Professional Documents
Culture Documents
Go Go: English
Go Go: English
Go English
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ জেলা
জেলা
জেলা সম্পর্কিত জেলা প্রশাসন স্থানীয় সরকার সরকারি অফিস অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ই সেবা সিটিজেন চার্টার গ্যালারি
ইনোভেশন কর্ণার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ মুজিব বর্ষ করোনা ভাইরাস মনিটরিং সেল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
পত্রিকা
সিরাজগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র সাত আট মাইল দক্ষিণে কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের তেঁতু লিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ
করেন। তাঁর পিতার নাম কৃ ষ্ণ চন্দ্র চক্রবর্তী ও মাতার নাম দূর্গা সুন্দরী। তিনি খুবই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি গণিত শাস্ত্রে
কৃ তিত্বের সঙ্গে এম এ ডিগ্রী হাসিল করে প্রথমে কলকাতা সিটি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন এবং এখান থেকেই পাটিগণিত
রচনায় মশগুল হন। আলীগড় মুসলিম বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমদ যাদব চন্দ্রকে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাটিগণিতের অনুষ্ঠান সূচি (মূল প্রোগ্রাম)
অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেন এবং নিজ বাসভবনের কাছেই যাদব চন্দ্রের জন্য একটি বাংলো বাড়ী ভাড়া করে দেন। যাদব পরে
আলীগড় কলেজে অধ্যাপনা কালে ১৮৯০ সালে ইংরেজিতে তার পাটিগণিত বইটি প্রকাশ করেন। অল্পকালের মধ্যেই সেই পাটিগণিত
বাংলা, উর্দু, হিন্দী, আসামী, মায়াবী, নেপালী প্রভৃ তি ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে প্রচলিত হয়। ১৯১২ সালে যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী
বীজগণিত প্রকাশ করেন। সেই বীজগণিতও একই রকম জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি ১৯১৬ সালে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে
অবসর গ্রহণ করে সিরাজগঞ্জে দেশের বাড়ীতে ফিরে আসেন। ইতঃপূর্বে ১৯০১ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্ধিতে একটি
পাকা ইমারত তৈরী করে ছেলেমেয়েদেরকে এখানে রেখেই পড়াশোনার বন্দোবসত্ম করেছিলেন। অবসর জীবনে তিনি সেই বাড়ীতে
এসেই বসবাস করতে থাকেন। তিনি গ্রামের বাড়ী তেঁতু লিয়ায় একটি পাকা মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। ১৯২০ সালের ২৬ নভেম্বর
৬৯ বছর বয়সে কলকাতার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মোহাম্মদ নজিবর রহমান, সাহিত্যরত্ন (১৮৬০-১৯২৩)
তিনি ছিলেন একজন নামকরা ঐপন্যাসিক। তৎকালীন পাবনা জেলার শাহজাদুরের চরবেলতৈল গ্রামে তাঁর জন্ম। ঢাকার নর্মাল স্কু ল
চাকু রি (০)
টেন্ডার (২)
বিজ্ঞাপন (২)
থেকে পাস করে প্রথমে তিনি জলপাইগুড়ির একটি নীলকু ঠিতে চাকরি করেন; পরে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে
সিরাজগঞ্জের ভাঙ্গাবাড়ি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়, সলঙ্গা মাইনর স্কু ল ও রাজশাহী জুনিয়র মাদ্রাসায় চাকরি করেন। কিছুদিন তিনি
ডাকঘরে পোষ্ট মাস্টারের দায়িত্বও পালন করেন। নজিবর রহমান ১৮৯২ সালে নিজ গ্রামে একটি মকতব স্থাপন করেন যা
পরবর্তীকালে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। তিনি যখন সলঙ্গায় শিক্ষকতা করতেন তখন সেখানকার হিন্দু জমিদার
গোহত্যা ও গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ করলে তিনি তার প্রতিবাদ করেন, এর ফলে সে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহৃত হয়। নজিবর রহমান র
