Professional Documents
Culture Documents
Loves and Lives Organics Ltd. (LLOL) Gulsan Valley Agro Industries Ltd.
Loves and Lives Organics Ltd. (LLOL) Gulsan Valley Agro Industries Ltd.
জনাব আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী, মিরপুর, ঢাকা কর্তৃ ক গত ২৮/১০/২০২১ তারিখের আবেদন
মারফত অভিযোগে বলেন যে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ এর চেয়ারম্যান জনাব ড.এম মোশারফ
হোসেন দুইটি কোম্পানীর (১) Loves and Lives Organics Ltd. (LLOL) এবং (২) Gulsan Valley Agro
Industries Ltd. (GVAIL) নামীয় দুটি কোম্পানীর এমডি ও পরিচালক। ফলে IDRA আইন ২০১০ এর ধারা ৭
অনুযায়ী IDRA’র সদস্য এবং চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব পালনে অযোগ্য। আয়কর রিটার্ন ফাইলে জনাব
কোম্পানীর ৪টি ফান্ডের [২টি এমপ্লয়েজ গ্রাচ্যুইটি ফান্ড ও ২টি এমপ্লয়েজ (কন্ট্রিবিউটিরি) প্রভিডেন্ট
ফান্ড] টাকা (প্রায় ৪ কোটি) শেয়ার মার্কে টে বিনিয়োগ করেছেন। Board of Trastees of Funds এর
চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেন উক্ত ০৪টি ফান্ডের অর্থ বীমা কোম্পানীতে বিনিয়োগ করায়
IDRA আইন ২০১০ এর ধারা ৭ ও ২৭ ধারা অনুযায়ী IDRA’র সদস্য এবং চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব
পালনে অযোগ্য এবং ১৪ ধারা অনুযায়ী অপসারণযোগ্য। ফান্ডগুলি Transcon Securities Ltd., NLI
Securities Ltd, Popular Life Securities Ltd. এবং UniCap Securities Ltd. এর মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা
করা হচ্ছে। ৩০/০৯/২০২১ তারিখ পর্যন্ত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি টাকা ছিল মর্মে বলেন।
2
পিটিশনার আরও দাবী করেন যে, আয়কর রিটার্ন ফাইলে দুইটি কোম্পানীকেই DORMANT / NON-
OPERATIVE দেখানোর পরও কোম্পানীর ৪টি ফান্ডের টাকা শেয়ার মার্কে টে বেআইনিভাবে বিনিয়োগ করা
হয়েছে যা আয়কর কর্তৃ পক্ষ কর্তৃ ক তদন্ত করা প্রয়োজন। তিনি কোম্পানীর ৪টি ফান্ডের টাকা শেয়ার
মার্কে টে বিনিয়োগকে মানি-লণ্ডারিং হিসেবে অবহিত করে বিষয়টি তদন্তের দাবী করেন এবং মহামান্য
হাইকোর্ট বিভাগে (১) সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (২) চেয়ারম্যান, দুদক (৩) চেয়ারম্যান, জাতীয়
রাজস্ব বোর্ড (৪) নির্বাহী পরিচালক, বিএফআইইউ, বাংলাদেশ ব্যাংক (৫) মহাপরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর
(৬) নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন), বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃ পক্ষ (৭) Loves and Lives Organics
Ltd., ঢাকা (৮) Gulsan Valley Agro Industries Ltd., ঢাকা (৯) চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাষ্টিজ, LLOL
Employees Gratuity Fund, (১০) চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাষ্টিজ, LLOL Employees (Contributory)
Provident Fund (১১) চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাষ্টিজ, GVAIL Employees Gratuity Fund (১২)
চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাষ্টিজ, GVAIL Employees (Contributory) Provident Fund (১৩) ড. এম.
মোশাররফ হোসেন, ঢাকা (১৪) জান্নাতু ল মাওয়া, ঢাকাসহ মোট ১৮ জনকে প্রতিপক্ষ করে রিট পিটিশন
পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে পিটিশনার জনাব আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী
রেসপনডেন্টদের প্রতি নির্দে শনা চেয়ে আরেকটি আবেদন (Application for direction) দাখিল
করেছেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত গত ০২/০২/২০২২ তারিখে নিম্নরুপ নির্দে শনাসহ
আদেশ প্রদান করেছেন-“ In view of the above facts and circumstances and in the interest of
3
justice, the Respondent No. 01(FID), as the appointing authority of the Respondent No.13
(Chairman, IDRA), is directed:
(a) to inquire and verify whether the Respondent Nos.09 to 12’s Funds, of which the
Respondent No.13 being the Chairman, has in fact made investments in insurance
companies while the Respondent No.13 was first Member and then Chairman of the
Respondent No.06 Authority;
(b) to inquire and verify whether PLI asset Management Company Ltd., of which the
Respondent No.07 being a shareholder , has made investments in insurance companies
while the Respondent No.13 was first Member and then chairman of the Respondent
No.06 Authority; and
(c) to submit a report to this Court upon such inquiry informing whether any action has
been taken in terms of Section 14 of the Insurance Development & Regulatory Act,
2010 against the Respondent No.13.
The Respondent No.01 is directed to submit the report in respect of the above noted
matters before this court by way of affidavit on or before 17.04.2022 positively and
without fail.”
4
২। তদন্তের ক্ষমতাঃ
জনাব আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী, হাউজ নং-৯৫১/১, রোড-ইষ্ট মিরপুর, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
কর্তৃ ক মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দাখিলকৃ ত তথ্য মতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান
জনাব ড. এম মোশাররফ হোসেন দুইটি কোম্পানী (১) Loves and Lives Organics Ltd এবং (২)
Gulshan Vally Agro Industries Ltd. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক। তিনি এ দু’টি
কোম্পানীর ০৪টি ফান্ডের [০২টি এমপ্লয়ীজ গ্র্যাচ্যুইটি ফান্ড ও ০২টি এমপ্লয়ীজ (কন্ট্রিবিউটরী) প্রভিডেন্ট
ফান্ড] প্রায় ০৪.০০ কোটি টাকা বীমা কোম্পানীতে বিনিয়োগ করায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ
আইন ২০১০ এর ০৭ ও ২৭ ধারা অনুযায়ী কর্তৃ পক্ষের সদস্য এবং চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব পালনে
অযোগ্য এবং ১৪ ধারা অনুযায়ী অপসারণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে রেসপনডেন্ট
করে রিট পিটিশন নং-৯৯২০/২০২১ দায়ের করেন। পরবর্তীতে তিনি এর রেসপনডেন্টদের প্রতি নির্দে শনা
চেয়ে আরেকটি আবেদন (Application for direction) দাখিল করলে উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে
মহামান্য আদালত গত ০২/০২/২০২২ তারিখে নিম্নরুপ নির্দে শনাসহ আদেশ প্রদান করেছেন- “ In view
of the above facts and circumstances and in the interest of justice, the Respondent No.
01(FID), as the appointing authority of the Respondent No.13 (Chairman, IDRA), is
directed:
(a) to inquire and verify whether the Respondent Nos.09 to 12’s Funds, of which the
Respondent No.13 being the Chairman, has in fact made investments in insurance
companies while the Respondent No.13 was first Member and then Chairman of the
Respondent No.06 Authority;
(b) to inquire and verify whether PLI Asset Management Company Ltd., of which the
Respondent No.07 being a shareholder, has made investments in insurance companies
5
while the Respondent No.13 was first Member and then chairman of the Respondent
No.06 Authority; and
(c) to submit a report to this Court upon such inquiry informing whether any action has
been taken in terms of Section 14 of the Insurance Development & Regulatory
Authority Act, 2010 against the Respondent No.13.
The Respondent No.01 is directed to submit the report in respect of the above noted
matters before this court by way of affidavit on or before 17.04.2022 positively and
without fail.”
মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের ০২/০২/২০২২ তারিখের উক্ত ০৩টি বিষয়ে আদেশ/নির্দে শনার পরিপ্রেক্ষিতে
বিষয়টি তদন্তের জন্য ০১ নং রেসপন্ডেন্ট সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ
জনাব মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লা, অতিরিক্ত সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ-কে আহ্বায়ক এবং
জনাব মৃত্যুঞ্জয় সাহা, যুগ্মসচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ-কে সদস্য করে ০২ (দুই) সদস্য বিশিষ্ট একটি
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ০৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়।
তদন্তাধীন বিষয়গুলোর মধ্যে শেয়ারে বিনিয়োগের বিষয় থাকায় কমিটির অনুরোধক্রমে এ বিভাগের বীমা
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সাইফু র রহমান কে কমিটির
সদস্য হিসেবে অন্তর্ভু ক্ত করা হয়। কমিটির পূর্ণাঙ্গ কাঠামো নিম্নরূপ:
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃ ক তদন্ত কমিটিকে ০৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের
জন্য সময়সীমা অর্থাৎ ০৬/৪/২০২২ তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে তদন্ত কার্যক্রমের
ব্যাপকতা বিবেচনায় কমিটি কর্তৃ ক এ তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত আরও
০১ (এক) মাস সময় বৃদ্ধির আবেদন করলে, মহামান্য আদালতের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক আর্থিক প্রতিষ্ঠান
কার্য দিবস অর্থাৎ ০৬/০৪/২০২২ পর আরো ০১ (এক) মাস অর্থাৎ ০৬/৫/২০২২ তারিখ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি
করে। উক্ত প্রতিবেদন ০৬ মে ২০২২ তারিখের মধ্যে দাখিল করার কথা থাকলেও ০৬ ও ০৭ মে ২০২২
তারিখ ০২ (দুই) দিন সপ্তাহিক ছুটি থাকায় প্রতিবেদনটি ০৮ মে ২০২২ তারিখেরর মধ্যে দাখিল করার
বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
7
৩. তদন্ত পদ্ধতি:
গত ৩০ মার্চ ২০২২ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃ ত রিট পিটিশন নং৯৯২০/২০-২১ হতে
উদ্ভু ত ০২/০২/২০২২ তারিখের আদেশ/নির্দে শনার প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত সভায় তদন্ত কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে তদন্ত পদ্ধতি ও কর্মকৌশল নির্ধারণ করেন। ১৭/৪/২০২২
তারিখে ২য় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ৩/৪/২০২২ তারিখে পিটিশনারের এবং ৪/৪/২২ তারিখে ১৩ নং
মৌখিক বক্তব্য গ্রহণ করা হয় এবং বক্তব্য সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হয়। অতঃপর পিটিশনার এবং
১৩ ও ১৪ নং রেসপন্ডেন্টগণের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য এবং তাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত কাগজপত্রাদি
রেসপন্ডেন্ট কর্তৃ পক্ষের (বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ) প্রথমে সদস্য ও পরে চেয়ারম্যান
থাকাকালীন ৯-১২ নং রেসপন্ডেন্ট এর ফান্ড বীমা কোম্পানীতে প্রকৃ তপক্ষে বিনিয়োগ করেছেন
কিনা?
(বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ) প্রথমে সদস্য ও পরে চেয়ারম্যান থাকাকালীন ৭ নং
রেসপন্ডেন্ট (Loves and Lives Organics Ltd.) এর একজন শেয়ারহোল্ডার হয়ে PLI Asset
Management Company Ltd. কর্তৃ ক বীমা কোম্পানীতে প্রকৃ তপক্ষে বিনিয়োগ করেছেন
কিনা?
