You are on page 1of 22

MCQ On Code Of Criminal Procedure

Introduction/Source

১. ফৌজদারী কার্যবিধি কত সালে প্রনয়ণ করা হয়?


(ক) ১৮৯৮ সালে
(খ) ১৯৯৮ সালে
(গ) ১৮৯৯ সালে
(ঘ) ১৯৯৮ সালে
উত্তরঃ (ক) ১৮৯৮ সালে
২. ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ সালের কত নম্বর আইন?
(ক) ৪ নং (খ) ৩ নং (গ) ৫ নং (ঘ) ৬ নং
উত্তরঃ (গ) ৫ নং
৩. ফৌজদারী কার্যবিধি কখন প্রকাশিত?
(ক) ২১ মার্চ ১৮৯৮
(খ) ২২ মার্চ ১৯৯৮
(গ) ২৩ মার্চ ১৮৯৮
(ঘ) ২২ মার্চ ১৯৯৮
উত্তরঃ (গ) ২২ মার্চ ১৮৯৮
৪. ফৌজদারী কার্যবিধি কখন থেকে কার্যকর হয়?
(ক) ১লা জুলাই ১৮৯৮
(খ) ২২ মার্চ ১৯৯৮
(গ) ২ জুলাই ১৮৯৮
(ঘ) ২২ মার্চ ১৯৯৮
উত্তরঃ (ক) ১লা জুলাই ১৮৯৮
৫. ফৌজদারী কার্যবিধিতে কতগুলো ধারা আছে?
(ক) ৫৬৫ টি (খ) ৫৬৬ টি (গ) ৫৬৭ টি (ঘ) ৫৬৮ টি
উত্তরঃ (ক) ৫৬৫ টি
৬. ফৌজদারী কার্যবিধিতে কতগুলো তফসীল (Schedule) আছে?
(ক) ৫ টি (খ) ৬ টি (গ) ৭ টি (ঘ) ৮ টি
উত্তরঃ (ক) ৫ টি
৭. প্রথম ভারতীয় আইন কমিশনের প্রধান কে ছিলেন?
(ক) আব্রাহাম
(খ) লর্ড মাইকেল
(গ) লর্ড মেকলে
(ঘ) জন কেনেডি
উত্তরঃ (গ) লর্ড মেকলে
৮. ফৌজদারী কার্যবিধি কি ধরণের আইন?
(ক) মূল আইন
(খ) পদ্ধতিগত আইন
(গ) ক ও খ
(ঘ) কোনটিই না
উত্তরঃ (খ) পদ্ধতিগত আইন
৯. Cr.P.C এর পূর্ণ রূপ কি?
(ক) Code of Cicil Procedure
(খ) Code of Criminal Procedure
(গ) Code of Civil Court Act
(ঘ) Code of Criminal Act
উত্তরঃ (খ) Code of Criminal Procedure

Definitions
সংজ্ঞা

১০. যে সকল কার্য বা কার্য-বিরত বর্ত মানে কার্যকর কোনো আইনে শাস্তিযোগ্য তাকে কি বলে?
(ক) অভিযোগ (খ) অপরাধ (গ) নালিশ (ঘ) তদন্ত
উত্তরঃ (খ) অপরাধ [ধারা ৪(১)(ণ)]
১১. অপরাধ কত প্রকার?
(ক) ২ প্রকার (খ) ৩ প্রকার (গ) ৪ প্রকার (ঘ) ৫ প্রকার
উত্তরঃ (ক) ২ প্রকার
যথাঃ (I) আমলযোগ্য অপরাধ (Cognizable Offence)
(II) আমল অযোগ্য অপরাধ (Non-Cognizable Offence)
১২. আমলযোগ্য অপরাধ কি?
(ক) যে অপরাধের জন্য পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে
(খ) যে অপরাধের জন্য পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে না
(গ) উভয়
(ঘ) একটিও নয়
উত্তরঃ (ক) যে অপরাধের জন্য পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে
(ফৌ: কার্য: ২য় তফসীলে ৩য় কলামে বর্ণিত অপরাধসমূহ)
১৩. আমল অযোগ্য অপরাধ কি?
(ক) যে অপরাধের জন্য পুলিশ বিনা পরোয়ানায় বা ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করতে পারে না।
(খ) যে অপরাধের জন্য পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে
(গ) উভয়
(ঘ) একটিও নয়
উত্তরঃ (ক) যে অপরাধের জন্য পুলিশ বিনা পরোয়ানায় বা ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া অপরাধীকে গ্রেফতার
করতে পারে না
(ফৌ: কার্য: ২য় তফসীলের ৩য় কলামে বর্ণিত অপরাধসমূহ)
১৪. ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া তদন্ত করা যায় না কোন অপরাধে?
(ক) আমলযোগ্য অপরাধে
(খ) আমল অযোগ্য অপরাধে
(গ) জামিনযোগ্য অপরাধে
(ঘ) জামিন অযোগ্য অপরাধে
উত্তরঃ (খ) আমল অযোগ্য অপরাধে
১৫. ম্যাজিষ্ট্রেট বা আদালত কর্তৃ ক পরিচালিত বিচার কার্যক্রম ব্যতীত সমস্ত কাজই কি কাজ?
(ক) বিচার (খ) অনুসন্ধান (গ) তদন্ত (ঘ) ডিক্রী
উত্তরঃ (খ) অনুসন্ধান
১৬.অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য কি?
(ক) মামলার সত্যতা যাচাই করা
(খ) সাক্ষ্য প্ৰমাণ গ্রহণের পূর্বে মামলার সত্যতা যাচাই করা
(গ) সাক্ষ্য প্ৰমাণ গ্রহণ করা
(ঘ) প্ৰমাণ করা
উত্তরঃ (গ) সাক্ষ্য প্ৰমাণ গ্রহণের পূর্বে মামলার সত্যতা যাচাই করা
১৭.তদন্ত কি?
উত্তরঃ সাক্ষ্য প্ৰমাণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে কোনো পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি
(ম্যাজিষ্ট্রেট নহে) কর্তৃ ক পরিচালিত সকল কার্যক্রমই তদন্ত।
১৮. তদন্ত (Investigation) কি প্রশাসনিক নাকি বিচারিক কার্যক্রম ?
উত্তরঃ তদন্ত সম্পূর্ণরূপে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
১৯. তদন্ত এর উদ্দেশ্য কি ?
উত্তরঃ প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা।
২০. বিচারিক কার্যক্রম (Trial) কি ?
উত্তরঃ আদালতে বিচারের জন্য মামলা আসার পর বিচারক যে সকল কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে অভিযুক্ত
ব্যক্তিকে দণ্ড বা খালাস দিয়ে থাকেন।
২১. আটককৃ ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটবর্তী ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হাজির করতে হয় কত ধারায় ?
উত্তরঃ সংবিধানের ৩৩(২) অনুচ্ছেদ এবং
ফৌজদারী কার্যবিধির ৬১ ধারায়।
২২. পুলিশ হেফাজত (Police Remand) কি ?
উত্তরঃ ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতিক্রমে দোষী ব্যক্তিকে পুলিশের হেফাজতে নেয়াকে পুলিশ হেফাজত (Police
Remand) বলে।
২৩. কে রিমান্ড মঞ্জুর করতে পারে ?
উত্তরঃ ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট এবং বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ২য় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট।
(ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৭ ধারা ও পিআরবি ৩২৪ নং প্রবিধান)
২৪. নিবর্ত নমূলক আটকাদেশ (Detention) কি ?
উত্তরঃ "বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪" এর ৩(২) ধারা বলে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আটককৃ ত ব্যক্তিকে অনিষ্টকর কার্য
করা থেকে বিরত রাখার জন্য কারাবন্দি রাখার যে নির্দে শ দেন তাকে নিবর্ত নমূলক আটকাদেশ (Detention)
বলে।
২৫. পেনাল কোডের অপরাধসমূহ কোন আদালত কর্তৃ ক বিচারযোগ্য তা কোথায় আছে ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ২য় তফসীলে, ৮ম কলামে।
২৬. ফৌজদারী কার্যবিধি সর্বশেষ সংশোধনী কার্যকর হয় কখন থেকে ?
উত্তরঃ ১লা নভেম্বর ২০০৭ থেকে।
২৭. এডভোকেট (Advocate) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(ক) ধারায়।
২৮. জামিনযোগ্য অপরাধ (Bailable Offence) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(খ) ধারায়।
২৯. চার্জ (Charge) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(গ) ধারায়।
৩০. আমলযোগ্য অপরাধ (Cognizable Offence) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(চ) ধারায়।
৩১. নালিশ (Complaint) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(জ) ধারায়।
৩২. ইনকোয়ারী (Inquiry) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(ট) ধারায়।
৩৩. তদন্ত (Investigation) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(জ) ধারায়।
৩৪. বিচারিক কার্যক্রম (Judicial Proceedings) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(ড) ধারায়।
৩৫. আমল অযোগ্য অপরাধ (Non-Cognizable Offence) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(ঢ) ধারায়।
৩৬. অপরাধ (Offence) এর সংজ্ঞা ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪(১)(ণ ) ধারায়।

