You are on page 1of 4

ফেসবুক - বিশ্বের

সঙ্গে সংযোগ স্থাপ SIGN UP


করুন

Sunday, September 24, 2023

Home / ক্যারিয়ার গাইডলাইন / অনলাইন ইনকাম / যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ 

অনলাইন ইনকাম তথ্য ভাণ্ডার

যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ


February 16, 2022/BDNextWeb_Desk

যশোর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক


গুরুত্বসম্পন্ন অঞ্চল। এবং যশোর জেলার সবচেয়ে বড় প্রধান শহর যশোর । উপজেলার সংখ্যানুসারে
যশোর বাংলাদেশের একটি “A” শ্রেণীভুক্ত জেলা। এই যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ রয়েছে। যশোরের
নাম আনতে হলে তাদের কথা না বললেই নই। তাহলে চলুন জেনে আসি আমাদের প্রথম স্বাধীন শহর
যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি দের নাম, ঠিকানা ও তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য।
যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ

এখনি একটা
প্রোফাইল তৈরি
করুন
ফেসবুক - বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করুন

Facebook®

Sign Up

১) মাইকেল মধুসূদন দত্তঃ


মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার কেশবপুর থানার সাগরদাঁড়ী গ্রামে ১৮২৪ খ্রিঃ ২৫
জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলিকাতায় মৃত্যুবরণকরেন। মহাকবি বাংলা
সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্ত ক, আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম স্রষ্ঠা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন
দত্তের কালজয়ী রচনাবলীর অন্যতম হলো- মেঘনাদবধ কাব্য, Captive Lady,শর্মিষ্ঠা, কৃ ষ্ণকু মারী, বুড়ো
শালিকের ঘাঁড়ে রোঁ, তিলোত্তমা সম্ভব, বীরাঙ্গণা ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
২) আব্দুর রউফঃ
শিক্ষাবিদ আব্দুর রউফ ১৯০২ সালের ২ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নারায়নপুর
গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। (১৯০২-১৯৭১) ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল পাক সেনারা গুলি করে হত্যা করে।
১৯১৯ সালে কলিকাতা হতে তিনি প্রথম বিভাগে এন্ট্রাস পাশ করেন। তিনি কৃ তিত্বের সাথে আই,এ বি, এ
এবং বি,টি পাশ করেন। কলিকাতা ক্যাম্বেল মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যায়ন কালে
এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার প্রতি বিশ্বাস হারাইয়া শেষবর্ষে তিনি কলেজ ত্যাগ করে ইউনিপ্যাথি চিকিৎসা
নামে এক আদর্শ চিকিৎসা ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন। শিক্ষা- জীবন শেষকালে তিনি কলিকাতা মডেল
হাইস্কু লে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। তাঁর লিখিত বইগুলির অধিকাংশই এই সময়ের। বইগুলির মধ্যে
আছে পথের ডাকে, অগ্র- সেতার, যুগের ডাক, স্বাধীনতার পথ, দি কাল অব দি ডে, তিন জাতের মেয়ে। দি
হ্যাপিয়ার হিউম্যানিটি মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তাঁর হাতে ছিল। তিনি পাকিস্তান লেখক সংঘের আজীবন
সদস্য ছিলেন। তিনি কর্মজীবনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন এবং ১৯৫৭ সালে অবসর
গ্রহণ করেন।

