Professional Documents
Culture Documents
বিদায় হজ
বিদায় হজ
বিদায় হজ
মুনাজাত
4
মহৎ প্রান
প্রশ্ন : ১। তোমার মতে মহৎ ব্যক্তি কে এবং কোন কোন গুণে তিনি মহৎ ।
উত্তর : আমার মতে আব্দু ল করিম একজন মহৎ ব্যক্তি । কেননা তিনি ছিলেন বিশ্বাসী , দায়িত্ববান , নির্লোভ ও সৎ । যা একজন মহৎ
ব্যক্তির গুণ । আর এসব গুণ আব্দু ল করিমের মধ্যে রয়েছে বিধায় তিনি মহৎ ব্যক্তি ।
প্রশ্ন : ২। আব্দু ল করিম দোকান ছেড়ে বাড়ি গেল না কেন ?
উত্তর : বৃ দ্ধ তাঁতী যখন আবদুল করিমকে দোকানে রেখে বাড়ি চলে যায় , তখন আবদুল করিম পূ র্ণদিন দোকান করে । কিন্তু তাঁতি ফিরে
আসছিল না । আমানত যাতে খেয়ানত না হয় সেজন্য আব্দু ল করিম তাঁতির অপেক্ষায় দোকান ছেড়ে বাড়ি গেল না ।
প্রশ্ন : ৩। আব্দু ল করিম কিভাবে মস্ত বড় mI দাগর ?
উত্তর : মূ ল ব্যবসায়ীর অনু পস্থিতিতে আব্দু ল করিম বিশ্বস্থ ভৃত্যের মত ব্যবস্থার উন্নতির জন্য চেষ্টা করছিল । অবশেষে ব্যবসায় এক সময়
সে । লাভবান হয়ে ১ টির পরিবর্তে ৩ টি দোকান প্রতিষ্ঠা করল , আর মূ ল ব্যবসায়ীর দীর্ঘ দিনের অনু পস্থিতিতে লোকেরা তাকেই বড়
শওদাগর ভাবতে লাগল ।
প্রশ্ন : ৪। “ তুই মানু ষ না ফেরেশতা ' কে কাকে বললেন ? কেন বললেন ?
উত্তর : ‘ তুই মানু ষ নাকি ফেরেশতা ' কথাটি বৃ দ্ধ আব্দু ল করিমকে বলেছিল । বৃ দ্ধ দোকানি যখন স্ত্রী পু ত্র হারিয়ে । দিশেহারা তখন
কলকাতা এসে আব্দু ল করিমের নিকট থেকে সব ফিরে পাওয়ার আশ্বাস পেয়ে এ উক্তিটি করেছিলেন ।
প্রশ্ন : ৫। বৃ দ্ধ দোকানী কতদিন পর তার দোকানে ফিরে এলেন ? তিনি দোকানে ফিরতে এত দেরি করলেন কেন ?
উত্তর : বৃ দ্ধ দোকানী দীর্ঘ সাত বছর পর দোকানে ফিরলেন । বৃ দ্ধ তার স্ত্রীর অসু স্থতার খবর পেয়ে দোকানে আবদুল করিমকে বসিয়ে
বাড়ির দিকে রওনা হয় । বাড়িতে গিয়ে দেখে তার স্ত্রীর মৃ ত্যু হয়েছে । এর কিছু দিন পর তার দুটি ছেলেও মারা যায় । তারপর সে নানা
দুর্বিপাকে পড়ে । তখন সে আর কিছু তেই বাড়ি ছাড়তে পারল না । বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এভাবে তার সাত বছর কেটে যায় । আর
এসব কারণেই বৃ দ্ধের দোকানে ফিরতে দেরি হয়েছিল ।
প্রশ্ন -6 . কোনটি কোন পদ বল কিন্তু , রাত্রি , তিন , মহৎ , পবিত্র , মানব ।
উত্তর : কিন্তু অব্যয় তিনি সর্বনাম পবিত্র- বিশেষণ
প্রশ্ন : ৭ ব্যাখ্যা কর :
ক. সে বিশ্বাস আমি রক্ষা করতে পেরেছি , এই আমার পক্ষে ঢের
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু ডা . লু ৎফর রহমান রচিত ' মহৎ প্রাণ ' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : উক্ত উক্তিটি দিয়ে আবদুল করিমের মনের অনু ভূতি প্রকাশ পেয়েছে ।
বিশ্লেষণ : এক বৃ দ্ধ দোকানী একটি জরুরি কাজের জন্য আবদুল করিম নামের ছেলেকে দোকান রেখে বের হয়ে আর সাত বছরের মধ্যে
ফিরে আসেন নি । আবদুল করিম দোকানির দোকান ফেরৎ দেবার আশায় দোকানদারী করেন । সে নিষ্ঠার সাথে কারবার চালিয়ে মস্ত বড়
ব্যবসায়ী হন । কিন্তু সাত বছর পর আবদুল করিম বৃ দ্ধ দোকানীকে পেয়ে তার দোকান ফেরত দিতে পেরেছে, সে আনন্দে আব্দু ল করিম
উক্তিটি করেন।
মন্তব্য : মহৎপ্রাণ মানু ষ বিশ্বাস ও সততা অটুট রাখে।
প্রশ্ন : 8 ব্যাখ্যা কর :
খ . মানু ষের জীবন যে এত সু ন্দর , এত পবিত্র হয় , তা বিশ্বাস করতে মন চায় না ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু জীবনধর্মী লেখক ডা . লু ৎফর রহমানের ‘ মহৎ প্রাণ ’ গল্প থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : এখানে মানু ষের জীবন সু ন্দর ও পবিত্র হওয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে । বিশ্লেষণ : আবদুল করিম বৃ দ্ধ দোকানির দোকান আমানত
রেখেছেন । এমনকি তার ব্যবসায়ে উন্নতি করেছেন । যা কিছু করেছেন তা বৃ দ্ধ দোকানির নামে । সাত বছর পর বৃ দ্ধ ফিরে এলে আবদুল
করিম বৃ দ্ধ তার সব আমানত ফেরত দেয় । কিন্তু আবদুল করিমের সততা , দায়িত্ববোধ ও বিশ্বাসে মু গ্ধ হয়ে তাকে সব কিছু দিয়ে দেন ।
মন্তব্য : বিশ্বাসী মহৎ প্রাণ মানু ষের জীবন সু ন্দর ও পবিত্র হয় ।
5
আযান
শিক্ষকের মর্যাদা
আলোর নবী
9
পল্লি সাহিত্য
প্রশ্ন - ক . গাছের জীবন আছে ' আমরা কেমন করে একথা বু ঝতে পারি ?