8
উল্লিখিত বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে নিবন্ধক, যৌথমূলধনী কোম্পানী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)
Loves & Lives Organics Ltd. এর ২০১৭ হতে অদ্যাবধি ও Gulshan Vally Agro Industries Ltd. এর
২০১৮ হতে অদ্যাবধি পরিচালনা পর্ষদ ও মালিকানা সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড
আর্টি কেলস অব এসোসিয়েশনের কপি চাওয়া হলে নিবন্ধক, যৌথমূলধনী কোম্পানী ও ফার্মসমূহের
নং স্মারকে উল্লিখিত তথ্যাদি প্রেরণ করেন [সংযুক্তি- ২২ (আরজেএসসি হতে প্রাপ্ত পত্র-২২ পাতা)]।
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর নিকট তদন্ত কমিটির
(Flat no. B/2, 980/5/A, East Shewrapara, Kafrul, Dhaka-1216) এর ০২টি ফান্ড (ক) LLOL Employees
Gratuity Fund ও (খ) LLOL Employees (Contributory) Provident Fund এর টাকা ২০১৭ হতে অদ্যাবধি
এবং Gulshan Vally Agro Industries Ltd. (Flat no. B/2, 980/5/A, East Shewrapara, Kafrul, Dhaka-1216)
এর ০২টি ফান্ড (ক) GVAIL Employees Gratuity Fund ও (খ) GVAIL Employees (Contributory)
Provident Fund এর টাকা ২০১৮ হতে অদ্যাবধি কোন কোন তারিখে কোন কোন কোম্পানী/প্রতিষ্ঠানের
শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং ২০১৯ হতে অদ্যাবধি Loves & Lives Organics
Ltd. এর কতটি শেয়ার PLI Asset Management Company Ltd. এর মাধ্যমে লেন-দেন হয়েছে তার
তথ্যাদি চাওয়া হলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাদের ১৩/৪/২০২২
পরিচালক, লাভস অ্যান্ড লাইভস অর্গানিক লি: ও গুলশান ভ্যালী এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রীজ লিঃ বরাবর
পিটিশনে বর্ণিত ঠিকানায় (ফ্ল্যাট নং-বি/২, ৯৮০/৫/এ, পূর্ব শেওড়াপাড়া, কাফরুল, ঢাকা-১২১৬) এ
বিভাগের বার্তাবাহক মারফত প্রথমে ১১/৪/২০২২ তারিখে এবং পরে ১৩/৪/২০২২ তারিখে প্রতিষ্ঠালগ্ন
হতে অদ্যাবধি তাদের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও মালিকানা সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি (মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড
আর্টি কেলস অব এসোসিয়েশনসহ) এবং উক্ত দু’টি কোম্পানীর ০৪টি ফান্ড যথাক্রমে (ক) LLOL
Employees Gratuity Fund, (খ) LLOL Employees (Contributory) Provident Fund, (গ) GVAIL
Employees Gratuity Fund ও (ঘ) GVAIL Employees (Contributory) Provident Fund এর ট্রাষ্টি
বোর্ড ও ট্রাষ্ট্রি বোর্ডে র চেয়ারম্যান, পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মালিকানা সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি
চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হলে বার্তাবাহক “ঠিকানামতে প্রাপক-কে খুঁজে পাওয়া যায় নি” মর্মে উল্লেখ করে
পরবর্তীতে ১৩ নং রেসপন্ডেন্ট এর নিকট থেকে তাদের আবাসিক ঠিকানা (ফ্ল্যাট নং-এ/২, বাড়ী নং-৭,
৫৩.০০.০০০০.৩০০.২৭.০০১.২২-১৯ নং স্মারকমূলে উপরে বর্ণিত তথ্যাদি চেয়ে পুনরায় পত্র প্রেরণ করা
হলে তাঁরা ২১/০৪/২০২২ তারিখে বক্তব্য প্রদানকালে উক্ত যাবতীয় তথ্যাদি সরবরাহ করেন।
তদন্ত কমিটি কর্তৃ ক উপসচিব, বীমা অধিশাখা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এর নিকট
হোসেন কত তারিখ হতে কত তারিখ পর্যন্ত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের সদস্য পদে নিয়োজিত
ছিলেন এবং এ পদে নিয়োগ প্রাপ্তির সময় তিনি কি কি কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন এবং তিনি কত
10
তারিখ হতে কত তারিখ পর্যন্ত একই কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন এবং এ পদে
নিয়োগের সময় তিনি কি কি কাগজপত্রাদি দাখিল করেছিলেন সে সংক্রান্ত তথ্যাদি জানতে চাওয়া হলে
করেন [সংযুক্তি- ২৩ ( IDRA’র সদস্য ও চেয়ারম্যান পদে যোগদান সংক্রান্ত কাগজপত্র- ১৮ পাতা)]।
নিবন্ধক, যৌথমূলধনী কোম্পানী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর, টিসিবি ভবন, ০১ কাওরান বাজার, ঢাকা এর
নিকট PLI Asset Management Company Ltd. Holding No. 9-E, 8 th floor, Motijheel C/A, Dhdka
এর ২০১৯ হতে অদ্যাবধি পরিচালনা পর্ষদ ও মালিকানা সংক্রান্ত তথ্যাদি এবং মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড
আর্টি কেলস অব এসোসিয়েশনের কপি চাওয়া হলে নিবন্ধক, যৌথমূলধনী কোম্পানী ও ফার্মসমূহের
তদন্ত কমিটির অনুষ্ঠিত সভাসমূহে তদন্ত কাজের অগ্রগতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয় নির্ধারণ করা হয় এবং
কমিটি কর্তৃ ক উপরে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানসমূহের নিকট থেকে চাহিদাকৃ ত প্রাপ্ত তথ্যাদি
৪। তদন্ত প্রতিবেদন
(১) তদন্তে বিবেচ্য বিষয়:
11
রেসপনডেন্ট কর্তৃ পক্ষের (বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ) প্রথমে সদস্য ও পরে চেয়ারম্যান
করেছেন কিনা ?
রেসপনডেন্ট (Loves and Lives Organics Ltd.) এর একজন শেয়ারহোল্ডার হয়ে PLI
Asset Management Ltd. কর্তৃ ক বীমা কোম্পানীতে প্রকৃ তপক্ষে বিনিয়োগ করেছেন কিনা ?
12
আলোচনার সুবিধার্থে তদন্তে উল্লিখিত ০২ টি বিবেচ্য বিষয়কে এক সাথে গ্রহণ করা হলো।
রিট পিটিশন ৯৯২০/২০২১ এর পিটিশনার জনাব আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী গত
০৩/০৪/২০২২ তারিখ লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ-এর চেয়ারম্যান ড.
এম মোশাররফ হোসেন কর্তৃ ক তথ্য-গোপন, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, আইন ও বিধি
বহিঃর্ভূ ত বিনিয়োগ, মানিলন্ডারিং বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে র আদেশের সুষ্ঠু তদন্ত এবং জাল-
জালিয়াতির মাধ্যমে বেআইনী সুবিধা গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে পিটিশনার লিখিত বক্তব্য [(সংযুক্তি-১
তিনি (পিটিশনার) উল্লেখ করেন যে, ড. এম মোশাররফ হোসেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে বীমা উন্নয়ন
ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি
কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ইতিপূর্বে তিনি গত ০৯/০৫/২০১৭ তারিখে “লাভস এন্ড লাইভস
অর্গানিকস লিঃ” এবং গত ১২/০১/২০১৮ তারিখে “গুলশান ভ্যালী এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ” নামে দুটি
কোম্পানী রেজিঃ অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে ইনকর্পোরেট করেন [সংযুক্তি -২ (RJSC এর নিবন্ধন- ৬
পাতা)] এবং এই দুই কোম্পানীতে ড. এম. মোশাররফ হোসেন নিজেই ডাইরেক্টর ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর
হিসেবে এবং তার স্ত্রী জান্নাতু ল মাওয়া-কে ডাইরেক্টর হিসেবে দেখিয়ে উক্ত কোম্পানী দুটি প্রতিষ্ঠা করেন,
যা তার ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ণেও উল্লেখ করেন। কিন্তু তিনি (ড. এম. মোশাররফ হোসেন) উল্লেখিত
13
দুইটি কোম্পানীর ডাইরেক্টর ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে বীমা উন্নয়ন
পরবর্তীতে জানতে পারেন, “লাভস এন্ড লাইভ অর্গানিকস লিঃ” (LLOL) এবং “গুলশান ভ্যালী
এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ” (GVAIL) কোম্পানী দুটির প্রতিটির নামে ১টি করে এমপ্লয়ীজ গ্রাচু ইটি ফান্ড ও
১টি করে এমপ্লয়ীজ (কন্ট্রিবিউটরি) প্রভিডেন্ট ফান্ড (মোট ৪টি ফান্ড) গঠন করে ঐ সকল ফান্ডের টাকা
শেয়ার মার্কে টে বিনিয়োগ করেন। ড. এম মোশাররফ হোসেন নিজেই উল্লিখিত ৪টি ফান্ডের বোর্ড অব
ট্রাষ্টির চেয়ারম্যান হিসেবে [সংযুক্তি -৩ (এনবিআর কর্তৃ ক ফান্ড অনুমোদন-৪ পাতা)] বর্ত মানে নিযুক্ত
আছেন। লাভস এন্ড লাইভ অর্গানিকস লিঃ কোম্পানীর আয়কর রিটার্ণে কোম্পানী কোন ব্যবসা শুরু
করেন নাই মর্মে উল্লেখ করা হলেও কোম্পানী দুটির নামে ৪টি ফান্ড গঠন করে শেয়ার মার্কে টে ৪ কোটি
টাকার উপরে বিনিয়োগ করা হয়েছে (২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী)। ফান্ডগুলোর বিও
একাউন্টে তিনি তার নাম বা ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর বা ই-মেইল এড্রেস বা ঠিকানা ব্যবহার করেছেন
এবং ঐ সকল বিও একাউন্টগুলোর ব্যাংক হিসাবগুলি তিনি (ড. এম. মোশাররফ হোসেন) নিজেই
পরিচালনা করেন। এমনকি তিনি কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় ২৪/০২/২০২১ তারিখে GVAIL এর
দুটি ফান্ডের মোবাইল নং পরিবর্ত ন করার সময় নিজেকে আবারো ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান
হিসেবে উল্লেখ করে স্বাক্ষর করেন। এতেই প্রতিয়মান হয় যে তিনি (ড. এম. মোশাররফ হোসেন)
কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান থাকাকালীন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ এর ৭(৩)(খ) ধারার
লংঘন করে তার এই ফান্ডের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখেন
কোম্পানী দুটি যদি কোনো ব্যবসা শুরুই করে না থাকে তাহলে ৪টি ফান্ডে টাকা কোথা থেকে আসল এবং
ফান্ডের নামে এতো টাকা কিভাবে বিনিয়োগ করেন মর্মে বলেন। ট্রাষ্ট এ্যাক্ট ১৮৮২ এর ধারা ২০বি অনুযায়ী
14
যে কোন ফান্ড থেকে ক্যাপিটাল মার্কে টে সর্বোচ্চ ২৫% বিনিয়োগ করা যায়। ক্যাপিটাল মার্কে টে ৪ কোটি
টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে মূল ফান্ডের পরিমাণ কমপক্ষে ১২ কোটি টাকা থাকা উচিত (কোন
কর্মকর্তা/কর্মচারীর মাসিক বেতনের সর্বোচ্চ ১০% হিসেবে প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্ত ন হলে) যার মানে
কোম্পানী দুটির এমপ্লয়ীজ বাৎসরিক সেলারী কমপক্ষে ১২০ কোটি টাকা থাকা উচিত, সে মোতাবেক ঐ
কোম্পানী দুটির বাৎসরিক টার্ণওভার হওয়া উচিত ৬শ থেকে ১২শ কোটি টাকা। এছাড়াও এত টাকা
বেতন পরিশোধিত হয়ে থাকলে ঐসকল কর্মকর্তার বেতনের বিপরীতে উৎসে কর কর্ত ন করত: নির্দি ষ্ট
ইনকাম ট্যাক্সেস সার্কে লে জমা প্রদানের প্রমাণও থাকতে হবে মর্মে বলেন।
গত ৩০/০৯/২০২১ তারিখে LLOL এমপ্লয়ীজ গ্রাচু ইটি ফান্ডের বিও একাউন্টে ১ কোটি টাকার উপরে
এবং LLOL এমপ্লয়ীজ (কন্ট্রিবিউটরী) প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিও একাউন্টে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার
উপরে শেয়ার ছিল। অপর দুই ফান্ড GVAIL এমপ্লয়ীজ গ্রাচু ইটি ফান্ডের বিও একাউন্টে ৭০ লক্ষ টাকার
উপরে এবং GVAIL এমপ্লয়ীজ (কন্ট্রিবিউটরী) প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিও একাউন্টে ৯৭ লক্ষ টাকার
