You are on page 1of 19

1

বিদায় হজ

প্রশ্ন : -1 হিজরি কোন সালে বিদায় হজ অনু ষ্ঠিত হয়?


উত্তর : হিজরী দশম সালে বিদায় হজ অনু ষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন : 2 আরাফার ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি দেখে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ও মু খ মন্ডল কেমন হয়েছিল?
উত্তর : আরাফার ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানু ষের উপস্থিতি দেখে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মু খ- মন্ডল ক্রমেই জ্যোতি দীপ্ত হয়ে
উঠতে লাগলো কণ্ঠস্বর করুন ও ভাব গম্ভীর হয়ে আসলো।
প্রশ্ন : 3 মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাস-দাসী সম্পর্কে wK বলেছেন ?
উত্তর : মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাস-দাসী সম্পর্কে বলেছেন তোমরা দাস-দাসীদের প্রতি সর্বদা mبবহার করো ,তাদের
উপর অত্যাচার করো না তোমরা যা খাবে তাই খাওয়াবে, যা পারবে তাই পড়াবে ,এ কথা ভুলো না যে তারাও তোমাদের মত মানুষ।
প্রশ্ন :4 ধর্ম সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম wK বলেছেন ?
উত্তর : ধর্ম সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সাবধান! ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না,কেননা,এ বাড়াবাড়ির ফলেই
অতীতে বহু জাতি ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছে।
প্রশ্ন : 5 বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‡Kvb চারটি কথা বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে বলেছেন ?
উত্তর : বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে চারটি কথা বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে বলেছেন তা হলো,
১. শিরক করোনা।
২.মিথ্যা বলো না।
৩.ব্যভিচার করো না।
৪.চুরি করো না।
প্রশ্ন : 6 মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‡Kvb ২টি জিনিস রেখে ‡M‡Qb ?
উত্তর : বিদায় হজের ভাষণে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে লোক সকল তোমাদের নিকট আমি ২টি জিনিস রেখে
যাচ্ছি, যদি তোমরা দৃঢ়ভাবে তা আঁকড়ে ধরো তবে কিছু তেই তোমারা পথভ্রষ্ট হবে না তা হল, আল্লাহ তাআলার কোরআন এবং তাঁর
রাসূ ল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সু ন্নাহ। 

মুনাজাত

১/প্রশ্ন : আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা কী ? তাঁর প্রিয়জন কে ?


উত্তর : আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা হলো- আল্লাহ যেন আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন যাদের প্রতি তাঁর অনু গ্রহ
রয়েছে , আর যারা অভিশপ্ত , তাদের পথে যেন তিনি আমাদেরকে পরিচালিত না করেন । সু তরাং আমরা যেন তাঁর নির্দে শিত পথে চলতে
পারি।
আল্লাহর প্রিয়জন হলেন যারা খোদাভীরু তাকওয়াবান , আল্লাহর আদেশ - নিষেধ মেনে চলেন , তাঁর প্রদত্ত জীবন - বিধানকে মেনে
চলেন ।
২/প্রশ্ন : কবিতাটির মূ লভাব নিজের ভাষায় লেখ ।
উত্তর : উক্ত কবিতায় কবি আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করে বলেন , তিনি দয়াময় , রহমান ও রহিম । তিনি বিচার দিনের মালিক । তিনি
মানু ষের অন্তরের কথা জানেন সকলেই তাঁর কাছে করুণা ভিক্ষা করে । আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি এবং তাঁর কাছে সাহায্য
প্রার্থনা করি । কবি এ কবিতায় পরম দয়ালু ও করুণাময় আল্লাহর কাছে সত্য সঠিক পথে চলার প্রার্থনা করেছেন ।
আমাদের এই দেশ 2
প্রশ্ন : 1.বাংলাদেশের kn‡ii GKwU eY©bv `vI ?
উত্তর : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা একটি বিশাল শহর । সারাদেশে ছোট বড় অনেক শহর রয়েছে । এসব শহরের উঁচু উঁচু দালানকোঠা
ইট - বালু , রড - সিমেন্ট , পাথর আর কাঠ দিয়ে তৈরি । শহরের রাস্তাগুলো বেশ চওড়া । পাকা রাস্তা দিয়ে বাস , ট্রাক , রিকশা ,
অটোরিকশা , সাইকেল ইত্যাদি যানবাহন চলাচল করে । পাশের ফু টপাত দিয়ে চলাচল করে পথচারী । শহরের মানু ষ বিচিত্র রকমের
কাজে ব্যস্ত থাকে । কেউ অফিস - আদালতে কাজ করে, কেউ করে ব্যবসা-বাণিজ্য । শ্রমিকেরা কাজ করে কলে-কারখানায়। এছাড়াও
নানা পেশার মানু ষ জীবিকার জন্য শহরে এসে ভিড় করে।
প্রশ্ন : 2.বাংলাদেশের শহরে I MÖv‡g wK wK ai‡bi evwo Ni ‰Zwi nq ?
উত্তর : বাংলাদেশের শহরের বাড়ীঘরগুলো ইট,বালু , পাথর,সিমেন্ট দিয়ে তৈরি উচু উচু দালান কোঠা। কিন্তু গ্রামের বাড়ি ঘর গুলো একটু
ভিন্ন ধরনের, গ্রামের বাড়ি ঘর তৈরি করা হয় চাল,বাশ,কাঠ দ্বারা। এছাড়াও গ্রামে খড়,গোলপাতা,পাটকাঠি ইত্যাদি দিয়েও ঘরবাড়ি তৈরি
করে।
প্রশ্ন : 3. নদীর সঙ্গে এদেশের মানু ষের গভীর মিতালি' কথাটির অর্থ কী ?
উত্তর : আমাদের এই বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ । এদেশের বু কের উপর দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা , মেঘনা , যমু না , ব্রহ্মপু ত্র , তিস্তা ,
করতোয়া , ইছামতি , গড়াই , মহানন্দা , ধলেশ্বরী , শীতলক্ষ্যা , সু রমা , কর্ণফু লি , সাংগু মাতামু হরি আরো কত নাম । এ নদীগুলো
এদেশের | মানু ষের জীবিকা নির্বাহের বড় উৎস । নৌকা আর জাল নিয়ে সারাদিন জেলেরা নদীর বু কে ভেসে বেড়ায় আর মাছ ধরে ।
এজন্য লেখক বলেছেন — ‘ নদীর সাথে এদেশের মানু ষের গভীর মিতালি
প্রশ্ন : 4. আমাদের ‘ মাছে - ভাতে বাঙালি ’ বলা হয় কেন ?
উত্তর : বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পানির সু ব্যবস্থা থাকায় শতকরা আশি ভাগ মানু ষ কৃষিকাজ করে প্রচুর ধান উৎপন্ন করে । তাই এদেশের
মানু ষের প্রধান খাদ্য ভাত । নদীমাতৃক এদেশের বু ক চিরে বয়ে গেছে অনেক নদ নদী । যেখানে পাওয়া যায় অনেক রকমের সু স্বাদু মাছ ,
আর এ মাছই আমাদের প্রিয় খাদ্য । মাছ ও ধানের এ প্রাচুর্যের ফলে আবহমানকাল থেকেই এগুলোকে বাঙালিরা প্রধান খাদ্য হিসেবে
গ্রহণ করে আসছে । এজন্যেই এ দেশের মানু ষের পরিচয় ‘ মাছে- ভাতে বাঙালি ’ ।
প্রশ্ন : 5. । নদী , খাল - বিল ও সমু দ্রে পাওয়া যায় এমন দশটি মাছের নাম লেখ?
উত্তর : বাংলাদেশের নদী-খাল-বিল ও সমু দ্রে পাওয়া যায় এমন দশটি না মাছের নাম হল,,,
ইলিশ, রূপচাঁদা, কোরাল,লাক্ষা,লইট্যা, রুই, কাতল মৃ গল বোয়াল শোল।
প্রশ্ন :6. এদেশের কয়েক প্রকার ধানের নাম লেখ?
উত্তর : এদেশের উর্বর মাটিতে ফলে কত রকমের ধান, সেসবের নাম শুনতেও ভালো লাগে, তা হল, অঞ্জন লক্ষী, আকাশমনি,
পক্ষীরাজ, কাশফু ল, বাশফু ল, বাসমতি, বিন্নি, শঙ্খমু খি, মানিকশোভা, কালোজিরা, বাদশাভোগ, কাটারিভোগ, বালাম, বিরুই, এবং আরো
কত জাতের ধান।
প্রশ্ন : 7.আমাদের দেশের মেয়েরা অবসর সময়ে কি কি জিনিস তৈরি করে?
উত্তর : আমাদের দেশের মেয়েরা অবসর সময়ে নানা রকম সৌখিন জিনিস তৈরি করে, যেমন রঙিন সু তা দিয়ে তৈরি করে নকশী পাখা
রঙিন ব্যাচের শীতল পাটিতে ফু টিয়ে তোলে পাখি, পালকী, মসজিদ,নৌকা, বাঘ ও হরিণ, ও বিভিন্ন ছবির নকশা।
প্রশ্ন : কয়েক রকম বিখ্যাত কাপড়ের নাম লেখ?
উত্তর : 8.প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের মানু ষ কাপড় নোনার জন্য বিখ্যাত। এককালে তৈরি হতো মসলিন কাপড়। তাঁতিরা এখনো
রেশমি, জামদানি, ও সু তি কাপড় বোনে।
মসলিন, রেশম, তসন, গরাদ, মুগা, মটকা, জামদানি, টাঙ্গাইলী, বালু চুরী, এ দেশের বিখ্যাত কাপড়।
প্রশ্ন : 9.বাংলাদেশের কামার-কুমারেরা কি কি জিনিস তৈরি করে?
উত্তর : বাংলাদেশের কামারেরা তৈরি করে কৃষিকাজের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। দা, কুড়াল, খনতা, বটি, ইত্যাদি।
আর কুমারের তৈরি করে, মাটির হাড়ি পাতিল,তৈজসপত্র, ফু ল, পু তুল ও পোড়া মাটির ফলক প্রভৃতি। 
3
নয়া যমানা

প্রশ্ন : 1.KweZvwUi mvivsk wjL ?


উত্তর : হে মু সলমান সমাজ ! ঢংকা বাজছে , ধ্বংসপ্রাপ্ত দুর্গে আবার নতুন নিশান উড়ছে । তাই তোমরা মাথায় পাগড়ি বেঁধে , মু খে
কালেমা ও হাতে তলোয়ার ধারণ কর । শির উঁচু করে যামানার ডাকে বেরিয়ে পড় । মু সলমানদের জীবন ভোগ বিলাসের জন্য নয় ।
খোলাফায়ে রাশেদীনগণ অর্ধেক পৃ থিবীর শাসক হয়েও অতি সাধারণ জীবন - যাপন করেছেন । আমরা হেলায় - খেলায় ফজর ও যোহর
এবং আসর ও মাগরিবের নামাজ কাযা করে ফেলেছি । তাই কবি আমাদেরকে অন্তত এশার নামাযের জামাতে শামিল হওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন । যে ঈমান ও প্রাণের জোরে ইসলাম দুনিয়ার বু কে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল , সে শক্তিকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য আল্লাহু
আকবার ধ্বনি দিয়ে কবি বিশ্বকে কাঁপিয়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ।
প্রশ্ন : ২ । কবি কী কী গুণের অধিকারী হতে বলেছেন ?
উত্তর : কবি মু সলমানদের গলায় পাক কুরআন , মু খে কালেমা , হাতে জিহাদী তলোয়ার গ্রহণ করার মতো গুণের অধিকারী হতে
বলেছেন । ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় একসময় মু সলমানরা ছিল শৌর্য বীর্যে বলীয়ান । মু সলমানরা যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয় , তাহলে
মাথা উঁচু করে কখনো দাঁড়াতে পারবে না।
প্রশ্ন -৩ . মু সলমানদের ঐতিহ্য কী ছিল ?
উত্তর : মু সলমানদের অতীত ইতিহাস ছিল গর্বের । এক সময় মু সলিম শাসকরা অর্ধ পৃ থিবী শাসন করতেন । মু সলমানদের প্রতি সমগ্র
জাতির বিশ্বাস ছিল প্রবল । তখন বিশ্বের সকল মু সলমান এক ছিল । তাই তাদের ভয়ে সমগ্র বিশ্ববাসীর মধ্যে কম্পন সৃ ষ্টি হত ।
প্রশ্ন -৪ . কবিতার আলোকে বর্ত মানে আমাদের অবস্থা বর্ণনা কর ।
উত্তর : কবিতার আলোকে বর্ত মান যু গের মু সলমানগণ ইসলামের আদর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে । তারা এখন ভোগ বিলাসকে বেশি
প্রাধান্য দিচ্ছে । শুয়ে থেকে নামায কাযা করছে। নিজেদের ভিতর ফেতনা ফাসাদ সৃ ষ্টি করছে । এ কারণে মু সলিম সমাজ আজ অবহেলিত

প্রশ্ন : ৫. ব্যাখ্যা wjL


১/ নহে মোদের... আধা জাহান।
উৎস : আলোচ্যাংশটুকু বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ' নয়া যমানা ’ কবিতা হতে সংগৃ হীত ।
প্রসঙ্গ : আলোচ্যাংশে কবি মু সলমানদের ঐতিহ্য ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
বিশ্লেষণ : কবি অধঃপতিত মু সলিম উম্মাহকে ভোগ বিলাসের জীবন পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন । মু সলমানের কাম্য হচ্ছে
শাহাদাত । খোলাফায়ে রাশেদীন হয় ভোগ - বিলাসের জীবন - যাপন করতেন না । তারা ঈমানী তেজে বলীয়ান হয়ে রাজ্য শাসন
করেছিলেন ।
মন্তব্য : মু সলমানদের ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে অবশ্যই ভোগবিলাসের জীবন পরিহার করতে হবে ।

