You are on page 1of 8

৹ফায়ার সার্ভি স ও সিভিল ডিফেন্স হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সেবাধর্মী একটি

প্রতিষ্ঠান, যা জনগণের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে চেষ্টা করে।

৹ফায়ার সার্ভি স ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্দেশ্য ৩টি। যথাঃ


১। জাতীয় সম্পদ ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা।
২। আহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা।
৩। নিহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা।
৹ফায়ার সার্ভি স ও সিভিল ডিফেন্সের প্রধান দ্বায়িত্ব ৪টি। যথাঃ
১। প্রশিক্ষণ দেওয়া।
২। আগুন নিভানো।
৩। আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করা।
৪। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এবং আহতকে হাসপাতালে পাঠানো।
৹ফায়ার সার্ভি স ও সিভিল ডিফেন্সের নীতি ৩টি। যথাঃ
১। গতি
২। সেবা
৩। ত্যাগ
৹আগুন জ্বলার নীতিঃ

১। দাহ্য বস্তু (Fuel)

২। অক্সিজেন (Oxygen) এবং

৩। তাপ (Heat)

৹আগুন নির্বাপন নীতিঃ

দাহ্য বস্তু, অক্সিজেন ও তাপ যেকোনো ১টি সরালে আগুন নিভে যাবে।

৹আগুন ৪ প্রকার। যথাঃ

১। সাধারণ দাহ্য পদার্থ (সলিড ফায়ার)

২। তরল (লিকু ইড ফায়ার)

৩। গ্যাস (গ্যাস ফায়ার)

৪। ধাতব পদার্থ (মেটাল ফায়ার)

৹আগুন নির্বাপন পদ্ধতি ৩টি। যথাঃ

১। দাহ্য বস্তু অপসারণ (স্টারবেশন)

২। তাপ প্রশমিত করণ (কু লিং)


৩। অক্সিজেনকে বিচ্ছিন্ন করা (স্মোথারিং)

৹আগুন লাগার কারণ ১০টি। যথাঃ


১। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কি ট
২। গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ
৩। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ
৪। আতশবাজি
৫। সিগারেট
৬। কয়েল
৭। শত্রুতামূলক আগুন
৮। অসতর্ক তা

৯। স্বতস্ফূ র্ত আগুন (যেমন-দাবানল)

১০। শিশুরা আগুন নিয়ে খেললে।


৹আগুনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাঃ

১। চু লায় রান্না করার আগে দরজা-জানালা খোলা রেখে আগুন জ্বালাতে হবে।

২। বৈদ্যুতিক আগুনের ক্ষেত্রে মেইন সুচ অফ করতে হবে, যাতে বিদ্যুৎ তাড়িত হয়ে কেউ মারা না যায়।

৹ফায়ার ইস্টিংগুইসার ব্যবহারের সুবিধাঃ


১। সহজে বহনযোগ্য। সহজে বহন করে যথাস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়।

২। সাশ্রয়ী মূল্য। দামে কম, কিন্তু দুর্ঘটনায় বেশ উপকারী।

৩। এটি সর্বত্র পাওয়া যায়।


৪। এটির সাহায্যে সহজে আগুন নিভানো যায়।
৫। দ্রুত আগুন নিভানো যায়।

৹ফায়ার ইস্টিংগুইসারঃ এটি স্টিলের তৈরি। ছোটখাটো আগুন নিভানোর ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার হয়।
৹ফায়ার ইস্টিংগুইসারের অংশ ৬টি। যথাঃ
১। হাতল
২। গেজমিটার
৩। পিন
৪। হোস পাইপ
৫। নজেল
৬। পাউডার
৹ফায়ার ইস্টিংগুইসার ৪ ধরণের। যথাঃ

১। ওয়াটার টাইপ (লাল রঙের)

২। ফোম টাইপ (সবুজ রঙের)

৩। CO2 কার্বন ডাই অক্সাইড (কালো রঙের)

৪। ABCE ড্রাই কেমিক্যাল পাউডার (নীল রঙের)