Constitution and Powers of Criminal Courts


ফৌজদারী আদালতের গঠন ও ক্ষমতা

৩৭. ফৌজদারী আদালত কত প্রকার ?


উত্তরঃ ২ প্রকার।
যথাঃ দায়রা আদালত (Session Court) ও
ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (Magistrate Court)
৩৮. ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কত প্রকার ?
উত্তরঃ ২ প্রকার।
যথাঃ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (Executive Magistrate) ও
বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট (Judicial Magistrate)
৩৯. বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট কত প্রকার ?
উত্তরঃ ৪ প্রকার।
যথাঃ
(I ) মহানগর এলাকার জন্য Chief Metropolitan Magistrate (CMM)
অন্যান্য এলাকার জন্য Chief Judicial Magistrate (CJM)
(II) Metropolitan Magistrate/১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট
(III) ২য় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট
(IV) ৩য় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট
৪০. Metropolitan Magistrate কত প্রকার ?
উত্তরঃ ২ প্রকার।
৪১. প্রতিটি জেলায় সর্বোচ্চ ফৌজদারী আদালতের বিচারক কে ?
উত্তরঃ দায়রা জজ।
৪২. দায়রা জজ (Session Judge) কত প্রকার/ দায়রা আদালতে কয়টি স্তরের বিচারক থাকতে পারে ?
উত্তরঃ ৩ প্রকার।
৪৩. সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের নাম কি ?
উত্তরঃ আপীল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগ।
৪৪. ফৌজদারী কার্যবিধির কোন ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর জেল হাজতে আটক থাকার সময়কে মোট কারাদণ্ডের
সময় হতে বাদ দেবার বিধান রাখা হয়েছে ?
উত্তরঃ ৩৫ (ক) ধারায়।
৪৫. ফৌজদারী কার্যবিধিতে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সম্পর্কি ত বিধান কোন সনে অন্তর্ভু ক্ত করা হয়েছে ?
উত্তরঃ ২০০৭ সনে।
৪৬. ফৌজদারী ম্যাজিষ্ট্রেটের নাম কি ?
উত্তরঃ বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট (Judicial Magistrate) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (Executive Magistrate)।
৪৭. বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট কাহারা ?
উত্তরঃ যে সকল ম্যাজিষ্ট্রেট দণ্ড প্রদান সম্পর্কি ত মামলার বিচার করেন।
৪৮. সকল বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট কাহার অধীনে ?
উত্তরঃ প্রধান বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট।
৪৯. বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট কত প্রকার/জেলা পর্যায়ে সাধারণত কত প্রকারের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আছে ?
উত্তরঃ ৪ প্রকার।
৫০. প্রতিটি জেলায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর সর্বোচ্চ পদ কি ?
উত্তরঃ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট।
৫১. একজন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট/মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সর্বোচ্চ কত টাকা জরিমানা করতে পারেন ?
উত্তরঃ ১০০০ টাকা।
৫২. কে ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট এর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন ?
উত্তরঃ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট।
৫৩. একজন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট কারাদন্ড দিতে পারেন-
উত্তরঃ অনধিক ৫ বছর।
৫৪. ২৯সি ধারা বলে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেট কারাদন্ড দিতে পারেন-
উত্তরঃ ১০ বছর।
৫৫. কোন ব্যক্তিকে বিশেষ বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্ব অর্পণ করা যায় ?
উত্তরঃ যে কোনো ম্যাজিষ্ট্রেট।
৫৬. কোন দন্ডটি দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের এখতিয়ার বহির্ভু ত ?
উত্তরঃ পাঁচ বছর পযন্ত কারাদণ্ড।
৫৭. কোন দন্ডটি তৃ তীয় শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের এখতিয়ার বহির্ভু ত ?
উত্তরঃ দুই বছরের অধিক কারাদণ্ড।
৫৮. একজন ম্যাজিষ্ট্রেট কতদিনের মধ্যে বিচারকার্য সমাপ্ত করবেন ?
উত্তরঃ ১৮০ দিন।
৫৯. দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ বা যুগ্ম দায়রা জজমামলা প্রাপ্তির কতদিনের মধ্যে বিচারকার্য সমাপ্ত
করবেন ?
উত্তরঃ ৩৬০ দিন।

Information of offence
অপরাধের তথ্য প্রদান

৬০. অপরাধের তথ্য প্রদান কত ধারায় ?


উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ৪২-৪৫ ধারায়।
৬১. কোনো ম্যাজিষ্ট্রেট বা পুলিশ সাহায্য চাইলে জনসাধারণ সাহায্য করতে বাধ্য কোন ধারায় আছে ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২ ধারায়।