প্রশ্ন : 6. ব্যাখ্যা wjL


খ. শুকনো রুটিরে • ........ ফিরিয়ে আন ।
উৎস : আলোচ্য অংশটুকু কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ‘ নয়া যমানা ’ কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : কবি এখানে অধঃপতিত মু সলিম সমাজকে জেগে ওঠার জন্য আহবান জানাচ্ছেন ।
বিশ্লেষণ : হযরত মু হাম্মদ ও তাঁর সাহাবীগণের ঈমানের জোর ছিল প্রবল । শুকনো রুটি সম্বল করে ঈমান ও প্রাণের জোরে তারা
জগৎটাকে শাসন করেছেন।
মন্তব্য : মু সলমানদেরকে থেকে ঈমানী শক্তিতে জেগে উঠতে হবে। 

4
মহৎ প্রান

প্রশ্ন : ১। তোমার মতে মহৎ ব্যক্তি কে এবং কোন কোন গুণে তিনি মহৎ ।
উত্তর : আমার মতে আব্দু ল করিম একজন মহৎ ব্যক্তি । কেননা তিনি ছিলেন বিশ্বাসী , দায়িত্ববান , নির্লোভ ও সৎ । যা একজন মহৎ
ব্যক্তির গুণ । আর এসব গুণ আব্দু ল করিমের মধ্যে রয়েছে বিধায় তিনি মহৎ ব্যক্তি ।
প্রশ্ন : ২। আব্দু ল করিম দোকান ছেড়ে বাড়ি গেল না কেন ?
উত্তর : বৃ দ্ধ তাঁতী যখন আবদুল করিমকে দোকানে রেখে বাড়ি চলে যায় , তখন আবদুল করিম পূ র্ণদিন দোকান করে । কিন্তু তাঁতি ফিরে
আসছিল না । আমানত যাতে খেয়ানত না হয় সেজন্য আব্দু ল করিম তাঁতির অপেক্ষায় দোকান ছেড়ে বাড়ি গেল না ।
প্রশ্ন : ৩। আব্দু ল করিম কিভাবে মস্ত বড় mI দাগর ?
উত্তর : মূ ল ব্যবসায়ীর অনু পস্থিতিতে আব্দু ল করিম বিশ্বস্থ ভৃত্যের মত ব্যবস্থার উন্নতির জন্য চেষ্টা করছিল । অবশেষে ব্যবসায় এক সময়
সে । লাভবান হয়ে ১ টির পরিবর্তে ৩ টি দোকান প্রতিষ্ঠা করল , আর মূ ল ব্যবসায়ীর দীর্ঘ দিনের অনু পস্থিতিতে লোকেরা তাকেই বড়
শওদাগর ভাবতে লাগল ।
প্রশ্ন : ৪। “ তুই মানু ষ না ফেরেশতা ' কে কাকে বললেন ? কেন বললেন ?
উত্তর : ‘ তুই মানু ষ নাকি ফেরেশতা ' কথাটি বৃ দ্ধ আব্দু ল করিমকে বলেছিল । বৃ দ্ধ দোকানি যখন স্ত্রী পু ত্র হারিয়ে । দিশেহারা তখন
কলকাতা এসে আব্দু ল করিমের নিকট থেকে সব ফিরে পাওয়ার আশ্বাস পেয়ে এ উক্তিটি করেছিলেন ।
প্রশ্ন : ৫। বৃ দ্ধ দোকানী কতদিন পর তার দোকানে ফিরে এলেন ? তিনি দোকানে ফিরতে এত দেরি করলেন কেন ?
উত্তর : বৃ দ্ধ দোকানী দীর্ঘ সাত বছর পর দোকানে ফিরলেন । বৃ দ্ধ তার স্ত্রীর অসু স্থতার খবর পেয়ে দোকানে আবদুল করিমকে বসিয়ে
বাড়ির দিকে রওনা হয় । বাড়িতে গিয়ে দেখে তার স্ত্রীর মৃ ত্যু হয়েছে । এর কিছু দিন পর তার দুটি ছেলেও মারা যায় । তারপর সে নানা
দুর্বিপাকে পড়ে । তখন সে আর কিছু তেই বাড়ি ছাড়তে পারল না । বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এভাবে তার সাত বছর কেটে যায় । আর
এসব কারণেই বৃ দ্ধের দোকানে ফিরতে দেরি হয়েছিল ।
প্রশ্ন -6 . কোনটি কোন পদ বল কিন্তু , রাত্রি , তিন , মহৎ , পবিত্র , মানব ।
উত্তর : কিন্তু অব্যয় তিনি সর্বনাম পবিত্র- বিশেষণ
প্রশ্ন : ৭ ব্যাখ্যা কর :
ক. সে বিশ্বাস আমি রক্ষা করতে পেরেছি , এই আমার পক্ষে ঢের
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু ডা . লু ৎফর রহমান রচিত ' মহৎ প্রাণ ' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : উক্ত উক্তিটি দিয়ে আবদুল করিমের মনের অনু ভূতি প্রকাশ পেয়েছে ।
বিশ্লেষণ : এক বৃ দ্ধ দোকানী একটি জরুরি কাজের জন্য আবদুল করিম নামের ছেলেকে দোকান রেখে বের হয়ে আর সাত বছরের মধ্যে
ফিরে আসেন নি । আবদুল করিম দোকানির দোকান ফেরৎ দেবার আশায় দোকানদারী করেন । সে নিষ্ঠার সাথে কারবার চালিয়ে মস্ত বড়
ব্যবসায়ী হন । কিন্তু সাত বছর পর আবদুল করিম বৃ দ্ধ দোকানীকে পেয়ে তার দোকান ফেরত দিতে পেরেছে, সে আনন্দে আব্দু ল করিম
উক্তিটি করেন।
মন্তব্য : মহৎপ্রাণ মানু ষ বিশ্বাস ও সততা অটুট রাখে।
প্রশ্ন : 8 ব্যাখ্যা কর :
খ . মানু ষের জীবন যে এত সু ন্দর , এত পবিত্র হয় , তা বিশ্বাস করতে মন চায় না ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু জীবনধর্মী লেখক ডা . লু ৎফর রহমানের ‘ মহৎ প্রাণ ’ গল্প থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : এখানে মানু ষের জীবন সু ন্দর ও পবিত্র হওয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে । বিশ্লেষণ : আবদুল করিম বৃ দ্ধ দোকানির দোকান আমানত
রেখেছেন । এমনকি তার ব্যবসায়ে উন্নতি করেছেন । যা কিছু করেছেন তা বৃ দ্ধ দোকানির নামে । সাত বছর পর বৃ দ্ধ ফিরে এলে আবদুল
করিম বৃ দ্ধ তার সব আমানত ফেরত দেয় । কিন্তু আবদুল করিমের সততা , দায়িত্ববোধ ও বিশ্বাসে মু গ্ধ হয়ে তাকে সব কিছু দিয়ে দেন ।
মন্তব্য : বিশ্বাসী মহৎ প্রাণ মানু ষের জীবন সু ন্দর ও পবিত্র হয় ।
5
আযান

প্রশ্ন :1.Avhvb ïb‡j g‡bi Ae¯’v wK nq ?


উত্তর : মু য়াযযিনের কন্ঠে যখন আযানের ধ্বনি উচ্চারিত হয় , তখন আযানের সু মধু র সু র মর্মে মর্মে বেজে ওঠে । মন ও প্রাণেকে ব্যাকুল
করে তোলে । আযানের সু মধু র সু রে পাগল হয়ে মু গ্ধ মনে মসজিদের পাণে ছু টে যেতে ইচ্ছে করে ।
প্রশ্ন :2.
পাখির গানে গানে, নদীর কলতানে , ভ্রমরের গুণগানে , ঝরণার কলকল, এসব সু রে আযানের ধ্বনি বাজছে ।
গ. আযান কবিতার পাঠসংক্ষেপ।
মু য়াযযিনের কণ্ঠে যখন আযানের ধ্বনি উচ্চারিত হয় , তখন আযানের সু মধু র সু র মর্মে মর্মে বেজে উঠে । কবির মন ও প্রাণকে ব্যাকুল
করে তোলে । সে মধু র আকর্ষণে আমরা ভক্তির আবেগে মসজিদে ছু টে যাই । নদীর ডাক , পাখির গান , ভ্রমরের গুঞ্জন , সাগরের শব্দ ,
ঝরণার পানির কলকল ইত্যাদি যেন আযানেরই প্রতিধ্বনি । মু য়াযযিনের কণ্ঠে ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মু হাম্মাদুর রাসূ লুল্লাহ ' শোনামাত্রই
সবাই ভক্তি ভরে মসজিদের পানে ছু টে চলে ।
প্রশ্ন : 3.সবাই ভক্তি ভরে , তারই অর্চ না করে । একথাটির অর্থ eywS‡q ej ?
উত্তর : সবাই ভক্তি ভরে , তারই অর্চ না করে । একথাটির অর্থ হচ্ছে মিনার থেকে মু য়াযযিনের কন্ঠে যখন আযানের ধ্বনি উচ্চারিত হয় ,
তখন সবাই ভক্তি ভরে সেই মহান আল্লাহর অর্চ না করে , যিনি সমগ্র পৃ থিবী সৃ ষ্টি করেছেন ।
প্রশ্ন : 4. ব্যাখ্যা কর :
K.মর্মে মর্মে সেই সু র ....আযানের ধ্বনি
উত্তর : উৎস : আলোচ্য কবিতাংশটুকু কবি কায়কোবাদ রচিত ‘আযান ’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : কবি এখানে আযান শুনে তার মনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ।
বিশ্লেষণ : মু য়াযিনের কণ্ঠে যখন আযানের ধ্বনি উচ্চারিত হয় , তখন আযানের সু মধু র সু র , মর্মে মর্মে বেজে উঠে , মন ও প্রাণকে ব্যাকুল
করে তোলে । সেই সু রের মোহে ধমনী পর্যন্ত নেচে উঠে । আযানের ধ্বনি সত্যিই সু মধু র ।
মন্তব্য : আযান হলো আল্লাহর ঘরে যাবার আহ্বান । তাই মু সলমানদের কাছে আযান একটি সু মধু র ধ্বনি ।
প্রশ্ন : 5. ব্যাখ্যা কর :
খ. ভূধরে সাগরে জলে........ আযানের ধ্বনি ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য কবিতাংশটুকু কবি কায়কোবাদ রচিত ‘ আযান ' কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : কবি এখানে প্রকৃতির মাঝে আযানের ধ্বনি শুনতে পাওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন ।
বিশ্লেষণ : কবি পাখির গানে , নদীর কলতানে , ভ্রমরের গুণগানে , শুনতে পান । কবির নিকট প্রকৃতির সব আওয়াজ আযানের ধ্বনির
মতো মনে হয়।
মন্তব্য : কবি পৃ থিবীর সমস্ত রকমের শুরের সাথে মিল করেছেন ।
প্রশ্ন : 6. ব্যাখ্যা কর :
গ . সবাই ভকতি..... সৃ জন । উত্তর :
উত্তর : উৎস : আলোচ্য কবিতাংশটুকু কবি কায়কোবাদের ‘ আযান ’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : কবি এখানে আল্লাহর প্রতি মানুষের ভক্তির কথা - বর্ণনা করেছেন ।
বিশ্লেষণ : মিনার থেকে মু য়াযিনের কণ্ঠে যখন আযানের ধ্বনি উচ্চারিত হয় , তখন ভক্তি ভরে সবাই সেই প্রভুর অর্চ না করে , যিনি সারা
পৃ থিবী সৃ জন করেছেন । তার সকল সৃ ষ্টির মধ্যে মানু ষ হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ । আর মানু ষকে তার ইবাদতের জন্যই সৃ ষ্টি করা হয়েছে । তাই সবাই
তার অর্চ না করে ।
মন্তব্য : আযান সৃ ষ্টিকর্ত ার ইবাদত করার আহবান ।

6
শেরে খোদা হযরত আলী রা.

প্রশ্ন : 1. বীরকুল শিরোমণি কে ছিলেন?


