You are on page 1of 14

Name: Mohima Islam 

Tinny
ID: 2017-3-19-006
Movie Review Assignment
---------------------------------------------------------------------------------------------

Notting Hill
--------------------

সারসংক্ষেপ

___________

এই ছবির গল্প দুটি মানুষকে ঘিরে, উইলিয়াম থ্যাকার যিনি মূলত একজন বুক স্টোর
ম্যানেজার এবং অ্যানা স্কট যিনি একজন নামকরা চিত্রনায়িকা। এই দুজন চরিত্রের প্রথম
দেখা হয় থ্যাকারের বুক স্টোরে। প্রথম দেখায় থ্যাকার অ্যানাকে চিনতে না পারলেও
পরবর্তীতে চিনতে পারে এবং ঘটনাসূত্রে অ্যানা এবং থ্যাকারের আবারো দেখা হয়ে যায়।
পরবর্তীতে তাদের ফোনালাপ হয় তাদের মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা
একসাথে ডিনারে যায় এবং তাদের মাঝে সুন্দর কথোপকথন হয়। একদিন অ্যানা থ্যাকারের
বাসায় যায় এবং তাকে জানায় যে তার বয়ফ্রেন্ড ম্যাক্স তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে সে
মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত। থ্যাকার অ্যানাকে সান্তনা দেয় এবং ফলশ্রুতিতে অ্যানা আশ্বস্ত
বোধ করে। একদিন থ্যাকার অ্যানার একটি ছবির শুটিং দেখতে যায় যেখানে অ্যানা তার সহ-
অভিনেতা তাকে থ্যাকারের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করাতে বলে যে ও তো একজন সাধারণ
মানুষ। থ্যাকার এতে আহত হয় এবং পরবর্তীতে অ্যানাকে তার অভিব্যক্তি জানায়।
পরিপ্রেক্ষিতে অ্যানা থ্যাকারকে জানায় যে সে তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যানা থ্যাকারকে
আরও বলে যে এসব যশ খ্যাতি ওর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং ও আর দশটা মেয়ের মতই ও
খুব সহজ স্বাভাবিক একটা মেয়ে। এই বলে অ্যানা চলে যায়। এর কদিন পর থ্যাকার অ্যানার
প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা অ্যানাকে জানায় এবং এর ছয় মাস পর থ্যাকার এবং অ্যানা
বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

উপসংহার
___________

একজন মানুষের অবস্থান দেখে কখনো তাকে ছোট করে দেখা বা তাকে অহংকারী মনে করা
আদৌ উচিত নয়। মানুষের চরিত্রই তার প্রকৃ ত পরিচয়।

প্রিয় দৃশ্য
__________

প্রিয় উক্তি

_____________

“I live in Notting Hill. You live in Beverly Hills. Everyone in the world
knows who you are, my mother has trouble remembering my name.”
—William Thacker

Pretty Woman
----------------------

সারসংক্ষেপ

___________

প্রিটি ওমেন ছবিটির গল্প এডওয়ার্ড লুইস এবং ভিভিয়ান ওয়ার্ড কে ঘিরে। এডওয়ার্ড
লুইস একজন ক্ষমতাবান ব্যবসায়ী এবং ভিভিয়ান ওয়ার্ড একজন পতিতা। সমাজের দুই
স্তরের এই দুজন মানুষের প্রথম দেখা হয় লস এনজেলেস এর এক সড়কে। ওই মুহূর্তে
এডওয়ার্ডে র গাড়ি চালক না থাকায় এডওয়ার্ড ভিভিয়ানকে টাকার বিনিময়ে তার গাড়িটি
চালিয়ে উইলশায়ার হোটেলে নিয়ে যেতে বলে। পরের দিন এডওয়ার্ড ভিভিয়ানকে তার সাথে
একটি ব্যবসায়িক প্রীতি ভোজে যাওয়ার জন্য অর্থ এবং বেশ কিছু পোশাক দেওয়ার ইচ্ছা
প্রকাশ করে। ভিভিয়ান তাতে সাড়া দেয় এবং সময়ের সাথে সাথে ভিভিয়ান এডওয়ার্ডে র
প্রতি দুর্বল হয়ে পরে। এডওয়ার্ডে র অধিনস্ত একজন কর্মচারী ভিভিয়ানের অতীত কথা
জানতে পেরে তার সাথে জোর জবর্দ স্তি করার কারণে এডওয়ার্ড সেই কর্মচারীকে আঘাত
করে এবং তাকে চাকরীচ্যুত করে। সময়ের সাথে সাথে এডওয়ার্ড ও ভিভিয়ানের প্রতি দুর্বল
হয়ে পরে এবং ছবির শেষ দৃশ্যে ভিভিয়ান এবং এডওয়ার্ড একে অপরকে আলিঙ্গন করে
অপরের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা স্বীকার করে নেয়।

উপসংহার
___________

ভালোবাসা সমাজের উচু এবং নিচু স্তরের ভেতর বৈষম্যকে মানে না, ভালোবাসা চলে তার
আপন গতিতে।
প্রিয় দৃশ্য
__________