Arrest, escape and retaking


গ্রেফতার, পলায়ন ও পুনরায় গ্রেফতার

৬২. গ্রেফতার কি ?
উত্তরঃ আইনানুগ কর্তৃ পক্ষ কর্তৃ ক কোনো ব্যক্তিকে শারিরীকভাবে আটক করা।
৬৩. গ্রেফতারের বিধিবিধান কত ধারায় ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ৪৬ - ৬৭ ধারায়।
৬৪. ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৪ ধারা মতে পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশ এবং ওয়ারেন্ট ব্যতীত কত প্রকার ব্যক্তিকে/
কয় ক্ষেত্রে গ্রেফতার করতে পারে ?
উত্তরঃ ৯ ব্যক্তিকে/৯ ক্ষেত্রে । যথাঃ
(I) আমলযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি।
(II) ঘর ভাঙার সরঞ্জাম বেআইনীভাবে রাখলে।
(III) সরকার কর্তৃ ক ঘোষিত অপরাধী।
(IV) চোরাই মাল বহনকারী।
(V) পুলিশ অফিসারের কাজে বাধাদানকারী।
(VI) সশস্ত্ৰ বাহিনী থেকে পলায়নকারী।
(VII) বাংলাদেশের বাহিরে আমলযোগ্য অপরাধ করলে।
(VIII) মুক্তিপ্রাপ্ত আসামী ৫৬৫(৩) ধারা ভঙ্গ করলে।
(IX) গ্রেফতারের অনুরোধ পাওয়া গেলে।
৬৫. গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া কোন ধারা বলে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৪ ধারা।
৬৬. ম্যাজিষ্ট্রেটে কত ধারায় গ্রেফতার করতে পারে ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ৬৪ ধারা।
৬৭. কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে কি করা হয় ?
উত্তরঃ নিকটতম ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট উপস্থিত করা হয়।
৬৮. কোন ধারায় সাধারণ ব্যক্তি অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারে ?
উত্তরঃ ৫৯ ধারায়।
৬৯. সমন কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৬৮ - ৭৪ ধারায়।
৭০. সমন কি ?
উত্তরঃ যে পত্র দ্বারা কোনো ব্যক্তিকে আদালত বা কোনো মর্মকর্ত া পত্রে নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে উপস্থিত হওয়ার
জন্য তলব করেন তাকে সমন বলে ।
৭১. সমন কি রূপে দিতে হবে ?
উত্তরঃ লিখিতভাবে ও ২ কপিতে।
৭২. সমনে তলবি ব্যক্তির স্বাক্ষর কোথায় নিতে হবে ?
উত্তরঃ সমনের প্রতিলিপির অপর পৃষ্ঠায়।
৭৩. গ্রেফতারী পরোয়ানা (Warrant of Arrest) কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৭৫ - ৮৬ ধারায়।
৭৪. ফৌজদারী কার্যবিধির কোন ধারায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত াকে ভবঘুরে,অভ্যাসগত দস্যু প্রভৃ তিকে
গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ?
উত্তরঃ ৫৫ ধারায়।
৭৫. পুলিশ ব্যতীত অন্য কারো নিকট কি গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির নির্দে শ দেয়া যাবে ?
উত্তরঃ যাবে।
যেমনঃ জমির মালিক,কৃ ষক বা জমির ম্যানেজারের উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির নির্দে শ দিতে পারেন।
৭৬. গ্রেফতারী পরোয়ানা কতক্ষন বলবৎ থাকে ?
উত্তরঃ প্রদানকারী আদালত বাতিল না করা পর্যন্ত অথবা কার্যকর না করা পর্যন্ত।
৭৭. গ্রেফতারকৃ ত ব্যক্তিকে কখন আদালতে হাজির করতে হবে ?
উত্তরঃ অবিলম্বে।
৭৮. গ্রেফতারী পরোয়ানা কোথায় কার্যকর করা যাবে ?
উত্তরঃ বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।
৭৯. আদালতের স্থানীয় সীমার বাহিরে কিভাবে পরোয়ানা প্রদান করবেন ?
উত্তরঃ পুলিশ অফিসারের উপর নির্দে শিত না করে যে স্থানে কার্যকর করতে হবে উক্ত স্থানের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ,
জেলা পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট বা মহানগর এলাকায় পুলিশ কমিশনার এর নিকট প্রেরণ করবেন।
৮০. নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট , জেলা পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট বা মহানগর এলাকায় পুলিশ কমিশনার এর নিকট অভিযুক্ত
ব্যক্তি জামানত দিতে চাইলে কি হবে ?
উত্তরঃ তাহা গ্রহণ করেবন এবং একটি মুচলেকা নিয়ে পরোয়ানা প্রদানকারী আদালতে প্রেরণ করবেন।
৮১. পুলিশ গ্রেফতারকৃ ত ব্যক্তিকে কতক্ষন আটক করে রাখতে পারে ?
উত্তরঃ ২৪ ঘন্টা।
৮২. হুলিয়া (Proclamation) কি ?
উত্তরঃ আদালত যার বিরুদ্ধে পরোয়ানা প্রদান করেছেন সে আত্মগোপন করলে ৩০ দিনের কম নহে এরূপ সময়
দিয়ে নির্দি ষ্ট স্থানে হাজির হওয়ার জন্য যে লিখিত আদেশ জারি করেন তাই হুলিয়া।
৮৩. ক্রোককৃ ত সম্পত্তি হুলিয়াধীন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ দাবি করলে-
উত্তরঃ ৬ মাসের মধ্যে করতে হবে।
৮৪. ক্রোককৃ ত সম্পত্তি হুলিয়াধীন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ দাবি করলে এবং এরূপ দাবি গ্রাহ্য হলে -
উত্তরঃ ১ বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে।
৮৫. ক্রোককৃ ত সম্পত্তির মালিক কত দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে পলাতক ছিলোনা মর্মে আদালতকে
সন্তুষ্ট করলে খরচ বাদে বাকি সম্পত্তি ফেরত পাবে?
উত্তরঃ ২ বছরের মধ্যে।
Temporary Order in Urgent Cases
জরুরী ক্ষেত্রে অস্থায়ী আদেশ প্রদান

৮৬. উৎপাত বা আশংকিত বিপদের ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ বলবৎ আদেশ জারির ক্ষমতা কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারায়।
৮৭. ১৪৪ ধারায় কতটি উপধারা আছে ?
উত্তরঃ ৭ টি ।
৮৮. ১৪৪ ধারার আদেশ কত ধারার আওতায় ম্যাজিষ্ট্রেট জারি করা হয় ?
উত্তরঃ ১৩৪ ধারায়।
৮৯. ভূ মি সংক্রান্ত বিরোধে কে আদেশ জারি করেন ?
উত্তরঃ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট।
৯০. ১৪৪ ধারা জারি কে জারি করতে পারেন ?
উত্তরঃ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
৯১. একতরফাভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় কত ধারা অনুযায়ী ?
উত্তরঃ ১৪৪(২) ধারা।
৯২. ১৪৪ ধারার আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষু ব্ধ ব্যক্তির করণীয় কি ?
উত্তরঃ রিভিশন।
৯৩. ১৪৪ ধারার আদেশ ?
উত্তরঃ লিখিত হবে।
৯৪. ১৪৪ ধারার আদেশ কোথায় কার্যকর হবে না ?
উত্তরঃ মহানগর এলাকায়।
৯৫. মহানগর এলাকায় ১৪৪ ধারার আদেশ কে জারি করেন ?
উত্তরঃ পুলিশ কমিশনার।
৯৬. ১৪৪ ধারার আদেশ কার প্রতি নির্দে শিত হবে ?
উত্তরঃ ব্যক্তি বিশেষ বা জনসাধারণের প্রতি।
৯৭. ১৪৪ ধারার আদেশ সর্বোচ্চ কতদিন বলবৎ থাকে ?
উত্তরঃ ২ মাস।

Security for keeping the peace and for good behaviour


শান্তিরক্ষা ও সদাচরণের মুচলেকা
১০৭-১১০ ধারা

৯৮. শান্তিরক্ষা ও সদাচরণের মুচলেকা কত ধারায় ?