৩) মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহঃ


কর্মবীর মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ ১৮৬১ সালে ২৬ডিসেম্বর তৎকালীন যশোর জেলার বর্ত মান ঝিনাইদহ
জেলার কালীগঞ্জেরঘোপনামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯০৭ সালে ৭ জুন পরলোক গমন করেন।
বঙ্গেরখ্যাতিমান বাগ্মী, সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক ও ধর্ম প্রচারক মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ-এর পৈত্রিক
বাড়ী যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলাগ্রামে। তিনি পান্দানামা নামক সেখ সাদির সুবিখ্যাত কাব্যের
অনুবাদ সহ ‍”রদ্দে খৃষ্টান”ও “দলিদোল ইসলাম”নামক দুখানি গ্রন্থ রচনা করেন। মেহেরু্ল্লাহ’র রচনাবলীর
মুল উদ্দেশ্য ধর্ম বিষয়ক তর্কে ইসলামের মহত্ব প্রতিষ্ঠা করা। খৃষ্টান ধর্ম প্রচারকদের তীব্র সমালোচনার
যৌক্তিক জবাব উপস্থাপন করে সাধারণ মানুষকে ধমান্তরের হাত থেকে রক্ষা করেন।
৪) রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারঃ
রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার ১৮৫৯সালে বৃহত্তর যশোর জেলার লোহাগড়া গ্রামে এক সম্ভান্ত বংশে
জন্মগ্রহণকরেন। ১৯৩২মৃত্যু বরণ করেন। যশোরের সিংহ পুরুষ রায়বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার। ইংরেজী
শিক্ষার পাশাপাশি ক’জন পন্ডিত নিজ বাড়ীতে চতুস্পাটি খুলে সংস্কৃ ত শিক্ষা চালু রাখেন। তিনি বাংলা,
ইংরেজী ছাড়াও সংস্কৃ ত ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন। প্রখ্যাত আইনজীবী রায়বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার
আইনগত পদ্ধতিতে নীলকরদের হাত থেকে এদেশবাসীকে বাঁচিয়ে ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। যশোর
সম্মিলনী ইন্সটিটিউট (১৮৮৯), যশোর টাউন হল (বর্ত মান আলমগীর সিদ্দিকী হল) কল্যাণী প্রেস (১৮৯৯)
সহ অনেক সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে জনপদের সার্বিক উন্নতিতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন।
৫) শরীফ হোসেনঃ
প্রফেসর শরীফ হোসেন ১৯৩৪ সালের ০১ জানুয়ারী যশোর শহরস্থ খড়কী পীর বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
২০০৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃ তি বিভাগে
প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। যশোর জেলা স্কু ল হতে মেট্রিকু লেশন ও এম এম কলেজ হতে ইন্টারমিডিয়েট
পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ন হন। অথচ তিনি ছিলেন মাত্র ২ বছর বয়সে পিতৃহারা। তিনি ছিলেন সমাজ
সচেতন। কিশোর কাল হতেই ছাত্র সংগঠন ও একাধিক রাজনৈতিক দলের সংগঠকও একনিষ্ঠ কর্মী
হয়েও জন স্বার্থের প্রশ্নে কখনও নতি স্বীকার করেননি। রাজনীতির কারণে একাধিকবার জেল খেটেছেন।
যশোর ইন্সটিটিউটের আধুনিকায়নে শরীফের মেধা জনপদের অনেকের চেয়ে বেশী। অধ্যাপক শরীফ
হোসেন সমাজ কর্মে আমাদের অনুপ্রেরণা। বাঁচার ইঙ্গিত। ভাগ্যহীনদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলের অভিভাবক।
১৯৭৪ সালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত এতিমখানা, ১৯৮৭ সালে দরিদ্র ছাত্রদের লিল্লাহ-ট্রাস্ট ও ১৯৯৪ সালে
প্রতিষ্ঠিত বহুমুখী সমাজ কল্যাণ সংস্থা সন্দীপন অনন্য উদাহরণ। তাঁর কাজের স্বীকৃ তিস্বরূপ বিভিন্ন
সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারের কাছ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন।
৬) জ্যোতিস্ক বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দঃ
জ্যোতিস্ক বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ ১৮৭৮সালের ১৬ জুলাই যশোর জেলার বাগচর গ্রামে জন্মগ্রহণ
করেন। ১৯৭৫ সালের ৩ এপ্রিল বারাসাতের দূর্গাপল্লীতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন যশোর কালেক্টরেট
অফিসের একজন সামান্য কেরানী। ১৯১০ সালে হ্যালির ধুমকেতৃ পর্যবেক্ষণ করলেন অনেকদিন।
অভ্যাসমত একটি খাতায় তিনি তার পর্যবেক্ষণ লিখে রাখতেন। পরে এই নিয়ে লিখলেন একাধিক প্রবন্ধ।
দিনভর চাকু রী আর রাত হলেই ধৈর্য্য ধরে আকাশ পর্যবেক্ষণ। রাতের পর রাত অসীম ধৈর্য্যের সংগে
পরিশ্রম করে তিনি গড়ে তুললেন এক অমূল্য তথ্য ভান্ডার। রাধাগোবিন্দের সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করতো
