You are on page 1of 44

অক্্টটোবর–নভেম্বর ২০২৩ | মণিপুর সংখ্্যযা | গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (APDR) | সাহায্্যমূল্্য– ২০ টাকা

কিছু বিলম্বের পর গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি’র মুখপত্র কাজের নো�োটবই। কিছু অনিবার্্য কারণে এই সংখ্্যযায় লিপিবদ্ধ হয়নি,
‘নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার’ – এর ২০২৩ অক্্টটোবর-নভেম্বর এরম অসংখ্্য কর্্মসূচী বিভিন্ন শাখা ধারাবাহিক ভাবে নিয়েছেন,
সংখ্্যযা প্রকাশিত হল। এই বিলম্বের জন্্য আমরা পাঠকের কাছে বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্্ঘন প্রসঙ্গে।
ক্ষমাপ্রার্্থথী। আমরা এর আগে, ২০২৩ সালের অক্্টটোবর মাসে কিছু টা আগামী সংখ্্যযায় আমরা পেশ করব, আন্তর্্জজাতিক স্তরে যে
তাড়াহুড়ো�োর মধ্্যযে প্রকাশ করতে গিয়ে কিছু ত্রুটি দেখতে পেয়েছি, ভয়াবহ যুদ্ধ ইস্রায়েল ও প্্যযালেস্টাইনের মধ্্যযে রচিত হয়েছে, তা
তাই সেই সংখ্্যযাটি আমরা প্রত্্যযাহার করেছি। সংশো�োধন করে, নতু ন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। পাঠকের কাছে আমাদের
একটি সংখ্্যযা হিসেবে আমরা পুনঃপ্রকাশ করছি। বর্্তমান সংখ্্যযায় বিনীত আবেদন, ভু ল-ত্রুটি চিহ্নিত করবেন, যো�োগাযো�োগ করবেন,
আমরা মণিপুরে ২০২৩ সাল জুড়ে যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্্ঘন আমরা অবশ্্যই শুধরে নেব।
হয়েছে, তার বিভিন্ন বর্্ণনা তু লে ধরার চেষ্টা করেছি। মণিপুরের
পর্্যবেক্ষণ, মৌ�ৌলিক রচনা ও কবিতা রাখার চেষ্টা করেছি। সাথে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে,
ভারতীয় দণ্ডবিধির আশঙ্কাজনক পরিবর্্ত ন, এবং মানবাধিকার কৃ ষ্ণা বন্্দদ্্যযোপাধ্্যযায়
লঙ্্ঘনের ক্ষেত্রে উদ্ভূত ভয়াবহ সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন
রাংতা মুন্সী
মানবাধিকার লঙ্্ঘনের ঘটনায় সমিতি সক্রিয়ভাবে যে তথ্্যযানুসন্ধান
(১ জানুয়ারি ২০২৪)
করেছে, তার রিপো�োর্্ট পেশ করা হয়েছে। আমাদের বহু সাথীকে
আমরা হারিয়েছি, তা ঁদের স্মরণে আমাদের সামান্্য নিবেদন রয়েছে।
শেষে রয়েছে আমাদের বিগত (প্রায়) দুই বছরের কিছু উল্লেখযো�োগ্্য
সূচিপত্র
বিষয়সূচি লেখকসূচি পৃষ্ঠা

প্রতিবেদন
মণিপুরের রাজ্্যপালের কাছে সমিতির প্রতিবেদন* ৩

প্রবন্ধ
মণিপুর পিস মেডিকাল মিশনের একটি অভিজ্ঞতা গৌ�ৌতম পাল ৪
প্রসঙ্গ মণিপুর সুখেন্্দদু সরকার ১০
মণিপুরে বিভাজনের রাজনীতি কেন প্রদীপ দত্ত ১২
গণধর্্ষণঃ মানবতার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আগ্রাসন সাত্্যকি মজুমদার ১৮
নাগরিকবিরো�োধী পুলিশি রাষ্ট্রের দিকে পদক্ষেপ সুজাত ভদ্র ২১

কবিতা
মণিপুর জ্বলছে জয়গো�োপাল দে ৮
তিনটি কবিতা শীলা চক্রবর্্ততী ৯
পরম্্পরা স্বপ্না ১৭

তথ্্যযানুসন্ধানী রিপো�োর্্ট
রিষড়ায় সাম্পপ্রদায়িক আক্রমণের তথ্্যযানুসন্ধান* ২৬
জেল-হাজতে অস্বাভাবিক মৃত্্যযুুঃ প্রাথমিক তথ্্যযানুসন্ধান* ২৯
ভাঙ্গড়ে পুলিশি সন্ত্রাসের তথ্্যযানুসন্ধান* ৩১
জয়নগরে মানবাধিকার হননের তথ্্যযানুসন্ধান* ৩৪

স্মৃতিচারণ
রতন দাসগুপ্ত প্রভাস চৌ�ৌধুরী ৩৭
সনৎ রায়চৌ�ৌধুরী* ৩৮
শুভাশিস রায় সুজাত ভদ্র ৩৯
অশো�োক ঘো�োষ সুজাত ভদ্র ৪১

বর্্ধধিত সমন্বয়কারী দলের নো�োটবই* ৪১

*দ্রঃ সমিতির নিবেদনের ক্ষেত্রে লেখকসূচি অনুল্লিখিত।

প্রকাশকঃ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (APDR) – এর তরফে কৃ ষ্ণা বন্্দদ্্যযোপাধ্্যযায় এবং রাংতা মুন্সী।
ঠিকানাঃ ১৮, মদন বড়াল লেন, কলকাতা – ৭০০০১২
যো�োগাযো�োগঃ apdrwestbengal@gmail.com ; দূরভাষঃ +৯১ ৯৮৩৬১১০১৩৫
The Governor, 26/07/2023
State of Manipur
Imphal, Manipur.

Sub: Protest against the brutal atrocities on women and innocent people of Manipur.

Sir,
The horrific brutal incident of Manipur sent shockwaves and shivers down to our spines. This barbaric
act was a shame on democracy. The viral video showing woman paraded naked and the news of gang
rape traumatised us. It is needless to say that this incident is a direct affront upon our conscience. It goes
against the precepts of democracy for which the Prime Minister brags about in U.S.A. For thousands
of years many communities have been living in Manipur. This gruesome incident compounded by
gory macabre violence tears apart the fabric of democracy of our country which as fellow countrymen
we are proud of. Different communities of Manipur have been reeling under tremendous agony for
almost three months. Instead of protecting the citizen the central and state governments act as passive
observers. Law and order had been completely crumbled. People are forced t oflee their habitats and
take shelter in refugee camps. Blood baths continued unabated. Different non-state actors patronised
by the ruling establishment went on rampage crippling quotidian lives of hapless individuals. Instead
of dealing with situation by engaging all the stakeholders, the Centre maintained a studied silence for a
long time. All the miscreants abetted by the state were allowed to go scot-free.Throughout the country
we have been observing with horror that the ruling dispensation is trying to metamorphose the nation
into a Hindutva majoritarian tinderbox where democratic principles would be trampled, voices gagged
and protestors incarcerated. Unemployment, inflation wreak havoc upon the common people. The
incumbent dispensation acts as an active collaborator in perpetuating the culture of intolerance. We
think both theState and Centre failed miserably in the task of governing the state in a democratic way
and they have to take complete responsibility for this barbaric dastardly act of a heinous nature. It
reeks of the obnoxious smell of majoritarianism. Even a fact-finding team comprising three women
members was barred from entering the trouble-torn regions.So as the oldest human rights organisation
of the country we unequivocally demand:
1. Exemplary punishment to the perpetrators who committed that heinous crime after conducting
fair judicial probe.
2. Restore peace immediately and adopt prompt measures to bring sense of relief into the
inhabitants of Manipur.
3. Initiate the process of dialogue engaging the representatives of various communities.
4. We earnestly demand that all fact-finding teams should be allowed to enter into the conflict-
ridden localities to ferret out the truth and place them before the nation for judicious appraisal.
5. Repeal of ASFPA. Hope you will do the needful at the earliest.

With thanks,
For,
Association for Protection of Democratic Rights(APDR).
Krishna Banerjee
Rangta Munshi. (M): 9836110135

3
পিস মেডিক্্যযাল মিশনের একটি অভিজ্ঞতা:
মানসিক আঘাতজনিত ট্রমায় আক্রান্ত মণিপুর
গৌ�ৌতম পাল

[১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ বাংলার দৈনিক পত্রিকায় একটি খবর অ্্যযাসো�োসিয়়েশন (Zomi Mothers’ Association) সূত্রে জানলাম
বেরো�োলো�ো। খবরটি এইরকম — “….কু কিদের ৬০ জনের মৃতদেহ এখনো�ো ৭৯ টি রিলিফ ক্্যযাম্্প মণিপুরের পাহাড়়ি অঞ্চলে চালু
আজ কু কি এলাকায় পাঠানো�ো হলো�ো। মৃতদের প্রতি সম্মান জানাতে আছে। অর্্থথাৎ আমরা ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর মণিপুর ঘো�োরার সময়
কু কি এলাকায় সমস্ত দো�োকানপাট বন্ধ রাখা হয়। নিকট আত্মীয়রা ক্্যযাম্্পগুলো�োর যে চেহারা দেখে এসেছিলাম আজও তা বর্্ত মান।
এতদিন পর দেহগুলি কাছে পেয়়ে কান্নায় ভেঙে পড়়েন। সিদ্ধান্ত কেন্দদ্র বা রাজ্্য সরকার, কেউই এই ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা থামাতে কো�োনো�ো
হয়়েছে আগামীকাল কাংপো�োকপির ফাইজাং এলাকায় গণ অন্ত্যেষ্ঠির সদর্্থক প্রচেষ্টাই গ্ৰহণ করছে না। বিভিন্ন সম্পপ্রদায়়ের জাতি দাঙ্গায়
আয়োজন করা হবে। তাই কাংপো�োকপি সদর হিলে ১২ ঘণ্টার বন্ধ একটা রাজ্্য শেষ হয়়ে যেতে বসেছে, আমরা তার ছিটেফো�োঁঁটাও
থাকবে শুক্রবার। কিন্তু চু ড়়াচা ঁদপুর মর্্গগে আগের ৩৫ টি এবং বর্্ত মান আঁ চ পাচ্্ছছিনা। সেপ্টেম্বর মাসের সেদিনের অভিজ্ঞতা আজও তাই
৪১ টি দেহ জমা থাকলেও তারা গণকবরের জন্্য যে স্থানটি বেছে প্রাসঙ্গিক। সেই অভিজ্ঞতার কথাই সকলের কাছে রাখলাম।]
নিয়়েছিলেন সেই এলাকা নিয়়ে বিতর্্ক থাকায় সম্ভবত পরের সপ্তাহে নুপী লান। মণিপুরবাসী নারীদের আন্দোলনের এক নাম।
ঐ ছিয়়াত্তরটি দেহ কবর দেওয়়ার ব্্যবস্থা হবে। এদিকে কু কি যৌ�ৌথ আসলে গো�োটা মণিপুর জুড়়েই ছড়়িয়়ে রয়়েছে নানান ইতিহাস,
মঞ্চ আই.টি.এল.এফ সকলের কাছে অনুরো�োধ করেছে, এ বছরের লড়়াই আন্দোলনের বহু গাঁথা। রাজাদের শাসনে বহুকাল কাটিয়়েছে
বড় দিনে ও নববর্্ষষে যেন কো�োন উৎসবের আয়োজন না করা হয়।” মণিপুর। রাজারা গেছে, দখল নিয়়েছে ইংরেজ বণিকেরা।‌ তারা
আমরা পশ্চিমবাংলায় বসে যখন বড়দিন পালন করছি, কার্্ননিভাল লুঠপাট করেছে, ক্রীতদাস করে রেখেছিল মণিপুরের পুরুষ
আয়োজন করছি, তখন দৈনিকের এই ছো�োট্ট খবর আমাদের সামনে সমাজকে। ইংরেজ কর্্ননেল ম্্যযাক্সওয়়েল মণিপুরি পুরুষদের জন্্য
একটা মর্্মমান্তিক ছবি তু লে ধরে। আমরা, যারা ২০২৩ এর সেপ্টেম্বরে একধরনের ‘জো�োরপূর্্বক শ্রম’ নীতি প্রণয়ন করেন। পুরুষরা প্রতি
দশ দিন মণিপুরের বিভিন্ন রিলিফ ক্্যযাম্্পপে ঘুরে বেড়়িয়়েছি আর্্ত ত্রিশ দিন পর পর বাধ্্যতামূলকভাবে দশ দিন ব্রিটিশ সরকারের
পীড়়িত মানুষের চিকিৎসার প্রয়োজনে। রিলিফ ক্্যযাম্্পগুলো�োতে বিভিন্ন কাজে বিনামূল্্যযে খাটবে– এটাই ছিল এই নীতির মূল কথা।
দেখেছি অসহায় নারী-পুরুষ-শিশুদের অধিকার ভূ লুণ্ঠিত হতে। গর্্জজে ওঠে মণিপুরের মানুষেরা, নারীরা। সংগঠিত হতে শুরু করে।
নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের মণিপুর সংখ্্যযায় লেখার ১৯০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের দিকে কর্্ননেল ম্্যযাক্সওয়়েলের
আহ্বান পেয়ে, সঙ্গে সঙ্গেই জানার চেষ্টা করলাম বর্্ত মানে রিলিফ আদেশের বিরুদ্ধে মণিপুরি নারীদের এই আন্দোলন তীব্র রূপ
ক্্যযাম্্পপের অবস্থা। কথা বললাম সেন্্ট পল’স স্কুলের রিলিফ ধারণ করে। প্রায় পাঁচ হাজার নারী খৈরামবন্্দ বাজারে জড়ো হয়়ে
ক্্যযাম্্পপের তত্ত্বাবধায়ক শ্রীমতি ভু ঙ্গের সাথে। তিনি বললেন, কর্্ননেলের বাসভবনের দিকে রওনা হয় দাবি আদায়়ের জন্্য। এক
“আজও আমাদের ক্্যযাম্্পপে ১৩০ জন শরণার্্থথী আছে। পুরুষেরা পর্্যযায়়ে ব্রিটিশ প্রশাসন আদেশটি পুনর্্ববিবেচনা করার কথা বলে
এখনো�ো গ্রামপাহারার কাজ করছে। সবাই একটা মানসিক ট্রমায় প্রতিবাদরত নারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্্যন্ত
ভু গছে। ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরেট অফিস থেকে চাল, ডাল, সয়়াবিন নারীরা পিছু হটেননি। নির্্ধধারিত সময়়ে ব্রিটিশরা নারীদের দাবি
ও ডিম সরবরাহ করে, যা দিয়়ে চলে ক্্যযাম্্পপের খাওয়়া দাওয়়া। মেনে না নেওয়়ায় পূর্্ববের মতো�োই এই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ
কবে সবাই গ্রামে ফিরতে পারবে কেউ জানে না।” জমি মাদার্্স নেয় এবং ব্রিটিশরা শক্তিপ্রয়োগ করে আন্দোলনকারী নারীদের

4
দমাতে চেষ্টা করে। কর্্ননেল ম্্যযাক্সওয়়েল শেষপর্্যন্ত এই আদেশ ডাক্তার ছিলেন পাঁচজন। মিশন শুধুমাত্র চিকিৎসাই করেনি, প্রয়োজনীয়
প্রত্্যযাহারে বাধ্্য হন। প্রথম ‘নুপি লান’ বা নারীদের বিদ্্ররোহে ওষুধও দিয়়েছে উদ্বাস্তু শিবিরে। ৯ অগাস্ট কো�োলকাতার মহাবো�োধি
মণিপুরি নারীরা সাফল্্য লাভ করে। মণিপুরবাসীর সাফল্্যযের বহু সো�োসাইটি হলে আয়োজিত এক পিস কনভেনশন প্রথমে সিদ্ধান্ত নেয়
বহু ইতিহাস রয়়েছে। গুগল অনুসন্ধান করলেই এমন অসংখ্্য এই মিশনের। কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন চাকরি বা ব্্যবসা সূত্রে
ঘটনার তথ্্য উঠে আসে। নিজেদের খাদ্্য সংকট মো�োকাবিলায় চাল কো�োলকাতায় অবস্থানরত বহু মণিপুরী মানুষ। তা ঁরা জাতিগত ভাবে
রফতানি বন্ধ করার আন্দোলন — সেও এক ইতিহাস। কেউ কু কি বা কেউ মেইতি। বহু মানুষ এই মিশনের জন্্য সাহায্্যযের
কিন্তু সব ইতিহাসকেই ছাপিয়়ে গিয়়ে মণিপুর এখন এক হাত বাড়়িয়়ে দেন। সহযো�োগী হিসেবে মিশনের কাজে যো�োগ দেন
আন্তর্্জজাতিক চর্্চচার বিষয় হয়়ে দা ঁড়়িয়়েছে। গত মে মাস থেকে শ্রমজীবী হাসপাতাল কর্্ততৃ পক্ষ। অর্্থ ও ওষুধ মূলত তা ঁরাই সাপ্লাই
যে রক্তক্ষয়়ী জাতি দাঙ্গার খবর প্রত্্যযেকদিন শিরো�োনাম হয়়ে করেন। মিশন বন্ধ করে দেওয়়ার জন্্য অনেক বাধা ছিল। ছিল নানান
উঠে আসছে তা যেন মণিপুরের সমস্ত ঐতিহ্্যময় আন্দোলনের অপপ্রচার। জাতি দাঙ্গায় বিধ্্বস্ত পরিবেশে, অস্ত্রের মুহুর্্মমুহু আওয়়াজ
ইতিহাসকে একটানে মাটিতে নামিয়়ে ফেলছে। মানুষে মানুষে কি সরকারি বা কু কি-মেইতির আস্ফালনের মাঝে না যাওয়়াটাই যে
হানাহানি লড়়াই একটা সুন্্দর পাহাড়়ি উপত্্যকাকে একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ, তা বো�োঝাতে কেউ কসুর করেননি। আবার উল্টো
পুলিশ মিলিটারির বুটের তলায় দা ঁড় করিয়়ে দিয়়েছে। কেন এমন লো�োকজনও পেয়়েছে মিশন। অসুস্থ বৃদ্ধা তার ঘরের অব্্যবহৃত ওষুধ
হলো�ো? এর উত্তর খুঁজছেন সবাই, কিন্তু হিংসা যেন উত্্ততোরত্তর ও জমানো�ো সামান্্য টাকা তু লে দিয়়ে গেছেন মিশনের ঠিকানায়। বহু
বেড়়েই চলেছে। সদ্্য মেডিক্্যযাল পিস মিশন নিয়়ে ঘুরে আসা ডাক্তারবাবু তা ঁদের পেশার কারণে পাওয়়া স্্যযাম্্পপেল ওষুধ তু লে
টিমের প্রধান বিপ্লব ভট্টাচার্্য্্য মনে করছেন, একটা এথনিক দিয়়েছেন মিশন সদস্্যদের হাতে। গানের দল সরণি ও তার সদস্্যরা
ক্লিনজিং এর মতো�ো পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়়েছে এবং তা শুধুমাত্র টাকা-পয়সা দিয়়েই নয়, প্রচার করেও সাহায্্য করেছেন।
করেছে কিছু রাজনৈতিক দল। একদিকে চু ড়়াচা ঁদপুর, প্রধানত এসবের পাশাপাশি অপপ্রচারও হয়়েছে যাতে মেডিক্্যযাল মিশন বন্ধ
পাহাড়়ি উপজাতি তথাকথিত ‘কু কি’ সম্পপ্রদায়ভু ক্ত মানুষের আশ্রয় হয়। হঠাৎ করেই ট্্যযুইটারে মেইতি সম্পপ্রদায়়ের মধ্্যযে একটি প্রচার
শিবির এবং অন্্য দিকে বিষ্ণুপুর, ইম্ফল লাগো�োয়়া সমতল অঞ্চল ছড়়িয়়ে দেওয়়া হয়, ‘মিশন নো�ো এন আর সি-র লো�োক, এরা কু কিদের
যা মেইতি নামের তথাকথিত হিন্্দদু সম্পপ্রদায়়ের মানুষের আশ্রয়স্থল পক্ষে প্রচার করতে মণিপুর যাচ্্ছছে। সংগঠকদের নামে সামাজিক
হয়়ে দা ঁড়়িয়়েছে। মাঝখানে মিলিটারি, বিএসএফ, আইটিডিপি, মাধ্্যমে নির্্দদিষ্ট লেখা বেরো�োয় - “...anti NRC protester and
আসাম রাইফেলস্ , মণিপুর রাইফেলস্ এর সশস্ত্র পাহারায় chin-kuki lover, is organising Manipur expedition
রয়়েছে প্রায় দেড় দুই কিলো�োমিটারের ‘বাফার জো�োন’। মেইতি-রা in the name of delivering medicines. He’s deeply
বলছে তু মি কু কি, আমার এলাকায় থাকতে পারবে না, বিতাড়়িত political, destination is Churachandpur. Cops and
উপজাতি গো�োষ্ঠীভু ক্ত মানুষের মিছিল আসছে পাহাড়়ের বহু আশ্রয় other authorities are waiting for them.” ২৮ অগাস্টের
শিবিরে। অন্্যদিকে কু কিরা বলছে, তো�োমরা মেইতি, আমার এই ট্্যযুইটার মেসেজকে উপেক্ষা করে এবং সকলের শুভেচ্্ছছা নিয়়েই
এলাকা থেকে ভাগো�ো। শ’য়়ে শ’য়়ে মেইতি নেমে এসেছে সমতলে মণিপুর পিস মেডিক্্যযাল মিশন আইজল পৌ�ৌঁঁ ছায় ১ সেপ্টেম্বর। মিশন
, ইম্ফল লাগো�োয়়া সমতল অঞ্চলে। কু কি, মেইতি — উভয়়েরই শুরু হয় উল্টোদিক থেকেই, কারণ সহজ ও কম ব্্যয়সাপেক্ষ ইম্ফল
বহু উপাসনা গৃহ , চার্্চ, মন্্দদির এই জাতি দাঙ্গায় ধূলিসাৎ হয়়েছে। হয়়ে যাওয়়া গেলেও মেইতি সম্পপ্রদায়়ের ক্্যযাম্্প গুলি থেকে কু কি
গ্ৰামের পর গ্ৰাম নিশ্চিহ্ন হয়়ে গেছে। শুধু ভগ্নস্তূ প, যেন আধ পো�োড়়া অঞ্চলের ক্্যযাম্্পগুলিতে হয়তো�ো বা আর যাওয়়া যেত না। ‘বাফার
কিছু কাঠামো�ো এই সমাজ, ব্্যবস্থা ও রাষ্ট্রকে ব্্যযাঙ্গ করছে। বিপ্লব জো�োনে’র আগেই মিশন আটকে পড়ত। এমন একটা খবর বা অনুমান
ভট্টাচার্্য্্য দায়়ী করছেন রাজ্্য ও কেন্দ্রীয় দুই শাসককেই। তাদের মিশনকে বাধ্্য করে আইজল থেকে প্রায় ২৭/২৮ ঘণ্টার দুর্্গম পাহাড়়ি
ভূমিকাকেও অত্্যন্ত নক্কার জনক বলেই মনে করছেন।‌তারা এই রাস্তা পার হয়়ে মণিপুরের চু ড়়াচাঁদপুর পৌ�ৌঁঁ ছতে।
জাতি দাঙ্গাকে থামাবার পরিবর্্ততে , যা যা সিদ্ধান্ত নিচ্্ছছেন সবই মিশন চু ড়়াচাঁদপুর পৌ�ৌঁঁ ছায় ৪ সেপ্টেম্বর। আইজল মণিপুর
হিংসা উস্কে দেওয়়ার পক্ষেই যাচ্্ছছে। বর্্ডডার থেকে ক্্যযাম্্প চলাকালীন সমস্ত নিরাপত্তা ও ক্্যযাম্্পগুলিতে
মণিপুর পিস মেডিক্্যযাল মিশন মণিপুর গিয়়েছিল ১ সেপ্টেম্বর যাতায়়াতে সহায়তা করে সমস্ত উপজাতিদের সংগঠন ‘জো�োমি
২০২৩। তেরো�ো সদস্্যযের দল চু ড়়াচাঁদপুর(লামকা), বিষ্ণুপুর, মৈরাং- কাউন্সিল স্টিয়়ারিং কমিটি’। কমিটির তালিকা অনুযায়়ী ১০৮ খানা
এর বিভিন্ন শিবির ঘুরে ঘুরে আর্্ত উদ্বাস্তু মানুষের চিকিৎসা করে শিবির করতে হয়়েছে দুর্্গত মানুষের পরিষেবায়। আমাদের পিস
বেরিয়়েছে এই মিশন। আমিও ছিলাম এই দলের একজন সদস্্য। মেডিক্্যযাল মিশন চু ড়়াচাঁদপুর সংলগ্ন মাত্র ছ’টি ক্্যযাম্্পপে চিকিৎসা

5
পরিষেবা দিতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন স্কু ল, কলেজ, কমিউনিটি ওয়়াল পরিদর্্শনে। মণিপুর রাইফেলস্ , আসাম রাইফেলস্ ব্্যযারাক
হল এমনকি চু ড়়াচাঁদপুর বিডিও অফিসেও আশ্রয় নিয়়েছেন ও ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরেট অফিস সংলগ্ন রাস্তার উপরেই এই ওয়়াল।
নিজের বাপ-ঠাকু রদার কয়়েক পুরুষের বাসভূমি ছেড়়ে পালিয়়ে অস্থায়়ীভাবে তৈরি করা ঐ ওয়়ালে ৩ মে বা তার পরবর্্ততীতে মৃত
আসা মানুষজন। আরো�ো নির্্দদিষ্ট করে বললে মিশন লক্ষষ্য করেছে মানুষের ছবি সাঁটানো�ো। সামনে সারিবদ্ধ কফিন বাক্স। প্রত্্যযেক কফিন
শিবিরগুলো�োতে বেশিরভাগ নারী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু-কিশো�োররাই দখল বক্সের উপর রাখা রয়়েছে শ্রদ্ধার ফু ল। প্রায় শ’পাঁচেক যুবক যুবতী
করে রেখেছে। পরিবারের সমস্ত পুরুষেরাই থেকে গেছেন গ্ৰাম গান গেয়়ে, নাচের সাথে সাথে ভালো�োবাসার কথা ব্্যক্ত করছেন
পাহারার কাজে। সবসময় ভয়, এই বুঝি মেইতি ফ্রণ্ট লাইনারদের প্রয়়াত মানুষদের প্রতি। মঞ্চে তখন গান গেয়়ে মিজো�োরামের একটি
আক্রমণ নেমে এল। পরিবারের স্ত্রী, মা, বাবা, ছেলেমেয়়ে সকলেই দল তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলছে, আমাদের আর কিছু ই
আতঙ্কের আবহে দিন কাটাচ্্ছছেন, এই বুঝি কো�োনো�ো খারাপ খবর দেওয়়ার নেই তো�োমাদেরকে, শুধু রয়়েছে অন্তরের শ্রদ্ধা। পাশের
এলো�ো। উপজাতি সম্পপ্রদায়়ের তেরটি ফিল্্যযানথ্্ররোপিক সংগঠন দায়়িত্ব একটি ওয়়ালে তু লে ধরা হয়়েছে কিছু সংখ্্যযা। প্রায় প্রত্্যযেকদিনই
নিয়়ে শিবিরগুলো�ো পরিচালনা করছেন।‌৩ মে হানাহানি শুরু হওয়়ার সংখ্্যযাটা একটু একটু করে বাড়ছে। ৭ সেপ্টেম্বর আমাদের
সময় থেকেই যে বিশৃঙ্খলার মধ্্য দিয়়ে শিবির শুরু হয়়েছিলো�ো তা পরিদর্্শনের দিন লেখা ছিল — মৃত্্যযু ১৩২+, আহত ৮০০+, চার্্চ
সেপ্টেম্বর ৫/৬ তারিখে এসে অনেকটাই সংঘবদ্ধ, অর্্গগানাইজড ধ্্ববংস হয়়েছে ৩৫৭+, বাড়়ি ঘর পুড়়ে গেছে ৪৫৫০+, গ্ৰাম পুড়়েছে
হয়। সরকারি সাহায্্য বলতে শুধু নির্্দদিষ্ট পরিমাণ চাল আর ডাল। ২৯২+ টি। প্রশ্ন একটাই, কো�োথায় এর শেষ ? চারিদিকে নানান
বিগত চার মাস ধরে শরণার্্থথীদের জুটছে শুধুমাত্র ভাত ডাল। কো�োন স্্ললোগানের প্ল্যাকার্্ড ইতস্তত ছড়়ানো�ো ছিটানো�ো অবস্থায় পড়়ে আছে।
তরকারি বা নিউট্রিশন যুক্ত খাবার কেউই পাচ্্ছছেন না। ফলে গর্্ভবতী কো�োথাও লেখা রয়়েছে My History not your Rights, আবার
মা, শিশু, বৃদ্ধদের স্বাথ্্যযের অবস্থা একেবারেই তলানিতে। মিশনের কো�োনো�ো প্ল্যাকার্্ড বলছে, Respect Epistemic Diversity and
অন্্যতম সদস্্য ডাক্তার সুমিতা দাসের কথাতেই মিশনের উপলব্ধি Justice. সময় বলবে কতটা বিচার করতে পারলাম আমরা এই মৃত
তু লে দিই। “বিশেষ করে চু ড়়াচাঁদপুরের ক্্যযাম্্পগুলো�োতে প্রচু র সব হারানো�ো মানুষদের প্রতি।
শিশুদের চিকিৎসা করা হয়়েছে। গর্্ভবতী মায়়েরও চিকিৎসা করা আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন পেরিয়়ে, ইন্্ডডো-ব্রিটিশ যুদ্ধে
হয়়েছে। বাচ্্চচাদের এবং বড়দের মধ্্যযেও প্রচু র সর্্দদি কাশি জ্বর। প্রচু র স্মারক তো�োরণ পেরিয়়ে চললাম ইম্ফলের দিকে। আগেই বলেছি,
চো�োখের ইনফেকশন কনজাংটিভাইটিস লক্ষষ্য করা গেছে। শিবিরে কি ভয়ঙ্কর ছিল এই যাত্রা। ন’খানা সশস্ত্র বাহিনীর ব্্যযারিকেড টপকে
এত মানুষ একসঙ্গে থাকলে ইনফেকশন ছড়়িয়়ে যাওয়়াও স্বাভাবিক। আমাদের যেতে হয়়েছে। পিস মিশনের প্রধান বিপ্লবদার কড়়া
আমরা সেখানকার খাবারও খেয়়েছি। শুধু ভাত ও ডাল। নির্্দদেশ ছিল কেউ গাড়়ি থেকে নামবে না। স্মারক তো�োরণ পেরিয়়ে
দিনে দুবার খাবার ব্্যবস্থা।” আর এক ডাক্তারবাবু ভাস্কর এসে প্রথমেই পেলাম ‘কু কি’দের প্রতিরো�োধ। নানান প্রশ্্ননোত্তর ও
চক্রবর্্ততী রও একই বক্তব্্য। “অসুখ যা দেখেছি- সর্্দদি, কাশি, জ্বর, পর্্যবেক্ষণের পর গাড়়ি অনুমতি পেল এগিয়়ে যাওয়়ার। উল্লেখ্্য,
কনজাংটিভাইটিস। তাছাড়া নানা রকম পেটের অসুখ। আর আমরা চু ড়়াচাঁদপুর পুলিশ সুপারের সহযো�োগিতায় দুটো�ো টাটা সুমো�ো
পো�োস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্্ডডার, যার প্রকাশ ঘটেছে খিদে কমে গাড়়িতে বিষ্ণুপুরের উদ্দ্যেশ্্যযে রওনা হই সকাল আটটায়। দুই গাড়়ি
যাওয়া, ঘুম কম হওয়া, দুশ্চিন্তা, শরীরের নানা অংশে অহেতু ক এবং ড্রাইভার এসপি অফিসের সৌ�ৌজন্্যযেই ঠিক করে দেওয়়া।
ব্্যযাথা, ইত্্যযাদিতে আক্রান্ত।” সেণ্ট পল’স স্কু ল, ডন বসকো�ো, ব্লু দুই ড্রাইভার ‘কু কি’দের প্রতিরো�োধ পার করার পর সিআরপিএফ,
স্টার এ্্যযাকাডেমি স্কু ল, সেইলমেট কলেজ, ডো�োরকাস ভিলেজ আসাম রাইফেলস্ , মণিপুর রাইফেলস্ — এমন আরো�ো একাধিক
কমিউনিটি হল, চু ড়়াচাঁদপুর বিডিও অফিসের প্রত্্যযেক ক্্যযাম্্পপে গড়়ে ব্্যযারিকেড টপকে কাওকতা গ্ৰামে পৌ�ৌঁঁছে দিলেন। আমরা গাড়়িতে
দেড়শ করে রো�োগীর চিকিৎসা পরিষেবা দেয় এই মেডিক্্যযাল পিস বসেই দেখলাম শুধুই ধ্্ববংসের চিহ্ন। পো�োড়়া ভাঙাচো�োরা বাড়়িঘর
মিশন।৮ সেপ্টেম্বর মিশন চু ড়়াচাঁদপুর ছেড়়ে রওনা দিল বিষ্ণুপুরের এখন জনমানবশূন্্য। সবাই চলে গেছে আশ্রয় শিবিরে। সেনা
দিকে। মাত্র চৌ�ৌত্রিশ কিলো�োমিটার, প্রায় ঘন্্টটা খানেকের রাস্তা। কিন্তু জওয়়ানরা অস্থায়়ী ক্্যযাম্্প বানিয়়েছে ঐ বাড়়িগুলো�োকে। বালির বস্তা
আমাদের লাগলো�ো প্রায় তিন ঘণ্টা। মিশনের সদস্্যদের এই রাস্তা সাজিয়়ে প্রস্তুত করেছে এক অসম যুদ্ধক্ষেত্র। এক সেনা অফিসার
পার করে বিষ্ণুপুর জেলার কাওকতা গ্ৰামে পৌ�ৌঁঁ ছানো�োর অভিজ্ঞতা দুঃখ করে বললেন, “আপনারা এখানে ক্্যযাম্্প করুন। আমরাও
মনে থাকবে অনেকদিন। এক কথায় ভয়ঙ্কর। অবরুদ্ধ হয়়ে পড়়ে রয়়েছি আজ চার মাস। ইম্ফল থেকে খাবার
এই রাস্তা পার হওয়়ার সময়ই আমাদের পার হতে হলো�ো আসছে না, চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্্ছছি না, আমরা নাকি এক পক্ষের
রিমেম্বারেনস্ ওয়়াল। আগের দিনই সন্ধ্যায় আমরা গিয়়েছিলাম ঐ হয়়ে কাজ করছি। আদৌ�ৌ তা নয়, আমরা সমস্ত হিংসাশ্রয়়ী মানুষের

6
বিরো�োধীতা করেছি। কো�োনদিন শুনেছেন, একই রাজ্্যযের দুটো�ো জেলার কু কি মেইতির দাঙ্গা শুরু হওয়়ার পর থেকেই এই মিউজিয়়াম বন্ধ।
মধ্্যযে বাফার জো�োনে’র কথা? বাফার জো�োন সাধারণত দুই দেশের মিউজিয়়াম দেখার ব্্যর্্থ অভিজ্ঞতা নিয়়ে আমরা ফিরে এলাম।
সীমানা বরাবর হয়। অথচ আমরা দুটো�ো জেলার মধ্্যযে বাফার জো�োন আমাদের মেডিক্্যযাল মিশনের অভিজ্ঞতা বলছে, পাহাড়়ের
সামলাচ্্ছছি। আমরাও চাই বন্ধ হো�োক এই হিংসা।‌“ হয়তো�ো বা বাঙালি মানুষ চারিদিক দিয়়ে অবরুদ্ধ হলেও, ইম্ফল লাগো�োয়়া সমতলের
সেনা অফিসার বলেই তার ভাষা ও উপলব্ধি আমাদের সকলকে ২৮ টি শিবিরে সাপ্লাই লাইন চালু আছে। নেই শুধু চিকিৎসা
স্্পর্্শ করল। মিশনের তরফে আমরা কথা দিলাম, ভবিষ্্যতে মিশন পরিষেবা। ওষুধ পত্রের যো�োগান আছে , ডাক্তার নেই। পাহাড়়ের
তাদের কথাও মনে রাখবে—এই মর্্মমে। সমস্ত প্রাইভেট ক্লিনিক, চিকিৎসাকেন্দদ্র, হাসপাতাল বন্ধ। সমতল
কাওকতা একটি মুসলিম অধ্্যযুষিত গ্ৰাম। সেখানেই অপেক্ষা ইম্ফলের প্রায় একই অবস্থা না হলেও স্বাস্থথ্য পরিষেবা একেবারেই
করছিলেন অল মণিপুর ইউনাইটেড ক্লাব অর্্গগানাইজেশনের বেশ তলানিতে ঠেকেছে। দ্রুত অবস্থার উন্নতি না হলে সামনে আরও
কয়়েকজন সদস্্য কর্্মকর্্ততা। একটা ট্র্যাভলার গাড়়ি চেপে সবাই ভয়ঙ্কর দিন হয়ত অপেক্ষা করছে। মনিপুরী মানুষদের অধিকার
মেডিক্্যযাল মিশন নিয়়ে চললাম মৈরাং কলেজের রিলিফ ক্্যযাম্্পপে। হরণ করে এক নির্্লজ্জ কর্পোরেট ব্্যবস্থার ভিত্তি স্থাপনের
বেশ বড়ই একটা কলেজের সমস্ত বিল্্ডিিং জুড়়েই আশ্রয় নিয়়েছেন জো�োরকদম প্রচেষ্টা চলছে।
শরণার্্থথীরা। প্রায় ৩৬০/৩৬৫টি পরিবার চু ড়়াচাঁদপুর, বিষ্ণুপুর, মণিপুর পিস মেডিক্্যযাল মিশন শেষ হলো�ো ১০ সেপ্টেম্বর।
মৈরাং এর গ্ৰামগুলো�ো থেকে উঠে এসেছে।‌ এখানেও সবার একই কলকাতা ফিরে আসার পরে ১২ সেপ্টেম্বর কো�োলকাতা প্রেস ক্লাবে
উপসর্্গ। সর্্দদি কাশি জ্বর, গা হাত পায়়ে ব্্যযাথা। এবং সবার উপরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মিশনের সব সদস্্য উপস্থিত থেকে তা ঁদের
ভয়। ভবিষ্্যত কি? ছেড়়ে আসা বাপ-ঠাকু রদার ভিটেমাটিতে কবে অভিজ্ঞতা জনসমক্ষে প্রকাশ করেন। ‘মণিপুর পিস মেডিক্্যযাল
ফিরতে পারব? আতঙ্ক, ভয় সব্্ববার চো�োখে মুখে। প্রায় দেড়শ মানুষ মিশন’-র সদস্্যবৃন্্দ যথাক্রমে—বিপ্লব ভট্টাচার্্য্্য,হেড অফ দ্্য মিশন,
পরিষেবা নিলেন মৈরাং কলেজের ক্্যযাম্্পপে। ডঃ ভাস্কর চক্রবর্্ততী , ডঃ সুমিতা দাস, ডঃ জয়গো�োপাল দে, ডঃ অনুভব
শেষ ক্্যযাম্্পটি হলো�ো ওয়়াাংখেই হাই স্কুলে। স্কুলের নির্্মমিয়মাণ মণ্ডল, ডঃ তিয়াসা দে ছাড়়াও সমাজকর্্মমী শর্্মমিলী বন্্দদ্্যযোপাধ্্যযায়, সুব্রত
একটি হো�োস্টেলে বিল্্ডিিং-এ শরণার্্থথীদের আশ্রয় শিবির চালু করেছে সেন, গৌ�ৌতম পাল, মো�োঃঃ আতাউর রহমান, গৌ�ৌতম সরকার, সৌ�ৌরভ
‘ওয়়াাংখেই আপুনবা নুপী লুপ’। মেয়়েদের একটা স্বনির্্ভ র গো�োষ্ঠী। সিংহ মহাপাত্র, গৌ�ৌরাঙ্গ মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে।
গো�োটা শিবিরে শুধুমাত্র মহিলা ও শিশুরাই আশ্রয় নিয়়েছেন। ১৫৩ প্রায় সমস্ত দৈনিক প্রিণ্ট মিডিয়়া, নিউজ চ্্যযানেল উপস্থিত থেকে
জনের শিবির। শিবিরের চার মহিলা স্বেচ্্ছছাসেবীদের সাথে পরিচিত শো�োনেন মিশন সদস্্যদের অভিজ্ঞতা, মনিপুরী মানুষের অধিকার
হলাম আমরা। এরা হলেন — জেনিস সালাম, বেবিনা মাইবাম, থাজা হরণের কথা। মিশন মনে করে—
ওহাইবাম, বিচ্্চচু মাইবাম। এরা সবাই এক একটা মহিলা সংঘের নেত্রী। “৪ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর অবধি মো�োট ৮টি চিকিৎসা শিবির করা
কেউ সামলান অর্্থ, কেউ নিরাপত্তা, কেউ বা সংগঠন। পালা করে হয় এবং গড়পড়তা প্রতিদিন ৬৫-৭০ জন, শিশু থেকে বৃদ্ধ নানান
মেয়়েদের দশ জনের দল প্রতিদিনের রাত পাহারার কাজ করেন। বয়সী মানুষের চিকিৎসা করা হয়েছে।
ওষুধের ব্্যবস্থাও রয়়েছে। নেই চিকিৎসক। মো�োট ৪৩ জন চিকিৎসা অস্থায়ী শিবিরগুলিতে মূলতঃ সর্্দদি কাশি জ্বর, গা হাত পায়়ে
পরিষেবা নিলেন। ক্্যযাম্্পপের আবাসিকদের সাথেই শিবিরের ব্্যযাথা, এবং সবার উপরে ভয় প্রভৃ তি রো�োগের প্রাদুর্্ভভাব দেখা গেছে।
রান্না খাওয়়ার ভাগ করে খেলাম সবাই। এর আগেও ডো�োরকাস প্রায় সর্্বত্রই শরণার্্থথী শিবিরগুলির আবাসিকদের মধ্্যযে এক প্রবল
ভিলেজের ক্্যযাম্্পপে শরণার্্থথীদের সাথেই রাতের খাবার ভাগ করে মানসিক আঘাতজনিত ট্রমা দেখা গিয়েছে।
খেয়়েছিলাম আমরা পিস মিশনের সব সদস্্য। তফাত একটাই, শিশুমনে এক ভয় ও আতঙ্কের ছাপ চিরস্থায়ী হয়ে যাওয়ার
পাহাড়়ের ঐ শিবিরে পেয়়েছি শুধু ভাত আর ভাল। কিন্তু ওয়়াাংখেই প্রবল সম্ভাবনা। বয়স্করাও এই অনিশ্চিত অবস্থা-জনিত কারণে
স্কুলের ক্্যযাম্্পপে ডাল ভাত ছাড়়াও পেলাম মাছ, সবজি, বাম্বু স্্যযুট এর মানসিকভাবে একেবারে বিধ্্বস্ত। ইউনাইটেড নেশনস-র
নানান পদ। ইম্ফলে ঢো�োকার পর আমরা মৈরাং গিয়়েছিলাম নেতাজী ১৯৫১ সালের কনভেনশন বা ১৯৬৭-র প্্ররোটো�োকল অনুযায়ী
সুভাষচন্দদ্র বো�োসের বাসভবন তথা আইএনএ-র হেডকো�োয়়ার্্টটার যে কো�োন শরণার্্থথী বা উদ্বাস্তু মানুষের জন্্য বেশ কিছু অধিকার
পরিদর্্শনে। নেতাজি যে মাটির বাড়়িতে থাকতেন তাকে সংরক্ষণ নির্্দদিষ্ট করা হয়েছে।
করে রাখা আছে। আমরা সবাই বিস্ময়়ে নেতাজির বাসভবন দেখে
১৯৫১-র ইউএন কনভেনশন দ্বব্যর্্থহীনভাবে ঘো�োষণা করে,
ভাবছিলাম, এই মণিপুরেইআজ শুরু হয়়েছে জাতিদাঙ্গা।‌ নেতাজির “person who is outside his or her country of
ব্্যবহৃত সমস্ত জিনিসপত্র নিয়়ে একটি মিউজিয়়াম আছে। ৩ মে nationality or habitual residence; has a well-

