছে। পাঁচ টাকা ফি-তে র�োগী দেখতেন। মৃত্যুতে বড় ক্ষতি হল। উনি যখন
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিচিত ছিলেন ‘গরিবের ডাক্তার’ পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন

৩৫°
নামে। কর�োনায় আক্রান্ত হয়ে
শনিবার সকালে কলকাতার একটি
সেলসিয়াস বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল
কালনার সেই চিকিৎসক তথা সিপিএম
গত কাল
নেতা গ�ৌরাঙ্গ গ�োস্বামীর (৭১)।
সর্বোচ্চ ৩৫.৬° (+৩)
তাঁর মৃত্যুতে শ�োকপ্রকাশ করেছেন
সর্বনিম্ন ২৫° (-১)
আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭৩%
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি।
মিশ্র-সহ অনেকে। কালনা শহরে
ছিল শ�োকের আবহ। এ দিন সন্ধ্যায়
দেহ আনার পরে শহরের রাজবাড়ি
চত্বরে একটি মাঠে রাখা হয়। সেখান
থেকে সৎকারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০০০-২০১০ পর্যন্ত গ�ৌরাঙ্গবাবু
কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।
পুরসভার ক্ষমতা বদলের পরে, তাঁকে
পুরসভার বির�োধী দলনেতা করে
সিপিএম। দলীয় সূত্রে খবর, গত ২১
অগস্ট দলের বৈঠকে হাজির ছিলেন
গ�ৌরাঙ্গবাবু। সেখানেই তিনি অসুস্থ
হয়ে পড়েন। ২৬ অগস্ট শ্বাসকষ্ট হলে,
তাঁকে ভর্তি করান�ো হয় মুকুন্দপুরের
একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
n গ�ৌরাঙ্গ গ�োস্বামীর (ইনসেটে) দেহ পৌঁছন�োর পরে ভিড় কালনায়। নিজস্ব চিত্র
পরীক্ষায় জানা যায়, তিনি কর�োনায়
আক্রান্ত। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা
কমে যাওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশন-এ
রাখা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে
গ�ৌরাঙ্গবাবুর অবস্থার অবনতি হয়।
এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মারা
যান তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,
প্রয়াত চিকিৎসকের স্ত্রী মালবিকাও
কর�োনায় আক্রান্ত। গ�ৌরাঙ্গবাবুর
মেয়ে শ্রীরূপা থাকেন আমেরিকায়।
সন্ধ্যায় গ�ৌরাঙ্গবাবুর দেহ নিয়ে
বাড়ি ফেরেন তাঁর ছেলে আনন্দরূপ
গ�োস্বামী। তাঁদের পরিবারের কেউ
কথা বলার মত�ো অবস্থায় ছিলেন না।
কর�োনা-বিধি মেনেই রাতেই কালনা
শ্মশানঘাটে গ�ৌরাঙ্গবাবুর দেহ সৎকার
হওয়ার কথা।
গ�ৌরাঙ্গবাবুর মৃত্যুর খবর আসার
পরে, কার্যত শ�োকস্তব্ধ ছিল কালনা
শহর। তাঁর দেহ কালনা শহরে ঢ�োকার
পরে রাস্তার দু’ধারে বহু মানুষের
ভিড় চ�োখে পড়ে। অনেককে কাঁদতে
দেখা যায়। কালনার তৃণমূল বিধায়ক
আমরা ছিলাম বির�োধী আসনে।
আমি যখন চেয়ারম্যান, উনি তখন
ছিলেন বির�োধী দলনেতা। রাজনৈতিক
মতপার্থক্য থাকলেও উন্নয়ন নিয়ে
আমাদের মতভেদ হয়নি ক�োনও
দিন।’’ দলীয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা
জানাতে বিকেলে কালনা শহরে
আসেন সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা
সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক। তিনি বলেন,
‘‘উনি ছিলেন এক দিকে সংগঠক, অন্য
দিকে জন-নেতা। এ ক্ষতি সহজে পূরণ
হওয়ার নয়।’’
শহরের বাসিন্দা চিকিৎসক
অমিয়কান্তি তাঁ বলেন, ‘‘রাত
যতই হ�োক না কেন, উনি কাউকে
ফেরাতেন না। এমন চিকিৎসক
আমরা আর হয়ত�ো ক�োনও দিন
পাব না। গরিব মানুষের অপুরণীয়
ক্ষতি হল।’’ শহরের আর এক
বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সঞ্জিৎ
বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হঠাৎ উনি এ
ভাবে চলে যাবেন, তা কল্পনা করতে