প্রিয় উক্তি

_____________

“You and I are such similar creatures, Vivian. We both screw people for
money.”
—Edward Lewis

The Terminal
-----------------------

সারসংক্ষেপ
__________

দ্যা টারমিনাল ছবিটির গল্পের মূল চরিত্র হলেন ক্রাকযিয়া নামক দেশ হতে আমেরিকার নিউ
ইয়র্ক শহরে আগত ভিক্টর নাভরস্কির। ভিক্টর নিউ ইয়র্কে আগমনের পর পরই জানতে
পারেন যে ক্রাকযিয়ায় গৃহযুদ্ধ বেধে যাওয়ার ফলে আমেরিকান সরকার তার পাসপোর্ট
অকৃ তকার্য ঘোষণা করেছে। এর ফলে ভিক্টর নাতো ক্রাকযিয়ার নাগরিক হিসেবে বিবেচিত
হবেন, না তিনি নিউ ইয়র্ক এয়ারপোর্ট টার্মিনাল থেকে শহরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
ফলশ্রুতিতে ভিক্টর এয়ারপোর্ট টার্মিনালেই অবস্থান করতে শুরু করেন। সেখানে তিনি টিপস
সংগ্রহ করে এবং মাঝে মাঝে এয়ারপোর্টে র বিভিন্ন অংশে মেরামতের কাজ করে অর্থ লাভ
করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে এমেলিয়া ওয়ারেন নামক এক
বিমান বালার সাথে ভিক্টরের সক্ষ্যতা তৈরি হয়। ভিক্টর তাকে জানায় যে সে তার বাবার শেষ
ইচ্ছা পূরণ করতে (যা কিনা তার প্রয়াত বাবার প্রিয় একজন সুরকারের অটোগ্রাফ সংগ্রহ
করা) নিউ ইয়র্কে এসেছে। বেশ কিছু মাস অতিক্রম হওয়ার পর এক সময়ে ক্রাকযিয়ায়
গৃহযুদ্ধের অবসানের ফলে ভিক্টর তার নাগরিকত্ব ফিরে পান এবং এমেলিয়ার বদৌলতে নিউ
ইয়র্কে ভ্রমণের জন্য একদিনের জরুরি ভিসাও পান। বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণের লক্ষে বেশ
কয়েক মাস টার্মিনালে কষ্টকর পরিস্থিতিতে অবস্থানের পর শেষমেশ ভিক্টর তার বাবার শেষ
ইচ্ছা পূরণ করতে সক্ষম হন এবং কাজ শেষে নিজ দেশে ফিরে যান।

উপসংহার
___________

ধৈর্যের ফল সব সময়ে মিষ্ট হয়ে থাকে।

প্রিয় দৃশ্য
__________
প্রিয় উক্তি

_____________
“Is home. I am not afraid from my home.”
—Victor Navorski

Bicentennial Man
----------------------------

সারসংক্ষেপ

__________
এই ছবির গল্পটি মূলত এনড্রু নামক একটি অ্যান্ড্রয়েড হিউম্যানয়েড রোবটকে ঘিরে। ঘরের
কাজ করার উদ্দেশ্যে তাকে রিচার্ড মারটিন তাকে তার বাড়িতে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পরে রিচার্ড আবিস্কার করেন যে এনড্রু রোবট হওয়া সত্ত্বেও তার ভেতর মানুষের মতো
সৃজনশীলতা বিরাজমান। এই সৃজনশীলতাকে পুজি করে এনড্রু একজন ঘড়ি প্রস্তুতকারক
হিসেবে বেশ কিছু অর্থও উপার্জ ন করে। রিচার্ড মারা যাবার পর এনড্রু রুপার্ট বার্নস এর
সাথে দেখা করে। রুপার্ট এনড্রু কে আরও মানুয সদৃশ গুণাবলি প্রদানে সক্ষম হয়। প্রায় ২০
বছর পর এনড্রু মারটিন পরিবারে ফিরে আসে এবং রিচার্ড মারটিনের মেয়ে এমেলিয়া এবং
এমেলিয়ার মেয়ে পোর্শিয়ার সাথে থাকতে শুরু করে। পরবর্তীতে এমেলিয়ার মৃত্যুর পর
মারটিন রুপার্ট বার্নসের সাহায্যে অবিনশ্বর জীবনের পরিবর্তে মরণশীল জীবন বেছে নেয়ার
লক্ষে তার যান্ত্রিক শরীরে কৃ ত্রিম অঙ্গ সংযোজন করে এবং কৃ ত্রিম তরলের পরিবর্তে মানুষের
মত রক্ত প্রবাহিত করতে সক্ষম হয়। এরই মাঝে এনড্রু এবং পোর্শিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক
গড়ে ওঠে। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এনড্রু মানব স্বীকৃ তি পাবার পর তারা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ
হয় এবং শেষ মুহূর্তে হাতে হাত হাত রেখে দুজনেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে।

