Professional Documents
Culture Documents
Text 51B054A5AB5F 1
Text 51B054A5AB5F 1
চমকে পড়লাম। সে কি! কি করে? 'হ্যাঁ, স্কুটি চালাতে চালাতে এক্সিডেন্ট হয়ে পড়ে গেছে। স্পট ডেথ।' হায়রে
তার কি হবে? তার যে একটা ছোট ছেলে রয়েছে। ফোনের উপাস থেকে আরও একটা খবর পেলাম - মেয়েটির বাপের
বাড়ির পাশাপাশি সবাই নাকি বলছে,'যাক রক্ষা পেল গ্রামটা।'
সেই মুহূর্তে, এর থেকে বেশী মাথা ঘামাবার সময় পায়নি সেদিন। বাড়ি চলে এলাম পরের দিন। যথারীতি
স্কুলের অনুষ্ঠান নিয়ে কেটে গেল ব্যস্ততায়। ও... আপনারা তো জানেন না আমি কে? কোথায় বা থাকি?
না না, আমি কোন গল্পের লেখক নই। সাধারণ একজন গ্রাম্য গৃহবধু। গল্প লেখার কোন ইচ্ছে আমার নেই। বাস্তব এত
কঠিন ও তার ভেতরে থাকতে থাকতে সেই কথাটাই শুধু মনে পড়ে 'পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি'।
2
সুমতি খুব সুন্দর না হলেও, একবার চোখ চলে যায়। নরম ধরনের মুখটা। মাত্র ১৫ বছর বয়স। একদিন তার দাদা
সুমিত এর সঙ্গে এলো তার বন্ধু সৌরভ দাস। বয়স তার কুড়ি বছর। বেশ দেখতে। রোগা চেহারা। কিন্তু কেমন
যেন... বোকা বোকা। একে খুব সহজেই কাঁদানো যায়। সুমতির মা কামিনী দেবীর ইচ্ছায় তাদের মধ্যে সম্পর্কটা
বেশ কিছুদূর এগিয়ে গেল দ্রুততার সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত দাদা সুমতীর সাহায্যে বিয়েও কোথাও হলো। বিয়ের আগে
কামিনী দেবী এলেন পাত্রের বাড়িতে। এ কি! এই ছোট্ট ঘর। তাও আবার মাটিতে। ছি! এদের বাড়িতে কি মেয়ে
দেওয়া যায়! না… কিছুতেই না। চক্রান্ত শুরু বিয়ে ভাঙ্গার। মেয়েকে অনেক বোঝালেন। কিন্তু সুমতি যে তখন
মায়েরই চক্রান্তে... দেহ, মন সবই দিয়ে দিয়েছে সৌরভকে। এই বয়সে এই ধাক্কা সে সামলাবে কিভাবে। ধীরে ধীরে
অসুস্থ হয়ে পড়ল। দাদা সুমিত তখন অন্য কোন দিক না ভেবে যা হয় হোক করে, মায়ের অমতেই বিয়ের ব্যবস্থা
করল। এদিকে ছেলের মা অনিমা দেবী ও ছারবার লোক নন। তিনি ছুটে চলেছেন মনসা মন্দিরের দিকে । মনসা দেবীও
নাকি তাকে বললেন এখানেই বিয়ে হবে।
"ওই মেয়ে যদি তোর ঘরে না আসে আমি তাদের সর্বনাশ করে দিব।" তা এই কথাটা যখন সুমিতের মা শুনলেন তখন
তিনি আর বেশি কিছু বিরোধিতা করলেন না। বিয়ে তো হয়ে গেল। মা মনসার তোপ বলে কথা।