(১৮৮০-১৯৩১) প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণায় সাহিত্যকর্মে ব্রতী হন। তাঁর প্রথম সামাজিক আনোয়ারা (১৯১৪) লিখে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা কেন্দ্রীয় ই-সেবা
অর্জন করেন। তাঁর অন্যান্য উপন্যাস হলো: প্রেমের সমাধি (১৯১৫), চাঁদতারা বা হাসান গঙ্গা বাহমণি (১৯১৭), পরিণাম (১৯১৮),
গরীবের মেয়ে (১৯২৩), দুনিয়া আর চাইনা (১৯২৪) ও মেহেরুন্নিসা। বিলাতী বর্জন রহস্য (১৯০৪) ও সাহিত্য প্রসঙ্গ (১৯০৪) তাঁর
অপর দুটি আলোচনা গ্রন্থ। নজিবর রহমান তাঁর উপন্যাসে গ্রামীণ মুসলিম পরিবারের অন্তরঙ্গ ছবি তু লে ধরতে সক্ষম হন। সাহিত্যে ই-সেবা কেন্দ্র, জেলা প্রশাসন
অবদানের জন্য তিনি ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধি লাভ করেন। ১৯২৩ সালের ১৮ অক্টোবর রায়গঞ্জের হাটিকু মরুল গ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।
নকলের জন্য আবেদন
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১)
সিরাজগঞ্জের বিশিষ্ট লেখক, বাগ্মী এবং কৃ ষক নেতা। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন (এ কারণেই তিনি তাঁর নামের সঙ্গে
‘সিরাজী’ উপাধি যুক্ত করেন)। পিতা আব্দুল করিম খন্দকার (১৮৫৬-১৯২৪) ইউনানী (ভেষজ ঔষধ) চিকিৎসক ছিলেন। আর্থিকভাবে আভ্যন্তরীণ ই-সেবা
তিনি তেমন স্বছল ছিলেন না। তাই যথেষ্ট মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও সিরাজীর কলেজে পড়া সম্ভব হয়নি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ
করতে না পারলেও তিনি মেধা চর্চা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি। সিরাজী লেখালেখি করে এবং সভা সমিতিতে বক্তৃ তা করে প্রয়োজনীয় কিছু লিংক
জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাঁর লেখা ও বক্তৃ তার প্রধান বিষয়বস্ত ছিল বাংলার অনগ্রসর মুসলিম সমাজকে জাগিয়ে তোলা। বাগ্মী
হিসেবে তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। মুসলমানদের স্বার্থের কথা বললেও তিনি সাম্প্রদায়িক ছিলেন না। তিনি মনে কৃ ষি তথ্য সার্ভিস
করতেন, সম্পদের সুসম বন্টনের মধেই হিন্দু-মুসলমানের সৌহার্দ নির্ভর করছে। ইসমাইল হোসেন সিরাজী একই সাথে বেশ কিছু তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা
সংগঠন ও দলের সদস্য ছিলেন, যেমন অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেস, জামিয়াত-ই-উলামা-ই-হিন্দ, ’স্বরাজ পার্টি ও কৃ ষক সমিতি।
শিবলী নোমানী (১৮৫৭-১৯১৪) ও মুহম্মদ ইকবালের (১৮৭৬-১৯৩৮) প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছিল সিরাজীর ওপর। তাঁদের মতো মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবস্থাপনা
তিনিও অনুভব করেছিলেন যে ধর্মীয় ও সেক্যুলার চিন্তার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে একদিকে যেমন ভারতীয় মুসলমান সম্প্রদায়কে ই-মোবাইল কোর্ট
জাগিয়ে তোলা সম্ভব, অন্যদিকে তেমনি সম্ভব অবনতিশীল হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে উন্নয়ন। সমসাময়িক পত্রিকা আল-এসলাম, ইসলাম
প্রচারক, প্রবাসী, প্রচারক, কোহিনুর, সোলতান, মোহাম্মাদী, সওগাত, নবযুগ ও নবনূর প্রভৃ তিতে সিরাজীর লেখা প্রকাশিত হতো। ই-ডিরেক্টরী
তাঁর অধিকাংশ লেখাতেই ইসলামি ঐতিহ্য সংস্কৃ তি ও উত্তরাধিকারকে উদ্দীপ্ত করে তোলার প্রয়াস ছিল। তিনি আধুনিক শিক্ষা ও জাতীয় শিক্ষক বাতায়ন
সত্যিকার ইসলামি শিক্ষার পক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন। ইসমাইল হোসেন সিরাজী সিরাজগঞ্জে কৃ ষক আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে
জড়িত ছিলেন। তিনি জমিদার ও মহাজন বিরোধী আন্দোলনে কৃ ষকদের সংগঠিত করেন। ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাব্যগ্রন্থগুলি জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ
হচ্ছে অনল প্রবাহ (১৯০০), আকাংখা (১৯০৬), উচ্ছ্বাস (১৯০৭), উদ্বোধন (১৯০৭), নব উদ্দীপনা (১৯০৭), স্পেন বিজয় কাব্য UDC ব্যবস্থাপনা
(১৯১৪), সঙ্গীত সঞ্জীবনী (১৯১৬), প্রেমাঞ্জলি (১৯১৬)। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হচ্ছে রায়নন্দিনী (১৯১৫), তারাবাঈ (১৯১৬),
ফিরোজা বেগম (১৯১৮) ও নুরুদ্দীন (১৯১৯) ইত্যাদি। সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড
রজনীকান্ত সেন (১৮৬৫-১৯১০) সকল
তিনি ছিলেন খ্যাতনামা কবি, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী । ১৮৬৫ সালের ২৬ জুলাই সিরাজগঞ্জ জৈলার ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে তাঁর ইনোভেশন কর্নার
jpg
জন্ম। পিতা গুরুপ্রসাদ সেন ছিলেন সেন ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ ব্যক্তি। রজনীকান্ত কু চবিহার জেনকিস স্কু ল থেকে এন্ট্রান্স
আপনার মতামত
(১৮৮৩), রাজশাহী কলেজ থেকে এফ, এ এবং কলকাতা সিটি কলেজ থেকে বি,এ ও বি,এল (১৮৯১) ডিগ্রী লাভ করেন।
এরপরই তিনি রাজশাহী কোর্টে ওকালতি শুরু করেন। কিছুদিন তিনি নাটোর ও নওগাঁয় অস্থায়ী মুন্সেফও ছিলেন। রজনীকান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
শৈশব থেকেই পিতার নিকট সঙ্গীত শেখেন এবং মাত্র পনেরো বছর বয়সে কালীসঙ্গীত রচনা করে কবিত্বশক্তির পরিচয় দেন।
রাজশাহীতে অক্ষয়কু মার মৈত্রের বাড়িতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। সেখানকার উৎসাহ নামক মাসিক পত্রিকায়
জরুরি হটলাইন
তাঁর রচনা প্রকাশিত হতো। তিনি কবিতাও রচনা করতেন এবং ‘কান্তকবি’ নামে খ্যাত ছিলেন। তাঁর কবিতা ও গানের
বিষয়বস্ত্ত ছিল প্রধানত ভক্তি ও দেশপ্রেম। তাঁর রচিত গন্থগুলি হলো : বাণী (১৯০২), কল্যাণী (১৯০৫), অমৃত (১৯১০), অভয়া
(১৯১০), আনন্দময়ী (১৯১০), বিশ্রাম (১৯১০), সম্ভাবকু সুম (১৯১৩), শেষদান (১৯১৬), পথচিন্তামণি এবং অভয় বিহার।
এগুলোর মধ্যে বাণী ও কল্যাণী গানের সঞ্চয়ন, পথচিন্তামণি একটি কীর্তনগ্রন্থ, আর অভয় বিহার একটি গীতিকাব্য। ১৯১০
লেখক, প্রবন্ধকার। ১৮৯৮ সালের ২ মার্চ তৎকালীণ পাবনা জেলার শাহজাদপুরের ঘোড়াশালে তাঁর জন্ম। তিনি শাহজাদপুর হাই
স্কু ল এবং রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। তারপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (অনার্স, ১৯১৮) এবং
প্রেসিডেন্সীকলেজ থেকে এম এ (দর্শন, ১৯২০) ও আইন পরীক্ষায় (১৯২২) পাস করেন। অতঃপর বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হয়ে তিনি চাকরিজীবনে প্রবেশ করে একে একে আয়কর অফিসার (১৯২৩), ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট (১৯২৪), ম্যাজিস্ট্রেট (১৯৩০)
সাব-ডিভিশনাল অফিসার (১৯৩৬) এবং কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং- এ সহকারী সেক্রেটারী (১৯৪৪) হন। সিভিল সাপ্লাই বিভাগেও
তিনি কিছুদিন চাকরি করেন। পাকিস্তান হওয়ার পর তিনি ফরিদপুর, কু ষ্টিয়া ও ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (১৯৪৮-৫১) এবং পর্ব
পাকিস্তান সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারী (১৯৫১-৫৫) ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর ১৯৫৫-৫৭ পর্যন্ত বাংলা একাডেমীতে তিনি বিশেষ
কর্মকর্তা হিসেবে প্রথম পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বরকতু ল্লাহ সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করতেন
আধুনিক বাঙালি মুসলমান লেখকদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম দাশট্টনিক ভাবনাসমৃদ্ধ প্রবন্ধ রচনায় আত্ননিয়োগ করেন। তাঁর
গ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : পারস্য প্রতিভা (২ খল্প ১৯২৪, ১৯৩২), মানুষের ধর্ম (১৯৩৪), কারবালা ও ইমামবংশের