উত্তরঃ ১০৭-১১০ ধারায়।
৯৯. ফৌজদারী কার্যবিধি কত ধারা অনুযায়ী শান্তিভঙ্গের মুচলেকা নেয়া হয় ?
উত্তরঃ ১০৭ ধারা।
১০০. কোনো ব্যক্তি শান্তি ভঙ্গ করতে পারে বলে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানানো হলে ম্যাজিষ্ট্রেট কি করবেন ?
উত্তরঃ উক্ত ব্যক্তিকে কেন ১ বছরের অধিককাল পর্যন্ত শান্তিরক্ষার জন্য জামিনদারসহ বা ব্যতীত একটি মুচলেকা
সম্পাদনের আদেশ দিবেন না, তার কারণ দর্শাতে বলবেন।
১০১. কোনো ব্যক্তিকে সদাচরণের মুচলেকা দেওয়ার আদেশ কে দিতে পারেন ?
উত্তরঃ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট।
১০২. ১০৭ ধারার মামলা কোথায় দায়ের করতে হয় ?
উত্তরঃ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে।
১০৩. ১০৭ ধারার আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশনের দরখাস্ত কোন আদালতে দায়ের করতে হয় ?
উত্তরঃ দায়রা জজ আদালতে।
১০৪. ১০৭ ধারার মামলা কোন আদালতের আদি এখতিয়ারভু ক্ত ?
উত্তরঃ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট।

Dispute as to immovable property


স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কি ত বিরোধ
১৪৫-১৪৮ ধারা

১০৫. মহানগর এলাকার বাহিরে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারা কে জারি করেন ?
উত্তরঃ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
১০৬. ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারার ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্য কি ?
উত্তরঃ ভূ মি বিরোধ জনিত শান্তিভঙ্গের আশংকারোধ।
১০৭. জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে শান্তিভঙ্গের আশংকা থাকলে কোন ধারায় মামলা হবে ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারায়।
১০৮. কখন ম্যাজিষ্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারার আদেশ জারি করতে পারেন ?
উত্তরঃ স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ।
১০৯. ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারার মামলা দায়ের করতে হয় কিভাবে ?
উত্তরঃ নালিশের মাধ্যমে।
১১০. ১৪৫ ধারায় স্থাবর সম্পত্তি দখল পুনরুদ্ধারের মামলা কতদিনের মধ্যে করতে হয় ?
উত্তরঃ ২ মাস।
১১১. স্থাবর সম্পত্তির ব্যবহারের অধিকার নিয়ে আলোচনা কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ১৪৭ ধারায়।
১১২. ম্যাজিষ্ট্রেট বিরোধীয় বিষয় ক্রোক করতে পারেন কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ১৪৬ ধারায়।
১১৩. ফৌজদারী কার্যবিধিতে সরেজমিনে অনুসন্ধান কত ধারায় ?
উত্তরঃ ১৪৮ ধারায়।

Processes to compel appearance


হাজির করতে বাধ্য করার প্রক্রিয়াসমূহ
৬৮-৮৬ ধারা
১১৪. ফৌজদারী কার্যবিধি ৭৫ ধারায় কি আছে ?
উত্তরঃ গ্রেফতারী পরোয়ানা।
১১৫. ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী সরকারী কর্মচারীর উপর সমন জারি কিভাবে করবো ?
উত্তরঃ অফিস কর্মকর্ত ার নিকট।
১১৬. হুলিয়া জারি করতে হয় কিভাবে?
উত্তরঃ পলাতক ব্যক্তি যেখানে বসবাস করে
আদালত ভবনের প্রকাশ্য স্থানে লটকিয়ে
পলাতক ব্যক্তি যেখানে বসবাস করে সেখানে লটকিয়ে।
১১৭. সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কোনটি আবশ্যক?
উত্তরঃ সাক্ষ্য আসামীর উপস্থিতিতে গ্রহণ করতে হবে।
১১৮. চিকিৎসক সাক্ষীকে সমন প্রদান ও জবানবন্দি নেয়া কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ৫০৯ ধারায়।
১১৯. সময় অনুসারে সাক্ষী হাজির না হলে আদালত সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ কি শাস্তি দিবেন?
উত্তরঃ অনধিক ২৫০ টাকা জরিমানা।

Processes to compel the production of documents

দলিলপত্র দাখিলে বাধ্য করিবার প্রক্রিয়াসমূহ


ধারা: ৯৪-১০৫

১২০. দলিল বা কোনো জিনিস হাজির করার জন্য সমন বা লিখিত আদেশ কে দিতে পারেন ?
উত্তরঃ কোনো আদালত বা কোনো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত া। (৯৪ ধারা)
১২১. আদালত ৯৬ ধারায় তল্লাশী পরোয়ানা (Search Warrant) ইস্যু করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কোন
ধারায় তল্লাশী পরিচালনা করবেন ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৫ ধারায়।
১২২. কোনো ব্যক্তি তল্লাশীতে উপস্থিত হতে অস্বীকার বা অবহেলা করলে কোন ধারার অপরাধী হবে ?
উত্তরঃ দণ্ডবিধির ১৮৭ ধারায় ১ মাস পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
বা উভয়।
১২৩. প্রকাশনা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা ও তল্লাশী পাঠাবার ক্ষমতা কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ৯৯(ক) ধারায়।
১২৪. ডাক ও টেলিগ্রাফ কতৃ পক্ষের হেফাজতে রক্ষিত দলিল বা কোনো জিনিস হাজির সম্পর্কে কোন ধারায়?
উত্তরঃ ৯৫ ধারায়।

Prevention of offences
অপরাধ প্রতিরোধ

১২৫. প্রত্যেক পুলিশ আমলযোগ্য অপরাধের প্রতিরোধের জন্য হস্তক্ষেপ করতে পারে কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ১৪৯ ধারায়।
১২৬. সরকারী সম্পত্তি ক্ষতির চেষ্টা করলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে পারে কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ১৫২ ধারায়।
১২৭. বাটখারা ও দাঁড়িপাল্লা ইত্যাদি কে পরীক্ষা করতে পারেন ?
উত্তরঃ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত া ১৫৩ ধারা অনুযায়ী।
১২৮. ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী পুলিশ কোন প্রতিরোধমূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে ?
উত্তরঃ সরকারী সম্পত্তি রক্ষা ও
ওজন পরিমাপের যন্ত্রপাতি অনুসন্ধান

Information to the police and their powers to investigate


পুলিশ কে সংবাদ প্রদান এবং তাহাদের তদন্তের ক্ষমতা

১২৯. ফৌজদারী মামলা কয়ভাবে দায়ের করা যায় ?