উপরে শেয়ার ছিল। সর্বমোট ৪টি ফান্ডে শেয়ার মার্কে টে বিনিয়োগ ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকার
উপরে। ইহা ছাড়া LLOL এমপ্লয়ীজ গ্রাচু ইটি ফান্ডের ব্যাংক একাউন্টেই গত ১৭/১০/২০২১ তারিখ পর্যন্ত
বিপুল পরিমান টাকার লেনদেন হয়েছে। অন্য ব্যাংক একাউন্টেও একই অবস্থা। এই ফান্ড এবং ব্যাংক
একাউন্টগুলো মুলত মানিলন্ডারিং ও অবৈধ সম্পদ লুকানোর একটি চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে
আসছে। ইহা ছাড়াও এলিজেবল ইনভেস্টর (EI) হিসেবে উল্লিখিত ৪টি ফান্ডের বিও একাউন্টের মাধ্যমে
২০১৮ হতে অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ইনসিওরেন্স কোম্পানী সহ বিভিন্ন কোম্পানীর আইপিওতে বিডের
মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে [সংযুক্তি-৪ (বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য- ১ পাতা)] এবং সেকেন্ডারি শেয়ার
মার্কে টে রীতিমত বীমা কোম্পানীর শেয়ারেও বিনিয়োগ করেন [সংযুক্তি- ৫ (বীমা কোম্পানীতে বিনিয়োগ-
15
১ পাতা] যা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ এর ৭(৩)(খ) ও ২৭ ধারা অনুযায়ী বেআইনী
উল্লিখিত বিষয়গুলি ২৮/১০/২০২১ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, দুর্নীতি
দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে র চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স
পত্রের মাধ্যমে অবগত করার পর পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্টে র নজরে এনে তিনি জনস্বার্থে একটি রীট
পিটিশন (9920/2021) দায়ের করলে গত ০৯/১১/২০২১ তারিখে শুনানী শেষে মহামান্য হাইকোর্টে র দ্বৈত
বেঞ্চ উপরোক্ত বিষয়ে রুল ইস্যু ও নির্দে শনা প্রদান করেন। “বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান
ড. এম মোশাররফ হোসেন এর বিরুদ্ধে দুটি কোম্পানীর নামে ২টি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ২টি গ্রাচু ইটি ফান্ড
গঠন পূর্বক আইন ও বিধি বহির্ভূ তভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং-এর
অভিযোগে কেন তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না” মর্মে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি
রুল ইস্যু করা হয়েছে। সেই সাথে মহামান্য হাইকোর্ট অভিযোগটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি-পূর্বক
সিদ্ধান্তটি রিট আবেদনকারীকে অবহিত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল
মারফত প্রথম পত্রে তাকে ড. এম. মোশাররফ হোসেন এর বিষয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২
অনুযায়ী BFIU কর্তৃ ক ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়টি জানায় এবং একই সাথে
প্রেরিত দ্বিতীয় পত্র মোতাবেক জনাব ড. এম. মোশাররফ হোসেন ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান
কর্তৃ ক মানিলন্ডারিং অপরাধ সংঘটন সম্পর্কি ত অধিকতর তথ্য সরবরাহের জন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ
বিধিমালা, ২০১৯ এর ২১ বিধির আওতায় তাকে অনুরোধ করেন। তার সংগ্রহে থাকা তথ্যাদি বাংলাদেশ
16
করেছেন এবং গত ৩০/০১/২০২২ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনেও সরবরাহ করেন। ড. এম মোশাররফ
হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তা হয়েও বেআইনীভাবে দুটি কোম্পানী গঠন করে পুঁজিবাজারে অবৈধ
অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে শেয়ার ব্যবসা করা ও মানিলন্ডারিং করার অভিযোগের বিষয়টি দুর্নীতি দমন
তিনি (পিটিশনার) আরও বলেন যে, লাভস এন্ড লাইভস অরগানিকস লিমিটেড (LLOL) ব্যবসা শুরু
না করলেও উপরোক্ত ফান্ড ২টিতে অবৈধ বিনিয়োগ ছাড়াও তার নিয়ন্ত্রনাধীন পপুলার লাইফ ইনসিওরেন্স
কোম্পানীর সাবসিডিয়ারী কোম্পানী “পিএলআই এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড” (RJSC REG. NO.
C-150173, REG. DATE 19-FEB-19) নামক একটি প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তা পরিচালক (Sponsor Director)
হিসেবে লাভস এন্ড লাইভস অরগানিকস লিমিটেড পাঁচ লক্ষ শেয়ারের বিপরীতে প্রতিটি ১০ টাকা হারে
৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা বিনিয়োগ করেছেন [সংযুক্তি- ৬ (পিএলআইতে বিনিয়োগ- ৪ পাতা
)]। একজন রেগুলেটর হয়ে তিনি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ এর ২৭ ধারা এবং ৭(৩)
(খ) লংঘন করে কর্তৃ পক্ষের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রাইভেট কোম্পানীর সাথে কোন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান
গঠন করতে পারেন না। কিন্তু তিনি তা করেছেন বিধায় এই আইনের ১৪(১)(গ)(ঘ)(ঙ) ধারা অনুযায়ী তিনি
লিমিটেড-এর উল্লেখিত ব্যাংক স্টেটমেন্টেও খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এতে লাভস এন্ড লাইভস
অরগানিকস লিমিটেড-এর আরো কোন ব্যাংক একাউন্ট আছে, নতু বা অবৈধ নগদ টাকার মাধ্যমে এই
বিনিয়োগ করেছেন। তাই এই সন্দেহজনক লেনদেন Suspicious Transaction Report এর অন্তর্ভূ ক্ত যা
তার মতে সুস্পষ্টভাবে মানিলন্ডারিং। এতদ প্রেক্ষিতে উপরোক্ত তথ্যাদির সমর্থনে পিএলআই এ্যাসেট
ডাইরেক্টরস (Form XII), Schedule-X এবং লাভস এন্ড লাইভস অরগানিকস লিমিটেড এর ব্যাংক
স্ট্যাটমেন্টের কপি সংযুক্ত করা হলো, যা তিনি (পিটিশনার) গত ১৬/০১/২০২২ তারিখে বাংলাদেশ
ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (BFIU) বরাবর এবং ৩০/০১/২০২২ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন
মহামান্য হাইকোর্টে র বর্ণিত ০২/০২/২০২২ তারিখের বিজ্ঞ আদেশের পরবর্তীতে তিনি আরো জানতে
পারেন যে, ড. এম মোশাররফ হোসেন গত ১৮/০৯/২০১৭ তারিখে “ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্স
লিমিটেড” এর নামে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন ব্রাঞ্চে ঐ কোম্পানীর তৎকালীন
পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এর যোগসাজশে একটি যৌথ ব্যাংক একাউন্ট (নং ৪০০১ ১১১০০০
১৬৭১৯) খুলেন। এই ব্যাংক একাউন্টে ড. এম মোশাররফ হোসেন নিজেকে ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফ
ইনসুরেন্স লিমিটেড এর ম্যানেজার হিসেবে উল্লেখ করেন। তারপর এই ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে তিনি
“ট্রান্সকন সিকিউরিটিজ লিমিটেড” নামের ব্রোকারেজ হাউজে একটি বিও একাউন্ট (বিও আইডি
জালিয়াতি এবং প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারী (Eligible Institutional Investor) হিসেবে
শেয়ার মার্কে টে অবৈধ ও বিধি-বহিঃর্ভূ ত বিনিয়োগ করে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করেন, যা দন্ডবিধি ১৮৬০,
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, দুর্নীতি দমন আইন ১৯৪৭ মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ এর সরাসরি লংঘন বিধায় এই আইনের ১৪(১)(ঙ) ধারা
অনুযায়ী অপসারনযোগ্য অপরাধ। উল্লেখ্য যে, উক্ত বিও আইডিতে যোগাযোগকারী (Contact Person)
হিসেবে মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এর নাম উল্লেখ থাকলেও মোবাইল নং ০১৭১৪০৪৮০১২ এবং জন্মতারিখ
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের সদস্য হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি ১৪/১২/২০১০ হতে
০৩/০৪/২০১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রাইম ফিনান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (মার্চে ন্ট ব্যাংক) এর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। উল্লেখ্য, কোন ব্যাংকে কোম্পানীর নামে একাউন্ট খুলতে গেলে ঐ
কোম্পানীর ট্রেড লাইসেন্স, কোম্পানীর নিবন্ধন সার্টি ফিকেট, মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টি কেলস অব
এসোসিয়েশন, পার্টি কু লার্স অব ডাইরেক্টরস (FORM XII), কোম্পানী এবং পরিচালকদের TIN সার্টি ফিকেট,
বোর্ড রেজুলেশন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ডকু মেন্টসের প্রয়োজন হয়। যেহেতু ড. মোশাররফ হোসেন উক্ত
প্রতিষ্ঠানের কেউ নন, সেহেতু উল্লেখিত বিষয়গুলো তদন্ত করলে তার জাল-জালিয়াতির আসল তথ্য
পরবর্তীতে ড. এম মোশাররফ হোসেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের সদস্য হবার পরে বিষয়টি জানা
জানি হলে ২২/০১/২০১৯ তারিখে উক্ত ব্যাংক একাউন্টটি তিনি বন্ধ করে দেন এবং বন্ধ করার সময়
পরবর্তীতে তিনি (ড. এম. মোশাররফ হোসেন) তার নিজস্ব মালিকানাধীন কোম্পানী লাভস এন্ড
লাইভস অরগানিকস লিমিটেড (LLOL)-এ ২৭/০১/২০১৯ তারিখে নগদায়ন করেন। মিথ্যা তথ্য প্রদান ও
সুস্পষ্টভাবে মানিলন্ডারিং এবং তিনি তার (ড. এম. মোশাররফ হোসেন) পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার
করেন যা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ এর ১৪(১)(ঙ) ধারার লংঘন মর্মে বলেন।
সরকারের সাথে চু ক্তিভিত্তিক কোন পদ বা চাকু রীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি শর্ত হলো চু ক্তিতে
আবদ্ধ ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে পূর্বাপর সকল লাভজনক কর্মসূত্র পরিত্যাগ করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে
করেননি এবং তথ্য গোপন করে তার লাভজনক ব্যবসায়িক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন মর্মে বলেন।
19
উল্লেখিত বিবরণের আলোকে পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিনি “লাভস এন্ড লাইভস
অর্গানিকস লিঃ” এবং “গুলশান ভ্যালী এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ” নামক দুটি কোম্পানী গঠন করার পর
তথ্য গোপন করে কর্তৃ পক্ষের সদস্য ও চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন
২০১০ এর ৭(৩)(খ) ধারার লংঘন করেন। কর্তৃ পক্ষ আইনের ১৪(১)(গ) ধারা অনুযায়ী তাকে চেয়ারম্যান
উল্লেখিত কোম্পানী ২টিতে ৪টি ফান্ড গঠন করে চেয়ারম্যান পদের অপব্যবহার করার মাধ্যমে
পুঁজিবাজারে বীমা কোম্পানীর শেয়ারে আইন ও বিধি-বহির্ভূ তভাবে বিনিয়োগ করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ
কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ এর ৭(৩)(খ) এবং ২৭ ধারার লংঘন করায় ঐ আইনের ১৪(১)(গ), (ঘ) ও (ঙ)
ধারা মতে তাকে কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান পদ হতে অবিলম্বে অপসারণ করার কথা বলেন।
কোম্পানী”তে লাভস এন্ড লাইভস অর্গানিকস লিঃ এর নামে বিনিয়োগের মাধ্যমে বীমা উন্নয়ন ও
নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ এর ১৪(১)(গ), (ঘ) ও (ঙ) ধারা অনুযায়ী তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে
জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে “ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্স লিমিটেড” এর নামে ব্যাংক একাউন্ট ও বিও
একাউন্ট খুলে যোগ্য বিনিয়োগকারীর বেআইনী সুবিধা গ্রহন সংক্রান্ত তথ্য, পরবর্তীতে ট্রাষ্ট ইসলামী
লাইফ ইনসুরেন্স লিমিটেড এর ব্যাংক একাউন্ট থেকে লাভস এন্ড লাইভস অর্গানিকস লিমিটেড এর
ব্যাংক একাউন্টে পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করেন যা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন
২০১০ এর সরাসরি লংঘন বিধায় এবং এই আইনের ১৪ (১) (গ), (ঘ) ও (ঙ) ধারা অনুযায়ী তাকে
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ ছাড়াও পদের অপব্যবহার করে তিনি দন্ডবিধি ১৮৬০,
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, দুর্নীতি দমন আইন ১৯৪৭, ট্রাষ্ট এ্যাক্ট ১৮৮২ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য
অপরাধ সংঘটন করেছেন বিধায় উল্লেখিত আইনসমূহের আওতায় শাস্তিসহ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ
কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ এর সরাসরি লংঘন বিধায় এই আইনের ১৪ (১) (গ), (ঘ) ও (ঙ) ধারা অনুযায়ী
পিটিশনার গত ০৩/০৪/২০২২ তারিখ তদন্ত কমিটির নিকট উক্ত লিখিত বক্তব্যে দাখিল করেন।
পরবর্তীতে পিটিশনার গত ১৮/০৪/২০২২ তারিখে কু রিয়ার সার্ভি সে আরো কিছু টাইপকৃ ত তথ্য প্রেরণ
করেন। সেখানে জনাব আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী বলেন, ড. এম মোশাররফ হোসেন নাম
সর্বস্ব যে দুটি কোম্পানী গঠন করেন সেগুলোর গত ৫ই এপ্রিল ২০২২ তারিখের রেজিষ্টার অব জয়েন্ট
স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস (RJSC) কর্তৃ ক FORM-XII এর সর্বশেষ সার্টি ফাইড কপির তথ্য অনুযায়ী
তিনি এখনো উক্ত কোম্পানী দুটির ডাইরেক্টর এবং ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে বহাল আছেন [সংযুক্তি-
তিনি উক্ত কোম্পানী দুটির প্রতিটির নামে ২টি করে মোট ৪টি ফান্ড গঠন করেন এবং নিজে ঐ
ফান্ডগুলির ট্রাস্ট্রি বোর্ডে র চেয়ারম্যান হিসেবে ফান্ড সমূহের নামে ব্যাংক একাউন্ট ও বিও একাউন্ট খুলে
শেয়ার মার্কে টে কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় আইন ও বিধি বহির্ভূ তভাবে বীমা কোম্পানীর শেয়ারে
বিনিয়োগ করেন। বীমা কোম্পানীর আইপিও-তেও তিনি ঐ ফান্ডগুলির নামে যোগ্য বিনিয়োগকারী
কোটায় অত্যধিক মুনাফা অর্জ নের অনৈতিক সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে আইপিও আবেদন করে শেয়ার
বরাদ্দ পান। বীমা কোম্পানীতে তার শেয়ার লেন-দেনের তথ্য বিশ্লেষন করলে নিম্নরূপ মর্মে উল্লেখ করেন-
(১) লাভস এন্ড লাইভস অর্গানিকস লিমিটেড এমপ্লয়ীজ কন্ট্রিবিউটরী প্রভিডেন্ট ফান্ড –
21
লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর ৫,০০০টি শেয়ার ক্রয় করেন, যার ক্রয়মূল্য ছিল আনুমানিক
১,৫৮,৫০০ টাকা। ৭ জুন, ২০২১ তারিখে ১৩,০০০টি এবং ২১ জুন ২০২১ তারিখে ২১,৫০০টি,
মোট ৩৪,৫০০টি ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় করেন, যার ক্রয়মূল্য ছিল
আনুমানিক ৩৮,৯৮,৬৫০ টাকা। এছাড়া সেনা কল্যাণ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর আইপিও-তে বিড
মূল্য শেয়ার প্রতি ১০টাকা হারে ১,২৮,০০০টি শেয়ারের জন্য ১২,৮০,০০০ টাকার আবেদন করেন
(২) লাভস এন্ড লাইভস অর্গানিকস লিমিটেড এমপ্লয়ীজ গ্রাচু ইটি ফান্ড –
ইনসিওরেন্স কোম্পানীর ৪,২০০টি শেয়ার ক্রয় করেন যার ক্রয়মূল্য ছিল আনুমানিক ৪,৭৪,১৮০
টাকা। এছাড়া সেনা কল্যাণ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর আইপিও-তে বিড মূল্য শেয়ার প্রতি ১০টাকা
হারে ১,২৮,০০০টি শেয়ারের জন্য ১২,৮০,০০০ টাকার আবেদন করেন এবং ০২ নভেম্বর, ২০২১
(৩) গুলশান ভ্যালী এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমপ্লয়ীজ গ্রাচু ইটি ফান্ড –
ইনসিওরেন্স কোম্পানীর ১,৪৪০টি শেয়ার ক্রয় করেন যার ক্রয়মূল্য ছিল আনুমানিক ১,৫৭,৫৩৬
টাকা। ৬ জুন, ২০২১ তারিখে ৭,২৭৫টি ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় করেন
যার ক্রয়মূল্য ছিল আনুমানিক ৮,২১,৩৪৭ টাকা। এছাড়া সেনা কল্যাণ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর
আইপিও-তে বিড মূল্য শেয়ার প্রতি ১০টাকা হারে ১,২৮,০০০টি শেয়ারের জন্য ১২,৮০,০০০
টাকার আবেদন করেন এবং ০২ নভেম্বর, ২০২১ তারিখে ৬,৯৯৫টি শেয়ার বরাদ্দ পান।
22
পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর ৫,০০০টি শেয়ার ক্রয়ের আনুমানিক মূল্য ১,৫৮,৫০০ টাকা
ব্যতীত গত জুন ২০২১ হতে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স ও
গ্রীন ডেলটা ইনসিওরেন্স কোম্পানীতে ৫৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার উপরে সেকেন্ডারী মার্কে টে এবং
অক্টোবর ২০২১-এ সেনা কল্যাণ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর আইপিওতে ৫১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা
বিনিয়োগ করেন। অর্থাৎ শুধুমাত্র বীমা কোম্পানীতে তিনি উক্ত সময়ে কোটি টাকার উপর বিনিয়োগ
করেন। উল্লেখিত তথ্যাদি মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃ ত রিট পিটিশন নং ৯৯২০/২০২১ এর
আগামী শুনানীর দিনে তার আইনজীবি কর্তৃ ক দাখিল করা হবে। ইতিমধ্যেই ০৩/০৪/২০২২ তারিখে
কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানসহ ২টি কোম্পানী ও ৪টি ফান্ড গঠন এবং বিও একাউন্ট
[সংযুক্তি- ৮ (বক্তব্য-২ পাতা)], Loves and Lives Organics Ltd. ০৮ মে ২০১৭ তারিখ রেজিষ্ট্রেশন
অব জয়েন-স্টক কোম্পানীতে আবেদন করেন এবং ০৯ মে ২০১৭ রেজিষ্ট্রেশন পান। ঐ সময় তিনি ঐ
কোম্পানীতে এমডি এবং তার স্ত্রী পরিচালক ছিলেন। তাদের শেয়ার ছিল যথাক্রমে ৪৫০০ ও ৫০০। এ
কোম্পানী হতে ০৪/০৪/২০১৮ তারিখে তিনি এমডি ও পরিচালক পদ হতে পদত্যাগ [সংযুক্তি- ৯
অন্যদিকে Gulshan Valley Agro Industries Ltd. এর জন্য ২৫/০১/২০১৮ তারিখ রেজি: অব জয়েন্ট
স্টক কোম্পানীতে আবেদন করেন এবং রেজিষ্ট্রেশন পান ২৮/০১/২০১৮ তারিখে। সে কোম্পানীতে একই
পরিমাণ শেয়ার নিয়ে তিনি এমডি’র দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ০৪/০৪/২০১৮ তারিখে কোম্পানীর
এমডি ও পরিচালক হতে পদত্যাগ [সংযুক্তি- ১০ (এমডি হতে পদত্যাগপত্র- ১ পাতা)] করেন।
উল্লিখিত ২টি কোম্পানীর পদত্যাগ পত্র সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দেন। তার ধারণা তার পদত্যাগের বিষয়ে
(বর্ণিত ২টি কোম্পানীতে) রেজিষ্ট্রেশন অব জয়েন-স্টক কোম্পানীতে জমা করা হয়নি এবং Update
হয়নি। বর্ণিত ২টি কোম্পানীতে পূর্বের মত ৪৫০০+৪৫০০=৯০০০ শেয়ারের মালিক এখনও তিনিই
আছেন।
বর্ণিত ২টি কোম্পানীর ৪টি ট্রাষ্ট ফান্ড এর অর্থ শেয়ারে বিনিয়োগে বাধা নাই। তিনি Trustee Board এর
পূর্ব হতেই অর্থাৎ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বর্ত মানেও Trustee Board এর চেয়ারম্যান হিসাবে আছেন মর্মে
বলেন।
Loves and Lives Organics Ltd & Gulshan valley Agro Industries Ltd. Fund এর
অনুমোদনের এনবিআর কর্তৃ ক ইস্যুকৃ ত পত্রগুলো ঠিক আছে। উক্ত ফান্ডগুলোর যে Trustee Board
সেখানে Employee-দের পক্ষে জনাব মোঃ মোয়াজ্জেম, মোঃ আলমগীর হোসেন দেখাশুনা করেন।
১ম দিক দিয়ে Loves and Lives এ প্রায় ১৭ জন এবং বর্ত মানে ১২ জন সদস্য আছে। গুলশান
ভ্যালিতে এরাই আছে। এদের Betterment এর জন্য এ দুইটি করে চারটি ফান্ড করা হয়। এ ফান্ড
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তার নিজের নামে নাই। প্রতিষ্ঠানের ফান্ডের নামে আছে মর্মে বলেন।
24
PLI Assets Management রেজিষ্ট্রেশন হয় ২০১৯ সালে। তখন Loves and Lives Organics Ltd
তাতে ৫০০০০০ (পাঁচ লক্ষ) শেয়ার প্রতি ১০/- টাকা করে ৫০,০০০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা বিনিয়োগ
করেন। PLI Assets Management এর কোন এমডি/পরিচালক তিনি নন। ইহার পরিচালক/কর্মকর্তা বা
কর্মচারীও তিনি নন। ৭ নং প্রতিপক্ষ Loves and Lives Organics Ltd এর বর্ত মানে PLI Assets
তাছাড়া তিনি ০৪/৪/২০২২ তারিখে লিখিতভাবে আরো বলেন [সংযুক্তি- ১১ (০৪/০৪/২০২২ তারিখের
লিখিত বক্তব্য- ১ পাতা)], বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন, ২০১০ এর ধারা ৭(৩)(খ) অনুযায়ী
চেয়ারম্যান বা সদস্যগণের কোন কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার থাকা বা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে
কোন প্রকার বাধা নেই। বাধা না থাকা সত্ত্বেও কর্তৃ পক্ষে যোগদানের পর ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোন বীমা
কোম্পানীর শেয়ারে বিনিয়োগ করেন নাই। বিবাদী ৯-১২, ২ টি প্রোভিডেন্ট ফান্ড এবং ২ টি গ্রাচু ইটি ফান্ড
যা পরিচালিত হয় ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃ ক এবং ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান বা সদস্যের একক সিদ্ধান্তে
পরিচালিত হয় না। ট্রাস্টি ফান্ডের বিনিয়োগ ট্রাস্টি বোর্ডে র কোন চেয়ারম্যান বা সদস্যের একক বিনিয়োগ
হিসাবেও গন্য করা যায় না। উক্ত ট্রাস্ট ফান্ডসমূহ কোন বীমা কোম্পানীর শেয়ারে বিনিয়োগেও আইনগত
৭ নং বিবাদী (Loves and Lives Organics Ltd) এর পরিচালনা পর্ষদ থেকে গত ০৪/৪/২০১৮ ইং
তারিখে তিনি পদত্যাগ করেন। যেহেতু ৭ নং বিবাদী কোম্পানী থেকে তিনি পদত্যাগ করেন সেহেতু উক্ত
কোম্পানীটির PLI Assets Management Company Ltd.- এর শেয়ারে বিনিয়োগ তার সাথে
সম্পর্কি ত নয় মর্মে বলেন। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ৭ নং বিবাদী উক্ত শেয়ার বিক্রিও করে
রীট দায়েরকারী জনাব আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদীর সাথে তার ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব নেই এবং
পূর্ব-পরিচয়ও নেই। মূলতঃ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বীমা খাতে দুর্নীতি এবং অনিয়মের
বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার কারণেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একজন অজানা ব্যক্তির
মাধ্যমে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের, পত্রিকার মাধ্যমে মানহানিকর
সংবাদ প্রচারসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আরো তথ্য শ্রীঘ্রই