7
founded fear of being persecuted because of his আমরা মনে করি, দিল্লির ইউনিয়ন ও মণিপুর রাজ্্য সরকারের
or her race, religion, nationality, membership of a
তরফে এই ছিন্নমূল মানুষের অধিকার রক্ষার্্থথে আরও যত্নবান হওয়া
particular social group or political opinion; and is
unable or unwilling to avail him— or herself of the প্রয়ো�োজন। শুধুমাত্র কিছু চাল-ডাল-আলু এবং মাঝেমধ্্যযে খানিক
protection of that country, or to return there, for তেল-নুনের ব্্যবস্থা করেই সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়না।
fear of persecution.” – এর কো�োন ছাপ মণিপুরের শরণার্্থথী
শিবিরগুলিতে প্রায় নেই বললেই চলে।

মণিপুর জ্বলছে
জয়গো�োপাল দে

আবার ফুঁ সছে মণিপুর— নিতে দখল, নারীর সাথেই রয়়েছে নাড়়ির টান,
মণিপুর জ্বলছে, নাকি জ্বালাচ্্ছছে? কর্পোরেট হাঙ্গরের লো�োলুপ দৃষ্টি, তাইতো�ো মাতঙ্গিনী, অহল্্যযা মা,
আমি মণিপুরের নারী, তাইতো�ো দেশজুড়়েই শাসক গো�োষ্ঠী শর্্মমিলা চানু আর মনো�োরমারা
প্রতিদিন, প্রতিরাতে করে চলেছে এই সব অনাসৃষ্টি। আজও প্রবহমান।
ধর্্ষণ হচ্্ছছি, নাকি হওয়়াচ্্ছছে? এই রাজা, ঐ রাজা, আমরাও স্কু ল কলেজে
গৃহহীন হচ্্ছছি, নাকি হওয়়াচ্্ছছে? ক্ষীর খাবার জন্্যই কারখানা অফিস দপ্তরে
মৃত্্যযু হচ্্ছছে, নাকি পূর্্বপরিকল্পিত? লড়়াই বাধায়, রাস্তায় রাস্তায় থাকবো�ো না নীরব,
জাতি দাঙ্গা হচ্্ছছে, নাকি পূর্্বপরিকল্পিত? উলুখাগড়়ারা ছিঁটেফো�োঁঁটা পাবার জন্্য উঠু ক উঠু ক উঠু ক কলরব,
ছু টে বেড়়ায় আর প্রাণ দেয়। কবিতা, গানে আর শ্্ললোগানে,
হ্্যযাাঁ হ্্যযাাঁ হ্্যযাাঁ। শিল্পীর প্রতিবাদ হো�োক তু লির টানে।
অন্্য বাস্তবতা দেখিয়়েছিল মণিপুর
মণিপুর জ্বালাচ্্ছছে।
মণিপুরের নারীরা
মানুষকে গৃহহীন করাচ্্ছছে।
রাষ্ট্রকে করতে চ্্যযালেঞ্জ,
জাতি দাঙ্গা বাধাচ্্ছছে।
আসাম রাইফেলস দপ্তরের সামনে
মানুষ মরছে।মানুষকে মারছে।
লজ্জা ত্্যযাগ করে বস্ত্রহীন
হিটলারি কায়দায়,
হয়়েছিল সেদিন।
রাষ্ট্রের প্ররো�োচনায়,
আর চিৎকার করে বলেছিল
নারীদের নাঙ্গা প্্যযারেডে সামিল করায়, আমাদের ধর্্ষণ করতে পার
গণ ধর্্ষষিতা হতে হয়। একবার দুবার হাজারবার,
নারীরা ধর্্ষষিতা হচ্্ছছে।ধর্্ষণ করাচ্্ছছে। কিন্তু শেষটা জিতব
সবটাই শাসকের সৃষ্টি। আমরাই বারবার।
জল জমি পাহাড় জঙ্গল, নারীর সাথে রয়়েছে মাতৃ ভূমির বন্ধন,
8
মণিপুরের জন্্য তিনটি কবিতা
শীলা চক্রবর্্ততী

১ ২ ৩
ক্্ররোধে কান্না লেগে থাকে দস্্যযু যারা নখ দা ঁত সম্বল নগ্ন হয়়ে হেঁটেছিলাম দেশে
ক্্ষষোভ বুঝি অশ্রু ঢাকে গুুঁড়়িয়়ে দেয় বাস্তু কুঁড়়ে উল্লাসে সম্্ভভোগে
পথের হয়না শেষ স্বাস্থথ্য সেবা যারা খেলো�ো ঠু করে চেটে পুটে
এত হিংসা বিদ্বেষ ! সাময়়িক সফল ! মণিপুরের কন্্যযা আমি
কেউ পায় থরে থরে বিদ্্যযালয় মিশিয়়ে দেয় ভুঁয়়ে নগ্ন দেহেই হেঁটে
সো�োনায় সিন্্দদুক ভরে ত্রস্ত শিশুর বো�োবা কান্না লাশ হয়়েছি শেষে !
হতাশার মেঘে ঢাকা সয় না প্রাণে
দ্্ররৌপদী বা সীতার কথা নয়
কারো�ো শূন্্যযে চেয়়ে থাকা তাও পড়িনা নুয়়ে !
দামিনীকে পড়লো�ো মনে
কেউ চিরকাল হাসে যুগে যুগে
এই দেশে এই বিশ্ব জুড়়ে
কেউ শুধু স্্ররোতে ভাসে পরমাণুর ঘায়়ে উল্লসিত
কতো�ো মেয়়ের অকাল মরন
বঞ্চনা জো�োয়়াল টেনে হিরো�োশিমা নাগাসাকি
বেওয়়ারিশ বা নিখো�োঁঁজ যারা
নিয়মকে নেয় মেনে ! শ্মশান করে দিয়়ে !
বুকের মধ্্যযে পাথর চাপা ভয় !
চাবুক ঘো�োরায় যারা বিষবাষ্্পপে আকাশ অন্ধকার
চেনেনা নিজেকে ছাড়়া রক্ত দিয়়ে ভাসায় নদী আমার শরীর অঙ্গার হো�োক না
পিঁপড়়ে মাছির মতো�ো জহলাদেরা তাও পাবে কি পার? রাষ্ট্রনেতা উস্কানি দিক
কেন কেউ তু চ্্ছ এত ! মত্ত লো�োভী ধরেও যদি ঘিরে দেশ বেচে দিক
ব্্যযার্্থ হও বারবার কাপুরুষ বারে বারে ফেরাক আদিম যুগ
জীবনটা ছারখার লড়়ি মরি আবার আসি ফিরে ! বারুদ হয়়ে জ্বলবো�ো যেদিন
আর নয় একা একা শান্তি চাই সেদিন আমার ঘুচবে যন্ত্রণা !
হাতে হাত থাক রাখা ! না হক যুদ্ধ নয়
পশু শক্তি লড়ুক দ্বেষে
মিথ্্যযে হতাশায় কা ঁদো�ো
আমাদের নিশ্চয় !
ঘৃনা গেঁথে তো�োড়়া বাঁধো�ো
ভিন্ন ভিন্ন লাঠি নয়
বেঁধে নিলে আঁটি হয় !
জীবনের অর্্থ বো�োঝা
পথে নেমে পথ খো�োঁঁজা
জো�োট বাঁধ বারবার
বুঝে নাও অধিকার !

9
প্রসঙ্গ মণিপুর
সুখেন্্দদু সরকার

গত ১৯শে এপ্রিল মণিপুর হাইকো�োর্্ট এক রায়়ে ‘উপজাতি স্বীকৃতি’ সংঘাত যেমন সত্্যযি, তার পাশাপাশি সম্প্রীতির সংগ্রামও সত্্যযি।
দেওয়়ার জন্্য রাজ্্য সরকারকে নির্্দদেশ দেয়। এই রায় ইতিপূর্্ববে যারা দুই সম্পপ্রদায়়ের মধ্্যযে আকচা আকচি ১৯ এপ্রিলের রায়়ের ফলেই
‘উপজাতি স্বীকৃতি’ পেয়়েছেন, সেই কু কি-নাগা-মিজো�ো-জো�োমি শুরু হয়়েছে, এমনটা নয়। এর শিকড় আরও গভীরে।
সম্পপ্রদায়়ের মধ্্যযে অর্্থনৈতিক দিক থেকে কো�োণঠাসা হয়়ে পড়়ার রাজ্্যযে মেইতিরা মো�োট জনসংখ্্যযার ৫৩ শতাংশ। নাগা এবং কু কিরা
শঙ্কা সৃষ্টি হয়। মেইতি সম্পপ্রদায় যেহেতু সামাজিক, রাজনৈতিক, ৪০ শতাংশ। মেইতিরা থাকেন মুলত ইম্ফল উপত্্যকায় এবং রাজ্্যযের
অর্্থনৈতিক এবং শিক্ষাগত সূচকে কু কি- জো�োমি ও নাগাদের মো�োট এলাকার মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায়। সেখানে কু কি ও নাগারা
চেয়়ে অগ্রসর, তাই তাদের মনে হয় এই রায়়ের ফলে মেইতিরা থাকেন পাহাড় এবং বনাঞ্চলে, রাজ্্যযের মো�োট ভৌ�ৌগো�োলিক এলাকার
সংরক্ষণের সুবিধার সিংহভাগ গ্রাস করে নেবেন। সংখ্্যযালঘু কু কি- ৯০ শতাংশে তাদের বাস। মেইতিদের বেশীরভাগ হিন্্দদু এবং কু কি
নাগাদের জন্্য বিশেষ কিছু পড়়ে থাকবে না। এই শঙ্কা থেকে ৩ ও নাগারা মুলতঃ খ্রিস্টান। ৬০ সদস্্যযের মণিপুর বিধানসভায় কু কি-
মে ২০২৩ তারা সারা মণিপুর উপজাতি ছাত্র সংগঠনের ব্্যযানারে নাগাদের দখলে আছে ১০টি আসন এবং বাকিগুলি মেইতিদের
দখলে। রাজ্্যযের মুখ্্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং মেইতি সম্পপ্রদায় থেকে
প্রতিবাদে পথে নামেন। তার পরে পরেই শুরু হয়়ে যায় সংখ্্যযাগুরু
আগত। বিজেপি বড় বড় রাজ্্যগুলো�োতে ক্ষমতাচ্্যযুত হওয়়ার পর
মেইতি এবং সংখ্্যযালঘু কু কি ও নাগা জনগণের মধ্্যযে রক্তক্ষয়়ী
থেকে ইদানিং ছো�োট ছো�োট রাজ্্যগুলো�োর দিকে নজর ঘুরিয়়েছে।
জাতিদাঙ্গা। নিহত হন ৭৫ জন। আহত হন ২০০ জনেরও বেশি। মণিপুরে বিজেপি হিন্্দদু মেইতি ভো�োটব্্যযাাংক নিজেদের দখলে রাখার
আগুন লাগানো�ো হয় অনেক ঘরবাড়়ি এবং গির্্জজায়। আক্রান্ত কু কি জন্্য খ্রিষ্টান কু কি-নাগা-জো�োমি সম্পপ্রদায়কে ধারাবাহিক ভাবে
জনগণ দলে দলে রাজ্্য ছেড়়ে পালিয়়ে যেতে থাকে। প্রায় ৪৫০০০ আক্রমণ করতে শুরু করে এবং আক্রমণের ‘আদর্্শগত’ নকশা
মানুষ বাসগৃহ ছাড়়া হয়়ে পড়়েন। ৬৫০০ জন মানুষ মিজো�োরামে তৈরির দায়়িত্ব নেয় আরএসএস। আক্রমণের একমাত্র ইস্্যযু মো�োটেই
চলে যান। সরকার ৩৫৫ ধারা অর্্থথাৎ উপদ্রত এলাকা আইন এস টি স্টেটাস ইস্্যযু নয়। বীরেন সিং সরকার আরও বড় আক্রমণ
জারি করে। জারি হয় দেখামাত্র গুলি করার নিদেশ। শাসকশ্রেণীর শুরু করে এ বছরের ফেব্রুয়়ারি মাস থেকে উপজাতি কু কি এবং
মিডিয়়া এই সংঘর্্ষকে মেইতিদের সাথে কু কি-নাগাদের দাঙ্গা নাগাদের বনাঞ্চল থেকে উৎখাতের মধ্্য দিয়়ে। সরকার কু কি-নাগা
হিসাবে দেখাতে শুরু করার পরে পরেই দেখা যায় যে, অতীতের অধ্্যযুষিত বনাঞ্চলকে নির্্ববিচারে সংরক্ষিত বনাঞ্চল বলে ঘো�োষণা
ট্রাডিশন মতো�ো মণিপুরের নারীরা সংঘাতরত দুই দেওয়়ালের মতো�ো করতে থাকে। আতঙ্কিত এবং ক্ষুব্ধ বো�োধ করতে থাকেন উৎখাত
দাড়়িয়়ে পড়়েছেন। ৭মে কু কি মানুষদের হামলাবাজদের হাত থেকে হয়়ে যাওয়়া এসব মানুষরা।
বাচাতে মানবশৃঙ্খল তৈরী করেন। ২৪ মে বিষ্ণুপুর শহরে মহিলারা ফেব্রুয়়ারি মাসে মুখ্্যমন্ত্রী নিউ লামকা শহরে আসার আগে
লাঠি হাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রবেশে বাধা দেন। কারণ নিরাপত্তা মুখ্্যমন্ত্রীর সম্্ববোধনের ভেনুতে আগুন লাগায় বিক্ষুব্ধ জনতা।
বাহিনীর হাবভাব তাদের সুবিধার মনে হয়নি। সংঘর্্ষ শুরুর এক উদ্্ববোধনের জন্্য স্থির করা একটি ব্্যযায়ামাগারকে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ
সপ্তাহ বাদে মহিলা দো�োকানদাররা স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে না করা হয়। এই ঘটনা ঘটে Indigeneous Tribal Leaders
আসা সত্ত্বেও একরকম জো�োর করে ‘নুপি কেইথেল’ নামে দেনিক Forum (ITLF)’ এর ডাকা সর্্ববাত্মক বন্ধের ১১ ঘন্্টটা আগে।
বাজারে জিনিসপত্র বিক্রি শুরু করে দেন। অর্্থথাৎ , দেখা গেল বন্ধ ডাকা হয় উচ্্ছছেদের বিরুদ্ধে সরকারি উদাসীনতার প্রতিবাদে।
10
কু কি ছাত্র সংগঠনের জি এস মিঃ ডি জে হাওকিপ সংবাদসংস্থা পি তা কিন্তু তখন কো�োন বাধা হয় নি। ২০০৪ সালের ১১ জুলাই আসাম
টি আই’কে জানান যে, পার্্বত্্য জেলাগুলির কয়়েকটি অঞ্চলকে রাইফেলস-এর সেনারা নির্্মমভাবে ধর্্ষণ করে খুন করে। জ্বলে ওঠে
সরকার সংরক্ষিত বা নিরাপত্তার জন্্য চিহ্নিত বনাঞ্চল বলে ঘো�োষণা সারা মণিপুর। ১৫ জুলাই ২০০৪ কাংলা দুর্্গগের সামনে ১২ জন মণিপুরী
করার ফলে শত শত কু কি সেখান থেকে উচ্্ছছেদ হয়়েছেন। ৬০ নারী সংগঠিত করেন ঐতিহাসিক নগ্ন প্রতিবাদ, যা বিশ্বজুড়়ে ঝড়
সদস্্যযের মণিপুর বিধানসভায় কেবল চু ড়়াচাঁদপুর অঞ্চল থেকে তো�োলে। পুরুষদের এবং পরিবার-পরিজনকে না জানিয়়ে একেবারে
কু কি প্রতিনিধির সংখ্্যযা ৬ জন। তাদের মন্ত্রীসভা থেকে বেরিয়়ে এসে একক মুষ্টিবদ্ধ সাহসে এই প্রতিবাদ সংগঠিত হয়। জনগণের প্রতিবাদের
উচ্্ছছেদ ইস্্যযুতে তাদের অবস্থান ব্্যযাখ্্যযা করার নির্্দদেশ দিয়়েছেন। মার্্চ অস্ত্রাগারে যুক্ত হয় এক অভিনব হাতিয়়ার। পাশাপাশি চলতে থাকে
মাসে কাংকো�োপকি জেলার টমাস গ্রাউন্ডে বনভূমি থেকে উচ্্ছছেদের ইরম শর্্মমিলা চানুর আমরণ অনশন। বস্ততপক্ষে, AFSPA - বিরো�োধী
বিরুদ্ধে প্রতিবাদীরা একটি মিছিল সংগঠিত করার চেষ্টা করলে সংগ্রামে গনগনে আগুনের উত্তাপ যুক্ত হয় এই সময়়েই।
একটি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। মিছিলে ৫ জন আহত হয়। এর পর বিজেপি’র মতো�ো একটি অতিদক্ষিণপন্থী শাসকশ্রেণীর দল
রাজ্্য মন্ত্রীসভা কু কিদের সমর্্থনভিত্তিক দুটি জঙ্গি সংগঠন কু কি আরএসএস-এর গো�োপন নেটওয়়ার্্ক মারফত দাঙ্গা বাধিয়়ে এটাকেই
ন্্যযাশানাল আর্্মমি এবং জো�োমি রিভলুশানারি আর্্মমির সাথে ত্রিপাক্ষিক ধ্্ববংস করতে চাইছে। বিজেপি জনগণের বিদ্্ররোহকে সরাসরি সামরিক
অনাক্রমণ সংক্রান্ত আলো�োচনা বন্ধ করে দেয়। এই যুদ্ধবিরতির ভাবে দমন করার আগে জনগণকে বিভাজিত করার কৌ�ৌশলও
আলো�োচনার শুরু এক দশক আগে এবং আলো�োচনায় তিন পক্ষ ছিল অবলম্বন করে। এক্ষেত্রেও এরা সেটাই করেছে। ওরা যে সফল
কেন্দদ্র, রাজ্্য এবং কু কি জঙ্গি সংগঠনগুলি। মন্ত্রীসভা জো�োরের সঙ্গে হয়নি তার সবচেয়়ে বড় প্রমাণ দুই সম্পপ্রদায়়ের নারীদের নিরন্তর
বলেছিল যে, তারা সরকারের বনজ সম্্পদ রক্ষা এবং পো�োস্ত চাষের সংগ্রামী সক্রিয় ভূমিকা। আমরা যদি ভাবি বিজেপি শুধুমাত্র ক্ষমতায়
প্রশ্নে কো�োন আপো�োষ করবে না। বাস্তবে রাজ্্য সরকার আশ্বাসের থাকার উদ্দেশ্্যযে নিজের স্বপক্ষে ভো�োটব্্যযাাংক নিয়ে চিন্তিত, তা
রাস্তা থেকে একেবারেই সরে এসেছে। একেবারেই আংশিক সত্্য। বিজেপি’র গভীরতর অভিসন্ধি রয়েছে।
বিজেপি যেখানেই ক্ষমতায় থেকেছে তার অনুকূলে গল্প বদলে কি সেই অভিসন্ধি? মণিপুরের ভারত-সংযুক্তির সময় থেকেই যে
দেওয়়ার জন্্য ‘ভাগ কর, শো�োষণ কর’ - নীতি অনুসরণ করে আসছে জাতিসত্তার সংগ্রাম জারি রয়়েছে, যাকে সামরিক ভাবে মো�োকাবিলা
২০১৪ সাল থেকে। মেইতি সম্পপ্রদায় এবং চিন-কু কি-মিজো�ো-জো�োমি করার জন্্যই জারি হয়়েছে AFSPA এবং এই আদ্্যন্ত জনবিরো�োধী
সম্পপ্রদায়কে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়়িয়়ে দেওয়়া সেই নীতিরই আইনের বিরুদ্ধে মণিপুরের জনগণ ঐক্্যবদ্ধভাবে দাতে দাত
অংশ। এবারেও ১১ এপ্রিল ইম্ফলের উপজাতি কলো�োনিতে ৩টি কামড়়ে সংগ্রাম করে যাচ্্ছছেন; বিজেপি-আরএসএস-সংঘপরিবার
গির্্জজা সরকারিভাবে ভেঙে দেওয়়া এমনই এক পদক্ষেপ। আমরা এই বিকল্প জনপরিসরকেই ধ্্ববংস করতে চাইছে। এই লক্ষ্যেই তারা
যাদের সেভেন সিস্টার্্স বলি তাদের জনগণের প্রতি বৈষম্্যমূলক মণিপুরী জনগণের মধ্্যযেকার ethnic contradiction- কে খুঁচিয়়ে
ব্্যবহার বিজেপি সাম্পপ্রতিক সময়ে শুরু করেছে এমন নয়। এর শুরু তো�োলার খেলা শুরু করেছে। মণিপুরে শান্তি ফিরিয়়ে আনার দাবির
কংগ্রেসের দ্বারা। এই জনগণকে জব্দ করার জন্্যই কংগ্রেস ১৯৫৮ সাথে সাথে নিঃশর্্ত AFSPA -প্রত্্যযাহার করার দাবি এবং দ্বিপাক্ষিক
সালে চালু করে Armed Forces Special Power Act বা AFSPA। আলো�োচনার মাধ্্যমে মণিপুরী জাতিসত্তার ন্্যযায়সঙ্গত দাবিগুলি পূরণ
এই আপাদমস্তক জনবিরো�োধী আইনের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক করার দাবিও উত্থাপন করতে হবে। আংশিক এবং সাময়়িক নয়, চাই
লড়়াইয়়ের সূচনা করেন মণিপুরী জনগণ ঐক্্যবদ্ধ ভাবেই। যাকে এখন সমস্্যযার সার্্ববিক এবং স্থায়়ী সমাধান।
‘ethnic faultline’ বা ‘আদিম অধিবাসীদের দুর্্বল গ্রন্থি’ বলা হয়,

11
মণিপুরে বিভাজনের রাজনীতি কেন
প্রদীপ দত্ত

মণিপুরে তেল উত্্ততোলন, চু নাপাথর কি ক্্ররোমাইট খনন এবং অয়়েল বিচ্্ছছিন্ন হয়়ে এখন উপত্্যকায় মিশেছে, এতেও সরকারের উপর
পাম চাষ; সবই হবে মূলত কু কি অধ্্যযুষিত অঞ্চল জুড়়ে। কু কিরা আদিবাসীদের সন্্দদেহ বেড়়েছে। ক্ষমতায় থাকার উদ্দেশ্্যযে সরকার
এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা বীরেন সিং ভো�োটের দিকে তাকিয়়ে সংখ্্যযাগরিষ্ঠদের খুশি করছে।
-এর চক্ষুশূল।নাগারাও এসবের বিরো�োধী, তবে তারা কু কিদের চেয়়ে কিন্তু প্রশ্ন হল মেইতি ও কু কিদের মধ্্যযে চরম বিভাজন ঘটিয়়ে,
সংখ্্যযায় বড় এবং তাদের জন্্য নাগাল্্যযান্ড কথা বলবে।কু কিদের জন্্য কু কিদের উৎখাত ও হত্্যযা করতে এই কো�োণঠাসা আক্রমণের কারণ
বলার কেউ নেই। তাই কু কিরাই টার্্গগেট। কু কিদের সঙ্গে মেইতিদের কি শুধু তাই? মনে হয় ৩ মে থেকে শুরু হওয়়া জাতিগত হিংসার
সখ্্যতা এখন দূর অস্ত, মণিপুরে শান্তিও তাই।শাসক দল যে খেলায় উদ্দেশ্্যই ছিল পাহাড়়ের মানুষের মধ্্যযে হাড় হিম করা ভয় ধরানো�ো।
দড় তাই খেলছে, ক্রমাগত মিথ্্যযা প্রচার, মানুষে মানুষে শত্রুতার চাষ, সরকারি প্রয়ো�োজনে, মাটির নিচের তেল ও খনিজ তু লে আনতে
পরধর্্ম-অসহিষ্ণুতা। মণিপুরের জনগণ তো�ো খেলার পুতুল, তাদের এবং অয়়েল পাম চাষের জন্্য পাহাড় দখল করা অতি আবশ্্যক।
হায় হায় করা ছাড়়া উপায় কী! ভারতের অ্্যযাক্ট ইস্ট পলিসি নিয়়ে এগো�োনো�োর জন্্য আদিবাসীদের
সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীতে মণিপুর ভরে আছে এবং জমিতে মাইনিং, তেল ও গ্্যযাস অন্বেষণ, রাস্তা, রেলওয়়ে, বাঁধ
আর্্মড ফো�োর্্সসেস স্্পপেশাল পাওয়়ার অ্্যযাক্ট ১৯৫৮ চালু রয়়েছে। ইত্্যযাদি তৈরির মতো�ো পরিবেশধ্্ববংসী কাজ করে আদিবাসীদের জমি
তারপরও মেইতি কু কী সমাজ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্্যযে থেকে সরিয়়ে বিস্থাপন গভীর চিন্তার বিষয়। কালাদান মাল্্টটিমো�োলাল
ক্রমাগত চরম হিংসা চলছে। পাঁচ মাস হতে চলল রাজ্্য ও কেন্দ্রীয় ট্রানজিট প্রজেক্ট ট্রাই লেটারাল হাইওয়়ে প্রজেক্ট মায়়ানমারের চীন
সরকারি নট অবস্থান নিয়়েছে, প্রধানমন্ত্রী মহিলা বিল নিয়়ে একদিনে প্রদেশ থেকে গো�োয়়া পর্্যন্ত গ্্যযাস পাইপলাইন ইত্্যযাদি সব কাজেই
তিনবার লম্বা লম্বা ভাষণ দিলেও মণিপুর নিয়়ে কথা বলার প্রয়োজন প্রভাবিত হবে প্রধান অঞ্চল যাত্রীদের মধ্্যযে এইসব প্রকল্প জাতিগত
মনে করেননি এই দুর্্ভভাগ্্যজনক পরিস্থিতিতে বিভাজন শত্রুতা এবং উত্তেজনা বাড়়িয়়েছে ওদিকে নিজের পরিকাঠামো�ো এবং বিনিয়োগ
অবিশ্বাসের বাতাবরণে মণিপুরবাসীর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। রক্ষার জন্্য ভারত মায়়ানমারের চীন প্রদেশের কু কি চীন সমাজের
মণিপুরে বর্্তমান অবস্থার তিনটি কারণ রয়়েছে প্রথমটি এপ্রিল প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে বিভাজনের রাজনীতি করছে।
মাসে হাইকো�োর্্টটে র রায়। দ্বিতীয়, মায়়ানমার থেকে রো�োহিঙ্গা সহ বহু মাটির নিচে মজুদ তেলের বিচারে মণিপুর গো�োল্ডেন ল্্যযান্ড ২০১০
শরণার্্থথীর প্রবেশ এবং কু কিদের জনসংখ্্যযা (খ্রিস্টান ধর্্মমাবলম্বীদের সালে কেন্দ্রের পেট্্ররোলিয়়াম ও প্রাকৃতিক গ্্যযাস মন্ত্রক অয়়েল অ্্যযান্ড
সংখ্্যযা) দ্রুত বৃদ্ধি-এই পরিকল্পিত রটনা; সঙ্গে মেইতি জঙ্গিবাহিনী গ্্যযাস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে সে রাজ্্যযের জিরিবাম পূর্্ব ইনফল
আরামবাই টেঙ্গল ও মেইতি লুপেনকে বীরেন সিং এর মদত। তৃ তীয় এবং চু রা চা ঁদপুর জেলার দুটি ব্লকে তেল অন্বেষণ ও ড্রিলিং এর
কারণ, পাহাড়়ি বনাঞ্চল থেকে ‘বেআইনি দখলদার’ হিসাবে কু কিদের লাইসেন্স দেয় কু কীরা তার বিরো�োধিতা করছে খতিয়়ে দেখলে বো�োঝা
আফিম ক্ষেত ধ্্ববংস করে সেই জমিকে সংরক্ষিত অরণ্্য বলে ঘো�োষণা যায় যেখানে হিংসাত্মক ঘটনা বেশি ঘটেছে সেইসব অঞ্চলেই জমি
করা এবং কু কিরা ড্রাগের ব্্যবসা করছে বীরেনের এই অভিযো�োগ। দখল ও অর্্থনৈতিক স্বার্্থ বেশি ছিল।
কিছু কাল আগে সরকার পাহাড় ও উপত্্যকার অংশের হিসাবে ২০০৬ সালের ফরেস্ট রাইটস অ্্যযাক্ট বদলে আদিবাসীদের
বদল এনেছে। আগে পাহাড়়ের অংশ ছিল এমন অনেক এলাকা বিধিবদ্ধ অধিকার অগ্রাহ্্য করে রাজ্্যযে লাইনস্্টটোন ক্্ররোমাইট তামা
12
ও নিকেল খননের তো�োড়জো�োড় শুরু হয়়েছে। পরিবেশগতভাবে এবং প্রশাসনে মেইতি প্রাধান্্য বজায় রয়়েছে সরকারি ভবন গুরুত্বপূর্্ণ
ভঙ্গুর মণিপুরের পাহাড়়ে এই খনন আদিবাসীদের জীবনে বিপর্্যয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল অফিস অন্্যযান্্য পরিকাঠামো�ো ব্্যবসা-
ডেকে আনবে। কু কীরা এসবেরও বিরো�োধিতা করছে। যেসব পাহাড়়ি বাণিজ্্য রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সবই রয়়েছে মূলত উপত্্যকায় ।
জেলায় তীব্র হিংসা হয়়েছে এবং যেখানে খনিজ রয়়েছে সেই অঞ্চলে মেইতেই সমাজের উন্নতি পাহাড়়ের মানুষের তু লনায় অনেক বেশি।
শতকরা আশি থেকে ৮৫ শতাংশ খ্রিস্টানদের বাস তাই তাদেরই যে ভারতের ডেভলপমেন্্ট অফ নর্্থ ইস্ট রিজিয়ন(ডিও এন ই আর)
আক্রমণ করা হয়়েছে তা কাকতালীয় নাও হতে পারে। তাই মনে হয় রিপো�োর্্ট অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে মণিপুরের পাহাড়়ের মানুষের অবস্থা
এই সংঘর্্ষষের পিছনে অশুভ খেলা চলছে। উপত্্যকার তু লনায় বেশ করুন মেইতিরা আইনসভা, প্রশাসন
জিওলজিক্্যযাল সার্্ভভে অফ ইন্ডিয়়া (জি এস আই) এবং মিনিস্ট্রি এবং বিচার বিভাগের সিংহভাগ পদে রয়়েছে । কু কিলা মনে করে
অফ মাইন্স এন্ড মিনারেলস মণিপুরের ভূ তাত্ত্বিক ম্্যযাপ তৈরি করেছে মেইতিরা তাদের সম্্পদে ভাগ বসাতে চায় তারা তফসিলি উপজাতি
চু নাপাথর chromide নিকেল তামা ম্্যযারাসাইট ম্্যযাগনেটাইট এবং এসটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়়ে পাহাড়়ে বসবাস শুরু করলে মনো�োযো�োগ
প্ল্যাটিনাম গ্রুপের নানা খনিজ চিহ্নিত হয়়েছে গিয়়ে ডিএসআইয়়ের সম্্পদ ধ্্ববংস হবে জমির উপর চাপ বাড়বে, পড়়াশো�োনা ও চাকরির
হিসাবে সেরা যে ২ কো�োটি টন চু নাপাথর রয়়েছে। উখরুল জেলায় জন্্য সংরক্ষণের যে সুবিধা রয়়েছে তাতে ভাগ বসাবে। তবে রাজ্্যযে
তিনটি তিন নৌ�ৌ পাল ও প্্যযান্ডেল জেলায় সাতটি গ্রামের মাটির নিচে দুর্্ননীতি যে উচ্্চতায় পৌ�ৌঁঁছেছে তাতে আদিবাসীদের চাকরি পাওয়়াই
তার রয়়েছে । বুরো�ো অফ মাইন্সের হিসাবে ওই তিনটি জেলাতেই মুশকিল তফসিলি উপজাতিদের জন্্য সংরক্ষিত সরকারি চাকরিও
৬৬ পয়়েন্্ট ছয় লক্ষ টন ক্্ররোমাইট মজুত রয়়েছে। অন্্যদের দেওয়়া হয়়েছে।।
এছাড়়া ইম্ফল চৌ�ৌবল বিষ্ণুপুর চু ড়াচা ঁদপুর চেন্ডেল এবং নানা অসুবিধার কারণে কু কিদের মধ্্যযে যারা প্রতিষ্ঠিত হয়়েছে
উখরুলে মো�োট ছটি জেলার ৬৬ হাজার ৬৫২ হেক্টর জমিতে ওয়়েল তারাও পাহাড়়ে থাকতো�ো না। সেখানে রাস্তা ব্রিজ কলেজ বিশ্ববিদ্্যযালয়
পাম গাছ লাগানো�ো হবে একই গো�োত্রের গাছ ও নারকেল চাষের হাসপাতাল এবং চাকরি নেই।
জন্্য আরো�ো ৭ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমি চিহ্নিত করা হয়়েছে পাহাড়়ি মণিপুর ল্্যযান্ড রিফর্্ম এক্ট এবং সংবিধানের ল্্যযান্ড রিফর্্ম এক্ট
জেলায় এসবের বিরুদ্ধে কু কিরা প্রতিরো�োধ গড়়ে তু লছে। ১৯৬০ এর ৩৭১ সি ধারায় পাহাড়়ে কু কি নাগা ইত্্যযাদি উপজাতির
ভূমি সংরক্ষিত। একমাত্র এসটি ঘো�োষিত হলেই মেইতেই রা পাহাড়়ে
পাহাড় ও সমতলের ভাগ জমি কিনতে এবং বেচতে পারবে। আদিবাসীদের বৃহৎ অংশ গরিব,
দি ওয়ায়ার পত্রিকায় লিয়়েন চো�োংংলই লিখেছেন ইতিহাসে দেখা অশিক্ষিত, রাজনৈতিক প্রভাব ও কম - তাদের ভয় ছিল তু লনায়
গেছে কু কীরা বরাবর মেইতেই রাজার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্্পর্্ক রেখেছে। ক্ষমতাশালী ও উপস্থাপণ্্য মেইতিরা এস টি স্বীকৃতি পেলে পাহাড়়ের
রাজার বাহিনীতে কু কিদের না নিয়়ে কো�োন অভিযান সফল হয়নি জমি কিনতে প্রভাব খাটাবে। উপত্্যকায় বসবাসকারী মেইতেই
পাহাড়়ে অঞ্চল কো�োন কালেই পুরো�োদস্তুর মনিপুরী রাজত্বের অন্তর্্ভভুক্ত দের সভ্্যতা ২০০০ বছরের, তারা মণিপুরের অগ্রণী জাতি।
ছিল না। ওদিকে ব্রিটিশ আমলে উপত্্যকার রাজত্ব পরিণত হয়়েছিল
রাজ্্যযের উন্নয়নের কাজ হয় মূলত সমতলকে ঘিরে, মেইতি ভাষা
স্টেট দরবারে সেখানে মেইতেই রাজা ছিলেন প্রেসিডেন্্ট। পাহাড়
ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম সিডিউল অনুযায়়ী ২২ টি ভাষার একটি।
এক ব্রিটিশ অফিসারের অধীনে স্বতন্ত্র ভাবে শাসিত হতো�ো।
এহেনমেইতিদের নেতারা ঠিক করেন যে পাহাড়়ে আদিবাসীদের
অশীতি পর লেখক ও গবেষক এবং গুয়়াহাটির নর্্থ ইস্টার্্ন
সো�োস্্যযাল রিসার্্চ সেন্্টটারের দিরেক্টর ফাদার ওয়়াল্্টটার ফার্্ননান্ডেজ জমি পেতে হলে নিজেদের সম্পপ্রদায়কে এসটি হতে হবে তাই ২০১২
দ্্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লিখেছেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরো�োপে সাল থেকে তারা এসটি তালিকাভু ক্ত হওয়়ার দাবি জানিয়়ে আসছে
গিয়়ে ব্রিটিশ সেনার কু লি হতে না চাইলে ব্রিটিশরা তাদের আক্রমণ তবে এস সি এবং ওবিসি হিসাবে মেইতিদের জন্্য সংরক্ষণ রয়়েছে।
করে।। ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ সাল পর্্যন্ত 3 বছর অ্্যযাাংলো�ো কু কি যুদ্ধে মেইতিরা দাবি করে যে প্রেসিডেন্্টস কনস্টিটিউশন (সিডিউল
ব্রিটিশরা উত্তর-পূর্্ব ভারত থেকে তাড়়িয়়ে কু কিদের যাযাবর বানিয়়ে ট্রাইব) অর্্ডডার, ১৯৫০-এ তাদের অন্তর্্ভভুক্ত করা হয়নি। অথচ যখন প্রথম
ফেলে নিজ তৈরি করে উকিরা আদিবাসীদের জমি দখল করেছে ব্্যযাকওয়়ারড ক্লাসেস কমিশন (বিসিসি বা কেল্কার কমিশন) প্রতিটি
মণিপুরের বহু মানুষ এখনো�ো মনে পড়়ে কু কিরা শরণার্্থথী এর ফলে রাজ্্য এবং কেন্দদ্রশাসিত অঞ্চলে শিডিউল্ড ট্রাইব (মডিফিকেশন)
জাতিগত সম্্পর্্ককে জটিলতা তৈরি হয়়েছে এবং ধারণা তৈরি হয়়েছে তালিকায় অন্তর্্ভভুক্ত হতে চাওয়়া জনজাতিদের নাম চেয়়ে পাঠায়,
যে পাহাড়়ে তাদের জমির অধিকার ছিল না। মেইতিরা তা চায়নি বলে নিজেদের অন্তর্্ভভুক্ত করেনি। তারা বলতে
রাজ্্যযের যা কিছু সম্্পদ ভো�োগ করে মূলত ইম্ফল উপত্্যকার পারেনা সে সম্বন্ধে কিছু জানতো�ো না, কারণ তাদের একাংশ ওই
মেইতেই সম্পপ্রদায় দীর্্ঘকাল ধরে মণিপুরের সরকার রাজনৈতিক নেতা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়়ী সিডিউল কাস্ট হয়়েছে। পরিবর্্ততিত লিস্ট
13
1956 সালে তৈরি হয়। ৬ দশক পেরিয়়ে তারা আজ দাবী করছে, মে’র ঘটনা কু কিদের চো�োখ খুলে দেয়। তাদের যেভাবে আক্রমণ
তারাও পিছিয়়ে থাকা জনজাতি এবং যাদের তারা অপমানজনকভাবে করা হয়়েছে তার প্রতিবাদে ১০ জন কু কি বিধায়ক যৌ�ৌথ বিবৃতিতে
‘হাও’(উপজাতি) বলে ডাকে তারা তাদের সমগো�োত্রীয়। নিজেদের জন্্য ‘স্বতন্ত্র প্রশাসন’ এর দাবি জানায়। তবে স্বতন্ত্র
কিন্তু তারা কেন এসটি হতে চাইছে?দি ওয়ায়ার পত্রিকার প্রশাসন নতু ন কো�োন দাবি নয়। স্বশাসিত জেলা কাউন্সিল, যা
সাংবাদিক করন থাপারকে এক সাক্ষাৎকারেমেইতি এমএলএ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে, পর্্যবেক্ষণে এবং অর্্থ চলবে তা আইন
নিশিকান্ত সপম পরিষ্কার বলেছেন ‘দ্্য জব ইজ আনাদার থিং, অনুযায়়ী পরিচ্্ছন্ন প্রশাসন। প্রশাসনের নির্্ববাচন সরকারের হাতে
দ্্যমেইন থিং ইজ ল্্যযান্ড’। থাকে। কিন্তু সরকারের সে ব্্যযাপারে আগ্রহ নেই। অথচ আদিবাসী
সংবিধান অনুযায়়ী কো�োন সমাজ বা জনজাতির এসটি লিস্টে এলাকা যদি পুরো�োদস্তুর স্বশাসিত হতো�ো এবং জেলা কাউন্সিল
অন্তর্্ভভুক্ত হওয়়ার সুযো�োগ নেই। কেলকার কমিশন বিষয়টা থাকতো�ো তাহলে আদিবাসীরা ভালো�ো থাকত।
পুরো�োপুরি ছেড়়ে রেখেছিল রাজ্্যযের হাতে। কমিশন প্রতিটি রাজ্্য ও
বিরেনের আফিম ও ড্রাগ নীতি এবং কু কিদের উপর হামলা
কেন্দদ্রশাসিত অঞ্চলকে প্রশ্নপত্র পাঠিয়়েছিল। অনেক প্রশ্নের মধ্্যযে
কয়়েকটি ছিল ‘আপনি কি মনে করেন প্রেসিডেন্্টটের অর্্ডডারে এসসি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নেদারল্্যযান্ড ভিত্তিক এক আন্তর্্জজাতিক
বা এসটিদের যে লিস্ট রয়়েছে তাতে কো�োন পরিবর্্ত ন দরকার? তা প্রতিষ্ঠানের রিপো�োর্্ট থেকে জানা গেছে, মণিপুরে সবচেয়়ে বেশি পপি
যদি হয় তাহলে উপরে উল্লেখ করা দুটি লিস্টের (এস সি এবং এস চাষ হয় তিনটি জেলায় সইকু ল, উখরুল এবং চ্্যযান্ডেলে। সইকু লের
টি) মধ্্যযে কো�োন জাতি বা সমাজকে অন্তর্্ভভুক্ত করতে বা বাদ দিতে অধিকাংশই কু কি, তবে বাকি দুটি জেলায় বেশি থাকে নাগারা।
চান? দয়়া করে কারণ বলুন। আপনার রাজ্্য সরকার কি বর্্তমান মণিপুরে বিজেপির প্রথম মেয়়াদ শুরু হয় ২০১৭ সালে। সেই থেকে
লিস্টে কো�োন উপজাতি, জাতি বা সমাজের অন্তর্্ভভুক্তির জন্্য অথবা সরকার ১৫,৫০০ একর পপি খেত ধ্্ববংস করেছে। শতকরা ৮৫ ভাগ
বাতিল করার সুপারিশ করেছে?’ ক্ষেতই কু কিদের।
বেশিরভাগ মেইতিরা নিজেদের সনামহিমেইতিদের (১) ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়়ারি বনদপ্তরের এক নো�োটিশ অনুযায়়ী
(অস্্পপৃশ্্য এবং প্রথাগত ধর্্ম মেনে চলে) একই স্তরের মনে করে না। চূড়াচা ঁদপুর ও নো�োনে জেলার সীমান্তের কেসংজাম গ্রামের মানুষকে
অস্্পপৃশ্্যতার বিচারে মেইতি সমাজের সনামহিদের এস সি তালিকায় উৎখাত করা হয়। নো�োটিসে বলা হয় গ্রামের মানুষ চূড়়াচা ঁদপুর-খৌ�ৌপুম
নাম রয়়েছে। তারা মেইতি হলেও বাকি দ্বিজদের তু লনায় অস্্পপৃশ্্য। সংরক্ষিত অরণ্্যযে ঢু কে পড়ছিল। চূড়াচা ঁদপুর জেলার কু ংপিনাওসেন
দ্বিজদের জন্্য এস টি স্টেটাস চাওয়ার কো�োনও সুযো�োগ নেই। গ্রামের মানুষদেরও একই কারণে গ্রাম খালি করে দিতে নো�োটিশ
এই অবস্থায় নিজেদের এসটি হিসেবে অন্তর্্ভভুক্ত করার দাবি দেওয়়া হয়। রাজ্্য সরকার এইভাবে বনবাসী আদিবাসীদের উৎখাত
নিয়়ে হাইকো�োর্্টটে মামলা করলে কো�োর্্ট রাজ্্য সরকারকে নির্্দদেশ দেয় করছে। কু কিদের উৎখাত করার জন্্য প্রতিবাদ চলছিল।
মেটে এসটি করার সুপারিশ যেন কেন্দ্রের মিনিস্ট্রি অফ ড্রাইভার ১৯৬৬ সালে ওই অরণ্্যকে সংরক্ষিত হিসেবে ঘো�োষণা করা
অ্্যযাফেয়়ার্্স এর কাছে পাঠানো�ো হয়। (২) পরে অবশ্্য সুপ্রিম কো�োর্্টটে র হয়়েছিল। সরকারের মতে, ওইসব বসতির অনুমতি দিয়়েছিলেন
প্রধান বিচারপতি বি ওয়়াই চন্দদ্রচুর হাইকো�োর্্টটে র ওই নির্্দদেশকে যে আধিকারিক তা ঁর সে যো�োগ্্যতা ছিল না, সরকার বেআইনি
‘কমপ্লিটলি ফ্্যযাকচুয়ালি রং’ বলে জানান কারণ ওই রায়়ের ক্ষেত্রে দখলদার উচ্্ছছেদ করেছে। কু কিদের অভিযো�োগঃ নিয়ম মেনে
এসটি লিস্টে নাম তো�োলার যে পদ্ধতি সংবিধানে খুব পরিষ্কারভাবে তৈরি হওয়়া সত্ত্বেও ওই অভিযানে অনেক বাড়়ি ও গির্্জজা ভেঙে
বলা আছে তা মানা হয়নি। দেয়়া হয়়েছে। জনজাতিরা মনে করে তাদের বংশানুক্রমিক ভিটে
তার আগে কু কিদের জমি ও জীবিকা নিয়়ে উত্তেজনার মধ্্যযেই থেকে কো�োন আলো�োচনা ছাড়়াই অকারণে সরকার জো�োর করে
ইম্ফল উপত্্যকায় কয়়েকটি গির্্জজা ভেঙে ফেলার জন্্য বিষয়টি হিন্্দদু উৎখাত করেছে। যাকে সরকার বলছে এনক্্ররোচমেন্্ট জনজাতিরা
খ্রিস্টান সাম্পপ্রদায়়িক রং নিয়়েছিল। তারপর কু কি-নাগা সহ (৩) তাকে বলে সেটেলমেন্্ট। মার্্চ মাসে এর বিরুদ্ধে ইঞ্জিনাস ট্রাইবাল
পাহাড়়ের বিভিন্ন আদিবাসী; একই ধর্্মবিশ্বাস খ্রিস্টধর্্মকে কেন্দদ্র করে লিডারস ফো�োরাম (আইটিএলএফ) এবং কু কি স্টুডেন্্টস ইউনিয়ন
রাজ্্য সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্্যবদ্ধ আদিবাসী প্রতিবাদ গড়়ে তু লেছিল। (কেএসইউ) পাহাড়়ি জেলা চূড়়াচা ঁদপুর, উখরুল, টেকনৌ�ৌপাল ও
হাইকো�োর্্টটে র নির্্দদেশের বিরুদ্ধে ৩ মে পাহাড়়ি অঞ্চলের সমস্ত জিবিরামে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। দিল্লির যন্তর মন্তরেও
জেলার হেড কো�োয়়ার্্টটারে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্্টস ইউনিয়ন মণিপুর একই সমাবেশ হয়।
সলিডারিটি মার্্চ এর ডাক দিয়়েছিল। ওই ইউনিয়নে নাগারাও এ বছর মার্্চ মাসে এক সাক্ষাৎকারে মুখ্্যমন্ত্রী বলেছিলেন,
রয়়েছে। কিন্তু আক্রমণ করা হয়়েছে, শুধু কু কিদের। এরপর ৩ এইসব লো�োকেরা সর্্বত্র অনধিকার প্রবেশ করছে, রিজার্্ভড ফরেস্ট,