উত্তর : বীরকুল শিরোমনি ছিলেন খোলাফায়ে রাশেদীনের ৪র্থ খলিফা এবং রাসূ ল সা.এর জামাতা আলী রা.।
প্রশ্ন : 2. হযরত আলী রা.কে কি উপাধি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর : হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন অন্যতম বীর, বীরত্ব ও সাহসিকতায় তার তোলনা ছিল বিরল। এ অসীম বীরত্বের জন্য
হযরত আলী রা.কে উপাধি দেওয়া হয়েছিল আসাদুল্লাহ বা আল্লাহর সিংহ।
প্রশ্ন : 3. বিশ্বনবী সা.প্রথম কাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন?
উত্তর :আল্লাহতালা বিশ্বনবীকে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারের আদেশ দিলেন। তাই প্রথমে তিনি নিজ আত্মীয়-স্বজন এবং বংশীয় লোকদের
দাওয়াত দিলেন।
প্রশ্ন : 4. খাওয়া দাওয়ার পর তিনি তাদের কী বলেছিলেন ?
উত্তর : খাওয়া দাওয়ার পর নবী সা. অত্যন্ত দরদী কণ্ঠে তাদেরকে বললেন , “ আপনারা আল্লাহকে মাবু দ হিসেবে গ্রহণ করেন এবং
আমাকে তার রাসূ ল হিসেবে মেনে নিন , দুনিয়া ও আখিরাতে আপনাদের কল্যাণ হবে ।
প্রশ্ন : 5. বিশ্বনবি ( স ) -এ'র আহ্বানে হযরত আলী ( রা ) কী বলেছিলেন ?
উত্তর : বিশ্বনব x র আহ্বানে সাড়া দিয়ে হযরত আলী রা. বলেছিলেন , আমি আল্লাহর পথে চলতে এবং আপনাকে অনু সরণ করতে রাজি
আছি ।
প্রশ্ন -৬ . কামূ ছ দুর্গের অধিপতি কে ছিলেন ?
উত্তর : কামূ ছ দুর্গের অধিপতি ছিলেন বিখ্যাত মল্লযোদ্ধা ইহুদি মারহাব ।
প্রশ্ন -৭ . কামূ ছ দুৰ্গ জয়ের ভার শেষ পর্যন্ত কার ওপর ন্যস্ত করা হলো ?
উত্তর : মহান আল্লাহর ইঙ্গিতে কামূ ছ দুর্গ জয়ের ভার শেষ পর্যন্ত হযরত আলীর ( রা ) -এর উপর ন্যস্ত করা হলো ।
প্রশ্ন -৮ . হযরত আলী ( রা ) দুর্গের ভাঙা কপাটটি দিয়ে কী করলেন ।
উত্তর : যখন একজন ইহুদির আঘাতে হযরত আলীর ঢালটি মাটিতে পড়ে গেল , তখন তিনি দুর্গের ভাঙা লোহার কপাটটি ঢাল হিসেবে
ব্যবহার করলেন ।
প্রশ্ন -৯ . যু দ্ধ শেষে তিনি এটি কত হাত দূরে নিক্ষেপ করেছিলেন ? উত্তর : যু দ্ধ শেষে তিনি কপাটটি ৪০ হাত দূরে নিক্ষেপ করেছিলেন ।
প্রশ্ন -১০ . হযরত আলী ( রা ) -কে “ আসাদুল্লাহ ” উপাধি দেওয়া হলো কেন ? উত্তর : কামূ ছ দুর্গ দখলের সময় অসীম বীরত্বের জন্য
হযরত আলী ( রা ) -কে “ আসাদুল্লাহ ” বা আল্লাহর সিংহ উপাধি দেওয়া হয়েছিল । 

শিক্ষকের মর্যাদা

প্রশ্ন -১ . বাদশাহ আলমগীর কে ছিলেন ?


উত্তর : বাদশাহ আলমগীর ছিলেন দিল্লির মোগল সম্রাট।
প্রশ্ন -২ , তাঁর ছেলেকে কে পড়াতেন ?
উত্তর : বাদশাহ আলমগীরের ছেলেকে দিল্লির এক মৌলভী পড়াতেন ।
প্রশ্ন -৩ . একদিন সকাল বেলা বাদশাহ কী দেখলেন ?
উত্তর : একদিন সকালবেলা বাদশাহ দেখলেন তাঁর ছেলে‡K একটি পাত্র দিয়ে শিক্ষকের পায়ে পানি ঢালছে । আর শিক্ষক নিজ হাতে
তার পায়ের ময়লা পরিষ্কার করেছেন ।
7
প্রশ্ন -৪ . শিক্ষককে ডেকে বাদশাহ কী বললেন ?
উত্তর : বাদশাহ শিক্ষককে ডেকে নিয়ে বললেন , আমার ছেলে আপনার কাছে শিখেছে শুধু বেয়াদবি আর গুরুজনের অবহেলা । তা না
হলে আমি সকালবেলা দেখতে পেলাম আমার ছেলে শুধু আপনার পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছে । কিন্তু নিজ হাতে সে আপনার পায়ের ময়লা
পরিষ্কার করে দিচ্ছে না । এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি ।
প্রশ্ন -৫ . বাদশাহর কথা শুনে শিক্ষক কী বললেন ?
উত্তর : বাদশাহর কথা শুনে শিক্ষক অতি আনন্দে বলে উঠলেন , আজ হতে চির উন্নত হলো শিক্ষাগুরুর শির । সত্যিই তুমি মহান উদার
বাদশাহ আলমগীর ।
প্রশ্ন -৬ , শিক্ষক হঠাৎ ভেবে কী বললেন ?
উত্তর : বাদশাহর ছেলেকে দিয়ে পায়ে পানি ঢালানোর ঘটনা বাদশাহ দেখে ফেললে , শিক্ষক চিন্তায় পড়ে যান । তিনি বলে উঠেন , আমি
ভয় করি নাক , যায় যাবে শির টুটি ।
প্রশ্ন -৭ . কবিতার শেষ সাতটি লাইন মু খস্থ লেখ ।
প্রশ্ন : 8. ব্যাখ্যা কর :
ক . শিক্ষক আমি , শ্রেষ্ঠ সবার দিল্লিপতি- সে তো কোন ছার ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু কবি কাজী কাদের নেওয়াজ রচিত ‘ শিক্ষকের মর্যাদা ' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : কবি উক্ত চরণের মাধ্যমে বাদশাহের চেয়ে শিক্ষকের মর্যাদা অনেক বেশি সে বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছেন।
বিশ্লেষণ : দিল্লির এক মৌলভী বাদশাহর ছেলেকে পড়াতেন । একদিন মৌলভী বাদশাহর ছেলেকে দিয়ে পানি ঢেলে পা ধু চ্ছিলেন । তা
বাদশাহ দেখে ফেলাতে মৌলভী সাহেব কিছু টা ভয় পেয়েছিলেন। তখন তিনি ভাবলেন যদি বাদশাহ তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করে তখন
তিনি ভয় পাবেন না । বরং তিনি নিজেকে দিল্লির বাদশাহর চেয়ে শিক্ষক শ্রেষ্ঠ তা ভাবলেন । GB †f‡e †m g‡b g‡b e‡j
DV‡jb, &Avwg fq Kwi bv‡Kv,hvq hv‡e wki UzwU |
মন্তব্য : শিক্ষাগুরুর মর্যাদা সবার চেয়ে বেশি । তিনি শিক্ষাদান করে সভ্য মানু ষ করে তোলেন । তাই শিক্ষককে মর্যাদা করা উচিত ।
প্রশ্ন : 9. ব্যাখ্যা কর :
খ. প্রাণের চেয়ে মান বড় , আমি বোঝাব শাহানশাহে ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু কবি কাদের নেওয়াজ রচিত ' শিক্ষকের মর্যাদা ' কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : কবিতাটিতে প্রাণের চেয়ে মান বড় মৌলভীর এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিশ্লেষণ : দিল্লির বাদশাহর ছেলেকে এক মৌলভী পড়াতেন। একদিন বাদশাহর পু ত্র মৌলভীর পা ধু তে পানি ঢেলে দিচ্ছেন তা বাদশাহ
দেখে ফেলেন । তা দেখে বাদশাহ মৌলভী ডেকে পাঠালেন , মৌলভী প্রথমে ভয় পেয়ে যান । তাৎক্ষণিক ভয়কে সাহসে পরিণত করে
নিজেই নিজেকে ভেবে তোলেন যে বাদশাহ যদি কিছু বলেন , তা হলে তিনি বাদশাহকে বোঝাবেন প্রাণের চেয়ে ও মান বড় ।
মন্তব্য : মানু ষের জীবনে মানসম্মান বড় । প্রাণ থাকলেও মান না থাকলে সে জীবিত মৃ ত্যুর সামিল । তাই প্রাণের চেয়ে ও মান বড় ।
প্রশ্ন : 10. ব্যাখ্যা কর :
গ. আজ হতে চির উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির , সত্যিই তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু কবি কাজী কাদের নেওয়াজ রচিত ‘ শিক্ষকের মর্যাদা ' কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : এখানে বাদশাহ কর্তৃ ক শিক্ষকের মর্যাদার কথা বলা n‡q‡Q| বিশ্লেষণ : দিল্লির বাদশাহ আলমগীরের পু ত্র এক মৌলভীর কাছে
পড়ত । একদিন বাদশাহ পু ত্র শিক্ষকের পা ধু তে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন তা বাদশাহ দেখে ফেলেন । তা দেখে বাদশাহ শিক্ষককে ডেকে
পাঠান। শিক্ষক ভয় পেয়ে যান । কিন্তু বাদশাহ শিক্ষককে শাস্তি না দিয়ে ছেলের বেয়াদবি সম্পর্কে শিক্ষককে বলেন । আরো বলেন ,
ছেলের উচিত ছিল নিজ হাতে পা ধু য়ে দেওয়া । কেননা শিক্ষাগুরু সবচেয়ে সন্মানী ও মর্যাদাবান । বাদশাহর সু খের এ কথা শুনে
শিক্ষকের ভয় কেটে যায় এবং তিনি উচ্ছাস করে বলে উঠলেন, আজ হতে চির উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির, সত্যিই তুমি মহান উদার
বাদশাহ আলমগীর।
মন্তব্য : শিক্ষকের মাথা সবসময় উঁচুতে অবস্থান করে । কেননা শিক্ষক শিক্ষাগুরু , তিনি জ্ঞান দান করে সভ্য করে তোলেন ।
  8
চাঁদে মানু ষ

প্রশ্ন -১ . চাঁদের আবহাওয়া কেমন ?


উত্তর : চাঁদের আবহাওয়া হচ্ছে যেখানে সূ র্যের আলো পড়ে সেখানে তাপ ফু টন্ত পানির ন্যায়। আবার যেখানে ছায়া পড়ে সেখানে প্রচণ্ড
ঠাণ্ডায় বরফ জমে । সেখানে কোনো শব্দ নেই , গাছ নেই , পাখি নেই । মোট কথা চাঁদের আবহাওয়া পৃ থিবীর মতো নয় ।
প্রশ্ন -২ . মহাশূ ন্যে যেতে সবচেয়ে বড় বাধাটি কী ? কীভাবে তা অতিক্রম করা যায় ?
উত্তর : মহাশূ ন্যে যেতে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে পৃ থিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি । যা প্রতি সেকেন্ডে ১২ কিলোমিটার বেগে ছু টে চলা নভোযান
দ্বারা অতিক্রম করা যায় ।
প্রশ্ন -৩ , ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর স্মরণীয় দিন কেন ?
উত্তর : ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর বিজ্ঞানের অগ্রগতির ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন । কেননা এ দিনেই / সোভিয়েত বিজ্ঞানীদের
তৈরি স্পুৎনিক কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃ থিবীর বু ক থেকে মহাশূ ন্যে যাত্রা করেছিল । ZvB GwU‡K ¯^ibxq K‡i ivLv n‡q‡Q|
প্রশ্ন -৪ . প্রথম নভোচারী কে ? মহাশূ ন্যে তিনি কী কাজ করেন ?
উত্তর : মহাশূ ন্য অভিযানে প্রথম নভোচারী হওয়ার গৌরব লাভ করেন ইউরি গ্যাগারিন । তিনি চাঁদের চারদিকে ১০৮ মিনিট ঘু রে বেড়ান ।
তরপর সু স্থ শরীরে পৃ থিবীর বু কে ফিরে আসেন ।
প্রশ্ন -৫ . অ্যাপোলো -১১ ’ চাঁদে অভিযানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও
উত্তর : অ্যাপোলো -১১ মহাকাশ অভিযান সত্যিকার সার্থকতা বয়ে আনলো | ১৯৬৯ সালের ১৬ ই জু লাই । অ্যাপোলো -১১ , তে চাঁদের
দেশে পাড়ি জমালেন আমেরিকার নীল আর্মস্ট্রং , মাইকেল কলিস এবং এডু ইন অলড্রিন জু নিয়ার । ২ লক্ষ ৩৯ হাজার মাইল পথ পাড়ি
দিয়ে তিন দিন পর তারা চাঁদের দেশে পৌঁছলেন ।
প্রশ্ন -৬ . চন্দ্রতরী ঈগলের জানালা খু লে আর্মস্ট্রং কী দেখতে পেলেন ?
উত্তর : মহাকাশ অভিযানের অধিনায়ক আর্মস্ট্রং ঈগলের জানালা খু লে দেখলেন , তার সামনে প্রসারিত চাঁদের তরঙ্গহীন , ধূ লিময় শান্তি
সাগর ।

আলোর নবী

প্রশ্ন ১ . নবি করিম ( স . ) কোথায় গেছেন বলে কবি উক্তি করেছেন ?


উত্তর : নবি করিম ( স . ) আলোক মালার দেশে গেছেন বলে কবি উক্তি করেছেন।
প্রশ্ন -২ . নবি করিম ( স . ) যে স্থানে গেছেন, সেখানে কী কী আছে ?
উত্তর : নবি করিম ( স . ) যে স্থানে গেছেন সেখানে হাজারো ফুলের হাসি , নূরের চমক , সোনার কিরণ মণি - মু ক্তা - হীরা এবং হাজারো
পাখির গান আছে।
প্রশ্ন -৩ . সে দেশে যাওয়ার জন্য কবি শিশুদের কী উপদেশ দিচ্ছেন ?
উত্তর : সে দেশে যাওয়ার জন্য Kex শিশুদের কে নবিজীর কথা মতো চলার উপদেশ দিচ্ছেন । আর সে উপদেশ মেনে চললে সোনা বা
রাজা হওয়ার চেয়ে বড় বস্তু তারা পাবে ।
প্রশ্ন -৪ . কি করলে সোনার মতো দামি হওয়া যায় এবং রাজার সম্মান লাভ করা যায় ?
উত্তর : নবীর কথা মতো কাজ করলে সোনার মতো দামি এবং রাজার মতো সম্মান লাভ করা যায় ।

9
পল্লি সাহিত্য

প্রশ্ন - ক . পল্লী সাহিত্য বলতে কী বোঝায় ?


