You are on page 1of 2

Different types of Criminal case

ফৌজদারী মামলাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়, একটি আমলযোগ্য মামলা, অন্যটি আমল অযোগ্য মামলা।
★আবার আমলযোগ্য মামলাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়, একটি জি আর বা পুলিশী মামলা অন্যটি সি আর বা
নালিশী মামলা।

১) আমলযোগ্য মামলা:
আইন মোতাবেক কিছু অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন। এসব অপরাধে যে মামলা হয় তাই
আমলযোগ্য মামলা। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪(১) উপধারায় ক্লজ চ-এ আমলযোগ্য মামলা সম্পর্কে বলা হয়েছে।

২) আমল অযোগ্য মামলা:


কিছু অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করতে
পারে না। অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের
অনুমতি নিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে প্রসিকিউশন রিপোর্ট বা নন-
এফআইআর মামলা আদালতে দাখিল করে। এগুলো আমল
অযোগ্য মামলা। এধরনের অপরাধের মামলা কোর্টে র নন-জিআর
রেজিস্টার ভু ক্ত হয়ে পরিচালিত হয় বলে এ মামলাকে নন-জিআর
মামলা বলা হয়। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪ (১) উপধারার ক্লজ ঢ-এ
আমল অযোগ্য মামলা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
ক. নালিশী বা সিআর মামলা:
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরাসরি গিয়েও কোর্ট ফি দিয়ে বিচার প্রার্থনা
করা যায়। এক্ষেত্রে ফৌ. কা:বি: ২০০ ধারায় শপথ নিয়ে আবেদনের
উল্টো পিঠে জবানবন্দি রেকর্ড করতে হয়। কোর্ট রেজিস্টারে মামলা
এন্ট্রি হয়ে পরিচালিত হওয়ার কারণে এগুলোকে সিআর মামলা বলা
হয়।
খ. পুলিশী মামলা:
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে এজাহার দায়েরের মাধ্যমে যে
মামলা শুরু হয় তাই পুলিশী মামলা নামে পরিচিত।
★ পুলিশী মামলাকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা হয়:
১. জি আর মামলা:
থানায় কোন আমলযোগ্য অপরাধ ঘটার খবর পেলে থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা ফৌ.কা:বি: ১৫৪ ধারা অনুসারে মামলা করে আদালতে
এফআইআর দাখিল করে ফৌ.কা:বি: ১৫৬ ধারা অনুসারে মালার তদন্ত
শুরু করেন। এটিই জি আর মামলা। থানা থেকে এফআইআর
আদালতে আসার পর কোর্ট ইন্সপেক্টর/সাব-ইন্সপেক্টর বা জিআরও
(জেনারেল রেজিস্টার অফিসার) উক্ত এফআইআর-টি মামলা হিসেবে

কোর্টে র জেনারেল রেজিস্টারে এন্ট্রি করে তা দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেট এর


নজরে আনেন।
২. নন জি আর মামলা:
আবার থানায় আমলযোগ্য মামলা সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেটিকে
এজাহার হিসেবে গণ্য না করে পুলিশ প্রবিধান এর প্রবিধি ৩৭৭ অনুসারে জিডি এন্ট্রি করে সংশ্লিষ্ট
ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে নন-এফআইআর প্রসিকিউশন রিপোর্ট
দায়ের করতে পারেন। এগুলো নন-জিআর মামলা নামে পরিচিত।

You might also like