উত্তর : গাছের যে জীবন আছে , একথা একটি পরীক্ষার মধ্যমে আমরা সহজেই বু ঝতে পারি । একটি শুকনা মরা গাছের পাশে আরেকটি
সজীব ডাল - পালাযু ক্ত তাজা গাছ রেখে দেই। শুকনো মরা গাছটি আস্তে আস্তে তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে । কিছু দিন পর তাকে আর
খুঁ জে পাওয়া যাবে না । অপরদিকে স wR ব ডালপালাযু ক্ত তাজা গাছটি বড় হতে থাকবে । ফল ও ফু লের মাধ্যমে বংশবিস্তার করবে ।
এতে বু ঝা যায় গাছের প্রাণ আছে । গাছের যদি জীবন না থাকত তাহলে এসব প্রক্রিয়া দেখা যেত না ।
প্রশ্ন - খ . বীজ থেকে কীভাবে গাছের জন্ম হয় ? বীজ কীভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে ?
উত্তর : বীজ থেকে নানা উপায়ে গাছের জন্ম হয় । কোনো বীজ মানু ষ তার নিজ প্রয়োজনে বপন করে । কোনো বীজ বাতাসে উড়ে এসে
মাটিতে ছড়ায় । আবার কোনো কোনো বীজ পাখিরা ঠোঁটের সাহায্যে অনেক দূর দেশে নিয়ে যায় । এসব বীজ যখন মাটিতে পড়ে, তখন
প্রয়োজনীয় উত্তাপ , জল ও মাটির সাহায্যে বীজ থেকে নতুন গাছের জন্ম হয়ে থাকে । বীজ তার উপযু ক্ত স্থানে যতদিন না পৌঁছাবে ,
ততদিন বাইরের শক্ত ঢাকনা দিয়ে সে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে ।
* সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
প্রশ্ন - ক . ' বীজগুলি যেন গাছের ডিম 'এ কথা বু ঝিয়ে বল ।
উত্তর : পৃ থিবীতে প্রাণী বলতে যাদেরকে বোঝায় , তারা যেকোনো উপায় অবলম্বন করে জন্ম লাভ করেছে । ডিমের মধ্যে জীবন ঘু মিয়ে
থাকে , তবে কোনো চিহ্ন দেখা যায় না । প্রয়োজনীয় উত্তাপ পেলেই ডিম থেকে বাচ্চার জন্ম হয় । অনু রূপভাবে বীজের মধ্যে গাছের ডিম
ঘু মিয়ে থাকে । প্রয়োজনীয় উত্তাপ পেলেই বীজ থেকে বৃ ক্ষের জন্ম হয় । এজন্য বলা হয়ে থাকে বীজগুলো যেন গাছের ডিম ।
11
প্রশ্ন - খ . জীবনের লক্ষ কী ? গাছ দেখে তা কী করে বোঝা যায় ?
উত্তর : গাছ দেখে জীবনের লক্ষণ বোঝা যায় । একটি জীবিত গাছ আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে । ভালো ডালা ছড়ায় এবং ফল ও ফু ল
দেয় । মৃ ত গাছে তা সম্ভব নয় । মৃ ত গাছটি আস্তে আস্তে তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে ।
প্রশ্ন - গ . বৃ ক্ষ - শিশু কোথায় ও কেমন করে ঘু মিয়ে থাকে ?
উত্তর : বৃ ক্ষ - শিশু বীজের মধ্যে ঘু মিয়ে থাকে । ডিমে যেমন একটি প্রাণীর জীবন ঘু মিয়ে থাকে তেমনি গাছের বীজের মধ্যেও একটি
গাছের প্রাণ ঘু মিয়ে থাকে । মাটির উত্তাপের ফলে এ বীজ থেকে একটি গাছের জন্ম হয় ।
প্রশ্ন - ঘ . বীজ কীভাবে দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে ?