ইতিবৃত্ত (১৯৫৭), নয়া জাতির সৃষ্টা হযরত মুহম্মদ (১৯৬৩), বাংলা সাহিত্যে মুসলিম ধারা (১৯৬৯) ইত্যাদি। দর্শনের বিভিন্ন দুরূহ
বিষয় সাবলীল বাংলা গদ্যে প্রকাশ করে তিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। তিনি প্রবন্ধ সাহিত্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬০), নয়া
জাতির স্রষ্টা হযরত মুহম্মদ গ্রন্থের জন্য দাউদ পুরস্কার (১৯৬৩) লাভ করেন এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক সিতারা-ই-ইমতিয়াজ
(১৯৬২) পদক ও প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড অফ পারফরমেন্স (১৯৭০) সম্মানে ভৃ ষিত হন। ১৯৭৪ সালের ২ নভেম্বর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু
হয়।
তিনি ছিলেন জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক, শিক্ষাবিদ ও প্রশাসক। আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফদ্দিন ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি
aaaaa
সিরাজগঞ্জ জেলার ফু লবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এম,
এস সি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে ১৯৬০ সালে এম, এ ও ১৯৬২ সালে পিএইচ,
ডি ডিগ্রী লাভ করেন। বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব আল-মুতী শরফু দ্দিনের
কর্মজীবন শুরু হয় সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি শিক্ষক-প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক,
জনশিক্ষা পরিচালক (ডিপিআই), বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের শিক্ষা ও সংস্কৃ তি বিষয়ক কাউন্সিলর, শিক্ষা ও বিজ্ঞান
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর
তিনি এডিবি-ইউএনডিপি অর্থায়নকৃ ত মাধ্যমিক বিজ্ঞান শিক্ষা প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।
তিনি ছিলেন সিরাজগঞ্জের অন্যতম শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক। ১৯০০ সালের ৩০ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের ফু লবাড়িতে তাঁর
জন্ম। তিনি কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এম, এ (ফারসি/১৯২৪ ও আরবি/ ১৯৩২), বি,এল (১৯২৭) ও ডি.ফিল (১৯৪৯) ডিগ্রি
লাভ করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘ইরান ও ইসলাম: তাদের পারস্পরিক প্রভাব। গোলাম মকসুদ টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া
কলেজে ফারসি ভাষার অধ্যাপক (১৯২৬) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন; তারপর তিনি বিভিন্ন সময়ে কৃ ষ্ণনগর কলেজ, কলকাতার
প্রেসিডেন্সি কলেজ ও রাজশাহী কলেজে অধ্যাপনা করেন। মাঝে দুই বছর (১৯২৮-১৯৩০) তিনি পাবনা জজ কোর্টে ওকালতি
করেন। ১৯৪০-৪১ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্কু লসমূহের সহকারী পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যোগাযোগ
ফতেহ লোহানী
সিরাজগঞ্জ থানার কাওয়াকোলা গ্রামে আবু লোহানীর আদি বাসস্থান ছিল। কিন্তু যমুনার ভাঙ্গনে কাওয়াকোলা
imfdsfsfsf06
নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে উল্লাপাড়া থানার শোনতলা গ্রামে তারা বসতি স্থাপন করেন। আবু লোহানী -এর বড় ছেলে
ফতেহ লোহানী একাধারে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, নাট্যাভিনেতা ও ঢাকা
বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত কথিকা লেখক ছিলেন। ফতেহ লোহানী কলকাতার নাট্যাঙ্গনে অভিনয় করেছেন এবং
‘কিরন কু মার’ ছদ্ম নাম নিয়ে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। সাবেক পূর্ব পাকিসত্মানে আব্দুল জববার খানের
পাশাপাশি ফতেহ লোহানীও চলচ্চিত্রের গোড়াপত্তনে উল্লেখযোগ্য ভূ মিকা রেখেছেন। ফতেহ লোহানীর পরিচালিত