উত্তরঃ ২ ভাবে। (ক) থানায় ও (খ) আদালতে
১৩০. FIR এর পূর্ণ রূপ কি ?
উত্তরঃ First Information Report বা প্রাথমিক তথ্য বিবরণী।
১৩১. থানায় ফৌজদারী মামলা দায়ের সম্পর্কে কোন ধারায় বর্ণিত/পুলিশ কত ধারায় মামলা করতে পারে ?
উত্তরঃ ১৫৪ ও ১৫৫ ধারায়।
১৩২. FIR গ্রহণ করা হয় কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ১৫৪ ধারায়।
১৩৩. আদালতে ফৌজদারী মামলা দায়ের সম্পর্কে কোন ধারায় বর্ণিত ?
উত্তরঃ ২০০ ধারায়।
১৩৪. আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ১৫৪ ধারায়।
১৩৫. আমল অযোগ্য অপরাধের সংবাদ কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ১৫৪ ধারায়।
১৩৬. মারামারি করলে কি করবেন ?
উত্তরঃ নালিশী মামলা অথবা এজাহার দায়ের।
১৩৭. এজাহার (FIR) কি ?
উত্তরঃ আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ।
১৩৮. এজাহার কত ধারায় ?
উত্তরঃ ১৫৪ ধারায়।
১৩৯. কে এজাহার দায়ের করতে পারে ?
উত্তরঃ যেকোনো ব্যক্তি।
১৪০. FIR কোথায় দায়ের করতে হয় ?
উত্তরঃ স্থানীয় থানায়।
১৪১. কোনো আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৪ ধারায় প্রদত্ত লিখিত এজাহার
স্বাক্ষর করবে কে ?
উত্তরঃ সংবাদদাতা।
১৪২. পুলিশের কাছে এজাহার ছাড়া কি মামলা দায়ের করা যায় ?
উত্তরঃ নন-জিআর মামলা।
১৪৩. পুলিশ বা থানায় মামলা গ্রহণ না করলে কি করেবন ?
উত্তরঃ আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করতে হবে।
১৪৪. পুলিশ কর্মকর্ত া কোন ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া তদন্ত করতে পারে ?
উত্তরঃ ১৫৬ ধারায়।
১৪৫. মহানগর এলাকায় নালিশী মামলা কোথায় দায়ের করতে হয় ?
উত্তরঃ Chief Metropolitan Magistrate (CMM) আদালতে।
১৪৬. মহানগর এলাকার বাহিরে নালিশী মামলা কোথায় দায়ের করতে হয় ?
উত্তরঃ Chief Judicial Magistrate (CJM) আদালতে।
১৪৭. ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি/দোষ স্বীকারোক্তি কত ধারায় ?
উত্তরঃ ১৬৪ ধারায়।
১৪৮. সাক্ষীর জবানবন্দি পুলিশ কত ধারায় রেকর্ড করেন ?
উত্তরঃ ১৬১ ধারায়।
১৪৯. সাক্ষীর জবানবন্দি ম্যাজিস্ট্রেট কত ধারায় রেকর্ড করেন ?
উত্তরঃ ১৬৪ ধারায়।
১৫০. ১৬১ ধারায় রেকর্ড কৃ ত সাক্ষীর জবানবন্দিতে কে স্বাক্ষর করেন ?
উত্তরঃ সাক্ষ্য রেকর্ড কারী তদন্ত কর্মকর্ত া।
১৫১. পুলিশের কাছে জবানবন্দি কখন গ্রহণযোগ্য ?
উত্তরঃ সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারায়।
১৫২. পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করে কিন্তু বিচারে গিয়ে দোষ স্বীকার না করলে কি হবে ?
উত্তরঃ তাহার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না।
১৫৩. ডাকাতি হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাক্ষীদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ১৬১ ধারায়।
১৫৪. সাক্ষী পুলিশকে কিছু না বলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সব বললে কি হবে ?
উত্তরঃ সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারায় সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে।
১৫৫. ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় নিজেকে না জড়িয়ে সাক্ষ্য দিলে -
উত্তরঃ তাহা দোষ স্বীকারোক্তি হবে না।
১৫৬. ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য নেওয়ার আগে ম্যাজিস্ট্রেট স্বীকারোক্তিদাতাকে কি বলবেন ?
উত্তরঃ সে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য নহে, স্বীকারোক্তি তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
১৫৭. কোন ধরণের ম্যাজিস্ট্রেট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করবেন ?
উত্তরঃ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
১৫৮. স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করতে পারেন কে ?
উত্তরঃ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (Metropolitan Magistrate বা MM আদালত)।
১৫৯. পুলিশ রিমান্ড কত ধারায় ?
উত্তরঃ ১৬৭ ধারায়।
১৬০. পুলিশ আসামীকে কোর্ট থেকে রিমান্ডে আনেন কত ধারায় ?
উত্তরঃ ১৬৭ ধারায়।
১৬১. ম্যাজিস্ট্রেট আসামীকে পুলিশ হেফাজতে রাখার জন্য তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্ত াকে ক্ষমতা দিতে পারেন কত
দিন ?
উত্তরঃ অনধিক ১৫ দিন।
১৬২. ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে ১২০ দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করার বিধানটি-
উত্তরঃ নির্দে শনামূলক।
১৬৩. মৃত্যুদন্ডে দণ্ডনীয় কোনো অপরাধের তদন্ত ১২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন না হলে -
উত্তরঃ আসামী জামিনে মুক্তি পেতে পারে।
১৬৪. অধিকতর তদন্ত (Further Investigation) কত ধারায় ?
উত্তরঃ ১৭৩(২) ধারায়।
১৬৫. অবাধ্য সাক্ষী বা ফরিয়াদী আটক রাখা যায় -
উত্তরঃ ১৭১ ধারায়।
১৬৬. সুরতহাল রিপোর্ট (Inquest Report) কি ?
উত্তরঃ মৃত্যুর দৃশ্যমান কারণ সম্পর্কে যেই রিপোর্ট তৈরী করা হয়।
১৬৭. সুরতহাল রিপোর্ট (Inquest Report) কত ধারায় ?
উত্তরঃ ১৭৪(১) ধারায়।
১৬৮. সুরতহাল রিপোর্ট (Inquest Report) কে তৈরী করেন ?
উত্তরঃ পুলিশ অফিসার।
১৬৯. ময়না তদন্ত রিপোর্ট (Post Mortem Report) কি ?
উত্তরঃ মৃত্যুর প্রকৃ ত কারণ সম্পর্কে যেই রিপোর্ট তৈরী করা হয়।
১৭০. ময়না তদন্ত রিপোর্ট (Post Mortem Report) কত ধারায় ?
উত্তরঃ ১৭৪(৩) ধারায়।
১৭১. ময়না তদন্ত রিপোর্ট (Post Mortem Report) কে তৈরী করেন ?
উত্তরঃ যোগ্যতা সম্পন্ন ডাক্তার।
১৭২. ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃ ক মৃত্যুর অনুসন্ধান -
উত্তরঃ ১৭৬ ধারায়।
১৭৩. কবর হতে লাশ উত্তোলন (Disinter Corpses) করতে পারেন কে ?
উত্তরঃ ম্যাজিস্ট্রেট।
১৭৪. কবর হতে লাশ উত্তোলন (Disinter Corpses) কত ধারায় ?
উত্তরঃ ১৭৬(২) ধারায়।
১৭৫. আত্মহত্যা সম্পর্কে পুলিশ তদন্ত -
উত্তরঃ ১৭৪ ধারায়।
৪৮. কেস ডায়রী (Case Diary) পুলিশ অফিসার কোন ধারা মোতে তৈরী করেন ?
উত্তরঃ ১৭২ ধারায়।
৪৯. ফৌজদারী আদালত পুলিশ ডায়েরি তলব করতে পারেন -
উত্তরঃ বিচারের জন্য।
৫০. কোনো জেলার ফৌজদারী আদালতের ওয়ারেন্ট স্থানীয় অধিক্ষেত্র বহির্ভু ত কোনো মেট্রোপলিটন এলাকায়
তামিলের জন্য কাহার নিকট প্রেরণ করতে হবে ?
উত্তরঃ পুলিশ কমিশনার।
৫১. পুলিশ রিপোর্ট (Police Report) কি ?
উত্তরঃ সংঘটিত অপরাধ তদন্ত করে পুলিশ যে প্রতিবেদন দাখিল করে।
৫২. পুলিশ রিপোর্ট (Police Report) কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ১৭৩ ধারায়।
৫৩. চূ ড়ান্ত প্রতিবেদন (Final Report) কি ?
উত্তরঃ তদন্ত কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হলে যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
৫৪. অভিযোগপত্র (Charge Sheet) ki ?
উত্তরঃ তদন্ত কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
৫৫. পুলিশী তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া না গেলে দাখিলকৃ ত রিপোর্টে র নাম কি ?
উত্তরঃ চূ ড়ান্ত প্রতিবেদন (Final Report)।
৫৬. যখন ম্যাজিস্ট্রেট চূ ড়ান্ত প্রতিবেদন (Final Report) গ্রহণ করেন-
উত্তরঃ তখন আসামী অব্যাহতি পেতে পারে।
৫৭. চূ ড়ান্ত প্রতিবেদন (Final Report) এর বিরুদ্ধে কি করবেন ?
উত্তরঃ না-রাজী আবেদন।
৫৮. একজন অভিযোগকারীকে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃ ক পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয় না যদি অভিযোগকারী -
উত্তরঃ হয় একটি আদালত।
৫৯. পুলিশ রিপোর্টে অভিযোগকারী অসন্তুষ্ট হলে -
উত্তরঃ না-রাজী আবেদন।
৬০. না-রাজী (na-raji) ki ?
উত্তরঃ পুলিশ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ফরিয়াদীর আপত্তি।
৬১. না-রাজী আবেদন কে করে ?
উত্তরঃ ফরিয়াদী/অভিযোগকারী।
৬২. না-রাজী আবেদন কিভাবে নিষ্পত্তি হয় ?
উত্তরঃ অধিকতর তদন্তের আদেশ প্রদান করা হয়,
উক্ত আবেদন সরাসরি আমলে নেয়া হয়/খারিজ করা হয়।
৬৩. না-রাজী আবেদন কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২০০ ধারায়।
৬৪. না-রাজী আবেদন না-মঞ্জুর হলে কি করতে হয় ?
উত্তরঃ ৪৩৫, ৪৩৬ ধারায় দায়রা আদালতে রিভিশন আবেদন।
৬৫. না-রাজীর তদন্ত -
উত্তরঃ ২০২ ধারায়।
৬৬. আইনজীবীর মাধ্যমে আসামীর হাজিরা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৫ ধারায়।

