You are on page 1of 3

দেশের প্রযুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে অবদান রাখছে রোজেনবার্গার

মো. আক্তারুজ্জামন। তিনি বর্ত মানে আন্তর্জাতিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান রোজেনবার্গার টেকনোলজিস
(বাংলাদেশ)লি.-এ কান্ট্রি ম্যানেজারের দায়ীত্ব পালন করছেন।সম্প্রতি দৈনিক ডিজিটাল সময়ের সঙ্গে
কথা হয় আক্তারুজ্জামানের। তার সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত লিখেছেন মাহবুব শরীফ

দীর্ঘ আলোচনার এক অংশে রোজেনবার্গার টেকনোলজিস (বাংলাদেশ)লি.-এ তার যুক্ত হওয়া নিয়ে
জানতে চাইলে তিনি দৈনিক ডিজিটাল সময়কে তিনি জানান, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে রোজেনবার্গার
গ্রুপের একটি কোম্পনিতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন
তিনি । পরবর্তীতে তিনি সেলস বিভাগে স্থানান্তর হন। তিনি রোজেনবার্গার-এর বাংলাদেশ কার‌্যক্রমের
শুরু থেকেই যুক্ত আছেন এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে দায়ীত্ব পালন
করছেন।

রোজেনবার্গার গ্রুপ বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক কার‌্যক্রম চালু করে ২০০২ সালে।এরই
ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে কোম্পানিটি বাংলাদেশে ‘রোজেনবার্গার টেকনোলজিস বাংলাদেশ লি.’
নামে সম্পূর্ণ বৈদেশিক বিনিয়োগকৃ ত কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে।

মাদার প্রতিষ্ঠান রোজেনবার্গার সম্পর্কে তিনি বলেন, রোজেনবার্গার হলো জার্মানভিত্তিক একটি
বহুজাতিক কোম্পানি। ১৯৫৮ সালে হ্যান্স রোজেনবার্গার এ কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। জার্মানীর
ফ্রিডলফিঙে এই গ্রুপ অফ কোম্পানিটির সদর দফতর অবস্থিত। অটোমোবাইল দিয়ে আমাদের যাত্রা
শুরু হলেও বর্ত মানে টেলিকম, ডেটাসেন্টার এবং এন্টারপ্রাইজ ক্যাবলিং, স্যাটেলাইট, আইওটি,
মেডিকেল ইক্যুপমেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে কোম্পানিটি।

আক্তারুজ্জামান আরও জানান, রোজেনবার্গার গ্রুপের পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে নিজস্ব সেলস
অফিস ও ১৯টি প্রডাকশন ইউনিট রয়েছে । রোজেনবার্গার গ্রুপে সাড়ে ১১ হাজারেরও বেশি দক্ষ
জনবল কাজ করছে।

মূলত; কোন প্রতিষ্ঠানগুলো রোজেনবার্গারের সঙ্গে কাজ করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে আ্ক্তারুজ্জামান
বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান শুরুর দিকে অটোমোবাইল নিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্ত মানে তথ্যপ্রযুক্তি,
টেলিকম, মেডিসিন, স্যাটেলাইট, ডেটাসেন্টার এবং এন্টারপ্রাইজ ক্যাবলিং সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ খাতে
কাজ করছে। উদাহরণ হিসেবে বলতে গেলে জার্মানভিত্তিক অধিকাংশ অটোমোবাইল কোম্পানি
বর্ত মানে রোজেনবার্গারের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে।’

তিনি আরও জানান, বিশ্বের আলোচিত প্রযু্ক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার সঙ্গেও কাজ করেছে এ বহুজাতিক
কোম্পানিটি। স্যাটালাইট ক্যাটাগরিতে নাসা, স্পেসএক্স, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিও রয়েছে
রোজেনবার্গারের গ্রাহক তালিকায়। এছাড়াও টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে পার্ট নার হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি
কাজ করছে নোকিয়া, এরিকসন ও হুয়াওয়ের সঙ্গে।

বাংলাদেশে রোজেনবার্গারের কার‌্যক্রমের পরিধি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২০২০ সালে
এই গ্রুপ অফ কোম্পানিটির রেভিনিউ ছিল ১.২৭ বিলিয়ন ইউরো।
বাংলাদেশে কারা রোজেনবার্গারের গ্রাহক তালিকায় রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
বাংলাদেশে আমাদের অনেক গ্রাহক রয়েছে।এদের মধ্যে কেউ সেবা গ্রহণ করছে আবার কেউ পণ্য ক্রয়
করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সকল মোবাইল অপারেটরের পার্ট নার হিসেবে কাজ করছে রোজেনবার্গার।
এছাড়াও দেশের প্রায় সব বড় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করছে রোজেনবার্গার।