উত্তর : বীজ অনেক উপায়ে দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে । যেমন :
১. মানুষ এক স্থান থেকে বীজ অন্যস্থানে নিয়ে যায় ।
২. পাখি ফল খেয়ে ফলের বীজ ঠোঁটে করে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যায় ।
৩. বাতাসের সাহায্যেও বীজ একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়ে ।
প্রশ্ন :. ব্যাখ্যা কর :
ক . গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র ।
উত্তর : উৎস । আলোচ্য অংশটুকু জগদীশচন্দ্র বসু রচিত ' গাছের জীবন কথা ' নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : গাছের জীবনের সাথে মানু ষের জীবনের যে মিল আছে লেখক এখানে তা ব্যক্ত করেছেন ।
বিশ্লেষণ : মানু ষ যেমন জন্ম ও মৃ ত্যুবরণ করে তেমনি একটি গাছও জন্ম নেওয়ার পর একদিন মারা যায় ।
প্রসঙ্গ : মানু ষ যেমন বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণ করে , তেমনি গাছকেও জীবন রক্ষার জন্য খাদ্য গ্রহণ করতে হয় । মানুষের মধ্যে
একটি মহৎ গুণ হলো স্বার্থ ত্যাগ করে পরের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া । এমনিভাবে গাছ ও মানু ষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয় ।
এসব কারণেই লেখক গাছকে মানু ষের জীবনের ছায়া বা প্রতিচ্ছবি বলেছেন ।
মন্তব্য : গাছ ও মানু ষ একে অপরে পরিপূ রক । এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় , গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র ।
প্রশ্ন : . ব্যাখ্যা কর :
খ. ডিমে জীবন ঘু মাইয়া থাকে ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু জগদীশচন্দ্র বসু র একটি প্রাণবস্তু প্রবন্ধ ' গাছের জীবন কথা ’ থেকে চয়ন করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : এখানে লেখক ডিমের মধ্যে যেমন একটি বাচ্চা লু কায়িত আছে , তদ্রুপ একটি বীজের মধ্যে যে গাছ নিহিত আছে তা বোঝাতে
চেয়েছেন ।
বিশ্লেষণ : লেখক বলেন , ডিমে বাচ্চা আছে । দেখা না গেলেও তাপ দিলে অবশ্যই তা থেকে একটি ছানা আশা করা যায় । তদ্রুপ ক্ষুদ্র
থেকে ক্ষুদ্রতর বীজের মধ্যেও যে একটি বিরাট গাছ লু কায়িত আছে , তা কিন্তু অবাস্তব নয় । অবশ্যই এর জন্য দরকার পড়বে উপযু ক্ত
পরিবেশ । যেরূপ ডিমকে তাপ দেওয়া হয় , তদ্রুপ গাছও উপযু ক্ত পরিবেশ পেলে ক্ষুদ্র বীজ থেকে বেরিয়ে আসে।
মন্তব্য : এ কথা সত্য যে , ডিমেরও জীবন আছে , তবে তা জীবন্ত নয় বরং ঘু মন্ত অবস্থায় ।
প্রশ্ন : . ব্যাখ্যা কর :
গ. " পৃ থিবী মাতার ন্যায় তাহাকে কোলে তুলিয়া লইল ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু জগদীশচন্দ্র বসু রচিত ‘ গাছের জীবন কথা ’ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : এখানে লেখক একটি পতিত বীজের চারায় রূপান্তরিত হওয়ার অবস্থা সু ন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন ।
বিশ্লেষণ : ঝড় বৃ ষ্টিতে যদি কোনো বীজ পতিত হয় তাহলে তা কীভাবে গাছ হবে । এ আশা করা সাধারণের মতে অবাস্তব । তবু ও লেখক
বলেন , উক্ত বীজটা ঝড় বৃ ষ্টিতে পতিত হওয়ার পর কোনো মাটির ঢেলা বা ইট ভাঙার নিচে আশ্রয় নেয় । পরে তা আলো বাতাস পেয়ে
অঙ্কুরিত হয় । যেন পৃ থিবী তাকে আপন মায়ের ন্যায় কুলে তুলিয়া লইলো। আলো বাতাস দিয়ে এতোটা আগাতে সাহায্য করেছে। এ
কারণেই সে গাছে পরিণত হতে পেয়েছে ।
মন্তব্য : মাতারূপী প্রকৃতি মাতৃস্নেহেই বৃ ক্ষ - শিশুকে লালন পালন করে এবং তাকে বড় করে তোলে ।
12
উত্তম ও অধম
প্রশ্ন: K. কুকুর কাকে কামড় দিল?
উত্তর : কুকুরটি এক পথিকের পায়ে কামড় দিল।
প্রশ্ন : L.কামড়ের চোটে পথিকের অবস্থা কেমন হল ?
উত্তর : কামড়ের চোটে পথিক বিষের যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে পড়ল ।
প্রশ্ন - গ . মেয়েটি তার বাবাকে কি বলল?
উত্তর : মেয়েটি তার বাবাকে ভর্ৎ সনা ছলে বলল,তুমি কেন তাকে ছেড়ে দিলে, তোমার কি নেই দাঁত?
প্রশ্ন - ঘ . মেয়েটির কথার উত্তরে বাবা কী বললেন ?
উত্তর : মেয়েটির কথার উত্তরে বাবা বলল , মা, কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি কুকুরকে কামড়ানো
মানু ষের শোভা পায়
প্রশ্ন - ঙ , বাবা - মা অসু স্থ হলে তুমি কী কী করবে ?
উত্তর : বাবা মার অসু খ হলে আমি তাদের সেবা করব । নিয়মিত ওষু ধ পত্র সেবন করাব , যাতে তারা তাড়াতাড়ি সেরে উঠেন তার ব্যবস্থা
গ্রহণ করব।
প্রশ্ন - চ , কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায় না কেন ?
উত্তর : কুকুর হচ্ছে ইতর প্রাণী । মানুষকে কামড়ানোটা তার স্বভাব । আর মানু ষ হচ্ছে সৃ ষ্টির সেরা জীব । তাই কুকুর যে কাজ করতে
পারে , তা করা মানু ষের জন্য শোভা পায় না ।
প্রশ্ন - Q . কে উত্তম ? কে অধম ? বু ঝিয়ে বল ।
উত্তর : যে ব্যক্তি বিবেক , বু দ্ধি ও জ্ঞান খাটিয়ে ভালো কাজ করে এবং পরের উপকার করে সেই উত্তম লোক ।
অন্যদিকে বিবেক বু দ্ধিহীনরা হলো অধম । এ কবিতায় কুকুর হচ্ছে এমনই একটি ইতর প্রাণী । ইতররা যা খু শি তাই করে । তাদের কোনো
বিবেকবোধ নেই। এরাই হচ্ছে প্রকৃত অধম ।
প্রশ্ন : . ব্যাখ্যা কর :
ক . দাঁত আছে বলে কুকুরের পায়ে দংশি কেমন করে ?