উত্তর : বাংলার পল্লীকে কেন্দ্র করে , সেখানকার বিভিন্ন বিষয়ক উপলক্ষ করে , ভাষার কারুকাজ দিয়ে সাজিয়ে যে সাহিত্য রচনা করা
হয়,তাকে পল্লী সাহিত্য বলে। অথবা পল্লী সাহিত্য পল্লীর প্রতিটি স্তরে স্তরে যে সাহিত্যের উপকরণ ছড়িয়ে আছে তাকেই পল্লী সাহিত্য
বলে।
প্রশ্ন - খ . পল্লী সাহিত্যের বিভিন্ন নমু নার একটি তালিকা তৈরি কর ।
উত্তর : পল্লী সাহিত্যের অনেক নমু নাই রয়েছে । তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নমু না নিচে দেওয়া হলো : ১. পল্লী গ্রামের রূপকথা
কাহিনী । গ্রামীণ প্রবাদ বাক্যসমূ হ । ৩. মায়ের ঘু ম পাড়ানি গান । ৪. গ্রামীণ ছড়া । ৫. পল্লী গান , জারি গান , সারি গান , ভাটিয়ালি গান ,
রাখালি গান , মারফতি গান প্রভৃতি পল্লী সাহিত্য সম্পদের অমূ ল্য রত্ন ।
প্রশ্ন - গ . পল্লী সাহিত্য অবহেলিত কেন ?
উত্তর : পল্লী সাহিত্য পল্লী গ্রামের লোকের মু খে মু খে প্রচলিত । পল্লী সাহিত্য সংরক্ষণের অভাবে দিন দিন বিলু প্ত হয়ে যাচ্ছে । আধু নিক
যু গের মানু ষগুলো শহরমু খী হওয়ার কারণে পল্লীর প্রতি টান অনেকাংশে কমে যাচ্ছে । ফলে পল্লী সাহিত্যকে উপেক্ষা করে শহরের যান্ত্রিক
জীবনকে কেন্দ্র করে সাহিত্য রচিত হচ্ছে । আধু নিক সাহিত্যের জোয়ার পল্লী সাহিত্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে । এ কারণে পল্লী সাহিত্য
আজ অবহেলিত ।
প্রশ্ন - ঘ . পল্লী সাহিত্যের উপকরণগুলো কেন সংগ্রহ করা দরকার ?
উত্তর : পল্লী সাহিত্য আমাদের এক অমূ ল্য সম্পদ । যার সাথে কারো কোনো তুলনা চলে না । পল্লী সাহিত্যগুলো আমরা শহরের লোকের
মু খেও সচরাচর শুনতে পাই । এগুলো হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য । পল্লীর সাহিত্যকে দিন দিন বিলু প্ত হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য
সাহিত্যের উপকরণগুলো সংগ্রহ করা একান্ত দরকার ।
প্রশ্ন - ঙ. পল্লী সাহিত্যে পল্লীর কী পরিচয় পাওয়া যায় ?
উত্তর : পল্লী সাহিত্যে পল্লীর যে পরিচয় পাওয়া যায় তা নিচে বর্ণনা করা হলো :
প্রাকৃতিক পরিচয় : পাখির , কলতান , পাতার মর্মর শব্দ , নদীর কুলকুল ধ্বনি , শ্যামল শস্যের দোল খাওয়া প্রভৃতিতে প্রকৃতির পরিচয়
পাওয়া যায় ।
সাংস্কৃতিক পরিচয়: পল্লীর চাষি , জেলে , কামার , কুমোর , তাঁতি , গরিব - দুঃখির হাঁসি - কান্না , সু খ - দুঃখ , প্রেম প্রীতি , ভালোবাসা
প্রভৃতিতে সাংস্কৃতিক পরিচয় পাওয়া যায় ।
ঐতিহ্যের পরিচয় : রূপ কথার গল্প জারিগান , সারিগান , ভাটিয়ালি , মারফতি গানসহ গ্রামীণ ছড়া ও খনার বচন ইত্যাদিতে পল্লী মানু ষের
ভাষা , সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচয় পাওয়া যায় ।
কথাগুলো বু ঝিয়ে বল :
প্রশ্ন - P . বাংলার মু সলমানও সাহিত্যসম্পদে কত ধনী ?
উত্তর : গ্রাম বাংলার নব্বই ভাগ লোক মু সলমান । তাদের জীবনের সু খ দুঃখ নিয়েই রচিত হয় পল্লীগান । এ গান সাধারণত অল্প শিক্ষিত
লোকেরাই রচনা করেছে । এরাই রচনা করেছে জারি , ভাটিয়ালি , মুর্শিদী , মারফতী প্রভৃতি গান । এগুলো মু সলমানদের দান । এছাড়া
মু সলমান কবিরা রচনা করেছে পল্লী সাহিত্যের বাস্তব রূপ হিসেবে শত শত পুঁ থি । সু তরাং বলা যায় , বাংলার পল্লী সাহিত্যকে মু সলমানগণ
সমৃ দ্ধশালী করেছে । এ সাহিত্য আমাদের এক অনন্য সম্পদ ।
প্রশ্ন - Q. পল্লী সাহিত্যে পল্লী জননীর সকল সন্তানেরই সমান অধিকার ।
উত্তর : আমাদের পল্লী সাহিত্য কারো একক সম্পত্তি নয় । এ সাহিত্যে পল্লীজননীর সব সন্তানের অধিকার সমানভাবে দেয়া হয়েছে ।
মু সলমান হিসেবে সবাই ভাই ভাই । সেই হিসেবে পল্লী সাহিত্যে গান গাওয়া , কথা বলা , এমন কি যাবতীয় কাজে সব সন্তানেরই রয়েছে
সমান অধিকার ।

10
সবার আমি ছাত্র

প্রশ্ন - ক . আকাশ , বায়ু ও পাহাড় আমাদের কী শিক্ষা দেয় ?


উত্তর : আকাশ আমাদের উদার হতে শিক্ষা দেয় । বায়ু আমাদের কর্মী হওয়ার মন্ত্র শিক্ষা দেয় । পাহাড় আমাদের তার মতো মৌন ও
মহান হতে শিক্ষা দেয় ।
প্রশ্ন - খ . খোলা মাঠ কী উপদেশ দেয় ?
উত্তর : খোলা মাঠ আমাদের দিল খোলা রাখার উপদেশ দেয় বলে কবি উল্লেখ করেছেন ।
প্রশ্ন - গ . সূ র্য ও চাঁদ আমাদের কী শেখায় ?
উত্তর : সূ র্য আমাদের আপন তেজে জ্বলতে শেখায় । আর চাঁদ আমাদের হাসতে আর মধু র কথা বলতে শেখায় I
প্রশ্ন - ঘ . মাটি কীভাবে আমাদের সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় ?
উত্তর : আমাদের জীবনযাপনের নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন মাটির বু ক আমরা ক্ষত - বিক্ষত করি । মাটির বু ক চি‡o আমরা ফসল ফলাই ।
মাটির বু কে নির্মাণ করি আমাদের বাসগৃ হ । উদ্ভিদ মাটি থেকে রস আহরণ করে জীবন ধারণ করে । এক কথায় পু রোজগতের বিপু ল ভার
মাটি তার আপন বু কে পরম মমতায় ধারণ করে আছে। এভাবে মাটি আমাদের সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।
প্রশ্ন -O . বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর এ কথার অর্থ কী ?
উত্তর : পৃ থিবীর বু কে প্রকৃতির যে সকল উপাদান রয়েছে যেমন- আকাশ , বাতাস , পাহাড় - পর্বত , সাগর - নদী , মাটি , অরণ্য প্রভৃতির
কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে । এজন্য কবি বিশ্বকে পাঠশালা বলেছেন ।
প্রশ্ন - চ . সাগর ও নদীর শিক্ষা কী ?
উত্তর : সাগরের শিক্ষা হচ্ছে , আমাদের অন্তরকে রত্নের আকর হিসেবে গড়ে তোলা । আর নদীর শিক্ষা হচ্ছে নিজ বেগে বয়ে চলা ।

