Professional Documents
Culture Documents
Masdar Hossain Case
Masdar Hossain Case
ক ) প্রথম ধাপ :
সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ক্ষেত্রে মাসদার হোসেন মামলার রায় বাংলাদেশের
ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা । জনাব মাসদার হোসেনসহ বেশ কতিপয় বিচার বিভাগীয় অফিসার ১৯৯৫ সালে
হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং ২৪২৪ /৯৫ দায়ের করেছিলেন বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের জন্য।
তাঁদের যুক্তি ছিলো –
(১) জুডিসিয়াল সার্ভি সকে ১৯৮০সালের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভি স আদেশ এর অধীনে অন্তরভু কিকরন সংবিধান
বহির্ভূ ত ।
(২) সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অধস্তন বিচার আদালত সম্পর্কি ত বিধান আছে সেখানে সংবিধানের
দ্বারাই অধস্তন আদালতগুলো পৃথক হয়েছে । শুধুমাত্র সংবিধান ১১৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিধি প্রণয়ন করে বিচার
বিভাগ পৃথকীকরণ কার্যকর করা সাংবিধানিকভাবে আবশ্যক ।
(৩) অধস্তন আদালতের বিচারকগণ বিচারক থাকাবস্থায় তাঁরা কোন ট্রাইবুনালের অধীন হতে পারেনা এবং এই
ধরনের বিচার বিভাগীয় অফিসারগন প্রশাসনিক ট্রাইবুনালের এখতিয়ারভু ক্ত নহেন ।
খ) দ্বিতীয় ধাপ ;
বিষয়টির উপর ১৯৯৬ সালের ১৩ ই জুন থেকে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট বিভাগ ১৯৯৭
সালের ৭ মে রায় দেন ।এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপীল করে (দেওয়ানী আপীল নং ৭৯/ ১৯৯৯ ) এবং আপীল
বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত রায় নিরীক্ষণ করে ২ ডিসেম্বর ,১৯৯৯ তারিখে রায় প্রদান করে ( ৫২ ডি এল আর ,
৮২ )।
রায়ে অন্যান্যের মধ্যে সরকারকে নিচের পাঁচটি নির্দে শনা (direction ) প্রদান
করা হয় ;
(১) সরকার অবিলম্ভে সংবিধানের ১১৫ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিঁধিমালা প্রনয়নের জন্য ব্যাবস্থা
গ্রহন করে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভি সের সদস্য হিসাবে পরিচিত এবং সুপ্রিমকোর্ট
এবং নিম্ন আদালতের বিচারকদের সমন্বয়ে জুডিসিয়াল সার্ভি স কমিশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।
(২) সংবিধানের ১৩৩ নং অণুচ্ছেদ অনুসারে জুডিসিয়াল সার্ভি সের সদস্যদের পোস্টিং, পদোন্নতি, ছুটি ,শৃঙ্খলা
,ছুটি ভাতা এবং সার্ভি সের অন্যান্য যেসব শর্ত থাকে সে সংক্রান্ত আইন বা বিধিমালা সংবিধানের ১১৫ ও ১১৬
অনুচ্ছেদ প্রণয়ন করতে হবে ।
(৩) সংবিধানের ১১৫ নং অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে জুডিশিয়াল পে কমিশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।
(৪) ১১৬ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতার শর্তাবলী যেমন ,চাকু রীর মেয়াদের নিরাপত্তা ,বেতন,রবং
অন্যান্য সুবিধাদি এবং পেনশনের নিরাপত্তা পার্লামেন্ট ও নির্বাহী বিভাগ হতে সাংবিধানিক স্বাধীনতা রচিত করে
সংবিধানের ১৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে আইন বা বিধিমালা প্রনয়ন করার নির্দে শ দেয়া হচ্ছে ।
(৫) সুপ্রিমকোর্টে র ফান্ডে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তা থেকে খরচ করতে হলে সুপ্রিমকোর্ট কে নির্বাহী সরকার হতে
সে বিষয়ে কোন অনুমোদন নেয়ার
আবশ্যক নেই ।