You are on page 1of 8

নীল দল

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


গঠনতন্ত্র (সংশোধিত)
(বঙ্গবন্ধু র আর্দ শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাদর্শনে লালিত
শিক্ষক সংগঠন)
ভূ মিকা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধু র সোনার বাংলা বিনির্মাণে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী
সকল শিক্ষককে একত্র করিবার লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নীল দল গঠন করা হইয়াছে।
অনুচ্ছেদ ০১-নাম
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই সংঠননের নাম “নীল দল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” সংক্ষেপে নীল দল, নোবিপ্রবি (বাংলায়) এবং “Nil Dol, Noakhali Science and
Technology University” সংক্ষেপে Nil Dol, NSTU (ইংরেজিতে) বলেই বর্ণিত হইবে।
অনুচ্ছেদ ০২-সংজ্ঞাঃ
এই গঠনতন্ত্রে অন্যরূপ বর্ণিত না হইলে-
ক) বিশ্ববিদ্যালয় বলিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বুঝাইবে।
খ) সংগঠন বলিতে নীল দল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বুঝাইবে। উপদেষ্টা পরিষদ, কার্যনির্বাহী
পরিষদ, সাধারণ পরিষদ ও অনুষদ ভিত্তিক গঠিত পরিষদের সমন্বয়ে ইহা গঠিত হইবে।
গ) সংগঠনের সকল সদস্যদের সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে।
ঘ) গঠনতন্ত্র বলিতে নীল দল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গঠনতন্ত্র’ বুঝাইবে।
ঞ) সদস্য বলিতে সংগঠনের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করার মাধ্যমে নিবন্ধনকৃ ত সদস্যকে বুঝাইবে।
চ) মেয়াদ বলিতে ১ জুলাই হইতে ৩০ জুন পর্যন্ত ১ (এক) বছরের সময়কাল বুঝাইবে
ছ) নির্বাচিত প্রতিনিধির সমন্বয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদ ও অনুষদ ভিত্তিক পরিষদ গঠিত হইবে।
অনুচ্ছেদ ০৩-মূলনীতি
এই সংগঠনের মূলনীতি হইবে ৫ (পাঁচটি), যেমন শিক্ষা-গবেষণা-প্রযুক্তি-সেবা-শান্তি।
অনুচ্ছেদ ০৪-লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ক) মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা এবং প্রশাসনের গঠনমূলক
কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা;
খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও শিক্ষকবৃন্দের মর্যাদা অক্ষু ণ্ণ রাখার প্রচেষ্ঠা থাকা;
গ) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্বমানের ও সার্বজনীন মূল্যবোধসম্পন্ন
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা;
ঘ) উর্পযুক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ
করা;
ঞ) সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্যান্য কার্য সম্পাদন করা।
অনুচ্ছেদ ০৫-পতাকা
এই সংগঠনের পতাকার পরিমাপ হবে ৫:৩ দৈর্ঘ্য:প্রস্থ। অনুপাত হবে উপরের ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) লাল
এবং নিচের ৫০% (শতকরা পঞ্চাশ ভাগ) ঘন সবুজ, পতাকার উপরের ভাগে বাম পাশে পাঁচটি তারকা খচিত
মূলনীতিগুলো উলম্বভাবে আঁকা থাকিবে।
অনুচ্ছেদ ০৬-প্যাড/ব্যানার গঠন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংগঠনের মূল ব্যানারের বাম পার্শ্বে থাকিবে। ব্যানারের ডান
পার্শ্বে থাকিবে সংগঠনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো/মনোগ্রাম।
অনুচ্ছেদ ০৭-মনোগ্রাম
এই সংগঠনের লোগোর/মনোগ্রামের নিচে গোলাকার ভাবে এই সংগঠনের সম্পূর্ণ নাম বাংলায় গোলাকার আকারে
লেখা থাকিবে।
অনুচ্ছেদ ০৮-ভাষা
এই সংগঠনের কার্যনির্বাহের প্রধান ভাষা হইবে বাংলা এবং দ্বিতীয় ভাষা হইবে ইংরেজি।
অনুচ্ছেদ ০৯-কার্যালয়
এই সংগঠনের প্রধান ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হইবে তবে
নোয়াখালী শহরে অস্থায়ী কার্যালয় থাকিতে পারিবে।
অনুচ্ছেদ ১০-সদস্যভু ক্তির নিয়মাবলি
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন শিক্ষক যাঁহারা বঙ্গবন্ধু র আর্দ শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাদর্শনে লালিত এই সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি ও