গাছের জীবন কথা

প্রশ্ন - ক . গাছের জীবন আছে ' আমরা কেমন করে একথা বু ঝতে পারি ?
উত্তর : গাছের যে জীবন আছে , একথা একটি পরীক্ষার মধ্যমে আমরা সহজেই বু ঝতে পারি । একটি শুকনা মরা গাছের পাশে আরেকটি
সজীব ডাল - পালাযু ক্ত তাজা গাছ রেখে দেই। শুকনো মরা গাছটি আস্তে আস্তে তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে । কিছু দিন পর তাকে আর
খুঁ জে পাওয়া যাবে না । অপরদিকে স wR ব ডালপালাযু ক্ত তাজা গাছটি বড় হতে থাকবে । ফল ও ফু লের মাধ্যমে বংশবিস্তার করবে ।
এতে বু ঝা যায় গাছের প্রাণ আছে । গাছের যদি জীবন না থাকত তাহলে এসব প্রক্রিয়া দেখা যেত না ।
প্রশ্ন - খ . বীজ থেকে কীভাবে গাছের জন্ম হয় ? বীজ কীভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে ?
উত্তর : বীজ থেকে নানা উপায়ে গাছের জন্ম হয় । কোনো বীজ মানু ষ তার নিজ প্রয়োজনে বপন করে । কোনো বীজ বাতাসে উড়ে এসে
মাটিতে ছড়ায় । আবার কোনো কোনো বীজ পাখিরা ঠোঁটের সাহায্যে অনেক দূর দেশে নিয়ে যায় । এসব বীজ যখন মাটিতে পড়ে, তখন
প্রয়োজনীয় উত্তাপ , জল ও মাটির সাহায্যে বীজ থেকে নতুন গাছের জন্ম হয়ে থাকে । বীজ তার উপযু ক্ত স্থানে যতদিন না পৌঁছাবে ,
ততদিন বাইরের শক্ত ঢাকনা দিয়ে সে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে ।
* সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
প্রশ্ন - ক . ' বীজগুলি যেন গাছের ডিম 'এ কথা বু ঝিয়ে বল ।
উত্তর : পৃ থিবীতে প্রাণী বলতে যাদেরকে বোঝায় , তারা যেকোনো উপায় অবলম্বন করে জন্ম লাভ করেছে । ডিমের মধ্যে জীবন ঘু মিয়ে
থাকে , তবে কোনো চিহ্ন দেখা যায় না । প্রয়োজনীয় উত্তাপ পেলেই ডিম থেকে বাচ্চার জন্ম হয় । অনু রূপভাবে বীজের মধ্যে গাছের ডিম
ঘু মিয়ে থাকে । প্রয়োজনীয় উত্তাপ পেলেই বীজ থেকে বৃ ক্ষের জন্ম হয় । এজন্য বলা হয়ে থাকে বীজগুলো যেন গাছের ডিম ।
11
প্রশ্ন - খ . জীবনের লক্ষ কী ? গাছ দেখে তা কী করে বোঝা যায় ?
উত্তর : গাছ দেখে জীবনের লক্ষণ বোঝা যায় । একটি জীবিত গাছ আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে । ভালো ডালা ছড়ায় এবং ফল ও ফু ল
দেয় । মৃ ত গাছে তা সম্ভব নয় । মৃ ত গাছটি আস্তে আস্তে তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে ।
প্রশ্ন - গ . বৃ ক্ষ - শিশু কোথায় ও কেমন করে ঘু মিয়ে থাকে ?
উত্তর : বৃ ক্ষ - শিশু বীজের মধ্যে ঘু মিয়ে থাকে । ডিমে যেমন একটি প্রাণীর জীবন ঘু মিয়ে থাকে তেমনি গাছের বীজের মধ্যেও একটি
গাছের প্রাণ ঘু মিয়ে থাকে । মাটির উত্তাপের ফলে এ বীজ থেকে একটি গাছের জন্ম হয় ।
প্রশ্ন - ঘ . বীজ কীভাবে দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে ?
উত্তর : বীজ অনেক উপায়ে দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে । যেমন :
১. মানুষ এক স্থান থেকে বীজ অন্যস্থানে নিয়ে যায় ।
২. পাখি ফল খেয়ে ফলের বীজ ঠোঁটে করে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যায় ।
৩. বাতাসের সাহায্যেও বীজ একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়ে ।
প্রশ্ন :. ব্যাখ্যা কর :
ক . গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র ।
উত্তর : উৎস । আলোচ্য অংশটুকু জগদীশচন্দ্র বসু রচিত ' গাছের জীবন কথা ' নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : গাছের জীবনের সাথে মানু ষের জীবনের যে মিল আছে লেখক এখানে তা ব্যক্ত করেছেন ।
বিশ্লেষণ : মানু ষ যেমন জন্ম ও মৃ ত্যুবরণ করে তেমনি একটি গাছও জন্ম নেওয়ার পর একদিন মারা যায় ।
প্রসঙ্গ : মানু ষ যেমন বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণ করে , তেমনি গাছকেও জীবন রক্ষার জন্য খাদ্য গ্রহণ করতে হয় । মানুষের মধ্যে
একটি মহৎ গুণ হলো স্বার্থ ত্যাগ করে পরের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া । এমনিভাবে গাছ ও মানু ষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয় ।
এসব কারণেই লেখক গাছকে মানু ষের জীবনের ছায়া বা প্রতিচ্ছবি বলেছেন ।
মন্তব্য : গাছ ও মানু ষ একে অপরে পরিপূ রক । এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় , গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র ।
প্রশ্ন : . ব্যাখ্যা কর :
খ. ডিমে জীবন ঘু মাইয়া থাকে ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু জগদীশচন্দ্র বসু র একটি প্রাণবস্তু প্রবন্ধ ' গাছের জীবন কথা ’ থেকে চয়ন করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : এখানে লেখক ডিমের মধ্যে যেমন একটি বাচ্চা লু কায়িত আছে , তদ্রুপ একটি বীজের মধ্যে যে গাছ নিহিত আছে তা বোঝাতে
চেয়েছেন ।
বিশ্লেষণ : লেখক বলেন , ডিমে বাচ্চা আছে । দেখা না গেলেও তাপ দিলে অবশ্যই তা থেকে একটি ছানা আশা করা যায় । তদ্রুপ ক্ষুদ্র
থেকে ক্ষুদ্রতর বীজের মধ্যেও যে একটি বিরাট গাছ লু কায়িত আছে , তা কিন্তু অবাস্তব নয় । অবশ্যই এর জন্য দরকার পড়বে উপযু ক্ত
পরিবেশ । যেরূপ ডিমকে তাপ দেওয়া হয় , তদ্রুপ গাছও উপযু ক্ত পরিবেশ পেলে ক্ষুদ্র বীজ থেকে বেরিয়ে আসে।
মন্তব্য : এ কথা সত্য যে , ডিমেরও জীবন আছে , তবে তা জীবন্ত নয় বরং ঘু মন্ত অবস্থায় ।
প্রশ্ন : . ব্যাখ্যা কর :
গ. " পৃ থিবী মাতার ন্যায় তাহাকে কোলে তুলিয়া লইল ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু জগদীশচন্দ্র বসু রচিত ‘ গাছের জীবন কথা ’ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : এখানে লেখক একটি পতিত বীজের চারায় রূপান্তরিত হওয়ার অবস্থা সু ন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন ।
বিশ্লেষণ : ঝড় বৃ ষ্টিতে যদি কোনো বীজ পতিত হয় তাহলে তা কীভাবে গাছ হবে । এ আশা করা সাধারণের মতে অবাস্তব । তবু ও লেখক
বলেন , উক্ত বীজটা ঝড় বৃ ষ্টিতে পতিত হওয়ার পর কোনো মাটির ঢেলা বা ইট ভাঙার নিচে আশ্রয় নেয় । পরে তা আলো বাতাস পেয়ে
অঙ্কুরিত হয় । যেন পৃ থিবী তাকে আপন মায়ের ন্যায় কুলে তুলিয়া লইলো। আলো বাতাস দিয়ে এতোটা আগাতে সাহায্য করেছে। এ
কারণেই সে গাছে পরিণত হতে পেয়েছে ।
মন্তব্য : মাতারূপী প্রকৃতি মাতৃস্নেহেই বৃ ক্ষ - শিশুকে লালন পালন করে এবং তাকে বড় করে তোলে ।
  12
উত্তম ও অধম
প্রশ্ন: K. কুকুর কাকে কামড় দিল?
উত্তর : কুকুরটি এক পথিকের পায়ে কামড় দিল।
প্রশ্ন : L.কামড়ের চোটে পথিকের অবস্থা কেমন হল ?
উত্তর : কামড়ের চোটে পথিক বিষের যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে পড়ল ।
প্রশ্ন - গ . মেয়েটি তার বাবাকে কি বলল?
উত্তর : মেয়েটি তার বাবাকে ভর্ৎ সনা ছলে বলল,তুমি কেন তাকে ছেড়ে দিলে, তোমার কি নেই দাঁত?
প্রশ্ন - ঘ . মেয়েটির কথার উত্তরে বাবা কী বললেন ?
উত্তর : মেয়েটির কথার উত্তরে বাবা বলল , মা, কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি কুকুরকে কামড়ানো
মানু ষের শোভা পায়
প্রশ্ন - ঙ , বাবা - মা অসু স্থ হলে তুমি কী কী করবে ?
উত্তর : বাবা মার অসু খ হলে আমি তাদের সেবা করব । নিয়মিত ওষু ধ পত্র সেবন করাব , যাতে তারা তাড়াতাড়ি সেরে উঠেন তার ব্যবস্থা
গ্রহণ করব।
প্রশ্ন - চ , কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায় না কেন ?
উত্তর : কুকুর হচ্ছে ইতর প্রাণী । মানুষকে কামড়ানোটা তার স্বভাব । আর মানু ষ হচ্ছে সৃ ষ্টির সেরা জীব । তাই কুকুর যে কাজ করতে
পারে , তা করা মানু ষের জন্য শোভা পায় না ।
প্রশ্ন - Q . কে উত্তম ? কে অধম ? বু ঝিয়ে বল ।
উত্তর : যে ব্যক্তি বিবেক , বু দ্ধি ও জ্ঞান খাটিয়ে ভালো কাজ করে এবং পরের উপকার করে সেই উত্তম লোক ।
অন্যদিকে বিবেক বু দ্ধিহীনরা হলো অধম । এ কবিতায় কুকুর হচ্ছে এমনই একটি ইতর প্রাণী । ইতররা যা খু শি তাই করে । তাদের কোনো
বিবেকবোধ নেই। এরাই হচ্ছে প্রকৃত অধম ।
প্রশ্ন : . ব্যাখ্যা কর :
ক . দাঁত আছে বলে কুকুরের পায়ে দংশি কেমন করে ?
উত্তর : উৎস : আলোচ্য কবিতাংশটুকু মূ ল কবি শেখ সাদী এবং অনু বাদক সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কর্তৃ ক উত্তম ও অধম কবিতা থেকে চয়ন করা
হয়েছে
প্রসঙ্গ : এখানে মানু ষ ও ইতর প্রাণীর আচরণের পার্থক্য ব্যক্ত করা হয়েছে ।
বিশ্লেষণ : এক পথিকের পায়ে কুকুর কামড় দিলে পায়ে বিষদাঁতের বিষ লেগে যায় । যার ফলে রাতে সে বিষম ব্যথা অনু ভব করলে তার
মেয়ে তাকে সেবা করতে গিয়ে বলল , সে কুকুরের পায়ে কামড় দিল না কেন । তখন মেয়ের প্রশ্নের উত্তরে লোকটি এ উক্তিটি করেছিল,
কুকুর হচ্ছে ইতর প্রাণী, তাই কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি কুকুরকে কামড়ানো মানু ষের শোভা পায়?
মন্তব্য : ইতর প্রাণী ও মানু ষ এক নয় । তাই ইতর প্রাণীর মতো মানুষের যে কোনো কাজ করা উচিত নয় ।
প্রশ্ন : . ব্যাখ্যা কর :
খ. কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায় , তা বলে কুকুরে কামড়ানো কিরে মানুষের শোভা পায় ?
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু অনু বাদক কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ' উত্তম ও অধম ' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : এখানে মানু ষ ও কুকুরের মধ্যে আচরণের পার্থক্য ব্যক্ত করা হয়েছে ।
বিশ্লেষণ : এক পথিকের পায়ে কুকুর কামড় দিলে কুকুরের বিষ দাঁতের বিষের ব্যথায় কাতর হয়ে পড়ে । তা দেখে তার মেয়ে সেবা করার
মাঝে বাবাকে বলে তিনি কুকুরের পায়ে কামড় দিল না কেন ? তখন বাবা দুঃখের মাঝে হেসে ফেলল এবং মেয়েকে বোঝাল কুকুর
কামড়াতে পারে, কিন্তু মানু ষ কুকুরের পায়ে কামড়াতে পাড়ে না । কারণ মানু ষ ও কুকুড় এক নয় । একজন সভ্য অন্যটি অসভ্য । তাই
আচরণে পার্থক্য ।
মন্তব্য : পরিশেষে বলা যায় কুকুরের কাজের সাথে মানু ষের কাজের তুলনা ঠিক নয় । কারণ কুকুর আর মানু ষ এক হতে পারে না ।
  13
মু জাদ্দিদে আলফেসানী রহ.

প্রশ্ন -১ . মোজাদ্দিদ কখন আবির্ভূ ত হন ?


উত্তর : বিশ্বনবি হযরত মু হাম্মদ স .সর্বশেষ নবি, তার পর কিয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবি আসবে না । যখন চারদিক বিদয়াত ও
কুসংস্কারে ভরে যায় , তখন মু সলমানদের সঠিক পথ দেখানোর জন্য আবির্ভূ ত হন অনেক মোজাদ্দিদগণ ।
প্রশ্ন -২ . মোজাদ্দিদের কাজ কী ?
উত্তর : বিভ্রান্তি ও বেদয়াতের সয়লাব দূর করে ইসলামের প্রকৃত ও সঠিক রূপ মানুষের নিকট তুলে ধরা । বাতিলের বিরুদ্ধে হকের বিজয়
নিশান উড়ানোই হলো মোজাদ্দিদের কাজ ।
প্রশ্ন -৩ . মোজাদ্দিদে জামান কাকে বলে ?
উত্তর : যিনি এক শতাব্দীর জন্য আবির্ভূ ত হবেন তাকে মোজাদ্দিদে যামান বলা হয় ।
প্রশ্ন -৪ . মোজাদ্দিদে আল্‌ফ কাকে বলে ?
উত্তর : যার সংস্কার কাজের প্রভাব হাজার বছর পর্যন্ত জারি থাকে , তাকে মোজাদ্দিদে আল্‌ফ বা হাজার বছরের মোজাদ্দিদ বলা হয় ।
প্রশ্ন -৫ . মোজাদ্দিদে আলফে ছানি অর্থ কী ?
উত্তর : মোজাদ্দিদে আলফে সানি - এর অর্থ হচ্ছে দ্বিতীয় হাজার বছরের মোজাদ্দিদ ।
প্রশ্ন -৬ . প্রথম হাজার বছরের মোজাদ্দিদ কে ছিলেন ?
উত্তর : প্রথম হাজার বছরের সংস্কারক ও মোজাদ্দিদ ছিলেন হযরত আব্দু ল কাদের জিলানী র.।
প্রশ্ন -৭ . মোজাদ্দিদের আলফে ছানি কে ?
উত্তর : মোজাদ্দিদে আলফে ছানি পাঞ্জাবের অন্তর্গত পাতিয়ালা রাজ্যের সরহিন্দ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন । তার নাম শায়খ আহমেদ।
ডাক নাম আবু ল বারাকাত । এবং উপাধি ছিল বদরুদ্দীন ।
প্রশ্ন -৮ , দ্বীনে ইলাহী কোন ধর্মের সার - নির্যাস ?
উত্তর : দ্বীনে ইলাহী হিন্দু ধর্মের সার নির্যাস ।
প্রশ্ন -৯ . দ্বীনে ইলাহী না মানার শাস্তি কী ছিল ?
উত্তর : : দ্বীনে ইলাহী না মানার শাস্তি ছিল পাশবিক নির্যাতন থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃ ত্যুদণ্ড ।
প্রশ্ন -১০ , মোজাদ্দিদে আলফে ছানি কোথায় ও কখন জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তর : মোজাদ্দিদে আলফে ছানি র n. পাঞ্জাবের অন্তর্গত পাw_য়ালা রাজ্যের সরহিন্দ নামক স্থানে ৯৭১ হিজরির ১৪ ই শাওয়াল
শুক্রবার রাত্রির শেষ প্রহরে জন্মগ্রহণ করেন ।
প্রশ্ন -১১ . মোজাদ্দিদে আলফে ছানির শিক্ষাজীবন আলোচনা কর ।
উত্তর : মোজাদ্দিদে আলফে ছানি প্রথমে পিতামাতার নিকট , তারপর মক্তবে এবং সর্বশেষ ১০ বছর বয়সে মাদরাসা শিক্ষা সমাপ্ত করেন ।
তারপর উচ্চ শিক্ষার জন্য কানপু র গমন করেন । তিনি হাদিস , তাফসীর, ফেকাহ , ইসলামি ইতিহাস , দর্শন কাব্য সাহিত্য , ভূগোল
ইত্যাদি শাস্ত্রে জ্ঞান লাভ করেন । পরে তার বাবার কাছে থেকে আধ্যাত্মিকতা ও রূহানিয়াতের শিক্ষা লাভ করেন ।
প্রশ্ন -১২ . দ্বীনে ইলাহীর কালেমা ও সালামের নিয়ম কী ছিল ? উত্তর :দ্বীন-ই-ইলাহির কালিমা ছিল "লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু আকবারু
খলীফাতুল্লাহ অর্থাৎ (আল্লাহ ছাড়া কোন মাবু দ নেই আকবর আল্লাহর খলীফা।)
নতুন সালামের আইন করা হলো সালাম দাতা বলবে আল্লাহু আকবার অর্থাৎ একসাথে আল্লাহ ও আকবর উচ্চারণ করবে।
প্রশ্ন -১৩ , দ্বীনে ইলাহীর প্রধান প্রধান পাঁচটি বিষয়ের উল্লেখ কর ।
উত্তর : দ্বীনে ইলাহীর প্রধান প্রধান পাঁচটি বিষয় হলো
১. নব x মু হাম্মদ ( স ) -এর তরিকা কেউ মেনে চলতে পারবে না । তার বদলে আল্লাহর খলীফা আকবরের দ্বীন মেনে চলতে হবে ।
২. ইসলামি নাম কেউ রাখতে পারবে না ।
৩. ছেলেদের খত্না করাতে পারবে না ।
14
৪. ১৬ বছরের আগে কোনো মেয়ের বিয়ে দিতে পারবে না ।
৫. দাড়ি মু ণ্ডানো শুধু বৈধই নয় , পু রস্কার যোগ্যও বটে ।
প্রশ্ন -১৪ . দ্বীনে ইলাহী বিরোধিতার কারণে ফাঁসি বরণকারী দু’জন আলিমের নাম উল্লেখ কর ।
উত্তর : দ্বীনে ইলাহীর বিরোধিতা করার কারণে সে যু গের বহু আলেমকে ফাঁসিতে ঝু লানো হয়,তম্মধ্য A ন্নতম বিশিষ্ট্য আলেম ও ইসলামি
চিন্তাবিদ মাওলানা মোহাম্মাদ ইয়াজদী ও মাওলানা মু ই ¾y ল হক নামক দুই জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ।
প্রশ্ন -১৫ . মোজাদ্দিদে আলফে ছানি র. -এর সংস্কার কর্মসূ চীর তিনটি দফা আলোচনা কর ।
উত্তর : মোজাদ্দিদে আলফে ছানি র. -এর সংস্কারসমূ হ হলো প্রথমত : অখণ্ড ভারতের সকল এলাকায় তার ভক্ত মু রীদদের ব্যাপকভাবে
ইসলাম প্রচারের নির্দে শ দান করেন ।
দ্বিতীয়ত : রাজ দরবারের সম্রাট , আমীর - উমরা ও প্রভাবশালী কর্মকর্ত াদের নিকট তার দ্বীনে দাওয়াত পৌঁছে দিন । তৃতীয়ত : দ্বীনে
ইলাহীর সরকারি এজেন্টদের যাবতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেও ব্যাপক গণ আন্দোলন গড়ে তোলেন ।
প্রশ্ন -১৬ . গোয়ালিয়র জেলখানায় থেকে মোজাদ্দিদে আলফে ছানি ( র ) কী করেন ?
উত্তর : গোয়ালিয়র জেলখানায় তার পবিত্র পরশে সেখানকার হাজার হাজার পাপী - তাপী , খাঁটি মু সলমানে পরিণত হয় ।
প্রশ্ন -১৭ . মুজাদ্দিদে আলফে ছানি র . - এর সংস্কার থেকে আমরা কী শিখতে পারি ?
উত্তর : : মুজাদ্দিদে আলফে ছানি ( র . ) - এর সংস্কার থেকে আমরা এটা শিখতে পারি যে , কোনো অপশক্তিকে ভয় না করে এবং
নিজের জীবন বাজি রেখে হলেও সকল ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সংস্কার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে ।