গত ২১/০৪/২০২২ তারিখ তিনি পুনরায় লিখিত বক্তব্য [সংযুক্তি- ১২ (২১/০৪/২০২২ তারিখের লিখিত
বক্তব্য- ১২ পাতা)] দাখিল করেন। তাতে তিনি রিট পিটিশন এর দফা (a) বিষয়ে বলেন, রিট পিটিশনের
বিবাদী ৯ থেকে ১২, ২ টি প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ২ টি গ্রাচু ইটি ফান্ড যেগুলো গঠন করা হয়েছে কোম্পানির
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য এবং ইহার কার্যক্রম পরিচালিত হয় ইহার ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃ ক যাহারা
অলাভজনকভাবে নিয়োজিত থাকেন। এ ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান বা সদস্যের একক সিদ্ধান্তে ট্রাস্টি
বোর্ড পরিচালিত হয় না বরং সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ট্রাস্টি ফান্ডের বিনিয়োগ
ট্রাস্টি বোর্ডে র কোন চেয়ারম্যান বা সদস্যের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ হিসাবেও গণ্য করার সুযোগ নেই। শেয়ার
বাজারে ট্রেডিং ও বিনিয়োগ করার জন্য ট্রাস্টি বোর্ডে র সিদ্ধান্তক্রমে কোম্পানির একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব
প্রদান করা হয়েছে। উক্ত ট্রাস্টের ফান্ডসমূহ কোন বীমা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগে
আইনগত কোন বিধি-নিষেধ নাই। বীমা প্রতিষ্ঠানের কিছু শেয়ারে অন্যান্য শেয়ারের মত ট্রেডিং করা
হলেও বর্ত মানে ফান্ডসমূহে কোন বীমা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নেই বলে জানতে পারেন। দৃঢ়তার সাথে তার
বক্তব্য হচ্ছে ব্যক্তি হিসেবে তিনি নিজে অথবা Personal Capacity তে তিনি কর্তৃ পক্ষে যোগদানের পর
বীমা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরণের বিনিয়োগ করেন নাই মর্মে বলেন। প্রসঙ্গত, ফান্ড ৪ টি মূল প্রতিষ্ঠানের কোন
অংগ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা সাবসিডিয়ারি নয় এবং ফান্ড বা ট্রাস্টি বোর্ড কোন কোম্পানি বা সংস্থা নয়
বরং এগুলি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণে গঠিত ফান্ড, যা পরিচালিত হয়
26
উল্লিখিত ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃ ক এবং ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য উক্ত ফান্ডসমূহ থেকে ট্রাস্টি
বোর্ডে র চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসেবে কোন ধরণের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না মর্মে বলেন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন, ২০১০ এর ধারা ৭(৩) (খ) অনুযায়ী চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের
কোন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার থাকা বা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোন প্রকার বিধি-নিষেধ
নেই। বিধি-নিষেধ না থাকা সত্ত্বেও কর্তৃ পক্ষে যোগদানের পর ব্যক্তিগতভাবে তিনি কোন বীমা প্রতিষ্ঠানের
নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার স্বার্থে এবং ফান্ডের নিরাপত্তার স্বার্থে
অলাভজনকভাবে তাকে ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান করা হলেও [বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন
২০১০ এর ধারা ৭(৩)(খ) অনুযায়ী এ ধরণের কল্যাণমূলক বা সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজে নিয়োজিত
থাকায় বিধি-নিষেধ নেই] সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ বিষয়গুলোকে
জড়িয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করছে বিধায় আইনগত বিধি-নিষেধ না থাকা সত্ত্বেও বিতর্ক
এড়ানোর জন্য গত ০৪/০৪/২০২২ তারিখে ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব থেকে তিনি অব্যাহতি
পক্ষান্তরে রিট পিটিশন এর দফা (B) বিষয়ে বলেন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষে তিনি ০৪/০৪/২০১৮
তারিখে যোগদান করেন। কর্তৃ পক্ষে যোগদানের পূর্বে ৭ নং বিবাদী (Loves and Lives Organics Ltd.)
[সংযুক্তি- ৯ (এমডি হতে পদত্যাগপত্র- ১ পাতা)] এবং একই সাথে Gulshan Valley Agro
Industries Ltd. নামক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক পদ থেকেও পদত্যাগ করেন
[সংযুক্তি- ১০ (এমডি হতে পদত্যাগপত্র- ১ পাতা)]। যেহেতু ৭ নং বিবাদী প্রাইভেট লি: কোম্পানির
27
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন সেহেতু উক্ত প্রাইভেট লি:
কোম্পানিটির PLI Asset Management Company Ltd. (প্রতিষ্ঠানটি বীমাকারী বা কোন বীমা
প্রতিষ্ঠান নয় বরং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান) এর শেয়ারে বিনিয়োগ তার সাথে সম্পর্কি ত নয়
মর্মে জানান।
তাছাড়া তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন মিডিয়ায় যেহেতু
তাকে জড়িয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করছে সেহেতু বিভ্রান্তি নিরসনে তার নিম্নোক্ত বক্তব্য
তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে চাকু রির পাশাপাশি শেয়ার লেন-দেন তথা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা IPO- তে
শেয়ারের জন্য আবেদন করেন তা প্রাপ্তির পর বিক্রি করে Capital Gain করতেন। এতে মোটামুটি ভাল
Capital Gain করা সম্ভব হতো। কর্তৃ পক্ষে যোগদানের পূর্বে ডেল্টা লাইফে কর্মরত থাকাকালীন সময়েও
তাদের সিকিউরিটিজ হাউজেই (Delta Capital Ltd.) তার ব্যক্তিগত BO Account ছিল পুঁজিবাজারে
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফলে একটি বীমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে ০৭-০৪-২০১০ তারিখে
অব্যাহতি নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে মনোনিবেশ করেন। পরবর্তীতে ১৪-১২-২০১০ তারিখে
তিনি প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিঃ নামক একটি মার্চে ন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
(MD) হিসেবে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ মার্চে ন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (BMBA) এ দীর্ঘ দিন
EC সদস্য এবং সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পুঁজি বাজার উন্নয়নে ভূ মিকা রাখেন। মার্চে ন্ট
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণের নিজ নামে শেয়ার ব্যবসা করা নিষিদ্ধ থাকায় সকল মার্চে ন্ট ব্যাংকের
MD গণই অন্যের সহযোগিতা নিয়ে পুঁজিবাজারে শেয়ার লেন-দেন করতেন মর্মে বলেন।
28
মার্চে ন্ট ব্যাংকে যোগদানের পর যেহেতু তার নিজ নামে শেয়ার লেন-দেন করা সম্ভব ছিল না সেহেতু তার
(Margin Loan) নিয়ে, অনেক ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরণের ৪ (চার) কোটি টাকার বেশী ঋণ, ১৮
(আঠারো) টি Primary ও Supplimentary ক্রেডিট কার্ডে র বিপরীতে বিপুল অংকের টাকা Debit-
Credit করা, সময়ে সময়ে মার্চে ন্ট ব্যাংক থেকে বেতনের বিপরীতে অগ্রীম গ্রহণ, ইত্যাদির মাধ্যমে গৃহীত
ঋণ বিনিয়োগের মাধ্যমে শেয়ার লেন-দেন করে মুনাফা অর্জ ন করতেন মর্মে বলেন।
29
(I) রিট আবেদনকারী সম্পর্কে তিনি বলেন, রীট দায়েরকারী তার সাথে তার ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ নেই
এবং তাঁর সাথে তার পূর্ব পরিচয়ও নেই। মূলত: কর্তৃ পক্ষে যোগদানের পর থেকে বীমা খাতে সুশাসন ও
শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার নিমিত্ত এ খাতে দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে আইন ও বিধি/প্রবিধান
অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার ফলে স্বার্থান্বেষী একটি মহল (ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
এর ম্যানেজমেন্ট ও সাসপেন্ডেড পরিচালনা পর্ষদ) যাদের ডেটা বেইজ থেকে প্রচু র পরিমাণ ডেটা মুছে
ফেলার মত গুরুতর অপরাধসহ প্রায় ৩০০০ (তিন হাজার) কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়ম দেশের প্রথম
সারির নিরীক্ষা ফার্ম এর মাধ্যমে উদঘাটনের পর (নিরীক্ষা প্রতিবেদনের সামারি, মূল নিরীক্ষা প্রতিবেদন,
এবং বীমা আইন ২০১০ এর ৯৬ ধারার অধীন প্রশাসকের প্রতিবেদন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে
একজন অজানা ব্যক্তি তথা উল্লিখিত স্বার্থান্বেষী মহলের বেনামদার হিসেবে একের পর এক মিথ্যা ও
হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে যাচ্ছে। তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন এর
(II) এছাড়া তিনি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক এর পদ থেকে
ইস্তফা দিয়ে কর্তৃ পক্ষে যোগদান করেন ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল এবং ২০২১ সাল পর্যন্ত উক্ত প্রাইভেট
লিমিটেড কোম্পানির কার্যক্রম সম্পর্কে কোন ধরণের প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। কিন্তু রিট আবেদন করা হয়েছে
উল্লিখিত দুর্নীতি ও অনিয়ম উদঘাটনের পর অর্থাৎ ২০২১ সালে। এসকল হীন কার্যক্রম স্বার্থান্বেষী
মহলের তথা তাদের দুর্নীতি ও অনিয়ম আড়াল করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত কর্মকান্ড বলে মনে করেন।
(III) কর্তৃ পক্ষ ৮১ টি বীমা প্রতিষ্ঠান, ১৩৮ টি বীমা জরীপকারী প্রতিষ্ঠান এবং ৬ টি প্রশিক্ষণ
প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২২৫ টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেরই কোন না কোন অনিয়মের
কারণে বীমা আইন ২০১০ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন। স্বার্থান্বেষী মহল তথা ডেল্টা লাইফ
ইন্স্যুরেন্স কো: লি: এর মত বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্সেও প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে এমনকি স্ট্যান্ডার্ড
30
ইন্স্যুরেন্স লি: এর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, অবশিষ্ট ২২৪ টি
প্রতিষ্ঠান কর্তৃ ক কর্তৃ পক্ষের নির্দে শনা অবমাননা করার নজির নেই এবং এ ধরণের হীন ষড়যন্ত্র তথা
অসত্য অভিযোগ দায়েরসহ হয়রানি করার নজির নেই। অথচ এ একটি বীমা কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট
(ডেল্টা লাইফ ইন্স্যু: কো: লি: এর সাসপেন্ডেড পরিচালনা পর্ষদ) তাদের উদঘাটিত দুর্নীতি ও অনিয়মের
ব্যাপকতা বেশী থাকাতেই নানাভাবে হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে বলে জানান।
বীমা খাতে সুশাসন ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার স্বার্থে এ খাতকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত করে