৹ফায়ার ইস্টিংগুইসার ব্যবহারের পদ্ধতিঃ


১। হাতল ধরে নিয়ে যেতে হবে।
২। সেফটি সীল ছিড়তে হবে এবং পিন টেনে বের করতে হবে।
৩। হোস পাইপের সামনের দিক আগুনের দিকে তাক করে ধরতে হবে।
৪। লিভার বা হাতলে চাপ দিতে হবে।

৫। সাবধানতার সাথে আগুনের চারপাশে স্প্রে করতে হবে। অর্থাৎ যেখানে যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে সেখানে ব্যবহার
করতে হবে।
৹ফায়ার ইস্টিংগুইসার ব্যবহারে সতর্ক তাঃ

১। বাতাসের অনুকূ লে থেকে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ যেদিক হতে বাতাস বইছে, সেদিকে দাঁড়িয়ে ফায়ার ইস্টিংগুইসার
ব্যবহার করতে হবে।
২। কারো শরীরে আগুন লাগলে ফায়ার ইস্টিংগুইসার তার শরীরে ব্যবহার করা যাবে না।
৹কারো শরীরে আগুন লাগলে করণীয়ঃ
১। দৌড়াদৌড়ি করা যাবে না। তাতে আগুন আরো বেড়ে যাবে।
২। মাটি বা মেঝেতে গড়াগড়ি দিতে হবে। এতে আগুন দ্রুত নিভে যাবে।

৹মনে রাখতে হবেঃ

১। ABCE ফায়ার ইস্টিংগুইসার সকল প্রকার আগুনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।

২। CO2 ফায়ার ইস্টিংগুইসার বৈদ্যুতিক আগুনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে।

৩। Foam ফায়ার ইস্টিংগুইসার তরল আগুনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে।

৹ফায়ার হোস পাইপের ব্যবহার বিধিঃ


১। প্রথমে বক্সের বাইরে থাকা বল ভাল্ব খুলতে হবে।
২। এরপর হোস বক্স খুলে হোস পাইপ বের করতে হবে।
৩। তারপর হোস পাইপ টেনে দূর্ঘটনাস্থলে নিতে হবে। কোনোভাবেই পাইপ পেঁচিয়ে রাখা যাবে না।
৪। এরপর বক্সের ভিতরে রাইট এঙ্গেল ভাল্ব বাম দিকে ঘুরিয়ে খুলতে হবে।
৫। সর্বশেষ হোস পাইপের মাথার নজেল বাম দিকে ঘুরিয়ে পানি ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

৹ফায়ার সার্ভি স ও সিভিল ডিফেন্সের আরেক নাম দ্য লাইফ সেভিং ফোর্স (The Life Saving Force) বা জীবন রক্ষাকারী
বাহিনী।

৹ফায়ার বিশেষজ্ঞঃ নিম্নলিখিত বিষয়ে যার কাছে বেশি তথ্য আছে, সেই সবচেয়ে জ্ঞানী ফায়ার বিশেষজ্ঞ।

১। ফায়ার সার্ভি স
২। পুলিশ
৩। এম্বুলেন্স
৪। ক্লিনিক
৫। বিদ্যুৎ অফিস
৹ফায়ার সার্ভি সের শ্লোগানঃ মানুষ মানুষের জন্য।
৹কোনো দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভি স পেতে চাইলে ৯৯৯তে কল করতে হবে এবং লোকেশন ভালোভাবে বলতে হবে।

৹মনে রাখতে হবে, কথা শোনানোর জন্য অনেকেই আছে, কিন্তু কাজ করার মতো তেমন কেউ নেই।

৹রানা প্লাজার দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় ২৯ এপ্রিল ২০১৩ সালে।

৹সাধারণ দাহ্য পদার্থগুলো হলোঃ


১। বাঁশ
২। কাঠ
৩। কাগজ
৪। পোশাক প্রভৃ তি।

৹লোহাকে জ্বালাতে হয় ৭০০-৮০০ সেন্ট্রিগণ তাপমাত্রায়।

৹ঠান্ডা ২ ধরণের। যথাঃ

১। কষ্টদায়ক ঠান্ডা (Cold)