উত্তর : উৎস : আলোচ্য কবিতাংশটুকু মূ ল কবি শেখ সাদী এবং অনু বাদক সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কর্তৃ ক উত্তম ও অধম কবিতা থেকে চয়ন করা
হয়েছে
প্রসঙ্গ : এখানে মানু ষ ও ইতর প্রাণীর আচরণের পার্থক্য ব্যক্ত করা হয়েছে ।
বিশ্লেষণ : এক পথিকের পায়ে কুকুর কামড় দিলে পায়ে বিষদাঁতের বিষ লেগে যায় । যার ফলে রাতে সে বিষম ব্যথা অনু ভব করলে তার
মেয়ে তাকে সেবা করতে গিয়ে বলল , সে কুকুরের পায়ে কামড় দিল না কেন । তখন মেয়ের প্রশ্নের উত্তরে লোকটি এ উক্তিটি করেছিল,
কুকুর হচ্ছে ইতর প্রাণী, তাই কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি কুকুরকে কামড়ানো মানু ষের শোভা পায়?
মন্তব্য : ইতর প্রাণী ও মানু ষ এক নয় । তাই ইতর প্রাণীর মতো মানুষের যে কোনো কাজ করা উচিত নয় ।
প্রশ্ন : . ব্যাখ্যা কর :
খ. কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায় , তা বলে কুকুরে কামড়ানো কিরে মানুষের শোভা পায় ?
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু অনু বাদক কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ' উত্তম ও অধম ' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : এখানে মানু ষ ও কুকুরের মধ্যে আচরণের পার্থক্য ব্যক্ত করা হয়েছে ।
বিশ্লেষণ : এক পথিকের পায়ে কুকুর কামড় দিলে কুকুরের বিষ দাঁতের বিষের ব্যথায় কাতর হয়ে পড়ে । তা দেখে তার মেয়ে সেবা করার
মাঝে বাবাকে বলে তিনি কুকুরের পায়ে কামড় দিল না কেন ? তখন বাবা দুঃখের মাঝে হেসে ফেলল এবং মেয়েকে বোঝাল কুকুর
কামড়াতে পারে, কিন্তু মানু ষ কুকুরের পায়ে কামড়াতে পাড়ে না । কারণ মানু ষ ও কুকুড় এক নয় । একজন সভ্য অন্যটি অসভ্য । তাই
আচরণে পার্থক্য ।
মন্তব্য : পরিশেষে বলা যায় কুকুরের কাজের সাথে মানু ষের কাজের তুলনা ঠিক নয় । কারণ কুকুর আর মানু ষ এক হতে পারে না ।
13
মু জাদ্দিদে আলফেসানী রহ.
15
প্রশ্ন : খ. পাটের চাহিদা কমেছে কেন?
উত্তর : পৃ থিবীর বিভিন্ন দেশ ; যারা আমাদের কাছ থেকে পাট কিনত , তারা এখন পাটের পরিবর্তে সিনথেটিক ও পলিথিন জাতীয় জিনিস
ব্যবহার করে । এতে পাটের চাহিদা অনেক কমে গেছে। তবে সিনথেটিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যগত অনেক অসু বিধা দেখা দিয়েছে ।
তাই আমাদেরকে পূ নরায় পাটের চাহিদা বাড়াতে হবে,এবং সিনথেটিক জাতীয় বস্তু বর্জ ন করতে হবে।
প্রশ্ন : গ. পাট থেকে কি কি দ্রব্য তৈরী হয়?
উত্তর : পাটের ব্যবহার কিন্তু বহুবিধ । পাট থেকে তৈরি হয় চট , ছালা , দড়ি , কাছি , থলে , কার্পেট । পাটকাঠি থেকে বর্ত মানে আমরা
বহুবিধ জিনিস তৈরি করছি । যেমন- কাগজ ও পারটেক্স । পারটেক্স দিয়ে আধু নিক ধরনের জানালা , দরজার পাট্টা তৈরি করা হয় । এছাড়া
আরো কত কি ! গ্রাম - গাঁয়ে পাটকাঠি বা শলা জ্বালানি এবং কাঁচা ঘরের বেড়া হিসাবেও ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন : ঘ. পলিথিন ব্যাগ ফেলে দেওয়ার ফলে কি ক্ষতি হয়?
উত্তর :বিগত সময়ে আমাদের দেশে একটা ফ্যাশন চালু হয়েছিল , কেউ বাজার - ঘাটে চটের ব্যাগ নিয়ে যেত না । বাজার থেকে কিছু
কিনলে এক টাকা দিয়ে একটি পলিথিন ব্যাগ কিনে তাতে করে বাজার নিয়ে আসত । এতে কিন্তু ভীষণ ক্ষতি হত । এসব পলিথিনের ব্যাগ
এক দুই বারের বেশি ব্যবহার করা যেত না । অন্যদিকে এ ব্যাগ ছিঁড়ে যাওয়ার পর যেখানে সেখানে ফেলে দেয়া হত । এতে পরিবেশের
মারাত্মক ক্ষতি হয়,যেমন পলিথিন মাটিতে না মেশার ফলে জমির উর্বরতার শক্তি হারাতে থাকে। তাই এ দিকে লক্ষ্য করেই সরকার তা
বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে । এতে পলিথিনের ব্যবহার অনেক কমে গেছে ।
প্রশ্ন . ঙ. পাট কত প্রকার তা লিখ?