14
প্্ররোটেক্টেড ফরেস্টে পপি চাষ করছে। বিরেনের ‘ড্রাগের বিরুদ্ধে জঙ্গিগো�োষ্ঠী বেকায়দায় পড়়ে। তাই তারাও সরকারের উপর রুষ্ট।
যুদ্ধ’কে কু কীরা মনে করে তাদের টার্্গগেট করা হচ্্ছছে, তাদের বিরুদ্ধে অনেকে এই তথ্্য উড়়িয়়ে দিয়়ে বলে, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কু কি
মেইতিদের আক্রমণ। মুখ্্যমন্ত্রী পপি চাষের সঙ্গে অবৈধ মাইগ্রেশন জঙ্গিগো�োষ্ঠীরা সাসপেন্সন অফ অপারেশনস (এসওও) স্বাক্ষরকারী।
এবং বো�োরন অঞ্চলে অনধিকার প্রবেশের কথা বললে কু কিরা তারা পো�োস্ত চাষের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে বিবৃতি
আরও নিশ্চিত হলো�ো। ‘ড্রাগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’কে যেভাবে কার্্যকর দিয়়েছে। এস ও ও’র স্বাক্ষরকারী কু কি ন্্যযাশনাল অর্্গগানিজেশন
করা হয়়েছে, মুখ্্যমন্ত্রী নিজে কু কিদের প্রতি যেসব কথা বলেছেন পো�োস্ত চাষ নিয়়ে কঠো�োর অবস্থান নিয়়ে ৭ বছর আগেই ওই চাষ
তাতে মেইতিদের মনো�োভাব বিরূপ হয়়েছে। নিষিদ্ধ করেছে, একথা ঠিক। সতর্্ক তা না মানলে পরিণাম খারাপ
পপিচাষিদের দুষ্কৃতি বলে দাগিয়়ে দিয়়ে সমাজে ভু ল ধারণা ছড়়ানো�ো হবে বলে জানিয়়েছে। তবে যারা এসওও-তে স্বাক্ষরকারী নয়
হয়়েছে। ওই চাষে পো�োস্ত এবং আফিম দুই পাওয়়া যায়। পপি গাছের সেইসব জঙ্গিগো�োষ্ঠী পপি চাষ সমর্্থন করে এবং ওই চাষে বাধা সৃষ্টির
বীজ পো�োস্ত খাবার হিসাবে অতি উপদেয়। ওদিকে আফিম ড্রাগ না বিরুদ্ধে হুুঁশিয়়ারিও দেয়। আর্্থথিক স্বার্্থথের জন্্য এসওও স্বাক্ষরকারী
হলেও তা থেকে ড্রাগ তৈরি করা যায়। মরফিন-সহ নানা ওষুধ অথবা তা নয় এমন অনেক জঙ্গিগো�োষ্ঠীই পপি চাষে মদত দেয়।
তৈরিতেও কাজে লাগে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্্যপ্রদেশ-সহ আরো�ো কিছু
মাদকের ব্্যবসা
রাজ্্যযে তা চাষ করা হয়। পাহাড়়ে বসবাসকারী কু কি, নাগা ও অন্্য
সম্পপ্রদায় পপি চাষ করে কারণ, জুম চাষে তেমন লাভ হয় না। অন্্য বলা হয় কু কিরাই নাকি মাদকের ব্্যবসায় লিপ্ত। কিন্তু মুখ্্যমন্ত্রীর
কো�োন চাষে তাদের দুবেলার খাবার জো�োটানো�োই মুশকিল। শুধু দরিদ্র আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের কেউ কেউ এ ব্্যযাপারে গ্রেফতার হয়়ে
চাষিদের দিকে আঙ্গুল তু লে মাদক সমস্্যযা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। জেলে রয়়েছে। লিয়েন চো�োংংলো�োই দি ওয়ায়ার পত্রিকায় লিখছেন,
সমাজবিজ্ঞানী ধনবীর লাইস্রাম জানিয়়েছেন, কিছু বড়লো�োক মেইতি ২০১৮ সালে পুলিশের এএসপি থৌ�ৌনাওজাম বৃন্্দদা এক মাদকের
পপি চাষের জন্্য সবচেয়়ে বেশি টাকার যো�োগানদার। এক একর চা ঁইকে গ্রেফতার করার পরে মুখ্্যমন্ত্রীর নির্্দদেশে রাজ্্য পুলিশ তাকে
জমিতে পপি চাষ করলে ১.২ লাখ টাকা পাওয়়া যায়। পপি চাষে যা ছেড়়ে দেয়। ২০১৯ সালে মুম্বাই পুলিশ বান্ড্রাতে অস্ট্রেলিয়়ার রেজা
বিনিয়োগ হয় লাভ তার পাঁচ গুণ। অনেক দুর্্গম পাহাড়়ি এলাকায় বো�োরহানিকে ১.৮ কো�োটি টাকার এলএসডি-সহ গ্রেফতার করে। ‘দ্্য
এই চাষই মানুষের একমাত্র আয়়ের উৎস। তা যদি বন্ধ করতে হয় ফ্রন্্টটিয়়ার মণিপুর’ জানিয়়েছেন যে বিরেন সিং সরকার বো�োরহানিকে
সরকারকে চাষীদের সাহায্্য করা দরকার। বিকল্প লাভজনক চাষ মণিপুর থেকে গাঁজার বীজ, ফু ল ও পাতা পরিবহনের লাইসেন্স
শেখাতে সরকারের কো�োন উদ্যোগ নেই। কী করা যাবে, কী যাবে দিয়়েছিল। ইমফলের এক মেইতি বিধায়ক রাজ্্য সরকারের মাদকের
না তা বলে দিয়়ে, সরকারের বরং তাদের লাইসেন্স দেওয়়া দরকার। বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়়ে গুরুতর সন্্দদেহ প্রকাশ করেছেন। ২০১৯
পাহাড়়ের সংরক্ষিত অরণ্্যযে কু কিদের অনধিকার প্রবেশ সালের মে মাসের ১৯ তারিখে ৫০ কেজি আফিম সহ দুই মেইতি
নিয়়ে মুখ্্যমন্ত্রীর কথার পরিপ্রেক্ষিতে ১২ এপ্রিল বিজেপি বিধায়ক নাগরিককে দিল্লী পুলিশের গ্রেফতার করা নিয়়ে ওই বিধায়ক রঘুমণি
পাওলিয়েনলাল হাওকিপ চূড়াচা ঁদপুর-খৌ�ৌপুম সংরক্ষিত অরণ্্য জরিপ সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়়ারিতে লিখে
করা নিয়়ে প্রশ্ন তো�োলেন। তিনি জানান, বিষয়টি সেখানকার মানুষের জানান, মাদকের ব্্যবসায় অতি প্রভাবশালী পরিবার এবং খুব
বিপুল ক্্ষষোভের কারণ। যেহেতু সেখানে ফরেস্ট সেকশন অফিসার শক্তিশালী রাজনৈতিক পরিবাররা জড়়িত।
(এফএসও) নেই তাই আইন অনুযায়়ী অ্্যযাসিস্ট্যান্্ট সেটেলমেন্্ট ড্রাগ বা মাদকের সমস্্যযা, মণিপুর বাশির কাছে গুরুতর সমস্্যযা।
অফিসারই (এএসও) সিদ্ধান্ত নেওয়়ার বিধিবদ্ধ অধিকারী। সরকার আশি ও নব্্বইয়়ের দশকে হিরো�োইন থেকে এইচআইভির সংক্রমণে
ওই সংরক্ষিত অরণ্্য থেকে অনেকগুলি গ্রামকে বাদ দেওয়়ার যে মণিপুর বিধ্্বস্ত হয়়েছিল। তাই রাজ্্যযের মানুষের কাছে মাদকের সমস্্যযা
নির্্দদেশ দিয়়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্্ততৃ পক্ষের (এএসও) সে নির্্দদেশ খারিজ খুবই বাস্তব। মণিপুরের অবস্থানগত বৈশিষ্ট্যের জন্্য রাজ্্যটি মাদকদ্রব্্য
করার জন্্য ফের সরকারি অনুমো�োদনের দরকার হয় না। সরকারের পক্ষ পরিবহনের সুবিধাজনক স্থান। গত দুই দশকে মণিপুরের মিয়়ানমার-
থেকে দেরিতে খারিজ করার যে কথা বলা হয়়েছে তার জন্্য জমির সংলগ্ন পাহাড়়ি অঞ্চলে পো�োস্ত চাষের অঞ্চল বেড়়েছে, গো�োল্ডেন
মালিক দায়়ী নয়। তিনি বিধানসভায় তার বক্তব্্যযে এবং চিঠিতে বিষয়টি ট্রায়়াঙ্গেল এ জো�োরদার হিরো�োইনের ব্্যবসা শুরু হয়়েছে। গো�োল্ডেন
বিস্তারিতভাবে তু লে ধরেন। তারপরও ২৬ এপ্রিল চু ড়াচা ঁদপুরে বেশ ট্রায়়াঙ্গেলের কু খ্্যযাত অঞ্চল থাইল্্যযান্ড, লাওস ও কম্্ববোডিয়়া। দীর্্ঘকাল
কয়়েকটি কু কি পরিবারকে জমি থেকে উচ্্ছছেদ করা হয়়েছে। ধরেই ওই তিন দেশে মাদকদ্রব্্যযের ব্্যবসা রমরমিয়়ে চলছে। বর্্তমানে
কু কি জঙ্গিরা সংগঠিতভাবে মাদকের জন্্য তো�োলা আদায় থাইল্্যযান্ড ও লাওস মাদক দ্রব্্যযের চো�োরাচালান থেকে সরে আসার
করে। তা নিয়়ে কঠো�োর ব্্যবস্থা নেওয়়া হলে তো�োলার টাকা কম হয়, চেষ্টা করলেও, মিয়়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশের নানা জাতিগত

15
সশস্ত্র চরমপন্থী গো�োষ্ঠীর সঙ্গে শান্তির বিনিময়়ে ড্রাগের চো�োরাচালানে সেনা অভ্্যযুত্থান হলে ফের চীন জনজাতির বহু মানুষ মণিপুরে চলে
ছাড় দেয়। ৯০-এর দশক থেকেই মিয়়ানমারের সামরিক বাহিনী জুনটা আসে। তাদের বেশিরভাগই রয়়েছে কু কি জনজাতি-অধ্্যযুষিত
মাদকদ্রব্্যযের উপর নজরদারিতে গুরুত্ব কম দেয়। গত দশকে অবস্থা পাহাড়়ি জেলা চু ড়াচা ঁদপুর, চ্্যযান্ডেল ও কাংপো�োকপিতে। সে দেশের
আরো�ো খারাপ হয়়েছে। জাতিগত মিলের জন্্য সে দেশের সশস্ত্র গো�োষ্ঠীর চিনা জনগো�োষ্ঠী এবং মিজো�োরামের মিজো�ো জনগো�োষ্ঠীর সঙ্গে মণিপুরের
সঙ্গে এপারের জঙ্গিগো�োষ্ঠীর যো�োগাযো�োগ রয়়েছে। পূর্্ব মণিপুরের পাঁচটি কু কিদের নৃতাত্ত্বিক মিল রয়়েছে। তারা বেশিরভাগই কু কি এবং
জেলা মিয়়ানমার লাগো�োয়া। সীমান্তের দৈর্্ঘ্্য ৪০০ কিলো�োমিটারের বেশি সীমান্ত অঞ্চলে থাকে। তাদের স্বীকৃত শরণার্্থথী করা দরকার। তাহলে
হলেও মাত্র ১০ শতাংশে কা ঁটাতারের বেড়়া রয়়েছে। তাই অঞ্চলটি তারা রাষ্ট্রসঙ্্ঘ থেকে কিছু সাহায্্য পাবে। কিন্তু কেন্দ্রের নির্্দদেশে
মাদক চালানের খো�োলা হাট। অভিযো�োগ, কু কি জঙ্গিগো�োষ্ঠীরা মিয়়ানমার বীরেন সিং সরকার তাদের কো�োন রকম সাহায্্য করে না। মিজো�োরাম
থেকে আসা অবৈধ কু কি অভিবাসীদের আশ্রয় দিচ্্ছছে। তারা আগে সরকার কিন্তু তাদের শরণার্্থথী হিসেবেই আশ্রয় দিয়়েছে।
থেকেই সে কাজে লিপ্ত ছিল বলে বেশি দক্ষ। তারাই স্থানীয় মানুষকে মানবাধিকার আইনজীবী নন্্দদিতা হাকসার জুন মাসে এক প্রবন্ধে
পপি চাষ এবং আফিম কিভাবে তৈরি করতে হয় তা শেখাচ্্ছছে। শরণার্্থথী সমস্্যযা নিয়়ে আলো�োচনা করেছেন। তিনি জানিয়়েছেন ওই
মিয়়ানমারের চিন প্রদেশে পপি চাষের রমরমা চিন সংলগ্ন শরণার্্থথীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মিল রয়়েছে বলে
বর্্ডডারের এপারে মণিপুরের দক্ষিণের পাহাড়়ি অঞ্চলে পপির মণিপুর ও মিজো�োরামের মানুষ এবং দুই রাজ্্য সরকার শরণার্্থথীদের
চাষ যে কতটা বেড়়েছে তার স্্যযাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়। আগে সাহায্্য করত। মণিপুরে মেইতি সহ সমস্ত সম্পপ্রদায়ই শরদার্্থথীদের
যেখানে আনারস চাষ হতো�ো এখন হয় পপি চাষ। পাহাড়়ে পপি চাষ সাহায্্য করত। শরণার্্থথী প্রবেশ বেড়়ে যাওয়়া এবং পরিচয়পত্র না
বেশি হলেও আফিমের ব্্যবসায় মুসলমান, কু কি, মেইতি, নেপালি দেওয়়ার জন্্য অনেক মানুষের ধারণা হয়়েছে শরণার্্থথীরা হয়তো�ো
সবাই যুক্ত। তারা পাহাড় থেকে আফিম কিনে এনে অন্তর-রাজ্্য তাদের জমিতেই আশ্রয় নেবে এবং তাদের সংখ্্যযার চাপে স্থানীয়রা
পরিবহনের সাহায্্যযে আফিম পাঠায় অসমে। সেখান থেকে এজেন্্ট সংখ্্যযালঘু হয়়ে যাবে।
মারফত তা সারা ভারতে ছড়়িয়়ে পড়়ে। ভারতে শরণার্্থথীদের অধিকার সুরক্ষার কো�োন আইন নেই তাই তারা
মণিপুর পুলিশ ২০১৭ সাল থেকে ট্রাক সংক্রান্ত মামলায় ২৫১৮ অবৈধভাবে পরিচয়পত্র জো�োগাড় করে রাষ্ট্রসংঘ যাদের শরণার্্থথী হিসেবে
জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্্যযে ১০০০৮৩ জন ৪৮৭৩ জন স্বীকৃতি দিয়়েছে তাদেরও বসবাসের পারমিট দেয়়া হয় না। সেই ব্্যবস্থা
কু কী আর ২৮১ জন মেয়়েছে। বাকিরা অন্্যযান্্য জাতির লো�োক। কু কি ২০১৫ সালের পর বন্ধ করে দেয়়া হয়়েছে ২০২১ সালে মায়়ানমারে
নাগা এবং মেয়়েকেইরা ব্্যযাপকভাবে পপি চাষ করে কিন্তু নিন্্দদা হয় সেরা অভ্্যযুত্থানের পর কেন্দদ্র রাজ্্যকে শরনার্্থথীদের পরিচয়পত্র দিতে
শুধু কু কিদের সব সম্পপ্রদায়কে নিয়়েই এর সমাধান খুঁজতে হবে। নিষেধ করে দিয়়েছে। বলেছে তাদের অবৈধ অধিবাসী হিসেবে দেখতে
হবে। সীমান্ত পেরিয়়ে তারা যেন না আসতে পারে তাই মিজো�োরাম
শরণার্্থথী সমস্্যযা নাগাল্্যযান্ড মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের সরকারকে সীমান্তে নজর
সরকার এবং মেইতিদের বলে, রাজ্্যযে বার্্মমিজ এবং অন্্য প্রদেশের রাখতে বলেছে। সংহতিকে উৎসাহ না দিয়়ে তাদের মানবিক সাহায্্য না
মানুষের অবৈধ অনুপ্রবেশে সংখ্্যযাগরিষ্ঠদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্্য বিপন্ন করে কেন্দদ্র মানুষের মধ্্যযে বহিরাগতের ভয় ঢু কিয়়ে দিয়়েছে বীরেন সিং
হচ্্ছছে। মুখ্্যমন্ত্রীর হিসাবে সে রাজ্্যযে প্রায় ২০০০ জন বার্্মমিজ রয়়েছে। সরকার এবং মেইতি চরমপন্থী গো�োষ্ঠী এই বিষয়টাকে উচ্্চগ্রামে নিয়়ে
তা যদি সত্্যযি হয় তাহলেও ২০১১ সালের জনসুমারি অনুযায়়ী ২৮ গেছে। জাতিগত ও ধর্্মমীয় সংঘর্্ষষের এটা একটা কারণ।
লক্ষ মণিপুরবাসীর তু লনায় সংখ্্যযাটা খুবই কম। তাছাড়়া উত্তর পূর্্ববে নন্্দদিতা হাক্সারের মতে মণিপুরের বর্্তমান অবস্থা থেকে বো�োঝা
মণিপুর সুরক্ষিত রাজ্্য। কারণ সেখানে ইনার লাইন পারমিট ব্্যবস্থা যায় দেশে শরণার্্থথী সুরক্ষা ব্্যবস্থা চালু হওয়়া দরকার। যেখানে
চালু রয়়েছে, তাই সে রাজ্্যযে ঢো�োকা এবং থাকার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ শরণার্্থথীদের জন্্য আন্তর্্জজাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়়ী
রয়়েছে। থাকতে গেলে বিশেষ পারমিট নিতে হয়। অধিকারের কথা বলা হবে। তাদের জন্্য পরিচয় পত্র চালু করা
অনেকদিন ধরে প্রতিবেশী মিয়়ানমারে সামরিক জুন্্টটার শাসন দরকার। তাহলে তাদের সঠিক সংখ্্যযাও জানা যাবে এবং লাইসেন্স
চলছে। মিয়়ানমারের নিষ্ঠু র সামরিক আমলে সে-দেশের চীন পাওয়়া তাদের বুনিয়়াদি অধিকার, যা সংবিধানের ২১ এবং ১৪ নম্বর
উপজাতির কয়়েক হাজার মানুষ পালিয়়ে উত্তর-পূর্্ববের মণিপুর ধারার অন্তর্্ভভুক্ত ১৪ নম্বর ধরা আইনের চো�োখে সো�োমা রাধিকারের
মিজো�োরামে আশ্রয় নিয়়েছিল। ১৯৯০ সালে সে দেশে কঠো�োর কথা বলে ২১ নম্বর ধারা জীবন রক্ষা ও ব্্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলে।
মিলিটারি শাসন চালু হলে সেখানকার চীন জনজাতির অনেকে শরণার্্থথী পরিযায়়ী ভ্রমণকারী যেই হো�োক না কেন এই দেশের মধ্্যযে
পালিয়়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়়ারিতে ফের যারাই রয়়েছেন সবার এই অধিকার রয়়েছে।

16
পরম্্পরা
স্বপ্না

কো�োটি কো�োটি বছর নীরব ভাঙাগড়া – ঔপনিবেশিক দখলদার – ছেঁ ড়া খো�োঁঁড়া শরীর
ভূমির ওঠানামা - পিতৃ তন্ত্রের মো�োড়ল - ছুঁড়ে দেয় পথের ধারে
আকাশছো�োঁঁয়া পর্্বতমালা প্রভু র যো�োগসাজশে উলঙ্গ রাষ্ট্রের / কাংলা দুর্্গগের দরজায়
অবিরাম বহতা স্্ররোতস্বিনী - বেড়ে চলে চালের পাচার, নগ্ন শরীর – মেয়েরা গর্্জজে ওঠে
ঘন নিবিড় গাছের সারি - মানুষকে হাতে, ভাতে মারে এসো�ো সেনাবাহিনী – আমরা সবাই
গাঢ় সবুজ বনভূমি ঔপনিবেশিক প্রভু র আমদানি থাংজাম মনো�োরমা
প্রাণময় পাহাড় পাহাড়তলি বাণিজ্্যযের ঠেলায় আমাদের ধর্্ষণ করো�ো
প্রকৃ তির মনমো�োহি কন্্যযা – আজকের মণিপুর। হাজার হাজার বছরের মাংস ছিঁড়ে খাও –
পুরনো�ো পাথরের বাঁচার মরিয়া যাপন - ঘরো�োয়া শিল্পের ধারা নয়া ফ্্যযাসিস্ট প্রভু র সেবাদাস
সময় পেরিয়ে, দুর্্মতির প্রাসাদ অলিন্্দদে – উবে যায় - ভাগ করে লুট করার জাল বিছিয়ে
হানাদারের দখলদারি চলে - পর্্বতের মাথা ছাড়ায় আজ প্রাণময় পাহাড়তলি
রাজায় রাজায় সিংহাসনের যুদ্ধে চালের দাম, নুনের দাম, ধর্্ষষিত – রক্তাক্ত – জাতিদাঙ্গায় ধ্্বস্ত
ভাগ নেয় অভিজাত অমাত্্য মেয়ের লড়াই গর্্জজে ওঠে, লুটেরা ফ্্যযাসিস্ট শেয়ালের থেকে ধূর্্ত ,
কৃ ষক নারী পুরুষ ফসল ফলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নেকড়ের চেয়ে হিংস্র।
হাতে তৈরি করার কাজে নিবিষ্ট কারিগর খিদের চাল যাবে না দা ঁত ঝলসে ওঠে – দূরে দা ঁড়িয়ে
সূর্্যযের মত নিত্্য ভাস্বর শিল্প ভূ খণ্ডের বাইরে - অদ্ভুত ত্রিপ্তির হাসি হাসে -
খবর ছড়ায় দেশান্তরে প্রভু র আসাম রাইফেলস প্রাণময় পাহাড় উপত্্যকা
বণিক আসে, রেখে যায় নুন - কাংলা দুর্্গ থেকে – সবুজ জড়িয়ে থাকা মণিপুর
ঔপনিবেশিক প্রভু র চো�োখ শুরু হয় রক্তাক্ত মেয়ের মননে আজও ঢেউ তো�োলে -
শকু নের চেয়ে ধারালো�ো – বেয়নেট আর পাথর ছো�োঁঁড়ার যুদ্ধ যৌ�ৌথতায় বেঁধে থাকার পরম্্পরা -
কা ঁচামাল সস্তা শ্রমের বাজার চায় – দুনিয়াজুড়ে ফ্্যযাসিস্টের উন্মত্ত যুদ্ধ আইরেংবাম অঙ্গবি সনাজাওবি
বণিক কো�োম্্পপানি হয়ে যায়। খতম করে শ্রমজীবী মানুষ লাইস্রম নিঞ্জল -
দন্ডধারী শাসক – নয়া ঔপনিবেশিক প্রভু র ইরাবত টিকেন্দদ্রজিত!
হ-য-ব-র-ল প্রকল্প হাতের মুঠো�োয় মণিপুর আজও জারি আছে স্বাধীনতার লড়াই
কেড়ে নেয় ভূ খণ্ড, জারি করে সেনাবাহিনীর আত্মপরিচয়ের লড়াই!
স্বাধীনতা, আত্মপরিচয়। বিশেষ ক্ষমতা আইন
প্রতিরো�োধে মেয়ের লড়াই – প্রাসাদের অলিন্্দদের যুদ্ধ
“নুপি লাল” – এখন পথে পথে
রক্তাক্ত শরীর – ছিঁড়ে ফেলে থাংজাম মনো�োরমাদের ধর্্ষষিত
বেগার খাটু নির নির্্দদেশনামা। রক্তাক্ত ক্ষত শরীর

17
গণধর্্ষণঃ মানবতার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আগ্রাসন
সাত্্যকি মজুমদার

