You are on page 1of 17

ভূ মিকা

মানব শিশু জন্মের পর থেকে সময় অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গে তার


বিভিন্ন দিকের বিকাশ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এই বিকাশের
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল বৌদ্ধিক বিকাশ বা মানসিক বিকাশ।
শিশুর সংবেদন ও প্রত্যক্ষনের বিকাশ, ধারণার বিকাশ, যুক্তি
শক্তির বিকাশ প্রভৃ তি সামগ্রিক ভাবে বৌদ্ধিক বিকাশ নামে
পরিচিত। শিশুর এই সামগ্রিক বৌদ্ধিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে
ভাষা।
উদ্দেশ্য

 ভাবের আদান প্রদানে সাহায্য করা।


 শিশুদের বিকাশ সম্পর্কি ত চাহিদা পূরণে সাহায্য করা।

 শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশে ভাষা কীভাবে সহায়তা করে সেটা


জানতে পারা।
 শিক্ষায় ভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারা।
 • ভাষা বিজ্ঞানী স্টার্টে ভান্ট ভাষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে
ভাষা বলেছেন - "A Language is a System of arbitrary
vocal symbols by which members of a social
group co-operate or interact."
চিন্তাশক্তির বিকাশ ::

 ভাষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী তার চিন্তাশক্তিকে স্বচ্ছন্দ ভাবে প্রকাশ


করতে সক্ষম হয়। আবার, অন্যের চিন্তাশক্তি কাছে লাগাতে হলেও
ভাষার সহায়তা নিতে হয় শিক্ষার্থীকে।
:: কল্পনাশক্তির বিকাশ ::

 শিক্ষার্থীর জীবন ও পরিবেশকে কেন্দ্র করে একটি কল্পনার জগৎ আছে।


শিক্ষার্থীর স্বাধীন কল্পনার জগৎকে তার মনন ও চিন্তন দিয়ে গড়ে
তু লতে হয়। এক্ষেত্রে ভাষা হচ্ছে তার অন্যতম প্রধান অবলম্বন।
:: আত্মশক্তির বিকাশ ::

 প্রতিটি শিক্ষার্থী তার স্বাতন্ত্রে বিরাজ করে। তার স্বাতন্ত্র প্রকাশ পায়
আত্মশক্তির বিভিন্ন উপাদান গুলির মধ্য দিয়ে। তার মুক্ত চিন্তা,
যুক্তিপূর্ণ ভাবনা ও তার উপস্থাপনাকে সার্থক করে তু লতে সক্ষম
হয় ভাষার মাধ্যমেই।
সৃজনশীলতার বিকাশ ও প্রতিষ্ঠা

⇨ সৃজনশীলতা মানব শিশুর একটি স্বাভাবিক


ক্ষমতা। শিশু শিক্ষার্থী তার এই সৃজনশীলতার
ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলা, বিকাশিত করে তোলা
এবং সর্বোপরি প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ভাষাকেই
মাধ্যম হিসাবে গ্রহন করে।
শিক্ষার্থীর একা, কথন, লিখন ও পঠনে সহায়তা করা

 মানুষে র ভাব প্রকাশের প্রধা ন মাধ্য ম হল ভাষা । আবা র শিক্ষার গু রুত্ব পূর্ণ
মাধ্য মও হল ভাষা । স্বাভাবি কভাবে শিক্ষার্থী র নি কট ভাষা গত দক্ষতা
অর্জনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীর ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রে
চারটি উল্লেখযোগ্য দিক হর - শ্রবণ, কথন, পঠন ও লিখন। নিয়মিত
ভাবে ভাষা চর্চর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে ভাষাগত দক্ষতা অর্জন
করে থাকে।
 শিশুরা শ্রবণ, অনুকরণ এবং মিথস্ক্রিয়া জড়িত একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে

ভাষা অর্জ ন ভাষা অর্জ ন করে। একই সাথে একাধিক ভাষা শেখার ক্ষমতা মানুষের মস্তিষ্কের
একটি অসাধারণ বৈশিষ্ট্য। সমৃদ্ধ ভাষা পরিবেশের এক্সপোজার শিশুদের ভাষাগত
বিকাশ এবং জ্ঞানীয় বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মিলিত উন্নতি