The jurisdiction of the Criminal Courts in Inquiries and Trials

অনুসন্ধান ও বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ার

১. অনুসন্ধান ও বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ার -


উত্তরঃ ১৭৭ - ১৮৮ ধারায়।

Complaints to Magistrate & Commencement of proceedings


ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নালিশ দায়ের ও কার্যক্রম শুরু
১. নালিশ (Complaint) কি ?
উত্তরঃ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট লিখিত অভিযোগ। বা
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দায়েরকৃ ত অভিযোগ।
২. নালিশী দরখাস্ত গ্রহণকালে নালিশকারীকে পরীক্ষা করা -উত্তরঃ একজন ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য বাধ্যতামূলক।
৩. সিআর (CR) কেইসের পূর্ণ নাম কি ?
উত্তরঃ Complain Register Case.
৪. ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় ?
উত্তরঃ ২০০ ধারায়।
৫. কোন ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধ আমলে নিতে পারেন ?
উত্তরঃ ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট।
৬. কোন ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধ আমলে নিতে পারেন না ?
উত্তরঃ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
৭. নালিশী মামলার অপরাধ ম্যাজিস্ট্রেট কত ধারায় আমলে নিতে পারেন ?
উত্তরঃ ১৯০ ধারায়।
৮. একটি নালিশী মামলা গ্রহণকালে ম্যাজিস্ট্রেট যদি দেখেন তার এখতিয়ার নাই তখন কি করবেন ?
উত্তরঃ উপযুক্ত আদালতে পেশ করার জন্য নালিশটি ফেরত দিবেন।
৯. নালিশী মামলা/সিআর মামলা খারিজ হয় -
উত্তরঃ ২০৩ ধারায়।
১০. ম্যাজিস্ট্রেট নালিশী মামলা/সিআর মামলা গ্রহণ না করলে/খারিজ/প্রত্যাহার/প্রত্যাখ্যান করলে -
উত্তরঃ ৪৩৫, ৪৩৯ক ধারায় দায়রা আদালতে রিভিশন।
১১. অভিযোগ (Charge) কি ?
উত্তরঃ যে সমস্ত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সংঘটিত কোনো অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হয় তাহাই অভিযোগ।
১২. ফৌজদারী মামলায় চার্জ গঠনের দায়িত্ব কার ?
উত্তরঃ আদালতের।
১৩. ফৌজদারী মামলায় চার্জ গঠনের ক্ষেত্রে অপরাধ সংক্রান্ত কোন তথ্যটি উল্লেখের প্রয়োজন নাই ?
উত্তরঃ শাস্তি।
১৪. কোন ধারা মোতে রায় ঘোষণার পূর্বে অভিযোগ পরিবর্ত ন করা যায় ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ২২৭ ধারা।

Trial of Cases by Magistrate


ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রম

১. ম্যাজিস্ট্রেটের বিচার কার্যক্রম কত ধারায় ?


উত্তরঃ ২৪১-২৫০ ধারায়।
২. নালিশী মামলা প্রত্যাহার -
উত্তরঃ ২৪৮ ধারায়।
৩. নালিশী মামলায় সমন ইস্যুর পর অভিযোগকারী নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির না হলে -
উত্তরঃ আদালত আসামীর খালাসের আদেশ দিতে পারেন।
৪. অভিযোগ (Complaint) প্রত্যাহার করা হলে -
উত্তরঃ আসামীর খালাস পাবে।
৫. অভিযোগ (Complaint) ব্যাতীত অন্য কোনো ভাবে রুজুকৃত একটি ফৌজদারী মামলার কার্যক্রম বন্ধ করা
হলে-
উত্তরঃ ম্যাজিস্ট্রেট আসামীকে মুক্তি দিতে পারেন।
৬. ফরিয়াদীর অনুপস্থিতিতে মামলা খারিজ হলে কি করবেন ?
উত্তরঃ মামলা পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করতে হবে।
৭. ফরিয়াদীর অনুপস্থিতিতে মামলা খারিজ হলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন কোথায় করবেন ?
উত্তরঃ Chief Metropolitan Magistrate অথবা
Chief Judicial Magistrate আদালতে।
৮. ফৌজদারী মামলায় কোন পর্যায়ে আসামী অব্যাহতির (Discharge) আবেদন করতে পারে ?
উত্তরঃ চার্জ গঠনের সময়।
৯. ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অব্যাহতি (Discharge) প্রদান করেন কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ২৪১ক ধারায়।
১০. ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অব্যাহতি (Discharge) প্রদান করলে ফরিয়াদী পক্ষ কত ধারায় আবেদন করবে ?
উত্তরঃ ৪৩৫, ৪৩৯(ক) ধারায়।
১১. ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযোগ গঠন করেন কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ২৪২ ধারায়।
১২. চার্জ গঠনকালে আসামী অভিযোগ স্বীকার করলে আদালত-
উত্তরঃ সাজার আদেশ দিতে পারেন।
১৩. ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খালাস (Acquittal) প্রদান করেন কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ২৪৫ ধারায়।
১৪. দায়রা আদালত খালাস (Acquittal) প্রদান করেন কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ২৬৫জ বা ২৬৫ ট ধারায়।