২০২৩ সালের ১৩ মে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় তিনজন মহিলাকে সমস্ত মানুষের হাতেই লঙ্্ঘঘিত হল। কেউ কেউ আমাদের মধ্্যযে
বিবস্ত্র করে, চু লের মুঠি ধরে টেনে হেঁচড়ে তাদের বাড়ি থেকে বের তু লনামূলক ভাগ্্যবান, নির্্মমতার লেশমাত্র দেখে আর ভিডিওটি
করে এনে, একটি খো�োলা ময়দানের মধ্্যযে নিয়ে এসে গণধর্্ষণ করা দেখতে পারি নি, বন্ধ করে দিতে বাধ্্য হয়েছি।
হল। বাড়ি থেকে কারা টেনে বের করে আনল? বিজেপি শাসিত এই ২ মাস ২ দিন, মণিপুর সরকার এবং তার পুলিশ অবগত
মণিপুরের বিরেন সিং সরকারের পুলিশ। গণধর্্ষণ কারা করল – ছিল এই ভয়াবহতা সম্্পর্্ককে । অনুমান ভু ল হবে না হয়ত, মণিপুর
মণিপুরের মেইতি সম্পপ্রদায়ের সদস্্যদের একটি ধর্্ষকামী রণো�োন্মুখ পুলিশের একাধিক সদস্্য সেই ভিডিওটি এই সময়ে দেখেছেন।
জনতা। মহিলাদের নগ্ন শরীর টেনে আনার সময়ে তাদের উপর কিন্তু কো�োনও পদক্ষেপ নেন নি। ফলে ধর্্ষকামীতার উৎসবে তারাও
অকথ্্য যৌ�ৌন আক্রমণ করা হয়, গো�োপনাঙ্গে হাত দেওয়া হয় বারংবার। সামিল। সামিল বিরেন সিং-এর নেতৃ ত্বে মণিপুরের বিজেপি সরকার,
তাদের চু ল কেটে ফেলা হয়। তা ঁরা বারংবার কা ঁদতে কা ঁদতে প্রার্্থনা মণিপুরের সরকারের সাথে একাধিক উচ্্চস্তরিয় বৈঠকরত কেন্দ্রীয়
করছেন, তাদের যেন ছেড়ে দেওয়া হয়, তা ঁদের পরিবারে শিশুদের সরকারের আধিকারিকরা, গৃহমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী। যে প্রধানমন্ত্রী ২
কথা জানাচ্্ছছেন বারংবার। সমস্ত আর্্ততি উপেক্ষা করে তা ঁদের উপর মাস ৮ দিন বাদে, দেশজুড়ে নিন্্দদার ঝড় বয়ে যাওয়ার মুখে কু ম্ভীরাশ্রু
আক্রমণ জারি রইল। ধর্্ষণ, গণধর্্ষণ, নিগ্রহ, মানসিক অত্্যযাচার, ফেলে ক্ষমা চেয়েছেন।
সামাজিক সম্মানহানি, পণ্্যযায়ন করে সন্তুষ্ট হল না আক্রমণকারীরা। স্মরণ করি, সার্্ববিয়ার শিল্পী মারিনা আব্রামো�োভিচের ১৯৭৪ সালে
এই ভয়াবহ ঘটনার ভিডিও তো�োলা হল, সযত্নে সংরক্ষিত করে রাখা ইতালির নেপলসের প্লাজায় অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক অভিনয়।
হল ২ মাস ২ দিন। তারপর জনসমক্ষে সেটি ছেড়ে দেওয়া হল। ‘রিদম ০’ নামক সেই অভিনয়ে মারিনা একটি টেবিলে ৭২ টি জিনিস
তিনজন মহিলা, তাদের বয়স ২০ থেকে ৪০-এর মাঝামাঝি। রাখেন, এবং দর্্শকদের আহ্বান জানান, সেই বস্তু ব্্যবহার করে
কু কি-জো�োমি সম্পপ্রদায়ের মানুষ তা ঁরা। মুলতঃ প্্ররোটেস্ট্যান্্ট খৃষ্টধর্্মমী তা ঁর সাথে যা ইচ্্ছছা করতে পারেন। ৬ ঘন্্টটা ধরে তিনি স্থির দা ঁড়িয়ে
এই সম্পপ্রদায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রকাশ্্যযে আক্রান্ত থাকেন। দর্্শকেরা তা ঁকে বিবস্ত্র করে, গায়ে ক্ষু র দিয়ে কেটে রক্ত
হচ্্ছছে, ক্ষমতাসীন মেইতি সম্পপ্রদায়ের আগ্রাসনের দ্বারা। ১৮ মে, বের করে, বিভিন্নভাবে যৌ�ৌন হেনস্থা করে, তা ঁর গো�োপনাঙ্গে হাত
ঘটনার ৫ দিন পর, আক্রান্ত মহিলাদের একজনের স্বামী, ভারতীয় দেয়, এবং অবশেষে একটি বন্্দদুক তা ঁর হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিজের
সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্্মমী , থানায় যান এফআইআর দাখিল করতে। মাথাতেই তাক করিয়ে দেয়। কিন্তু এতেও মারিনা এক লহমাও তা ঁর
থানা দাখিল করে নি। তখন জিজ্ঞাসাবাদ করে জিরো�ো এফআইআর স্থির অবস্থান থেকে নড়েন নি। ৬ ঘন্্টটা বাদে, বিবস্ত্র, রক্তাক্ত মারিনা
করেন। সেই এফআইআর (আইনত যা পাঠানো�োর তারিখ আর হেঁটে বেরিয়ে গেলেন সেই খো�োলা প্লাজা থেকে। তথাকথিত প্রথম
দাখিলের তারিখ এক) দাখিলের ২ মাস ২ দিন বাদে উপরিউক্ত বিশ্বের সভ্্য দেশের সভ্্য নাগরিক দর্্শকেরা পালিয়ে গেলেন, কেউ
ভিডিও সমাজমাধ্্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিমেষের মধ্্যযে আন্তরজালে তা ঁর সামনে দা ঁড়াতে পারলেন না।
এই ভিডিও সংক্রামক ব্্যযাধীর ন্্যযায় ছড়িয়ে পরে দেশবিদেশের মণিপুরের এই ভয়াবহ ঘটনা আর মারিনার উপর আক্রমণের
মানুষের মধ্্যযে। এক মুহূর্্ততে র জন্্য হলেও প্রত্্যযেকে সেই ভিডিওটি মধ্্যযে সবথেকে গুরুত্বপূর্্ণ একটি পার্্থক্্য – মারিনার অনুমতি এবং
খুলেছে। এক মুহূর্্ততে র জন্্য হলেও সেই তিনজন মহিলার সম্মান সেই অনুমতির সাপেক্ষে দৃঢ় প্রত্্যয় ও অভাবনীয় সাহস। মণিপুরের
18
ক্ষেত্রে অনুমতির লেশমাত্র রক্ষা করা হয় নি, হিংস্র পাশবিক উপায়ে জাতিসঙ্্ঘঘের মতে গণধর্্ষণ যুদ্ধের সময় ব্্যবহৃত অন্্যতম
অনুমতির হত্্যযা করা হয়েছে। কিন্তু উভয় ঘটনার মধ্্যযে বহু বিষয়েই পৈশাচিক একটি যুদ্ধাস্ত্র, অত্্যযাচারের একটি হাতিয়ার। কিন্তু সেই
হাড়হিম করা সাযুজ্্য রয়েছে। দর্্শকের যে কো�োনও মুহূর্্ততে ধর্্ষক হয়ে জাতিসঙ্্ঘঘের বিচার বিভাগ, আন্তর্্জজাতিক ন্্যযায় আদালত, ২০২০
যাওয়ার সম্ভাবনা, পিতৃ তান্ত্রিক শিকড় থেকে উদ্ভুত যৌ�ৌন লালসা, সালের আগস্ট মাসে পেশ করা, নির্্ভয়ার ধর্্ষকদের মৃত্্যযুদণ্ড রো�োধের
হিংসা ও ধর্্ষকাম, এবং যৌ�ৌন নিগ্রহ দেখার প্রক্রিয়ার মধ্্যযে অংশগ্রহণ ও আবেদন পেয়ে সাজা হিসেবে মৃত্্যযুদণ্ডের বিরো�োধিতা করেছেন।
উপভো�োগ – এই তিন প্রশ্নে মণিপুরের ধর্্ষকামী আক্রমণকারীদের ও একই যুক্তি তা ঁরা রেখেছেন অন্্য ক্ষেত্রেও - বাংলাদেশ যুদ্ধের
প্রাগুক্ত নেপলসের দর্্শকদের মধ্্যযে কো�োনও পার্্থক্্য নেই। বিশ্বজুড়ে সময়কার গণধর্্ষণের সাজা বিবেচনা করার সময়ে মতামত রেখেছেন,
তাহলে, হিংসা, ভয়াবহতার একটি মূলস্্ররোত স্্পষ্ট দেখা যায়। সাজার উদ্দেশ্্য হওয়া উচিত ন্্যযায়, প্রতিহিংসা নয়। সেই যুক্তিতেই
ব্রাহ্মণ্্যবাদী পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতার বিন্্যযাস বিশ্বজুড়ে একই ধাঁচে হয়, স্বাভাবিক ন্্যযায়ের ধারণার বিরুদ্ধে যায় মৃত্্যযুদণ্ড – আন্তর্্জজাতিক
এবং শিকার হিসেবে চিহ্নিত করে মহিলা, প্রান্তিক যৌ�ৌনতার মানুষ, ন্্যযায় আদালতের অভিমতে। কিন্তু, তা ঁদের পর্্যবেক্ষণে তা ঁরা লক্ষষ্য
দলিত, আদিবাসী, বহুজন, ধর্্মমীয় সংখ্্যযালঘু , এমনকি তথাকথিত করেছেন, ধর্্ষণ এবং গণধর্্ষণ বিশেষভাবে ভয়ঙ্কর অপরাধ, কারণ
অতিরিক্ত পৌ�ৌরুষবিহীন পুরুষদেরও। এই অপরাধগুলির শারীরিক দৃষ্টিকো�োণ ছাড়াও ভয়াবহ মানসিক
মাও সে তু ং – এর বিখ্্যযাত উদ্ধৃতি, ‘মহিলারা তু লে ধরেন অর্্ধধেক ফলাফল ভিক্টিমের উপর বারবার এসে বর্্ততায়। এই ধারাবাহিক
আকাশ’ বহুল পঠিত। এই বক্তব্্যযের সাথে পাঠক মিল পাবেন বিল্কিস ট্রমা, আরও বেশি ভয়ানক হয়ে পড়ে সেই সমস্ত পরিবেশে, যেখানে
বানুর ধর্্ষকদের মুক্তির কিছু ঘন্্টটা আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দদ্র ভিক্টিমের পাশে কো�োনও পর্্যযাপ্ত সহায়ক ব্্যবস্থা থাকে না, সেই সমস্ত
মো�োদীর বক্তব্্যযের, “আমরা কি শপথ নিতে পারি না, আমাদের ব্্যবহার, পরিবেশে, যেখানে সামাজিক রক্ষনশীলতা ও মধ্্যযুগীয় চিন্তাধারার
সংস্কৃতি ও প্রাত্্যহিক জীবন থেকে সেই সমস্ত কিছু কে বর্্জ ন করতে, ভগ্্নাাংশ জনমানসে উপস্থিত থাকে। মণিপুরের ক্ষেত্রে এই দ্বিতীয়
যা মহিলাদের অসম্মান করে, অপমান করে?” কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, সত্ত্বাটি হৃদয়-বিদারক ভাবে সত্্যযি।
মৌ�ৌখিক অবস্থান এবং অভ্্যযাসের মধ্্যযে যে আকাশ-পাতাল ফারাক, জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে, যখন জনসমক্ষে আসে এই
তা কতদূর অবধি গ্রহণযো�োগ্্য? বিশেষভাবে যখন আমরা ভাবি ভিডিওটি, তখন কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন, যে যদি এই ভিডিওটির
মণিপুরের সেই সমস্ত পুলিশকর্্মমী র কথা, যারা ‘আইনের রক্ষক’ কো�োনও অস্তিত্ব না থাকতো�ো, তাহলে কি আমরা জানতে পারতাম, এই
ভারপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের হাতে তিনজন মহিলাকে তা ঁদের পর্্যযায়ের ভয়াবহতা হয়েছে? এই প্রশ্নের সরল সমাধান সম্ভব মনে হয়
ঘর থেকে বের করে এনে একটি ধর্্ষকামী জনসমাবেশের সামনে এনে না। তবে প্রশ্ন করতে ইচ্্ছছে করে, ধর্্ষণ অথবা গণধর্্ষণ কি অনুমেয়?
ফেলে দেয়। ২০২৩-এ মণিপুরে আইনের রক্ষক মানবতার ভক্ষকের এই নিরিখে তবে কি মণিপুরের পুলিশ কো�োনও আঙ্গিকে কম
রূপ ধারণ করে। যেমন বহুবার আগে করেছে, এবং কঠো�োরতম নিন্্দদা অভিযুক্ত, ধর্্ষকামী রণো�োন্মুখ মেইতি জনতার থেকে? রাজ্্য কর্্ততৃ পক্ষ
ব্্যতিরেকে যা ভবিষ্্যতে বারংবার করবে বলেই অনুমান। পুলিশের কো�োনও আঙ্গিকে কম অভিযুক্ত, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে? যে
এই নাগরিকবিরো�োধী, মানবাধিকার বিরো�োধী এমনকি মানবতা বিরো�োধী কেন্দ্রীয় সরকার এন আই এ’র নির্্বচবি ার ব্্যবহারের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রীয়
অবস্থান কি রাষ্ট্রের অবস্থানের সরাসরি ফলস্বরূপ নয়? কাঠামো�োর ভিত্তি ধ্্ববংস করে দেয়, রাজ্্যযের অনুমতির প্রয়ো�োজন, সমস্ত
মানবাধিকার লঙ্্ঘনের চরমতম নিদর্্শন, মানবতার ইতিহাসের ‘ডিউ প্রসেস’ তু ড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়, সেই কেন্দ্রীয় সরকারের
লজ্জাজনক অধ্্যযায়, মানবিকতার সমস্ত ধারনার পরিপন্থী, সভ্্যতার মণিপুরের প্রসঙ্গে পাঁচ মাস ধরে গৌ�ৌরচন্দ্রিকা এবং অনবগত হওয়ার
ভিত্তির উপর আক্রমণ – কো�োনও শব্দবন্ধেই যেন এই ভয়াবহতা অভিনয় অতি সহজেই ধরা পড়ে যায়। এ কি তবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সহ
ধরা পড়ছে না। এর বর্্ণনা যেন ভাষার ক্ষমতার বাইরে। তাই পুলিশি অত্্যযাচারের আরেকটি জঘন্্যতম নিন্্দনীয় উদাহরণ নয়?
হয়তো�ো, আজও, আমাদের এই অক্ষম ভাষায়, আমাদের নিজেদের ধর্্ষণ ও গণধর্্ষণের সংস্কৃতি ধর্্মগল্পের রক্তবীজের মতন –
অনুতাপ ঢাকার জন্্য, নিজেদের দায়িত্বহীনতা ঢাকার জন্্য আমরা কিছু তেই বলপ্রয়ো�োগে তা নির্্মমূল হয় না। এই সংস্কৃতিকে জিইয়ে
কিছু শব্দবন্ধ ব্্যবহার করে থাকি – কাণ্ড (নির্্ভয়াকাণ্ড), ঘটনা, রাখার পিছনে রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে যদি এখনও সন্্দদেহ থাকে, তবে
ইত্্যযাদি। আমরা ভাবি না, এই শব্দবন্ধের মধ্্যযে এক মুহূর্্ততে র সীমানায় কিছু প্রশ্ন নিয়ে ভাবা যেতে পারে। রাষ্ট্র চিরকাল ধর্্ষণের প্রথম
সমস্ত অত্্যযাচারকে সীমাবদ্ধ করতে সুবিধা হয়, ভু লে যেতে সুবিধা প্রতিক্রিয়া হিসেবে বলে থাকে ‘মিথ্্যযা ঘটনা’, ‘সাজানো�ো ঘটনা’-
হয়, দায় না নিতে সুবিধা হয়। যেন কু ক্ষিগত করে একটি শিরো�োপা ধরণের বিভিন্ন শব্দবন্ধ। কেন? হথরস এবং মণিপুরের ক্ষেত্রে
লাগিয়ে দিলে স্মৃতি – বিস্মৃতির গ্রন্থাগারে অদৃশ্্য করে রেখে দেওয়া যে কারণ লক্ষষ্য করা যায়, তা হল জাতিব্্যবস্থার ও জাতিভিত্তিক
যাবে, তার দিকে তাকাতে হবে না আর। নিপীড়নের পরিকাঠামো�োর দো�োর্্দণ্ডপ্রতাপ উপস্থিতি। যাকে আজ

19
অবধি টিকিয়ে রাখা হয়েছে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক অভিসন্ধি চরিতার্্থ জানাচ্্ছছেন, এই সত্ত্বারই উল্টোপিঠে রয়েছে নারীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ
করার জন্্যই। শত্রু চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ায় মিথ্্যযা মিত্র সেজে ভনিতা করার অনস্বীকার্্য বাসনা। সামাজিক, অর্্থনৈতিক বৈষম্্যযের দো�োহাই
করার বিষয়ে রাষ্ট্রের দীর্্ঘ অধ্্যযাবসায় রয়েছে। দিয়ে বিশ্লেষকেরা বলে থাকেন ধর্্ষকাম সামাজিক পরিকাঠামো�ো
স্বাধীনতা না ক্ষমতা-হস্তান্তর? একাধিক প্রজন্মের অবিশ্বাস্্য থেকে অন্তর্্গত, এর প্রতিকার করতে হবে সামাজিক সচেতনতা
ত্্যযাগ ও সংগ্রামের উপর দা ঁড়িয়ে রয়েছে স্বাধীন ভারতের পরিচয়। বৃদ্ধির মাধ্্যমে। কিন্তু সত্্যযি ভেবে দেখলে, বিগত দশ বছরে কি
কিন্তু সেই বলিদানের ধারাবাহিক অসম্মান, এবং ভারতের সেই আমরা সামাজিক সচেতনতার বৃদ্ধি একেবারেই দেখিনি? তা কিন্তু
পরিচয়ের উপর ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে ফ্্যযাসিবাদী নয়, ২০১২ ‘র আগে ধর্্ষণের বা যৌ�ৌন অপরাধের ভিত্তিতে থানায়
রাষ্ট্রব্্যবস্থা। ভারতের সংবিধানের উপর ধারাবাহিক আক্রমণ, নির্্দদিষ্ট অভিযো�োগ এবং তার ফলে বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও সাজার হার,
সমীকরণে ধর্্মমীয় সংঘাত বাঁধানো�োর প্রকল্প, ধর্্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক আর ২০১২ ’র পরের চিত্রের মধ্্যযে বিস্তর ফারাক রয়েছে। কিন্তু
দেশের ধারণা মুছে ফেলার চেষ্টা – ইঙ্গিত দেয়, ইংরেজদের অনুরূপ, এই সঙ্খ্যাতাত্ত্বিক বিচার কি আদৌ�ৌ সান্ত্বনা বা আশ্বাস দিতে পারে?
বর্্তমান স্বৈরতান্ত্রিক কেন্দ্রীয় সরকার অধিকতম ব্্যবহার করেছে সত্্যযিই কি আমরা বিগত দশ বছরে সমাজ হিসেবে উন্নত হয়েছি?
ইংরেজ–অনুকরণে বিভাজনের নীতি। হিন্্দদু বনাম মুসলমান; ঠাকু র মণিপুরের গণধর্্ষণ হল কেন তবে? উন্নাও? কাঠু য়া? হথরস?
বনাম দলিত; ব্রাহ্মণ বনাম অব্রাহ্মণ – পক্ষপাত এবং ক্ষমতার বাদাউন? আরও কত কত স্থাননামের আড়ালে ভয়াবহতার মাত্রা
নিরিখে ‘আছে’ বনাম ‘নেই’ – সেই পরিচিত সমীকরণে। এই ঢেকে উল্লেখ করতে পারি আমরা? সেই এক সমীকরণ আবার
এক সমীকরণ কি মণিপুরে ৭ নং আসাম রাইফেলস যখন থাংজাম ফিরে আসে, বারবার বিভিন্ন অত্্যযাচারের নিদর্্শনকে পৃথক এবং
মনো�োরমা কে ধর্্ষণ, অত্্যযাচার, গুলি করে খুন এবং মৃত্্যযুর পর তা ঁর আলাদা হিসেবে না দেখে একটি বৃহত্তর ছকের অন্তর্্গত হিসেবে
শরীরকে খণ্ডবিখন্ড করে তখন ছিল না? হথরসের ক্ষেত্রে ছিল না? দেখলে আরও পরিষ্কার হয়। এই জালের কেন্দ্রে, অবিরত বুননের
কাঠু য়াতে ৮ বছরের বাখেরওয়াল সম্পপ্রদায়ের ছো�োট্ট একটি মেয়ে, কাজ করে চলেছে ফ্্যযাসিবাদী রাষ্ট্র ব্্যবস্থা। কারণ নিজেদের মধ্্যযে
আসিফাকে মন্্দদিরের মধ্্যযে আটক করে রেখে ধারাবাহিক গণধর্্ষণ লড়াই করতে যে সম্পপ্রদায়গুলি ব্্যস্ত, তারা কখনই মূল প্রশ্নগুলি
এবং খুন করার মধ্্যযে কি এই সমীকরণ ছিল না? রাষ্ট্রের দিকে ছুঁড়ে দেওয়ার জায়গায় থাকতে পারবে না, তাদের
নির্্ভয়ার গণধর্্ষণ ও হাসপাতালে মৃত্্যযুর পর সমস্ত ভারতবর্্ষ সেই সুযো�োগ দেওয়া হবে না। তারা জিজ্ঞেস করার অবকাশ পাবে
ক্্ররোধে ফেটে পড়েছিল। প্রতিহিংসার আগুন দেশব্্যযাপী মানুষের না, “রাজা তো�োর কাপড় কো�োথায়?”
মনে স্থান পেয়েছিল। বহু আইনজীবী, পেশাগত জায়গায় মৃত্্যযুদণ্ডের সমস্ত ইঙ্গিত নির্্দদেশ দিচ্্ছছে মনের দিকে – ব্্যক্তি মন এবং
বিরো�োধিতা করলেও, জানিয়েছেন তা ঁদের মনের একাংশ দৃঢ়তার সামাজিক মন উভয়ের দিকে। পৈশাচিক ক্ষমতাভিলাষের ন্্যযায়,
সাথে মৃত্্যযুদণ্ডের পক্ষে অবস্থান রেখেছে। ঠিক একই ভাবে মণিপুরের ধর্্ষকাম এক মানসিক সমস্্যযা, যার নির্্মমাণ, যেমন সব মানসিক সমস্্যযার
একাধিক সংবাদমাধ্্যমে জুলাই-আগস্ট থেকেই মণিপুরবাসীদের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে, একইসাথে সামাজিক, অর্্থনৈতিক, রাজনৈতিক
ক্রু দ্ধস্বর শো�োনা গেছে, ধর্্ষকদের মৃত্্যযুদণ্ড চেয়ে। বারংবার স্মরণ করা এবং সাংস্কৃতিক কারণসমূহের সমন্বয়ের ফলেই। সাধারণত এতগুলি
উচিত, কাংলা দুর্্গগে মণিপুরি মায়েদের ঐতিহাসিক প্রতিবাদ, ভারতীয় কারণ বললে সমস্্যযার জটিলতা বৃদ্ধি পায়, এবং সমাধান খো�োঁঁজার
সেনা, আমাদের ধর্্ষণ করো�ো, খুন করো�ো। কিন্তু রাষ্ট্রের অবস্থান ক্ষেত্রে দায়িত্বের বো�োঝা এড়িয়ে যেতে সুবিধা হয়। যে দায়িত্ব শুধু
– উপেন্দদ্র কমিশনের রিপো�োর্্ট অবৈধ বলে দাবি করে তৎকালীন চিকিৎসক বা মনো�োবিদ বা শিক্ষক বা বন্ধু বা পরিবার বা স্বজনের
আসাম রাইফেলস। আফস্্পপা চলাকালীন রাজ্্যযের গঠিত কো�োনও উপর ব্্যক্তিগত ভাবে বর্্ততায় না কেবল – সম্্পপূর্্ণ সমাজের উপরও
কমিটি বৈধ নয়, এই যুক্তি ব্্যবহার করে। বাধ্্য হয়ে মণিপুরের উচ্্চ বর্্ততায়। যে শিক্ষা পাঠ্্যক্রমের বাইরে, প্রতিষ্ঠানের বাইরে, মানুষ
আদালত কেন্দ্রীয়ও সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেওয়ার থেকে মানুষের মধ্্যযে সঞ্চিত যে মানবতার আবহমান ধারা, তা রক্ষা
নির্্দদেশ দেন। আজও সেই নির্্দদেশ অমীমাংসিত রয়েছে। ধর্্ষণের করা আমাদের আশু কর্্তব্্য।
সংস্কৃতি, আফস্্পপার নামে সেনাবাহিনীর পৈশাচিক যথেচ্্ছছাচার – ধর্্ষণ, এবং বিশেষভাবে গণধর্্ষণের ক্ষেত্রে কিছু তেই এই দায়িত্ব
তার উপর কার্্যত সিলমো�োহর দিলেন ভারত সরকার। এড়িয়ে যাওয়া যায় না। ধারাবাহিকতা এই অপরাধগুলিকে আলাদা
প্রবাদে রয়েছে, সত্্য আলো�োর মতন, তাকে সাময়িক ঢেকে রাখা মাত্রা দেয়। হিংসা থেকে হিংসার জন্ম, সেই ধারাবাহিকতায় সভ্্যতা
যায়, কিন্তু চিরকাল লুকিয়ে রাখা যায় না। যে সত্ত্বা জো�োরের সাথে বারবার ভেঙে টু করো�ো টু করো�ো হয়ে যায়। প্রত্্যযেক ধারালো�ো ভগ্্নাাংশের
নারীর অধিকারের কথা বলে, নারী সুরক্ষার দাবী তো�োলে, তা কি
আমরা অস্বীকার করতে পারব? অথচ সমাজতাত্ত্বিকরা, গবেষকেরা বাকি অংশ ২৫-এর পাতায়
20
ভারতীয় দন্ড সংহিতাঃ
নাগরিকবিরো�োধী পুলিশি রাষ্ট্রের দিকে পদক্ষেপ
সুজাত ভদ্র

ফৌ�ৌজদারি কাঠামো�ো বদলের লক্ষ্যে কেন্দ্ৰীয় সরকারের তিনটে দেওয়়া হবে, তার স্্পষ্ট প্রমাণ পাওয়়া যায় সম্পপ্রতি আইনরক্ষকদের
বিলের সর্্বশেষ স্থিতি নিয়়ে লেখাটা শুরু করা যেতে পারে। স্বরাষ্ট্র এক সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্্যযে। নতু ন ফৌ�ৌজদারি
বিষয়ক স্ট্যান্্ডিিং কমিটির কনভেনর তড়়িঘড়়ি বিজ্ঞপ্তি দিয়়ে গত আইনগুলো�ো সম্্পর্্ককে সবাই অবহিত হো�োন ও প্রয়োগ সম্্পর্্ককে
২৪ আগষ্ট কমিটির সভা ডাকেন এই বিলগুলো�ো নিয়়ে আলো�োচনার সচেতন হো�োন!
জন্্য। কিন্তু তা হওয়়ার কথা ছিল না। কারণ, অন্্য একটা বিল নিয়়ে আমরা অতীতে দেখেছি সরকার কর্্ততৃক আনীত একটি
আলো�োচনা চলছিল। সেটা বন্ধ রেখে, এত দ্রুতগতিতে বিলগুলো�ো সুদূরপ্রসারী বিলকে ঘিরে পর্্যযাপ্ত গভীর আলো�োচনা, যুক্তি-পালটা
নিয়়ে সভা ডাকার বিরো�োধিতা করেন কমিটির বিরো�োধীদের একাধিক যুক্তির অবতারণায় সংসদের উভয়কক্ষ সরগরম থাকত; প্রজ্ঞা,
সাংসদ। যেহেতু অধিবেশন শেষ হয়়ে যাওয়়ার পর বহু সদস্্য বিষয়টির উপর জ্ঞানচর্্চচা, দূরদৃষ্টি, মূল্্যবো�োধ সমৃদ্ধ আলো�োচনা
দিল্লিতে নেই, সেহেতু তা ঁরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না গুরুত্বপূর্্ণ সংসদকে অন্্য মাত্রায় নিয়়ে যেত। সেই বিচারে সংসদের গুরুত্ব আজ
সভাগুলো�োতে। দুই , তা ঁরা সঙ্গত ভাবেই প্রশ্ন তো�োলেন, এত তাড়়া প্রায় তলানিতে; অতি স্বল্পকালীন সময়়ে সংসদ শুধুমাত্র বিল পাসের
কিসের? কিন্তু এসব ন্্যযায্্য ও সঙ্গত প্রশ্নের কো�োনও উত্তর না দিয়়েই লক্ষ্যে যেন কনভেয়়ার বেল্্ট হয়়ে দা ঁড়়িয়়েছে; শুরু হয় ব্্যক্তিনামের
(উত্তর না দেওয়়াটা বর্্তমান শাসক দলের অন্্যতম একটিবৈশিষ্টট্য) জয়ধ্্বনি দিয়়ে, আর শেষ হয় শাসকের যুক্তির পক্ষে সংখ্্যযাগরিষ্ঠতার
যুদ্ধকালীন তৎপরতার সাথে ‘আলো�োচনার’ দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। ধ্্বনিভো�োট দিয়়ে; হাউসের সাফল্্য মাপা হয় নতু ন এক বিশেষণ দিয়়ে
আরেকটি গুরুত্বপূর্্ণ প্রশ্নের উত্তর পাওয়়া যায় নি। যেহেতু - ‘উৎপাদনশীলতা’ - অর্্থথাৎ কটা বিল পাস হল তাই দিয়়ে ৷
এই তিনটে বিল ভারতের প্রত্্যযেকটি নাগরিকের জীবনের উপর এবারের অধিবেশনে মণিপুর, অনাস্থা প্রস্তাব ইত্্যযাদি নিয়়ে তু মুল
প্রভাব ফেলবে, সেহেতু সর্্বস্তরে ব্্যযাপক আলো�োচনা, মতামত লগজ্্যযামের মধ্্যযেও কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক বিতর্্ককিত
বিনিময় হওয়়াটাই একমাত্র স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। কেন তা বিল পাস করিয়়ে নিয়়েছে - তথ্্য সুরক্ষা আইন, অরণ্্য সংরক্ষণ
হলো�ো না তার কো�োনো�ো ব্্যযাখ্্যযা আমাদের জানা নেই। অদূর বা সুদূর (সংশো�োধনী) আইন, দিল্লী নিয়ন্ত্ৰণ আইন, সর্বোপরি, শেষ দিনে
ভবিষ্্যতে মতামত বিনিময় হওয়়ার কো�োনও ইঙ্গিতও সরকার দেয় (১১ আগষ্ট), দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগাম ইঙ্গিত পর্্যন্ত না দিয়়ে
নি। কয়়েকজন মিলে (বিজেপি সাংসদ তথা আইনজীবী মহেশ ‘কালো�ো ম্্যযাজিকের’মত, সম্্পপূরক বিষয় হিসাবে, দেশে প্রচলিত মূল
জেঠমালানি,পুলিশের একজন প্রাক্তন শীর্্ষ আধিকারিক, একজন তিনটি ফৌ�ৌজদারি আইনের বদলে (সংবিধানের ৩৪৮ অনুচ্্ছছেদকে
প্রাক্তন সেশন জজ ও বর্্তমান স্বরাষ্ট্রসচিব, অজয় ভাল্লা) এই আংশিক ভাবে নস্্যযাৎ করে) হিন্্দদি (সংস্কৃ ত শিকড় সহ) নামকরণ
তিনটে বিল রচনা করেন। অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে, প্রায় ষড়যন্ত্রের দিয়়ে তিনটি আইনের খসড়়া পেশ করেন এবং বিস্্ফফোরক দাবি
কায়দায়, সংসদে সংখ্্যযাগরিষ্ঠতার জো�োরে তিনটে বিল দেশবাসীর করেন, ১৮৬০ সাল থেকে ২০২৩ সালের (আগষ্ট পর্্যন্ত) চলিষ্ণু
উপর চাপিয়়ে দেওয়়া - চূড়়ান্ত অগণতান্ত্রিক এবং participatory ব্রিটিশ আমলের ঔপনিবেশিক আইনগুলো�োর অবসান নাকি ঘটাল
democracy-এর ধারণা ও মূল্্যবো�োধের বিরো�োধী। মো�োদী সরকার! দেশবাসীকে ঔপনিবেশিক দাসত্বসুলভ মানসিকতা
এমনকি সংসদে শীতকালীন অধিবেশনেও যে বেশিক্ষণ থেকে মুক্ত করল এই তিনটে বিল! তবে আপাতত শীতকাল পর্্যন্ত
আলো�োচনা না করেই তিনটি বিলকে পাশ করিয়়ে নিয়়ে চালু করে আমাদের দাসভাব নিয়়েই থাকতে হবে; এর মাঝে বিলটি নাড়়াচাড়়া

21
করবে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়়ী (স্ট্যান্্ডিিং) কমিটি, যেকমিটিতে আবার ঘ) শিশুদের বিরুদ্ধে যৌ�ৌন অপরাধ ২০১২ সালের পকসো�ো
শাসক দলেরই প্রাধান্্য বেশি, এবং এই মুহূর্্ততে চারজন বিরো�োধী সদস্্য আইনে ধারা
সাসপেন্ড হয়়ে আছেন। তাই বিলগুলো�ো শুধু কমিটির ও রাষ্ট্রপতির ঙ) পকসো�ো আইনে অভিযুক্ত ও আক্রান্ত উভয়়েই লিঙ্গ নিরপেক্ষ
সম্মতিসূচক টিক মারার অপেক্ষায়। ছিল; নতু ন বিলে বালিকাই শুধুমাত্র আক্রান্ত।
বিলগুলো�ো সত্্যযিই কি অতীত থেকে আলাদা? ‘যুবরাজ’মৃত, ‘যুবরাজ’ দীর্্ঘজীবী হো�োক
ধারাসমূহ সংক্ষিপ্তকরণের নিরিখে, কিছু বর্্জনের বিচারে, কিছু সিডিশন ধারা বাতিলের ঘো�োষণাটি চমকপ্রদ হলেও নির্্মম সত্্য হল,
ভাষা, শব্দ বর্্জ ন ও সংযুক্তির আলো�োকে, এবং নতু ন সংজ্ঞার্্থ, বাতিল করা ছাড়়া সরকারের গত্্যন্তর ছিল না। সিডিশন বিরো�োধী
অপরাধ ও সাজার নতু ন পরিসর বাড়়ানো�োর মাপকাঠিতে এই তিনটি বিপুল জনমত, কেদার নাথ (১৯৬২) রায়়ের শর্্ত এবং সুপ্রিম
বিলের আপাত বাহ্্যযিক অভিনবত্ব আছে। কিন্তু খুঁটিয়়ে দেখলে কো�োর্্টটে র এই ‘যুবরাজ’ ধারাটির প্রয়োগের উপর ২০২২ সালের মে
দেখা যাবে, প্রচলিত তিনটি ফৌ�ৌজদারী আইনেরই ৮০ শতাংশের মাস থেকে অনির্্দদিষ্টকাল স্থগিতাদেশ ধারাটিকে কার্্যত অচল করে
বেশি নতু ন বিলে রীতিমত সুরক্ষিত। দ্বিতীয়ত, ফৌ�ৌজদারী দিয়়েছে। তাই বাতিলের আওয়়াজের আড়়ালে ‘ন্্যযায় সংহিতায়’অন্্য
কার্্যবিধিতে ১৯৭৩ সালে শুধু বিপুল পরিবর্্ত ন হয়়েছে তাই নয়; ধারায় (১৫০; তাও আবার ব্্যযাখ্্যযা অংশটি অসম্্পপূর্্ণ) আরো�ো ভয়়ংকর
তারপরেও এই বিধিতে রাজ্্যগুলো�ো বারবার নানা ধারার উপর রূপে দেশদ্্ররোহিতার ধারণাকে স্থান দিল, যা পড়লে লর্্ড ম্্যযাকলে
সংশো�োধনী এনেছে, দণ্ড সংহিতায়, সাক্ষষ্য আইনে সুপ্রীম কো�োর্্টটে র পর্্যন্ত চমকে যেতেন এই ভেবে যে, দেশীয় শাসক নিজ দেশের
নানা ব্্যযাখ্্যযা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের উপাদানগুলো�োকে বর্্জ ন স্বাধীন নাগরিকদের বিরুদ্ধেই সুরক্ষা দেওয়়ার নামে যুদ্ধ ঘো�োষণা
করেছে; রাণীর প্রতি প্রজার প্রশ্নহীন আনুগত্্যযের স্থলে নাগরিকের করতে পারে! ধারাটিতে অপরাধ হিসাবে একাধিক শব্দবদ্ধ ব্্যবহৃত
অধিকারের স্বীকৃতি, রক্ষা ও সম্পপ্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৫০ সালেই হয়়েছে (‘অন্তর্্ঘঘাতমূলক কাজ’, ‘জাতীয় ঐক্্য ও সংহতি রক্ষা’,
সংবিধানের অনুচ্্ছছেদ ১৩ সংবিধানবিরো�োধী অতীতের যাবতীয় ‘বিচ্্ছছিন্নতাবাদী ধারণায় উস্কানি’ ইত্্যযাদি) নতু ন নতু ন অপরাধের
আইন, শব্দ ব্্যবহার ইত্্যযাদি বাতিল বলে গণ্্য হবে বলে জানিয়়ে সংযো�োজন, যার কো�োনও আইনি ব্্যযাখ্্যযা, সংজ্ঞা, উদাহরণ অনুপস্থিত।
দিয়়েছিল; এবং নানা সময়়ে, নানা আইনের সংশো�োধনীর মাধ্্যমে স্মর্্তব্্য, ১৯৯৩ সালেই রাষ্ট্রসঙ্্ঘ একটি প্রতিবেদনে স্্পষ্ট বলেছিল,
বহু নির্্দদিষ্ট গণতান্ত্রিক পরিবর্্ত ন সংসদই করেছিল; আবার, ফৌ�ৌজদারী আইন দাবি করে নির্্দদিষ্ট সংজ্ঞার্্থথের (precision); যত
সময়়ের দাবি মেনে নারীর, শিশুর বা সার্্ববিক মানবাধিকার নিয়়ে অস্বচ্্ছ, ভাসা ভাসা শব্দ ব্্যবহার হবে, তত এর প্রয়োগ স্বৈরাচারী
নতু ন একগুচ্্ছ আইনও রচিত হয়়েছে। হয়়ে উঠবে। উপরন্তু, এই সমস্ত অস্বচ্্ছ ধারা প্রয়োগের জন্্য পুলিশের
সুতরাং, ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্্য থেকে গেড়়ে বসা ব্রিটিশ উপর ন্্যস্ত করা হয়়েছে অবাধ, দায়বদ্ধহীন ক্ষমতা। বর্্তমান শাসকের
ঔপনিবেশিক ফৌ�ৌজদারি মানসিকতা এই তিনটি বিলের মধ্্য দিয়়ে অতি প্রিয় কিন্তু কল্পিত ‘টু করে টু করে গ্্যযাাং’ ছকে তকমা দেওয়়া হবে
সর্্ব প্রথম ২০২৩ সালে বধ করা হল - সরকারের এই দাবি আদৌ�ৌ সব ধরনের বিরুদ্ধবাদীদের; অচিরেই দেশটি কংসের কারাগারে
ইতিহাস-সম্মত নয়। বরং, নাৎসিদের ভাষার উপর বইয়়ের লেখক রূপান্তরিত হবে। বিচারব্্যবস্থার ইদানিং যে রহস্্যময় রূপ দেখা
ভিক্টর ক্লেমপেরের (Klemperer)-র একটি মন্তব্্য এখানে সুপ্রযো�োজ্্য‍ যাচ্্ছছে, তাতে অমিত শাহদের স্বপ্ন — ৯০ শতাংশ সাজা পাওয়়া –
‘যুক্তিভিত্তিক বাগ্মিতার’ পরিবর্্ততে বাত্তেল্লাটাই সুপরিস্ফু ট। হয়তপূরণও হয়়ে যাবে। উল্লেখ্্য, সংসদে সরকার কো�োনও রিপো�োর্্ট
পেশ করে দেখলেন না, কেন দ্রুত বিচার সম্্পন্ন করার লক্ষ্যে
নতু ন নতু ন অপরাধের সংযো�োজন? মিথ্্যযা না সত্্যযি ? ২০০৫ সাল থেকে গঠিত ফাস্ট ট্র্যাক আদালত সাফল্্য পেল না,
দাসত্ব থেকে মুক্তির নির্্দশন হিসাবে যে আট-নয়টা নতু ন অপরাধের পরিকাঠামো�ো উন্নতি / সংস্কার না করে কেন সেটা নিঃশব্দে বিসর্্জ ন
সংযুক্তি ও তৎসংক্রান্ত সাজার কথা বলা হয়়েছে তা নেহাতই সত্্যযের দিচ্্ছছে সরকার? সামারি বিচারও কি ঠিকঠাক চলছে?
অপলাপ। কারণ, সেগুলো�ো প্রচলিত আইনে কয়়েক বছর ধরে সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, নতু ন বিলগুলো�োর ৮০ শতাংশই
রয়়েছে; স্বল্প পরিসরহেতু মাত্র কয়়েকটি দৃষ্টান্তের উল্লেখ করছি – যখন নতু ন বো�োতলে পুরাতন মদ, তাহলে এত আপত্তি করার কো�োনও
ক) ঘৃণা ভাষণ বর্্তমান দণ্ড সংহিতায় ২৯৫ক সহ অধ্্যযায় ১৫; ন্্যযায্্য কারণ কিথাকতে পারে? আমাদের উত্তর,হ্্যযাাঁ, পারে। কারণ
খ) জিরো�ো এফ আই আর ২০১৩ সালের ১৬ মে সরকারি আদেশ নতু ন যে প্রায় ২০ শতাংশ নতু ন বিলগুলো�োতে যো�োগ করা হয়়েছে
ও সুপ্রিম কো�োর্্টটে র দু দুটি রায়; তা অতি মারাত্বক, ভয়ঙ্কর। কেন ভয়ঙ্কর তা আমরা পরের অংশে
গ) গণধর্্ষণঃ ২০১৩ সাল থেকে দণ্ড সংহিতায় ৩৭৬ আলো�োচনা করেছি।

