Professional Documents
Culture Documents
Doctrine of Basic Structure
Doctrine of Basic Structure
১৯৭২ সালের প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক কাঠামাে বলতে কিছু ছিলাে না। ১৯৮৮ সালের ৮ম
সংশােধনী মামলায় বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট মৌলিক কাঠামাে তত্ত্ব অনুসরণ করেন। ২০১১ সালে পঞ্চদশ
সংশােধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ৭খ নামে নতু ন একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুসারে কতিপয়
অনুচ্ছেদকে 'মৌলিক বিধান’ বলে ঘােষণা করা হয়েছে। এসব বিধান সংশােধন করা যাবে না। যদি কেউ করে তবে
তা শাস্তিযােগ্য অপরাধ। ভারতের তিনটি মামলায় সংবিধানের মৌল কাঠামাে ধারণাটি প্রাধান্য পেয়েছে।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট অষ্টম সংশােধনী মামলার রায়ে ‘বেসিক স্ট্রাকচার ডকট্রিন’ অনুসরণ করেছেন। ভারতীয়
সুপ্রিম কোর্টে র ওই রায়গুলাে প্রাসঙ্গিক (অবিটার ডিকটা) প্রভাব নিঃসন্দেহে অষ্টম সংশােধনী মামলার রায়ের উপর
পড়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ ও ভারতে এখন এটি একটি প্রতিষ্ঠিত নীতি যে, পার্লামেন্ট সংশােধনীর মাধ্যমে
সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্য বা মৌল কাঠামােকে পরিবর্ত ন করতে পারে না। ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশােধনীর পর
মৌলিক কাঠামাের বিতর্কে বাংলাদেশ ভারতকেও অনেক পিছে ফেলে দিয়েছে। কেননা, ভারতে মৌলিক কাঠামাে
এখনও একটি বিচার বিভাগীয় তত্ত্ব আকারেই অনুসরণ ও প্রয়ােগ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বর্ত মানে মৌলিক
কাঠামাে একটি সাংবিধানিক ও আইনি মানদণ্ড হিসেবে ঘােষিত হয়েছে (অনুচ্ছেদ ৭খ)। বাংলাদেশের সংবিধানের
নতু ন এই পরিবর্ত নকে কেবল জার্মান সংবিধানের সঙ্গে তু লনা করা যায়।