উত্তর : পাট বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে,তবে প্রধানত দুই প্রকার। যথা দেশি বা তিতা পাট। তোষা বা বগী পাট। এছাড়াও আরো দুই প্রকার
পাট রয়েছে। যথা,শন পাট ও মেসতা পাট।
প্রশ্ন . চ. পাটকাঠি থেকে কী তৈরি হয় ?
উত্তর : পাটকাঠি থেকে অনেক রকমের বস্তু তৈরি হয় । এর মধ্যে কাগজ ও পারটেক্স উল্লেখযোগ্য ।
প্রশ্ন -৭ . ছালার ব্যাগ ব্যবহারে কী উপকার হয় ?
উত্তর : ছালার ব্যাগ ব্যবহার করলে একদিকে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করা হবে , অন্যদিকে বৈদেশিক মু দ্রাও বাঁচবে ।
কথায় বলে দেশীয় পণ্¨, কিনে হও ধন্য। এছাড়াও দেশীয় পণ্য ব্যবহার করলে, তা হবে দেশকে ভালোবাসার পরিচয়|
জ্ঞান আহরণ
16
জ্ঞানী তার সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিচ্ছিল । কিন্তু পথিক জানত না তিনি কাকে প্রশ্ন করেছিল। জ্ঞানী চলে যাওয়ার পর পথিক
বু ঝতে পারল যে, মূ সা (আ) যার কাছে হার মেনেছিলেন এবং যাকে সবচেয়ে জ্ঞানী বলেছিলেন, ইনি সেই খিজির (আ) ।
মন্তব্য : জ্ঞান মানু ষকে উদার ও মহান করে | জ্ঞান মানুষকে নিরঅহংকারী করে তোলে ।
সভ্য ও অসভ্য
ড. কাজী দীন মু হাম্মদ
17
সংক্ষেপে প্রশ্নগুলোর উত্তর `vI |
প্রশ্ন-ক. বাহিমান বাদশাহ কেন যু দ্ধ করলেন না?
উত্তর : বাহিমান দেশের বাদশাহর সৈন্য সামন্ত অপেক্ষাকৃত কম ছিল তাই তিনি যু দ্ধ করলেন না ।
প্রশ্ন-খ. জমিক্রেতা কেন সোনার খণ্ডটি নিল না?
উত্তর : সে মনে করেছিল যে, সে তো শুধু জমি কিনেছে | সোনা তো কিনিনি | তাই তিনি সোনা নিতে চাইলেন না।
প্রশ্ন-গ. জমি-বিক্রেতা কেন সোনা খণ্ডটি নিতে চাইল না?
উত্তর : জমি বিক্রেতা বললেন, আমি জমি বিক্রির সাথে সাথে এর মধ্যে যা কিছু ছিল সবই বিক্রি করে
তাই তিনি সোনা নিতে রাজি হলেন না |
প্রশ্ন-ঘ. বাদশাহ কীভাবে সমস্যার সমাধান করলেন?
উত্তর : বাদশাহ উভয়ের ছেলে ও মেয়ের বিবাহের মাধ্যমে D³ †mvbvwU Dcnvi wn‡m‡e w`‡q এ সমস্যার একটি
সু ন্দর সমাধান করলেন।
জন্মভূমি বাংলাদেশে
18
দারুল উলূ ম দেওবন্দের গোড়ার কথা
প্রশ্ন-১, বিশ্বনবি (স.) এর পর থেকে মু সলিম জাতির পরিচালনায় কারা ছিলেন? উত্তর : বিশ্বনবি (স.)-এর ইন্তিকালের পর মু সলিম
জাতির পরিচালনা করেন খলিফাগণ এবং এরপর সালাফে সালেহীনগণ । রাজ্য চালান, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা-দীক্ষা, তথা সর্বত্রই ছিল
তাদের স্বগৌরব উপস্থিতি
প্রশ্ন-২, সংগ্রামে আগের কাতারে কারা রয়েছেন?.
উত্তর : মু সলিম বিশ্বে মু সলমানদের স্বার্থে ও তাদের উন্নয়নে যত সংগ্রাম হয়েছে সব সংগ্রামের আগের কাতারে থেকে নেতৃত্ব
দিয়েছেন উলামায়ে কেরামগণ| আর তাদের পিছনে থেকে তাদেরকে সাহায্য করেন মু সলিম জনতার অগণিত সৈনিকগণ |
প্রশ্ন-৩. অন্যায়কারী বাদশাহদের বিরুদ্ধে কারা শাণিত তলোয়ার ছিলেন? উত্তর : ভারত উপমহাদেশের সাত'শ বছরের মু সলিম
ইতিহাসে উলামায়ে কেরাম ছিলেন মু সলিম জাতির পথ প্রদর্শক | একদিকে তারা ছিলেন জাতির ঈমান আমলের সংস্কারক এবং
অন্যদিকে ছিলেন অন্যায়কারী রাজা বাদশাহদের বিরুদ্ধে শাণিত তলোয়ার |
প্রশ্ন-৪. কোন সনে কারা নৌকা থেকে মসনদে উঠেছিল?
উত্তর : মোঘল আমলে মু সলমান রাজা বাদশাহর অদূরদর্শিতার কারণে ১৮০৩ সালে ব্রিটিশ বণিকরা এদেশকে গ্রাস করে ফেলল এবং
বেনিয়ারা তখন তাদের নৌকা থেকে নেমে গিয়ে উঠল দিল্লির মসনদে |
প্রশ্ন-৫. ভারতকে 'দারুল হরব' কে ঘোষণা দিয়েছিলেন?