২। আরামদায়ক ঠান্ডা (Cool)

৹অক্সিজেনকে বিচ্ছিন্ন করে আগুন নিভাতে চাইলে নিম্নলিখিত বস্তু ব্যবহার করতে হবে।
১। বালু
২। গোবর
৩। কাঁদা
৪। মাটি
৫। ভেজা কাপড় প্রভৃ তি।
৹ফায়ার সার্ভি স ও সিভিল ডিফেন্সের ৫টি যান সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে। যথাঃ
১। পানির গাড়ি ২টি
২। এম্বুলেন্স ১টি
৩। স্পিড বোট ২টি

৹অপ্রয়োজনে ফায়ার সার্ভি সকে ফোন দেওয়া যাবে না, ট্যাকিং করা থাকে।

৹ফায়ার সার্ভি সের হেড অফিসঃ গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, কাজী আলাউদ্দিন রোড, ঢাকা।

৹ফায়ার সার্ভি স ও সিভিল ডিফেন্স জানবো, শিখবো ও বাস্তবায়ন করবো।

৹ফায়ার সার্ভি স ও সিভিল ডিফেন্সের জরুরী উদ্ধার পদ্ধতি (একজন উদ্ধারকারীর ক্ষেত্রে) ৬টি। যথাঃ

১। এক পা ভাঙলে পায়ে ভর দিয়ে (Human Crutch)

২। দুই পা ভাঙলে কাঁধে করে (Pick-A-Back)

৩। কোলে নিয়ে (Cradle-E-Method)

৪। পুরুষের ক্ষেত্রে দুই পায়ের মধ্যে, মহিলার ক্ষেত্রে দুই পা একসাথে করে (Fire Man Lift)

৫। পুরুষের ক্ষেত্রে বুকে করে, মহিলার ক্ষেত্রে ঘাড়ের মোটা অংশের মাধ্যমে (Removed Down Stairs)

৬। আহতের হাত বেঁধে (Fire Man Crawl)

৹ফায়ার সার্ভি স ও সিভিল ডিফেন্সের জরুরী উদ্ধার পদ্ধতি (একের অধিক উদ্ধারকারীর ক্ষেত্রে) ৪টি। যথাঃ

১। দুই হাতের আসন (Two Handed Seat)

২। তিন হাতের আসন (Three Handed Seat)

৩। চার হাতের আসন (Four Handed Seat)

৪। পায়ে-মাথায় (Four & Aft Method)

৹জরুরী উদ্ধারের পূর্বশর্তঃ উদ্ধারকারীকে অবশ্যই শারীরিকভাবে যোগ্য হতে হবে।


৹ভূ মিকম্পের আগে পূর্ব প্রস্তুতিঃ
১। বাসা থেকে নেমে একটা খোলা জায়গায় দাঁড়াতে হবে।
২। বারান্দার উপরে ভারী জিনিসপত্র রাখতে হবে।
৩। আলমারিগুলো তালাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪। উদ্ধারকর্মী বিভিন্ন এলাকায় ভাগ করে দিতে হবে।
৫। শুকনো খাবার সাথে রাখতে হবে।
৬। টর্চ লাইট ও ফার্স্ট এইড বক্স হাতের কাছে রাখতে হবে।

৹প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
আহত ব্যক্তিকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পূর্বে বা ডাক্তার আহত ব্যক্তির কাছে আসার পূর্বে আহত ব্যক্তিকে যে চিকিৎসা
দেওয়া হয়, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে।