22
ন্্যযায় বিচার কাঠামো�োর রূপান্তর তিন ধরনের সাক্ষষ্য আদালতে গ্রহণযো�োগ্্য ছিল - ১. লিখিত দলিল ;
দেশীয়, আন্তর্্জজাতিক সুষ্ঠু, ন্্যযায় বিচার কাঠামো�ো অভিযুক্ত সুরক্ষা ২. সাক্ষীদের মৌ�ৌখিক বয়়ান ; এবং ৩. অত্্যযাচার, যন্ত্রণা (‘Ordeal’)
ভিত্তিক; তাই বিচারপ্রক্রিয়়া, তৎসংক্রান্ত নিয়মকানুন সেই লক্ষষ্যপূরণে দিয়়ে অভিযুক্তের কাছ থেকে বয়়ান বা ‘স্বীকারো�োক্তি’ আদায় [দ্র.
রচিত। নতু ন বিল তার আমূল রূপান্তর ঘটিয়়ে বিরুদ্ধবাদী তথা L. Sternbach - Judicial studies in ancient Indian law
অভিযুক্ত বিরো�োধী অনুসন্ধান ও বিচারপ্রক্রিয়়াকে (inquisitional) vol.2), Delhi— ১৯৬৭]। এই এথসকে নতু ন বিলে কায়দা করে
সিলমো�োহর দিতে চাইছে। যেমন, তদন্তকারী পুলিশ সুপার সহ ঢু কিয়়ে কার্্যত আধুনিক যুগের অত্্যযাচার বিরো�োধী সর্্বজনীন দর্্শন ও
অন্্যযান্্যদের বিচারের সময় অভিযুক্তের পাল্্টটা জেরার অধিকার দৃষ্টিভঙ্গিকে নাকচ করা হলো�ো। তার স্থলে মনু সংহিতার ধারণাকে
খর্্ব করা হয়়েছে (নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ২৫৪,২৫৫,২৫৬ (৩)); স্থান দেওয়়া হল।
বিচারপতিকে ন্্যযায়বিচার, সুষ্ঠু বিচারপ্রক্রিয়়া বিরো�োধী ক্ষমতা অর্্পণ
করা হল। ফর্্মমুলাটা দা ঁড়়াবে এই রকম - ধৃতকে দো�োষী ধরে নিয়়ে
ব্্যতিক্রমী, বিশেষ আইনকে সাধারণ বিচার কাঠামো�োয়
বিচারগুরুর অসুষ্ঠু ভাবে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়়া শেষ করেই সাজা অন্তর্্ভভুক্তিকরণ
প্রদান। সংশয়়াতীত যুক্তিগ্রাহ্্য প্রমাণের ধারণাই অপসৃত হল; দ্রুত ন্্যযায় সংহিতার ১১১ ধারাতে ‘সন্ত্রাসবাদী কার্্যকলাপ’ সম্্পর্্ককিত সংজ্ঞার্্থ,
বিচারের নামে ন্্যযায়বিচারকেই বলি দেওয়়া হল প্রস্তাবিত বিলে। ব্্যযাখ্্যযা পুরো�োপুরি ভাবে বিশেষ আইন ইউ এ পি এ (UAPA) এর
নাগরিক ন্্যযায় তথা সুরক্ষা দেওয়়ার নামে ফৌ�ৌজদারি কাঠামো�োয় যাবতীয় দানবীয় ধারাগুলো�োর কপি ও পেস্ট। ফলে বিশেষ আইন লাগু
ইনকু ইজিশন চো�োরাগো�োপ্তা ভাবে ঢু কিয়়ে দিলো�ো, ন্্যযায়বিচার প্রক্রিয়়ায় করার ক্ষেত্রে যেটু কু বাধা ছিল – অনুমতির, বন্্দদির রিভিউ করার
মানবাধিকারের ধারণাকে শিকেয় তু লে দিল। অধিকার ইত্্যযাদি - উঠিয়়ে দেওয়়া হলো�ো। পাশাপাশি, ‘অপরাধ থেকে
প্রাপ্ত’ অভিযুক্তের সম্্পত্তি বাজেয়়াপ্ত করার জন্্য বিশেষ আইনের
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ মডেল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের হাতিয়়ার? (PMLA) ধারাও নাগরিক সুরক্ষা বিলে ১০৭ ধারায় যুক্ত করা হয়়েছে।
ন্্যযায্্য, সুষ্ঠু বিচারপ্রক্রিয়়াহীন এই জাতীয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ মডেল ধারা ১১১ তে যা দেওয়়া হয়়েছে তা যদি পড়়েন, তাহলে চমকে
অভিযুক্তের জামিন পাওয়়া থেকে শুরু করে পুলিশের হেফাজত উঠবেন। কারণ, যে কো�োনও প্রতিবাদকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়়ে দমন
হিংসার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে; প্রাথমিক সর্্বমো�োট পীড়ন নামিয়়ে আনার পথ প্রশস্ত করেছে এই ধারা ও তার ব্্যযাখ্্যযা। দু
১৫ দিনের পরেও পরবর্্ততী ৪৫ বা ৭৫ দিন পুলিশ হেফাজতে তিনটে উদাহরণ দিলে বিষয়টি স্্পষ্ট হবে। ধারায় রয়়েছে, পাবলিক
অভিযুক্তকে জেরার জন্্য নিয়়ে যাওয়়ার নয়়া বিধান (নাগরিক অর্্ডডারে বিঘ্ন ঘটাচ্্ছছে যে বা যারা তারা সন্ত্রাসবাদী কার্্যকলাপে
সুরক্ষা বিল, ১৮৭ ধারা) হেফাজত হিংসা, হত্্যযার দ্বার আবার অবাধে অভিযুক্ত হবে। ঠিক কী ধরনের পাবলিক অর্্ডডার বিঘ্ন বো�োঝাতে
খুলে দেবে; সব ধরনের বন্্দদিকে হাতকড়়া পরিয়়ে জনসমক্ষে নিয়়ে চেয়়েছে? একটি হলো�ো, আবশ্্যযিক পরিষেবার বাধা, বিঘ্ন ঘটালে;
যাওয়়ার নয়়া বিধান (সুরক্ষা বিল, ৪৩(৩)) সুপ্রিমকো�োর্্টটে র এই অর্্থথাৎ নিবর্্ত নমূলক আইন, এসমা-তে বলা আছে কী কী আবশ্্যযিক
সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙু ল দেখাচ্্ছছে; অভিযুক্তের কাছে পরিষেবা। সে সমস্ত সেক্টরে শ্রমিকরা ন্্যযায্্য দাবিদাওয়়া নিয়়ে
গ্রেপ্তার হওয়়া থেকে গো�োটা বিচারপ্রক্রিয়়া পর্্বটাই শাস্তিমূলক হয়়ে আন্দোলন করলে, সরকার নিত্্য প্রয়োজনীয় পরিষেবায় বাধা দিচ্্ছছে
উঠলো�ো; মানব মর্্যযাদার রক্ষার স্থলে নেটিভ প্রজাদের প্রতি পরাধীন বলে, নতু ন বিল অনুসারে, আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসবাদী ধারায়
দেশগুলো�োর অমর্্যযাদাকর, অমানবিক শাসন বকলমে ফিরিয়়ে অভিযুক্ত করতে পারবে। অর্্থথাৎ পুরাতন কংগ্রেস আমলে তৈরি
আনা হল। দেশীয় আইনে, আন্তর্্জজাতিক মানবাধিকার অত্্যযাচার বিনা বিচারে আটক আইন দিয়়ে আন্দোলনকারীদের আন্দোলনকে
বিরো�োধী সনদ সহ নানা আইন, চু ক্তি সনদে সব ধরনের শারীরিক দমন করা নয়, একবারে গণআন্দোলনকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়়ে
ও মানসিক অত্্যযাচার নিষিদ্ধ। নতু ন বিলেও অত্্যযাচারকে নিষিদ্ধ স্তন্ধ করে দেওয়়া, ভয় ভীতি সঞ্চার করা নাগরিকের মধ্্যযে ।
বলে বিজেপি নামক দলটি, যারা ‘মডার্্ন outlook with Indian ক) সন্ত্রাসবাদীর সবচেয়়ে মারাত্মক কিন্তু অভাবনীয় একটি নতু ন
ethos”-এ বিশ্বাসী, অন্তর্্ভভূক্ত করে নি; অর্্থথাৎ ব্্যযাবহারিকভাবে ধারণা ঢু কিয়়ে দেওয়়া হয়়েছে এই ধারার ব্্যযাখ্্যযা অংশে - আগুন
মডার্্ন outlook / আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ রেখেছে; কিন্তু সঙ্গে, লাগলে, অথবা বন্্যযা হলে, সরকার একে সন্ত্রাসবাদীদের নাশকতা
বকলমে ইন্ডিয়়ান এথস এর অনুসরণে অভিযুক্ত ধৃতকে থার্্ড ডিগ্রি মূলক কাজ বলে কাউকে বা কয়়েকজনকে এই সন্ত্রাসবাদী ধারায় যুক্ত
দেওয়়ার জন্্য পুলিশি হেফাজতে বার বার বন্্দদিকে নিয়়ে যাওয়়ার করার ক্ষমতা ভো�োগ করবে। যেমন, করো�োমন্ডল এক্সপ্রেসের ভয়়াবহ
আইনি বন্দোবস্ত রেখেছে। প্রাচীন ভারতের আইনি নিয়ম কানুন দুর্্ঘটনাকে প্রথমে কেন্দ্রীয় শাসকদলের শ্্যযাডো�ো বাহিনী সামাজিক
সম্্পর্্ককে স্মৃতি শাস্ত্র থেকে যেটু কু জানা যায় তা হলো�ো, সেই সময়়ে মাধ্্যমে কাগুয়়াপত্তির কায়দায় সংখ্্যযালঘু সম্পপ্রদায়়ের নাশকতামূলক

23
কাজের পরিণতি বলে বলতে শুরু করেছিল, “রেলমন্ত্রী নিজেদের দিয়়ে, যদি কো�োনও বিচারক দণ্ডিতকে যাবজ্জীবন দিতেন, তাহলে
গাফিলতি ঢাকতে” এক্সটার্্ননাল “interference”-তত্ত্ব আমদানি কারণ উল্লেখ করতে হত; মৃত্্যযুদণ্ড দিলে কারণ উল্লেখ করতে হত
করে সন্ত্রাসবাদীদের কাজ বলে বলতে শুরু করেছিলেন। সেটু কুও না। ঔপনিবেশিক এই মানসিকতার পরিবর্্ত ন ঘটে স্বাধীন ভারতে
তথ্্য পায়নি বলে কেন্দ্রীয় সরকার, সিবিআই বিষয়টা নিয়়ে আর পঞ্চাশের দশকে; পরিবর্্ত ন ঘটান ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক মানসিকতায়
শো�োরগো�োল তু লছে না, চেপে যাচ্্ছছে। আচ্্ছন্ন বলে যে দলকে বিজেপি আক্রমণ করে, সেই কংগ্রেস
খ) এই ধরনের অস্বচ্্ছ, ভাসা ভাসা শব্দবন্ধ আইনের মধ্্যযে দল। পরে সুপ্রিম কো�োর্্ট ও মৃত্্যযুদণ্ডের পরিধি ক্রমশঃ সঙ্কুচিত করে
ঢু কিয়়ে দিলে রাষ্ট্রের পো�োয়়াবারো�ো— না পছন্্দ যাকে ইচ্্ছছে তকমা দিয়়েছিলেন। আর,বিজেপি নামক ঔপনিবেশিক মানসিকতার কট্টর
দিয়়ে আইনি হয়রানি করতে পারবে বছরের পর বছর ধরে। ন্্যযায় বিরো�োধী (দাবিদার) দল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের মানসিকতাকে
সংহিতা বিলে আরেকটি বিশেষ অপরাধের সংযো�োজন উদ্বেগজনক। ফিরিয়়ে আনছে নানা ধরনের অপরাধে মৃত্্যযুদণ্ডকে এক নম্বরে
এতদিন পর্্যন্ত MCOCA (Maharashtra Control of Organised স্থান দিয়়ে। শুধু তাই নয়, মৃত্্যযুদণ্ড মকু ব করার নানা সাংবিধানিক
Crime Act) জাতীয় বিশেষ আইন ছিল যার দানবীয় ধারাগুলো�ো পদ্ধতিকে কাটছা ঁট করার প্রস্তাব রেখেছে নতু ন ন্্যযায়সংহিতার
প্রয়োগ করতে গেলে অনুমতির প্রয়োজন ছিল। তার বদলে এই বিলে। দ্রুত দো�োষী সাব্্যস্ত করে দ্রুত চরম দণ্ড কার্্যকর করার ব্্যবস্থা
বিলে সেই জাতীয় সংগঠিত অপরাধকে সাধারণ আইনের ধারা গড়়ে তো�োলার চেষ্টা পরিস্ফু ট হচ্্ছছে এই তিন নতু ন বিলে। ফলে, দেশ
উপধারার অংশ করে দেওয়়ার প্রস্তাবের অর্্থ – এবারথেকে ক্রমশঃ এক আমনবিক মৃত্্যযু উপত্্যকার রূপ নেবে।
অপরাধটি সত্্যযিই অর্্গগানাইজড অপরাধ কিনা তা বিচারের ব্্যযাপার আবার, যেসব ক্ষেত্রে নিজেরা বা তাদের শ্্যযাডো�ো বাহিনী গণ
তু লে দেওয়়া হলো�ো; অনুমতি দেওয়়ার ব্্যযাপারটি তু লে দেওয়়া হলো�ো। পিটু নিতে যুক্ত থাকবে, সেখানে ৭ বছরের সাজার বন্দোবস্ত রাখা
থানার সাব ইন্সপেক্টরই যে কারুর বিরুদ্ধে এই ধারায় (১১২) মামলা হয়়েছে; ‘লাভ জিহাদ’সরাসরি বলা না হলেও ঠকিয়়ে বিয়়ের ক্ষেত্রে
রুজু করতে পারবে। সদ্্য ঘটে যাওয়়া একটি ঘটনার উল্লেখ এক্ষেত্রে সাজা ১০ বছর রাখা হয়়েছে। আর, আমরা বাস্তব অভিজ্ঞতায়
আবশ্্যযিক। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্্যমন্ত্রী ফড়নবিসের দুর্্ননীতি সংক্রান্ত দেখেছি, বাবরি মসজিদ ধ্্ববংস থেকে ‘মব লিঞ্্চিিংয়়ের’ ঘটনাগুলো�োতে
একটি খবর প্রকাশ করার ‘অপরাধে’ মহারাষ্ট্রের কু খ্্যযাত সংগঠিত প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তরা বেকসুর ছাড়়া পেয়়েছেন; বিলকিস
অপরাধ আইন, MCOCA- তে সাংবাদিক উকে’র বিরুদ্ধে মামলা বানুর ক্ষেত্রে ধর্্ষকরা গুজরাট ও কেন্দ্রীয় সরকারের দৌ�ৌলতে মুক্তি
রুজু করেছে পুলিশ ! পেয়়েছে। এক কথায়, নতু ন বিলগুলো�োর অভিমুখ একটাই - সমস্ত
নতু ন সাক্ষষ্য বিলের ১১৫ ধারায় বলা হয়়েছে, ন্্যযায় সংহিতার বিরুদ্ধতাকে স্তব্ধ করা।
যে সমস্ত ধারায় (যেমন ধারা ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮) রাষ্ট্রের
বিবিধ
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘো�োষণা, ফৌ�ৌজদারী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইত্্যযাদি সব ক্ষেত্রে
অথবা উপদ্রুত আইন যেখানে লাগু আছে, সেই সমস্ত ধারায় বৈবাহিক ধর্্ষণ নিয়়ে কিছু বলা নেই। খাপ পঞ্চায়়েতের বিচার
অভিযুক্ত দের প্রমাণ করতে হবে, তারা দো�োষী নন, নির্দোষ। অর্্থথাৎ ও শাস্তিদানের ক্ষমতা নিয়়ে সুপ্রিম কো�োর্্টটে র তীব্র নিন্্দদাসূচক রায়
আন্তর্্জজাতিক মানবাধিকার ঘো�োষণার অনুচ্্ছছেদ ১১ এবং আন্তর্্জজাতিক থাকলেও নতু ন বিল এসম্্পর্্ককে নীরব। আবার, নানা ধর্্মমে স্বীকৃত
সুষ্ঠু ন্্যযায় বিচারের মৌ�ৌল দর্্শন---- যতক্ষণ না অপরাধ প্রমাণিত (যেমন শিখ ধর্্মমে) বিকল্প শাস্তি হিসাবে কমিউনিটি পরিষেবা নতু ন
হচ্্ছছে ততক্ষণ পর্্যন্ত অভিযুক্ত নির্দোষ-এর মূলে আঘাত করছে। বিলে যুক্ত হলেও, ঠিক কি ধরনের পরিষেবা দন্ডিত হবে, কারাই বা
ঠিক করবেন তার কো�োনও ব্্যযাখ্্যযা নেই; ফলে স্বেচ্্ছছাচার ও নিষ্ঠু রতার
সাজার কঠো�োরতা প্রবল সম্ভাবনা রয়়ে গেলো�ো।
১৯৭৯ সালের৪ এপ্রিল তারিখে ভারতের পক্ষে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শতাব্দীর পর শতাব্দী মনুসংহিতার দাসত্ব করার জন্্য উপনিষদ
লিখিত ঘো�োষণার মাধ্্যমে রাষ্ট্রসংঘে অঙ্গীকার করেছিলেন, নিজ আমাদের শিখিয়়েছিল, ‘নৈষা মতি তর্্ককে নাপনীয়’। ব্রিটিশ
দেশে ধীরে ধীরে মৃত্্যযুদণ্ড তু লে দেবেন। আমরা বিপরীতমুখী ঔপনিবেশিক শাসন বাহুবল, পেশীশক্তির মাধ্্যমে আমাদের
পদক্ষেপ করা দেখেছি অতীতে; বর্্তমানে নতু ন বিলেও মৃত্্যযুদণ্ডের পূর্্বপুরুষদের দাবিয়়ে রাখতে চেয়়েছিল। উত্তর-সত্্য ভারতের
প্রাবল্্য চো�োখে পড়়ার মত ৷ দেশীয় নামধারী রাষ্ট্রবাদী লর্্ড ম্্যযাকলে এক ভয়ঙ্কর শক্তিশালী বিধি
এখানে আরেকটি বিষয়়ের উল্লেখ বো�োধহয় অপ্রাসঙ্গিক হবে না। বিধান, নিষেধ হুঙ্কারের মধ্্য দিয়়ে সমাজ জীবনের স্বাভাবিক জীবন
ব্রিটিশ আমলে হত্্যযা সহ একাধিক অপরাধে মৃত্্যযুদণ্ড সর্্বদা এক নম্বরে রস শুষে নিতে আজ উদ্্যত৷ নাগরিকদের আনুগত্্যসর্্বস্ব কলের
থাকত। যাবজ্জীবন দু নম্বরে বিকল্প শাস্তি হিসাবে ছিল। মৃত্্যযুদণ্ড না পুতুল বানানো�োর লক্ষ্যে এই তিনটে বিল৷

24
আমরা স্মরণ করছি

দেবাশিস ভট্টাচার্্য (খো�োকা দা) ~ বিশিষ্ট সাংবাদিক, প্রথমে দর্্পণ অশো�োক ঘো�োষ (বাবলা দা) ~ সমিতির কো�োষাধ্্যক্ষ ও অফিস
পত্রিকায়, পরে আজকাল সংবাদপত্রে রাজনৈতিক সংবাদদাতা সম্্পপাদক ছিলেন। বইমেলায় সমিতির টেবিল পাওয়ার একজন
হিসেবে দীর্্ঘদিন কাজ করেছেন। সমিতির সাধারণ সম্্পপাদকের অন্্যতম কারিগর। আজীবন সমিতির দক্ষ সংগঠক ছিলেন।
দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্্ঘদিন। তা ঁর লেখা উল্লেখযো�োগ্্য বই সমর বাগচী ~ প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানের প্রচারক, পরিবেশবিদ
‘ইন্্দদিরার কারাগারে’, ‘সত্তরের দিনগুলি’, ‘সেই ত্রিশ বছর’ প্রমুখ। ও সমাজকর্্মমী । বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্্যযান্ড টেকনো�োলজিক্্যযাল
সনৎ রায়চৌ�ৌধুরী ~ রাজনৈতিক কর্্মমী , বিজ্ঞান মঞ্চ ও শ্রমজীবী মিউজিয়ামের ধাতু বিদ্্যযা এবং খনিজ বিভাগের কিউরেটর ও পরে
হাসপাতালের গঠনে অন্্যতম সহায়ক, এবং সমিতির গুরুত্বপূর্্ণ ডিরেক্টর ছিলেন। আজীবন মানবাধিকারের জন্্য লড়াই করেছেন
সংগঠক হিসেবে আজীবন গণতন্ত্রের উপর হামলার প্রতিবাদ সমিতির গুরুত্বপূর্্ণ সংগঠক হিসেবে। সমিতির ৫০ বছর পূর্্ততির
করেছেন। শো�োভাযাত্রায় ৯০ বছর বয়সেও সামিল হয়েছেন।
সুভাষ গাঙ্গুলি ~ পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নারায়ণ চন্দদ্র সরকার ~ সমিতির বহরমপুর শাখার সদস্্য, ২০০৬
প্রথম সংগঠকদের মধ্্যযে অন্্যতম, আজীবন বিজ্ঞান আন্দোলনের অবধি মুর্্শশিদাবাদ জেলা কমিটির সহসভাপতি, ২০০৬ থেকে
কর্্মমী ও সমিতির সদস্্য। ২০১৬ বহরমপুর শাখার সভাপতি ছিলেন। অনীক ও ১৯৮৪ থেকে
রতন দাসগুপ্ত ~ সমিতির মালদা শাখার কার্্যকরী কমিটির সদস্্য, মুর্্শশিদাবাদ বীক্ষণ পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০০৩ থেকে আমৃত্্যযু
সমিতির দীর্্ঘকালীন সংগঠক ও রুপান্তরের পথে সহ বহু পত্রিকা মুর্্শশিদাবাদ বীক্ষণের সম্্পপাদক ও প্রকাশক। সমিতির সক্রিয় সদস্্য ও
উদ্যোগের অন্্যতম সমর্্থক ও সহায়ক। সঙ্গঠক ছিলেন।
শুভাশিস রায় (হারু দা) ~ রাজনৈতিক বন্্দদির অধিকারের আইনি
লড়াইতে অন্্যতম আইনজীবী, আজীবন মানবাধিকারের জন্্য
লড়াই করেছেন, সমিতির গুরুত্বপূর্্ণ সংগঠক, এবং বন্্দদিমুক্তি প্রসঙ্গে
সমিতি ও তার সাথে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের অন্্যতম সাথী।

গণধর্্ষণঃ
২০ পাতার পর

প্রতিচ্্ছবিতে দেখা যায়, নির্্ভয়া, বাদাউন, উন্নাও, আসিফা, হথরস, ও সমান অধিকারের অধিকারী হিসেবে দেখব, এবং নিপীড়ন বা
মণিপুরের ছবি। সভ্্যতার ধারাবাহিক সংকট, মানবাধিকার লঙ্্ঘনের দমনের আদিম ইচ্্ছছের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাবিলাস বন্ধ
চেনা প্রণালি – ব্রাহ্মণ্্যবাদী পিতৃ তান্ত্রিক ক্ষমতাবিন্্যযাস। এই করব, ততদিন এই ভয়াবহতা বারে বারে ফিরে আসবে।
ক্ষমতাবিন্্যযাস চিনতে হবে, বর্্জ ন করতে হবে – চিন্তনে, মননে,
যাপনে যতদিন না প্রত্্যযেক মানুষকে মানুষ হিসেবে, সমমর্্যযাদাপূর্্ণ

25
রিষড়়ায় সাম্পপ্রদায়িক দাঙ্্গাাঃ একটি তথ্্যযানুসন্ধান প্রতিবেদন
অংশগ্রহণকারী সংগঠনঃ এপিডিআর, সিআরপিপি, পিডিএসএফ, আইএফটিইউ এবং জন আন্দোলন।

ভূ মিকা রক্ত জিজ্ঞাসা করি?’ সকলের সম্মিলিত ঐকতান - ‘গন্ডগো�োল


পাকিয়়েছে বাইরের লো�োকরা। আমরা একসাথেই আছি।’
সুদীর্্ঘ পরম্্পরায় সযত্ন-রক্ষিত সাম্পপ্রদায়়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ আরো�ো এগিয়়ে মৈথিলীঘর। চায়়ের দো�োকানে এক যুবককে
লঙ্্ঘন কার্্যত মানবাধিকার লঙ্্ঘনেরই সমতু ল্্য - এই বো�োধ থেকেই অনুরো�োধ করে যো�োগাযো�োগ করা গেল রুহানি মসজিদের ইমামের
আমরা স্থির করি রিষড়াতে অবশ্্যই আমাদের একটি অনুপুঙ্খ সাথে। ভীষণ সতর্্ক তার প্রতিক্রিয়়া। কিছু তেই তিনি পরিষ্কারভাবে
তথ্্যযানুসন্ধান করতে হবে এবং তা করতে হবে ১৪৪ ধারা এবং চাপা কথা বললেন না। ঘুরে ফিরে একটাই কথাঃ “এখানে সব ঠিক
আতঙ্কের পরিবেশের মধ্্যযেই। সেটাই হবে পরিস্থিতির দাবি অনুযায়়ী আছে। কো�োন সমস্্যযা নেই।
সময়োপযো�োগী।
ওখান থেকে জি টি রো�োডের মুখ। ছড়়িয়়ে ছিটিয়়ে RAF বাহিনীর
৫ এপ্রিল রিষড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্্টটারের সামনে সকাল জটলা। চারিদিকে থমথমে পরিবেশ। খানিকটা এগিয়়ে বাম হাতে
সাড়়ে আটটায় আমরা একে একে হাজির হই ২৪ জন, যা ১৪৪ ঘো�োষ মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানে ঢু কে পড়়া গেল। মালিক একজন হিন্্দদু।
ধারা চালু থাকার সময় যথেষ্ট বড় সংখ্্যযা। ফলে আমাদের চারটি এলাকায় মুসলমানরাই বেশি। সকালের হালকা জলযো�োগ সেরে কথা
টিম বানাতে হয়, যাতে ১৪৪ ধারা লঙ্্ঘনের অনাবশ্্যক দায় এড়়ানো�ো শুরু হল। বললেন পাথর ছো�োঁঁড়়াছুঁড়়ির কথা। বিশাল মিছিল পাস
যায়। ঠিক হয় সকাল ন’টা থেকে দু ঘন্্টটা তথ্্যযানুসন্ধানের পর আমরা করতে দেড় ঘন্্টটা সময় লেগে যায়। দৌ�ৌড়়াদৌ�ৌড়়ি আতঙ্ক সবই নিজের
বেলা এগারো�োটায় জি টি রো�োডের ধারে ওয়়েলিংটন জুট মিলের কাছে চো�োখে দেখেছেন। কারো�ো হাতে অস্ত্র ছিল কিনা জানেন না। বো�োঝা
বড়া মসজিদ অর্্থথাৎ জামা মসজিদে মিলিত হব। ইতিমধ্্যযে গো�োটা দেশ যাচ্্ছছিল মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে একটা কথা বললেন তা ঁর
জেনে গেছে সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনাটি ঘটেছে এখানেই। দো�োকানের উপর কো�োন হামলা হয়নি।
ঘটনার অন্্দরমহলেঃ অতঃপর মিষ্টির দো�োকান থেকে বেরিয়়ে এসে আবার হা ঁটা শুরু।
ডানহাতে ওয়়েলিংটন জুট মিলকে রেখে খানিকটা এগিয়়েই বাম
প্রথম টিমঃ (টিমে ছিলেন চারজন - সুখেন্্দদু সরকার, রাজা সরখেল,
হাতে বড়়া মসজিদ। মসজিদের ডান পাশে এক ছাউনির নিচে ৫-৬
মাধব পাল এবং শুভেন্্দদু দাস।)
জন নীল-সাদা ছো�োপছো�োপ পো�োশাকে STF বাহিনীর সদস্্য। চারিদিকে
কথামতো�ো প্রথম টিম রিষড়া টিকিট কাউন্্টটার থেকে সকাল
সতর্্ক নজর। চো�োর পালানো�োর পর বুদ্ধি বেড়়েছে। আরেকটু এগিয়়ে
ন’টায় আর কে রো�োড ধরে চলতে শুরু করে সো�োয়া ন’টা নাগাদ
বাম দিকে ঢু কে পড়লাম। বাম হাতে একটা চৌ�ৌ-পায়ায় বসে
পৌ�ৌঁঁছে গেল কু রবানী ঘর এলাকায়। সেখানে সাত-আট জন যুবকের
পাঁচ-ছয় জন STF সদস্্য। আরও এগিয়়ে বাম দিকে যো�োধান সিং
সাথে কথা হল। ওরা বললেন যে, এদিকটাতে কো�োন গন্ডগো�োল
রো�োডে ঢু কে পড়লাম। প্রথমে একটা দো�োকানে চা পান। তারপর
হয়নি। এলাকাটি মুসলমান-প্রধান। সবাই বললেন উভয় সম্পপ্রদায়
এক বাড়ির সিঁড়িতে বসে থাকা যুবক এবং মাঝবয়সী জটলাকে
এখানে সুখে-দুঃখে জড়়িয়়ে-পেঁচিয়়ে আছেন। এক সম্পপ্রদায়়ের
সরাসরি সম্্ববোধন করলাম। বেলা তখন সাড়়ে দশটা। দশজন মানুষ।
অনুষ্ঠানে অন্্য সম্পপ্রদায়়ের দাওয়়াত মেলে। একজন একটি ভালো�ো
প্রাণ খুলেই কথা বললেন এই প্রথম। ওদের বক্তব্্যযের সারকথা -
কথা বললেনঃ ‘হাসপাতালে রক্তের দরকার হলে কি কখনো�ো কার
বাইরের লো�োকই গন্ডগো�োল পাকিয়়েছে। মিছিলের গাড়়িতে ড্রামের

26
ভিতর মার্্ববেল পাথর বো�োঝাই ছিল ওই পাথরই ছো�োঁঁড়়া হয়়েছে। জিটি তৃ ণমূল নেতা থেকে সাধারণ মুসলিম জনগণ একযো�োগে বলছেন
রো�োডের ধারে হনুমান মন্্দদিরের সামনে পুলিশ ব্্যযারিকেড ছিল। কিন্তু হিংসা পুরো�ো পরিকল্পিত। জিটি রো�োডের উপর ফলের ডালা সাজিয়়ে
বড়়া মসজিদের সামনে ছিল হাতে গো�োনা লাঠিধারী। রবিবার দিনই দা ঁড়়ানো�ো মানুষটি সেদিন ৪ নম্বর গেট থেকে জিটি রো�োডের উপর
RAF নামানো�ো উচিত ছিল। বিশেষ করে তার আগেই কাজীপাড়়া রামনবমীর মিছিল থেকে ছড়ানো�ো হিংস্রতার সবিস্তার বর্্ণনা দিলেন।
আর হাওড়়ায় যখন গন্ডগো�োল হয়়েই গেছে। প্রশাসন আগে থেকে অলো�োক দেও নামে একজন অবাঙালি মুদির দো�োকানের মালিক
জনগণকে সজাগ করে নি কেন? ৭০-৮০ বছর ধরে এই অঞ্চলে দুই বললেন, “উভয় সম্পপ্রদায়়ের মানুষই হিংসায় জড়়িত”, জিটি রো�োড
সম্পপ্রদায় পাশাপাশি আছেন। আগে কখনো�ো এমন ঘটনা ঘটে নি। রাত ধরে আরো�ো দক্ষিণে দেখা মেলে একটি ভাঙাচো�োরা গুমটি চায়়ের
ন’টা থেকে ভো�োর চারটে পর্্যন্ত বো�োম চার্্জ হয়়েছে। সিসি ক্্যযামেরা দো�োকান। দো�োকান চালান দশম শ্রেণীর ছাত্র আফজাল ও তার বৃদ্ধ বাবা
দেখা হচ্্ছছে না কেন? প্রশাসন না চাইলে দাঙ্গা হয়? ঘটনার দিন জানালেন দো�োসরা এপ্রিলের আকস্মিক আক্রমণে তারা ভয়়ে দো�োকান
হেস্্টিিংস জুট মিলের সামনে বিকেল পাঁচটায় এসেছিলেন বিজেপি ছেড়়ে পালিয়়ে যান। অভিযো�োগ মিছিলের লো�োকজন দো�োকানের দরজা
নেতা দিলীপ ঘো�োষ। উৎসবের মিছিলের সাথে তার কী লেনাদেনা? ভেঙে ক্্যযাশবাক্স সমেত সর্্বস্ব লুট করে নিয়়ে গেছে। ইট সরানো�ো
ঝামেলা পাকানো�োর জন্্যই তার আসা? তখনই তাকে গ্রেফতার করা ভাঙ্গা দেওয়়াল আর খাঁ খাঁ করা ঘর ওদের অভিযো�োগের সত্্যতা
হয়নি কেন? অল্প কয়়েক ঘর হিন্্দদু আছে এখানে। কো�োনদিন তাদের প্রমাণ করে। ভয় এমনই চেপে বসেছে যে পুলিশে অভিযো�োগ করতে
কো�োন সমস্্যযা হয়়েছে? তাদের বেশিরভাগই ভাড়়াটিয়়া। দ্বন্দদ্ব থাকলে ওনারা ভরসা পাচ্্ছছেন না। আফজাল জানালেন এই হিংসায় অনেক
তো�ো তারা উচ্্ছছেদ হত। হয়়েছে কি? একের পর এক হিন্্দদুদের মুদির লাভবান হয়়েছে। অভিযো�োগের আঙু ল এখানে হিন্্দদু সম্পপ্রদায়়ের
দো�োকান, গহনার দো�োকান রয়়েছে। কেউ কি নখের আঁচড় দিয়়েছে? গুন্ডাদের দিকে।
মুদিখানার দো�োকানদার কানাই সিং আঠাশ বছর ধরে ব্্যবসা
কিছু গুরুত্বপূর্্ণ সংযো�োজনীঃ
করছেন। তিনিও মুক্ত কণ্ঠে বললেন একই সখ্্যতার কথা।
রিষড়া থানা থেকে আড়়াইশো�ো গজ দূরে ছো�োট মসজিদের কাছে
দ্বিতীয় টিমঃ (এই টিমে ছিলেন শংকর ঘো�োষ, জয় গো�োপাল দে, ভাস্কর একটি বাড়়ির বাসিন্্দদাদের জিজ্ঞাসা করে ওদের শো�োনা এবং না-
সেন এবং বাপি।) জানা যে কথা বিশেষভাবে জানা গেল, মসজিদের সামনে জুলুস
আরসিবি রো�োড ধরে উত্তর দিকে খানিকটা যাওয়়ার পর এক চায়়ের আর রমজান খো�োলার সময়়ে ও মসজিদে নামাজের সময়়ে জুলুস
দো�োকানের ভদ্রমহিলা জানালেন ওই অঞ্চলে কো�োন অশান্তি হয়নি। থেকে প্রথমে একটি বাচ্্চচা ছেলে মসজিদ লক্ষষ্য করে ইঁট ছো�োড়ে এবং
রিষড়া পৌ�ৌরসভা পেরিয়়ে ডানদিকে পড়ল ড. এম ডি রাজা’র বাড়়ি। তারপর কয়়েকজন প্রতিবাদ করায় শুরু হয় ইঁট-বৃষ্টি। দুপক্ষের কথা
এলাকায় থমথমে ভাব। কাটাকাটি থেকে ঘটনা হাতাহাতি পর্্যন্ত গড়়ায়। মসজিদে সাকু ল্্যযে
নাম জানাতে অস্বীকার করলেও জনৈক গৃহস্থ জানালেন - ‘দু- ছিলেন ১৫ জন। রাস্তার দুটো�ো গাড়়ি ও জ্বালানো�ো হয়।
তিন দিন আতঙ্কে ঘুমো�োতে পারছিনা’। কাজকর্্ম সব বন্ধ। চার নম্বর টিএমসি অফিসের যে ছাত্রের সাথে কথা হয় সে জানায়
গেটে এক ফল বিক্রেতা জানালেন রো�োজার পর ইফতারের জন্্য গন্ডগো�োলের সময় তারা কিছু আতঙ্কিত মানুষকে অন্্যত্র সরে যেতে
২ এপ্রিল দো�োকানে বেশ ভিড় ছিল। মিছিল থেকে বেরিয়়ে ফলের সাহায্্য করে। পরে সাংসদ কল্্যযাণ ব্্যযানার্্জজি এলাকায় আসেন।
ঝু ড়়ি উল্্টটে দেওয়়া, আগুন জ্বালানো�ো চলে অবাধে। এক মহিলা জিটি প্রশাসন তৎপর না হলে বহিরাগতদের সৃষ্ট এই ঝামেলা অনেক দূর
রো�োডে ভিডিও করছিলেন। তিনি হিংসার শিকার হন। গড়াত। ঘটনার অভিনবত্ব হল এই যে গন্ডগো�োল-হামলা হয়়েছে ঠিক
জিটি রো�োডের দিকে এগো�োতেই বামদিকে টিএমসি পার্্টটি অফিস। রো�োজা খো�োলার সময়়েই। স্থানীয় মানুষ এই গন্ডগো�োলে ছিল না। যে
পার্্টটি র পক্ষে শাহবাজ জানালেন, “রিষড়ায় আগেও ঈদ-ছট প্রভৃ তি কো�োন পরিস্থিতিতেই তারা একসঙ্গে থাকতে প্রস্তুত।
ফেস্টিভেল মহাসমারো�োহে হয়়েছে। সব সময় শান্তি বজায় ছিল। হিন্্দদু
ভিডিওর লেন্স দিয়়ে যা দেখা গেলঃ তিনটি ভিডিও বানান জয়
মুসলিম উভয় সম্পপ্রদায় এখানে মিলেমিশেই থেকেছে।-- পুলিশি
গো�োপাল দে। প্রথমটি ৩৬ সেকেন্ডের একটি নির্্ববাক ভিডিও। এটি
ব্্যবস্থা ভালই ছিল। অন্্যথায় আরো�ো বড় গন্ডগো�োল হতে পারতো�ো।”
উনি আরো�ো বললেন যে এটা কো�োন কমিউনাল ভায়ো�োলেন্স নয় এ রাস্তার ধারের দো�োকানগুলির ওপর ধ্্ববংসলীলার সাক্ষষ্য বহন করছে।
হলো�ো ক্রিমিনাল ভায়োলেন্স এবং ওই দিনের ঘটনার সঙ্গে এলাকার পরের ভিডিও ৪৯ সেকেন্ডের এবং তারপরের ভিডিও চার মিনিট
স্থানীয় মানুষ কেউ জড়়িত ছিলেন না। রাস্তার ডান দিকের গলিতে ১১ সেকেন্ড। দ্বিতীয় এবং তৃ তীয় ভিডিওতে সো�োচ্্চচার হয়়েছেন
জটলা ও আতঙ্ক। পুরো�ো মহল্লাটাই মুসলিম-প্রধান। ছবি ভিডিও জনৈক মহাম্মদ সবুদ। বয়স ষাটের কাছাকাছি। তিনি বললেন তা ঁর
তো�োলাতে আপত্তি। কিন্তু প্রচণ্ড উষ্মা। সমস্ত মালপত্র ফেলে দেওয়়া হয়়েছে। একটি টেবিল জ্বালিয়়ে দেওয়়া