‘আসিয়া’ ছায়াছবিটি রাষ্ট্রীয় পুরষ্কারে ভূ ষিত হয়েছিল। ফতেহ লোহানীর কবিতা ছিল খুবই হৃদয়গ্রাহী। তাঁর
সম্পাদিত ‘অগত্যা’ সাহিত্য মাসিকটি অল্প দিনের মধ্যে দেশব্যাপী পরিচিত হয়ে উঠে। মওলানা আকরম খাঁর
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে
মাসিক ‘মোহাম্মদী’, কবি আবদুল কাদিরের সরকারী মাসিক পত্রিকা ‘মাহে-নও’ ইত্যাদির পাশে ফতেহ লোহানীর
মাসিক ‘অগত্যা’ সম্পূর্ণ আলাদা ইমেজ নিয়ে পাঠক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তবে ফতেহ লোহানীর কোন
বই প্রকাশিত হয়নি।
মকবুলা মঞ্জুর
ছোট গল্পকার ও নাট্যকার। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আর এক জীবন (উপন্যাস), নীলকণ্ঠী, পঞ্চকন্যা প্রভৃ তি। রেডিও ও
টিভির জন্য কথিকা ও নাটক রচনায় তিনি সবসময় নিয়োজিত ছিলেন। সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ড. মোখলেছুর রহমান, পাক
বাংলাদেশের ফোক-ফ্যান্টাসী চিত্র পরিচালক ইবনে মিজান (মন্টু ) ও বাংলাদেশের সৎ চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃ ত
ফজলে লোহানী
১৯২৭ সালে উল্লাপাড়া থানার শোনতলা গ্রামে প্রখ্যাত আবু লোহানীর ঔরষে ফতেহ লোহানী, ফজলে লোহানী, কামাল লোহানী
a3
ও হুসনা বানু প্রমুখ প্রতিভাশালী ছেলেমেয়ে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের টিভি রিপোর্টার হিসাবে ফজলে লোহানী মতো
প্রতিভার সাক্ষাৎ আর কখনো মিলবে কিনা সন্দেহ আছে। ‘‘যদি কিছু মনে না করেন’’ এই শিরোনামে প্রতি মাসে পাক্ষিক
দুটি টিভি রিপোর্টিং দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ টিভি দর্শক বিপুল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতো। ভয়েস অব আমেরিকা ও
রয়টারের জগত বিখ্যাত টিভি রিপোর্টারদের সমকক্ষ ফজলে লোহানী অপূর্ব ভঙ্গিমায় টিভি পর্দায় হাজির হয়ে দর্শকবৃন্দের
বিপুল করতালির মধ্যে কখনো হাসি আনন্দ, কখনো বেদনা ভারাক্রামত্ম টিভি রিপোর্টিং এর মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করে
একদেশ
রাখতেন। তার অপর একটি টিভি রিপোটিং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মওলানা ভাসানী যখন মহীপুরে বিশাল প্রজা সম্মেলন
করছিলেন, তখন ফজলে লোহানী গিয়েছিলেন সেই মহীপুরে, মওলানা ভাসানাীর সাক্ষাৎকারের উপর টিভি রিপোর্টিং করবার
জন্য। পরে ফজলে লোহানীর সেই রিপোর্টটি ‘মহীপুরের প্রামত্মরে’ নামে পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিভিন্ন মহলে তা ব্যাপক
আলোচনার বস্ত্ততে পরিণত হয়েছিল। তিনি ‘পেনশন’ নামে একটি ছায়াছবিরও প্রযোজনা করেন। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে
সুচিত্রা সেন
সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকু চি থানার অমত্মর্গত সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে সুচিত্রা সেনের জন্ম। তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত
a1
সেনের নাতনী। পাবনা শহরে লেখাপড়া শিখে সুচিত্রা সেন কলকাতায় চলে যান এবং পরবর্তীকালে মনোমোহিনী চিত্র তারকা
জাতীয় সংগীত
হৈমন্তী শুকলা
0:00 / 3:00
সিরাজগঞ্জ শহরের কাসারিয়া পট্টিতে (বর্তমান মুন্সী মেহেরউল্লাহ সড়কে) হরিহর শুকলার ঔরষে হৈমমত্মী শুকলা জন্মগ্রহণ করেন
হরিহর শুকলা ছিলেন ছিলেন বৃটিশ আমলের একজন নামকরা গায়ক ও গানের ওসত্মাদ। যোগ্য পিতার যোগ্য মেয়ে হৈমমত্মী শুকলা
ডিজিটাল বাংলাদেশ এর এগিয়ে যাওয়ার
আকাশবানীর নামকরা কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। তার বহু লং প্লে ডিস্ক রেকর্ড বাজারে বের হয়েছে। এই জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী হৈমমত্মী শুকলা
১২ বছর
বর্তমানে কলকাতার টালিগঞ্জে বসবাস করছেন।