১৫. মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রে CJM খালাসের আদেশ প্রদানের সময় নালিশকারীর বিরুদ্ধে-
উত্তরঃ অনধিক ১০০০ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারেন।
১৬. কোনো কর্ম বা কর্মচ্যুতি দুই বা ততোধিক আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলে -
উত্তরঃ অপরাধীকে দুই বা ততোধিক আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা যাবে।
১৭. আসামীর অব্যাহতি পাওয়ার দরখাস্ত বিবেচনার সময় কোন দলিলটি বিবেচনায় নেয়া যায় না ?
উত্তরঃ প্রাথমিক তথ্য বিবরণী।
১৮. অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার অপরাধ কোন আদালতে বিচার্য ?
উত্তরঃ স্পেশাল ট্রাইবুনাল।
১৯. কোন অপরাধের বিচারের এখতিয়ার দায়রা আদালতের নেই ?
উত্তরঃ রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
২০. একজন ম্যাজিস্ট্রেট কোন আইনে অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারেন না ?
উত্তরঃ হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন।
২১. Negotiable Instrument Act, 1881 এর অধীন ১৩৮ ধারার মামলায় যুগ্ম দায়রা জজের দণ্ডাদেশের
বিরুদ্ধে আসামী কোন আদালতে আপীল দায়ের করতে পারবেন ?
উত্তরঃ দায়রা জজ আদালতে।
২২. পূর্ববর্তী খালাস বা দণ্ডাদেশ প্রসঙ্গে/রেস্ জুডিকেটা কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪০৩ ধারায়।
২৩. একবার দণ্ডিত/খালাসপ্রাপ্ত ব্যাক্তির একই অপরাধের জন্য পুনরায় বিচার করা যাবে না কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ৪০৩ ধারায়।
২৪. খালাস আদেশের বিরুদ্ধে -
উত্তরঃ আপীল আবেদন।

Trial before the court of sessions


(দায়রা আদালতে বিচার)

১.দায়রা আদালত কত ধারায় অপরাধ আমলে নিতে পারেন ?


উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ১৯৩ ধারায়।
২. দায়রা আদালতের বিচার পদ্ধতি কত ধারায় ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ২৬৫ক-২৬৫ঠ ধারায়।
৩. দায়রা আদালত অব্যাহতি (Discharge) প্রদান করেন কত ধারায় ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ২৬৫গ ধারায়।
৪. দায়রা আদালত অভিযোগ গঠন (Charge Frame) করেন কত ধারায় ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ২৬৫ঘ ধারায়।
৫. দায়রা আদালত খালাস (Acquittal) প্রদান করেন কত ধারায় ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ২৬৫জ ধারায়।

৬. দায়রা আদালত অব্যাহতি (Discharge) প্রদান করলে ফরিয়াদী পক্ষ কি করবে ?


উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ৪৩৫ ও ৪৩৯ ধারায় হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন আবেদন।

Summery Trial
সংক্ষিপ্ত বিচার

১. সংক্ষিপ্ত বিচার কত বছরের অধিক দণ্ডনীয় হবে না/সংক্ষিপ্ত বিচারের সর্বোচ্চ শাস্তি কি ?
উত্তরঃ ২ বছর।
২. সংক্ষিপ্ত বিচারে চোরাই মালের মূল্য কত টাকার অধিক হবে না ?
উত্তরঃ ১০,০০০/- টাকা।

General Provisions as to Inquiry and Trial


অনুসন্ধান ও বিচারের সাধারণ বিধান
১. দুষ্কর্মের সহচর প্রত্যেকটি লোক সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও সত্য ঘটনা প্রকাশ করলে তাকে ক্ষমা করা যেতে পারে কোন
ধারা অনুযায়ী ?
উত্তরঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৩৭ ধারা।
২. ম্যাজিস্ট্রেট মামলা প্রাপ্ত হওয়ার তারিখ থেকে কত দিনের মধ্যে বিচারকার্য সমাপ্ত করবেন ?
উত্তরঃ ১৮০ দিন।
৩. দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ বা যুগ্ম দায়রা জজ মামলা প্রাপ্ত হওয়ার তারিখ থেকে কত দিনের মধ্যে
বিচারকার্য সমাপ্ত করবেন ?
উত্তরঃ ৩৬০ দিন।

Compoundable and Non-compoundable offences


মীমাংসাযোগ্য এবং অমীমাংসাযোগ্য অপরাধসমূহ/
অপরাধের আপোষ নিষ্পত্তি

১. ফৌজদারী কার্যবিধির কত ধারায় আপোষ নিষ্পত্তির কথা বলা আছে?


উত্তরঃ ৩৪৫ ধারায়।
২. আপোষের আবেদন আদালতে গ্রাহ্য হলে প্রতিকার কি ?
উত্তরঃ রিভিশন।
৩. আপোষের ফলে মামলা নিষ্পত্তি হলে-
উত্তরঃ আসামী খালাস পাবে।
৪. আপোষ মুলে মামলা নিষ্পত্তি হলে আদেশের বিরুদ্ধে কি করণীয় ?
উত্তরঃ আপীল।
৫. আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটনের সংবাদ কার নিকট প্রদান করা যায় ?
উত্তরঃ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত া ও
ম্যাজিস্ট্রেট
৬. আমল অযোগ্য অপরাধ সংঘটনের সংবাদ কার নিকট প্রদান করা যায় ?
উত্তরঃ ম্যাজিস্ট্রেট।
৭. পেনাল কোডের ৩২৪ ধারায় শাস্তির অপরাধ আপোষ করতে পারে কে ?
উত্তরঃ ভিকটিম।
৮. ফৌজদারী আদালত কক্ষ উম্মুক্ত আদালত হিসাবে গণ্য হবে কোন ধারা মতে ?
উত্তরঃ ৩৫২ ধারা।
৯. বিচারধীন আসামী কোন ধারা মতে তাহার আত্মপক্ষ (Defense) সমর্থনে সাক্ষী হিসাবে সাক্ষ্য দিতে পারে ?
উত্তরঃ ৩৪০ ধারা।
১০. ফৌজদারী মামলায় প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারা
মতে -
উত্তরঃ আসামীদের পরীক্ষা করবেন।
১১. সময়ের আবেদন কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ৩৪৪ ধারায়।
Judgement
রায়

১. প্রিজাইডিং অফিসার রায় ঘোষণার সময় প্রকাশ্য আদালতে উহাতে তারিখ দিবেন এবং সাক্ষর করবেন। নিজে
না লিখলে প্রতি পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করবেন ইহা কোন ধারায় ?
উত্তরঃ ৩৬৭ ধারায়।
২. আসামী আবেদন করলে রায়ের একটি নকল তাকে অবিলম্বে বিনামূল্যে দিতে হবে (২০ অধ্যায়ের ২৪১-২৫০
ধারার মামলা ব্যতীত)-
উত্তরঃ ৩৭১ ধারায়।
৩. দায়রা আদালত প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করার পূর্বে অনুমোদন প্রয়োজন কাহার ?
উত্তরঃ হাইকোর্টে র।
৪. দায়রা আদালতের রায় ও দণ্ডাদেশের অনুলিপি অগ্রবর্তী করতে হবে-
উত্তরঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর।
৫. মৃত্যুদণ্ড ব্যতীত যেকোনো কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে আসামী যে পরিমাণ সময় কারাবাসে ছিল সেই পরিমাণ সময়
ব্যাড যাবে-
উত্তরঃ ৩৫ক ধারায়।
৬. বিচার চলাকালে ১ বছর হাজতে থাকা একজন আসামীর ৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ হয়। সে কতদিন
কারাভোগ করবে ?
উত্তরঃ ৪ বছর।
৭. আদালত কারাবন্দী আসামীর বিরুদ্ধে কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করলে উক্ত দণ্ডাদেশের ওয়ারেন্ট কার নিকট প্রেরণ
করবেন ?
উত্তরঃ কারারক্ষক।

Appeal
আপীল

১. কখন আপীল চলে না ?