27
হয়়েছে। চৌ�ৌকি ফেলে দেওয়়া হয়়েছে। দো�োকানের দেওয়়াল ভাঙচু র থেকে তাদের ক্রমাগত উত্তপ্ত করার চেষ্টা হয়়েছে। মিছিলে রিষড়ার
করা হয়়েছে। সাড়়ে ছয় হাজার টাকা লুট হয়়েছে। সাতটি ঠেলা কো�োন মানুষই ছিল না। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘো�োষই ভাড়়াটে গুন্ডা
জ্বালিয়়ে দেওয়়া হয়়েছে। ওখানেই আমরা কথা বলার সময় উপস্থিত এনে দাঙ্গা বাধানো�োর চেষ্টা করেছেন। মিছিলের পেছনে গাড়়ি বো�োঝাই
ছিলেন আরেকজন মানুষ। আমরা তা ঁর দো�োকানে উপস্থিত হওয়়াতে ইট পাটকেল, অস্ত্র এসেছে, বলেছেন স্থানীয় মানুষরাই।
তিনি জানালেন তার সেলাই মেশিন লুঠ হয়়েছে এবং তার সাথে
স্টেশনারীর মালপত্রও। তিনি বললেন মিছিল থেকেই হামলা এবং রিষড়া জামা মসজিদের বড় ইমাম এবং সেক্রেটারির বক্তব্্যযঃ
অগ্নিসংযো�োগ হয়়েছে। জাহিদ খান নামে জনৈক স্থানীয় নেতা তা ঁকে আমরা ২৪ জন সাথী জামা মসজিদের সর্বোচ্্চ তলের খো�োলা চত্বরে
সাহায্্যযের আশ্বাস দিয়়েছেন। মসজিদের সম্্পপাদক এবং ইমামের সাথে কথা বলার জন্্য মিলিত
হই। প্রথমেই ওনাদের প্রশ্ন করা হয় বিভিন্ন মিডিয়়ায় যে বলা হচ্্ছছে
তৃ তীয় টিমঃ (এই টিমে ছিলেন সাত্্যকি মজুমদার, রাংতা মুন্সী, মসজিদ থেকেই নাকি মিছিলের উপর পাথর ছাড়়া হয়়েছে এ
সিআরপিপি সংগঠনের পক্ষ থেকে দুজন পিডিএসএফ সংগঠনের ব্্যযাপারে তাদের কি বক্তব্্য। পরিষ্কার বলেন ‘এ বাত বিলকু ল গলত
একজন এবং স্থানীয় দুজন।) আউর বেবুনিয়়াদ হ্্যযায়’ - ব্্যযাখ্্যযা করতে গিয়়ে বলেন প্রতিবারই বড়়া
টিমের চো�োখেঃ রিষড়া স্টেশনে নামার পর আমরা এক নম্বর মসজিদের সামনে দিয়়ে নানা ধর্্মমের মিছিল যায়, কখনো�ো এরকম
রেলগেট থেকে যে রাস্তা যায় সেটি ধরে এগো�োতে থাকি। পথ কো�োন ঘটনা ঘটেনি। বরং প্রতিবার জামা মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে
চলতি মানুষের থেকে তাদের বয়়ানে ঘটনার অনুকথন শুনতে এবং এলাকার কিছু ধনী ব্্যক্তির পক্ষ থেকে মিছিলকে স্বাগত
থাকি। মূলতঃ হিন্্দদু-প্রধান পাড়়ায় আমরা তথ্্যসন্ধান চালাই জানানো�ো হয় এবং তা ঁদের মধ্্যযে তেষ্টার পানি এবং মিষ্টি বিতরণ
যেখানে দ্রষ্টব্্য মন্্দদিরের সংখ্্যযা এবং গড়়িমা অধিকতর। চো�োখে করা হয়। আমাদের রিষড়়ার মানুষ বহু অতীত থেকেই মিলেমিশে
পড়়ে বিজেপির বয়়ান তাদের নির্্ববাচনী প্রতীক এবং রামনবমীর বাস করছেন। এবারের ২রা এপ্রিলই ঘটনার প্রথম ব্্যতিক্রম ঘটলো�ো।
মিছিলে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান বার্্ততা। চারবাতির মো�োড়ের এবারে বড়়া মসজিদের সামনে ১৩০টি চেয়়ারের ব্্যবস্থা ছিল--
আগে ও পরে দো�োকানদার এবং রাস্তার ও স্থানীয় মানুষদের বয়়ান পানি এবং মিঠাইয়়ের ব্্যবস্থাও ছিল। ব্্যবস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন
থেকে জানতে পারি হিন্্দদু পাড়়ায় আগে থেকে একটি সহমত তৈরি মসজিদের সেক্রেটারি রইস কু রেশী সাহেব। চারটা ছয় মিনিটে শুরু
হয়়ে ছিল - ‘মুসলমান পাড়়া থেকে আঘাত আসে’। আক্রমণের হয় অসরের নামাজ এবং চারটা তিরিশ মিনিটে ইমাম সাহেব নামাজ
সূচনা তাদের তরফ থেকেই হয় - ট্রেনে এবং তু লনামূলকভাবে পড়়ানো�ো শুরু করেন । প্রথম দুটি মিছিল ছিল খুবই উচ্্ছল, যা দেখে
ভাবে জনবিরল অংশেই তারা পাথর ছো�োঁঁড়়ে এবং এর ফলে আমরা খুশি হই। মিছিল দুটিকে অভিনন্্দদিত করেন মো�োহাম্মদ সাকির
নাকি বহু মানুষ আহত হয়। টো�োটো�ো চালকদের একাংশের কথায় আলি, মো�োহাম্মদ রইস কু রেশী, মো�োহাম্মদ সাহিদ, নমাজ খান এবং
হিন্্দদুত্ববাদী আভাস স্্পষ্ট। তারা বললেন তারা ভয় পাননি। তারা আরও অনেকে। ৮০ শতাংশ মানুষ চলে যান। এর পর ইফতারের
‘এরকম ঘটনা’ মো�োকাবিলার প্রশ্নে সঙ্গবদ্ধ এবং অনুশীলনরত। সময় চলে আসে। পাঁচটা পঞ্চাশ মিনিটে ইমাম সাহেব ইফতারের
ছবিটা বদলে গেল রিষড়া জামা মসজিদের আশপাশের মুসলমান জন্্য বসে পড়়েন। ইফতারের আজান শুরু হওয়়ার পর বাইরে জিটি
এলাকায় মুসলমান পাড়়ার মধ্্যযে বেশ কিছু হিন্্দদুদের বাড়়ি। তারা রো�োড থেকে গন্ডগো�োলের আওয়়াজ আসতে থাকে। ১০-১৫ জন
কিন্তু দিব্্যযি মিলেজুলেই আছেন বহুকাল যাবৎ। বরং মুসলমানদের নমাজীকে নমাজ পড়়ানো�োর সময় মসজিদের সামনের অ্্যযাসবেষ্টসের
মালিকানায় থাকা অনেক দো�োকান ভাঙচু র হয়়েছে। চারদিকে ভয় ও চালে ধম ধম আওয়়াজ হতে থাকে। ইমাম সাহেব নমাজিদের
সন্্দদেহের বাতাবরণ, যা অতিক্রম করতে আমাদেরই বেশ কিছু টা চু পচাপ বাড়়ি চলে যেতে বলেন৷ পুরো�ো মসজিদ খালি করে দেওয়়া
সময় লেগে গেল। সর্্ববাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন তাদের তরফ থেকেঃ হয়। থেকে যান শুধু ইমাম সাহেব এবং মসজিদের ছাদে প্রশাসনের
প্রতিবছরই এই একই মিছিল হয়, এবারেই দাঙ্গা হল কেন? অন্্যযান্্য দু’জন ব্্যক্তি। সি সি ক্্যযামেরা পরিচালনার দায়়িত্বও তু লে দেওয়়া হয়
বারের মতো�ো এবারে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল না কেন? প্রশাসনের হাতে। ইমাম দেখেন মসজিদের সামনে অ্্যযাসবেস্টসের
এলাকার বাসিন্্দদারা অভিযো�োগের সুরে বললেন, তাদের সামনে চাল এবং দুটি মঞ্জিলের উপরে প্রচু র ইট এবং পাথর পড়়ে আছে ।
বিকট জো�োরে বড় বড় স্্পপিকারে ডিজে গান চালিয়়ে তাদের ‘টু পি ইট বা পাথর এখানকার ছিল না। কারা এবং কেন পাথর ছুঁড়়েছিল,
পরা হিন্্দদু’ সম্্ববোধন করে, ‘জয় শ্রীরাম’ বলতেই হবে বলে তাদের সে সম্্পর্্ককে ইমাম বা নমাজিদের কো�োন ধারণা নেই। পরে জানা
মুখের সামনে হনুমানজির পতাকা নেড়়ে, অকথ্্য ভাষায় তাদের যায় যে, মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি, জনাব কাউন্সিলর, মো�োহাম্মদ
গালিগালাজ করে, তাদের দিকে পাথর ছু ড়়ে রামনবমীর মিছিল সাকিব আলি, মো�োহাম্মদ সাহিদ নূওয়়াজ গুরুতর জখম হয়়েছেন ৷

28
কারো�ো কারো�ো বুকে এবং পেটে আঘাত লেগেছে। জনাবিশেষের আমাদের পর্্যবেক্ষণ ও দাবিসমূহঃ
চারঘন্্টটা জ্ঞান পর্্যন্ত ছিল না । পাঁচটা সাতান্ন মিনিটের ৩ থেকে ৫ ১. এই দাঙ্গা পুরো�োপুরি পূর্্ব-পরিকল্পিত এবং প্রধানত
মিনিটের মধ্্যযে এতসব ঘটনা ঘটে যায় । তৃ তীয় মিছিলটি যখন পাস বহিরাগতদের কাজে লাগিয়়ে সংগঠিত।
করে সে সম্্পর্্ককে আমাদের কিছু জানা নেই। এখন আমাদের বক্তব্্য
২. প্রশাসন এবং শাসক দল অত্্যন্ত উদাসীন এবং কার্্যত এই
ভবিষ্্যতে এরকম না হওয়়াই কাম্্য। রিষড়়ায় আমরা সব সম্পপ্রদায়়ের
নেতিবাচক পরিস্থিতি -সহায়ক ভূমিকা পালনকরেছে।
মানুষ সম্প্রীতি ও একতার পরিবেশেই জীবন কাটাতে চাই।
৩. অবাধে গুজব এবং হিন্্দদুত্ববাদী সাম্পপ্রদায়়িক প্রচার
মসজিদ লাগো�োয়়া মেহমানখানায় আমরা অতীতে তারকেশ্বরের তীর্্থ
দুঃখজনক ভাবে হিন্্দদু জনগণের মধ্্যযেও এক ধরনের
যাত্রীদের একমাস থাকতে দিয়়েছি। এবারে সেটিও ভেঙে দেওয়়া
বিষক্রিয়়া ঘটিয়়েছে যা অত্্যন্ত উদ্বেগের বিষয় ।
হয়়েছে। প্রশাসন আমাদের সার্্ববিক সহযো�োগিতা করেছে। আমরা চাই
অপরাধীরা যে ধর্্মমেরই হো�োক, তাদের যেন কড়়া সাজা মেলে । (এই ৪. প্রশাসন সক্রিয় হয়়েছে একমাত্র ঘটনা ঘটে যাওয়়ার পরেই।
বক্তব্্য অবিকৃ ত রূপেই আমরা নথিভু ক্ত করেছি।) তা সত্ত্বেও জনগণের মধ্্যযে আতঙ্ক কাটানো�োর জন্্য তারা
কো�োনো�ো কার্্যকরী সদর্্থক ভূমিকা নিতে ব্্যর্্থ হয়়েছে।
রিষড়়া থানার বক্তব্্য :
আমাদের দাবি :
আমরা অত্্যন্ত জো�োরের সাথে ঘটনা মো�োকাবিলায় পুলিশী ব্্যর্্থতার
১. সমগ্র ঘটনার নীল নকশা উদ্্ঘঘাটন করে অবিলম্বে
কথা তু লে ধরি রিষড়়া থানার এস আই-এর কাছে। পুলিশ যে
অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে।
সব কিছু দেখেও কো�োন এক রহস্্যময় কারণে নিষ্ক্রিয় ছিল, সে
২. জনগণের ক্ষতির যথাযথ মূল্্যযায়ন করে তা ঁদের উপযুক্ত
সন্্দদেহের কথাও জানাই। উত্তরে ওনারা জানান, ওনারা ঘটনা
ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আগাম আঁচ করতে পারেন নি। এই উত্তর আমাদের মো�োটেই
৩. ভবিষ্্যতে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না— এই
সন্্ততোষজনক মনে হয় নি, কারণ তার আগেই শিবপুরের ঘটনা
মর্্মমে প্রশাসন ও সরকারের সর্বোচ্্চ স্তর থেকে বিবৃতি চাই ৷
ঘটে গেছে। যাই হো�োক, আমরা জনগণের ভবিষ্্যৎ নিরাপত্তার
জো�োরালো�ো দাবি জানিয়়ে থানা ত্্যযাগ করি । ৪. ধর্্মমের সামরিকীকরণ প্রতিরো�োধে এই জাতীয় মিছিলে
অস্ত্রের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং নির্্দদেশ
লঙ্্ঘঘিত হলে ফৌ�ৌজদারি বিধি অনুসারে শাস্তির দৃ ষ্টান্ত
সৃষ্টি করতে হবে।

জেল - হাজতে অস্বাভাবিক মৃত্্যযু - APDR - এর প্রাথমিক তথ্্যযানুসন্ধান

তারিখ ~ ১৯.০৬.২০২৩। মৃতের নাম - স্বপন কু মার হাজরা, যো�োগাযো�োগ করতে না পেরে এবং কো�োথাও তা ঁর খো�োঁঁজ খবর না পেয়ে
বয়স - ৬৪ বছর, পিতার নাম - প্রয়াত ঘন্্টটুচরণ হাজরা, ঠিকানা - নাগেরবাজার থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। পরবর্্ততী সময়ে থানা
১৩২২, শহীদ হেমন্ত কু মার বসু সরণী, জপুর, থানা - নাগেরবাজার, থেকে তা ঁদের কাছে মাঝে মাঝে জানতে চাওয়া হত যে তিনি বাড়ি
কলকাতা – ৭০০০৭৪। ফিরেছেন কি না। আবার বাড়ির লো�োকও থানায় গিয়ে খো�োঁঁজ নিতেন
স্বপন বাবুর কো�োনও খবর পাওয়া গেল কি না।
বিষয়ঃ এটি একটি custodial death বা বন্্দদী অবস্থায় মৃত্্যযু। গত ১৮.০৬.২০২৩ সকাল ১০টা নাগাদ নাগেরবাজার থানা
স্বপন বাবু তা ঁর পেশাগত কাজের জন্্য গত ০৩.০৯.২০২২ থেকে ফো�োনে জানানো�ো হয় যে স্বপন বাবু মারা গেছেন এবং তার
তারিখে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সাথে ছিল তার ব্্যক্তিগত দেহ SSKM হাসপাতালের মর্্গগে রাখা আছে। ওনাকে সনাক্ত
মো�োবাইল ফো�োন। সেই সময় থেকেই বাড়ির লো�োকজন তাকে ফো�োনে করার জন্্য এবং ময়না তদন্তের সময়ে উপস্থিত থাকার জন্্য বাড়ির

29
লো�োককে যেতে বলা হয়। হাসপাতালে গিয়ে স্বপন বাবুর স্ত্রী - স্বাতী পারি নি যে ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২২ চুঁচুড়া সদর আদালত থেকে
হাজরা (বিশ্বাস) এবং শ্্যযালক শঙ্কর বিশ্বাস দেহ সনাক্ত করেন। ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২২ বর্্ধমান কেন্দ্রীয় সংশো�োধনাগারে পৌ�ৌঁঁ ছনো�ো
১৯.০৬.২৩ এ বিধিসম্মত ভাবে মৃতদেহের ময়না তদন্ত বেলা ৩টে অবধি, এই অন্তর্্বর্্ততীকালীন সময়ে (৩ দিন) স্বপনবাবু কো�োথায়
নাগাদ শুরু হয়। ময়না তদন্তের পর বাড়ির লো�োকজনের হাতে দেহ ছিলেন। আমাদের মনে হয়েছে, পুলিশি গাফিলতি এবং আইন
তু লে দেওয়া হয়। ব্্যযাবস্থার ব্্যর্্থতায় একজন সম্্পপূর্্ণ সুস্থ মানুষ জেলে আটক হয়ে
স্বপন বাবুর স্ত্রী’র অভিযো�োগ পত্র পেয়ে, এপিডিআর নিমতা ক্রমশঃ অসুস্থ হয়ে শেষ পর্্যন্ত জেল হেফাজতে মারা গেলেন।
বেলঘরিয়া শাখার আহ্বানে ও বিভিন্ন শাখার সদস্্যদের সক্রিয় আমাদের অভিযো�োগ :
অংশগ্রহণের মাধ্্যমে একটি প্রাথমিক তথ্্যযানুসন্ধান করা হয়। এই ১. ৬ই সেপ্টেম্বর স্বপন বাবুকে ব্্যযান্ডেল GRPS গ্রেপ্তার করে
তথ্্যযানুসন্ধানে জানা যায় যে, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২২ ব্্যযান্ডেল GRPS - সেই এরেস্ট মেমো�ো বাড়ির লো�োক কে পাঠানো�ো হয় নি
স্বপন বাবুকে গ্রেপ্তার করে - U/S 341 /143 /186 /188 /333 কেন? এটা সম্্পপূর্্ণ আইন-বহির্্ভভূ ত।
/353 /427/34 IPC এবং PDPP Act–9, MPO Act and ২. নাগেরবাজার থানায় মিসিং ডায়েরি করার পরও থানা
174(9) IR Act - উপরিউক্ত ধারায়। পরের দিন, ৭ই সেপ্টেম্বর, বিভিন্ন জায়গায় - বিশেষত রাজ্্যযের অন্্যযান্্য থানায়, রেল
২০২২, চুঁচুড়া সদর আদালতে তা ঁকে তো�োলা হয়। স্বপন বাবুর কাছে থানা গুলিতে বা লালবাজারের কাছে জানায় নি, বা খো�োঁঁজ
তা ঁর আধার কার্্ড এবং মো�োবাইল ফো�োন থাকা সত্ত্বেও, ব্্যযান্ডেল নেয় নি কেন?
GRPS থেকে স্বপন বাবুর গ্রপ্তারের খবর তা ঁর বাড়িতে পাঠানো�ো ৩. দীর্্ঘ ৯ মাস স্বপন বাবুর ঠিকানা জানা সত্ত্বেও পুলিশ কেন
হয় নি। আমরা জানতে পারি যে ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২২, স্বপন বাড়ির লো�োককে ওনার হদিশ দেন নি?
বাবুকে বর্্ধমান কেন্দ্রীয় সংশো�োধনাগারে পাঠানো�ো হয়। আমরা জানতে ৪. একজন সাধারণ মানুষকে এতগুলো�ো মারাত্মক ধারায় কেস
পারি ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে স্বপন বাবু কে তার উপযুক্ত দেওয়া হল - যা সম্্পপূর্্ণ মিথ্্যযা এবং ভিত্তিহীন।
চিকিৎসার জন্্য বর্্ধমান কেন্দ্রীয় সংশো�োধনাগার থেকে প্রেসিডেন্সী
৫. পুলিশি গাফিলতির জন্্য স্বপনবাবু দীর্্ঘ ৯ মাস জেলে আটক
সংশো�োধনাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। আমরা এও জানতে পারি,
থাকলেন, বিনা অপরাধে, এবং জেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্্যযাগ
গত ১৭.০৬.২০২৩ এ প্রেসিডেন্সী জেলের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসকের
করতে হল তা ঁকে। পুলিশি গাফিলতির জন্্য তিনি কো�োনও
পরামর্্শ মত ওনাকে SSKM হাসপাতালে পাঠানো�ো হয়। হাসপাতালে
আইনি সুযো�োগ পেলেন না, এমনকি জামিন পেলেন না।
আনার পর ওনাকে মৃত ঘো�োষণা করা হয়। উল্লেখ্্য, এই চার মাসে
ওনাকে কয়েকবার প্রেসিডেন্সী জেল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসার আমাদের দাবীঃ
জন্্য আনা হয়েছিল। ১. দীর্্ঘ ৯ মাস স্বপন বাবুর কো�োনও সন্ধান না দিতে পারার জন্্য
বিগত ৬ই জু লাই এ পি ডি আর এর একটি টিম ব্্যযান্ডেল নাগেরবাজার থানার দো�োষী পুলিশ অফিসারদের এবং মিথ্্যযা
GRPS - এ তথ্্যযানুসন্ধানে যায়। তথ্্যযানুসন্ধানে জানতে পারি অভিযো�োগে স্বপন বাবুর উপর মারাত্মক ধারা লাগু করায়
যে, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২২ এ, একটি যাত্রী বিক্্ষষোভ এবং রেল ব্্যযান্ডেল GRPS এর সংশ্লিষ্ট দো�োষী অফিসারদের আইনানুগ
অবরো�োধ তু লতে গিয়ে GRPS স্বপন বাবু এবং আরও ৬ জন শাস্তি দাবি করছি, কারণ এটি মৃত্্যযু নয় এক প্রকার হত্্যযা।
বিক্্ষষোভকারীকে আটক করে এবং উপরিউক্ত ধারাগুলি লাগু ২. সুপ্রিম কো�োর্্টটে র নির্্দদেশ অনুযায়ী মৃত স্বপনবাবুর পরিবারকে
করে পরের দিন কো�োর্্টটে হাজির করে। কিন্তু আমরা জানতে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

30
১৩/৭/২০২৩ তারিখে ভাঙ্গড়়ে
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির (এ পি ডি আর) তথ্্যযানুসন্ধানী দলের রিপো�োর্্ট

পঞ্চায়়েত নির্্ববাচনের ফলাফল গণনার দিন, গভীর রাতে অভিযো�োগ সার্্টটিফিকেট চাওয়়া হলে বি ডি ও বারংবার গরিমসি করেন, ১
আসে পুলিশের গুলিতে তিনজন মানুষ মৃত - এই সংক্রান্ত ঘন্্টটা, ২ ঘন্্টটা বিলম্ব করতে থাকেন, অবশেষে সার্্টটিফিকেট দেন না।
তথ্্যযানুসন্ধানে এ পি ডি আর সহ দুটি সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল কাউন্্টটিিং অফিসের ১০০ মিটার দূরে, ১৪৪ ধারার আওতার বাইরে
সেখানে পৌ�ৌঁঁছে যান। সদস্্যদের মধ্্যযে ছিলেন বো�োলান গঙ্্গগোপাধ্্যযায়, আই এস এফ কর্্মমী রা প্রার্্থথী সহ গ্রামে ফিরবেন তাই অপেক্ষারত।
রাংতা মুল্সী, জয়গো�োপাল দে, সমুদ্র রায়, সাত্্যকী মজুমদার, সুমন, ইতিমধ্্যযে, রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্্যযে, বিডি ও কার্্ততিক চন্দদ্র
শিল্পক, এবং কূশল কর। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি, রাস্তাঘাট রায়়ের জ্ঞাতসারে, কাশীপুর থানার ও সি প্রদীপ অনুপস্থিতিতে,
জনশূন্্য, সমস্ত বাজার-দো�োকান বন্ধ, এলাকায় ভয়়ের আবহাওয়়া। রাত ১০টা নাগাদ কাউন্্টটিিং অফিসে ঢু কে পড়়েন তৃ ণমূল নেতা
গ্রামের মানুষ আমাদের সাদা রঙের টাটা সুমো�ো গাড়়ি দেখেই ভয়়ে আরাবুল ইসলাম এবং তা ঁর পুত্র হাকিমুল। রাত ১১টার পর থেকে
পালিয়়ে যাচ্্ছছেন। বিশেষ করে, পালিয়়ে যাচ্্ছছে, লুকিয়়ে পড়ছে। এই বি ডি ও অফিস থেকে বলা হয়, আই এস এফ প্রার্্থথী জাহানারা
দৃশ্্য আমাদের খুব চিন্তিত করেছে, এলাকায় সন্ত্রাস এবং ভয়়ের খাতু ন জেলা পরিষদে ৩৬০ ভো�োটে হেরে গেছেন, তৃ ণমূল প্রার্্থথী
আবহাওয়়া সম্্পর্্ককে । খাদিজা বিবি সরদার ৩৬০ ভো�োটে জিতে গেছেন।
ঘটনার বিবরণঃ- পরিবারের সদস্্য এবং ভো�োগালি গ্রামের বাসিন্্দদাদের অভিযো�োগ,
১। গ্রাম - ভো�োগালি; ব্লক - ভাঙ্গড়, থানা - কাশীপুর; সময় - সকাল ক্্যযানিং জীবনতলা থানার ও সি সমরেশ ঘো�োষ, (যিনি পূর্্বতন
১০:২০ - নিহত রেজাউল গাজীর বাড়়িতে গিয়়ে আমরা কথা কাশীপুর থানার ও সি হিসেবে ছিলেন), বারুইপুর পুলিশ বিভাগের
বলি তা ঁর মা, আনো�োয়়ারা বিবির সাথে । শো�োকে তিনি প্রায় নির্্ববাক। সুপারিন্্টটেনডেন্্ট পুস্্পপা (IPS), BDO কার্ত্তিক চন্দদ্র রায়, কাশীপুর
আনো�োয়়ারা বিবি এবং জলিল গাজীর কনিষ্ঠ সন্তান, রেজাউল গাজী, থানার ওসি প্রদীপ পাল এবং নেতা আরাবুল ইসলাম ষড়যন্ত্র করে
বয়স ২৪। খেতমজুর পরিবারের সদস্্য দুজনেই, ক্ষেতমজুরির নির্্ববাচনের ফলাফল বিকৃ ত করেন। রাত সাড়়ে দশটার সময়়ে কাউন্্টটিিং
কাজ ছাড়়াও রেজাউল বাড়়িতে ব্্যযাগ - এর কাজ করতো�ো বলে অফিসের বাইরে কারেন্্ট বন্ধ করে দেওয়়া হয় বলে অভিযো�োগ করেন
জানান তা ঁর মা। নিহত রেজাউলের এক ৪ মাস বয়সী কন্্যযা আছে। পরিবারের সদস্্য এবং গ্রামবাসীরা। সেই কাউন্্টটিিং অফিসের বাইরে,
ভো�োট দিয়়ে এসেছেন, তদাবধি কো�োনও অশান্তি হয় নি বলে জানান ১০০ মিটার দূরে, ১৪৪ ধারার আওতার বাইরে তা ঁরা বসে পড়়েন,
পরিবারের সদস্্যরা। এও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনির উপস্থিতিতে, প্রতিবাদ করতে থাকেন, শ্্ললোগান দিতে থাকেন। রাত ১১ টা বেজে
১১ই জুলাই সকাল থেকে রাত ৮ টা অবধি ভো�োট গণনা সুস্থভাবে ৩০ মিনিট নাগাদ, পুলিশ এবং 7৮ - এর উর্্দদিধারীরা বিনা প্ররো�োচনায়
হচ্্ছছিল। ১১ই জুলাই, রাত ৮ টায় গণনা শেষ হওয়়ার কথা, সেই রাবার বুলেট ফায়়ার করেন, কা ঁদানি গ্্যযাসের ক্্যযানিস্টার ছো�োঁঁড়়েন,
পর্্যন্ত, এলাকার মানুষ জানেন, যে পধ্্গয়়েতে ৮ টি আসনের মধ্্যযে এই গ্রামবাসীদের বিচ্্ছছিন্ন করতে, সাথে সাথে অন্ধকারের মধ্্যযে
৪টি তে আই এস এফ জিতেছে, এবং পঞ্চায়়েত সমিতি স্তরে ১৬ গ্রামবাসীদের চো�োখে জো�োর আলো�ো দেখিয়়ে বিভ্রান্ত করার পদক্ষেপ
টি আসনের মধ্্যযে ১০ টি জিতেছে। ইতিমধ্্যযে জেলা পরিষদের নেন - এমন জানান পরিবারের লো�োকেরা এবং গ্রামবাসী । ভিড়
এজেন্্টরা এসেছেন, গণনার শেষ পর্্ব চলছে। ৮ টা নাগাদ, ৫০০০ সরানো�োর প্রক্রিয়়া চলার পর, ১২টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ, আবার
এর বেশি ভো�োটে আই এস এফ প্রার্্থথী জাহানারা খাতু ন জিতছেন, গ্রামবাসীরা সেখানে জড়ো হন, ১৪৪ ধারার আওতার বাইরে। তখন
কাউন্্টটিিং এজেন্্ট কাউন্্টটিিং অফিসের বাইরে এসে ১০০ মিটার দূরে গ্রামবাসীদের উপর পুলিশ নির্্বচবি ারে গুলি ছো�োঁঁড়়া শুরু করেন বলে
বসে থাকা আই এস এফ সমর্্থকদের এবং গ্রামবাসীদের জানান। অভিযো�োগ জানিয়়েছেন পরিবারের সদস্্যরা। ঘটনাস্থলে মৃত তিনজন

31
মানুষ - ভো�োগালি গ্রামের রেজাউল গাজী, বয়স ২৪; কা ঁটাডাঙ্গী গ্রামের পেলাম তা ঁর দুই ছেলে, একজনের বয়স ১১, আরেকজনের বয়স
হাসান মো�োল্লা, বয়স ৩২ এবং চিনাপুকুর এলাকার বাসিন্্দদা রাজু মো�োল্লা, ৮, সাথে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জাহানারা বিবি। মৃত হাসান মো�োল্লা
বয়স ২৭। গ্রামবাসীরা এও জানান, তা ঁরা আরও কিছু মানবদেহ পড়়ে তা ঁর পরিবারের একমাত্র উপার্্জ নকারী সদস্্য ছিলেন, ব্্যযাগের
থাকতে দেখেছেন, তা ঁদের পরিচয় তা ঁরা জানেন না, বলেন পুলিশ কাজ করতেন। তা ঁরা ১১ই জুলাই এর ঘটনার বর্্ণনা করেন, যা
তা ঁদের দেহ সরিয়়ে নিয়়ে গেছেন বলে দেখেছেন। গ্রামবাসীদের রেজাউলের পরিবারের লো�োকেদের বয়়ানের সাথে মিলে যায়।
অনুমান, তা ঁরা নিমকু ড়়ি গ্রামের বাসিন্্দদা হতে পারেন, কারণ নিমকু ড়়ি পরিবারের সদস্্যরা এবং পড়শিরা আতঙ্কিত, শো�োকে কাতর। ১২
গ্রামের কিছু মানুষ তখনও নিখো�োঁঁজ বলে তা ঁরা জানতে পেরেছেন। তারিখ রাত ১টা (১২ জুলাই ০১:০০ ঘন্্টটায়) নাগাদ তা ঁরা হাসানের
নিহত রেজাউলের পরিবারের সদস্্যদের, প্রতিবেশীদের এবং মৃতদেহ নিয়়ে এসেছিলেন কা ঁঠালিয়়া উচ্্চবিদ্্যযালয় - এর সামনে
ভো�োগালি গ্রামের বাসিন্্দদাদের অভিযো�োগ, গ্রামে পুলিশি সন্ত্রাস বহুদিন থেকে, সেখান থেকে জিরানগাছি হাস্্পপাতালে নিয়়ে যাওয়়া হয়,
ধরে চলছে, কাশীপুর থানার প্রাক্তন ও সি এবং বর্্তমানে ক্্যযানিং জিরানগাছি থেকে আর জি কর হাসপাতালে রেফার করে, সেই
জীবনতলা থানার ও সি সমরেশ ঘো�োষ যে বারংবার তা ঁদের প্রাণের যাত্রাপথে হাসান মো�োল্লা মারা যান বলে জানান পরিবারের সদস্্যরা।
হুমকি দিয়়েছেন তা জানান। গ্রামের মানুষ কে প্রাণের ভয় দেখিয়়েথানায় আর জি কর হাসপাতালে তা ঁকে মৃত ঘো�োষণা করা হয়। ময়নাতদন্ত
গিয়়ে এফ আই আর করতে দেওয়়া হচ্্ছছে না, এই অভিযো�োগ করেন। হয়, কিন্তু পরিবারের সদস্্যদের উপস্থিত থাকতে দেওয়়া হয় নি।
পরিবারের সদস্্যরা জানান, ১২ই জুলাই বুধবার সকালবেলা ৭টা ফলে ম্্যযাজিস্ট্রেট ছিলেন কি না, ভিডিও রেকর্্ড হয়়েছে কি না,
নাগাদ ভো�োগালি গ্রামে ১৫-১৬ টি গাড়়ি নিয়়ে কাশীপুর থানার পুলিশ এসব জানা যায় নি। যাযা প্রামান্্য নথিপত্র পাওয়়া গেছে, তা ঁর
গ্রামে ঢু কে তাণুব চালিয়়েছে, কো�োনও তল্লাশি ওয়়ারেন্্ট ছাড়়া ঘরের মধ্্যযে ইনকু এস্ট রিপো�োর্্টটে লেখা রয়়েছে যে হাসান মো�োল্লা কে মাথায়
মধ্্যযে ঢু কে তছনছ করেছে, গ্রামবাসীদের উপর শারীরিক আক্রমণ গুলি করা হয়, কিন্তু কো�োনও অস্বাভাবিক মৃত্্যযুর কেস নম্বর দেওয়়া
করেছে, বহু গ্রামবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু গ্রেপ্তার সম্্পর্্ককে হয় নি। এমন কি কো�োনও এফ আই আর দাখিল করতে যেতে
কো�োনও নথিপত্র দেয় নি, কো�োনও কারণ পর্্যন্ত জানায় নি। এদের মধ্্যযে পারেন নি পরিবারের লো�োকেরা। কাশীপুর থানার পুলিশ তাদের
খুদে মো�োল্লা, আবেদ মো�োল্লা বৃহস্্পতিবার ১৩ই জুলাই সকাল ১১ টার থানায় পৌ�ৌঁঁ ছনর আগেই তাড়়িয়়ে দিয়়েছেন বলে অভিযো�োগ জানান
সময়়েও ছাড়়া পান নি। এরেস্ট মেম দেওয়়া হয় নি। রবিউল মো�োল্লা পরিবারের সদস্্যরা। বারবার ফো�োনের মারফত হুমকি পাচ্্ছছেন তা ঁরা
বলে একজন কে ছেড়়ে দিয়়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়়া খুদে এবং আবেদ বলে জানান। পরিবারের সদস্্যরা জানান, যে মৃত্্যযুর পূর্্ববে, ১১ তারিখ
মো�োল্লার পরিবারের সদস্্য এবং গ্রামবাসীদের অভিযো�োগ, কাশীপুর বিকেল ৬টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ হাসান মো�োল্লাকে মারধো�োর করে
থানা থেকে ফো�োন করে মাথাপিছু ৬০০ টাকা করে চাওয়়া হয়়েছে। ৭৪ এর পুলিশবাহিনী। আরাবুল ইসলাম, শওকত মো�োল্লা-দের মদতে
কি কারণে পুলিশ গ্রামবাসীদের থেকে টাকা চাইছেন, তা পরিষ্কার পুলিশের সাথে দুষ্কৃতিরা গ্রামে ঢু কে বারবার অত্্যযাচার করছেন বলে
নয়। মহিলাদের উপর অত্্যযাচারের কথা আমরা শুনি। গো�োলাভর বিবি, জানান পরিবারের সদস্্যরা । গ্রামে ঢু কে তাগুব চালানো�োর নিদর্্শন
বয়স ৫৪, পুরুষ পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হন, বুকে, হাতে, কো�োমরে হিসেবে হাসান মো�োল্লার বড় ছেলের ভাঙ্গা হাত দেখান পরিবারের
লাগির আঘাত হয় বলে অভিযো�োগ করেন। একজন ১০ বছরের মেয়়ে, সদস্্যরা গ্রামের মানুষেরা বলেন, এলাকায় সাংবাদিকতা করছিলেন
ক্লাস ৪ এর ছাত্রী, আফসানা খাতু ন (নাম পরিবর্্ততিত), তা ঁকে রাস্তায় শওকত আলম নামের এক সাংবাদিক, তিনিও নিখো�োঁঁজ।
পুরুষ পুলিশ লাঠিপেটা করে, হাতে, মাথায়, কো�োমরে চো�োট, অভিযো�োগ ৩। গ্রাম - চিনাপুকুর, ব্লক- ভাঙ্গড় ২, সময় - দুপুর ২টো�ো নিহত
তা ঁর পরিবারের সদস্্যদের। মহিলা পুলিশের কো�োনও উপস্থিতি রাজু মো�োল্লা (বয়স ২৭) অবিবাহিত, গাড়়ির হেল্পার হিসেবে
আহতদের পরিবারের সদস্্য এবং গ্রামবাসী দেখেন নি বলে জানান। গাড়়ির দো�োকানে কাজ করতেন। তা ঁর মা, জাহানারা বিবি বলেন,
পরিবারের সদস্্য এবং ভো�োগালি গ্রামের বাসিন্্দদাদের অভিযো�োগ, ক্্যযানিং যে ১১ তারিখ রাত ১০:৩০ নাগাদ বাড়়িতে রো�োজগার সম্্পর্্ককিত
জীবনতলা থানার ও সি সমরেশ ঘো�োষ, বারুইপুর পুলিশ বিভাগের ঝগড়়া হওয়়ায় বাড়়ি থেকে রাগ করে বেরিয়়ে পড়়েন রাজু মো�োল্লা,
সুপারিন্্টটেন্ডেন্্ট পুস্্পপা (IPS), BDO কার্ত্তিক চন্দদ্র রায়, কাশীপুরের ঘটকপুকুড়়ে তা ঁর দিদির বাড়়ির উদ্দেশ্্যযে। গভীর রাতে গাড়়ি
বর্্তমান ওসি প্রদীপ পাল এবং তৃ ণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এবং না পেয়়ে পায়়ে হেঁটেই যাচ্্ছছিল বলে জানান। সেই রাতে দিদির
শওকত মো�োল্লা এলাকায় গ্রামবাসীদের উপর অত্্যযাচারের জন্্য এবং বাড়়িতে পৌ�ৌঁঁ ছনর কো�োনও খবর পান নি, ভো�োরবেলা কাশীপুর
এলাকায় ভয়়ের আবহাওয়়া তৈরি করার জন্্য দায়়ী। থানা থেকে এক সিভিক ভলান্্টটিয়়ার মারফত খবর পান যে তা ঁর
২। গ্রাম - কা ঁটাডাঙ্গা, ব্লক - ভাঙ্গড় ২, সময় - দুপুর ১টা নিহত ছেলের মৃতদেহ চিত্তরঞ্জন হাস্্পপীতালের মর্্গগে রাখা রয়়েছে। লাশ
আই এস এফ কর্্মমী হাসান মো�োল্লার বেয়স ৩২) বাড়়িতে দেখতে দেখতে সেখানের ডো�োমেরা তাদের থেকে ৩০০ টাকা চেয়়েছেন,
32
আর লাশ বের করে দেওয়়ার জন্্য ১০০০ টাকা চেয়়েছেন বলে বিবি। পুলিশের অত্্যযাচারের ফলে মিসিং ডায়়েরি পর্্যন্ত করতে
জানান। তাদের কাছে অত টাকা না থাকাতে তা ঁরা ৮০০ টাকা দিতে যেতে পারেন নি পরিবারের সদস্্যরা।
বাধ্্য হয়়েছেন। অভিযো�োগ করেন। ফলে ম্্যযাজিশট্রেট ছিলেন কি না, আমাদের অভিযো�োগঃ
ভিডিও রেকরডিং হয়়েছে কি না তা বলতে পারেন নি। নথিপত্র ১. ভারতের সর্্থবধানের Section III Article 14, Article
বলতে শুধু একটি কাগজ দেওয়়া হয়়েছে যেখানে একটি ইনকু এস্ট 19 এবং Article 21 অনুযায়়ী, এক নিরস্ত্র, শান্তিপূর্্ণ
রিপো�োর্্ট এর নম্বর দেওয়়া রয়়েছে, বেনিয়়াপুকুর থানায় ১২/৭/২৩ জমায়়েতের উপর নির্্ববিচারে গুলি ছো�োঁঁড়়া সম্্পপূর্্ণভাবে
তারিখে ইনকু এস্ট নম্বর ৩৭৮। কো�োনও অস্বাভাবিক মৃত্্যযুর কেস আইন বহির্্ভভূ ত। ভারতের শীর্্ষ আদালত, মাননীয় সুপ্রিম
নম্বর দেওয়়া হয় নি। তা ঁরা শবদেহ দেখে জানতে পারেন যে গুলি কো�োর্্টটে র বহু বিচারে আমরা তা জানতে পারি। আমরা মনে
পিঠে লেগেছে, তা থেকে পরিবারের সদস্্যরা অনুমান করছেন যে করি, এই ঘটনা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং পুলিশের অমানবিক
তিনি পালিয়়ে বাঁচতে চাইছিলেন। পরিবারের লো�োকেরা ভীত, সন্ত্রস্ত। বর্্বরো�োচিত অত্্যযাচারের নিদর্্শন - যা মানবাধিকারের সমস্ত
তা ঁরা সঠিক এবং দ্রুত তদন্ত হো�োক তা চেয়়েছেন, কারা রাজু কে ধারণার বিরুদ্ধে । ১১ই এপ্রিল রাত ১১টা বেজে ৪৫ মিনিট
হত্্যযা করেছে, তা জানতে চেয়়েছেন। তাদের শাস্তি দাবি করেছেন। থেকে শুরু করে ১২ই এপ্রিল ভো�োর ১টা অবধি - ভাঙ্গড়়ে
৪। গ্রাম - আলাখুলিয়়া, ব্লক - ভাঙ্গড় ২, সময় - দুপুর ১২টা আই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ফলে, পুলিশের নির্্ববিচারে গুলি ছো�োঁঁড়়ার
এস এফ প্রার্্থথী জাহানারা খাতু ন এর বাড়়িতে গিয়়ে আমরা জানতে ফলে তিনজন মানুষ নিহত হন - এই ঘটনা এক ভয়়ানক
পারি, যে তা ঁর সাথে এবং তা ঁর স্বামী করিমুল মো�োল্লার সাথে শেষ মানবাধিকার হননের দৃষ্টান্ত বলে আমরা মনে করি।
যো�োগাযো�োগ করা যায় ১১ই জুলাই দুপুর ৪টে নাগাদ, কাউন্্টটিিং সেন্্টটার ২. ১৩ই জুলাই সকাল ১১টা অবধি (অর্্থথাৎ মৃত্্যযুর ৩৩ ঘন্্টটা
এর ভিতরে। পরিবারের সদস্্যদের অভিযো�োগ, তা ঁরা নিখো�োঁঁজ। পার হওয়়া সত্তেও) নিহত রেজাউল গাজীর শবদেহ
করিমুল মো�োল্লার মা, শহরবানু বিবি, বয়স ৫০, বলেন যে বিনা মহিলা চিত্তরঞ্জন হাস্্পপাতালের মর্্গগে ছিল, তখনও ময়নাতদন্ত হয়
পুলিশের উপস্থিতিতে, তাদের বাড়়িতে কাশীপুর থানার পুলিশ ঢু কে নি। U/D (Unnatural Death)সঙ্ক্রান্ত কো�োনও কেস নম্বর
তাণ্ডব করে, তা ঁর গায়়ে আঘাত করেন, এমনকি তা ঁর বৃদ্ধা শাশুরির দেওয়়া হয় নি পরিবারের সদস্্যদের। ময়নাতদন্ত করার
গায়়ে (বয়স ৭৫) হাত দেন পুরুষ পুলিশ। নির্্ববিচারে সবার নামে সময়়ে পরিবারের সদস্্যদের উপস্থিত থাকতে দেওয়়া হয়
কেস দেওয়়া হয়়েছে, নমিনেশনের দিন ৭০ জনের নামে কেস দেওয়়া নি। ম্্যযাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতির কো�োনও নথিপত্র বা প্রমাণ
হয় বলে জানান। ভো�োটের আগেও এলাকায় পুলিশ হিংসা চালাচ্্ছছে পরিবারের কাছে দেওয়়া হয় নি। ভিডিও রেকর্্ডডি-এর
বলে অভিযো�োগ করেন, বাড়়ি বাড়়ি ঢু কে জিনিসপত্র ভাঙচু র করছে, কো�োনও নথিপত্র বা প্রমাণ পরিবারের কাছে দেওয়়া হয় নি।
সন্ত্রস্ত অবস্থায় ক্রন্্দনরতা মহিলাদের অভিযো�োগ কে ‘ন্্যযাকামো�ো” [Inquest রিপো�োর্্ট পরিবারের কাছে জমা পড়়ে নি। পুলিশ
বলে উড়়িয়়ে দিচ্্ছছে পুলিশ, মৌ�ৌখিক অপমান করছে - এমন জানান এবং ময়নাতদন্তকারী সংস্থার এই সমস্ত কর্্মকাণ্ড সম্্পপূর্্ণ
তিনি। গুন্ডাবাহিনীর লো�োকেরা ভো�োট না দিলে দেখে নেব - এই মর্্মমে আইন বহির্্ভভূ ত।
হুমকি দিচ্্ছছেন বারবার বলে জানান। তা ঁর অভিযো�োগ, ১১ তারিখ ৩. মহিলাদের উপর পুরুষ পুলিশ অফিসারের শারীরিক
সন্ধ্যায়, ভো�োট গণনার সময়়ে, আরাবুল ইসলাম এবং শওকত মো�োল্লা নির্্যযাতন সম্্পপূর্্ণ আইন বহির্্ভভূ ত, এবং গর্্হহিত অপরাধ।
গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢু কে জাহানারা কে আটক করে রাখেন। ৪. কো�োনও মানুষের বাসস্থানে, যেখানে মহিলারা বাস করেন,
তা ঁর বক্তব্্য, কেন্দ্রীয় বাহিনি স্্পষ্টতঃ তৃ ণমূল প্রার্্থথীদের সমর্্থনে গভীর রাতে, বিনা সার্্চ ওয়়ারেন্্টটে পুলিশের প্রবেশ করা
কাজ করেছেন, অভিযো�োগ জানান যে গণনাকেন্দ্রের ভিতরে থাকা সম্্পপূর্্ণ আইন বহির্্ভভূ ত।
শওকত মো�োল্লা ফো�োনে কথা বলে কা ঁঠালিয়়া গো�োরস্থানের পাশে এক
৫. ভারতের সর্্ববিধানের দ্বারা প্রত্্যযেক মানুষের Right to
দল গুপ্তাদের লাইন করে প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। অভিযো�োগ
Redressal এর অংশ হিসেবে থানায় গিয়়ে অভিযো�োগ
জানান, আই এস এফ কর্্মমী রা গ্রামে সন্ত্রাসের ফলে বাড়়িতে থাকতে
করার অধিকার রয়়েছে। সেই অনুযায়়ী কাশীপুর থানার
পারছেন না, বর্্ধধাকালে মাঠে ঘুমো�োতে হচ্্ছছে তাদের। অভিযো�োগ
বারংবার অভিযো�োগকারী গ্রামের মানুষদের তাড়়িয়়ে
করেন, যারা মারা গেছেন তা ঁরা প্রত্্যযেকে গরীব পরিবারের সদস্্য।
দেওয়়া, এফ আই আর করতে না দেওয়়া, অভিযো�োগ
গভীর রাতে গ্রামের মধ্্যযে পুলিশ বারংবার হানা করেছে বলে জানান।
গ্রহণ না করা এবং পালটা গ্রামের মানুষদের ভয় দেখানো�ো
আই এস এফ কর্্মমী রা ভয়়ানক আক্রান্ত - কারুর হা ঁটু উলটে গেছে,
সম্্পপূর্্ণ আইন বহির্্ভভূ ত।
হাড় ভেঙে গেছে, বহু মানুষ রক্তাক্ত, জখম বলে জানান শহরবানু
33
আমাদের দাবীঃ ২. রাজ্্য সরকারকে নিহত রেজাউল, হাসান এবং রাজুর
১. ভাঙ্গড়়ে ভো�োট গণনার শেষে ১১ই জু লাই গভীর রাতে পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এবং ১২ই জু লাই ভো�োর অবধি যে নৃশংস রাষ্ত্রীয় সন্ত্রাস ৩. কাশীপুর থানার বর্্তমান ও সি প্রদীপ পাল, ক্্যযানিং
হয়়েছে, যে অমানবিক হত্্যযালীলা হয়়েছে, তা ঁর নিরপেক্ষ জীবনতলা থানার বর্্তমান ও সি সমরেশ ঘো�োষ, এস পি
এবং দ্রুত তদত্তসাপেক্ষ দো�োষী পুলিশ অফিসার এবং পুষ্্পপা এবং বি ডি ও কার্্ততিক চন্দদ্র রায়়ের বিরুদ্ধে গ্রামের
সরকারী কর্্মচারীদের সহ সমস্ত দো�োষীদের আইনানুগ মানুষ বিশেষ ভাবে যে যে অভিযো�োগ হয়়েছে, তা গুরুত্বের
শাস্তি দিতে হবে। সাথে দেখা হো�োক এক নিরপেক্ষ এবং দ্রুত তদন্তের মাধ্্যমে
দো�োষীদের আইনানুগ শাস্তি দেওয়়া হো�োক।

