You are on page 1of 1

প্রশ্ন ১/ পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্রাগার বলতে কিছুই ছিলো না, যা ছিলো সেটি ইপিআর/পুলিশ লাইন ইত্যাদির ৩০৩ রাইফেল ও

হালকা অস্ত্রশস্ত্র যা দিয়ে যুদ্ধ জেতা কোনভাবেই সম্ভব ছিলো না। সুতরাং, আমরা এই বিপুল অস্ত্রশস্ত্র পেলাম কার কাছ থেকে
? উত্তরঃ ভারত। প্রশ্ন ২/ এই অস্ত্রশস্ত্র ব্যতীত মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থা কি হতো ? উত্তরঃ ভারতের কাছ থেকে এই অস্ত্রশস্ত্র না
পেলে এই মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করার আগেই পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর হাতে মারা পড়তো। প্রশ্ন ৩/ ১ কোটি রিফিউজির
জন্য ভারত বর্ডার তাৎক্ষণিকভাবে খুলে না দিলে কি হতো ? উত্তরঃ ১ কোটি বাঙালি মারা পড়তো। প্রশ্ন ৪/ মুক্তিযোদ্ধারা
ট্রেনিং ছাড়া যুদ্ধ করলে কি হতো ? উত্তরঃ সমরবিদ্যায় সুশিক্ষিত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত
হতো। প্রশ্ন ৫/ মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কারা যুদ্ধ করতো এবং বর্ডার এরিয়াতে মুক্তিযোদ্ধা অপারেশনের পর কোথায় পালাতো
? উত্তরঃ ভারতীয় বাহিনী যুদ্ধের মধ্যভাগে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে লড়াই করতো এবং অপারেশন শেষে বর্ডারের
কাছাকাছি মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের সীমান্তে চলে যেত। ৬) মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কার অবদান সবচেয়ে বেশি,
কোন ব্যক্তির/দলের ? উত্তরঃ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের নায়ক তাজউদ্দীন আহমেদ, উনিই ভারতে যেয়ে ইন্দিরা
গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন, যেখানে অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে বা পালিয়ে ছিলেন। ৭) ভারত সাহায্য না
করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কি হতে পারতো ? উত্তরঃ তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হতো যেই ফাঁসি দেওয়া সম্ভব হয়নি
ইন্দিরা গান্ধীর প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের কারণে যিনি আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দাবী করবেন বলে ইয়াহিয়া খানকে
শাসিয়েছিলেন। ৮) মুক্তিযুদ্ধের গতি ঘোরে কখন ? উত্তরঃ সুস্পষ্টভাবে বলতে গেলে, যুদ্ধের শেষ ১০ দিনে। ৬ ডিসেম্বর
থেকে ১৬ই ডিসেম্বরে। ৯) পাকিস্তানবাহিনী কার কাছে আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাব পাঠায় এবং কার কাছে আত্মসমর্পণ করে ?
উত্তরঃ প্রস্তাব পাঠায় জেনারেল মানেকশ'র কাছে, আত্মসমর্পণ করে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে (অরোরার
সাক্ষাতকার, বিস্তারিত জানতে বিচিত্রা পুরোন সংখ্যা দ্রষ্টব্য) ১০) ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে
বাংলাদেশের কে উপস্থিত ছিলেন ? উত্তরঃ কর্নেল ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না, কেউই ছিলেন না, শুধু এ কে খোন্দকার এক
সাইডে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং যুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বলতে গেলে কোন ভূমিকাই ছিলো না। - এগুলো আমাদের
কাছে অনেক অপ্রিয় মনে হবে, কিন্তু এগুলোই সত্য, অপ্রিয় সত্য।

আহমদ শরীফ ছিলেন অনেকটাই উগ্রবাদী, তিনি খুঁটে খুঁটে সবার সমালোচনা করে বেড়াতেন। যেন নিজে একদম নিখুঁত !
রবীন্দ্রনাথ, শেখ মুজিবুর রহমান - কেউই এই ছিদ্রান্বেষী লোকটির হাত থেকে রেহাই পাননি। রবীন্দ্রনাথ/মুজিবের
সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে, কিন্তু এই আহমদ শরীফ যেভাবে খুঁটে খুঁটে সমালোচনা করে বেড়াতেন, সেটি কোনভাবেই
গ্রহণযোগ্য নয়। আসুন, আজকে থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের স্থলে বিশ্বকবি আহমদ শরীফ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের স্থলে বঙ্গবন্ধু আহমদ শরীফ বলি। কেমন লাগবে বলুন ? লোকটা বিএ এমএতে পেয়েছিলো সেকেন্ড ক্লাস,
পিএইচডি নিতেই তার লেগেছিলো বিশাল সময় ! নিজের এতসব সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও মহান ব্যক্তিদের নিয়ে সে নিন্দা
করে বেড়াতো। উত্তরাধিকারসূত্রে আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের ৫৯৭টি পুঁথি পেয়েছিলো, নিজের কৃতিত্বে নয়।

You might also like