মানু ষের সেবা
প্রশ্ন -১ . হাশরের দিন আল্লাহ তা'আলা কী জিজ্ঞেস করবেন ?
উত্তর : হাশরের দিন আল্লাহ তা'আলা জিজ্ঞেস করবেন দুনিয়াতে আমার যে সব বান্দারা রোগ , অজ্ঞান , ক্ষুধায় ও পিপাসায় কাতর ছিল
তাদের সেবা করনি কেন ? তাদের সেবা করলে আমাকেযে আজ পেতে ।
প্রশ্ন -২ . মানু ষ কীভাবে আল্লাহর সেবা করতে পারে ?
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসা করবেন আল্লাহ যখন রোগে অজ্ঞান ছিলেন তখন তারা কেন সেবা করে নাই, তার
খোধায় কেন তাকে অন্য দেয়নি, তার পিপাসায় কেন তাকে পানি পান করাই নি? মানু ষ আল্লাহর সাথে তাদের দূরত্বে প্রশ্নে অজু হাত পেশ
করে বলবে আল্লাহ তাআালা জগতের প্রভু, মানুষ কিভাবে তার সেবা করতে পারে তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন দেখোনি মানু ষ
কেঁদেছে রোগের ঘোরে, তারই শুশ্রূষা করিলে সেথাইযে পাইতে মোরে।কেননা মানু ষ মানু ষের সেবা করে আল্লাহর সেবা করতে পারে ।
কারণ আল্লাহর সৃ ষ্টি জীব ও মানুষের মাঝেই বিরাজমান তাদের সেবা করলেই আল্লাহর সেবা করা হয় ।
প্রশ্ন -৩ কবিতাটির সারাংশ লেখ । মানব সেবার মাঝেই আল্লাহর সন্তুষ্টি নিহিত রয়েছে । কবি এখানে এ সত্যটিই তুলে ধরেছেন । হাশরের
দিন আল্লাহ তাআলা মানুষকে জিজ্ঞেস করবেন , আল্লাহ যখন রোগাক্রান্ত ছিলেন তখন তারা কেন তার শয্যাপাশে এসে সেবা করেনি ,
কেন তার ক্ষুধায় অন্ন দেয়নি , কেন তার তৃষ্ণা মেটায়নি । জবাবে মানু ষ আল্লাহর সাথে তাদের দূরত্বের প্রশ্ন তুলে অজু হাত পেশ করবে
এবং বলবে , আল্লাহ হলেন জগতের প্রভু , তাঁর ক্ষুধা , পিপাসা মানু ষ কিভাবে মেটাবে । তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন , আশপাশের
অসহায় , মু মূর্ষু ও পিপাসার্ত যারা ছিল তাদের সেবা করলেই আল্লাহকে সেবা এবং খু শি করা হত।

বাংলার সোনালী আঁশ
প্রশ্ন : K. বাংলাদেশে ফসলের মধ্যে পাটের স্থান কোথায়?
বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের ফসল উৎপন্ন হয় । যেমন ধান , গম , তুলা , পাট , চা , ইত্যাদি । এসব ফসলের মধ্যে পাটের স্থান বলা যেতে
পারে সবার ওপরে । পাট বাংলাদেশের একটি অমূ ল্য জাতীয় সম্পদ।

15
প্রশ্ন : খ. পাটের চাহিদা কমেছে কেন?
উত্তর : পৃ থিবীর বিভিন্ন দেশ ; যারা আমাদের কাছ থেকে পাট কিনত , তারা এখন পাটের পরিবর্তে সিনথেটিক ও পলিথিন জাতীয় জিনিস
ব্যবহার করে । এতে পাটের চাহিদা অনেক কমে গেছে। তবে সিনথেটিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যগত অনেক অসু বিধা দেখা দিয়েছে ।
তাই আমাদেরকে পূ নরায় পাটের চাহিদা বাড়াতে হবে,এবং সিনথেটিক জাতীয় বস্তু বর্জ ন করতে হবে।
প্রশ্ন : গ. পাট থেকে কি কি দ্রব্য তৈরী হয়?
উত্তর : পাটের ব্যবহার কিন্তু বহুবিধ । পাট থেকে তৈরি হয় চট , ছালা , দড়ি , কাছি , থলে , কার্পেট । পাটকাঠি থেকে বর্ত মানে আমরা
বহুবিধ জিনিস তৈরি করছি । যেমন- কাগজ ও পারটেক্স । পারটেক্স দিয়ে আধু নিক ধরনের জানালা , দরজার পাট্টা তৈরি করা হয় । এছাড়া
আরো কত কি ! গ্রাম - গাঁয়ে পাটকাঠি বা শলা জ্বালানি এবং কাঁচা ঘরের বেড়া হিসাবেও ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন : ঘ. পলিথিন ব্যাগ ফেলে দেওয়ার ফলে কি ক্ষতি হয়?
উত্তর :বিগত সময়ে আমাদের দেশে একটা ফ্যাশন চালু হয়েছিল , কেউ বাজার - ঘাটে চটের ব্যাগ নিয়ে যেত না । বাজার থেকে কিছু
কিনলে এক টাকা দিয়ে একটি পলিথিন ব্যাগ কিনে তাতে করে বাজার নিয়ে আসত । এতে কিন্তু ভীষণ ক্ষতি হত । এসব পলিথিনের ব্যাগ
এক দুই বারের বেশি ব্যবহার করা যেত না । অন্যদিকে এ ব্যাগ ছিঁড়ে যাওয়ার পর যেখানে সেখানে ফেলে দেয়া হত । এতে পরিবেশের
মারাত্মক ক্ষতি হয়,যেমন পলিথিন মাটিতে না মেশার ফলে জমির উর্বরতার শক্তি হারাতে থাকে। তাই এ দিকে লক্ষ্য করেই সরকার তা
বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে । এতে পলিথিনের ব্যবহার অনেক কমে গেছে ।
প্রশ্ন . ঙ. পাট কত প্রকার তা লিখ?
উত্তর : পাট বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে,তবে প্রধানত দুই প্রকার। যথা দেশি বা তিতা পাট। তোষা বা বগী পাট। এছাড়াও আরো দুই প্রকার
পাট রয়েছে। যথা,শন পাট ও মেসতা পাট।
প্রশ্ন . চ. পাটকাঠি থেকে কী তৈরি হয় ?
উত্তর : পাটকাঠি থেকে অনেক রকমের বস্তু তৈরি হয় । এর মধ্যে কাগজ ও পারটেক্স উল্লেখযোগ্য ।
প্রশ্ন -৭ . ছালার ব্যাগ ব্যবহারে কী উপকার হয় ?
উত্তর : ছালার ব্যাগ ব্যবহার করলে একদিকে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করা হবে , অন্যদিকে বৈদেশিক মু দ্রাও বাঁচবে ।
কথায় বলে দেশীয় পণ্¨, কিনে হও ধন্য। এছাড়াও দেশীয় পণ্য ব্যবহার করলে, তা হবে দেশকে ভালোবাসার পরিচয়|

জ্ঞান আহরণ

প্রশ্ন-১. আকাশের চেয়ে উঁচু কী?


উত্তর : সত্য হচ্ছে আকাশের চেয়ে উঁচু
প্রশ্ন-২. বরফের চেয়ে শীতল কী?
উত্তর : স্বজন বিমু খ হৃদয় বরফের চেয়েও শীতল
প্রশ্ন-৩ . সাগরের চেয়ে ধনবান কী?
উত্তর : তুষ্ট হৃদয় সাগরের চেয়ে অধিক ধনবান ।
প্রশ্ন : . ব্যাখ্যা কর :
ক. “মূ সার খিজির দেখা দিল মোর চলার পথের মাঝ
উত্তর : উৎস : আলোচ্য অংশটুকু কবি শেখ ফজলু ল করিম রচিত 'জ্ঞান আহরণ' কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : জ্ঞান আহরণ কবিতায় কবি খিজির (আ) সম্পর্কে এ উক্তিটি করেছেন।
বিশ্লেষণ : এক পথিক এক জন জ্ঞানী ব্যক্তিকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করছিল ।

16
জ্ঞানী তার সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিচ্ছিল । কিন্তু পথিক জানত না তিনি কাকে প্রশ্ন করেছিল। জ্ঞানী চলে যাওয়ার পর পথিক
বু ঝতে পারল যে, মূ সা (আ) যার কাছে হার মেনেছিলেন এবং যাকে সবচেয়ে জ্ঞানী বলেছিলেন, ইনি সেই খিজির (আ) ।

মন্তব্য : জ্ঞান মানু ষকে উদার ও মহান করে | জ্ঞান মানুষকে নিরঅহংকারী করে তোলে ।

সভ্য ও অসভ্য
ড. কাজী দীন মু হাম্মদ

প্রশ্ন-ক. সভ্য ও অসভ্য' গল্পের কাহিনী নিজের ভাষায় লেখ|


সভ্য ও অসভ্য' গল্পে GKwU my›`i NUbvi mwbœ‡ek ঘটিয়েছেন। তা হলো- মধ্যে এশিয়ার অন্যতম সভ্য রাষ্ট্র
মাদায়েনের বাদশা রাহিমান তাদের নিজস্ব সভ্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য বহু দেশ বিজয় করেন। সব শেষে তিনি আফ্রিকার বাহিমান দেশে
সভ্যতা কায়েমের জন্য রওয়ানা হন। সেখানে রাজার দরবারে কয়েক দিন থাকার পর তিনি এক বিচার কার্যের কার্যক্রম দেখতে
পেলেন। তার মু ল বিষয় ছিল জনৈক ব্যক্তির জমি অন্য ব্যক্তি কিনেছিল। পরে জমিতে এক খণ্ড সোনা পাওয়া গেলে প্রাপ্য ব্যক্তি
জমিi পূ র্বের মালিককে তা ফেরত দিলেন। আর তিনি যু ক্তি দেখালেন, আমি শুধু জমি কিনেছি, আমি তো সোনা কিনি নি।
অপরপক্ষের ব্যক্তি বলল, আমি তাকে জমি বিক্রির করে দিয়েছি। সু তরাং আমি সোনা নিব না। তখন রাহিমানের বাদশাহ উভয়ের
ছেলে মেয়েদের মধ্যে বিবাহ দিয়ে নবদম্প wË কে উক্ত সোনা উপহার দিলেন ।এতে মাদায়েনের বাদশা আশ্চর্যান্বিত হলেন । পরে
তাকে মাদায়েনের বিচার কার্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আমাদের দেশে উত্তর সোনা যদি রাজার দরবারে আসত তবে
শাহানশাহ্ তা গ্রহণ করতেন। এতে রাহিমানের বাদশা বললেন, প্রজার m¤ú` বাদশাহ খাবে কেন? এভাবে মাদায়েনের বাদশাহ
নিজেদেরকে অসভ্য হিসেবে প্রমাণ করে দেশে ফিরে এলেন । আর যারা শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে ছিল এবং অসভ্য হিসেবে বিবেচিত
ছিল, তারাই সভ্য হিসেবে পরিগণিত হলো।
প্রশ্ন-খ প্রকৃত পক্ষে কারা সভ্য এবং কারা অসভ্য?
উত্তর : মাদায়েনবাসী নিজেদেরকে সভ্য বলে মনে করতো, প্রকৃত পক্ষে তারাই ছিল অসভ্য। আর রাহিমানবাসী অসভ্য হিসেবে
পরিচিতি ছিল, তারাই সভ্য প্রমাণিত হলো ।
কারণ রাহিমান রাজা ইসলামের ভিত্তিতে বিচার কার্য পরিচালনা করতেন ।
প্রশ্ন-গ. বাদশাহ রাহিমান কোন রাজ্যে গেলেন এবং সেখানকারর বাদশাহ কী ধরনের ব্যবহার করলেন?
উত্তর : বাদশাহ রাহিমান আফ্রিকার বাহিমান দেশে সফরে গিয়েছিলেন। সেখানকার বাদশাহ তাদেরকে সৌজন্যমূ লক ব্যবহার উপহার
দিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি রাহিমানকে ইসলামের ভিত্তিতে বিচার করতে পরামর্শ দান করলেন ।
প্রশ্ন-ঘ, বাহিমাb বাদশাহর দরবারের বিচার কাজের বর্ণনা দাও।
উত্তর: বাহিমান বাদশাহর দরবারে উপস্থিত থাকাকালে বাদশাহ রাহিমান যে বিচার দেখলেন তা হলো- জনৈক কৃষক জমি বিক্রি
করেছিল, অপরজন তা ক্রয় করেছিল । ক্রয় করার পর জমিতে সোনা পাওয়া গেলে ক্রয়কারী বলল,আমি শুধু জমি কিনেছি, আমি
সোনা নিব না । আর জমির পূ র্বের মালিক বলল, আমি ‡Zv Rwg mn meB বিক্রি করেছি,myZivs Avwg জমির ভিতরের
কিছু ই নিব না।
তখন বাদশা প্রথম জনের মেয়ে ও দ্বিতীয় জনের ছেলের মধ্যে বিবাহের ব্যবস্থা করলেন এবং উক্ত সোনা তাদের বিয়েতে দান
করলেন ।