উপসংহার
___________

নশ্বর জীবনেই প্রকৃ ত সুখ খুজে পাওয়া সম্ভব।

প্রিয় দৃশ্য
__________
প্রিয় উক্তি

_____________

“What's right for most people in most situations isn't right for everyone in
every situation! Real morality lies in following one's own heart.”
—Portia

Piper
---------
সারসংক্ষেপ

__________

পাইপার নামক একটি বাচ্চা পাখি তার মার দেখাদেখি সমুদ্রের তীরে খাবারের খোজ করতে
গিয়ে পানিতে ভিজে চু পচু পে হয়ে ফিরে আসে। সে পণ করে আর কোনদিন তীরে খাবারের
খোজ করতে যাবে না। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু ছোট ছোট কাঁকড়ার সমুদ্রের তীরে খাবার
অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পাইপারও শেষমেশ সমুদ্র তীর হতে খাবার
সংগ্রহে সক্ষম হয়।

উপসংহার
___________

ভয় না পেয়ে সাহস করে এগিয়ে গেলেই সফলতা অর্জ ন করা সম্ভব।

প্রিয় দৃশ্য
__________
The Blue Umbrella
-------------------------------

সারসংক্ষেপ

__________

এই ছবির গল্পের চরিত্রগুলো মূলত জড়বস্তু। প্রধান চরিত্র দুটিতে আছে একটি নীল রঙের
ছাতা এবং একটি লাল রঙের ছাতা। পথিমধ্যে ছাতা দুটির মালিকগণের বদৌলতে ছাতা
দুটির দেখা হয়ে যায় এবং ছাতা দুটি একে অপরকে পছন্দ করে ফেলে। মালিকগণের আলাদা
হয়ে যাওয়ার ফলে ছাতা দুটিও আলাদা হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আশে পাশের অনান্য
জড়বস্তুদের হরেক রকম প্রচেষ্টার ফলে ছাতা দুটি পুনরায় মিলিত হয়।
উপসংহার
__________

এক জড়বস্তুর প্রতি অন্যান্য জড়বস্তুর মমতা দেখে আমরা মানুষরাও একে অন্যের প্রতি
মমতা ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া শিখতে পারি।

প্রিয় দৃশ্য
__________
Lava
-------------------------

সারসংক্ষেপ

__________

এই ছবির গল্পটি জড় বস্তুদের নিয়ে। ছবিটির প্রধান চরিত্রটি একটি একাকী পুরুষ
আগ্নেয়গিরির। আগ্নেয়গিরিটি বন্যপ্রাণীদের জোড়ায় জোড়ায় সুখি জীবন পার করতে দেখে
আফসোসের সাথে সাগরের দিকে মুখ করে হাজার হাজার বছর ধরে গান করতে থাকে।
আগ্নেয়গিরিটি ভাবে কেউ তার গানে সাড়া দিবে না এবং আসতে আসতে নিস্তেজ হয়ে যেতে
থাকে কিন্তু অপর প্রান্তে রোজ তার গান শুনতে শুনতে একটি নারী আগ্নেয়গিরি তার প্রেমে
পড়ে যায়। পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে নারী আগ্নেয়গিরিটির গান শুনতে
পেয়ে পুরুষ আগ্নেয়গিরিটি আবারো সজীব হয়ে ওঠে এবং দুজন মিলে গান গাইতে গাইতে
নিজেদের একটি সুন্দর দ্বীপ তৈরি করে।

উপসংহার
__________

ভালোবাসাই পারে নিস্তেজ জীবন কে সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তু লতে।


প্রিয় দৃশ্য
__________

La Luna
--------------

সারসংক্ষেপ

__________

কল্পনার রাজ্যের ছোট্ট একটি ছেলে ব্যাম্বিনোর গল্প এই ছবিতে বলা হয়েছে। ব্যাম্বিনো তার
বাবা আর দাদার সাথে একরাতে নৌকাভ্রমণে বের হয় এবং পরবর্তীতে চাঁদে নোঙর ফেলে।
চাঁদে গিয়ে তারা অজস্র ছোট ছোট তারার স্তুপ দেখতে পায়। তাদের থাকা অবস্থাতেই চাঁদে
আরেকটি বড় তারা এসে আছড়ে পড়ে যা পরে ব্যাম্বিনোর অল্প একটু আঘাতেই ভেঙ্গে
টু করো টু করো তারায় পরিণত হয়। ব্যাম্বিনো, তার বাবা আর দাদা মিলে সেই তারার স্তুপগুলো
চাঁদের একপাশে পরিস্কার করে রেখে নিচে নৌকায় নেমে আসে এবং দেখতে পায় তারাগুলো
পরিস্কার করে চাঁদের এক পাশে রাখার কারণে পূর্ণ চাঁদটা এখন অর্ধ চাঁদের মতো দেখাচ্ছে।
উপসংহার
__________

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জটিলতম জিনিসগুলোও খুব সহজ ভাবে মজাদার আঙ্গিকে চিন্তা করা যায়।

প্রিয় দৃশ্য
__________

You might also like