উত্তর: হযরত শাহ আবদুল আজীজ (র) ভারতকে দারুল হরব ঘোষণা দিয়েছিল |
প্রশ্ন-৬. কার নেতৃত্বে বাংলা আসাম থেকে সীমান্ত প্রদেশ পর্যন্ত আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল?
উত্তর : শাহ ওয়ালিউল্লাহ মু হাদ্দিসে দেহলভী (র)-এর ইন্তিকালের পর তার সু যোগ্য পু ত্র শাহ আব্দু ল আজীজ দেহলভী (র)
ব্রিটিশদের ভারত জবর দখলকারী আখ্যায়িত করে আন্দোলন শুরু করেন | এরপর তার শিষ্য সাইয়েদ আহমাদ বেরেলভী (র) এ
আন্দোলন ছড়িয়ে দিলেন বাংলা আসাম থেকে সু দূর সীমান্ত প্রদেশ পর্যন্ত |
প্রশ্ন-৭. হযরত সাইয়েদ আহমদ বেরেলভী (র)-এর পতাকাতলে কত সংখ্যক মু জাহিদ সমবেত হয়েছিলেন? উত্তর : হযরত
সাইয়েদ আহমদ বেরেলভী (র)-এর পতাকাতলে এক লাখেরও বেশি মুজাহিদ সমবেত হয়েছিল ছিল
প্রশ্ন-৮. কোন সনে কাদের নেতৃত্বে সিপাহী বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তর : সংগ্রামী উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে ১৮৫৭ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল |
প্রশ্ন-৯. গ্রান্ড-ট্রাংক রোডের গাছে গাছে কাদের লাশ ঝু লিয়ে রাখা হয়েছিল?
উত্তর : হাজার হাজার আলেমকে প্রকাশ্যে হত্যা করে শেরশাহী গ্র্যান্ড ট্রাংক রোডের গাছে গাছে তাদের ঝু লিয়ে রাখা হয়েছিল এবং
এভাবেই তাদের স্বাধীনতার স্বাদ বিনষ্ট করতে চেয়েছিল বৃ টিশরা |
প্রশ্ন-১০. 'দারুল উলূ ম দেওবন্দ' কত সালে কে স্থাপন করেন?
উত্তর : মুজাহিদীনের সিপাহসালার হুজ্জাতুল ইসলাম আল্লামা হযরত কাসেম নানু তুবী রহ. সরাসরি সংগ্রাম ও সশস্ত্র যু দ্ধের পথ ত্যাগ
করে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা ভাবলেন, যা হবে সরকারের প্রভাব সাহায্য থেকে মু ক্ত। যেখানে গড়ে তোলা হবে এমন
কিছু মর্দে মুমিন, যারা ইলম ও চরিত্রে হবে উজ্জল নক্ষত্র তুল্য। বিদআত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে হবে আলোর মশাল। যারা ব্যক্তিগত
আমল-আখলাক হবে নবীর খাঁটি উত্তরসূ রী। এমনই এক পরিস্থিতিতে ১৮৬৬ সালের ৩০মে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপু র
জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যা আজ বিশ্ব বিখ্যাত
ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র দারুল উলু ম দেওবন্দ নামে সু পরিচিত।
প্রশ্ন-১১. 'রেশমী রুমাল আন্দোলন'-এর নায়ক কে ছিলেন?
উত্তর : ভারতের গৌরব মাওলানা মাহমু দুল হাসান (র) ভারতবর্ষের আযাদীদেরজন্য এক আন্দোলন গড়ে তোলেন, যা ইতিহাসে
রেশমী রুমাল আন্দোলন নামে খ্যাত। তাই রেশমী রুমাল আন্দোলনের নায়ক মাওলানা মাহমু দুল হাসান দেওবন্দী রহ.|
প্রশ্ন-১২. মাল্টা দ্বীপে কাকে কাকে নির্বাসন দেওয়া হয়?
উত্তর : শায়খু ল হিন্দ ও তাঁর প্রিয় শিষ্য মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (র)-কে মাল্টা দ্বীপে নির্বাসন দেওয়া হয় |
19
তারাবীর জামাত
প্রশ্ন-১. মোল্লা বাড়িতে আজ সারা গাঁও একত্র হবে কেন? কবি কাকে কাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাবেন?
উত্তর : মোল্লা বাড়িতে আজ সারা গাওয়ের মানু ষ রমযান মাসের তারাবীর নামায পড়ার জন্য একত্র হবেন| কবি মেনাজদ্দীন
কলীমদ্দিন, দৌলা, লস্কর ও কিনু কে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন |
প্রশ্ন-২. গইজদ্দীনের কানে ধরে থাপ্পড় মারতে ইচ্ছে হচ্ছে কেন? তবু তার পাশে বসে বসে নামায পড়তে হচ্ছে কেন?
উত্তর : গাইজদ্দীন কবির ক্ষেতের ধান গরু দিয়ে খাওয়ানোর কারণে কবির ইচ্ছা করছে গইজদ্দীনের কান ধরে থাপ্পড় মারতে | কিন্তু
নামাযের সময় এসব মনে রাখতে নেই, কারণ রমযান মাস সংযমের মাস | তাই ছোট খাট অপরাধ ভুলে তার পাশে বসেই নামায
পড়তে হচ্ছে |
প্রশ্ন-৩. খৈমদ্দীনকে টুটি টিপে মারতে চাচ্ছেন কেন? তার প্রতি কবির এত আক্রোশ, তবু কবি তার জন্য আজকের দিনে কি
করবেন?