17
সংক্ষেপে প্রশ্নগুলোর উত্তর `vI |
প্রশ্ন-ক. বাহিমান বাদশাহ কেন যু দ্ধ করলেন না?
উত্তর : বাহিমান দেশের বাদশাহর সৈন্য সামন্ত অপেক্ষাকৃত কম ছিল তাই তিনি যু দ্ধ করলেন না ।
প্রশ্ন-খ. জমিক্রেতা কেন সোনার খণ্ডটি নিল না?
উত্তর : সে মনে করেছিল যে, সে তো শুধু জমি কিনেছে | সোনা তো কিনিনি | তাই তিনি সোনা নিতে চাইলেন না।
প্রশ্ন-গ. জমি-বিক্রেতা কেন সোনা খণ্ডটি নিতে চাইল না?
উত্তর : জমি বিক্রেতা বললেন, আমি জমি বিক্রির সাথে সাথে এর মধ্যে যা কিছু ছিল সবই বিক্রি করে
তাই তিনি সোনা নিতে রাজি হলেন না |
প্রশ্ন-ঘ. বাদশাহ কীভাবে সমস্যার সমাধান করলেন?
উত্তর : বাদশাহ উভয়ের ছেলে ও মেয়ের বিবাহের মাধ্যমে D³ †mvbvwU Dcnvi wn‡m‡e w`‡q এ সমস্যার একটি
সু ন্দর সমাধান করলেন।

জন্মভূমি বাংলাদেশে

প্রশ্ন:1- ’জন্মভূমি বাংলাদেশে Ó কবিতাটির আলোকে বাংলাদেশের রূপের বর্ননা দাও ৷


উত্তর: বাংলাদেশের রূপের বর্ণনা : মহান আল্লাহর দান আমাদের এই বাংলাদেশ। আল্লাহ অপরূপ সৌন্দর্যে এদেশ সৃ ষ্টি করেছেন। এই
পাহাড়-পর্বত, খাল-বিল, সবু জ বনানী আমাদেরকে মু গ্ধ করে। বন পাহাড়ে উড়ে বেড়ায় রংবেরঙের পাখি। এদের কলকাকলীতে আর
মৌমাছির গুনগুন শব্দে আমাদের হৃদয় শিহরিত হয়ে হয়। শীতের সময়ের ঘরে ঘরে তৈরি হওয়া চিতই পিঠা, তিলের নাড়ু, ভাপা
পিঠা ও গরম ভাজাডেপের খই সকলেই খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠে। শিউলি, বকুল সহ হরেক রকমের ফু লের ঘ্রাণ আমাদের মন
কেড়ে নেয়। এদেশের কৃষকেরা ভোর না হতেই লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে নিয়ে মাঠে যায়। রোদে বৃ ষ্টিতে ভিজে আমাদের জন্য ফসল
ফলায় | এটাই আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ।
প্রশ্ন-2. বু ঝিয়ে লেখ :
এই দেশের জন্য বু কে,ভালোবাসার নেই কো শেষ।
উত্তর : অপরূপ রূপের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। দীর্ঘ নয় মাস যু দ্ধ করে বহু প্রাণের বিনিময়ে আমরা ভালোবাসার নেইকো
শেষ। পেয়েছি আমাদের এই স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ। আমরা আমাদের জীবনের চেয়ে এই দেশকে বেশি ভালোবাসি, কবি এ লাইন
দুটি দিয়ে তা-ই বু ঝাতে চেয়েছেন |

18
দারুল উলূ ম দেওবন্দের গোড়ার কথা
প্রশ্ন-১, বিশ্বনবি (স.) এর পর থেকে মু সলিম জাতির পরিচালনায় কারা ছিলেন? উত্তর : বিশ্বনবি (স.)-এর ইন্তিকালের পর মু সলিম
জাতির পরিচালনা করেন খলিফাগণ এবং এরপর সালাফে সালেহীনগণ । রাজ্য চালান, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা-দীক্ষা, তথা সর্বত্রই ছিল
তাদের স্বগৌরব উপস্থিতি
প্রশ্ন-২, সংগ্রামে আগের কাতারে কারা রয়েছেন?.
উত্তর : মু সলিম বিশ্বে মু সলমানদের স্বার্থে ও তাদের উন্নয়নে যত সংগ্রাম হয়েছে সব সংগ্রামের আগের কাতারে থেকে নেতৃত্ব
দিয়েছেন উলামায়ে কেরামগণ| আর তাদের পিছনে থেকে তাদেরকে সাহায্য করেন মু সলিম জনতার অগণিত সৈনিকগণ |
প্রশ্ন-৩. অন্যায়কারী বাদশাহদের বিরুদ্ধে কারা শাণিত তলোয়ার ছিলেন? উত্তর : ভারত উপমহাদেশের সাত'শ বছরের মু সলিম
ইতিহাসে উলামায়ে কেরাম ছিলেন মু সলিম জাতির পথ প্রদর্শক | একদিকে তারা ছিলেন জাতির ঈমান আমলের সংস্কারক এবং
অন্যদিকে ছিলেন অন্যায়কারী রাজা বাদশাহদের বিরুদ্ধে শাণিত তলোয়ার |
প্রশ্ন-৪. কোন সনে কারা নৌকা থেকে মসনদে উঠেছিল?
উত্তর : মোঘল আমলে মু সলমান রাজা বাদশাহর অদূরদর্শিতার কারণে ১৮০৩ সালে ব্রিটিশ বণিকরা এদেশকে গ্রাস করে ফেলল এবং
বেনিয়ারা তখন তাদের নৌকা থেকে নেমে গিয়ে উঠল দিল্লির মসনদে |
প্রশ্ন-৫. ভারতকে 'দারুল হরব' কে ঘোষণা দিয়েছিলেন?
উত্তর: হযরত শাহ আবদুল আজীজ (র) ভারতকে দারুল হরব ঘোষণা দিয়েছিল |
প্রশ্ন-৬. কার নেতৃত্বে বাংলা আসাম থেকে সীমান্ত প্রদেশ পর্যন্ত আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল?
উত্তর : শাহ ওয়ালিউল্লাহ মু হাদ্দিসে দেহলভী (র)-এর ইন্তিকালের পর তার সু যোগ্য পু ত্র শাহ আব্দু ল আজীজ দেহলভী (র)
ব্রিটিশদের ভারত জবর দখলকারী আখ্যায়িত করে আন্দোলন শুরু করেন | এরপর তার শিষ্য সাইয়েদ আহমাদ বেরেলভী (র) এ
আন্দোলন ছড়িয়ে দিলেন বাংলা আসাম থেকে সু দূর সীমান্ত প্রদেশ পর্যন্ত |
প্রশ্ন-৭. হযরত সাইয়েদ আহমদ বেরেলভী (র)-এর পতাকাতলে কত সংখ্যক মু জাহিদ সমবেত হয়েছিলেন? উত্তর : হযরত
সাইয়েদ আহমদ বেরেলভী (র)-এর পতাকাতলে এক লাখেরও বেশি মুজাহিদ সমবেত হয়েছিল ছিল
প্রশ্ন-৮. কোন সনে কাদের নেতৃত্বে সিপাহী বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তর : সংগ্রামী উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে ১৮৫৭ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল |
প্রশ্ন-৯. গ্রান্ড-ট্রাংক রোডের গাছে গাছে কাদের লাশ ঝু লিয়ে রাখা হয়েছিল?
উত্তর : হাজার হাজার আলেমকে প্রকাশ্যে হত্যা করে শেরশাহী গ্র্যান্ড ট্রাংক রোডের গাছে গাছে তাদের ঝু লিয়ে রাখা হয়েছিল এবং
এভাবেই তাদের স্বাধীনতার স্বাদ বিনষ্ট করতে চেয়েছিল বৃ টিশরা |
প্রশ্ন-১০. 'দারুল উলূ ম দেওবন্দ' কত সালে কে স্থাপন করেন?
উত্তর : মুজাহিদীনের সিপাহসালার হুজ্জাতুল ইসলাম আল্লামা হযরত কাসেম নানু তুবী রহ. সরাসরি সংগ্রাম ও সশস্ত্র যু দ্ধের পথ ত্যাগ
করে এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা ভাবলেন, যা হবে সরকারের প্রভাব সাহায্য থেকে মু ক্ত। যেখানে গড়ে তোলা হবে এমন
কিছু মর্দে মুমিন, যারা ইলম ও চরিত্রে হবে উজ্জল নক্ষত্র তুল্য। বিদআত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে হবে আলোর মশাল। যারা ব্যক্তিগত
আমল-আখলাক হবে নবীর খাঁটি উত্তরসূ রী। এমনই এক পরিস্থিতিতে ১৮৬৬ সালের ৩০মে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপু র
জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যা আজ বিশ্ব বিখ্যাত
ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র দারুল উলু ম দেওবন্দ নামে সু পরিচিত।
প্রশ্ন-১১. 'রেশমী রুমাল আন্দোলন'-এর নায়ক কে ছিলেন?
উত্তর : ভারতের গৌরব মাওলানা মাহমু দুল হাসান (র) ভারতবর্ষের আযাদীদেরজন্য এক আন্দোলন গড়ে তোলেন, যা ইতিহাসে
রেশমী রুমাল আন্দোলন নামে খ্যাত। তাই রেশমী রুমাল আন্দোলনের নায়ক মাওলানা মাহমু দুল হাসান দেওবন্দী রহ.|
প্রশ্ন-১২. মাল্টা দ্বীপে কাকে কাকে নির্বাসন দেওয়া হয়?
উত্তর : শায়খু ল হিন্দ ও তাঁর প্রিয় শিষ্য মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (র)-কে মাল্টা দ্বীপে নির্বাসন দেওয়া হয় |

19
তারাবীর জামাত

প্রশ্ন-১. মোল্লা বাড়িতে আজ সারা গাঁও একত্র হবে কেন? কবি কাকে কাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাবেন?
উত্তর : মোল্লা বাড়িতে আজ সারা গাওয়ের মানু ষ রমযান মাসের তারাবীর নামায পড়ার জন্য একত্র হবেন| কবি মেনাজদ্দীন
কলীমদ্দিন, দৌলা, লস্কর ও কিনু কে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন |
প্রশ্ন-২. গইজদ্দীনের কানে ধরে থাপ্পড় মারতে ইচ্ছে হচ্ছে কেন? তবু তার পাশে বসে বসে নামায পড়তে হচ্ছে কেন?
উত্তর : গাইজদ্দীন কবির ক্ষেতের ধান গরু দিয়ে খাওয়ানোর কারণে কবির ইচ্ছা করছে গইজদ্দীনের কান ধরে থাপ্পড় মারতে | কিন্তু
নামাযের সময় এসব মনে রাখতে নেই, কারণ রমযান মাস সংযমের মাস | তাই ছোট খাট অপরাধ ভুলে তার পাশে বসেই নামায
পড়তে হচ্ছে |
প্রশ্ন-৩. খৈমদ্দীনকে টুটি টিপে মারতে চাচ্ছেন কেন? তার প্রতি কবির এত আক্রোশ, তবু কবি তার জন্য আজকের দিনে কি
করবেন?
উত্তর : খৈমু দ্দীন কবির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে ছারখার করেছে, তাই কবির ইচ্ছা হচ্ছে তাকে টুটি টিপে মারতে | কিন্তু আজকে
নামায পড়ে সবার জন্য দোয়া করতে হবে এবং সব হিংসা, রাগ, ঘৃ ণা ভুলে যেতে হবে|
প্রশ্ন-৪. রমযানের চাঁদ দেখতে কেমন?
উত্তর : রমযানের চাঁদ দেখতে বাঁকা চিকন এবং নৌকার মতো ।
প্রশ্ন-৫. কার মহিমায় কবি কাইজাফেসাদ ভুলে যাবেন?
উত্তর : মাহে রমযান মাস সংযমের মাস। এ মাসে আমরা সারাদিন উপবাস থেকে রোযা রাখি | তাই তার মহিমায় করি সব
কাইজাফেসাদ ভুলে যাবেন।
প্রশ্ন-৬. আদর্শ সমাজ গঠনে তারাবী নামাজ বা নামাজের ভূমিকা কী তা আলোচনা কর?
উত্তর : আদর্শ সমাজ গঠন করা আমাদের সকলের উচিত| কেননা সমাজ গঠনে আদর্শ সমাজ বেশ তাৎপর্য পূ র্ণ | আদর্শ সমাজ
গঠিত হলে সে সামাজে তেমন হৈ-হল্লা, গোগুগোল, ফাসাদ থাকে না, আর দ্বন্ধ কলহ না থাকলে সমাজ হয়ে ওঠে শান্তিপূ র্ণ | আর
শান্তিপূ র্ণ সমাজ গঠনে প্রয়োজন হলো নামায ও মসজিদ গৃ হ | কেননা মসজিদে আমরা শান্তিপূ র্ণ অবস্থান করি | নামাজ আদায় করি
কেননা বিবাদ করি না | একে অপরে পাশাপাশি বশে আমরা নামাজ আদায় করি | শান্তিপূ র্ণভাবে অবস্থান করি| তারাবীর নামায
অনেক সময় ধরে আদায় করা হয় সেই সাথে অনেক বেশি জনগন | নামাযে আসে | এবং সকলে পাশাপাশি সেই সাথে অনেক
বেশি মানু ষ নামাযে আসে| এবং সকলে পাশাপাশি বসে নামায আদায় করে| যে ভাবে নামায আদায়ের সময় পাশাপামি বসে অবস্থান
করে নামায আদায় করি তেমনি সমাজ গঠনে তারাবীর নামাজ বা নামাযের ভূমিকা সত্যিই তাৎপর্যপূ র্ণ |