পঞ্চায়েত নির্্ববাচনের প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ ২৪ পরগণার


দলুয়াখাকি লস্করপাড়া গ্রামে এপিডিআর-এর তথ্্যযানুসন্ধানী রিপো�োর্্ট

১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার, ৮ জন সদস্্যযের এ পি ডি আর এর হয়, এলাকায় IPC ১৪৪ ধারা তে দেওয়া হয়। আমরা প্রতিবাদে
তথ্্যসন্ধানকারী দল দক্ষিণ ২৪ পরগণার আক্রান্ত বামনগাছি ও রাস্তার মো�োড়ে দা ঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাই, স্্ললোগান দিই, প্রশাসন এবং
দলুয়াখাকি লস্করপাড়া গ্রামে যায়, যেখানে সো�োমবার অর্্থথাৎ ১৩ই আধিকারিকদের কাছে জবাব চাই।
নভেম্বর বেশ কিছু ঘর বাড়ি পুড়ে যাওয়ার অভিযো�োগ আসে। আমরা সম্্পপূর্্ণ বেয়াইনি ভাবে আমাদের শারীরিক ভাবে সরিয়ে
গন্তব্্যযে পৌ�ৌঁঁ ছই দুপুর ৩ টে নাগাদ। যাওয়ার পথে আমরা লক্ষষ্য করি দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ বারবার (বিনা কো�োনও মহিলা পুলিশের
এলাকায় ব্্যপকভাবে পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতি। উপস্থিতিতে), এবং অপারগ হয়ে লাঠি নিয়ে তৈরি হন আমাদের
৫২ বছরের অধিকার আন্দোলনের সপক্ষে লড়াইয়ের সাথে উৎখাত করতে। এ পি ডি আর এর ব্্যযানার পুলিশের সদস্্য
সামঞ্জস্্য বজায় রেখে আমরা আক্রান্ত মানুষের কাছে যাই কথা বলপূর্্বক ভাবে খুলে দেয়। আতঙ্ক এবংবিস্ময়ের সাথে আমরা
বলার জন্্য, ঘটনার বিবরণ জানার জন্্য, তথ্্যসন্ধান করার জন্্য দেখলাম বারংবার পুলিশ গ্রামের মানুষকে ভয় দেখাচ্্ছছে, মানুষের
এবং সংবাদমাধ্্যমের অনিরপেক্ষতার ঘেরাটো�োপের বাইরে এসে এক জায়গায় জড়ো�ো হওয়ার যে ফান্ডামেন্্টটাল (প্রাথমিক) অধিকার,
নিরপেক্ষভাবে তথ্্য পেশ করার জন্্য। কিন্তু এইদিন আমাদের তাকে লঙ্্ঘন করছে। এন আর সি ঘো�োষণার সময়ের মতন, অনুরুপ
আটকে দেওয়া হয়, দলুয়াখাকি লস্করপাড়া গ্রামে আমাদের প্রবেশ ভাবে গ্রামের বাসিন্্দদাদের বাড়ি যাওয়ার পথে আধার কার্্ড দেখাতে
করতে দেন নি বারুইপুর পুলিশ বিভাগের এ এস পি পার্্থ ঘো�োষের বলা হচ্্ছছে। গ্রামের বাসিন্্দদারা আমাদের সাথে কথা বলার জন্্য
নির্্দদেশে কর্্মরত জয়নগর থানার এ এস আই শাহ্নাওাজ আলি মণ্ডল এগিয়ে আসতে চাইছিলেন আমরা লক্ষষ্য করেছি। সাথে এও লক্ষষ্য
এবং তার অধিনে আরও কিছু পুলিশ কর্্মমী । বামনগাছি মতায়েন করেছি, পার্্থ ঘো�োষের নির্্দদেশে নীল সাদা ছো�োপ ছো�োপ পো�োশাকে কিছু
না থাকা সত্ত্বেও কেন আমাদের নাগরিক হিসেবে যাতায়াতে বাধা ক্্যযাডেট, সম্ভবত স্্পপেশাল টাস্ক ফো�োরসের সদস্্য, তাদের পাঁচ থেকে
দেওয়া হচ্্ছছে প্রশ্ন করা হয়। এই প্রশ্নের কো�োনও সদুত্তর পাওয়া যায় ছয় জনের কা ঁধে কা ঁদানে গ্্যযাসের ক্্যযানিস্টারের বাক্স। মানুষের গায়ে
নি। এ এস পি পার্্থ ঘো�োষ নির্্দদেশ রেখে যায়, এলাকার মানুষের কা ঁদানে গ্্যযাস ছো�োঁঁড়ার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন এলাকায় বারুইপুর
সাথে আমাদের যেন কথা না বলপঞ্চায়েতের সামনের মো�োড়ে, পুলিশ বিভাগের এ এস পি পার্্থ ঘো�োষ এবং তার নির্্দদেশে জয়নগর
ঘটনাস্থল থেকে ১৫০ মিটার দূরে আমাদের আটকে দেওয়া হয়। থানার এবং এস টি এফ এর বাহিনী। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযো�োগ্্য,
যখন প্রশ্ন করা হয় কেন আটকাচ্্ছছেন, একটাই উত্তর শো�োনা যায়, কা ঁদানে গ্্যযাস কে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে জাতিসংঘ। এলাকার
‘স্্যযারের অরডার আছে’। ভারতের সংবিধানের কথা মনে করানো�ো বাসিন্্দদাদের কাছ থেকে আমরা যা জানতে পারি, তা এই মর্্মমে –

34
১. রবিবার ১২ই নভেম্বর, ভো�োরবেলা ৫ টা বেজে ২৬ মিনিট আতঙ্কে আছেন বলে জানান। খাবার চেয়়ে চিন্তে চালাতে
থেকে ৫ টা বেজে ৪৫ মিনিটের মধ্্যযে, নামাজ পড়তে গিয়ে হচ্্ছছে। তা সত্ত্বেও মারিয়়াম বিবি পুলিশ ক্্যযাম্্পপের দাবি
মারিস্বর বাঙ্গাল্বুড়ির মো�োড়ে মসজিদ-এ-মনো�োহরা’র প্রাঙ্গনে জানিয়়েছেন।
৪৩ বছর বয়সী সইফু দ্দিন লস্কর কে খুন করা হয়। ৩. আলি হো�োসেনের দো�োকান থেকে মালপত্র বের করে জ্বালিয়়ে
২. খুনের অভিযো�োগ যাদের বিরুদ্ধে, তাদের মধ্্যযে একজন, দিয়়েছে। সাজিদা বিবির দুই ভাই দর্্জজির কাজ করে যে দলিশে
শেখ সাহাবুদ্দিন কে সো�োমবার ১৩ই নভেম্বর পিটিয়ে খুন (যেখানে সেলাই মেশিনে সেলাই করে তার কারখানার
করা হয়। অপর নাম) সেখানে সাত-আট খানা মেশিন ভেঙে জ্বালিয়়ে
৩. জয়নগর থানা এবং বারুইপুর পুলিশ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেওয়়া হয়। সর্্বত্র পো�োড়়া ধ্্ববংসস্তুপ। বাচ্্চচাদের পো�োড়়া বই,
এলাকায় সুপারি কিলারের অবাধ কারবারি রয়েছে। খাতা। চারদিন পরেও পো�োড়়া গন্ধ।
৪. এলাকায় যে কো�োনও রকমের সমাজবিরো�োধী কার্্যকলাপ ৪. মধ্্যবয়সী ফিরো�োজা লস্কর। বাবার মৃত্্যযু হয়়েছে ১৪ দিন
পুলিশের জ্ঞাতসারেই হয়, এবং কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের আগে। বাঁ দিকের পায়়ে প্লাস্টার করে ঘরে রয়়েছেন।
প্রত্্যক্ষ বা পরো�োক্ষ ভু মিকা রয়েছে সেই কীর্্ততিকলাপে। ঘটনার দিন সকাল ৮ টায় পায়়ে আঘাত পেয়়ে পুকুর পাড়়ে
৫. সো�োমবার যে সমস্ত ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়, সেই দুপুর তিনটে অব্দি পড়়ে থাকার পর চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়়ে
সমস্ত গ্রামবাসী আশ্রয়হীন ভাবে রয়েছেন, এবং এখনও যাওয়়া হয়। ফিরো�োজা লস্কর জানায় পুলিশ তৃ ণমূলের কথা
অবধি কো�োনও ক্ষতিপূরণ ঘো�োষণা হয় নি কো�োনও স্তরের মতো�ো কাজ করে।
কর্্ততৃ পক্ষর দ্বারা। ৫. স্বৈরবিবি লস্কর সহ গ্রামের মানুষ একযো�োগে বলতে
থাকে, ঘটনার দিন সকাল বেলা গ্রামের রাস্তায় প্রচু র
১৯শে নভেম্বর ২০২৩, রবিবার – বাইকের আনাগো�োনা বেড়়ে যেতে দেখেন তারা। দুর্্ঘটনার
১৪ই নভেম্বর মঙ্গলবার দলুইখাকি গ্রামে যেতে বাধা দেওয়়ার পূর্্ববাভাস পেয়ে তা ঁরা খো�োঁঁজ নিয়়ে জানতে পারেন তৃ ণমূল
প্রতিবাদে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদ এবং আমাদের নেতা সৈফু উদ্দিন লস্করের গায়ে গুলি লেগেছে। এরপর,
ব্্যযানার খুলে দেওয়়ায় বিক্্ষষোভ দেখানো�ো সহ ঘটনা বহুল পরিস্্হহিতির জয়নগর থানার প্রাক্তন ও সি বাসববাবু (পদবী জানা
উদ্ভব হওয়়ার সময় আমরা গ্রামবাসীদের জানিয়়ে এসেছিলাম যায় নি), প্রাক্তন আই সি রাকেশ চ্্যযাটার্্জজি এবং প্রাক্তন
আমরা আবার আসবো�ো এবং গ্রামে প্রবেশ করবো�ো। সেইমত এস আই সায়ন দাসের (যুদ্ধকালীন তৎপরতার সাথে
আমরা ১৯ শে নভেম্বর রবিবার দুপুরে পৌ�ৌনে দুটো�ো নাগাদ ৭জনের অন্্যত্র ট্রান্সফার করা হয়েছে এনাদের) নেতৃ ত্বাধীন পুলিশ
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির একটি প্রতিনিধি দল সরজমিনে বাহিনীর উপস্থিতিতে, দল বেঁধে তৃ ণমূলী গুণ্ডারা বেছে
তথ্্যযানুসন্ধান করতে দলুইখাকি গ্রামে যাই । গ্রামের রাস্তায় যথারীতি বেছে ঘরবাড়়ি জ্বালিয়়ে দেয়। নির্্ববিচারে ভাঙচু র, লুঠপাট
পুলিশবাহিনীর উপস্থিতি এবং টহল দেখতে পাই। দলুইখাকি গ্রামের হয়। প্রায় ২৬ থেকে ২৭ টা ঘরবাড়়ি এবং দো�োকানপাটে
প্রায় প্রতিটি আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরে আমরা গিয়়ে কথা বলি। তান্ডব চালিয়়েছে। লক্ষাধিক টাকার মূল্্যর গরুর হদিস
গ্রামবাসীদের থেকে যা জানতে পারি তা এই মর্্মমে— নেই। বিধান্সভার মেম্বারের লো�োকজন নিয়়ে গেছে। ছয়-
১. গ্রামবাসীরা জানান অনেকে এসেছেন গ্রামে, কিন্তু এই ভাবে সাতখানা ছাগলকে মেরেছে। দুখানা মো�োটর চালিত ভ্্যযান
তা ঁদের দুরাবস্থার খো�োঁঁজ খবর করেন নি। দূর থেকে কথা রিক্সাকে ভেঙে জ্বালিয়়ে পুকুরে ফেলে দিয়়েছে। আয়ুব
বলে, ছবি তু লে চলে গেছেন। আলী লস্কর একজন ভ্্যযান রিক্সার মালিক, জানান তিরিশ
২. গ্রামের সিপিএম পঞ্চায়়েত প্রার্্থথী জামালউদ্দিন লস্করের হাজার টাকা ভ্্যযান রিক্সা সারাতে লাগবে।
মা মারিয়়াম বিবি জানায় তার দুই ছেলে। বড় ছেলে ৬. হালিম লস্কর সহ গ্রামবাসীরা আরো�ো জানায় “বর্্ষষার ধান
জামালউদ্দিন। সেরকম পড়়াশো�োনা জানে না। তা ঁর বয়ানে, পেকেছে। কিন্তু পুলিশ আমাদের এখনো�ো চলা ফেরা করতে
“কো�োথায় কে খুন হয়়েছে আর তৃ ণমূল এমএলএর নির্্দদেশে দিচ্্ছছে না । আমাদের গতিরো�োধ করাতে বাদায় গিয়়ে ধান
পুলিশের সামনে ও সহযো�োগে তৃ ণমূলের লো�োকজন পেট্্ররোল কাটতে পারছি না।” গ্রামবাসীরা জানায় “যারা আমাদের
হাতে ঘরবাড়়ি লন্ডভন্ড করে ভাঙচু র চালায়।” ধানের ঘরবাড়়ি জ্বালিয়়ে দিল আজ পর্্যন্ত শুনিনি তারা একজনও
গো�োলায় পেট্্ররোল ঢেলে আগুন লাগায়। তা ঁর নাতির ধরা পড়়েছে। গ্রাম থেকে চারজনকে ধরে নিয়়ে গিয়়েছিল
দো�োকানের লক্ষাধিক টাকার উপরে লুঠপাট হয়়েছে। এখন পুলিশ। চারদিন পর তারা থানা থেকে ছাড়়া পায়। এদের
35
মধ্্যযে দুই ভাই আসারউদ্দিন লস্কর ও আলাউদ্দিন লস্কর। আগুন ধরিয়়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং
এদের বাবার নাম আফসার লস্কর।” আরেকজনের নাম দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্তসাপেক্ষ আইনানুগ
সানো�োয়়ার লস্কর, বাবার নাম সাহেব লস্কর। ব্্যবস্থা নিতে হবে। গ্রামের মানুষের উপার্্জনের যে ক্ষতি
৭. গ্রামের ডাক্তার রফিকু ল লস্করের বাড়়ির ভেতরে ব্্যযাপক হয়েছে পুলিশি অত্্যযাচারের ফলে, অবিলম্বে তার ন্্যযায্্য
ভাঙচু র চালায়। সে এক ভয়়ানক রো�োষের শিকার। বাড়়ির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
মিটার ঘরটা পর্্যন্ত রেহাই পায়নি। রফিকু ল লস্করের ডাক্তার ৫. যে তিনটি এফ আই আর দাখিল হয়েছে, দলুইখাকি
খানা ভেঙ্গে দিয়়েছে। ওষুধপত্র লুঠ করে নিয়়ে গেছে। লস্করপাড়া গ্রামের ঘরবাড়ি জ্বালানো�োর প্রসঙ্গে, পুলিশ
ভাঙচু রের সময় রফিকু লের বাড়়ির লো�োকজন কো�োনমতে প্রশাসনকে সেই এফ আই আর এর মধ্্যযে উল্লিখিত
পালাতে পারে বলে প্রাণে বেঁচে যান। দুষ্কৃতিদের আড়াল করা বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে
৮. এনামুল হকের পো�োল্ট্রি ফার্্ম ভাঙচু র করে জ্বালিয়়ে দেয়। গ্রেপ্তার করতে হবে, সাথে দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয়
বাবা ইদ্রিস লস্কর প্রতিবন্ধী। কু তু বউদ্দিন লস্করের বাসা তদন্তসাপেক্ষ আইনানুগ ব্্যবস্থা নিতে হবে।
ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়়ে দেয়। কু তু বউদ্দিন লস্কর বলেন, ৬. যে সমস্ত উর্্দদিপড়া কর্্মরত পুলিশ অফিসার এবং পুলিশ
“পুলিশ বলছে ঐ কয়়েকটা গো�োয়়াল ঘরের ক্ষতি হয়়েছে। কর্্মচারীদের উপস্থিতিতে, যাদের মধ্্যযে অন্্যতম জয়নগর
আপনারাই বলুন যেগুলো�ো ভাঙচু র করা বসত বাড়়ি গুলো�ো থানার প্রাক্তন OC বাসব বাবু , প্রাক্তন SI সায়ন দাস,
দেখছেন সেগুলো�ো কি গো�োয়়ালঘর না বসতবাড়়ি।“ প্রাক্তন IC রাকেশ চ্্যযাটার্্জজি ও বারুইপুর পুলিশ ডিসট্রিক্ট
৯. পুলিশবাহিনীর অত্্যযাচারের একটি নিদর্্শন আমরা দেখতে এর বর্্তমান অ্্যযাডিশনাল এস পি (জো�োনাল) পার্্থ ঘো�োষ,
পাই, এই সময়ে ধানজমিতে ফসল পড়ে রয়েছে, অথচ যাঁদের চো�োখের সামনে এই ধরনের ধ্্ববংসাত্মক কর্্মকান্ড
সেখানে চাষিদের যেতে দেওয়া হচ্্ছছে না। ফলে ধানজমির ঘটে তাদের প্রত্্যযেকের অবিলম্বে সাময়়িক বহিষ্কার
বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে গ্রামের প্রাথমিক উপার্্জনের করে নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে এবং
মাধ্্যম বন্ধ হয়ে রয়েছে। এ ছাড়াও আক্রান্ত বসতবাড়িগুলির তদন্তসাপেক্ষ আইনানুগ ব্্যবস্থা নিতে হবে।
মধ্্যযে বিশেষভাবে উপার্্জনের মাধ্্যমগুলির উপর আক্রমণ ৭. অবিলম্বে সরকার এবং প্রশাসনকে জয়নগর থানার
করা হয়েছে। সমস্ত সেলাই মেশিন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখতিয়ারের অধীন দলুইখাকি লস্করপাড়া–বামনগাছি-
যার ফলে উপার্্জনের আরও ক্ষতি হয়েছে। চালতাবেড়িয়া-কামারিয়া-রামরুদ্রপুর-দক্ষিণ অরুননগর-
আন্্দদিলপুরএলাকা এবং তার সংলগ্ন এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত
আমাদের দাবিঃ করতে হবে, এবং এলাকায় সুপারি খুনিদের অবাধ চরাচর
১. যারা এই ঘটনায় আক্রান্ত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বন্ধ করতে অতি গুরুত্বের সাথে পুলিশের মধ্্যযেই এই
প্রশাসনের তরফ থেকে তা ঁদের অবিলম্বে পর্্যযাপ্ত এবং ন্্যযায্্য সুপারি খুনিদের যো�োগাযো�োগ এবং এদের প্রতি পুলিশের
ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অভয়দানের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে এবং
২. শীতকাল আসন্ন, তাই গৃহহীনদের বাসস্থান নির্্মমাণ হেতু তদন্তসাপেক্ষ অভিযুক্ত পুলিশকর্্মমীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ
সরকারকে অবিলম্বে গৃহ পুনঃনির্্মমাণের উদ্যোগ নিতে হবে ব্্যবস্থানিতে হবে।
এবং আহতদের অবিলম্বে বিনামূল্্যযে সুচিকিৎসার ব্্যবস্থা ৮. যে সমস্ত মানুষ উপরিউক্ত এলাকাগুলির বাসিন্্দদা, যারা এই
করতে হবে। ঘটনায় এবং ধারাবাহিক পুলিশি অত্্যযাচারে ভীত ও সন্ত্রস্ত
৩. ৪৩ বছর বয়সী সইফু দ্দিন লস্করের খুনের সাথে যুক্ত হয়়ে, আতঙ্কে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়়ে দিন কাটাচ্্ছছেন,
যারা, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং দ্রুত ও তাদের অবিলম্বে বিনামূল্্যযে কাউন্সেলিং এবং সুচিকিৎসার
নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্তসাপেক্ষ আইনানুগ ব্্যবস্থা ব্্যবস্থা করতে হবে।
নিতে হবে। শেখ সাহাবুদ্দিন কে পিটিয়ে খুন করার সাথে
যুক্ত যারা, তা ঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং
দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্তসাপেক্ষ আইনানুগ
ব্্যবস্থা নিতে হবে।
৪. যে সমস্ত দুষ্কৃতিরা দলুইখাকি লস্করপাড়া গ্রামের ঘরবাড়িতে
36
রতনদা এবং
প্রভাস চৌ�ৌধুরী

মো�োগল আমলের রান্না নিয়ে লেখাটা কি শেষ করতে পেরেছিল দেখিয়ে আরেক আনন্্দ। সেবারই প্রথম ঘটা করে রাজ্্য সম্মেলন
রতনদা? অসীম বলতে পারবে। শেষ গল্প আড্ডা চা ঘন্্টটা খানেকের মালদায়। তারপর ফরাসি বিপ্লবের দ্বিশতবার্্ষষিকী উদযাপন, রতনদার
মধ্্যযে দুটো�ো সিগারেট মাসচারেক আগে, ফ্লল্যটে। সদানন্্দ ছিল। আমার স্্যযার গৌ�ৌতম ভদ্র, অনীকের সম্্পপাদক দীপংকরদা।
অনুবাদ-বই নিয়ে গিয়েছিলাম। সেদিনও একটা সময় বেলা গড়াচ্্ছছে বাসে চেপে গাঁয়ে এপিডিআর-এর তদন্ত পর্্যযায়। বাসে-ট্রেনে
দেখে বুলা বৌ�ৌদিকে বলতে হলো�ো, তো�োমায় আর রান্না করতে হবে না, শিলিগুড়ি, দুর্্গগাপুর, চন্্দননগর, রাজ্্য সম্মেলন। গণশয্্যযা থেকে
আমি করছি, কি কি দেবো�ো বল। কী রান্না? স্্পপেশাল ডিমের কারি, আমরা দুজন বিতাড়িত। আমরা ঘুমো�োলে বাকিদের ঘুম গেল, ডাক
বলেছিল ওই করবে। আজ আর হবেনা। তু মি কর। আমি বলছি না, প্রবল গর্্জ ন।
শো�োনো�ো, তারপর অনুপঙ্খ ু নির্্দদেশিকা। অনিতার মনে পড়ছিল, কত যে অবকাশ মানেই রূপথের অফিস, অভিরামপুর। লেখালেখি,
নতু ন নতু ন রেসিপি শো�োনাতো�ো রতনদা। একবার রান্নাও করেছে এ নির্্ববাচন, সম্্পপাদনা, নিয়মিত বেরিয়েছে রতনদার ত্রিশংকু কলাম।
বাড়িতে, চিলি চিকেন, মনে পড়ে শেষ আসা জো�োড়া নাতনি দেখতে। এক সময় রতনদা পত্রিকার পুরনো�ো ফাইল ডকু মেন্্ট করেছে, গৌ�ৌতম
ইউরিন সমস্্যযা। বেশিক্ষণ বসা যাবে না। তারপরেও কত কত কথা। ভাঙ্গন নিয়ে কাজ করছে, বললো�ো, ভালো�ো কাজে লাগছে।
মেয়ে ইতিহাস, কে পায় রতনদাকে। দুবার চা দুবার সিগারেট। রতনদার সূত্রেই রণবীরদা (সমাদ্দার), শুভেন্্দদুদা (দাশগুপ্ত),
সিগারেট মানে কথা ঝড়ছে, ছাই ঝড়ছে আঙ্গুলের ডগায়, ট্রান্স-বর্্ডডার মাইগ্রেশন, স্মাগলিং নিয়ে কাজ। ইংরেজবাজার পুরসভার
ছ্্যযাাঁকা খেতে খেতে আঙ্গুলের ও সয়ে গেছে। কতদিনের তাপ ইতিহাস নিয়ে রতনদা কাজ করবে, ক্ষমতায় থাকা বন্ধুদের সাহায্্যযে
- শরৎপল্লী ঢো�োকার মুখে সিদ্ধার্্থদা, ঢু কেই রতনদা, তখন চা ঁচল ফাইল ঘাটার সুযো�োগ। আমিও লগে লগে সারা দুপুর, মজার মজার
কলেজ, যেদিন রতনদার অফ, দু পুরে দেদার আড্ডা শরৎপল্লীর তথ্্য আবিষ্কার। জ্্যযাঠামশাই শান্তিপ্রিয় রায়চৌ�ৌধুরী। এ মানুষটাকে ধরে
ডেরায়। বুলা বৌ�ৌদি কলেজে, শিশু ঋক (বাবু) পাশের ঘরে বন্্দদী। রাখা দরকার, তার অমন মিউজিয়াম প্রচু র টাকায় বিড়লা’কে বেচার
নানা, ছাড়লেই আড্ডা গেল। অফার ছেড়ে দান করলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্্যযালয়ে। সেখানেও
আড্ডা মানে এপিডিআর, রূপান্তরের পথে, কলেজ, কলিজা, কত অসম্মান, বিড়ম্বনা। সে বৃত্তান্ত রতনদার কলমে রূপথে শারদ
যেদিন শুধু মুখো�োমুখি, আজ তো�োকে কবিতা শো�োনাই, একটা সংখ্্যযায়, পাশে আমার লেখায় জ্্যযাঠামশাইয়ের জীবন।
নাটক লিখেছি শো�োন। মানস মনে করালো�ো, সে নাটক ধরা হবে ইতিহাস মানে অনর্্গল অফু রান ডমিনেটিং রতনদা পেয়ে গেল
বলে রূপান্তরের মহড়াকক্ষে পড়া হয়েছিল। কো�োনো�ো এক রূপথে অগ্নিভকে, অসীমের বড় মেয়ে শালিনীর বিয়েতে গো�োঁঁসাইবাগানের
(রূপান্তরের পথে) শারদ সংখ্্যযায় প্রকাশ ও হয়েছিল। মাঠে। অগ্নিভ আমার মেয়ে-জামাইয়ের বন্ধু সূত্রে মালদায় এবং
দুর্্গগাকিংকর স্্যযার মো�োড়ের মাথায় দো�োতলার বারান্্দদায়। রতনদার নেমন্তন্ন খেতে। তখন সে অক্সফো�োর্্ডডে ইতিহাস গবেষণার মাঝপথে।
ডাক পড়তো�ো, আর আমি একটু অনিয়মিত হলেই ছেলে বা নাতিকে নাছো�োড় রতনদাকে সামলাতে সে বিপর্্যস্ত, নেমন্তন্ন মাথায়। সে রাতে
দিয়ে তলব। শৈলেনবাবু তখন চা ঁচল কলেজের প্রেসিডেন্্ট। মনে হয় রতনদা টের পেয়েছিল বেশি হয়ে গেল। পরদিন সক্কালে
সেই ছু তো�োয় রতনদা মাঝে মাঝেই শৈলেনবাবুর বাড়ি। একবার হাজির। সরি, কাল রাতে, আসলে বুঝলে অগ্নিভ …ব্্যযাস, আবার
শৈলেনবাবুর থেকে এপিডিআর –এর চা ঁদা নিয়ে তার রশিদ তিন-চার ঘন্্টটা ভেসে গেল চায়ে-ধো�োঁঁয়ায়।

37
অসীমের ছো�োট মেয়ে লুম্বিনী ইতিহাস পড়ে, সেই সূত্রে বা আগে [৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রতন দাশগুপ্ত তা ঁর নিজস্ব বাসভবনে
ও আর ঋক এখন সঙ্গী। উড়ে আসছে আমেরিকা থেকে। প্রয়়াত হন। প্রয়়াত রতন দাশগুপ্তের স্মৃতিচারণ করে মালদা
বড় একটা শরীর, বড় একটা মুখ, বড় বড় দুটো�ো চো�োখ, কৌ�ৌতু কে জেলার সাপ্তাহিক পত্রিকা রূপান্তরের পথে’ তে উপরের লেখাটি
শিশুর উচ্্ছলতা, টিনটিন থেকে তু লে আনা রতনদার প্রকৃ ত-জাপানি ১০ সেপ্টেম্বর লিখেছিলেন প্রভাস চৌ�ৌধুরী। প্রভাস চৌ�ৌধুরী
শব্দবন্ধ এক সময় রূপথে আড্ডায় লব্জ হয়ে গেল। সকাল ছটায় একসময় এপিডিআর মালদা শাখার সম্্পপাদক ছিলেন।]
অসীমের ফো�োন পেয়ে দেখলাম চাদর মুড়ি দিয়ে রতনদা ঘুমে। চো�োখ
দুটি সম্্পপূর্্ণ বো�োজা। কো�োনো�ো ডাক-গর্্জ ন নেই। সব শান্ত। ঠো�োঁঁটের
কো�োণ কি ছুঁয়ে আছে কো�োনো�ো ছো�োট্ট কৌ�ৌতু ক!