মোবাইল অপারেটরদের কোন ধরণের সেবা দিয়ে থাকেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আক্তারুজ্জামান
বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করার পর থেকেই দেশের সকল মোবাইল
অপারেটরদের সঙ্গে কাজ করে আসছি। উদাহরণস্বরুপ - ইক্যুপমেন্ট ইনস্টেলেশন, প্ল্যানিং, ডিজাইন,
ট্রাবলশ্যুটিং এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট ।

মোবাইল নেটওয়ার্ক সল্যুশন নিয়ে তিনি জানান, দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক
সল্যুশনে ব্যবহৃত হয়েছে রোসেনবারগার এর একু ইপমেন্ট এবং প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সেবা দিয়ে
আসছে রোজেনবার্গার টেকনোলজিস (বাংলাদেশ)লি.।

ডেটাসেন্টার নিয়ে তাদের অগ্রগতি কেমন ও গ্রাহক তালিকায় কারা রয়েছে? জানতে চাইলে মো.
আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ডেটাসেন্টার নিয়ে সারাদেশে কাজ করেছি। দেশের প্রথমসারির
আইটি সার্ভি স প্রভাইডার কোম্পানিগুলোর সাথে ডেটাসেন্টার এবং এন্টারপ্রাইজ ক্যাবলিং নিয়ে
আমরা কাজ করেছি বিভিন্ন ইপিজেড, সহ সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত গ্রুপ, ব্যাংক,
হোটেল, ইউনিভার্সিটি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক ইনফ্রাকটাকচার ডেভেলপমেন্টে।

তিনি জানান, ডেটাসেন্টার এবং এন্টারপ্রাইজ ক্যাবলিং- এর প্রোডাক্ট নিয়ে ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ
করছে সাউথ বাংলা কম্পিউটার্স, গেটওয়ে কমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ও এক্সেল
টেকনোলজিস লি.।

মড্যুলার ডেটা সেন্টার

ভবিষ্যতে, এজ কম্পিউটিং অ্যা প্লি কেশনগু লির বি স্তা র ত্ব রা ন্বি ত করার প্র য়ো জনী য় তা পূরণে র লক্ষ্যে
রোজেনবার্গারের একটি চমৎকার উদ্ভাবন হচ্ছে তাদের মড্যুলার ডেটা সেন্টার। এই ডেটা সেন্টার

ইন্টি লিজে ন্ট , মড্যুলার, মুভেবল এবং মাইক্রো , মূলত এই তিনটি বৈশি ষ্ট্যে র সমন্বয়ে ডাটা সেন্টা রটি ডিজাইন করা
হয়েছে। একটি মানসম্মত অবকাঠামো নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা, শীতলকরণ ব্যবস্থা, ইউপিএস , ব্যাটারি,
ক্যাবলিং সিস্টে ম, পাওয়ার এনভায়রনমেন্ট মনিটরিং এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এই অসাধারণ ফিচারগুলো একটি
স্ট্যান্ডার্ড র‍্যকের মধ্যে একীভূ ত করা হয়েছে। এই ডাটা সেন্টার হসপিটাল, গার্মেন্টস, গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ, কর্পো রেট অফিস,
ছোট এবং বড় এন্টারপ্রাইজ অফিস এবং শিক্ষাক্ষেত্রেবাস্তবায়নেরউপযোগী বলেমনে করেন মো. আক্তারুজ্জামান।

ইতমধ্যে বেশকিছু সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ইউনিভার্সিটি, হসপিটাল তাদের ডাটা সেন্টারএ
ব্যবহার করছে রোজেনবার্গার মড্যুলার ডেটা সেন্টার।
বাংলাদেশে রোজেনবার্গারের গ্রোথ সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে
কোম্পানিটির গ্রোথ হয়েছে ৫% হারে। বর্ত মানে দেশের ডেটাসেন্টারে মার্কে ট শেয়ার রয়েছে ২০% এর
বেশি। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে মার্কে ট শেয়ার ৪০%-এ উন্নীত করার আশা করছি।’

সম্প্রতি বাংলাদেশে কার্যক্রমের ৬ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপান করা হয়েছে। বিশেষ ঐ দিনে
কোম্পানির পক্ষ্য থেকে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবাদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রাহক
সুবিধায় ২৪/৭ সাপোর্ট সেন্টার চালু করা হয়েছে।এ কল সেন্টারে যারা সহায়তা করছেন তারা প্রত্যেকেই
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ। বাংলাদেশে কোম্পানিটির একটি দক্ষ টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে।তারা
প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট খাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।

রোজেনবার্গার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স,


বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির

মেম্বারশিপ পেয়েছে।

You might also like