You are on page 1of 2

📛📛 এক্সক্লুসিভঃ শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ৪ নেতাকে কারা হত্যা করে – পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নাকি

বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধারা? 📛📛

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে একদম কিছুই জানে না। তাদের সরকার (আওয়ামী লীগ) ও
বিরোধী দল (বিএনপি-জামাত-বাম) যা চামচ দিয়ে খাইয়ে দেয়, তারা তাই চোখ বন্ধ করে একদম গোগ্রাসে
গিলতে থাকে। তারা মোটেও যাচাই বাছাই করে না তথা গবেষণা করে প্রকৃত সত্য বের করার চেষ্টা করে না।
তারা বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে বাংলাদেশী ও ভারতীয় পক্ষপাতদুষ্ট বইগুলো পড়ে ইতিহাস জানার চেষ্টা
করে। অথচ নিরপেক্ষ ইতিহাস বাংলাদেশী, ভারতীয় ও পাকিস্তানী কেউই লেখে না বরং নিজ নিজ পক্ষে
পক্ষপাতিত্ব করে ইতিহাস বিকৃত করে। নিরপেক্ষ ইতিহাস লেখে বিদেশীরা যারা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান
– কারো ধার ধারে না বা কারো কাছে ঠেকা নয়। তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে বিদেশীদের বই পড়ে
না। ফলে তারা মিথ্যাচার, অপব্যাখ্যা ও অতিরঞ্জন পরিপূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট ইতিহাস পড়ে ও উগ্র জাতীয়তাবাদী
হয়ে ওঠে। তারা বোঝে না যে – ইতিহাস রচিত হয় বিজয়ীদের দ্বারা। ইতিহাস হল পরাজিতদের নিয়ে
বিজয়ীদের হাতে লেখা একরাশ কুৎসা রচনা। পক্ষপাতদুষ্ট ইতিহাস উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্ম দেয় যা দেশ ও
জাতিকে ক্রমশঃ অধঃপতনের দিকে নিমজ্জিত করে।

শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ৬ থেকে ৭ জনই হলেন মুক্তিযোদ্ধা। এই তথ্য
রয়েছে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের চরমপত্র খ্যাত আওয়ামী লীগ সমর্থক সাংবাদিক এম আর আখতার
মুকুলের লেখা ‘আমি বিজয় দেখেছি’ নামক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থে।

উল্লেখ্য, এম আর আখতার মুকুল ১৯৭১ সালে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে যোগদান করে তথ্য ও
প্রচার দপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে তিনি বাংলাদেশ বেতারের
মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান৷ ১৯৭৫ সালের ১লা জানুয়রি তিনি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস
কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেন।

👉এম আর আখতার মুকুলের ‘আমি বিজয় দেখেছি’ গ্রন্থ অনুযায়ীঃ শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের মধ্যে ৬
জন মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের ৩ জন বীরত্ব প্রদর্শনকারী খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা যার মধ্যে ১ জন বীর উত্তম, ১
জন বীর বিক্রম ও ১ জন বীর প্রতীক রয়েছেন। ভাবা যায়? আসুন দেখে নেইঃ

📗 ১) ২৬ নং পৃষ্ঠাঃ ১ নং সেক্টর ও জেড ফোর্স

☢ ক) লে. কর্নেল (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী বীর-বিক্রম

📗 ২) ২৮ নং পৃষ্ঠাঃ ২ নং সেক্টর ও কে ফোর্স


☢ ক) মেজর (অব.) এম এ আজিজ পাশা
☢ খ) মেজর (অব.) বজলুল হুদা

📗 ৩) ২৯ নং পৃষ্ঠাঃ ৪ নং সেক্টর

☢ ক) লে. কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম বীর-উত্তম


☢ খ) লে. কর্নেল (অব.) এ এম রশীদ চৌধুরী বীর-প্রতীক

📗 ৪) ৩০ নং পৃষ্ঠাঃ ৬ নং সেক্টর

☢ ক) লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান

🎇 আমি বিজয় দেখেছি বইটির লিংকঃ www.amarboi.com/2013/01/ami-bijoy-dekhechi-m-r-


akhtar-mukul.html

⚠ ৫) কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, তিনি একজন
মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানীর সহকারী হিসাবে কাজ করেন।
এছাড়া বিভিন্ন যুদ্ধেও অংশ নেন তিনি। তবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন বলে আওয়ামী লীগ পন্থীরা দাবি করেন। কোন
দাবি সত্য তা অকাট্যভাবে যাচাই করা এখন আর সম্ভব নয়।

যারা সব কিছুতেই পাকিস্তানের দোষ দিয়ে বেড়ান, তারা কতটুকু সৎ, কতটুকু নৈতিক? পাকিস্তান সরকার যদি
চাইত শেখ মুজিবুর রহমানকে মেরে ফেলতে, তাহলে ২৫শে মার্চ গ্রেফতার করার পর ১-২ মাসের মধ্যে দ্রুত
বিচার করে কেন তাকে হত্যা করল না? কেন তিনি প্রায় ১০ মাস পাকিস্তানের জেলে বহাল তবিয়তে ছিলেন?
কেন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফেরার পর তাঁর শরীরের কোথাও আঘাত কিংবা ক্ষত তথা নির্যাতনের কোনো
চিহ্ন ছিল না? কেনই বা শেখ মুজিব পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে স্বেচ্ছায় ধরা দিয়েছিলেন? কেউ কী নিজে
থেকে আত্মঘাতী হন? কোনো নেতা কী সেধে বিপক্ষের হাতে ধরা দেন? চে গুয়েভারা, ফিদেল ক্যাস্ট্রো, মাও সে
তুং, হো চি মিন, এমিলিয়ানো জাপাটা, জোসেফ স্ট্যালিন, ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন সহ পৃথিবীর সেরা সেরা
বিপ্লবীদের কেউ কী স্বেচ্ছায় আমেরিকান বাহিনী বা প্রতিপক্ষের হাতে ধরা দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নগুলোর
ন্যূনতম ১টি প্রশ্নের কী কেউ যুক্তিসম্মত তথা বস্তুনিষ্ঠ উত্তর দিতে পারবেন? পারবেন না, সম্ভবই নয়।

তাহলে বুদ্ধিভ্রংশ মাতাল গণ্ডমূর্খের মতো শেখ মুজিব হত্যার দোষ পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপান কেন? কেন বলেন
না পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধারাই শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী? যখন যুক্তিতে
পারেন না, তখন নিয়ে আসেন কিছু কল্পিত তথা বানোয়াট ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কিন্তু এগুলোর তথ্যপ্রমাণ (ভিডিওচিত্র বা
দলিল) চাইলে তা আর দেখাতে পারেন না। কী অদ্ভুত আপনারা! লজ্জাজনক!

You might also like