সেই কালের ইউরোপ আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মানমন্দির, আমেরিকান এ্যাসোসিয়েশন অব
ভ্যারিয়েবল স্টার অবজার্বার, লন্ডনের ব্রিটিশ অ্যাষ্টোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের লিয় মানমন্দির
প্রভৃতি। রাধাগোবিন্দের পর্যবেক্ষণ লব্ধ তথ্য প্রকাশ পেতো এসব মানমন্দির প্রকাশিত পত্র- পত্রিকায়।
হার্ভার্ডে এখনও তার পর্যবেক্ষণ লব্ধ তথা সযত্নে রক্ষিত আছে। হার্ভার্ড মানমন্দির কর্তৃ পক্ষ ১৯২৬ সালে
সেই সূদর আমেরিকা থেকে যশোরের ঐ পাড়াগায়ে ছ’ইঞ্চি ব্যাসের একটি দূরবীণ পাঠিয়ে দেন এবং সাথে
মানমন্দিরের ডিরেক্টরের কৃ তজ্ঞতাপত্র। ফরাসি সরকার পরিবর্ত নশীল নক্ষত্র সম্পর্কে গবেষণার স্বীকৃ তি
হিসেবে১৯২৮ সালে রাধাগোবিন্দ OARF (Officer of Academic Republiance frencaise)সম্মানসূচক
উপাধি ও পদক প্রদান করেন। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর রাধাগোবিন্দ কলকাতা চলে যান।
৭) শিশির কু মার ঘোষঃ
সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শিশির কু মার ঘোষ ১৮৪০ সালে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার পলুয়া মাগুরা
গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সিংহ পুরুষ শ্রী ঘোষ ঊনবিংশ শতকে যশোরে একটি পরিচিত নাম। নীলকরদের
অত্যাচারের বিরুদ্ধে এবং জনগণকে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে আপোষহীন সংগ্রাম করে যিনি
যশোস্বী হয়ে আছেন। মায়ের যোগ্য সন্তান হিসেবে মায়ের নামে ঝিকরগাছায় বাজার প্রতিষ্ঠা করেন এবং
পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি ১৮৫৭ সালে এন্ট্রান্স পাশ করেন। ভর্তি হন সেকালের সেরা বিদ্যাপীঠ
কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। লেখাপড়া শেষ না করেই জন্মস্থানের টানে যশোর ফিরে আসেন এবং
জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ করেন। সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজে জনগণের সার্বিক অবস্থা ও ইংরেজদের
অত্যাচার নির্ভ য়ে তুলে ধরতেন। সংবাদ পত্রের অনন্য পথিকৃ ৎ সুসাহিত্যিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এ
মনীষী Lord Gouranga, Salvation for Allবাজারের লড়াই ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। তাছাড়া
বাংলা ও ইংরেজীতে বেশ ক’খানা গ্রন্থ রচনা করেন। তার লিখিত নাটক ছিল সমাজের দর্পনতূল্য।
৮) এ্যাডভোকেট শহীদ মশিউর রহমানঃ
এ্যাডভোকেট শহীদ মশিউর রহমান চৌগাছা থানার সিংহঝু লি গ্রামে ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে
জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে ২৩ এপ্রিল শহীদ হন। শহীদ মোঃ মশিউর রহমান যশোর তথা বাংলাদেশের
একটি পরিচিত নাম। দেশের স্মরণীয় ও বরণীয় একজন। আধুনিক মনন ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায়
একজন নিবেদিতসাহসী নেতার নাম। ১৯৩৬ সালে যশোর জেলা স্কু ল হতে এন্ট্রান্স, ১৯৩৮ সালে কলকাতা
ইসলামীয়া কলেজ হতে আইএ এবং ১৯৪০ সালে বিএ পাশ করে ১৯৪৪ সালে কলকাতা লর্ড রিপন
কলেজ হতে ল‘ ডিগ্রী অর্জন করেন। উপমহাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ব্যারিষ্টার হোসেন শহীদ
সোরওয়ার্দি র সংস্পর্শে আসেন এবং একান্ত বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে
মাত্র ৩২ বছর বয়সে তিনি যশোর জেলা বোর্ডে র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে সাবেক
পাকিস্তানের শেষ নির্বাচনে জনাব মশিউর রহমান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।
১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে সাবেকপূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন
এবং শেরে বাংলা ফজলুল হকের মন্ত্রীসভায় বিচার ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
পাকিস্তান সরকার ১৯৭১ সালে তাঁকে নিয়ে সংকিত ছিলেন। তাই ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সাথে তাঁকেও ঐ রাতে গ্রেফতার করে এবং যশোর সেনানিবাসে
একমাস আটক রেখে পৈশাচিক নির্যাতন চলে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যশোর পৌর উদ্যানে ১৯৭২ সালের
২৬ ডিসেম্বর শহীদ মশিউর রহমানের স্মৃতিসৌধের ফলক উন্মোচন করেন।