নিয়মাবলির প্রতি পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করিয়া নির্ধারিত ফি প্রদান পূর্বক সংগঠনের সদস্য হইবার জন্য নির্ধারিত
আবেদন ফর্মে সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করিতে পারিবেন এবং আবেদন কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃ ক
অনুমোদিত হইলেই আবেদনকারী সংগঠনের সদস্য হিসাবে গণ্য হইবেন। শর্ত থাকে যে, কার্যনির্বাহী কমিটি যে কোন
আবেদন গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখান করার সর্বময় ক্ষমতা সংরক্ষণ রাখিবে।
অনুচ্ছেদ ১১-সদস্য পদ বাতিল
ক) কোন সদস্যের বিরুদ্ধে দেশ কিংবা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজ প্রমাণিত হইলে তার সদস্যপদ
বাতিল বলে গণ্য হইবে।
খ) সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
গ) মৃত্যুজনিত কারণ।
ঘ) নৈতিক স্খলনের কারণে ফৌজদারী আদালত কর্তৃ ক দণ্ডিত হইলে।
অনুচ্ছেদ ১২-পদ হতে ইস্তফা
কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য অথবা কোন সাধারণ সদস্য ইস্তফা দিলে তার কারন উল্লেখ করে সভাপতি বরাবর
কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্য অথবা কোন সাধারন সদস্য ইস্তফা দিলে তার কারণ উল্লেখ করিয়া সভাপতি
বরাবর পেশ করিতে হইবে। সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে সদস্যের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ কিংবা
বাতিল করিতে পারিবেন। অবশ্য উপদেষ্টা পরিষদের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটিলে উপদেষ্টা পরিষদই তাহার সমাধান
করিবে।
অনুচ্ছেদ ১৩- সাংগঠনিক কাঠামো
নীল দল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নলিখিত সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে গঠিত হইবে;
ক) উপদেষ্টা পরিষদ;
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ;
গ) সাধারণ পরিষদ ও
ঘ) অনুষদ ভিত্তিক গঠিত পরিষদ।
ক) উপদেষ্টা পরিষদ
“নীল দল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ এর একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। উপদেষ্টা পরিষদের
সদস্য সংখ্যা হইবে ৭ (সাত) জন। সাধারণ পরিষদ তাহার ক্ষমতাবলে প্রয়োজনে সদস্য সংখ্যা বাড়াইতে
পারিবেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ সাধারণ পরিষদ কর্তৃ ক মনোনীত হইবেন। উপদেষ্টা পরিষদ এই সংগঠনের
করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ বা দিক নির্দে শনা দিবেন।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ
“নীল দল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” এর সর্বোচ্চ সংস্থা হইবে কার্যনির্বাহী পরিষদ। সংগঠনের
সংযোজন-বিয়োজন, সংশোধন এবং সাংগঠনিক সকল নির্বাহী সিদ্ধান্তের ক্ষমতা কার্যনির্বাহী পরিষদের হাতে ন্যস্ত
থাকিবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের আকার হইবে ২১ (একু শ) সদস্য বিশিষ্ট।
“নীল দল, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়”–এর কার্যনির্বাহী কমিটির কাঠামো
ক্রমিক নং পদ বিন্যাস নিম্নরূপ সদস্য সংখ্যা
০১। সভাপতি ০১
০২। সহ-সভাপতি ০১
০৩। সাধারণ সম্পাদক ০১
০৪। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ০১
০৫। সাংগঠনিক সম্পাদক ০৩
০৬। কোষাধ্যক্ষ ০১
০৭। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ০১
০৮। দপ্তর সম্পাদক ০১
০৯। ক্রীড়া ও সাংস্কৃ তিক বিষয়ক সম্পাদক ০১
১০। বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ০১
১১। বঙ্গবন্ধু , মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ০১
১২। আইন বিষয়ক সম্পাদক ০১
১৩। কার্যনির্বাহী সদস্য ০৭
*উল্লেখ্য যে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সভাপতি ও
সাধারণ সম্পাদক (যদি নীল দল, নোবিপ্রবি মনোনীত প্যানেল হতে নির্বাচিত হন) পদাধিকারবলে নীল দল,
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বলে বিবেচিত হইবে।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
সভাপতি
তিনি সংগঠনের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হইবেন। তিনি সকল সভার সভাপতিত্ব করিবেন। এছাড়া তিনি সাধারণ
পরিষদের সভারও সভাপতিত্ব করিবেন। বিশেষ জরুরি অবস্থায় সাধারণ সম্পাদক নির্দি ষ্ট সময়ের মধ্যে সভা
আহ্বান না করিলে তিনি তা আহ্বান করিতে পারিবেন।
সহ সভাপতি
সভাপতির অবর্ত মানে সহ সভাপতিগন (ক্রমানুসারে) তাঁহার স্থলাভিষিক্ত হইয়া কাজ চালিয়ে যাইবেন।
সাধারণ সম্পাদক
সভাপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে তিনি সংগঠনের সকল সভা আহ্বান করবেন এবং সভা পরিচালনার সম্পূর্ণ
ক্ষমতা তাহার উপর ন্যস্ত থাকিবে। সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। সংগঠনের স্বার্থ
সংরক্ষণের দায়িত্ব ও প্রশাসনিক কার্যভার তাহার উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কার্যকরী পরিষদ কত্তৃ ক অর্পিত অন্যান্য
দায়িত্বও পালন করিতে হইবে। সংগঠনের নথিপত্র ও সম্পদ তাঁহার তত্ত্বাবধানে থাকিবে এবং এ ব্যাপারে তিনি
একটি রেজিস্টার খাতা রাখিবেন। সভাপতির স্বাক্ষর থাকিবে। তিনি বছরের কার্যবিবরণী প্রস্তুত করিবেন এবং তা
কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনক্রমে, তা বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করিবেন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করিবেন এবং সাধারণ
সম্পাদকের অনুপস্থিতি বা অবর্ত মানে যুগ্ম সাধারণ তাহার সকল দায়িত্ব ও কর্ত ব্য পালন করিবেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক
যুগ্ন সাধারণ সম্পাদককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করিবেন এবং তাঁর অবর্ত মানে দায়িত্ব পালন করিবেন।
কোষাধ্যক্ষ
তিনি সংগঠনের তহবিল রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন এবং বার্ষিক হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করিবেন । কার্যকরী পরিষদ ও
সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ পরিষদ কর্তৃ ক মনোনিত এক জন সিনিয়র শিক্ষক দ্বারা নিরীক্ষিত বার্ষিক
আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করিবেন। তিনি প্রয়োজনীয় খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৫০০০/= (পাঁচ হাজার) টাকা পর্যন্ত কাছে
রাখিতে পারিবেন ।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
তিনি সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের নিদের্শানুযায়ী ও কমিটির সিদ্বান্ত অনুযায়ী সংগঠনের কার্যক্রম প্রচার ও
প্রসারের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, দাতা, গোষ্ঠী ও প্রচার মাধমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করিবেন। এছাড়া বার্ষিক
প্রকাশনা/ সুভ্যেনির তৈরি / ম্যাগাজিন প্রকাশনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করিবেন।
দপ্তর সম্পাদক
তিনি সংগঠনের দপ্তর সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র, সিলমোহর বহি, প্যাডসহ অন্যান্য দাপ্তরিক উপকরণ সংগ্রহ ও
সংরক্ষণ করিবেন । তিনি সংগঠনের অফিস, আসবাবপত্র, ডকু মেন্ট, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজকর্ম তত্ত্বাবধান
করিবেন । সংগঠনের নোটিশপত্র সঠিক সময়ের মধ্যে সকল জায়গায় প্রেরণের ব্যবস্থা করিবেন । কার্যনির্বাহী
পরিষদ কর্তৃ ক প্রদত্ত অন্য যে কোন দায়িত্ব পালনে বাধ্য থাকিবেন।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃ তিক বিষয়ক সম্পাদক


সংগঠনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃ তিক কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃ তিক বিষয়ে কল্যাণমূলক কার্যক্রম
প্রণয়ন উহা বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন এবং সদস্যদের চিত্তবিনোদনের জন্য বছরে কমপক্ষে একটি ক্রীড়া ও
সাংস্কৃ তিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করিবেন।
বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার, তথ্য ও প্রযুক্তি ও মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত যে কোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।
শিক্ষা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, তথ্য ও প্রযুক্তির প্রসারে ভূ মিকা পালন করিবেন।
বঙ্গবন্ধু , মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
সংগঠনের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা বিষয়ে বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করিবেন এবং সভাপতি/
সাধারণ সম্পদককে অভহিত করিবেন। এছাড়া গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষার সংক্রান্ত যে কোন কাজ পরিচালনার দায়িত্ব
নিবেন এবং বঙ্গবন্ধু , মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষা প্রসারে ভূ মিকা পালন করিবেন।
আইন বিষয়ক সম্পাদক
তিনি সংগঠনের আইন, বিধিবিধান পতিপালিত হইতেছে কি না তা তদারক করিবেন। সংগঠনের সদস্যগণ
গঠনতন্ত্র মেনে চলিতেছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখিবেন। সংগঠন কোন আইনসংক্রান্ত নোটিশ পাইলে তা
সভাপতিকে অবহিত করিবেন।
সদস্য
সভাপতির পরামর্শ ও নির্দে শক্রমে এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্বান্ত অনুযায়ী সংগঠনের সকল কাজে অংশগ্রহণ
করিবেন। কার্যকরী সদস্যগণ সংগঠনের কার্যকরী ও সাধারণ পরিষদের সভায় উপস্থিত সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে
তাহাদের মতামত প্রদান করিবেন। সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল ও গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে কার্যকরী পরিষদ
কর্তৃ ক তাহাদের উপর অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করিবেন।
গ) সাধারণ পরিষদ
এই সংগঠনের নিবন্ধিত সদস্যণের সমন্বয়ের সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে।
ঘ) অনুষদ ভিত্তিক পরিষদ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যক অনুষদ ও ইনস্টিটিউটে ৩ (তিন) জন নির্বাচিত সদস্যের
সম্বনয়ে এই পরিষদ গঠিত হইবে।
অনুচ্ছেদ ১৪-সভার বিবরণী
ক) বার্ষিক সাধারণ সভা
প্রতিবছর একবার এ সভা অনুষ্ঠিত হইবে। সাধারণ সম্পাদক সভাপতির অনুমোদনক্রমে ৭২ ঘণ্টার জুরুরি
নোটিশে বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিবেন। এই সভার প্রস্তাব উপস্থিত সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাশ
হইবে।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা
প্রতি তিন মাস পর কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ সম্পাদক, সভাপতির সাথে পরামর্শ করিয়া
সভার আলোচ্যসূচি, তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ করিবেন। সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ৩ (তিন) দিন আগে
নোটিশ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক যে কোন সময় পরিষদের সভা আহ্বান করিবেন ।
গ) সভার কোরাম
বার্ষিক সাধারণ সভা, কার্যকরী পরিষদ সভা এবং সাধারণ সভায় সংগঠনের ১/৩ অংশ সদস্যর উপস্থিতিতে
কোরাম হবে। কোরামের অভাবে নির্দি ষ্ট তারিখে এ সভা না হলা সভা মুলতবি হয়ে যাবে এবং পরবর্তী নির্ধারিত
কোন তারিখে কোরাম সাপেক্ষে অনুষ্ঠিত হইবে ।
অনুচ্ছেদ ১৫-অনাস্থা প্রস্তাব
সংগঠনের যে কোন সদস্য কমপক্ষে ১/৩ অংশ সদস্যর লিখিত সমর্থনসহ কার্যনির্বাহী পরিষদ/পরিষদের যে কোন
সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনিতে পারিবে। এ ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব কারণসহ অবশ্যই সাধারণ সম্পাদক কিংবা
সভাপতির কাছে লিখিতভাবে পেশ করিতে হইবে।
সাধারণ সম্পাদক ১৫ দিনের মধ্যে  সংগঠনের সাধারণ সভা আহ্বান না করলে অনাস্থা প্রস্তাবকারী ও তাঁহার
সমর্থকগণ সংগঠনের সদস্যের অথবা সদস্যের ৩০ দিনের নোটিশ দিয়ে সভার আয়োজন করিবে ।
অনাস্থা প্রস্তাব বিবেচনার ক্ষেত্রে সংগঠনের মোট সদস্যের ২/৩ অংশ সদস্য কর্তৃ ক আনিত প্রস্তাব গ্রহিত হলে
কার্যকরী পরিষদ সংগে সংগে বাতিল হইয়ে যাইবে অথবা সংগঠনের সংশ্লিষ্ট সদস্য তৎক্ষনাত পদচ্যুত হইবেন
অথবা কার্যনির্বাহী পরিষদ সংগঠনের কাজ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হয় বা অক্ষমতা প্রকাশ করে তবে, এমন
পরিস্থিতিতে কার্যনির্বাহী পরিষদ বিলুপ্তু হইবে।
এমন পরিস্থিতিতে ঐ সাধারণ সভাতেই “আহবায়ক কমিটি” গঠিত হবে। তবে উক্ত আহ্বায়ক কমিটি ১ (এক)