কাঙ্খিত মানে উন্নীত করতে এবং বীমা পলিসি গ্রাহকগণের স্বার্থে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত
প্রয়োজন। কোন সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকার কর্তৃ ক নিয়োগপ্রাপ্ত কোন কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যানকে
অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগে হয়রানি করা সরকারকে হয়রানি করার নামান্তর এবং এ ধরণের
কর্মকান্ডের ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হবে মর্মে বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
তিনি লিখিতভাবে আরও বলেন যে, Loves & Lives Organics Ltd. নামক প্রাইভেট লিমিটেড
কোম্পানীর নিবন্ধনের তারিখ: ০৯/০৫/২০১৭ এবং নিবন্ধন নং-সি-১৩৭৭৫৮/২০১৭। প্রতিষ্ঠার সময়ে অত্র
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন ড. এম. মোশাররফ হোসেন, এফসিএ
পরিচালক এর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং উহা কোম্পানীতে গৃহীত হয় [সংযুক্তি- ১৩ (গৃহীত
পদত্যাগ পত্র- ১ পাতা)]। এরপর থেকে কোম্পানীর ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অত্র কোম্পানীর
৯০% শেয়ার এর মালিক তিনি নিজে এবং ১০% শেয়ার এর মালিক জান্নাতু ল মাওয়া মর্মে বলেন। তিনি
Loves & Lives Organics Ltd. এর মেমোরেন্ডাম এ্যান্ড আর্টি কেলস অব এসোসিয়েশন দাখিল করেন।
31
তিনি আরও বলেন, Loves & Lives Organics Ltd. এর ০২টি ফান্ড (১) LLOL Employees Gratuity
Fund ও (২) LLOL Employees (Contributory) Provident Fund এর ২০১৭ সাল হতে
০৪/০৪/২০২২ পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি নিজে এবং সদস্য ছিলেন সর্বজনাব (১)
মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন জান্নাতুল মাওয়া, আর ট্রেজারার ছিলেন মোঃ মোয়াজ্জেম
হোসেন।
পরবর্তী সময় অর্থাৎ ০৫/০৪/২০২২ থেকে অদ্যাবধি ০২ টি ফান্ড এর ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারপার্সন
জান্নাতুল মাওয়া এবং সদস্যগণ হলেন সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন মোঃ
শরিফু ল ইসলাম, আর ট্রেজারার ছিলেন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। এ ফান্ডের টাকা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ
সংক্রান্ত তথ্যাদি দাখিল করেন [সংযুক্তি- ১৪ (বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি- ৪ পাতা)]। উক্ত ফান্ডদ্বয়
কোম্পানীর কোন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান নয়। ফান্ড দুটি কোম্পানীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
তিনি বলেন যে, Gulshan Valley Agro Industries Ltd. নামক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর নিবন্ধনের
তারিখ: ২৮/০১/২০১৮ এবং নিবন্ধন নং- সি- ১৪২৭৬৯/২০১৮। প্রতিষ্ঠার সময়ে অত্র প্রাইভেট লিমিটেড
কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি নিজে এবং পরিচালক ছিলেন জান্নাতুল মাওয়া।
থেকে পদত্যাগ করেন এবং উহা কোম্পানীতে গৃহীত হয় [সংযুক্তি- ১৫ (গৃহীত পদত্যাগ পত্র- ১ পাতা)]।
Gulshan Valley Agro Industries Ltd. এর মেমোরেন্ডাম এ্যান্ড আর্টি কেলস অব এসোসিয়েশন
দাখিল করেন।
32
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ হতে ০৪/০৪/২০২২ তারিখ পর্যন্ত Gulshan Valley Agro Industries Ltd এর ০২টি
ফান্ড (১) GVAIL Employees Gratuity Fund ও (২) GVAIL Employees (Contributory)
Provident Fund এর ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি নিজে এবং সদস্য ছিলেন সর্বজনাব
(১) মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন জান্নাতুল মাওয়া, আর ট্রেজারার ছিলেন মোঃ
মোয়াজ্জেম হোসেন।
পরবর্তী সময় অর্থাৎ ০৫/০৪/২০২২ থেকে অদ্যাবধি ০২ টি ফান্ড এর ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারপার্সন
জান্নাতুল মাওয়া এবং সদস্যগণ হলেন সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন মোঃ
শরিফু ল ইসলাম, আর ট্রেজারার ছিলেন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। এ সময় তিনি এ ফান্ডের টাকা বিভিন্ন কোম্পানিতে
বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি দাখিল করেন [সংযুক্তি- ১৬ (বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি- ৬ পাতা)]। উক্ত
ফান্ডদ্বয় কোম্পানীর কোন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান নহে। ফান্ড দুটি কোম্পানীর
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, উল্লিখিত প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী হতে গত ০৪/০৪/২০১৮ খ্রি: তারিখে
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পদত্যাগপত্র কোম্পানী কর্তৃ ক গৃহীত হয়।
কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নিবন্ধক, যৌথ মূলধনী ফার্ম ও কোম্পানীসমূহের নিবন্ধন পরিদপ্তর (আরজেএসসি)-
তে ফাইল আপডেটের বিষয়ে কোম্পানী থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি মর্মে বলেন।
তাছাড়া তিনি ২১/০৪/২০২২ তারিখে তার বক্তব্যে আরও বলেন গত ০৪/০৪/২০২২ তারিখ তিনি
Trustee Board এর চেয়ারম্যান হতে অব্যাহতি গ্রহণ করেন। বর্ত মানে মিরপুরের ঠিকানায় ঐ ২টি
কোম্পানীর (Loves and Lives Organics Ltd. ও Gulshan Valley Agro Industries Ltd.) অফিস
নাই। ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। বর্ত মানে মগারদিয়া, সাতারকু ল, বাড্ডা এলাকায় অফিসের
১৪ নং রেসপনডেন্ট জান্নাতু ল মাওয়া গত ২১/০৪/২০২২ তারিখ তদন্তে হাজির হয়ে লিখিতভাবে বলেন
[সংযুক্তি- ১৭ (বক্তব্য-৫ পাতা)], জনৈক আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহদী, কর্তৃ ক মহামান্য হাইকোর্ট
আদেশে সংক্ষু দ্ধ হয়ে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে Loves & Lives Organics Ltd. কোম্পানীর পক্ষ থেকে
মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে র আপিল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং- ৯৬৫/২০২২ দায়ের
করেন। যা বর্ত মানে বিচারাধীন। আইনজীবীর সার্টি ফিকেট সংযুক্ত করেন [সংযুক্তি- ১৮ (বিজ্ঞ
তিনি বলেন যে, Loves & Lives Organics Ltd. নামক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর নিবন্ধনের
তারিখ: ০৯/০৫/২০১৭ এবং নিবন্ধন নং-সি-১৩৭৭৫৮/২০১৭। প্রতিষ্ঠার সময়ে অত্র প্রাইভেট লিমিটেড
কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন ড. এম. মোশাররফ হোসেন, এফসিএ এবং পরিচালক ছিলেন
কোম্পানীর পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং উহা গৃহীত হয়
[সংযুক্তি- ১৩ (গৃহীত পদত্যাগ পত্র- ১ পাতা)]। এর পর থেকে কোম্পানীর ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ
রয়েছে। অত্র কোম্পানীর ৯০% শেয়ার এর মালিক ড. এম. মোশাররফ হোসেন, এফসিএ এবং ১০%
শেয়ার এর মালিক তিনি নিজে জান্নাতু ল মাওয়া মর্মে বলেন। Loves & Lives Organics Ltd. এর
তিনি আরও বলেন, Loves & Lives Organics Ltd. এর ০২টি ফান্ড (১) LLOL Employees
Gratuity Fund ও (২) LLOL Employees (Contributory) Provident Fund এর ২০১৭ সাল হতে
34
০৪/০৪/২০২২ পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান ছিলেন ড. এম মোশাররফ হোসেন এবং
সদস্য ছিলেন সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন
পরবর্তী সময় অর্থাৎ ০৫/০৪/২০২২ থেকে অদ্যাবধি ০২ টি ফান্ড এর ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র
চেয়ারপার্সন তিনি নিজেই (জান্নাতু ল মাওয়া) এবং সদস্যগণ হলেন সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর
হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন মোঃ শরিফু ল ইসলাম, আর ট্রেজারার ছিলেন মোঃ
মোয়াজ্জেম হোসেন। এ ফান্ডের টাকা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি দাখিল করেন
[সংযুক্তি-১৯ (বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি- ১০ পাতা)]। উক্ত ফান্ডদ্বয় কোম্পানীর কোন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা
সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান নয়। ফান্ড দুটি কোম্পানীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণার্থে গঠন করা হয় মর্মে
বলেন।
তিনি বলেন যে, Gulshan Valley Agro Industries Ltd. নামক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর
নিবন্ধনের তারিখ: ২৮/০১/২০১৮ এবং নিবন্ধন নং- সি- ১৪২৭৬৯/২০১৮। প্রতিষ্ঠার সময়ে অত্র প্রাইভেট
লিমিটেড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন ড. এম. মোশাররফ হোসেন, এফসিএ এবং
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং উহা গৃহীত হয় [সংযুক্তি- ১৫ (গৃহীত পদত্যাগ
পত্র- ১ পাতা)]। Gulshan Valley Agro Industries Ltd. এর মেমোরেন্ডাম এ্যান্ড আর্টি কেলস অব
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ হতে ০৪/০৪/২০২২ তারিখ পর্যন্ত Gulshan Valley Agro Industries Ltd
এর ০২টি ফান্ড (১) GVAIL Employees Gratuity Fund ও (২) GVAIL Employees
মোশাররফ হোসেন এবং সদস্য ছিলেন সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন
এবং সচিব ছিলেন জান্নাতু ল মাওয়া, আর ট্রেজারার ছিলেন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।
পরবর্তী সময় অর্থাৎ ০৫/০৪/২০২২ থেকে অদ্যাবধি ০২ টি ফান্ড এর ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র
চেয়ারপার্সন তিনি নিজেই (জান্নাতু ল মাওয়া) এবং সদস্যগণ হলেন সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর
হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন মোঃ শরিফু ল ইসলাম, আর ট্রেজারার ছিলেন মোঃ
মোয়াজ্জেম হোসেন। এ সময় তিনি এ ফান্ডের টাকা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি
দাখিল করেন [সংযুক্তি-২০ (বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি- ৬ পাতা)]। উক্ত ফান্ডদ্বয় কোম্পানীর কোন অঙ্গ
প্রতিষ্ঠান বা সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান নহে। ফান্ড দুটি কোম্পানীর কর্মকর্তা/কর্মচারীগের কল্যানার্থে গঠন
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদত্যাগ পত্রটি অত্র প্রাইভেট লিমিটেড
কোম্পানীতে গত ০৪/০৪/২০১৮ খ্রি: তারিখে গৃহীত হলেও সাংসারিকসহ নানা কারণে এবং পরবর্তীতে
চলমান কোভিড-১৯ করোনা মহামারীর কারণে তাছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. এম.
কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে বিধায় নিবন্ধক, যৌথ মূলধনী ফার্ম ও কোম্পানীসমূহের নিবন্ধন পরিদপ্তর
তাছাড়া তিনি ২১/০৪/২০২২ তারিখে তার বক্তব্যে আরও বলেন [সংযুক্তি- ২১ (বক্তব্য- ১পাতা)], তিনি
২১/০৪/২০২২ তারিখে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সভাকক্ষে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের ৯৯২০/২০২১
নং মামলায়, কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেছেন। বর্ত মানে তিনি
Loves and Lives Organics Ltd. ও Gulshan Valley Agro Industries Ltd. কোম্পানী দুটির
(I) পর্যালোচনায় দেখা যায়, পিটিশনার মহামান্য আদালতের অনুরূপ Loves and Lives
দাখিল করেছেন। দাখিলকৃ ত তথ্য মতে উক্ত কোম্পানী ০৯/০৫/২০১৭ তারিখে নিবন্ধন হয়।
রেসপনডেন্ট এর দাখিলকৃ ত তথ্যের সাথে মিল আছে। যৌথ মূলধনী কোম্পনী ও ফার্মসমূহের
২২ (আরজেএসসি হতে প্রাপ্ত পত্র-২২ পাতা)]। যৌথ মূলধনী কোম্পনী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর
থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৩ নং রেসপনডেন্ট ড. এম মোশাররফ হোসেন, পিতা: আবুল
পরিচালক এবং ৪,৫০০ শেয়ারের মালিক এবং ১৪ নং রেসপনডেন্ট জান্নাতু ল মাওয়া, উক্ত
কোম্পানীর পরিচালক এবং ৫০০ শেয়ারের মালিক। যৌথ মূলধনী কোম্পনী ও ফার্মসমূহের
37
তথ্যে দেখা যায়, ১৩ নং রেসপনডেন্ট ড. এম মোশাররফ হোসেন, পিতা: আবুল কালাম আজাদ
৮ নং রেসপনডেন্ট Loves and Lives Organics Ltd. এর বর্ত মানেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
এবং ৪,৫০০ শেয়ারের মালিক এবং ১৪ নং রেসপনডেন্ট জান্নাতু ল মাওয়া, উক্ত কোম্পানীর
পরিচালক এবং ৫০০ শেয়ারের মালিক হিসেবে বহাল আছেন। নিবন্ধনের পর কোম্পানীর কোন
রিটার্ন উক্ত দপ্তরে (আরজেএসসি) দাখিল করা হয়নি মর্মে পত্রে দেখা যায়।
পিটিশনারের বক্তব্য মতে, Loves and Lives Organics Ltd. (LLOL) কোম্পানীর নামে ১টি
করে LLOL Employees Gratuity Fund ও ১টি করে LLOL Employees (Contributory)
Provident Fund গঠন করেন। ঐ সকল ফান্ডের টাকা শেয়ার মার্কে টে বিনিয়োগ করেন। ড. এম
মোশাররফ হোসেন নিজেই উল্লিখিত ২টি ফান্ডের বোর্ড অব ট্রাষ্টির চেয়ারম্যান হিসেবে বর্ত মানে
নিযুক্ত আছেন।
১৩নং রেসপনডেন্টের বক্তব্য মতে, তিনি গত ০৪/০৪/২০১৮ তারিখে Loves and Lives
এবং উহা কোম্পানীতে গৃহীত হয় [সংযুক্তি- ১৩ (গৃহীত পদত্যাগ পত্র- ১ পাতা)]। এরপর
থেকে কোম্পানীর ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ১৪ নং রেসপনডেন্টও অনুরূপ বক্তব্য প্রদান
করেন।
১৩ নং ও ১৪ নং রেসপনডেন্টের বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায, Loves & Lives Organics Ltd. এর
পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান ছিলেন ১৩ নং রেসপনডেন্ট ড. এম. মোশাররফ হোসেন এবং
সদস্য ছিলেন সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন জান্নাতুল মাওয়া, আর
Provident Fund এর ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারপার্সন জান্নাতুল মাওয়া এবং সদস্যগণ হলেন
সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন মোঃ শরিফু ল ইসলাম, আর
ট্রেজারার ছিলেন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। এ ফান্ডের টাকা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত
তথ্যাদি দাখিল করেন [সংযুক্তি-১৯ (বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি- ১০ পাতা)]। উক্ত ফান্ডদ্বয়
কোম্পানীর কোন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান নয়। ফান্ড দুটি কোম্পানীর কর্মকর্তা-
(II) পর্যালোচনায় দেখা যায়, পিটিশনার মহামান্য আদালতের অনুরূপ Gulshan Valley Agro
দাখিলকৃ ত তথ্য মতে উক্ত কোম্পানী ২৮/০১/২০১৮ তারিখে নিবন্ধন হয়। নিবন্ধন নং-সি-
নিবন্ধন নং-সি- ১৪২৭৬৯, তারিখ: ২৮/০১/২০১৮ [সংযুক্তি- ২২ (আরজেএসসি হতে প্রাপ্ত পত্র-
২২ পাতা]। যৌথ মূলধনী কোম্পনী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৩ নং
39
Gulshan Valley Agro Industries Ltd. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৪,৫০০ শেয়ারের
মালিক এবং ১৪ নং রেসপনডেন্ট জান্নাতু ল মাওয়া, উক্ত কোম্পানীর পরিচালক এবং ৫০০
Valley Agro Industries Ltd এ বর্ত মানেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৪,৫০০ শেয়ারের
মালিক এবং ১৪ নং রেসপনডেন্ট জান্নাতু ল মাওয়া, উক্ত কোম্পানীর পরিচালক এবং ৫০০
শেয়ারের মালিক হিসেবে বহাল আছেন। নিবন্ধনের পর কোম্পানীর কোন রিটার্ন উক্ত দপ্তরে
পিটিশনারের বক্তব্য মতে, Gulshan Valley Agro Industries Ltd.( GVAIL) কোম্পানীর
নামে ১টি করে GVAIL Employees Gratuity Fund ও ১টি করে GVAIL Employees
(Contributory) Provident Fund গঠন করেন ঐ সকল ফান্ডের টাকা শেয়ার মার্কে টে
বিনিয়োগ করেন। ড. এম মোশাররফ হোসেন নিজেই উল্লিখিত ২টি ফান্ডের বোর্ড অব ট্রাষ্টির
১৩নং রেসপনডেন্টের বক্তব্য মতে, তিনি গত ০৪/০৪/২০১৮ তারিখে Gulshan Valley Agro
পদত্যাগ করেন এবং উহা কোম্পানীতে গৃহীত হয় [সংযুক্তি- ১৫ (গৃহীত পদত্যাগ পত্র- ১
১৩ নং ও ১৪ নং রেসপনডেন্টের বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায, Gulshan Valley Agro Industries Ltd.(
০৪/০৪/২০২২ পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান ছিলেন ১৩ নং রেসপনডেন্ট ড. এম.
মোশাররফ হোসেন এবং সদস্য ছিলেন সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব
Fund এর ট্রাস্টি বোর্ড ও ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারপার্সন জান্নাতুল মাওয়া এবং সদস্যগণ হলেন সর্বজনাব (১)
মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন এবং সচিব ছিলেন মোঃ শরিফু ল ইসলাম, আর ট্রেজারার ছিলেন মোঃ
মোয়াজ্জেম হোসেন। এ ফান্ডের টাকা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি দাখিল করেন
[সংযুক্তি-২০ (বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি- ৬ পাতা)]। উক্ত ফান্ডদ্বয় কোম্পানীর কোন অঙ্গ
০৪/০৪/২০১৮ খ্রি: তারিখে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পদত্যাগপত্র
কোম্পানী কর্তৃ ক গৃহীত হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ হতে তার পদত্যাগের পর প্রাইভেট
লিমিটেড কোম্পানীদ্বয়ের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নিবন্ধক, যৌথ মূলধনী ফার্ম ও
থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আবার ১৪ নং রেসপন্ডডেন্ট এর বক্তব্যে দেখা যায়, প্রাক্তন
০৪/০৪/২০১৮ খ্রি: তারিখে গৃহীত হলেও সাংসারিকসহ নানা কারণে এবং পরবর্তীতে চলমান
ব্যবসায়ীক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে বিধায় নিবন্ধক, যৌথ মূলধনী ফার্ম ও কোম্পানীসমূহের
১৩ নং রেসপনডেন্ট রিট পিটিশন এর দফা (a) বিষয়ে রিট পিটিশনের বিবাদী ৯ থেকে ১২, ২ টি
প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ২ টি গ্রাচু ইটি ফান্ড যেগুলো গঠন করা হয়েছে কোম্পানির কর্মকর্তা-
কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য এবং ইহার কার্যক্রম পরিচালিত হয় ইহার ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃ ক যাহারা
বোর্ড পরিচালিত হয় না বরং সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ট্রাস্টি ফান্ডের
বিনিয়োগ ট্রাস্টি বোর্ডে র কোন চেয়ারম্যান বা সদস্যের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ হিসাবেও গণ্য করা
হয়নি। শেয়ার বাজারে ট্রেডিং ও বিনিয়োগ করার জন্য ট্রাস্টি বোর্ডে র সিদ্ধান্তক্রমে কোম্পানির
একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উক্ত ট্রাস্টের ফান্ডসমূহ কোন কোন বীমা কোম্পানি বা
প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ফান্ড ২ টি মূল প্রতিষ্ঠানের কোন অংগ প্রতিষ্ঠান বা
সংস্থা বা সাবসিডিয়ারি নয় এবং ফান্ড বা ট্রাস্টি বোর্ড কোন কোম্পানি বা সংস্থা নয় বরং এগুলি
ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃ ক এবং ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য উক্ত ফান্ডসমূহ থেকে ট্রাস্টি
বোর্ডে র চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসেবে কোন ধরণের সুবিধা গ্রহণ করেন না।
কত তারিখ পর্যন্ত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের সদস্য পদে নিয়োজিত ছিলেন এবং এ পদে
নিয়োগ প্রাপ্তির সময় তিনি কি কি কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন এবং তিনি কত তারিখ হতে কত
তারিখ পর্যন্ত একই কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন এবং এ পদে নিয়োগের সময়
তিনি কি কি কাগজপত্রাদি দাখিল করেছিলেন মর্মে জানতে চাওয়া হলে বীমা অধিশাখা
প্রজ্ঞাপনমূলে যোগদানের তারিখ থেকে ০৩(তিন) বছরের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের
সদস্য পদে চু ক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়। তাতে দেখা যায় তিনি ০৪/০৪/২০১৮ তারিখ
২৪৫ নং প্রজ্ঞাপনমূলে সদস্য পদে নিয়োগের চু ক্তি বাতিলপূর্বক যোগদানের তারিখ থেকে ০৩
(তিন) বছরের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান পদে চু ক্তিভিত্তিক নিয়োগ
প্রদান করা হলে তিনি ২৭/৯/২০২০ তারিখে চেয়ারম্যান পদে যোগদান করে অদ্যাবধি উক্ত পদে
নিয়োজিত আছেন ।
উভয় পদে যোগদানের সময় তিনি যোগদানপত্র, প্রজ্ঞাপনের কপি, চু ক্তিপত্রের কপি ও জীবন-
(IV) মহামান্য আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্ত আর্জি ও পিটিশনারের দেওয়া বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি
Elegible Institute Investor (EII) বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, Loves and Lives Organics
Ltd. এবং Gulshan Valley Agro Industries Ltd. ০৪টি [LLOL Employees
(Contributory) Provident Fund, LLOL Employees Gratuity Fund, GVAIL
Employees Gratuity Fund,GVAIL Employees (Contributory) Provident Fund]
ফান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেন। এগুলো হলে আমান কটন, রিংশাইন,
পিটিশনার দাখিলকৃ ত উল্লিখিত ৪টি ফান্ড কোন কোন বীমা কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেছেন তার
তথ্যাদি দাখিল করেন [সংযুক্তি- ৫ (কোম্পানীতে বিনিয়োগের তথ্যাদি- ১ পাতা)]। এ থেকে দেখা
যায় Loves and Lives Organics Ltd. এবং Gulshan Valley Agro Industries Ltd. ০৪টি
থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি- ৩৬ পাতা)] থেকে দেখা যায়, Loves and Lives Organics Ltd. এবং
ফান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানীতে বিনিয়োগ করে, যার বিস্তারিত তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো।
তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেন। এর মধ্যে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স,
44
সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স বীমা
করেন। এর মধ্যে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স নামে দুটি বীমা খাতে
করা হয়। এর মধ্যে গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সেনা কল্যাণ
বিভিন্ন কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেন। এর মধ্যে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স নামীয় বীমা
উল্লিখিত তথ্যাদির আলোকে Loves and Lives Organics Ltd. ও Gulshan Valley Agro Industries
Ltd. এর ০২টি করে ০৪টি ফান্ড, ১৩ নং রেসপনডেন্ট ডঃ এম মোশাররফ হোসেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ
কর্তৃ পক্ষ (IDRA) এর সদস্য ও চেয়ারম্যান থাকাকালীন বীমা কোম্পানীতে বিনিয়োগের তথ্যাদি নিম্নে