উত্তর : খৈমু দ্দীন কবির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে ছারখার করেছে, তাই কবির ইচ্ছা হচ্ছে তাকে টুটি টিপে মারতে | কিন্তু আজকে
নামায পড়ে সবার জন্য দোয়া করতে হবে এবং সব হিংসা, রাগ, ঘৃ ণা ভুলে যেতে হবে|
প্রশ্ন-৪. রমযানের চাঁদ দেখতে কেমন?
উত্তর : রমযানের চাঁদ দেখতে বাঁকা চিকন এবং নৌকার মতো ।
প্রশ্ন-৫. কার মহিমায় কবি কাইজাফেসাদ ভুলে যাবেন?
উত্তর : মাহে রমযান মাস সংযমের মাস। এ মাসে আমরা সারাদিন উপবাস থেকে রোযা রাখি | তাই তার মহিমায় করি সব
কাইজাফেসাদ ভুলে যাবেন।
প্রশ্ন-৬. আদর্শ সমাজ গঠনে তারাবী নামাজ বা নামাজের ভূমিকা কী তা আলোচনা কর?
উত্তর : আদর্শ সমাজ গঠন করা আমাদের সকলের উচিত| কেননা সমাজ গঠনে আদর্শ সমাজ বেশ তাৎপর্য পূ র্ণ | আদর্শ সমাজ
গঠিত হলে সে সামাজে তেমন হৈ-হল্লা, গোগুগোল, ফাসাদ থাকে না, আর দ্বন্ধ কলহ না থাকলে সমাজ হয়ে ওঠে শান্তিপূ র্ণ | আর
শান্তিপূ র্ণ সমাজ গঠনে প্রয়োজন হলো নামায ও মসজিদ গৃ হ | কেননা মসজিদে আমরা শান্তিপূ র্ণ অবস্থান করি | নামাজ আদায় করি
কেননা বিবাদ করি না | একে অপরে পাশাপাশি বশে আমরা নামাজ আদায় করি | শান্তিপূ র্ণভাবে অবস্থান করি| তারাবীর নামায
অনেক সময় ধরে আদায় করা হয় সেই সাথে অনেক বেশি জনগন | নামাযে আসে | এবং সকলে পাশাপাশি সেই সাথে অনেক
বেশি মানু ষ নামাযে আসে| এবং সকলে পাশাপাশি বসে নামায আদায় করে| যে ভাবে নামায আদায়ের সময় পাশাপামি বসে অবস্থান
করে নামায আদায় করি তেমনি সমাজ গঠনে তারাবীর নামাজ বা নামাযের ভূমিকা সত্যিই তাৎপর্যপূ র্ণ |
প্রশ্ন- ১. হাতি দেখতে কেমন? শুঁড়ের সাহায্যে হাতি কী কী কাজ করতে পারে?
উত্তর : হাতি খু বই পরিচিত প্রাণি | ডাঙ্গার প্রাণীদের মধ্যে হাতি সবচেয়ে বড় প্রাণি | হাতির রয়েছে অদ্ভুত শুঁড় | সে শুঁড়ের সাহায্যে
বড় বড় গাছও উপড়ে ফেলতে পারে এবং বড় বড় গাছের গুঁড়ি টেনে নিয়ে যেতে পারে |
প্রশ্ন-২. গণ্ডারকে আজব প্রাণি বলা হয়েছে কেন? রেগে গেলে সে কী করে?
উত্তর : ডাঙ্গায় বসবাসরত প্রাণিদের মধ্যে গণ্ডার একটি আজব প্রাণি | গণ্ডারের নাকের ওপর শক্ত ও তীক্ষ্ণ একটি শিং আছে| গণ্ডারের
দৃষ্টি শক্তি ক্ষীণ, প্রাণশক্তি প্রখর | রেগে গেলে সে হুলস্থুল কাণ্ড বাধিয়ে দেয় ।
প্রশ্ন-৩. জিরাফ দেখতে কেমন? বনপথে সে কীভাবে ও কত মাইল বেগে ছু টে?
উত্তর : প্রাণিজগতে সবচেয়ে উঁচু হচ্ছে জিরাফ| এ প্রাণিটি প্রায় আঠার ফু ট উঁচু হয় | ছু টার সময় সে মাথাটি নিচু করে দৌড়ায়, যেন
গাছের ডালপালার সাথে না লাগে | এ প্রাণিটি ঘণ্টায় প্রায় ত্রিশমাইলেরও বেশি বেগে ছু টতে পারে |
প্রশ্ন-৪. কোন পাখিকে দৈত্য পাখি বলা হয় এবং কেন?
20
উত্তর : পাখির জগতে দৈত্য পাখি হিসেবে পরিচিত উট পাখি বা অস্ট্রিচ। এরা খু ব দ্রুত দৌড়াতে পারলেও উড়তে পারে না । এরা
ঘণ্টায় ষাট সত্তর মাইল বেগে দৌড়াতে পারে | এরা মরুভূমিতে বালিখুঁ ড়ে বাসা তৈরী করে । আর এরা মরুভূমিতে বসবাস করে বলে
এদেরকে উট পাখি বা দৈত্য পাখি বলা হয় ।
প্রশ্ন : প্লাটিপাস বা হংসচঞ্চু কোথায় বাস করে?