উত্তরঃ নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আপীল চলে না:
অপরাধ স্বীকার করলে,
দায়রা আদালত অনধিক ১ মাস কারাদণ্ড দিলে,
CJM/MM/১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট অনধিক ৫০/- টাকা জরিমানা করলে,
২৬০ ধারায় সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট অনধিক ২০০/- টাকা জরিমানা করলে,
২০৩ ধারার অধীন আদালত নালিশী মামলা খারিজ করলে অথবা
খালাসের/ দণ্ডাদেশের তারিখ হতে ৬০ দিন অতিবাহিত হলে
২. ৩৭৯ ধারায় অভিযুক্ত আসামীর ১ মাসের কারাদণ্ড হলে এবং আসামী আপীল করলে -
উত্তরঃ আপীলযোগ্য নয় বিধায় আপীলটি নামঞ্জুর হবে।
৩. ফৌজদারী কার্যবিধিতে আপীলের ধারাসমূহ কি ?
উত্তরঃ ৪০৪ - ৪৩১ ধারা।
৪. দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামীর আপীলের ধারায় সমূহ-
উত্তরঃ ৪০৭, ৪০৮ এবং ৪১০ ধারা।
৫. ফরিয়াদীর আপীলের ধারায় সমূহ-
উত্তরঃ ৪১৭ক ধারা।
৬. ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল আবেদন -
উত্তরঃ দায়রা আদালতে।
৭. ম্যাজিস্ট্রেট শাস্তি দিলে আপীল -
উত্তরঃ ৪০৭ ও ৪০৮ ধারায়।
৮. Chief Judicial Magistrate (CJM) আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল-
উত্তরঃ দায়রা আদালতে।
৯. Chief Metropolitan Magistrate (CMM) আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল-
উত্তরঃ মহানগর দায়রা আদালতে।
১০. মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট/Metropolitan Magistrate/MM আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল-
উত্তরঃ মহানগর দায়রা আদালতে।
১১. মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট/১ম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামীর আপীল -
উত্তরঃ ৪০৮ ধারায়।
১২. ২য়/৩য় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামীর আপীল -
উত্তরঃ Chief Judicial Magistrate (CJM) আদালতে।
১৩. ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামীর আপীল -
উত্তরঃ দায়রা আদালতে।
১৪. একজন মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট (Metropolitan Magistrate/MM) একটি নালিশ মামলায় কারাদণ্ড প্রদান
করেন। উক্ত দণ্ডাদেশ বৃদ্ধির জন্য অভিযোগকারী কোন আদালতে আপীল দায়ের করবে ?
উত্তরঃ মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
১৫. একজন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট প্রদত্ত দণ্ডাদেশ অপর্যাপ্ত হলে রাষ্ট্রপক্ষ দ্বন্দ্ব বৃদ্ধির জন্য কোন আদালতে আপীল
দায়ের করবে ?
উত্তরঃ দায়রা আদালতে।
১৬. একজন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের রাষ্ট্রদ্রোহিতা ব্যতীত অন্য সকল অপরাধের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে কোন
আদালতে আপীল দায়ের করবে ?
উত্তরঃ দায়রা আদালতে।
১৭. যুগ্ম দায়রা আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে কি করবেন ?
উত্তরঃ আপীল আবেদন।
১৮. ৩য় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট প্রদত্ত খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপীল হবে ?
উত্তরঃ দায়রা আদালতে।
১৯. একজন অভিযোগকারী খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করবে-
উত্তরঃ ৬০ দিনের মধ্যে।
২০. বিচারিক আদালত একজন দণ্ডিতকে জামিন দিতে পারেন, যদি তাহার কারাদণ্ডের মেয়াদ অনধিক -
উত্তরঃ ১ বছর হয়।
২১. আরজি খারিজের আবেদন মঞ্জুর হলে -
উত্তরঃ আপীল।
২২. আরজি খারিজের আবেদন খারিজ/না-মঞ্জুর হলে -
উত্তরঃ রিভিশন।
২৩. শাস্তি বা দণ্ড লঘু হলে আপীল -
উত্তরঃ ৪১৭ক ধারায়।
২৪. আপীল পেন্ডিং এর বিচার আদালতে জামিনের আবেদন -
উত্তরঃ ৪২৬ ধারায়।
২৫. অর্থদণ্ডের বিরুদ্ধে আনীত আপীল চলাকালে আসামী মারাগেলে আপীল -
উত্তরঃ এবেট হবে না।
২৬. ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী আপীল না-মঞ্জুর (Reject) হলে -
উত্তরঃ রিভিশন আবেদন।

Revision
পুনঃবিচার

১. পুনঃবিচার কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪৩৫ - ৪৪২ ধারায়।
২. ৪৩৫ ধারা মোতাবেক রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন কোন আদালত ?
উত্তরঃ হাইকোর্ট বিভাগ ও যেকোনো আদালত।
৩. ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী আপীল না-মঞ্জুর (Reject) হলে কি করবেন ?
উত্তরঃ ৪৩৫, ৪৩৯ক ধারায় দায়রা আদালতে রিভিশন।
৪. দায়রা আদালতে ফৌজদারী আপীল না-মঞ্জুর (Reject) হলে কি করবেন ?
উত্তরঃ ৪৩৫, ৪৩৯ ধারায় হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন।
৫. ফৌজদারী রিভিশন কত ধারায় ?
উত্তরঃ ৪৩৫, ৪৩৯ এবং ৪৩৫, ৪৩৯ক ধারায়।
৬. হাইকোর্ট বিভাগের রিভিশন ক্ষমতা -
উত্তরঃ ৪৩৫, ৪৩৯ ধারায়।
৭. দায়রা আদালতের রিভিশন ক্ষমতা -
উত্তরঃ ৪৩৫, ৪৩৯ক ধারায়।
৮. দায়রা আদালত কোন আদালতের বিরুদ্ধে রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে ?
উত্তরঃ ম্যাজিস্ট্রেটের ডিসচার্জ আদেশ।
৯. ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৫ ধারায়-
উত্তরঃ নিম্ন আদালতের নথি তলব সম্পর্কে ।
১০. ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৩৬ ধারায়-
উত্তরঃ অনুসন্ধানের আদেশ প্রদান।
১১. না-রাজী পিটিশন না-মঞ্জুরের বিরুদ্ধে -
উত্তরঃ ৪৩৫ ৪৩৬ ধারায় রিভিশন।

Procedure in cases section 195


১৯৫ ধারার মামলার কার্যক্রম

হেবিয়াস কর্পাস প্রকৃ তির নির্দে শ দেন


১. ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯১ ধারা অনুযায়ী হেবিয়াস কর্পাস প্রকৃ তির নির্দে শনামূলক আদেশ প্রদানের ক্ষমতা
কোন আদালতের এখতিয়ারভু ক্ত ?
উত্তরঃ হাইকোর্ট বিভাগের।

Public Prosecutor

পাবলিক প্রসিকিউটর

১. পাবলিক প্রসিকিউটর কে নিয়োগ করতে পারে ?


উত্তরঃ সরকার।
২. পাবলিক প্রসিকিউটর কোনো আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করতে পারে -
উত্তরঃ আদালতের সম্মতিতে।
৩. আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পূর্বে প্রসিকিউশন কোনো মামলা প্রত্যাহার করলে ফলাফল কি হবে ?
উত্তরঃ আসামীর অব্যাহতি।

Bailable and Non-bailable Offences


জামিন, জামিনযোগ্য এবং জামিন অযোগ্য অপরাধ

১. জামিনের বিধান কত ধারায় ?


উত্তরঃ ৪৯৬, ৪৯৭ ও ৪৯৮ ধারায়।
২. জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে আসামীর জামিন প্রাপ্তির সুযোগ-
উত্তরঃ আইনগত অধিকার।

You might also like