৯) বেগম আয়েশা সরদারঃ


বেগম আয়েশা সরদার (নারী আন্দোলনের নেত্রী) ১৯২৭সালে বাঘারপাড়ার খানপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ
করেন। ১৯৮৮ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী ইন্তেকাল করেন। দেশের মহিলাংগণে একটি পরিচিত নাম। নারী
আন্দোলনের একজন সফল নেত্রী। ১৯৪২ সালে তিনি যশোর নারী-শিল্প আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৬ ও
১৯৬৮ সালে তিনি দু’বার চিন সফর করেন। ১৯৬৪ সালে এম,পি,এ নির্বাচিত হন। তিনি অনেক সামাজিক-
সাংস্কৃ তিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। যশোর মহিলা কলেজ, কেশবপুর বালিকা বিদ্যালয়, এস এস
ঘোপ প্রাথমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর নিউ টাউন বালিকা বিদ্যালয়, হুদো প্রাইমারী ও জুনিয়র
হাইস্কু ল, নারিকেলবাড়ীয়া বালিকা বিদ্যালয় এবং এনায়েতপুর মাদ্রাসা তাঁর মধ্যে কয়েকটি। ১৯৫৩ সালে
তিনি সাহিত্য-ভূষণ খেতাব ও করোনেশান মেডেল লাভ করেন। এবং ১৯৬৭ সালে পাক-প্রেসিডেন্ট কর্তৃ ক
তমঘা-ই- খেদমত খেতাব লাভ করেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারিণী বেগম আয়েশা সরদার যশোর তথা
বাংলাদেশের মহিলা সমাজের অহংকার।
যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তি
১০) মনোজ বসুঃ
মনোজ বসু বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র মনোজ বসু। ১৯০১ সালের ২৫ জুলাই যশোরজেলার
কেশবপুর থানার ডোঙ্গাঘাটা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। আমি সম্রাট, নিশিকু টম্ব, নবীন যাত্রা, কিংশুক,
মায়াকান্না ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্যগ্রন্থ।

১১) যতীন্দ্রনাথ মূখোপাধ্যয়ঃ


যতীন্দ্রনাথ মূখোপাধ্যয় (বাঘা যতীন, ১৮৭৯ সালে কু ষ্টিয়া জেলার কয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৫
সালে ১০ সেপ্টেম্বর মারা যান। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে (স্বরাজ থেকে স্বাধীনতা) যে ক’জন
অসীম সাহসী বিপ্লবী জড়িত ছিলেন, যতীন্দ্রনাথ মূখোপাধ্যায় তাঁদের অন্যতম। ডাকনাম বাঘা যতীন।
রাখেন ডাঃ সুরেষ প্রসাদ রায়। বাঘ শিকারে যান, বাঘকে গুলি করলে ক্ষিপ্ত বাঘ লাফ দিয়ে যতীন্দ্রনাথ
মূখোপাধ্যয়ের ঘাড়ে এসে পড়ে। তিনি বাঘকে কাবু করে ছোরা দিয়ে হত্যা করেন। ঘটনা শুনে ডাক্তার
সাহেব প্রেসকিপসনে নাম লেখেন বাঘা যতীন। দীর্ঘ ও সুঠাম দেহের অধিকারী যতীন্দ্রনাথ মূখোপাধ্যয়
বাইরের চেয়ে ভিতরে ছিলেন কঠিন, কঠোর ও অকু তোভয়। উপমহাদেশের বিপ্লবী খাতায় তার নাম
পরিচিতি পায়।

১২) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনঃ


সংগ্রামী মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ১৯১৬ সালে মল্লিকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৭মৃত্যুবরণ
করেন। সংগ্রামী জনাব মোঃ বেলায়েত হোসেন অবিভক্ত বাংলায় তৎকালীন যশোর জেলায় মুসলমানদের
অগ্রযাত্রা সবিশেষ অবদান রাখেন। ১৯২৯ সালে রায়গ্রাম স্কু ল ত্যাগ করে যশোর সম্মিলনী হাইস্কু লে ভর্তি
হন। যশোরে মুসলমানদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা দেখে, অবস্থার উত্তরণে তিনি
কৃ ত-সংকল্প হলেন। কিশোর বয়সে তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন মুসলিম লাইব্রেরী। মুসলমানদের অগ্রযাত্রা ও
উন্নতিতে জনাব হোসেন ছিলেন সবার আগে। সে সময় স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে তিনি ছিলেন
সুপরিচিত।