সনৎ রায়চৌ�ৌধুরীর জীবনাবসানে আমরা শো�োকাহত

সাথী সনৎ চৌ�ৌধুরী স্কু ল শিক্ষকতা করতেন,তা ঁর প্রিয় একটা বিষয় করেন পরে গ্রেপ্তার হন,পরবর্্ততীতে আশির দশকের মাঝামাঝি তিনি
ছিল গণিত। পাশাপাশি কিশো�োর বয়স থেকেই সুন্্দর সমাজ গড়়ার ইন্ডিয়়ান পিপলস্ ফন্্টটের সাথে যুক্ত হন এবং রাজ্্য কমিটির সদস্্য
স্বপ্ন দেখেছেন সারা জীবন, এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃ ত মানুষের হিসাবেই দীর্্ঘদিন কাজ করেন।এই সময়়েই পাশাপাশি এপিডিআর
মত মানুষ হওয়়ার আদর্্শশের বীজ পুঁতে গেছেন। কিশো�োর বয়সেই এর সম্্পপাদক মন্ডলিতেও সহ সভাপতির দায়়িত্ব পালন করেছেন
বিপ্লবী কাজের শরিক হয়়েছিলেন ঐ বয়সেই পূর্্ব বাংলার রংপুর দীর্্ঘদিন।এইসব সংগঠনের দায়়িত্ব পালনের সাথে সাথে স্কু ল
তথা অধুনা বাংলাদেশ সেখানেও তা ঁকে আত্মগো�োপনে যেতে শিক্ষকতার অবসরের পর কম পারিশ্রমিকে বা বিনে পারিশ্রমিকে
হয়়েছিল। মওলানা ভাসানী তা ঁর ওই প্রিয় মানুষের একজন । কত কত ছেলেমেয়়েদের গণিত শিক্ষা দিয়়েছেন যাঁরা দেশের নানা
বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে এসে এখানকার কমিউনিস্ট রাজ্্যযে এমনকী বিদেশের ছড়়িয়়ে আছেন।
পার্্টটিতে যো�োগ দেন৷ ১৯৭২-এ সারাদেশ জু ড়়ে এবং এই রাজ্্যযে এইভাবেই দীর্্ঘদিন সংগ্রাম এবং প্রকৃ ত মানুষ হবার শিক্ষার
যখন সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার কেড়়ে নেওয়়া কাজ চালিয়়ে যাচ্্ছছিলেন কিন্তু পরবর্্ততীতে স্বাস্থ্যের কারণে বা
হচ্্ছছে এবং একের পর এক জনবিরো�োধী আইন এসমা নাসা জারি বার্্ধক্্যযের কারনে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়়া থেকে অবসর
করে গ্রেপ্তার চলছে, থানা বা জেল লক্ ‌আপে একের পর এক নেন। এপিডিআর এর সম্্পপাদক মন্ডলির সভাতেও ঠিকমত
হত্্যযা চলছে,এবং এনকাউন্্টটারের নামে হত্্যযা চলছে, তখন কিছু আসতে পারতেন না,কিন্তু মানবাধিকার বা বন্্দদি মুক্তির প্রশ্নে
প্রতিবাদী মানুষ ও বুদ্ধিজীবীদের উদ্যোগে গড়়ে ওঠে ১৯৭২এর বিভিন্ন ধরনের পরামর্্শ বা অর্্থকরি অথবা অনান্্য সাহায্্যযের
২৫ জু ন গনতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি । হাত বাড়়িয়়ে দিতেন। উনি একজন রাজনৈতিক ব্্যক্তিত্ব হওয়়া
এপিডিআর প্রতিষ্ঠার কিছু দিনের মধ্্যযেই উনি সদস্্য পদ গ্রহণ সত্ত্বেও কো�োন সময়়েই মানবাধিকার সংগঠনের চরিত্রকে ধ্্ববংস
করেন এবং ধীরে ধীরে মানবাধিকার আন্দোলনের সামনের সারিতে করে রাজনৈতিক বা গণসংগঠনে রূপ দেবার অপচেষ্টা তিনি
থেকেই রাজনৈতিক বন্্দদিদের নিঃশর্্ত মুক্তির দাবিতে সো�োচ্্চচার হওয়়া করেননি। দীর্্ঘদিন লিভারের ক্্যযানসার রো�োগে আক্রান্ত থাকার
থেকে শুরু করে বিশ্বে, নিজদেশে,নিজরাজ্্যযে এবং অনান্্য রাজ্্যযে পর গতকাল ১লা জু লাই ২০২৩ রাত, ৮-২০ মিঃ সাধারণ জনের
মানবাধিকার লঙ্্ঘনের বিরুদ্ধে সো�োচ্্চচার হওয়়া এবং এগিয়়ে নিয়়ে অতি প্রিয় সাথী সনৎ রায়চৌ�ৌধুরী চুঁচুড়়ায় নিজবাসভবনে প্রয়়াত
যাওয়়ায় তা ঁর ভূমিকা ছিল হালধরা কান্ডারীর মতো�ো। যদিও সত্তর হন। সনৎদার মৃত্্যযুতে একটা দীর্্ঘ সংগ্রামী যুগের অবসান হল।
দশকের উত্তাল সময় গো�োটা হুগলি জুড়়ে তিনি ছিলেন একজন দক্ষ মানবাধিকার আন্দোলনে তা ঁর অবদান সদা স্মরণযো�োগ্্য।
নকশালপন্থী রাজনৈতিক ব্্যক্তিত্ব এই সময়়েও তিনি আত্মগো�োপনও
38
শুভাশিস রায়ের জীবনাবসানে আমরা মর্্মমাহত

এই চলিষ্ণু বছরে বা গত দুবছরে আমরা আমাদের আন্দোলনের বহু শুভাশিস ইনসাফের পক্ষে সওয়়াল করেছে; নদীয়়ার কৃ ষ্ণনগর
প্রিয় মানুষকে --- দেবাশিস ভট্টাচার্্য, সমর বাগচী, সনৎ রায়চৌ�ৌধুরী, থেকে রানাঘাট, কল্্যযাণী, আলিপুর, হাওড়়া, মেদিনীপুর (দুই জেলা)
অশো�োক ঘো�োষ (বাবলা), রতন দাশগুপ্ত, অনুপ দত্ত, সুভাষ গাঙ্গুলী, ইত্্যযাদি থেকে তৎকালীন ব্্যযাঙ্কশাল কো�োর্্ট , এবং অধুনা বিচারভবনে
নারায়ণ চন্দদ্র সরকার প্রমুখ --- হারিয়়েছি। ২ ডিসেম্বর হারালাম শুভাশিস ছিল আমাদের তথা ভিকটিমদের প্রধান সহায়; কখনও
শুভাশিসকে অর্্থথাৎ আমাদের পরিচিত বৃত্তের প্রিয় হারুকে। গত কখনও একমাত্র আইনি সাহায্্যকারী আইনজীবী।
শতাব্দীর আশির দশকে শুভাশিসের সঙ্গে আলাপ। আমাদের মনে পড়ছে কল্্যযাণীতে খগেন মাঝি মামলায় শুভাশিসকে
আরেক বন্ধু (প্রয়়াত) সৌ�ৌমিত্র ঘো�োষের মাধ্্যমে। ওই সময় থেকেই, শারীরিক হেনস্থা করার ঘটনা, যাতে সে মামলা থেকে সরে দা ঁড়়ায়।
আমরা তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়়ে উঠেছিলাম। উত্তর কলকাতার, এই শতাব্দীতে ও তা ঁর উপর রাষ্ট্রের চাপ সৃষ্টির ঘটনা তো�ো অনেকেরই
একসময়়ে সমাজবিরো�োধী - পুলিশ আঁ তাত বিরো�োধী আন্দোলনের জানা। আরেকটি ঘটনার কথা আপনাদের স্মরণ করাই: কৃ ষ্ণনগরে
পীঠস্থান গৌ�ৌরীবাড়়ী অঞ্চলের বাসিন্্দদা ছিল শুভাশিস রায়়ের পরিবার। হেফাজতে বন্্দদি হত্্যযার ঘটনায় তৎকালীন এসপি – র বিরূদ্ধে
আমি তখন দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী অঞ্চলে প্রয়়াত দেবাশিস মামলায় শুনানির আগের দিন শুভাশিস, আমি কৃ ষ্ণনগরে পৌ�ৌঁঁছে
ভট্টাচার্্য সহ অন্্যযান্্যদের পরিচালিত প্রগতিশীল গণ ফো�োরামের সঙ্গে ভিক্টিমের বাড়়ি যাই।ভিক্টিমের মা জানালেন, তা ঁর পরিবার আর
যুক্ত। সেখানেই হারুর সঙ্গে আলাপ। শুভাশিস আইন কে পেশা মামলা লড়বেন না, যেহেতু তা ঁদের অভিযুক্ত পুলিশ ৫ লক্ষ টাকা
হিসেবে গ্রহণ করার পর তার সঙ্গে আমার আরেকটা নতু ন সম্্পর্্ক দিয়়ে দেবে। আমরা স্তম্ভিত হই ও ঘটনার নিন্্দদা করে সেই রাত্রেই
তৈরি হয়়ে উঠলো�ো, যা শেষ দিন পর্্যন্ত অটু ট ছিল। উল্লেখ্্য, শুভাশিস আমরা কলকাতায় ফিরে আসি। রাজনৈতিক বন্্দদিদের মামলাতেও
তা ঁর বংশে প্রথম প্রজন্ম আইনজীবী এবং পরিশ্রম ও মেধা দিয়়ে আমাদের প্রধান ভরসা ছিল সেই শুভাশিস। বাম সরকারের আমলের
নিজের যো�োগ্্যতাকে প্রমাণ করেছিল। বন্্দদি অথবা তৃ ণমূল সরকারের আমলের বন্্দদিদের সপক্ষে ওর আইনি
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির সাধারণ সম্্পপাদকের দায়়িত্ব সহায়তা অপরিহার্্য ছিল। Pro bono litigant হিসেবে আমি প্রায়
গ্রহণ করার পর আমি / আমরা একটু আদালত ঘেঁষা হয়়ে পড়়ি। পনেরো�ো বছর court bird হয়়ে গেছিলাম। বহু নামীদামী আইনজীবীর
সমিতি pro bono litigant হিসেবে ভূমিকা গ্রহণ করে। পাশাপাশি, সওয়়াল শুনেছি। দেখেছি এমন আইনজীবীকেও, যিনি যার পক্ষে
রুনু গুহনিয়োগীর সাসপেনশনের দাবিতে নতু ন পর্্ববের প্রচার দা ঁড়়িয়়েছেন তাকে সচেতন ভাবে হারিয়়ে দিয়়েছেন কাঞ্চন মূল্্যযের
আন্দোলনে (নারী নির্্যযাতনের বিরো�োধী মঞ্চের সঙ্গে) অকু ন্ঠ সমর্্থন বিনিময়়ে। শুভাশিসের কো�োর্্টক্রাফট হয়তো�ো সব সময় মার্্জজিত ছিল না,
জুগিয়়েছিল শুভাশিস। তখন রুনু – সন্্ততোষের বিরুদ্ধে মামলা এবং তার জন্্য তাকে ক্ষতিও স্বীকার করতে হয়়েছে একাধিক বার।
চলছে হাইকো�োর্্টটে ।সেই মামলায় ভিক্টিমের পক্ষে একজন আইনজীবী কিন্তু সততার নিরিখে ও ছিল খাঁটি, নিখাদ সো�োনা। হাইকো�োর্্টটে র একজন
ছিলেন শুভাশিস। মামলার নথি সব নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছিল sitting বিচারপতি (এখন অবসরপ্রাপ্ত) আমায় বলেছিলেন আপনি/
রুণুরা। শুভাশিস তা ধরে ফেলে ও ধ্্ববংসের হাত থেকে নথি আপনারা মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় অনেক নামী আইনজীবী
রক্ষা করে। তারপর, পুলিশ জেল হেফাজতে বন্্দদির উপর হিংসা, হয়তো�ো পান, পাবেনও, কিন্তু শুভাশিসের মত সৎ আইনজীবী পাবেন
অত্্যযাচার, পিটিয়়ে হত্্যযার বিরুদ্ধে সমিতির সহযো�োগিতায় ভিকটিম না। এর থেকে বড় পুরস্কার আর কি হতে পারে?
পরিবারের দায়়ের করা মামলায় বিশেষ করে নিম্ন আদালতে প্রধান শুভাশিস রায়়ের সাহস দেখবার মত ছিল। হাইকো�োর্্ট থেকে
আইনজীবী সেই শুভাশিস। শুধু কলকাতায় নয়, জেলায় জেলায় নিম্ন আদালতে কড়়া, ব্্যযাজার মুখ, খিটখিটে জজসাহেব থেকে
39
অ্্যযাডভো�োকেট জেনারেল, দুঁদে আইনজীবীরা উপস্থিত। কিন্তু আদালতে একাধিকবার curious ঘটনাও ঘটেছে, যা নিয়়ে
সেখানেও আইনি সওয়়ালের প্রশ্নে শুভাশিস অকু তো�োভয়। এবং শুভাশিসের সঙ্গে মজাও করেছি। একই দিনে, আলিপুরে দো�োতলায়
আইনি জ্ঞান ও প্রত্্যয় – দুয়়ের সমন্বয়়ে হাইকো�োর্্টটে নিম্ন আদালতে একটি হেফাজত মামলায় শুভাশিস ও সরকারী আইনজীবী একই
কিছু অবিশ্বাস্্য মামলা জিতেছে। গৌ�ৌর চক্রবর্্ততী র মামলা, পক্ষে দা ঁড়়িয়়ে সওয়়াল করছেন, আবার দু ঘন্্টটা বাদে একতলায়
অন্ধ্রপ্রদেশের দীপকের মামলা, হলদিয়়ায় মধুসূদন মন্ডলদের মামলা রাজনৈতিক বন্্দদির মামলায় শুভাশিস ও সেই সরকারী আইনজীবী
প্রভৃ তি থেকে একাধিক কঠিন জামিনের মামলায় শুভাশিস রায়়ের দুজনে দুপক্ষে, পরস্্পরের মুখো�োমুখি। শুভাশীষ আমার শুধু বন্ধু ছিল
সাফল্্য অনেক। ফৌ�ৌজদারী মামলায় জেরা করাতে বেশ দক্ষ ছিল। তা নয়, আমার পারিবারিক বন্ধু ছিল। আমার মায়়ের নামে উৎসর্্গগীকৃত
কলকাতা হাইকো�োর্্টটে র অন্্যতম প্রথম সারির আইনজীবী শ্রী শেখর মানবাধিকার সংগ্রহশালা তৈরির প্রশ্নে শুভাশিস, বিপ্লবের অবদান
বসুর অধীনে বহু বছর আইনি প্র্যাক্টিস করেছে শুভাশিস। বহু মামলা আছে। অগাস্ট মাসে লাইব্রেরীতে এসেছিল। সেটাই শেষ আসা
খুবই কম ফীতে সওয়়াল করেছে। হয়়ে গেল। আমার ব্্যক্তিগত অসুবিধার ক্ষেত্রে, আমার পেশাগত
আইনজীবী হিসেবে শুভাশিস রায়়ের আরো�ো কয়়েকটি গুণ না জায়গায়, হাউজিং সো�োসাইটির জন্্য আইনি সহায়তার প্রশ্নে শুভাশিস
বললে অপরাধ হবে। এক, নিয়মানুবর্্ততিতা। মামলার তারিখে নির্্দদিষ্ট রায়়ের কাছে আমি, আমার পরিবার, সো�োসাইটি ঋণী। অসুস্থ হওয়়ার
কো�োর্্টটে হাজির হয়়ে যাওয়়া যথা সময়়ে। মক্কেল অর্্থথাৎ আমরা (শেষ কয়়েকদিন আগে, CRPP-এর শৈবালদা, আইনজীবী অভীক
১৫ বছর ধরে অতি ক্ষু দ্র সংগঠন, CRPP/ Committee for ঘো�োষকে নিয়়ে পরপর দুদিন ধরে শিলদার মামলা পিটিশন প্রস্তুত
Release of Political Prisoners-এর তরফে) পৌ�ৌঁঁ ছতে পারি করে হাইকো�োর্্ট থেকে শুভাশিস আদেশও বার করে এনেছিল। ওর
বা না পারি, তখনই সামান্্য ফীটু কু দিতে পারি না পারি, শুভাশিস প্রয়়াণের পর কি হবে? – এই জিজ্ঞাসা এখন CRPP কে তাড়়িত
একাই হাজির। দূরে গেলে, পরপর শুনানির দিন থাকলে, সেখানে করছে। মানবাধিকার আন্দোলনে (বিশেষ করে এ রাজ্্যযে) বিভাজন,
রাত্রিবাস করে গেছে। মামলা নষ্ট হতে দেয়নি। আর, মামলার হিংস্র, আগ্রাসী বাতাবরণ নিয়়ে আমার কাছে শুভাশিস একাধিকবার
কাগজপত্র সংরক্ষণে শুভাশিস ছিল নিখুঁত। দুই , আমার দেখা -- হলদিয়়ায় যাওয়়ার পথে হো�োক, টিভি চ্্যযানেল থেকে ফেরার সময়
অন্্যতম একজন বিরল আইনজীবী ছিল সে, যার নিম্ন আদালত হো�োক, আদালত চত্বরে হো�োক – ক্্ষষোভ খেদ প্রকাশ করেছিল। বলত,
থেকে সুপ্রীম কো�োর্্ট – থাকবন্ধি আইনি কাঠামো�োয় অবাধ ও সহজ উপযুক্ত আবহ গড়়ে তো�োলার জন্্য সেখানে পারস্্পরিক মর্্যযাদা
চলাচল ছিল। তিন, রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখে দা ঁড়়িয়়ে যেকো�োনও সহিষ্ণুতা বজায় থাকবে। অসুস্থ হওয়়ার আগে শুনেছিল আমি একটা
আপৎকালীন অবস্থায় ইতিবাচক সাড়়া দিতে শুভাশিস পিছু পা হত ভিন্ন ধরনের বই লেখার কাজে ব্্যস্ত। বেরো�োলে পড়তে চেয়়েছিল।
না। মাঝরাতে তু লে নিয়়ে গেছে অমুককে – খবর এলো�ো। পরের প্রবল খেদ রয়়ে গেল হারুকে সেই বইটা দেওয়়া গেলো�ো না। এখনও
দিন আদালতে হাজির করা হবে বন্্দদিকে। হাতে ২৪ ঘন্্টটাও সময় পর্্যন্ত বেরো�োয়নি বইটা। যে কো�োনও প্রয়়াণলেখায় বা শো�োকভাষ্্যযে
নেই। CRPP-এর অনুরো�োধে সাড়়া দিয়়ে হাজির হয়়ে যেত শুভাশিস। public ব্্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্্ড বাগভঙ্গি ব্্যবহৃত হয় – তা ঁর
ওর জন্্য বহু মামলায় রাষ্ট্র ওয়়াক-ওভার পাইনি। তাই ওর উপর মৃত্্যযুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো�ো। শুভাশিসের ক্ষেত্রে এটা কিন্তু নিখাদ
ভয়়ানক রাগ ছিল এজেন্সিগুলো�োর। সত্্যযি। এই মুহূর্্ততে প্রাগুক্ত কঠিন মামলাগুলো�োতে – নিম্ন থেকে
শরীর ব্্যযাধিমন্্দদিরম বলেই তো�ো সবসময় ডাক্তার বাবুর খো�োঁঁজ উচ্্চউচ্্চতর আইনি অঙ্গনে তা ঁর মতো�ো যো�োগ্্য ব্্যক্তির খুব খামতি
পড়়ে। অভিজ্ঞতা আমাদের শিখিয়়েছে, রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখে, রয়়ে গেছে। আবার বলি, কি হবে আমরা জানি না। পরিবারের
নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্্য, সমর্্থকের তকমা মেরে রাষ্ট্র যখন গ্রেপ্তারি তরফ থেকে প্রথম যে স্মরণসভার বিজ্ঞপ্তি দেওয়়া হয়়েছিল, তাতে
শুরু করে, হেনস্থা করে তখন ডাক্তারবাবুর মতই আইনজীবীর শুভাশিস সম্্পর্্ককে যে কটা শব্দ ব্্যবহার করা হয়়েছিল, তা প্রত্্যযেকটি
দরকার পড়়ে। কিন্তু পাওয়়া কঠিন হয়। যেখানে বন্্দদির right to have নির্্ভভু ল: “Champion of justice, a lawyer’s heart,
legal aid আক্রান্ত, সেখানে সেই অধিকার রক্ষায় শুভাশিস প্রথম activist’s spirit – forever remembered fondly.” বন্ধু ,
সারিতে। সর্বোপরি, শুভাশিস আরেকটি আইনি চর্্চচার ক্ষেত্রে নিজেকে সহযো�োদ্ধা, সুন্্দর মানুষ শুভাশিসকে শ্রদ্ধা জানাই।“মরণসাগরপারে
অন্্যতম বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়়ে তু লেছিল। UAPA সংক্রান্ত মামলায় তু মি অমর, তো�োমাকে স্মরি।”
ওই আইনটির ধারা উপধারার আইনি ব্্যযাখ্্যযায় শুভাশিসের জুড়়ি মেলা
ভার ছিল। আমরা জানি, এই আইনে অভিযুক্তের রক্ষাকবচ প্রায় নেই
বললেই চলে। তবে যেটু কু আছে, তাকে উপযুক্ত ব্্যযাখ্্যযা দিয়়ে বন্্দদির
অনুকূলে আনার দক্ষতা সে অর্্জ ন করেছিল।

40
স্মৃতিচারণে বাবলা দা (অশো�োক ঘো�োষ) বর্্ধধিত সমন্বয়কারী দলের নো�োট-বইঃ
বাবলাদাকে স্মরণ করার শুরুতেই বলতে হয়, কলকাতা বইমেলায়
সমিতির অংশগ্রহণের বিষয়টি আমি সাধারণ সম্্পপাদকের দায়়িত্ব
পাওয়়ার পর (১৯৮৭ নাগাদ) ভাবি ও বাবলাদের বলি। আসলে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এপিডিআর, এই ৫২ বছরের ঐতিহ্্যবাহী
ভাবনাটা আসে অন্্যযের দেখে। বইমেলার প্রাঙ্গণ তখন ছিল চলার পথে বহু সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। সংগঠনের দীর্্ঘকালের
রবীন্দদ্র সদনের বিপরীতে মাঠটায়(ভিক্্টটোরিয়়া মেমো�োরিয়়াল এর ঐতিহ্্য বজায় রেখে বিগত (প্রায়) দুই বছর ধরে সফলতার সাথে
প্রাচীরের লাগো�োয়়া)। অ্্যযামনেস্টি ইন্্টটান্্যযাশনালের স্টল হত; উদ্যোগ বিভিন্ন শাখাস্তরে এবং সমন্বিতরূপে (বর্্ধধিত সমন্বয়কারী দলের
নিতেন নিরঞ্জন হালদার, আমার পুরো�োনো�ো পাড়়ার (রাসবিহারী) সদস্্যদের সমবেত প্রচেষ্টায়) মানবাধিকারের প্রশ্নে ধারাবাহিক
বাসিন্্দদা(প্রয়়াত) অধ্্যযাপক খগেন বাবু - রা। সমিতিও তো�ো স্টল দিতে কর্্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে। তাদের মধ্্যযে কিছু কিছু
না পারুক, অন্তত টেবিল তো�ো দিতে পারে। বাবলাদের সমর্্থনে উল্লেখযো�োগ্্য ঘটনা তারিখসহ সংক্ষেপে উল্লিখিত রইল। বলা বাহুল্্য,
সমিতি সর্্বপ্রথম ১৯৮৮ সালে টেবিল পাওয়়ার জন্্য আবেদন করে। এই তালিকা সম্্পপূর্্ণ নয়।
সভায় আপত্তি না করলেও, সমিতির তৎকালীন দুজন stalwarts
আড়়ালে বিরো�োধিতা করেন, বলেন, সমিতি কি ব্্যবসায়়ী সংগঠন; ১০ জুন ২০২২, সুদীপ্ত সেন স্মরণসভা সফলভাবে পালিত হল
বাবলা তা ঁদের বলেছিল, সমিতির যা প্রকাশনার সম্ভার ও দাম যাদবপুরের সূর্্য সেন মঞ্চে।
তাতে লাভের বদলে লো�োকসান বেশি; আমরা মানবাধিকারের ১৪ জুন ২০২২, বুলডো�োজার রাজনীতি আর মুসলিম সমাজের
আদর্্শ বইমেলায় আগত মানুষের কাছে পৌ�ৌঁঁছে দিতে পারবো�ো যেমন ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে যৌ�ৌথ কর্্মসূচিতে এপিডিআর এর
অ্্যযামনেস্টি ভারতীয় শাখা করছে। আমরা টেবিল পেলাম। তখন অংশগ্রহণ।
এখনকার মত টানা লম্বা প্ল্যাটফর্্ম দেওয়়া হতো�ো না। নানা বড়, ২২ জুন ২০২২, সাম্পপ্রদায়়িক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এপিডিআর-
মাঝারি স্টলের ফা ঁকে ফা ঁকে গাছের নীচে, বড় বড় ছাতা বসিয়়ে এর হাওড়া এবং মুর্্শশিদাবাদের বেলডাঙ্গায় তথ্্যযানুসন্ধান।
দিত কর্্ততৃ পক্ষ; এক একটি ছাতার তলায় দুটি সংস্থা টেবিল পেত।
২৩ জুন ২০২২, ঝাড়গ্রাম কো�োর্্টটে বন্্দদীদের এবং তাদের পরিবারের
মনে আছে আজও, তিলো�োত্তমা দি আমাদের দুজনের হাতে তা ঁর
সদস্্যদের সাথে সাক্ষাৎ।
সংগ্রহে থাকা অতি পুরাতন একটি মাঝারি সাইজের রং চটে যাওয়়া
২৪ জুন ২০২২, নারকেলডাঙ্গায় উচ্্ছছেদ হওয়়া বস্তিবাসীর পাশে
টিনের বাক্স তু লে দিলেন। তাতে আমরা অল্প কয়টি প্রকাশনা
দা ঁড়়ানো�ো।
(তার মধ্্যযে ছিল আমরা কেন রুণু গুহ নিয়োগীর সাসপেনশন দাবি
করছি, মানবাধিকার কি ও কেন সংক্রান্ত (ঠিকানা সহ) প্রচারপত্র) ২৫ জুন ২০২২, ৫১ বছরে পদার্্পণ, ঐতিহাসিক শো�োভাযাত্রা --–
ভরে মাঠে গিয়়ে ছাতার তলায় বসলাম। মেলার প্রথম দিন থেকে ১৮, মদন বড়াল লেন থেকে হেদুয়়া। কলেজ স্ট্রিটের মহাবো�োধি
শেষদিন পর্্যন্ত বাবলা দায়়িত্ব পালন করেছিল; তিলো�োত্তমাদি ভীম সো�োসাইটি হলে সেমিনার।
নাগদের বাড়়ি থেকে আসা ডালপুরি, তরকারি ও দুটো�ো সন্্দদেশ ২৭ জুন ২০২২, শারীরশিক্ষা শিক্ষক ও চাকু রিপ্রার্্থথীদের উপর
আমাদের দুজনকে কৌ�ৌটো�োয় ভরে দিতেন।আর, রো�োজ ওই বাক্সটি পুলিশি অত্্যযাচারের বিরুদ্ধে লালবাজারে প্রতিবাদ।
পাশের কো�োনও একটা স্টলে (যেমন Papyrus) রেখে দিতাম। প্রথম ২ জুলাই ২০২২, বাসস্থান ও জীবন-জীবিকার অধিকারের
বইমেলায় বিক্রি খুব একটা হয়়েছিল তা নয়; তবে সেই সময় মেলা দাবিতে ভারতসভা হলে গণ কনভেনশনে এপিডিআর-এর
কর্্ততৃ পক্ষ বইমেলার স্টল ইত্্যযাদি নিয়়ে (সম্ভবত দুদিন অন্তর) ছবি অংশগ্রহণ।
সহ সংবাদ বুলেটিন প্রকাশ করত; সমিতির টেবিল তাতে ছবি সহ ৪ জুলাই ২০২২, সি.ডি.আর.ও. (C.D.R.O.)–র আহ্বায়িত
স্থান পেল ও মানবাধিকারের ধারণা বইমেলাতেও এসে গেলো�ো’– স্ট্যান স্বামীকে নিয়়ে দেশব্্যযাপী প্্ররোগ্রাম, এপিডিআর কলকাতা
এই জাতীয় কথা বয়়ানে লেখা ছিল। টেবিল বছর দুই; তারপর সহ বিভিন্ন জেলায় পো�োস্টারিং এবং পথসভা করে।
পার্্ক স্ট্রিটের প্রাঙ্গণ; সমিতি নারী নির্্যযাতন প্রতিরো�োধ মঞ্চের সঙ্গে ৩০ জুলাই ২০২২, এপিডিআর-এর উদ্যোগে মহাবো�োধি সো�োসাইটি
যৌ�ৌথভাবে টানা ১৯৯৮ পর্্যন্ত স্টল দিয়়েছিল। শুরুতে বাবলার হলে জি.এন.সাঁইবাবার লেখা বই ‘Why Do You Fear My
অক্লান্ত সমর্্থন ও পরিশ্রম সমিতিকে, তার কাজকে মানুষের কাছে Way So Much’-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ এবং সাঁইবাবার স্ত্রী
পরিচিত করানো�োতে আজ আরেকবার স্মরণযো�োগ্্য।
41
বসন্থা ও কন্্যযা মঞ্জীরা সাঁইবাবার দীর্্ঘ বন্্দদীদশার কথা তা ঁদের মৃতদেহ রামনগর রামাগুন্্দন রেল স্টেশনে পাওয়়া যায়--
বক্তব্্য, কবিতাপাঠ এবং চিঠির অংশ পাঠের মধ্্যযে তু লে ধরেন। এই খো�োঁঁজ তেলেঙ্গানা রেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো�ো
৬ আগস্ট ২০২২, বারুইপুর থানায় লক্ - আপ হত্্যযা নিয়়ে ফ্্যযাক্ট হয়। এই ব্্যযাপার নিয়়ে এপিডিআর তথ্্যযানুসন্ধান করে এবং
ফাইন্্ডিিং। সিভিল লিবার্্টটি কমিটি তেলেঙ্গানার সাথে যো�োগাযো�োগ করে।
৮ আগস্ট ২০২২, বাইশে শ্রাবণ উপলক্ষ্যে এপিডিআর-এর তথ্্যযানুসন্ধানের রিপো�োর্্টটে র ভিত্তিতে প্রশাসনিক স্তরে যা করণীয়
মিছিল কলেজ স্্ককোয়়ার থেকে জো�োড়়াসাঁকো�ো ঠাকু রবাড়়ি। তা তারা করবেন বলে জানানো�ো হয়েছে।
১০ আগস্ট ২০২২, দেউচা পাঁচামিতে খো�োলামুখ কয়লাখনি ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ৭৪-তম আন্তর্্জজাতিক মানবাধিকার
প্রকল্পের বিরুদ্ধে আদিবাসী মানুষের মিছিলে এপিডিআর-এর দিবস উপলক্ষ্যে এপিডিআর-এর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের হুুংকার
অংশগ্রহণ। এর বিরুদ্ধে মিছিল, ১৮ মদন বড়়াল লেন থেকে কলেজ স্ট্রিট
২৮ আগস্ট ২০২২, রানুছায়়া মঞ্চে বিলকিস বানুর ধর্্ষকদের চৌ�ৌমাথা, এবং সেখানে পথসভা।
সাজার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় এপিডিআর-এর অংশগ্রহণ। ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, আর.জি.কর হাসপাতালের ছাত্রদের উপর
৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, জর্্জ ভবনে সদস্্যদের সাধারণ সভা হয়। প্রশাসনিক এবং শাসকদলের গুন্ডাদের আক্রমণের তথ্্যযানুসন্ধান
করা হয়়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, অভিষেক ব্্যযানার্্জজির ‘শুট করতাম মাথা
লক্ষষ্য করে’ বক্তব্্যযের প্রতিবাদে এপিডিআর-এর পক্ষ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, বিদূষক নাট্্যমণ্ডলীর উপর তৃ ণমূলের
প্রেস রিলিজ। আক্রমণের বিরুদ্ধে সুকান্ত মঞ্চের সামনে এপিডিআর-এর
প্রতিবাদী সভা।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, NCHRO সহ ৮টি গণসংগঠনকে
নিষিদ্ধ ঘো�োষণা করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মৌ�ৌলালিতে ২৪ জানুয়়ারি ২০২৩, ভাঙ্গড়ে এপিডিআর-এর তথ্্যযানুসন্ধান।
জমায়়েত হওয়়ার আগেই একজন দুজন করে এ পি ডি আর কাশিপুর থানায় অফিসারের কাছে মৌ�ৌখিকভাবে এপিডিআর-
এবং আরএসএফের চারজন মহিলা সহ মো�োট ২২ জন কর্্মমীকে এর বক্তব্্য ও আক্রান্তদের মানবাধিকারের দাবি জানানো�ো হয়।
গ্রেফতার করে লালবাজারে আটকে রাখে এবং অনেক রাতে ২৫ জানুয়়ারি ২০২৩, আইএসএফের জমায়়েত এবং শান্তিপূর্্ণ
ব্্যক্তিগত জামিনে মুক্ত করে। মিছিলের উপর পুলিশি আক্রমণের বিরুদ্ধে এপিডিআর-এর
১৩ অক্্টটোবর ২০২২, দক্ষিণ চব্্ববিশ পরগনার সূর্্যপুরে বেশ কিছু পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতি দেওয়়া হয়।
দো�োকান বুলডো�োজার দিয়়ে ভেঙে উচ্্ছছেদ করে, এপিডিআর-এর ২৬ জানুয়়ারি ২০২৩, এপিডিআর-এর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক
পক্ষ থেকে এই অন্্যযায়়ের বিরুদ্ধে ফ্্যযাট ফাইন্্ডিিং করা হয় এবং বন্্দদীদের রাজনৈতিক মর্্যযাদা ও নিঃশর্্ততে মুক্তি এবং জেল কো�োড
পরবর্্ততীতে ওই ব্রিজের সামনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ও দো�োষী মেনে সমস্ত বন্্দদীর সুযো�োগ-সুবিধা দেওয়়ার দাবিতে প্রেসিডেন্সি
ব্্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে সভা করা হয়। জেলগেটে বিক্্ষষোভ দেখানো�ো হয়।
২ নভেম্বর ২০২২, নিষিদ্ধকরণ ও মতপ্রকাশের অধিকার কেড়়ে ৩ ফেব্রুয়়ারি ২০২৩, এপিডিআর-এর মুখপত্র, ‘নাগরিক ও
নেওয়়ার বিরুদ্ধে এপিডিআর সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদী গণতান্ত্রিক অধিকার’, প্রকাশ হয়।
অবস্থান। ২২ ফেব্রুয়়ারি ২০২৩, ২০০২ সালে গুজরাটের ধর্্মমীয় হিংসার
৫ নভেম্বর ২০২২, ‘কলমধারী নকশাল’-দের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ঘটনা অনুসন্ধানে বিবিসি’র তথ্্যচিত্রের উপর মো�োদি সরকারের
যুদ্ধ ঘো�োষণার বিরুদ্ধে মৌ�ৌলালিতে জমায়়েত হবার আগেই নিষেধের বিরুদ্ধে ধর্্মতলায় লেনিনমূর্্ততির পাদদেশে প্রতিবাদ
এপিডিআর-এর সদস্্যদের গ্রেফতার করা হয়। তখনই সভায় এপিডিআর-এর অংশগ্রহণ।
এপিডিআর-এর সদস্্যরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বন্্দদীদের ২৩-২৫ ফেব্রুয়়ারি ২০২৩, কলেজ স্্ককোয়়ারে লিটল ম্্যযাগাজিন
মুক্তির দাবিতে মিছিল করেন। সদস্্যরা মুক্তি পাওয়়ার পর মেলায় আমাদের অংশগ্রহণ।
এন্্টটালি থানা থেকে মৌ�ৌলালি পর্্যন্ত মিছিল সংগঠিত করেন। ৩১ মার্্চ ২০২৩, হালিশহর ম্্যযাগাজিন মেলায় এপিডিআর-এর
১০ নভেম্বর ২০২২, শিক্ষক চাকু রিপ্রার্্থথীদের উপর পুলিশী অংশগ্রহণ।
অত্্যযাচারের বিরুদ্ধে এপিডিআর-এর বিক্্ষষোভ ব্্যযাঙ্কশাল ২ এপ্রিল ২০২৩, শিয়ালদহ কৃ ষ্ণপদ ঘো�োষ স্মৃতি ভবনে,
কো�োর্্ট চত্বরে। এপিডিআর-এর বিশেষ সাধারণ সভা হয়। ১৪৩ জন সদস্্যদের
২৫ নভেম্বর ২০২২, বিশ্বকাপ ফু টবলের কাজে নিযুক্ত শ্রমিকের স্বীকৃত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বর্্ধধিত সমন্বয়কারী দলের সৃষ্টি হয়,

42
তার কর্্মপদ্ধতি নির্্ধধারিত হয়। আহ্বায়ক হিসেবে রাংতা মুন্সী ধ্্ববংস, হত্্যযা ও ব্্যযাপক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং মণিপুরের
এবং কো�োষাধ্্যক্ষ হিসেবে পরমেশ গুহ দায়িত্ব নিলেন। জাতিদাঙ্গা বন্ধের দাবিতে পথসভা।
৫ এপ্রিল ২০২৩, এপিডিআর, সিআরপিপি, বন্্দদীমুক্তি কমিটি, ২৬ জুলাই ২০২৩, মিন্টো পার্্ক থেকে মণিপুর ভবন মিছিল
PDSF, IFTU এবং জন আন্দোলন যৌ�ৌথভাবে ১৪৪ ধারার ও দাবিসনদ সহ স্মারকলিপি পেশ, মণিপুর ভবনের বাইরে
মধ্্যযেই রিষড়ায় দাঙ্গার তথ্্যযানুসন্ধান করে। পথসভা।
২৩ এপ্রিল ২০২৩, সৃজন নাট্্যগো�োষ্ঠীর পরিচালকের ওপর ৮ আগস্ট ২০২৩, মহাজাতি সদন থেকে জো�োড়াসাঁকো�ো ঠাকু রবাড়ি
রানাঘাটে শাসকদলের আক্রমণের বিরুদ্ধে রানুছায়়া মঞ্চে মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘বিচারের বাণী নীরবে নিভৃ তে
প্রতিবাদী সভা ও ‘কসাই’ নাটকের প্রদর্্শনী। কা ঁদে’ নামক বই প্রকাশ।
২৯ এপ্রিল ২০২৩, নরেন্দদ্রপুর থানায় ২১ এপ্রিল পুলিশ হেফাজতে ১৭ আগস্ট ২০২৩, দুইজন ছাত্রের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর
সাহেব সর্্দদার মারা যান। এপিডিআর-এর আটজন সদস্্য এই আক্রমণের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় প্রতিবাদ।
ঘটনার তথ্্যযানুসন্ধান করেন। ২৬ আগস্ট ২০২৩, মাটিগাড়ায় এক কিশো�োরীর ধর্্ষণ ও খুনের
৫ মে ২০২৩, কলেজ স্ট্রিটে কফি হাউসের নীচে দিল্লিতে ঘটনার বিরুদ্ধে প্রেস বিবৃতি।
আন্দোলনরত কু স্তিগীরদের উপর পুলিশি আক্রমণের বিরুদ্ধে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ছত্তিসগড় সহ দন্ডকারণ্্যযে আকাশপথে
এবং মণিপুরের জাতিদাঙ্গার বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে বো�োমাবর্্ষণের বিরুদ্ধে যৌ�ৌথ কনভেনশনে অংশগ্রহণ।
পথসভা। ৬ অক্্টটোবর ২০২৩, দেশজুড়ে এন আই এ কর্্ততৃক সাংবাদিক,
১১ মে ২০২৩, ফ্্যযাসিবাদের বিরুদ্ধে রবীন্দদ্র-স্মরণ করা হয় মানবাধিকার কর্্মমী , সাংস্কৃতিক কর্্মমী , রাজনৈতিক কর্্মমীদের
রানুছায়়া মঞ্চে। ‘মানবাধিকার ও রবীন্দদ্রনাথ’ পুস্তক প্রকাশ। উপর রাতের অন্ধকারে হানা, জিজ্ঞাসাবাদ, সম্্পত্তি বাজেয়াপ্ত,
২৯ মে ২০২৩, এপিডিআর-এর প্রেস বিবৃতি, বিষয় - সংসদভবন গ্রেফতারের ভয় দেখানো�ো, ও মিথ্্যযা মামলা সাজিয়ে ইউ এ পি
উদ্্ববোধনে ব্রাহ্মণ্্যবাদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা এবং আন্দোলনরত এ ধারায় সাংবাদিকদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রেসিডেন্সি
কু স্তিগীরদের উপর দিল্লি পুলিশের অত্্যযাচার। বিশ্ববিদ্্যযালয়ের সামনে পথসভা; ১৮, সূর্্য সেন স্ট্রিটে সভা। অন্ধ্র
১ জুন ২০২৩, সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রদেশের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্্মমী ও লেখক এন ভেনুগো�োপাল
ও মণিপুরে জাতিদাঙ্গা বন্ধের দাবিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো�ো বক্তব্্য রাখেন।
ধ্্ববংসকারী নয়়া আদেশ বাতিলের দাবিতে কলেজ স্ট্রিট চৌ�ৌমাথায় ১১ অক্্টটোবর ২০২৩, দেশজুড়ে এন আই এ-র প্রহসনের বিরুদ্ধে
পথসভা। যৌ�ৌথ মিছিলে (রামলীলা ময়দান থেকে ধর্্মতলা) অংশগ্রহণ।
৭ জুন ২০২৩, ব্রিজভূষণের শাস্তির দাবিতে শিয়়ালদহ থেকে ১৩ অক্্টটোবর ২০২৩, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্্যযালেস্টাইন-
হেদুয়়া এপিডিআর সহ বিভিন্ন সংগঠনের মিছিল ও সভা। এর মানুষের উপর ভয়াবহ আক্রমণ এবং বেনাকাব মানবাধিকার
১৯ জুন ২০২৩, প্রেসিডেন্সি জেল হেফাজতে বন্্দদীমৃত্্যযুর তদন্তে লঙ্্ঘনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্্মসূচি অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত।
পিজি হাসপাতালে তথ্্যযানুসন্ধান। স্্ললোগান নির্্মমাণ, ‘নদী থেকে সমুদ্র, প্্যযালেস্টাইন হো�োক মুক্ত’।
২৫ জুন ২০২৩, এপিডিআর-এর ৫১ বছর উপলক্ষ্যে সুসজ্জিত
ট্্যযাবলো সহকারে মিছিল। ১৮ মদন বড়াল লেন থেকে কলেজ
স্ট্রিট, বিদ্্যযাসাগর মূর্্ততির সামনে সভা।
১৩ জুলাই ২০২৩, বো�োলান গঙ্্গগোপাধ্্যযায়, সমুদ্র রায়, সুমন পাঠক,
কু শল, শিল্পক – এর সাথে এপিডিআর-এর সদস্্যরা ভাঙ্গড়ে
পুলিশের নির্্ববিকার গুলিবর্্ষণের তথ্্যযানুসন্ধান করতে যান।
কাশিপুর থানায় পুলিশের নিন্্দনীয় ভূমিকার প্রতিবাদ জানানো�ো
হয়। ১৮ জুলাই চা ঁদপাশা গ্রামে(থানা রায়দিঘি) তথ্্যযানুসন্ধান হয়।
২০ জুলাই ২০২৩, দঃ ২৪ পরগনার রবীন্দদ্রনগর থানায়
এপিডিআর-এর কর্্মমীদের সাথে পুলিশের দুর্্ব্্যবহারের বিরুদ্ধে,
পঞ্চায়েত নির্্ববাচনের প্রেক্ষাপটে জনগণের জীবনের নিরাপত্তা-
43
১। অবিলম্বে সব্্যসাচী গো�োস্বামী সহ বিনা বিচারে আটক সমস্ত রাজনৈতিক
বন্্দদিদের নিঃশর্্ত মুক্তি চাই!
২। রাজনৈতিক বন্্দদির মুখে কালো�ো কাপড়, হাতে হাতকড়া ও কো�োমড়ে দড়ি
পরানো�োর অসাংবিধানিক পুলিশি চক্রান্তের বিরুদ্ধে সো�োচ্্চচার হো�োন!
৩। গ্রেফতার না করে অনির্্দদিষ্টকাল আটক করে রাজনৈতিক বন্্দদিদের উপর
অকথ্্য অত্্যযাচারের পুলিশি চক্রান্তের বিরুদ্ধে সো�োচ্্চচার হো�োন!
৪। ইউ এ পি এ, আফস্্পপা, ই এস এম এ, পি এম এল এ সহ সমস্ত দমনমূলক
দানবীয় আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে! এন আই এ অবিলম্বে বাতিল
করতে হবে!
৫। মণিপুরে মানবাধিকার হনন বন্ধ করতে হবে! অবিলম্বে শান্তির বাতাবরণ
প্রতিষ্ঠা করতে হবে!
৬। অগণতান্ত্রিক উপায়ে কার্্যত বিরো�োধীশূন্্য লো�োকসভায় পাশ করা নয়া
দণ্ডবিধি সহ পাঁচটি নাগরিকবিরো�োধী আইন বাতিল করতে হবে!
৭। দেশজুড়ে সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্্মমী , সাংস্কৃতিক কর্্মমী , মানবাধিকার
কর্্মমীদের উপর এন আই এ’র নির্্ববিচার হামলা বন্ধ করতে হবে! পুলিশি রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠার চক্রান্তের বিরুদ্ধে আওয়াজ তু লুন!

44

You might also like