You are on page 1of 2

সাঝের বাড়ির এক পাখি(কবুতর) ছিল, যারা অনন্যা দের থেকে আলাদা থাকত , কারো সাথে অন্য ক্ষেতে যাইত

না।
মালিক ও তাদের বিশ্বাস করত। আর তাদের মাঝে একজন মাঝে মাঝে বের হইত, তবুও মালিক কিছু বলত না।
একদিন পাখিটি ঘুরতে গিয়ে শিমুলের ডালে ঝিমানো পরিচিত এক পাখি(বুল্বুলি)কে দেখে কাছে গিয়ে বলল,
কি হয়েছে তোমার?
সে বলল মন খারাপ,
সানিঃ কেন? কি হয়েছে?
সেতুঃ এমনি।
কথা বলে সানি বুঝতে পারল, তার জোড়া তাকে রেখে চলে বাইরে গেছে, তার প্রচণ্ড মন খারাপ,
এক সময় সেতু বলল,
“তু মি কি আমার সাথে কথা বলবে সবসময়”
তার মন খারাপ দেখে সানি কোনও চিন্তা না করে বলে দিল;
চেষ্টা করবো।

এইদিকে কখনো বের না হওয়া, অনন্যা কবুতর এর দলে না যাওয়া সানি,


সেতু র মন খারাপ দূর করার চেষ্টা করার লাগলো।
মাঝে মাঝে সেতু সানি ঘুরে আসে, মন খারাপ এ তাকে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে,...
চলতে থাকে তাদের কথা, এতে সানির সখ্যতা , কিছুটা অভ্যাস হয়ে যায়।

হটাত একদিন সেতু কথা বলতে অনিহা, তারপরের দিন ডালে বসে থাকা সানিকে জানায় ,
তার জোড়া ফিরে এসেছে , আর কথা বলতে পারবে না।
উড়াল দিয়ে চলে যায় তার নীড়ে।
সানি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আনমনে্‌…………

যদিও কথা বলার অধিকার নাই, কিন্তু অল্প সময়ের সখ্যতা, আর ইচ্ছায়ে তার ভেতরতা হু হু করে উঠে।
আর কথা বলতে পারবে না বলে,……
আর ফিরে আসে তার নীড়ে............
সানি আর দেখা পায় না সেতু র, আর কথা হয় না,
অবশেষে সানি জানতে চাইলো আর কি কথা হবে না, সব বন্ধ।
সেতু জানায়ঃ…… একদম না……
সানি নিজ নীড়ে নিজের আহার যোগার করায়, ছই দেয়ার কাজে গেলো,
কিন্তু মন তার পরে রইল সেই শিমুলের ডালে,
শুধুই তাকাই থাকে পিঞ্জিরার ভিতর থেকে বাইরের আকাশের দিকে,

তা দেখে মালিক তাকে বলল , তোমার বাইরে যাওয়া বন্ধ,


সানি চোখ বন্ধ করে ডানা তু লে দিল মালিক কে,
আর চোখ খুলে দেখে, একটি ডানা কাটা।
আর যাইতে পারবে না বাইরে, কিন্তু মন তার পরে থাকে ওই গাছের ডালে, কাটানো সময়, আর কথাগুলোতে।
পিঞ্জিরার নীড়ে সবাই যখন ব্যাস্ত, কথা বলার সময়গুলোয় সানি এখনও আশা করে হয়ত কথা হবে,
কিন্তু না………আর সেতু আসে না।
একবার নিজের পিঞ্জিরার খোপ থেকে বের হয়ে একটা ডানা ঝাপটে কিনারে আশে,
পরে দেখে সেতু র মনোযোগ অন্য দিকে।
সে কথা বলার চেষ্টা করলে হয়ত সেতু কে কষ্ট পাইতে হবে, যেহেতু তার জোড়া আছে।তাই...

এবার ডানা গুটিয়ে, গা ছেড়ে দেয়, পরে যায় পিঞ্জিরার বারান্দায়।


এইবার মালিক আসে, আর সানি মেলে দেয় তার আরেকটি ডানা,
চোখ খুলে দেখে, দুটোই কাটা…
নিরুপাই হয়ে তাকিয়ে থাকে আসমানের দিকে,
আর করে সৃতিচারণ………
আর সিমুল গাছে বসে কথা হবে না…
আর একসাথে সময়ও পার হবে না……
কিন্তু ঘটে যাওয়া সৃতি, সময় আর সেতু রয়ে যাবে ছোট্ট সানির খাতার পাতায় যেটা পুরোটাই ফাকা ছিল।
হয়ত সময় পার হবে, পিঞ্জিরা পরিবরতন হবে
কিন্তু এই সিমুল গাছের ডালের সময়টা আর ডালে বসা বুল্বুলিক সানি ভু লতে পারবে না কখনো।
এখনও সানি মাথা তু লে ভেজা চোখে তাকায়, দূর আকাশের ডালে…….

You might also like