 জ্ঞানীয় বিকাশে ভাষা একটি মুখ্য ভূ মিকা পালন করে। এটি শিশুরা যেভাবে বিশ্বকে উপলব্ধি করে,
সমস্যার সমাধান করে এবং সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করে তা গঠন করে। ভাষা দক্ষতার বিকাশ
গাণিতিক এবং যৌক্তিক ধারণা অর্জ নের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, যা একাডেমিক সাফল্যের ভিত্তি
স্থাপন করে।
শব্দভান্ডার সম্প্রসারণ

 সমৃদ্ধ ভাষার পরিবেশ শব্দভান্ডারের বিস্তারে অবদান রাখে, যা একাডেমিক অর্জ নের জন্য অপরিহার্য।
বিভিন্ন শব্দ এবং ধারণার এক্সপোজার শিশুদের বিষয়বস্তু প্রকাশ করার এবং জটিল ধারণাগুলি বোঝার
ক্ষমতা বাড়ায়। অভিভাবক এবং শিক্ষাবিদরা আকর্ষক ক্রিয়াকলাপ এবং অর্থপূর্ণ মিথস্ক্রিয়াগুলির
মাধ্যমে শব্দভান্ডার বিকাশকে উত্সাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন করে
দ্বিভাষাবাদ এবং বহুভাষাবাদ

 দ্বিভাষিকতা এবং বহুভাষিকতার সুবিধাগুলি ভাষাগত দক্ষতার বাইরেও প্রসারিত। বহুভাষিক ব্যক্তিরা
উন্নত জ্ঞানীয় নমনীয়তা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা প্রদর্শন করে। শিক্ষাগত সেটিংসে ভাষাগত
বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করা এবং উদযাপন করা বিভিন্ন সংস্কৃ তির জন্য গভীর উপলব্ধি বৃদ্ধি করে এবং
বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং ভাষা

 ভাষার দক্ষতা জটিলভাবে সমালোচনামূলক চিন্তা করার ক্ষমতার সাথে


যুক্ত। কার্যকর যোগাযোগ, তর্ক এবং বি শ্লে ষণ সবই ভাষা র দক্ষতার মধ্যে
নিহিত। বাচ্চাদের তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে এবং অর্থপূর্ণ
আলোচনায় জড়িত হতে উত্সাহিত করা বিশ্লেষণাত্মক এবং
মূল্যা য়নমূলক চি ন্তা ভাবনা র বি কাশকে উত্ সাহি ত করে , বুদ্ধিবৃত্তিক
বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
শিক্ষাগত প্রভাব

 শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে ভাষার ভূ মিকা বোঝার গভীর শিক্ষাগত প্রভাব রয়েছে। শিক্ষাবিদরা জ্ঞানীয়
ক্ষমতা বাড়াতে, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে এবং একাডেমিক সাফল্যের জন্য ভাষা- সমৃদ্ধ
পরিবেশের সুবিধা নিতে পারেন। শিক্ষাগত পরিবেশে বিভিন্ন ভাষাগত পটভূ মিকে আলিঙ্গন করা
অন্তর্ভু ক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে যা সাংস্কৃ তিক বৈচিত্র্য উদযাপন করে।
পিতামাতার সম্পৃক্ততা

 পিতামাতারা তাদের সন্তানদের ভাষাকে সমর্থন করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন করে। বিকাশ,
অর্থপূর্ণ কথোপকথন, গল্প বলা, এবং বিভিন্ন ভাষার সম্পদের এক্সপোজার ভাষাগত দক্ষতা লালন
করার জন্য অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকেই ভাষা ও সাক্ষরতার প্রতি ভালোবাসাকে উৎসাহিত করা
শিশুদের আত্মবিশ্বাসী যোগাযোগকারী এবং আজীবন শিক্ষার্থী হয়ে উঠতে সক্ষম করে।
উপসংহার

 শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে ভাষার ভূ মিকা বহুমুখী ও গভীর। ভাষা


জ্ঞানকে আকার দেয়, সামাজিক মিথস্ক্রিয়াকে উৎসাহিত করে এবং
একাডেমিক সাফল্যের ভিত্তি স্থাপন করে। শৈশবকালে ভাষার
তাৎপর্য স্বীকার করা একটি সমৃদ্ধ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করার জন্য
অপরিহার্য যা শিশুদের সামগ্রিক বিকাশকে লালন করে।
ধন্যবাদ

You might also like