প্রদত্ত হলোঃ
ক্র BO ID. BO NAME (ফান্ডের যে বীমা কোম্পানীতে ক্রয়কৃ ত শেয়ার সংখ্যা ও তারিখ মন্তব্য
ইন্স্যুরেন্স ১৮
LLOL EMPLOYEES’ ৬,৯৯৫ ০২/১১/২০২১ IPO
সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স
(CONTRIBUTORY) হতে
০১। 1205150062960726
PROVIDENT FUND
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২১,৫০০ ০৬/০৬/২০২
১
পদ্মা ইসলামী লাইফ ৫,০০০ ১১/০১/২০২১
ইন্স্যুরেন্স
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৭ ২৯/০৬/২০২
১
মোট ৫,০০০ ৬৮,০১২
শেয়ার সংখ্যা
০৬/০৬/২০২
LLOL EMPLOYEES ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৪,২০০
০২। 1204390065948640 ১
GRATUITY FUND
সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ৬,৯৯৫ ০২/১১/২০২১
লিমিটেড
GVAIL EMPLOYEES ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৭,২৭৫ ০৬/০৬/২০২
০৩। 1204680066644742
GRATUITY FUND
১
সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ৬,৯৯৫ ০২/১১/২০২১ IPO
হতে
মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫৭১০
মোট ৬,৯৯৫
শেয়ার সংখ্যা
সর্বমোট ৫,০০০ ১০১,৯১২
শেয়ার সংখ্যা
উল্লিখিত তথ্যাদি হতে দেখা যায় যে, ১৩ নং রেসপনডেন্ট ড. এম মোশাররফ হোসেন বীমা উন্নয়ন ও
নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ এর সদস্য থাকাকালীন (০৪/০৪/২০১৮ হতে ২৬/০৯/২০২০ পর্যন্ত) Loves and Lives
Organics Ltd. (LLOL) এর ০১ (এক) টি ফান্ড এর মাধ্যমে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং বীমা
উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ এর চেয়ারম্যান থাকাকালীন Loves and Lives Organics Ltd. (LLOL) ও
Gulshan Valley Agro Industries Ltd.( GVAIL) এর ২টি করে ৪টি ফান্ডের মাধ্যমে পদ্মা
46
ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সেনা কল্যান ইন্সুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং
নিবন্ধন নং-সি-১৩৭৭৫৮, তারিখ: ০৯/০৫/২০১৭। যৌথ মূলধনী কোম্পনী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৩ নং রেসপনডেন্ট ড. এম মোশাররফ হোসেন পিতা: আবুল কালাম আজাদ ৮
নং রেসপনডেন্ট Loves and Lives Organics Ltd. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৪,৫০০ শেয়ারের
মালিক এবং ১৪ নং রেসপনডেন্ট জান্নাতু ল মাওয়া, উক্ত কোম্পানীর পরিচালক এবং ৫০০ শেয়ারের
মালিক। যৌথ মূলধনী কোম্পনী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের উক্ত পত্রে আরও দেখা যায়, ১৩ নং
রেসপনডেন্ট ড. এম মোশাররফ হোসেন পিতা: আবুল কালাম আজাদ ৮ নং রেসপনডেন্ট Loves and
Lives Organics Ltd. এর বর্ত মানেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৪,৫০০ শেয়ারের মালিক এবং ১৪ নং
রেসপনডেন্ট জান্নাতু ল মাওয়া, উক্ত কোম্পানীর পরিচালক এবং ৫০০ শেয়ারের মালিক হিসেবে বহাল
আছেন। তবে ১৩নং রেসপনডেন্ট ড. এম. মোশাররফ হোসেন গত ০৪/০৪/২০১৮ তারিখে Loves and
Lives Organics Ltd. কোম্পানীর পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর পদ থেকে পদত্যাগ করেন
এবং উহা কোম্পানীতে গৃহীত হয়। কিন্তু পদত্যাগ পত্র পরিচালনা বোর্ডে আলোচনা করে
এর নিবন্ধন নং-সি- ১৪২৭৬৯, তারিখ: ২৮/০১/২০১৮। যৌথ মূলধনী কোম্পনী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর
থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ১৩ নং রেসপনডেন্ট ড. এম মোশাররফ হোসেন পিতা: আবুল কালাম
আজাদ ৮ নং রেসপনডেন্ট Gulshan Valley Agro Industries Ltd. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং
৪,৫০০ শেয়ারের মালিক এবং ১৪ নং রেসপনডেন্ট জান্নাতু ল মাওয়া, উক্ত কোম্পানীর পরিচালক এবং
৫০০ শেয়ারের মালিক। যৌথ মূলধনী কোম্পনী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের উক্ত পত্রে আরও দেখা যায়,
Gulshan Valley Agro Industries Ltd এ বর্ত মানেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৪,৫০০ শেয়ারের
মালিক এবং ১৪ নং রেসপনডেন্ট জান্নাতু ল মাওয়া, উক্ত কোম্পানীর পরিচালক এবং ৫০০ শেয়ারের
তারিখে Gulshan Valley Agro Industries Ltd.( GVAIL) কোম্পানীর পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা
পরিচালক এর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং উহা কোম্পানীতে গৃহীত হয়। কিন্তু পদত্যাগ পত্র
৩. Loves & Lives Organics Ltd. এর ০২টি ফান্ড ৯ নং রেসপনডেন্ট LLOL Employees
Gulshan Valley Agro Industries Ltd. (GVAIL) এর ২টি ফান্ড ১১ নং রেসপনডেন্ট GVAIL
Provident Fund এর প্রতিষ্ঠার পর হতে ০৪/০৪/২০২২ পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারম্যান ছিলেন ১৩ নং
রেসপনডেন্ট ড. এম. মোশাররফ হোসেন এবং সদস্য ছিলেন সর্বজনাব (১) মোঃ আলমগীর হোসেন, (২) লাভলী ইয়াসমিন
এবং সচিব ছিলেন জান্নাতুল মাওয়া, আর ট্রেজারার ছিলেন মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। পরবর্তী সময় অর্থাৎ ০৫/০৪/২০২২
থেকে অদ্যাবধি বর্ণিত ০৪ টি ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডে র চেয়ারপার্সন ১৪ নং রেসপনডেন্ট জান্নাতুল মাওয়া।
48
থাকাকালীন (০৪/০৪/২০১৮ হতে ২৬/০৯/২০২০ পর্যন্ত) Loves and Lives Organics Ltd. (LLOL)
এর ০১ (এক) টি ফান্ড এর মাধ্যমে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ
এর চেয়ারম্যান থাকাকালীন Loves and Lives Organics Ltd. (LLOL) ও Gulshan Valley Agro
Industries Ltd.( GVAIL) এর ২টি করে ৪টি ফান্ডের মাধ্যমে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা
লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সেনা কল্যান ইন্সুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
(I) পর্যালোচনায় দেখা যায়, পিটিশনার বলেন যে, লাভস এন্ড লাইভস অরগানিকস লিমিটেড
(LLOL) ব্যবসা শুরু না করলেও উপরোক্ত LLOL Employees Gratuity Fund ও LLOL
কোম্পানী “পিএলআই এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড” (RJSC Reg. No. C-150173, Reg.
Date 19-Feb-19) নামক একটি প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তা পরিচালক (Sponsor Director) হিসেবে
লাভস এন্ড লাইভস অরগানিকস লিমিটেড পাঁচ লক্ষ শেয়ারের বিপরীতে প্রতিটি ১০ টাকা
হারে ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা বিনিয়োগ করেছেন। একজন রেগুলেটর হয়ে তিনি
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ আইন ২০১০ এর ২৭ ধারা এবং ৭(৩)(খ) লংঘন করে
49
কর্তৃ পক্ষের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রাইভেট কোম্পানীর সাথে কোন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গঠন
করতে পারেন না। পিটিশনার মহামান্য আদালতের অনুরূপ PLI Asset Management
করেছেন। দাখিলকৃ ত তথ্য মতে উক্ত কোম্পানী ১৯/০২/২০১৯ তারিখে নিবন্ধন হয়। নিবন্ধন
এর দাখিলকৃ ত তথ্যের সাথে মিল আছে। যৌথ মূলধনী কোম্পনী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের
কোম্পনী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ৭ নং রেসপনডেন্ট Loves
and Lives Organics Ltd., যার প্রতিনিধি জনাব বোরহান উদ্দিন, ৫০০০০০ শেয়ারের মালিক।
(II) ১৩ নং রেসপনডেন্ট ড. এম. মোশাররফ হোসেন এর বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, PLI
Assets Management রেজিষ্ট্রেশন হয় ২০১৯ সালে। তখন Loves and Lives Organics
Ltd তাতে ৫০০০০০ (পাঁচ লক্ষ) শেয়ার প্রতি ১০/- টাকা করে ৫০,০০০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ)
টাকা বিনিয়োগ করেন। PLI Assets Management এর কোন এমডি/পরিচালক তিনি নন।
Organics Ltd এর বর্ত মানে PLI Assets Management কোম্পানীতে বিনিয়োগ নেই।
বোরহান উদ্দিন ৭ নং প্রতিপক্ষের একজন স্টাফ। ৭ নং বিবাদী (Loves and Lives Organics
50
Ltd) এর পরিচালনা পর্ষদ থেকে গত ০৪/৪/২০১৮ ইং তারিখে তিনি পদত্যাগ করেন। যেহেতু
৭ নং বিবাদী কোম্পানী থেকে তিনি পদত্যাগ করেন সেহেতু উক্ত কোম্পানীটির PLI Assets
Management Company Ltd. এর শেয়ারে বিনিয়োগ তার সাথে সম্পর্কি ত নয় মর্মে বলেন।
পরবর্তীতে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ৭ নং বিবাদী উক্ত শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে ।
(বিএসইসি থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি- ৩৬ পাতা)] থেকে দেখা যায়, PLI Assets Management
(BO ID.- 1204680073895612) এর বিভিন্ন কোম্পানীর শেয়ার ক্রয়ের সাথে সাথে ইউনিয়ন
ক্র BO ID. BO Name (ফান্ডের যে বীমা ক্রয়কৃ ত শেয়ার সংখ্যা ও তারিখ মন্তব্য
ম নাম) কোম্পানীতে IDRA’র সদস্য IDRA’র চেয়ারম্যান
বিনিয়োগ করা থাকাকালীন (০৪/০৪/২০১৮ থাকাকালীণ (২৭/০৯/২০২০
হয়েছে তার নাম থেকে ২৬/০৯/২০২০) থেকে ১০/০৪/২০২২ পর্যন্ত)
শেয়ার ক্রয়ের শেয়ার ক্রয়ের
সংখ্যা তারিখ সংখ্যা তারিখ
০১ PLI ASSET ইউনিয়ন ১০/০১/২০২
1204680073895612 ৪,৬৪৩
। MANAGEMENT LTD. ইন্স্যুরেন্স ২
৪,৬৪৩
সর্বমোট শেয়ার সংখ্যা
উল্লিখিত তথ্যাদি হতে দেখা যায় যে, ১৩ নং রেসপনডেন্ট ড. এম মোশাররফ হোসেন বীমা উন্নয়ন ও
নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষ এর চেয়ারম্যান থাকাকালীন Loves and Lives Organics Ltd এর শেয়ারহোল্ডার
ছিলেন এবং উক্ত সময় Loves and Lives Organics Ltd. PLI Asset Management Ltd. এর
মাধ্যমে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড নামীয় বীমা কোম্পানীর শেয়ার ক্রয় করেছেন।
থাকাকালীন Loves and Lives Organics Ltd এর শেয়ারহোল্ডার ছিলেন এবং উক্ত সময় Loves and
Lives Organics Ltd. PLI Asset Management Ltd. এর মাধ্যমে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
জনাব আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী, মিরপুর, ঢাকা কর্তৃ ক গত ২৮/১০/২০২১
তারিখের আবেদন মারফত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ
হোসেন এফসিএ এর বিরুদ্ধে তার অধিক্ষেত্রাধীন বিভিন্ন বীমা কোম্পানীতে লাভস এন্ড
লাইভস অরগানিকস লিঃ এবং গুলশান ভ্যালি এগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিঃ নামীয় দুটি কোম্পানীর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর শেয়ার ক্রয়বিক্রয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ
করেছেন মর্মে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত কমিটি কর্তৃ ক মহামান্য আদালতের দুটি নির্দে শনা
অনুসরণ করে অভিযোগ যাচাই করা হয়েছে। বীমা খাতের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন
ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান এর ন্যায় উচ্চ পদমর্যাদাসম্পন্ন একটি পদে আসীন হয়ে ড.
জবাবদিহিতামূলক হওয়া উচিত ছিল মর্মে তদন্ত কমিটি মনে করে। সরাসরি না হলেও লাভস
এন্ড লাইভস অরগানিকস লিঃ এবং গুলশান ভ্যালি এগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিঃ নামীয় কোম্পানীর
শেয়ার হোল্ডার হিসেবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ
হোসেন তাঁর অধিক্ষেত্রাধীন বীমা কোম্পানীতে শেয়ার ক্রয়ে বিনিয়োগ অনভিপ্রেত মর্মে তদন্ত
তদন্ত কমিটি কর্তৃ ক মহামান্য আদালতের নির্দে শনা ১ (এ) এবং ১ (বি) অনুসরণ করে বীমা
অভিযোগ যাচাই করা হয়েছে। তবে, মহামান্য আদালতের নির্দে শনা না থাকায় পিটিশনার
কর্তৃ ক পরবর্তীতে তদন্তের সাক্ষাতকারে উল্লিখিত অন্য কোনো অভিযোগ তদন্তে বিবেচনায়
নেয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি কর্তৃ ক কেবলমাত্র মহামান্য আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাদি