You are on page 1of 4

জন্ম ও বেড়ে ওঠা:

বাঙালি সমাজ যখন ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা আর সামাজিক কু সংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল,


সেই সময় বেগম রোকেয়া বাংলার মুসলিম নারী সমাজে শিক্ষার আলো নিয়ে
এসেছিলেন। বাঙালি মুসলমান নারী জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম একজন
পথিকৃ ৎ।

বেগম রোকেয়ার পিতা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ  আবু আলী হায়দার সাবের ছিলেন দিনাজপুর
জেলার সবচাইতে প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর তাঁর মাতা রাহাতু ন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। তাঁরা
দুজনেই ছিলেন বেশ উচ্চবংশীয় এবং জমিদার শ্রেণিভু ক্ত। রোকেয়ারা ছিলেন তিন বোন ও
তিন ভাই। তৎকালীন মুসলিম সমাজে ছিল কঠোর পর্দা ব্যবস্থা। বাড়ির মেয়েরা পরপুরুষ তো
দূরে থাক, অনাত্মীয় নারীদের সামনেও নিজেদের চেহারা দেখাতে পারতো না। বেগম রোকেয়ার
বাড়িতেও শুরু থেকেই এই প্রথার চর্চা চলে আসতো। Ekarone tar shikkha labh
shombhob hoye utheni. Though Roquiah was not allowed to receive formal
education, she learnt both Bangla and English with the help of her brothers.
শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে ইব্রাহীম সাবের এবং খলিলুর রহমান ও বোন রোকেয়ার জীবনকে প্রভাবিত
করলেও তাঁর আসল লেখাপড়া শুরু হয়েছিল বিয়ের পর স্বামীর সাহচর্যে

১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকু র থানার পায়রাবন্দ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম
জমিদার পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি।
Hossain lived a caged life under the watchful eye of her parents. She
grew up in an orthodox environment that only allowed English lessons
for the men of the family and reserved Arabic lessons for women so
that they could read the Quran.
Seeing her sister Karimunnesa, who often wrote poetry, getting married off at the age of 15 solidified
Hossain’s faith in education and individual rights for women.

Mohammad Ibrahim Abul Asad Saber and Abu Zaigam Khalilur Rahman Saber, to Saint Xavier's College,
Calcutta, but Roquiah and her elder sister, Karimunnessa, were not sent to school. Though Roquiah was
not allowed to receive formal education, she learnt both Bangla and English with the help of her
brothers.
Protishtha shomuho
১৯০৯ সালের ১ অক্টোবর স্বামীর প্রদত্ত অর্থে পাঁচটি ছাত্রী নিয়ে তিনি ভাগলপুরে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস’ স্কু ল স্থাপন
করেন।

১৯১১ সালের ১৬ মার্চ কলকাতার ১৩ নং ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি বাড়িতে মাত্র আটজন ছাত্রী নিয়ে তিনি নবপর্যায়ে
‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস স্কু ল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৬ সালের মধ্যে ছাত্রীসংখ্যা একশত পেরিয়ে যায়।[১৫] স্কু ল পরিচালনা ও
সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন।

১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন।

KRITITTO

১৯২৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন

১৯৩০ সালে বঙ্গীয় মুসলিম সম্মেলনে রোকেয়া বাংলা ভাষার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন, যা সে যুগের পরিপ্রেক্ষিতে ছিলো
দুঃসাহসিক কাজ।

প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তিনি নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা


রোকেয়া তার নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন মতিচূ র প্রবন্ধসংগ্রহের প্রথম
(১৯০৪) ও দ্বিতীয় খণ্ডে (১৯২২)। সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৫), পদ্মরাগ
(১৯২৪), অবরোধবাসিনী (১৯৩১)

মতিচূ র (১৯০৪) প্রবন্ধগ্রন্থে রোকেয়া নারী-পুরুষের সমকক্ষতার যুক্তি দিয়ে


নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জ ন করে সম-
অধিকার প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানিয়েছেন

সুলতানার স্বপ্ন’র গল্পকাহিনী Rokeyar ekti Shopno theke obolombito. Tini nijeke
ekti notun prithibi te abishkar koren Jekhane narira chilo shadhin ebong
puruhsra chilo abodhdho. তাঁর মুক্ত হওয়ার হওয়ার দিকটি কল্পনা ও স্বপ্নের বেশে
”সুলতানার স্বপ্নে” বিবৃত হয়েছে। এই উপন্যাস পড়েই আমরা বুঝতে পারি নারীদের পৃথিবী
পুরুষদের পৃথিবী থেকে আলাদা কিছু নয়।
বেগম রোকেয়ার লেখা একমাত্র উপন্যাস ‘পদ্মরাগ’ নারীবাদের বিভিন্ন ভাবনার প্রতিফলনের
সাথে বাংলার লোক সংস্কৃ তির অনেক স্বাক্ষর রয়েছে।
পদ্মরাগ উপন্যাসের নায়িকা একজন নারী। সেকালে একজন নারীকে উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করাও ছিল
নতু ন ব্যাপার। নায়িকা সিদ্দিকা নারী জাগরণ, নারীশিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মযজ্ঞে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেয়।
protishtha korte cheyechen shojatto bodh o attomorjada.

বইটির মূল বিষয় পর্দা। সেখানে বেগম রোকেয়া ছোট ছোট কয়েকটি ঘটনার মাধ্যমে
তৎকালীন মহিলারা যে কেমন পর্দা মেনে চলতেন তার বর্ণনা দিয়েছে। অবরোধপ্রথার
বাড়াবাড়িকে আক্রমণ করে লিখিত।
এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনা লেখিকার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাজাত।

“কু লবালাদের অবরোধ কেবল পুরুষদের বিরুদ্ধে নহে, মেয়ে মানুষদের বিরুদ্ধেও। অবিবাহিতা
বালিকাদিগকে অতি ঘনিষ্ঠ আত্মীয়া এবং বাড়ির চাকরাণী ব্যতীত অপর কোন স্ত্রীলোক
দেখিতে পায় না। nariibadi chetonar prokash korte giye tini narider biruddheo
kotha bolechen.

মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে তাঁর পরিবার ছিল খুবই রক্ষণশীল।


আর তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় ঘরের বাইরে গিয়ে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভেরও কোন সুযোগ ছিল না।
শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে ইব্রাহীম সাবের এবং খলিলুর রহমান ও বোন রোকেয়ার জীবনকে প্রভাবিত
করলেও তাঁর আসল লেখাপড়া শুরু হয়েছিল বিয়ের পর স্বামীর সাহচর্যে
PODDORAAG – UPONNASH
MOTICHUR- PROBONDHO
Sultanar shopno golpokahini
OBORODH- UPONNASH

রোকেয়া তার নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেনঃ

রোকেয়ার দুই বোন করিমুন্নেসা এবং হুমায়রা। তিনি ছিলেন মেঝ। আর তিন ভাইয়ের মধ্যে
আবুল আসাদ শৈশবেই মৃত্যুবরণ করেন। বাকি দুইজন ভাইয়েরা হলেন ইব্রাহীম সাবের এবং
খলিলুর রহমান আবু জাইগাম সাবের।
Bortoman shomaye nari shikhkhar je shujog shubidha royeche, totkalin
shomoye ta chilona. সমাজব্যবস্থায় ঘরের বাইরে গিয়ে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভেরও কোন সুযোগ
ছিল না। Narira chilo shikhkhar alo theke bonchito. Kintu begum rokeya nari
shikhkhar gurutto onudhabon korte perechilen. কেবল চিন্তার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি
তিনি. Kormer maddhome tar chinho rekhe giyechen. তিনি
সমাজকে, নারী-পুরুষকে
একটি গাড়ির দুটি চাকার সাথে তু লনা করেছেন। একটি গাড়ির দুটি চাকা
যদি সমান না হয়, তাহলে যেমন গাড়ি চালনা অসম্ভব, তেমনি নারী পুরুষের
শিক্ষা, যোগ্যতার চাকাও যদি সমান না হয় তবে সমাজ, পরিবার নামক
গাড়িটি অচল হয়ে যাবে বলে বারংবার সতর্ক করেছেন।

Begum rokeya tar jibonkale onek shahitto rochona korechen.


Tobe tar shahitter shinhobhag ongshoi narishadhinchetonar
prokash niy.

সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপারসুশৃঙ্খলে কে পারে চালাতেরাজ্যশাসনের রীতিনীতিসূক্ষ্মভাবে রয়েছে ইহাতে।”বেগম রোকেয়া


এই কথাটি শুধু মুখেই বলেননি তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন। তাইতো নারীদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন
করতে নারীর মানবীয় সত্তার প্রতিষ্ঠা কামনা করেছেন। মুসলিম নারী সমাজের কু সংস্কারের জাল ছিন্ন করতে
এবং জড়তা দূর করতে তিনি সাহিত্যকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি বলতেন- “না জাগিলে ভারত
ললনা, এ ভারত আর জাগিবে না।” তাই তিনি তার লেখার মাধ্যমে নারীর জাগরণের জন্য লড়াই করেছেন।
বেগম রোকেয়ার মতে এই জাগরণের প্রধান শর্ত শিক্ষা। তার ভাষায় “আমরা পুরুষের ন্যায় সাম্যক সুবিধা না
পাইয়া পশ্চাতে পড়িয়া আছি।” তিনি বুঝেছিলেন শিক্ষাই হলো স্বনির্ভ রতার সোপান। তাই শিক্ষাকে তিনি জীবনের
ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত দুর্ভাগ্য, আর্থিক সমস্যা, সামাজিক বাধা, লোকনিন্দা কোনো কিছুই তাকে
এই ব্রত থেকে সরাতে পারেনি। তাইতো স্ত্রী জাতির অবনতি, অর্ধাঙ্গী, সুগৃহিনী, বোরকা, গৃহ, জাগো গো ভগিনী
প্রভৃ তি প্রবন্ধে তিনি এই শিক্ষার জয়গানই গেয়েছেন, দিয়েছেন নারী মুক্তির দীক্ষা।বেগম রোকেয়া কেবল লেখিকাই নন,
নারী জাগরণের অন্যতম অগ্রপথিক ছিলেন। তিনি ১৯০৯ সালে ১ অক্টোবর ভাগলপরে ু পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে সাখাওয়াত
মেমোরিয়াল গার্লস স্কু ল প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই তিনি একটি আন্দোলনের সৃষ্টি করেন। এই
ধারাই শিক্ষার ধারাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে তিনি ১৯১৬ সালে “আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে
ইসলাম” নামে একটি মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই বিদ্যালয় ও নারী সমিতির কাজে
তিনি নিয়োজিত ছিলেন।

মুক্তিফল গল্পে তাই বলেছেন- “কন্যারা জাগ্রত না হওয়া পর্যন্ত দেশমাতৃ কার মুক্তি অসম্ভব।”

You might also like