মাসের মধ্যে সাধারণ পরিষদ কর্তৃ ক নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ গঠন করিবার ব্যবস্থা করিবেন ।
উক্ত কার্যকরী পরিষদ গঠিত হওয়ার পর “আহবায়ক কমিটি” নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী নিকট দায়–দায়িত্ব বুঝাইয়া
দিবে।
অনুচ্ছেদ ১৭-তহবিল সংগ্রহ
নিম্নলিখিত ভাবে সংস্থার তহবিল সংগ্রহ করিতে পারবেন;
ক) সদস্য নিবন্ধন ফি।
খ) সদস্য চাঁদা (যদি থাকে)।
গ) কোন বিশেষ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুদান।
ঘ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃ পক্ষের অনুদান।
ঙ) সরকারি অনুদান।
জ) সরকারের বিশেষ প্রকল্প অনুদান/ ঋণগ্রহণ।
অনুচ্ছেদ ১৮-আর্থিক ব্যবস্থাপনা
ক) সংগঠনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এলাকাস্থ বা দেশের যে কোন শিডিউল ব্যাংকে সংস্থার নামে একটি
সঞ্চয়ী/ চলতি হিসাব খুলতে হইবে।
খ) উক্ত সঞ্চয়ী/ চলতি হিসাব নম্বর সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এই তিন
জনের মধ্যে যে কোন ২ (দুই) জনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হইবে।
গ) সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে অর্থ বিষয়ক সম্পাদক চলমান খরচ নির্বাহের জন্য
৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা হস্তমজুদ রাখিতে পারিবেন। হস্তমজুদের টাকা খরচের পর তা পরবর্তী কার্যনির্বাহী
পরিষদের সভায় অনুমোদন গ্রহন করিতে হইবে।
ঘ) সকল ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং নীতিমালা অনুসরণ করা হইবে।
অনুচ্ছেদ ১৯- নির্বাচন পদ্ধতি
ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ
সাধারণ সদস্যবৃন্দের প্রস্তাবনা, সমর্থন ও গোপন ব্যালটের মাধ্যমে প্রতি বছর মে/জুন মাসে কার্য নির্বাহী পরিষদের
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
খ) মেয়াদ
দায়িত্ব গ্রহণ করার দিন হইতে পরবর্তী এক বছর মেয়াদ পর্যন্ত কার্য নির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল বলবৎ থাকবে। ১
এপ্রিল হইতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১ (এক) বছরের সময়কাল বুঝাইবে।
অনুচ্ছেদ ২০- নির্বাচন কমিশন
সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিবেন না বা সংগঠনের সদস্য নন এমন ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট
ব্যক্তির সমন্বয়ে ১ (এক) জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ২ (দুই) জনকে সদস্য করে কার্যনির্বাহী পরিষদ পরিষদ
কর্তৃ ক ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠিত হইবে। নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হইবে।
অনুচ্ছেদ ২১-ভোটের প্রণালী
এক ব্যক্তি একটি পদে একটি করে ভোট প্রদান করিবেন এবং কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাইবে না।
নির্বাচনের ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করিবেন। নির্বাচন বিষয়ে কমিশন কর্তৃ ক গৃহীত সিদ্ধান্তই
চূ ড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।
অনুচ্ছেদ ২২-গঠনতন্ত্র সংশোধন
গঠনতন্ত্রের সংশোধন, পরিবর্ত ন ও পরিবর্ধনের জন্য কোন সদস্য গঠনতন্ত্রের উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনিতে
চাহিলে কমপক্ষে ২১ (একু শ) জন মিলে লিখিত ভাবে প্রস্তাব আনিতে পারিবেন। উক্ত সংশোধনী প্রস্তাব প্রথমে
কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন করাইতে হইবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে উক্ত সংশোধনী
সংগঠনের সাধারণ সভায় ২/৩ অংশের সম্মতিক্রমে অনুমোদন করাইতে হইবে। অনুমোদিত হলে উক্ত
সংশোধনী কার্যকর বলে বিবেচিত হইবে।
অনুচ্ছেদ ২৩-বিবিধ
ক) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক উভয় পদে একাদিক্রমে মোট দু-বার বহাল থাকিলে অথবা দুই বার সভাপতি দুই
বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হইবার অধিকার হারিয়ে ফেলিবেন। ১ (এক) বছরের
অধিক সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়ক ও এডহক কমিটির সভাপতি, সাধারণ
সম্পাদকগণের মেয়াদ এক্ষেত্রে গন্য হইবে।

You might also like