৹প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্যঃ


১। জীবন রক্ষা করা।

২। পানি, বরফ বা গরম শেক দিয়ে ব্যথার উপশমের ব্যবস্থা করা।

৩। রক্তপাত বন্ধ করা।

৪। কৃ ত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা।

৫। শক খেলে মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।


৬। আহতের প্রচন্ড খারাপ লাগা কমিয়ে আনা।
৭। আহতের মানসিক আঘাত পাওয়া কমিয়ে আনা।

৮। আহতের অবস্থা যাতে আরো অবনতির দিকে না যায়, তার ব্যবস্থা করা।

৯। আরোগ্য লাভ বা পুনরুদ্ধারের অগ্রগতি সাধনে সহায়তা করা।


১০। ভাঙা হাড় অনড় করার চেষ্টা করা।
৹প্রাথমিক চিকিৎসকের বর্জ নীয় বিষয়ঃ
১। নিজেকে ডাক্তার মনে করা যাবে না।
২। আহতকে মৃত বলে ঘোষণা করা যাবে না।
৩। বিষ পানের রোগীকে ঘুমাতে দেওয়া যাবে না।
৪। অজ্ঞান অবস্থায় রোগী বা আহতকে কিছু খেতে দেওয়া যাবে না।
৹প্রাথমিক চিকিৎসার নীতিমালাঃ
১। আহতকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা।

২। কৃ ত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা।

৩। রক্তপাত বন্ধ করা।


৪। শক খেলে মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
৫। আহতের মনে সাহস যোগানো এবং তার মনে আস্থা সৃষ্টি করা।
৬। আহতের নিকট থেকে লোকজনের ভিড় কমানো।

৭। প্রয়োজন অনুসারে পোশাক-পরিচ্ছদ খুলে ফেলা।

৮। ক্ষতের চিকিৎসা করা।


৯। ভাঙা হাড় অনড় করার চেষ্টা করা।
১০। আহতকে মৃত বলে ঘোষণা না করা।

১১। আহতকে মাদক দ্রব্য যেমন-বিড়ি, সিগারেট প্রভৃ তি সেবন করানো থেকে বিরত রাখা।

১২। আহতকে গুরুত্বানুসারে চিকিৎসা দেওয়া।


১৩। আহতের শরীর গরম রাখার চেষ্টা করা।
৹প্রাথমিক চিকিৎসকের গুণাবলীঃ
প্রাথমিক চিকিৎসককে অবশ্যই পারদর্শী এবং কৌশলী হতে হবে।

ড্রেসিং এর সংজ্ঞাঃ ক্ষত স্থান পরিষ্কার করে ঢেকে রাখার জন্য যে আবরণ বা প্যাড ব্যবহার করা হয়, তাকে ড্রেসিং বলে।

ব্যান্ডেজঃ ড্রেসিংকে সঠিক স্থানে ধরে রাখার জন্য যে বাধন দেওয়া হয়, তাকে ব্যান্ডেজ বলে। ব্যান্ডেজ ২ প্রকার। যথাঃ

১। ত্রিকোণী ব্যান্ডেজ
২। রোলার ব্যান্ডেজ
স্লিং এর সংজ্ঞাঃ ত্রিকোণী ব্যান্ডেজের সাহায্যে রোগী বা আহতকে সাপোর্ট দেওয়াকে স্লিং বলে। স্লিং ৪ ধরণের। যথাঃ

১। Large Arm Sling

২। Small Arm Sling

৩। Collar & Cuff Sling

৪। Saint John Sling

৹ক্ষত হলে বিপদঃ


১। রক্তপাত
২। পচন
৹ক্ষত ২ প্রকার। যথাঃ

১। লুকাইত ক্ষত (যেমন-ফু লে যাওয়া)

২। উন্মুক্ত ক্ষত
৹উন্মুক্ত ক্ষতের প্রাথমিক চিকিৎসায় ৬টি পদক্ষেপের ২টি হলোঃ
১। টু র্নিকেট
২। স্পিয়ন্ট
৹মানুষের শরীরেঃ
১। চামড়া হলো টিস্যু।

২। ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে।

৩। দুই দিকে ১৩টি করে মোট ২৬টি পালস থাকে।

৪। ৩-৪ মিনিট শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ থাকলে মৃত্যু ঘটে।

You might also like