প্রাণী জগৎ এক বিস্ময়

প্রশ্ন- ১. হাতি দেখতে কেমন? শুঁড়ের সাহায্যে হাতি কী কী কাজ করতে পারে?
উত্তর : হাতি খু বই পরিচিত প্রাণি | ডাঙ্গার প্রাণীদের মধ্যে হাতি সবচেয়ে বড় প্রাণি | হাতির রয়েছে অদ্ভুত শুঁড় | সে শুঁড়ের সাহায্যে
বড় বড় গাছও উপড়ে ফেলতে পারে এবং বড় বড় গাছের গুঁড়ি টেনে নিয়ে যেতে পারে |
প্রশ্ন-২. গণ্ডারকে আজব প্রাণি বলা হয়েছে কেন? রেগে গেলে সে কী করে?
উত্তর : ডাঙ্গায় বসবাসরত প্রাণিদের মধ্যে গণ্ডার একটি আজব প্রাণি | গণ্ডারের নাকের ওপর শক্ত ও তীক্ষ্ণ একটি শিং আছে| গণ্ডারের
দৃষ্টি শক্তি ক্ষীণ, প্রাণশক্তি প্রখর | রেগে গেলে সে হুলস্থুল কাণ্ড বাধিয়ে দেয় ।
প্রশ্ন-৩. জিরাফ দেখতে কেমন? বনপথে সে কীভাবে ও কত মাইল বেগে ছু টে?
উত্তর : প্রাণিজগতে সবচেয়ে উঁচু হচ্ছে জিরাফ| এ প্রাণিটি প্রায় আঠার ফু ট উঁচু হয় | ছু টার সময় সে মাথাটি নিচু করে দৌড়ায়, যেন
গাছের ডালপালার সাথে না লাগে | এ প্রাণিটি ঘণ্টায় প্রায় ত্রিশমাইলেরও বেশি বেগে ছু টতে পারে |
প্রশ্ন-৪. কোন পাখিকে দৈত্য পাখি বলা হয় এবং কেন?

20
উত্তর : পাখির জগতে দৈত্য পাখি হিসেবে পরিচিত উট পাখি বা অস্ট্রিচ। এরা খু ব দ্রুত দৌড়াতে পারলেও উড়তে পারে না । এরা
ঘণ্টায় ষাট সত্তর মাইল বেগে দৌড়াতে পারে | এরা মরুভূমিতে বালিখুঁ ড়ে বাসা তৈরী করে । আর এরা মরুভূমিতে বসবাস করে বলে
এদেরকে উট পাখি বা দৈত্য পাখি বলা হয় ।
প্রশ্ন : প্লাটিপাস বা হংসচঞ্চু কোথায় বাস করে?
উত্তর : প্লাটিপাস বা হংসচঞ্চু প্রাণিজগতের আর এক বিস্ময়। এদের ঠোঁট ও পায়ের পাতা দেখতে হাঁসের মত। এরা পাখির মত ডিম
পাড়ে আর ছানারা মায়ের দুধ খায় । পু রুষ হংসচঞ্চুর পায়ের গোড়ায় বিষাক্ত কাঁটা আছে । সে কাঁটা দিয়ে তারা শত্রুকে ঘায়েল
করতে পারে। এদের চ্যাপ্টা ও মোটা লেজ শরীর থেকে বেরিয়ে ক্রমশ সরু হয়ে গেছে। পানির কয়েক ফু ট ওপরে এরা গর্ত করে
এবং সে গর্ত পানির ভেতর চলে যায়। দিনে এরা গর্তে থাকে আর রাতে পানিতে ভেসে বেড়ায় । হংসচঞ্চু তার চ্যাপ্টা ঠোঁট দিয়ে
জলজ পোকামাকড়, শামু ক ও গুগলি খায়। অস্ট্রেলিয়া ও তার কাছাকাছি দ্বীপ তাসমানিয়ায় হংসচঞ্চুর দেখা মেলে ।
প্রশ্ন : আমাদের দেশের কোন কোন প্রাণী বিলু প্ত হয়ে যাচ্ছে, এদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো?
উত্তর : প্রাণিজগতে বিস্ময় সৃ ষ্টি করেছে এমন জীবজন্তুর সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। বাংলাদেশে কিছু কিছু জীবজন্তু প্রায় বিলু প্ত
হয়ে গেছে। এদের মধ্যে রয়েছে গণ্ডার, বু নো গরু, বু নো মোষ, বু নো ছাগল ও বু নো কুকুর। এসব প্রাণী পার্বত্য জেলাসমূ হে, সিলেট
ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে পাওয়া যেত । বাংলাদেশ থেকে বিলু প্ত হওয়া প্রাণীর মধ্যে আরও আছে হাড়গিলা, মিঠা পানির কুমির,
রাজশকুন, সোনালি বিড়াল, নীল গাই ও হনু মান । এছাড়া আরও কিছু জীবজন্তু বিলু প্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাঘ,
হাতি, হরিণ, বনমোরগ, মদনটেক, কুমির, কচ্ছপ, গুইসাপ, বনরুই, গয়াল, বাঘডাস, সজারু, উড়ন্ত কাঠবিড়ালী, সোনা ব্যাঙ প্রভৃতি
এখন আর খু ব বেশি নেই। এমনকি সু ন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারও এখন সংখ্যায় কমে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্যের জন্যই এ
সব প্রণীর বেঁচে থাকা প্রয়োজন।
সোনার কিশোর

প্রশ্ন-১, কবি কাদের মু খ পানে চেয়ে বু কে শক্তি ফিরে পান। উত্তর : কবি বাংলাদেশের সোনার কিশোরদের দিকে তাকালে মনে শক্তি
ফিরে পান। কারণ, ওরাই হলো সমাজের নবচেতনার উৎস। ওদের সামনে বিরাট সম্ভাবনা। যা এদেরকে বিশ্ব জয় করতে সাহায্য
করবে।
প্রশ্ন-২. কাদের মাঝে দুঃখজয়ী আশা লু কিয়ে আছে।
উত্তর : বাংলাদেশের পরিশ্রমী ও সাহসী কিশোর ছেলেদের মাঝে দুঃখজয়ী আশা লু কিয়ে আছে ।
প্রশ্ন-৩. কবি কেন কর্মবীরকে চান?
উত্তর : কবি তার কবিতার মাধ্যমে কর্মবীরদের চেয়েছেন, কারণ তারা হলো দেশ জয়ের অগ্রপথিক । তারা সিন্ধুসেচে মু ক্তা আনবে
এবং পাহাড় সমান বাঁধাকে দুপায়ে ঠেলে দিয়ে সব সমস্যার সমাধান খুঁ জে বের করবে। তাই কবি কর্মবীরদের চান।
প্রশ্ন : ব্যাখ্যা কর :-
ক. শূ ন্য পথে বিমান যানে ধরবি ঝড়ের ঝুঁ টি , সাগর সেঁ চে মু ক্তা- প্রবাল আনৰি মু ঠি মু ঠি।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য কবিতাংশটুকু বন্দে আলী মিয়া রচিত 'সোনার কিশোর' নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গ : কবি তরুণদের উদ্দেশ্য করে তার মনের কথাগুলো ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্লেষণ : কবি তার কবিতার মাধ্যমে তরুণদেরকে দেশ গড়ার এবং নিত্য নতুন কিছু আবিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি
তরুণদের পরিশ্রমী সাগর সেঁ চে মু ক্তা আনার জন্য আহ্বান করেছেন ও সাহসী হয়ে দেশের তরে কিছু করার কথা বলেন। তিনি।
মন্তব্য : সাহস ও পরিশ্রম তরুণদের সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেয়।

খ. নিত্য নতুন আবিষ্কার গো করবে এরা সবে, ভরবে নভ চিমনি ধোঁয়ায় এদের জয় রবে ।
উত্তর : উৎস : আলোচ্য কবিতাংশটুকু কবি বন্দে আলী মিয়া রচিত সোনার কিশোর নামক কবিতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
21
প্রসঙ্গ : এ দুটি লাইনে কবি তরুণদের প্রতি নতুন কিছু আবিষ্কার করার আহ্বান করেছেন ।
বিশ্লেষণ : কবি তার কবিতায় কিশোরদের শিক্ষিত হয়ে নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার করার জন্য তরুণদের আহ্বান করেছেন । তিনি
তরুণদের এমন কিছু আবিষ্কার করার জন্য বলেছেন যা যু গ যু গান্তর পর্যন্ত রয়ে যাবে । তরুণরা মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে দেশকে বিশ্বের
দরবারে উচ্চ স্তরে নিয়ে যাবে এটাই কবির প্রত্যাশা। মন্তব্য:
তরুণরা জাতির ও দেশের ভবিষ্যৎ। তারাই পারেন নতুন নতুন কিছু আবিষ্কার করতে।

মনীষী মু ফতী ফয়জু ল্লাহ রাহ.

প্রশ্ন-১. মু ফতী ফয়জু ল্লাহ (র.) কাদের অন্যতম ছিলেন?


উত্তর : বাংলার যে সব মু সলিম মনীষী ইসলামি শিক্ষা বিস্তার ও গবেষণায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন
মু ফতী ফয়জু ল্লাহ (র) তাদের অন্যতম ।
প্রশ্ন-২. তিনি কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : মু ফতি ফয়জু ল্লাহ রাহ. ১৮৯২ সালের ১৩১০ হিজরি) তে জন্মগ্রহণ করেন
প্রশ্ন-৩. তার পিতার নাম কী ?
উত্তর : তার পিতার নাম ছিল মু নশী হেদায়াত আলী ।
প্রশ্ন-৪. প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি কোথায় পড়াশুনা করেন?
উত্তর : প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি পৃ থিবীর অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূ ম দেওবন্দে পড়াশুনা করেন । প্রশ্ন-৫. তিনি
দেওবন্দ দারুল উলূ মে কত বছর অধ্যয়ন করেন?
উত্তর : তিনি দেওবন্দ দারুল উলূ মে ২ বছরের অধিককাল অধ্যয়ন করেন ।
প্রশ্ন-৬. তিনি হাটহাজারী মাদ্‌রাসায় কবে শিক্ষকতার কাজ করেন? উত্তর : শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর তিনি হাটহাজারী মাদরাসায়
শিক্ষকতার কাজ শুরু করেন।
প্রশ্ন-৭. তিনি কী স্বপ্ন নিয়ে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে অব্যহতি গ্রহণ করেন?
উত্তর : তার সাথে একটি বিশেষ মহলের দূরত্ব সৃ ষ্টি হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে অব্যহতি
গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-৮. তিনি নিজ গ্রামে কিসের নমু নায় মাদরাসা স্থাপন করেন? উত্তর : তিনি নিজ গ্রামের পবিত্র মদীনায় প্রথম মাদরাসা আসহাবু স
সু ফফা নমু নায় একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেন ।
প্রশ্ন-৯. তাঁর স্থাপিত মাদ্রাসাটি কী নামে পরিচিত?
উত্তর : তাঁর স্থাপিত মাদরাসাটি 'হামিউস' সু ন্নাহ নামে পরিচিত ।
প্রশ্ন-১০. আদর্শ মানু ষ হওয়ার জন্য কী প্রয়োজন? উত্তর : আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য প্রয়োজন দৃঢ় প্রত্যয় এবং কঠোর সাধনা ।
প্রশ্ন-১১. তিনি উস্তাদগণের নিকট কেন প্রিয় ছিলেন?
উত্তর : তাঁর সু দীর্ঘ জীবনে শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজ করেছেন বলে কারও মনে হয় না ।
শরীতের পাবন্দীর কারণেই তিনি ছিলেন তার উস্তাদ ও মু রব্বীগণের নিকট অত্যন্ত স্নেহের পাত্র ।
প্রশ্ন-১২, তিনি কত বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন?
উত্তর : তিনি ৮৬ বছর বয়সে ১৯৭৬ সনের ৭ অক্টোবর (১৩৯৬ হিজরির ১২ শাওয়াল] সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে আল্লাহ আল্লাহ বলতে
বলতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

`qvgq Avjøvn mK‡ji Rb¨ mnvq ‡nvb| Avwgb |


gydZx wmdvZzjøvn (kixqZcywii D¯Ív`wR¡ )
মুদাররিস : মোহাম্মাদিয়া হাফিজুল উলুম মাদ্রাসা| খিলগাঁও, ঢাকা|
সার্বিক সহযোগিতায় : 2022/23 C. তাইস x র জামাতের ছাত্র বৃন্দ|

You might also like