উত্তর : প্লাটিপাস বা হংসচঞ্চু প্রাণিজগতের আর এক বিস্ময়। এদের ঠোঁট ও পায়ের পাতা দেখতে হাঁসের মত। এরা পাখির মত ডিম
পাড়ে আর ছানারা মায়ের দুধ খায় । পু রুষ হংসচঞ্চুর পায়ের গোড়ায় বিষাক্ত কাঁটা আছে । সে কাঁটা দিয়ে তারা শত্রুকে ঘায়েল
করতে পারে। এদের চ্যাপ্টা ও মোটা লেজ শরীর থেকে বেরিয়ে ক্রমশ সরু হয়ে গেছে। পানির কয়েক ফু ট ওপরে এরা গর্ত করে
এবং সে গর্ত পানির ভেতর চলে যায়। দিনে এরা গর্তে থাকে আর রাতে পানিতে ভেসে বেড়ায় । হংসচঞ্চু তার চ্যাপ্টা ঠোঁট দিয়ে
জলজ পোকামাকড়, শামু ক ও গুগলি খায়। অস্ট্রেলিয়া ও তার কাছাকাছি দ্বীপ তাসমানিয়ায় হংসচঞ্চুর দেখা মেলে ।
প্রশ্ন : আমাদের দেশের কোন কোন প্রাণী বিলু প্ত হয়ে যাচ্ছে, এদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো?
উত্তর : প্রাণিজগতে বিস্ময় সৃ ষ্টি করেছে এমন জীবজন্তুর সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। বাংলাদেশে কিছু কিছু জীবজন্তু প্রায় বিলু প্ত
হয়ে গেছে। এদের মধ্যে রয়েছে গণ্ডার, বু নো গরু, বু নো মোষ, বু নো ছাগল ও বু নো কুকুর। এসব প্রাণী পার্বত্য জেলাসমূ হে, সিলেট
ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে পাওয়া যেত । বাংলাদেশ থেকে বিলু প্ত হওয়া প্রাণীর মধ্যে আরও আছে হাড়গিলা, মিঠা পানির কুমির,
রাজশকুন, সোনালি বিড়াল, নীল গাই ও হনু মান । এছাড়া আরও কিছু জীবজন্তু বিলু প্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাঘ,
হাতি, হরিণ, বনমোরগ, মদনটেক, কুমির, কচ্ছপ, গুইসাপ, বনরুই, গয়াল, বাঘডাস, সজারু, উড়ন্ত কাঠবিড়ালী, সোনা ব্যাঙ প্রভৃতি
এখন আর খু ব বেশি নেই। এমনকি সু ন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারও এখন সংখ্যায় কমে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্যের জন্যই এ
সব প্রণীর বেঁচে থাকা প্রয়োজন।
সোনার কিশোর
প্রশ্ন-১, কবি কাদের মু খ পানে চেয়ে বু কে শক্তি ফিরে পান। উত্তর : কবি বাংলাদেশের সোনার কিশোরদের দিকে তাকালে মনে শক্তি
ফিরে পান। কারণ, ওরাই হলো সমাজের নবচেতনার উৎস। ওদের সামনে বিরাট সম্ভাবনা। যা এদেরকে বিশ্ব জয় করতে সাহায্য
করবে।
প্রশ্ন-২. কাদের মাঝে দুঃখজয়ী আশা লু কিয়ে আছে।
উত্তর : বাংলাদেশের পরিশ্রমী ও সাহসী কিশোর ছেলেদের মাঝে দুঃখজয়ী আশা লু কিয়ে আছে ।
প্রশ্ন-৩. কবি কেন কর্মবীরকে চান?
উত্তর : কবি তার কবিতার মাধ্যমে কর্মবীরদের চেয়েছেন, কারণ তারা হলো দেশ জয়ের অগ্রপথিক । তারা সিন্ধুসেচে মু ক্তা আনবে
এবং পাহাড় সমান বাঁধাকে দুপায়ে ঠেলে দিয়ে সব সমস্যার সমাধান খুঁ জে বের করবে। তাই কবি কর্মবীরদের চান।
প্রশ্ন : ব্যাখ্যা কর :-
ক. শূ ন্য পথে বিমান যানে ধরবি ঝড়ের ঝুঁ টি , সাগর সেঁ চে মু ক্তা- প্রবাল আনৰি মু ঠি মু ঠি।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য কবিতাংশটুকু বন্দে আলী মিয়া রচিত 'সোনার কিশোর' নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : কবি তরুণদের উদ্দেশ্য করে তার মনের কথাগুলো ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্লেষণ : কবি তার কবিতার মাধ্যমে তরুণদেরকে দেশ গড়ার এবং নিত্য নতুন কিছু আবিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি
তরুণদের পরিশ্রমী সাগর সেঁ চে মু ক্তা আনার জন্য আহ্বান করেছেন ও সাহসী হয়ে দেশের তরে কিছু করার কথা বলেন। তিনি।
মন্তব্য : সাহস ও পরিশ্রম তরুণদের সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেয়।
খ. নিত্য নতুন আবিষ্কার গো করবে এরা সবে, ভরবে নভ চিমনি ধোঁয়ায় এদের জয় রবে ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য কবিতাংশটুকু কবি বন্দে আলী মিয়া রচিত সোনার কিশোর নামক কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
21
প্রসঙ্গ : এ দুটি লাইনে কবি তরুণদের প্রতি নতুন কিছু আবিষ্কার করার আহ্বান করেছেন ।
বিশ্লেষণ : কবি তার কবিতায় কিশোরদের শিক্ষিত হয়ে নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার করার জন্য তরুণদের আহ্বান করেছেন । তিনি
তরুণদের এমন কিছু আবিষ্কার করার জন্য বলেছেন যা যু গ যু গান্তর পর্যন্ত রয়ে যাবে । তরুণরা মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে দেশকে বিশ্বের
দরবারে উচ্চ স্তরে নিয়ে যাবে এটাই কবির প্রত্যাশা। মন্তব্য:
তরুণরা জাতির ও দেশের ভবিষ্যৎ। তারাই পারেন নতুন নতুন কিছু আবিষ্কার করতে।