১৩) কে পি বসু কালিপদ বসু,


কে পি বসু কালিপদ বসু, ১৮৬৫ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিশংকরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৪
সালে মৃত্যুবরণ করেন। উপমহাদেশের খ্যাতিমান এ্যালজেবরিয়ান কালীপদ বসু এন্ট্রান্স পাশ করে
কলিকাতা লর্ড রিপন কলেজে ভর্তি হন। ১৮৮২ সালে তিনি হান্টার কমিশনের দেয়া দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে
পালন করে ছাত্রদের এ্যালজেব্রা অনুশীলনের পথ সহজতর করে দেন। ১৮৯২ সালে তিনি ঢাকা কলেজে
গণিত শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং আমৃত্যু কর্মরত ছিলেন। তিনি ইতিহাসে অমর।
১৪) ওয়াহেদ আলী আনসারীঃ
ওয়াহেদ আলী আনসারী ১৯০৯ সালে ১৫ জানুয়ারী চৌগাছার জগন্নাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯১
সালে ২২ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। হাতে টাকা নেই ‘‘আমাকে আজকেই রোজগার করতে হবে।’’ এই
প্রকৃ তির দৃঢ় মনোবলের অধিকারী জনাব আনসারী ১৯৩০ সালে কোটচাঁদপুর স্কু ল থেকে এন্ট্রান্স পাশ
করেন। তিনি স্বদেশী আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন।
যশোর গেজেট প্রত্রিকার প্রকাশক, মুসলিম একাডেমী ও যশোর হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের
প্রতিষ্ঠাতা। বেশ ক’খানা গ্রন্থের পাশাপাশি কাব্য-কোরাণ তাঁর সাহিত্য সাধনার স্মারক চিহৃ।
১৫) ধীরাজ ভট্রাচার্যঃ
ধীরাজ ভট্রাচার্য ১৯০৫ সালের কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। বাংলা সাহিত্য ও
চলচ্চিত্র জগতের অজস্র অনুরাগীরঅন্তরলোকে যাঁর ভাবমূর্তি চিরলাবন্য ও মহিমায় বিরাজমান তিনি
ধীরাজভট্রাচার্য। যখন আমি পুলিশ ছিলাম ও যখন আমি নায়ক ছিলাম-২টি তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য গ্রন্থ।
১৬) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানঃ
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ১৯৩৬ সালের১৫ই আগষ্ট যশোর শহরের পশ্চিম প্রান্তে খড়কি গ্রামে জম্ম গ্রহন
করেন। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের নন্দিতগবেষক ও আধুনিক বাংলা কাব্যের উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্ব
প্রাবন্ধিক অর্নিবাণ, নির্বাচিত গান তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

১৭) আনোয়ারা সৈয়দা হকঃ


আনোয়ারা সৈয়দা হক ১৯৪৩ সালে ৫ নভেম্বর যশোর শহরের চুড়িপট্রিতে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট
সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক আনোয়ারা সৈয়দা হক এঁর রচনাবলীর মধ্যে অন্যতম হলতৃষিতা, সোনার হরিণ,
তৃপ্তি, হাতছানি, মুক্তিযোদ্ধার মা, ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্যগ্রন্থ।

১৮) মোঃ সফিঃ


আলোকচিত্রকর মোঃ সফি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তীকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর
দালিলিক সাক্ষী। তিনি একজন দেশপ্রেমিক ও দক্ষ আলোকচিত্রকর এবং যশোরে আমজনতার কাছে
আলোকচিত্রকর হিসেবে সুপরিচিত। জেলার খ্যাত স্টুডিও ফটোফোকাসের স্বত্ত্বাধিকারী। তিনি স্বযত্নে ও
দক্ষভাবে অনেক স্বাধীনতার অনেক মুল্যবান চিত্র ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলেন।

যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ , যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ , যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তি, যশোর জেলার
বিখ্যাত ব্যক্তির ইতিহাস,
Tags: যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ , যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তি, যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ

You might also like